বইমেলার গল্প- ক

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: বুধ, ০২/০২/২০১১ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফেব্রুয়ারী মাস কে নানা কারণে ভালু পাই এরমধ্যে অন্যতম হল বইমেলা। বইমেলা কে কেন ভালু পাই এই জাতীয় কাউন্টার ন্যারেটিভ ডির্সকোর্সে না গিয়ে শুধু এইটুকু বলতে পারি নতুন বইয়ের গন্ধ ভাল লাগে, মানুষ বই কিনছে এইটা দেখে ভাল লাগে। আর এত এত নতুন বই আর নতুন বই কেনা মানুষ বইমেলা ছাড়া কই পাওয়া যাবে বলেন তাই বইমেলা ভালু লাগে।

বইমেলা আজকে থেকে শুরু হল। অন্যদিন সন্ধ্যায় আড্ডা হয় কোঞ্চিপায় বা সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে কিন্তু আজকে সেসব বাদ। তাই সন্ধ্যায় আস্তে আস্তে হেটে হেটে এগার নাম্বার বাসে রওনা দিলাম। মাঝখানে সুহান মিয়া ফোন দিল, সেও নাকি বইমেলা তবে আসতে একটু দেরি হবে। ফোনদিয়ে দেখি অন্যকেউ আজকে এখনো আসে নি তাই ভাবলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে একটু সময় কাটিয়ে যাই এরমধ্যে অন্যরাও এসে যাবে। এরমধ্যে পাবলিক লাইব্রেরির সিড়িতে এক জোড়া বালক-বালিকার কথা থেকে জানা গেল আজকে অমর্ত্য সেন নাকি এসেছিল বইমেলার উদ্বো্ধনী অনুষ্ঠানে। শুনে প্রথমে মনে হল, আরে আগে জানলে তো অনুষ্ঠানে আসা যেত। অমর্ত্য সেনের বক্তৃতা শোনা যেত। তবে একটু পরেই মনে আসল আগে জানলেও কিছু লাভ হত না কারণ প্রধানমন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে সেখানে আমার মত ম্যাংগো পাবলিকের ঢোকার অনুমতি থাকত না।

ঠিক সাতটার সময় সুহান মিয়া কে নিয়ে টিএসসির পাশ দিয়ে বইমেলা ঢোকার সময় প্রথম যে জিনসটা দেখে বিরক্তি লাগল সেটা হল বাংলা একাডেমির বাইরের রাস্তায় এইবারো স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই স্টল গুলো নিয়ে মনের ভিতর একটা খচখচানি থাকে কারণ এই স্টল গুলোর বেশিরভাগ মনে হয় দলীয় বিবেচনায় দেওয়া হয়। দোকান গুলোর ভিতরের বই গুলো দেখলে বোঝা যায় এইগুলো মুরগী প্রকাশনী। সারা বছর এদের কোন খোজ খবর থাকে না শুধু বইমেলার সময় এদের হাকডাক দেখা যায় যাদের ডিসপ্লেতে লীগ সময়ে সামনে থাকে "ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার" আর বিএনপি থাকলে ডিসপ্লেতে থাকবে "খাল কাটার ইতিহাস"। আর এইসব বইয়ের জোড়েই এরা বইমেলায় প্রতিবার স্টল পেয়ে যাবে আর জায়গা কমবে সত্যিকারের প্রকাশনী গুলোর।


