গত কয়েকদিন ধরে দুপুর বেলা বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন, ইচ্ছেমতো গাড়ি ভাংচুর করছেন। দুপুর বেলা তাই এই রাজধানী শহরে লোক চলাচল কমে গেছে। আগামী রবিবার সিলেটবাসী হরতাল ডেকেছেন, দেশে যে কেউ হরতাল ডাকলেই সেটা পালিত হয় সুতরাং নিশ্চিত বলা যায় এই হরতালও পালিত হবে, হরতালের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে এমনকি সারাদেশে একটি হরতাল আহ্বান করা হলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।
বিরোধী দল বিএনপি ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারের ধ্বসকে পূঁজি করতে শুরু করেছে।
আমার দাদাবাড়ির উঠানে একটা ইন্দিরা বা কূঁয়া ছিল। সেই ইন্দিরার বাঁধানো পাড়ে পা পিছলে আছাড় খাওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে। শীতের সকালে কূঁয়ার পানি থাকতো কুসুম গরম। এদিকে কেচ্ছা কাহিনী শুনতাম যে রাজার বাড়ির কূঁয়ার ভেতর দিয়ে সুড়ঙ্গ থাকতো, যা দিয়ে নদীপথে নৌকায় করে পলায়ন করা যেত আক্রমনের শিকার হলে শেষ উপায় হিসেবে। আমাদের দেশে নাকি মাটির নিচে পানির অভাব নাই, পানির উপর দেশ ভাসতেছে। হাকলবেরি ফিনের গল্পেও আমাজান নদীতে ভাসমান দ্বীপের কথা পড়েছিলাম। দুইয়ে দুইয়ে চাইর মিলাতে সময় লাগে নাই ... ... নির্ঘাৎ আমাদের কূঁয়ার পানিও নদীর সাথে সংযুক্ত, নাইলে এ্যাত পানি আসে কোত্থেকে।
স্বপ্নে নয়, কবিতায় নয় সত্যি সত্যি আমার একটি পাহাড় ছিলো। তার উপরে উঠে মেঘ ধরা যেতো। আমি ধরতাম ও, হাতের তালুতে পুষতাম একটা সময় মেঘ প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতো; উড়ে যাওয়া দেখতে ভালো লাগলেও মনটা জানি কেমন হয়ে যেতো! কেমন হতো সেটা আমি বুঝিনি কখনও! আজও না...
আজ পাহাড় নেই আর, মেঘ আছে ঠিকই কিন্তু ধরার মিথ্যে চেষ্টা করিনা, করতে উচ্ছে করেনা কোনো। মনটাও কেমন কেমন করে না আর; এই "কেমন" "কেমন" করেনা বলে আমি ভালো নেই!
বহুবার ভেবেছি যে কোন বিনিময়ে আমি ভালো থাকবোই আর এই জিদটার জন্যে আমি আরো বেশি করে বুঝতে পারি আমি আসলে ভালো নেই! ভালো থাকা হচ্ছে না আমার।
পদবি নৌকা চালক। প্রশিক্ষণ বন্দুক চালনায়। নাম রতন সরকার
[justify]অবারিত নীলাকাশ ছাপিয়ে নিস্পৃহ চেয়ে থাকা দীর্ঘশ্বাসকে ক্রমশ দীর্ঘায়িত করতে থাকে। আকাশের সব আলোতেই আমরা সন্তুষ্ট, অন্তত আমি। অথচ সূর্যের অনবরত দগ্ধ চেহারার বেদনাক্লিষ্ট রূপ একাকী ভেসে যায় একই পথে প্রতিদিন, কেউ তাতে ভুলে দেখলেও, কখনও সমবেদনা জানায় না। শুধুমাত্র জোছনা ধরে রাখে সেই দগ্ধ ইতিহাস, কালান্তরে। আর সেথায় জন্ম নিতে থাকে সহস্র কবিতা, যা আজও টিকিয়ে রেখেছে তথাকথিত পবিত্র ভালবাসাকে, মানুষের পিঞ্জরে। আঁধারের সাথে মিলিয়ে যাওয়া স্বপ্নহীন ঘুমে আমি নিজের পিঞ্জর খুজে বেড়াই। উপস্থিত সব শূণ্যতা আমায় সঙ্গ দিয়ে নিয়ে চলে রাত্রের নদীতীরে। হালকা শিরশিরে বাতাসে আমি ধূসর ঘ্রাণ নিতে থাকি
