ফিরনি? ফের নি?!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শুক্র, ১৪/০১/২০১১ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুনিয়ায় আমার সবচাইতে অপ্রিয় কাজ রান্না করা। অপ্রিয় কাজের মধ্যে 'খাওয়া'ও আছে। তবে ওটা প্রথম সারিতে পড়ে না। রান্না করার একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে রান্নার সময় পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই রাঁধতে রাঁধতে ব্লগ লেখা যায়। ঢাকায় যখন একা ছিলাম তখন অবশ্য দীর্ঘদিন রান্না করেছি। তবে কিনা, বেঁচে থাকার জন্য কোন রকমে খাওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম বলে রান্নার উপাদান সীমাবদ্ধ থাকত আলু, ডাল আর ডিমে। মশলা অবশ্যই সবসময় পেঁয়াজ মরিচ আর লবন। এর বাইরে রান্নার আর কোন উপাদান বিশেষ ব্যাবহার করতে শিখিনি কখনো।

বিপত্তিটা বেধেছে এখানে এসে। সর্ষের তেল পাওয়া যায়না বলে আলু ভর্তায় বিশেষ সুবিধা করতে পারছি না। ডাল কিনতে যেতে হয় ইয়েমেনি দম্পতির দোকানে। সে ডালও টিস্যু পেপার দিয়ে বানানো বলে সন্দেহ করি। আর ডিম বস্তুটা দুই চক্ষে দেখতে পারিনা গত বছর কয়েক। সব মিলিয়ে আমাকে সিলেবাসের বাইরে রান্না করতে হচ্ছে এখন। তাতে অবশ্য বিশেষ সমস্যা নেই। আমার জিহ্বার স্বাদ মুকুলগুলো আমার মতই অলস। খাবারে কোন উপাদান অত্যাধিক বেশী-কম না হলে তারা খাবারের মান নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেনা। এখানে আসার সময় আপু'রা ব্যাগে ভরে দিয়েছিল গুঁড়া মরিচ, হলুদ আর মাংসের মসলার প্যাকেট। মাংস রান্না করতে গেল আমি সব মশলাই খানিকটা করে দিয়ে দেই। এক বড় ভাই সম্প্রতি বললেন, আদা এবং রসুন ছাড়া মাংস রান্না করা নাকি কেতাবে নিষেধ। তাই শুনে আমি রসুনের গুঁড়ার একটা কৌটো কিনে এনেছি। মাংস রাঁধতে গেলে সেটা থেকেও খানিকটা ঢেলে দেই। আদার গুঁড়া দোকানে দেখিনি বলে সেটা আপাতত বাদ আছে। নতুন মশলা যোগ হওয়াতে অবশ্য মাংসের স্বাদের কোন পার্থক্য ধরতে পারছি না। আর তাছাড়া যাদেরকে রেঁধেছি সেই সব মুরগিরা কখনোই আদা রসুন না দেয়ার কোন প্রতিবাদ করেনি। তাই আমিও মশলার ব্যাপারে বিশেষ চিন্তিত হইনি কখনো।

এই পর্যন্ত জীবন সুখের ছিল। বিপত্তি বাধাল আমার ভারতীয় দুই সহপাঠি। বড়দিনের ছুটির আগে তাদের মাথায় ইন্টারন্যাশনাল ডিনারের ভুত চাপল। তার মানে সবাই যার যার দেশিয় কোন খাবার রান্না করে নিয়ে যাবে। তারপর গালগল্প করে একসঙ্গে খাওয়া। আমি পড়লাম বিপদে। প্রথমত, ছুটির আগের দিন আমাদের ল্যাব প্রটোকল জমা দিতে হবে। তার আগের দিন তাই রান্নার সময় নেই। আর সময় থাকলেও আমি রাঁধতে জানি কচু। অথচ ডিনারে না যাওয়াটা খারাপ দেখায়। কারণ দাওয়াত পেয়েছি দীর্ঘদিন আগে। সাত পাঁচ না ভেবে তখন বলেছি, যাবো। আর গেলে কিছু একটা রাঁধতে হবে। কী যন্ত্রণা!