মেলায় ঢুকেই প্রথম হাতের বাম পাশ দিয়ে শুরু করলাম। দুইজনেই গরীব ছাত্র তাই স্টলে স্টলে বই উলটাই আর মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পরের স্টলে যাই। ঘুরতে ঘুরতে দেখি বেশ কিছু স্টলে এখনো অনেক কাজ বাকি তাই সাজসজ্জার কাজ চলছে আর অনেক স্টলেই ফিনিশিং টাচ দিচ্ছে। স্টলের কাজ ঠিকমত শেষ হয় নি বলেই হয়ত দোকান গুলো সামনের ধুলাবালি নিয়ে বেশি চিন্তা করে নি। তবে শেষের দিকে তথ্যকেন্দ্রের দিকে কিছু দোকান দেখলাম দোকানের সামনের বালুময় অংশটা ম্যাট দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। এইসব দেখতে দেখতে নজরুল মঞ্চের সামনে গিয়ে দেখি জায়গাটা পুরাই ফাকা। সম্ভবত মেলার প্রথম দিন দেখেই কেউ আর মোড়ক উন্মোচনের দিকে যায় নি। অবশ্য দিন কতেক পর বিশেষ করে ছুটির দিন গুলোতে মোড়ক উন্মোচনের জন্য নজরুল মঞ্চে্র দখল নিয়ে ধাক্কা-ধাক্কিটা দেখার মত হয়। আজকে অবশ্য কেউ নেই শুধু এক জোড়া অল্প বয়স্ক স্বা্মী-স্ত্রী আর তাদের ছোট বাচ্চাটা ছাড়া। তিন জনেই ছবি তুলতে ব্যস্ত। কাজকর্ম নেই দেখে আমরা দুই জনে তাদের কাজকাম দেখলাম কিছুক্ষণ। সুহান দাবি করল স্বা্মী-স্ত্রীর বয়স নির্ঘাত আমার থেকে সামান্য একটু বেশি হবে। ভাল করে খেয়াল করে মনে হল সুহান মিয়া কথাটা মিথ্যা বলে নাই। এদের কাজকর্ম আর পিচ্চি বাচ্চাটার হাসি দেখে মনে হল অল্প বয়সে বিয়ে করা খুব একটা খারাপ কাজ না দেঁতো হাসি

আগেই বলছি গরীব ছাত্র দেখে স্টলে স্টলে বই উলটানো আর চারপাশের মানুষ দেখা ছাড়া তেমন কোন কাজ ছিল না তবে মুক্তধারার স্টলের সামনে গিয়ে মনে হল দুনিয়ায় ইনসাফ বলে একটা জিনিস এখনো রয়ে গেছে। এদের কিছু কিছু পুরাতন বইয়ের দাম এত কম যেন মনে হয় এরা সরাসরি সত্তরের দশক থেকে উঠে এসেছে। খুজতে খুজতে মুক্তধারাতে পাওয়া গেল শহীদুল জহিরের "পারাপার"। একদম প্রথম এডিশন যখন শহীদুল জহির লিখতেন শহীদুল হক নামে। মলাটের উপর কাল কালিতে ছোট করে লেখা শহীদুল হক। দাম কত জানেন? মাত্র ১৫ টাকা। সুহান বই কিনল তিনটা তাও দাম ৯০ টাকার উপর উঠাতে পারল না। আহা, সব প্রকাশনী যদি এইভাবে দাম নিত।

মেলায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাত দেখা হয়ে গেল খেকশিয়াল'দার সাথে। ওনাকে নিয়েই এরপর শুরু হল ঘোরাঘুরি। ঘুরতে ঘুরতে হাজির হলাম শুদ্বস্বরের সামনে। দেখি টুটুল ভাই আর সামিয়া বেগম দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখেই টুটুল ভাই বলে কোঞ্চিপার লোকেরা খ্রাপ তারা তেমন একটা বইটই কিনে না। তা বইয়ের দাম কেন এত বেশি এই নিয়ে উত্তরাধুনিক আলোচনা করতে করতে শুদ্ধস্বরের ডিসপ্লেতে গিয়ে দেখি হয়রান আবীরের বই এসে গেছে। বইটার মলাট সুন্দর।উল্টে পালটে দেখতে দেখতে দাম দেখে অন্যদিন কিনব বলে ফাকি দিয়ে অন্যপাশে চলে গেলাম। তবে ছোটগল্প ভাল লাগে বলে আবদুল মান্নান সৈয়দের বুদ্ধদেব বসুর উপর বইটা না কিনে ছোট গল্পের বই "উৎসব" কিনে ফেললাম শুদ্ধস্বর থেকে। তবে শুদ্ধস্বরের যেটা সবচেয়ে ভাল লাগল সেটা হল স্টল। পুরা মেলা ঘুরে প্রথম দিন শেষে মনে হল এইবারের মেলায় সবচেয়ে ছিমছাম সুন্দর দুই-তিনটা স্টলের একটা শুদ্ধস্বর।