ছলাৎ ছলাৎ মনটা তোমার
চরের সাথে আটকে গেলো।
উড়ু উড়ু পাখির স্বভাব
জালের ফাঁদে ধরা খেলো।
কবে তোমার সবুজ বনে
হলুদ রঙের আবাস হলো।
দৃষ্টি কাড়া নীল নয়নে
মেঘের পালে বৃষ্টি এলো।
গতকালের ঘটনা। সোবহানবাগে প্লাজা এ আরে সময় প্রকাশনীর একটা শো-রুম আছে। সেখানে বসে আছি। গেছিলাম বিজ্ঞান বক্তা ও লেখক আসিফ ভাইয়ের সাথে। উনি একটা পাণ্ডুলিপি দিবেন। সময়ের মালিক ফরিদ ভাই সেদিন আবার ল্যাপটপ নিয়ে যাননি। এদিকে শো-রুমে কোনো কম্পিউটারও নেই। অগত্যা ফরিদ ভাই আসিফ ভাইকে নিয়ে চললেন পাশের প্রিন্স প্লাজায়। ওইখানে সময়ের ডিজাইন-প্রিন্টিং অফিস। বাইরে শীত রাত্রির ভয়ে আমি শো রুমে থেকেই যাই। তাছাড়া এত্তো এত্তো বই একটু নেড়ে চেড়ে দেখার সুযোগও আমাকে আটকে রাখে। পাক্কা দেড় ঘণ্টা বইয়ের দোকানে বসেছিলাম। একজন পাঠকও ঢুঁ মারেন নি সেখানে (বের হওয়ার সময় একজোড়া যুগল ঢুকবো ঢুকবো করছিল)। মার্কেটে কিন্তু লোকের অভাব
[justify]স্বদেশের গন্ধ বুকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে জন্ম নিল ইন্টারনেট ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ বাংলা টেলিভিশন বিদেশ টিভি। গত ১৬ই ডিসেম্বর শুরু হলো বিদেশ টিভির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের অস্টিন শহরের ১১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগ ও অর্থায়নে চালু করেছেন এই স্ট্রিমিং ইন্টারনেট টিভি। তাঁদের লক্ষ্য আর বাদবাকি প্রবাসী বাংলাদেশিদের থেকে ভিন্ন নয়। তাঁরা চান প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য কর্মকান্ড ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়। আর সবার মত তাঁরাও চান আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম যেন স্বদেশের সংস্কৃতি থেকে দূরে না থাকে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়
[justify]চাঁদখানি ভাসছে কুয়াশার চাদরে,
বুনোঘাস ঘামছে শিশিরের আদরে।
তারাগুলো লুকিয়ে আকাশের আড়ালে,
পাতাঝরা শিমুলটা দাঁড়িয়ে আকালে।
পাড়খানি কাঁপছে পুকুরে জড়ায়ে,
একপাশে কাশবন নীরবে ছড়ায়ে।
আসমান বিষাদে ধূসরিত উপরে,
মেঘতায় ঝুলছে শীতেফাটা গতরে।
দুনিয়ায় আমার সবচাইতে অপ্রিয় কাজ রান্না করা। অপ্রিয় কাজের মধ্যে 'খাওয়া'ও আছে। তবে ওটা প্রথম সারিতে পড়ে না। রান্না করার একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে রান্নার সময় পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই রাঁধতে রাঁধতে ব্লগ লেখা যায়। ঢাকায় যখন একা ছিলাম তখন অবশ্য দীর্ঘদিন রান্না করেছি। তবে কিনা, বেঁচে থাকার জন্য কোন রকমে খাওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম বলে রান্নার উপাদান সীমাবদ্ধ থাকত আলু, ডাল আর ডিমে। মশলা অবশ্যই সবসময় পেঁয়াজ মরিচ আর লবন। এর বাইরে রান্নার আর কোন উপাদান বিশেষ ব্যাবহার করতে শিখিনি কখনো।