রান্নার জন্য সময় বরাদ্দ করলাম ১ ঘন্টা। যেতে আসতে গপ্প মারতে আরো ২ থেকে ৩ ঘন্টা । সব মিলিয়ে সন্ধ্যার তিন-চার ঘন্টা পানিতে। রাতভর ল্যাব প্রটোকলের ঘানি টানতে হবে তারপর! সে যাই হোক, রান্নার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসারে পরের প্রশ্ন সামনে আসল, কী রাঁধবো! প্রকাশ্য সূত্রে জানি, দিশা মেয়েটা রাঁধে চমৎকার। আর তাছাড়া সে প্রায়ই অনলাইনে থাকে বলে সারাটা সময় আমাকে পরামর্শ দিয়ে সব রকমের বিপদ থেকে বাঁচাতে পারবে। সুতরাং দিশার দ্বারস্থ হবার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু, ও হরি, সে দেখি অনলাইনে নেই। এখন কী হবে! অগত্যা তাকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে বসে রইলাম আমি।

দিশা ফিরল একটু পরে। জিজ্ঞেস করল, কী চাই? আমি বললাম, পরিত্রাণ! দিশা বলল, খিচুড়ি রাঁধো। আমি বললাম, তা রাঁধা যায় বটে, কিন্তু ও জিনিস রাঁধতে ডাল লাগে শুনেছি! দিশা বলল, মরণ! আমি বললাম, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি!

ভাবলাম, বুদ্ধি করে লেবু কিনে আনলে লেবুর শরবত রান্না করা যেত! মার মুখে শুনেছি ছোটবেলায় আমার বুদ্ধি ছিল। বড় হয়ে এক প্রেমিকার মুখেও শুনেছি। কিন্তু কোন তথ্যই নির্ভরযোগ্য নয়। দুনিয়ার সব মায়েরাই সন্তানকে আইনস্টাইন মনে করেন। আর প্রেমিকারা বাই-ডিফল্ট মিথ্যেবাদী হয়! সে যাই হোক, আমার বিশাল মাথায় বুদ্ধি হাতড়ে অনর্থক সময় নষ্ট না করে দিশাকে বললাম, ভাত খিচুড়িতে না গিয়ে ছোটখাট কিছু রান্না হলেই আমার সুবিধে। দিশা বলল, ফিরনি অথবা পায়েস?
বললাম, তথাস্তু।
দিশা বলতে লাগল, চাল ভেজাতে হবে। ব্লেন্ডারে ঘুঁটা দিতে হবে। দুধ গরম করে...

ভালো কোন চাল হবে ভেবে কিনেছিলাম যে চাল, সেটার প্যাকেট খুলে দেখি তাতে বাংলাদেশে সবচে মোটা যে চাল পাওয়া যায় সেই চাল, আর কখনো দেখিনি এরকম কালো এক ধরনের চাল একসঙ্গে মেশানো। আমি ভেবেছিলাম প্যাকেটে চিকন চাল জাতীয় কিছু থাকবে। কী আর করা। কালো দানাগুলো বেছে আলাদা করে সেই চালই দিলাম ভিজিয়ে। খানিক পরে ব্লেন্ডারে ঢেলে যখন ওই লোহার টুকরো গুলো ভাঙতে যাব তখন দেখি ব্লেন্ডার নষ্ট! ততক্ষণে আমি বুঝে গেছি, এযাত্রা আমাকে বিরাট একটা বাস্তব কৌতুকের ভেতর দিয়েই যেতে হবে!

ব্লেন্ডারে ভাঙতে না পেরে ভাবলাম দুধে সিদ্ধ করলে নিশ্চয়ই চাল গলে যাবে। তাই সিদ্ধ করতে থাকলাম চাল। ইতিমধ্যে দিশা আমাকে রন্ধন প্রণালীর বাকি অংশ জানালো।
- বাদাম-কিসমিস দিতে হবে।
- মশলা মাখানো কাজুবাদামের টিন ছিল। তার থেকে খানিকটা নিয়ে মশলা ধুয়ে ফেলে ছেড়ে দিলাম।
- এলাচ দারুচিনি...
- নাই
- সুগন্ধী?
- গায়ে মাখার পারফিউম আছে, দেবো?
- ইয়ার্কি মাইরো না। কোন ফল আছে বাসায়? কয়েক টুকরো কেটে...
- আলু?
- উহুঁ, কাঁচা খাওয়া যায় এরকম?
- পেঁয়াজ অথবা কাঁচা মরিচ কি ফলের মধ্যে পড়ে? অন্য কোন ফল খাইনা তো! কাটা ছেঁড়ার যন্ত্রণা অনেক। ফলের জুস আছে, চলবে?
- কী ফলের জুস?
- টমেটো আর কমলা লেবু। টমেটোর জুসে হালকা লবন মেশানো আছে বোধ হয়। কমলা লেবুরটা একশো ভাগ খাঁটি। ছোকলা-মোকলা সুদ্ধ। ঢেলে দেই?
- মারবো...

এরপর আর কথা থাকে না। রান্না ঘরে গিয়ে তাই আমি চাল সিদ্ধ করার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু ও চালের বাপ দাদার বংশে কেউ রাবার ছিল নিশ্চিত (সেই প্রথম আমি বুঝতে পারি গোত্রের বাইরে বিয়ে করতে হয়না!) তাই যতই সেদ্ধ করি, সেই চাল 'হাল্ক'-এর মত ফুলে ওঠে কিন্তু নরম হয়না। ওদিকে পাত্রের দুধ শুকিয়ে যাচ্ছে প্রায়। অতিরিক্ত দুধ ঢেলে কয়েকবার সেটা বাড়িয়েও দিলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা। মাঝখান থেকে রান্নার জন্য ব্যায় করা সময়ের হিসেব এক ঘন্টা পেরিয়ে দুঘন্টা হয়ে গেল। অবশেষে আমিও ইস্তফা দিলাম। রাত হয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়া আমার প্রটোকল নিয়ে বসার দরকার ছিল যত দ্রুত সম্ভব।

যে বস্তু রান্না করেছিলাম তা নাকি ঠান্ডা করে খেতে হয়। বারান্দায় তুষারের স্তুপ হয়ে ছিল। তার উপর হাঁড়ি চাপিয়ে দিয়ে পোশাক বদলে রেডি হয়ে নিলাম। সহপাঠীর বাসায় পৌঁছে সবার আগে ব্যাখ্যা করে বললাম, আমি আসলে রাঁধুনি মোটেই সুবিধার নই। যে বস্তু রান্না করে এনেছি তা মোটেও আমার দেশিয় ঐতিহ্যের কিছু নয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তোমরা এটা খেয়ে দেখতে পারো। কিন্তু ভেবে বসোনা আমার দেশের মানুষ এরকম কুৎসিত জিনিস রান্না করে খায়। এই বস্তুর সব দায়ভার কেবল আমার।

পরের দিন যখন দিশা জিজ্ঞেস করেছিল রান্না কেমন হয়েছিল তখন আমি কিছু বলতে পারিনি তাকে। নিজে যা খাইনি তা কেমন হয়েছে কী করে বলি! ফিরনি রাঁধতে গিয়ে যে বস্তু রেঁধেছিলাম তা আমি নিজে চেখে দেখার সাহস করিনি! কিভাবে জানিনা, আমার গোটাদশেক দেশের সহপাঠিদের মধ্যে যারা সেখানে ছিল তারা ওই বস্তু খেয়ে শেষ করে ফেলেছিল সেদিন!

ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো। মজাদার অভিজ্ঞতা বলতে হয়। আমি শুধু চা রান্না করতে পছন্দ করি। মানে চা বানানোকে যদি রান্না হিসাবে ধরা যায় তাহলে। -রু

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শেহাব- এর ছবি

কিছুদিন আগে রসমালাই রান্না করেছিলাম। দেখতে অবিকল রসমালাই। কিন্তু ভিতরে নারিকেলের নাড়ুর স্বাদ। কেন জানিনা। একটা খেয়ে আমার বমি চলে এসেছিল। তারপর আমি ফেলে দিতে গেলাম। আমার মারাঠী রুমমেট মাত্র একটা রসমালাইয়ের গুলি খেয়েছে। সে আমাকে বলে তুমি আর খাবা না? আমি বললাম প্রশ্নই আসে না। সে বলল আর ইউ সিওর? আমি মাথা নাড়লাম। তারপর থ্যাংকস বলে বিকট চিৎকার দিয়ে একবারে পুরোটা শেষ করল। তারপর কার্পেটের উপর শুয়ে আহ উহ করে বলল আমি আবার কখন বানাব এইটা। একে পার্ভাট (খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে) ছাড়া আর কি বলব?

কৌস্তুভ এর ছবি

না রে ভাই, একে কয় দেশীয়খাদ্যাভাব। আমি ভালো বাঙালি খানা রাঁধলেও আমার বাঙালি রুমমেট ওমনি করেই খায়, সাপ-ব্যাঙ রাঁধলেও।
আর ভারতের দক্ষিণীরা তো অনেক রান্নাই করে নারকেল আর নারকেল তেল দিয়ে। অতএব ওই-ফ্লেভারড নাড়ু হলে মন্দ কী?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সেই কাহিনী সবটা লিখে ফেলুন হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পায়েস টা খেতে খেতে তোর পায়েস রান্নাটা পড়লাম দেঁতো হাসি । আমার খাওয়া পায়েসের মতোই তোর বর্ণনা চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

যাক, এই সুযোগে রতনের ফিরনি'র স্পেশাল রেসিপি পাওয়া গ্যালো! শয়তানী হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কিন্তু ওই জিনিস রান্নার মশলা কিনতে জার্মানি আসতে হবে শয়তানী হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

খাওয়া মজাদার না হলেও লেখা উপাদেয় হয়েছে।

তবে পায়েস রান্না কঠিনই মনে হয়, খিচুড়ি দিয়ে শুরু করা উচিত ছিল।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

খিচুড়ি রাঁধতে ডাল লাগে বলে রাঁধতে পারিনি মন খারাপ
আমার ভাতিঝিরা কেমন আছে? অনেকদিন ওদেরকে নিয়ে লেখেন না তো! ওরা বড় হয়ে গেলেও শিশুপালন পড়তে চাই হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আরে, খিচুড়ির জন্য শরণ নিতে হয় খাজা বাবা ধুগো'র। শাস্ত্র বলে, আর কিছু পারুক না পারুক, জীবনে অন্তত দুইটা কাজ খুব নিষ্ঠার সাথে করতে পারে খাজা বাবা। এক. ড্রাইভিং আর দুই. খিচুড়ি রান্না (বিশ্বাস না হইলে আমার খান্দানী দুশমন ময়না ওরফে হিমুরে জিগাইতারেন)।

আর দুঃখের কথা কী কমু। আমার মা আমারে আইনস্টাইন তো দূরের কথা আমাগো গেরামের ডিপটিউবওয়েলের মেকার রমু মিয়ার মতোও জ্ঞানী মনে করে কী-না, আমার ব্যাপক সন্দেহ আছে। আর প্রেমিকা? হো হো হো , কথায় কথায় বেক্কল আর এম্পটি হেড ছাড়া আর কোনো পেয়ারের ডাকে ডাকবো কি-না এই নিয়ে লাখ টাকার বাজী ধরতে পারি! মন খারাপ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দাওয়াত দিলেই চলে আসতে বাধ্য থাকিব দেঁতো হাসি

ধুগো ইন্টারন্যাশনালের একটা বাৎসরিক খিচুড়ি উৎসব হলে মন্দ হয়না। তাতে আশেকীনরা তবারক পায় আর দীনেরও প্রসার ঘটে চোখ টিপি দেঁতো হাসি

আর প্রেমিকা? হো হো হো , কথায় কথায় বেক্কল আর এম্পটি হেড ছাড়া আর কোনো পেয়ারের ডাকে ডাকবো কি-না এই নিয়ে লাখ টাকার বাজী ধরতে পারি!

দোয়া করি আপনার সত্য কথা সইতে পারার মত প্রেমিকা হোক হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনে একটা জিনিস ভুল করছেন। আইনস্টাইনের থেকে টিপস নিয়ে কি কলেজের পরীক্ষায় পাশ করা যায়? তার জন্য চোতা-দাদা'দেরই লাগে। আজকালকার যুবতীরা আর রন্ধনে দ্রৌপদী হন না, কিন্তু তাও উঁচু ক্লাসের ছাত্রী তো বটে। সমভাবাপন্ন ছাত্রদলের মধ্যে যারা রন্ধনপটু, তাদেরকে শুধানো উচিত ছিল।

লেখা পড়ে পায়েসের জন্য (গুড়)

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

জট্টিল কাহিনী। পায়েসেটা তাহলে পণ্ডশ্রম হয় নাই দেঁতো হাসি

ভবিষ্যতে আপনার এমন উদভুটি কান্ডের নমুনা আরো দিয়েন। সাথে কয়েকটা ফটু।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ঐ অণুজীব, আমার কাছ থিকা কিছু রান্না-বান্না শিক্ষা যাইছ ...

যা লেখছো, পইড়া বিয়াপক মজা পাইলাম। আমার আবার কারুর বিপদ দেখলে ঠেইল্লা হাসি আসে। আর সেই মানুষটা যদি তুমি হও, তইলে তো আনন্দটা পুরা পাশবিক পর্যায়ে যায়গা ... মু ... হা ... হা ... হা ... শয়তানী হাসি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

তুমি বদ লুক! রোয়োনাত্তে কতো ছবি মারছ সব ফাঁস কইরা দিমু শয়তানী হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দ্রোহী এর ছবি

লেখা পড়ে কত ভয়াবহ সব স্মৃতি মনে পড়ে গ্যালো।

প্রথম যেদিন বেগুনভাজি করতে গেলাম বউ বলেছিল একটা বেগুনে এক চিমটি হলুদ মাখাতে। আমি বুদ্ধিমান মানুষ। জানি যে বউয়ের কথা যে ব্যাটা শুনে সেই মরে। সুতারাং, প্রতি ফালি বেগুনের প্রত্যেক পিঠে এক চিমটি করে হলুদ মাখালাম। আহা, কী সেই বেগুনভাজির স্বাদ! সাক্ষাৎ প্রভুখণ্ড!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বেগুন দিয়ে হলুদভাজি হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

তাসনীম ভাই এর সাথে একমত। রান্না কেমন হয়েছিল তা তো জানার সুযোগ হয়নি, কিন্তু এই লেখা চরম সুস্বাদু লাগল। চলুক

আর রু ভাই এর দৌড় তো চা-বানানো পর্যন্ত, কিন্তু আমি? পানিকে বড়জোর স্ফুটনাংক পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি শুধু। মন খারাপ

-অতীত

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রানা মেহের এর ছবি

রান্নাবান্না কিছু শেখ।
তোকে বিয়ে টিয়ে দিতে হবেনা?
সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীতও শিখিস একটু

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীতও শিখিস একটু

রান্নায় মশলা হিসেবে কাজে লাগবে মনেহয়! চিন্তিত

ru (অতিথি)  এর ছবি

ধুসর গোধুলি, কিছুদিন আগে আপনি অন্য কোনো একটা পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন বারান্দায় শোয়া নিয়ে এবং সেই দল ভারী হবে অচিরেই এই জাতীয় একটা কিছু বলে (ঠিক মনে পরছে না কোন পোস্ট)। ওটা পড়ে আমি হিসাব করে দেখলাম গত বছর কোনো বিয়ে খাই নাই। দুঃখের চোটে দুইদিন খুবসে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম, কিছুক্ষণ আগে শুনলাম আমার কাজিনের বিয়ের কথা পাকা হয়েছে। ভাবলাম আপনার সাথে খবরটা শেয়ার করি। ভালো থাকবেন। -রু

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

রঙীন ভাইকে জানান ক্যান? আপনার কাজিন কি মেয়ে? তার বিয়ে কি আমাদের রঙীন ভাইয়ের সাথে? তাইলে বলেন, আমরাও হাত মুখ ধুয়ে বিয়ে খাওয়ার জন্যে রেডি হই।
আর ওরে, কে কুতায় আচিস! দড়ি-দড়া নিয়ে হাজির হ! রঙীন ভাই এই বাইন মাছের মতো পিছালালো বলে!! ইয়ে, মানে...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

(অতিথি)  এর ছবি

উনার কথার প্রেক্ষিতে আমার বিয়ে না খাওয়ার কথা মনে হয়েছিল বলে জানালাম, রঙিন ভাইয়ের সাথে আর কোনো সম্পর্ক নাই। আমার কাজিন মেয়ে এবং মেয়েটা দেখতে আসলেই খুব সুন্দর। -রু

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি মজা করছিলাম। হাসি
আপনার বোনকে অনেক শুভেচ্ছা।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হে হে
রান্না দিয়ে নয়, রবীন্দ্রসঙ্গীতে নয়
পেম পেম পেম দিয়ে মন করিব জয় দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

নিজে টেস্ট না করা ফিরনি সবাই এইভাবে শেষ করে দিলে তো কিছু বুঝা যাবেনা, আপনি তো দেখি ফটুকও দেন নাই! ফটুক দিলে না হয় দর্শনেই অর্ধ স্বাদং করে আমরা কিছু বুঝতারতাম জর্মন দেশে গিয়ে আপনার কতটা উন্নতি/অবনতি হলো। বাই দ্য ওয়ে, জম্মন দেশে নাকি সচলায়তনের বিখ্যাত সব রাঁধুনীরা থাকেন, যাঁদের বিরিয়ানি টু মুরগ মুসল্লমের প্রশংসায় পুরা ইউরোপীয় সচল সমাবেশ কম্পিত। আপ্নে ঐখানে গিয়া এখনো তাঁদের পদধূলি নেন নাই??! তাইলে আর ক্যাম্নে কী? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হুম কিছু একটা করতে হবে এ ব্যাপারে। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওডিন এর ছবি

আরে রান্নাবান্নাতে ফিয়ারলেস আর অ্যাডভেঞ্চারাস হইতে হয়! দিশারে ফোন দিয়া দিশাহারা হয়া লাভ আছে? অরেঞ্জ জুস দিয়াই নাহয় দেখতা কমলাপায়েস করা যায় কি না চিন্তিত

লেখা সুস্বাদু হইছে, হোপফুলি তোমার পায়েসটাও তাই ছিলো হাসি

অতিথি জলতরঙ্গ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।