খেকশিয়াল'দার সাথে ঘুরতে ঘুরতে বহু কিছু নিয়েই কথাবার্তা হল। নওরোজ কিতাবিস্তানের সামনে এসে কথা উঠল সত্যজিত আর ফেলুদা নিয়ে। নওরোজে সত্যজিতের শুটিং নিয়ে একটা বই আছে সেটা উল্টাতে উল্টাতে কথা উঠল "জয় বাবা ফেলুনাথ" আর মগনলাল মেঘরাজ ওরফে উত্তপল দত্ত নিয়ে। ঐ সিনেমায় জটায়ু কে নিয়ে সেই ছুরির খেলার কথাও হল কিছুক্ষণ। তারপর হোমস, ওয়াটসন আর প্রফেসর মরিয়ার্টিকে নিয়েও হল একদফা। খেয়াল করে দেখলাম আমি লোক খ্রাপ কারণ মগনলাল আর মরিয়ার্টি দুই জনকেই আমি ভালু পাই।

আজকে মেলায় সবচেয়ে ভাল যে জিনিসটা লাগছে সেটা হল মেলার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। যতক্ষণ ছিলাম সারাটা সময় মাইকে "একটুকু ছোয়া লাগে" এই সুরটা বাজছিল। এই গানটা এমনিতেই ভাল লাগে তাই গতবারের মাইকের অত্যাচার তুলনায় তাই এইবার এই সুরটা কে মধু মনে হচ্ছিল।


বহু গল্প হল আজকে আর না। আরেকদিন কথা হবে তবে সেটা "খ" তে।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রতিদিন একটা করে পর্ব না লিখলে ঠ্যাং ভেঙে দিবো

গতবার প্রায় প্রতিদিন গেছিলাম, এবার সময়ের টানাটানি বড্ড... আজকে পারলাম না, কালকেও পারবো না... কবে যে পারবো তাও বুঝতে পারছি না মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফাহিম হাসান এর ছবি

প্রতিদিন একটা করে পর্ব না লিখলে ঠ্যাং ভেঙে দিবো

চলুক

নিবিড় এর ছবি

ঠ্যাং ভেঙ্গে লাভ নাই তার থেকে বরং বই ঘুষ দেন, কাজ হবে এনশাল্লাহ হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

[যারা নিবিড় ভাইয়ের সাথে পরিচিত তারা মাত্রেই জানেন, যে সামনা-সামনি ভদ্রলোক একটা মাছিও মারতে পারেন ন; অথচ লেখতে বসলে আশুরাফুলের মুখকেও ছাড়িয়ে যান...]

ইয়ে, নিবিড় ভাই, ম্যালায় যেনো আরো কে আসছিলো ? দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

খিয়াল কইরা, নাইলে আশ্রাফুলের মত একদিন খেলে বাকি ২৮ দিন চালায়ে দিতে পারি খাইছে
আর মেলায় কেউ আসছিল নাকি? আমি জানি না তো দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ঢাকায় থাকি, জ্যামের জন্যে মনে হয় মোমেনশাহী। তাই ছুটির দিন ছাড়া যেতে পারবো বলে মনে হয়না। ডেইলি পোস্টাবা কইলাম

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নিবিড় এর ছবি

ডেইলি কথা দিতে পারছি না তবে যত বেশি সম্ভব চেষ্টা করব হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

নজুভাই মুরুব্বী মানুষ, ওনার দাবী আগে। আমি তাই ঠ্যাঙের দিকে নজর দিলাম না। প্রতিদিন একটা করে পর্ব না লিখলে আমি তোমার দাত ফেলে দিবো।

তোমরা লিখে লিখে বইমেলার স্বাদ যতটুকু দিবা ততটুকুই। দেশে থাকলে বইমেলার মায়াটা ঠিক টের পাওয়া যায়না বোধহয়! এবার বুঝতেছি বইমেলার টান কীরকম! নিবিড়, সত্যি সত্যি প্রতিদিন লেখার চেষ্টা করো। একা না পারলে কঞ্চিপার সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়ে হলেও লিখো।

তোমাদের অন্তত কোন একজনের লেখায় প্রতিদিন বইমেলার স্বাদ নিতে চোখ পেতে থাকবো...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

প্রতিদিন একটা করে পর্ব না লিখলে আমি তোমার দাত ফেলে দিবো।

চলুক

নিবিড় এর ছবি

বয়স তো কম হল না এইবার ঠ্যাং ভাঙ্গার কাজ বাদ দিয়ে একটা সুন্দরী দেখে জীবাণু কে বিয়ে করে ফেলেন খাইছে

হাসিব এর ছবি

প্রতিদিন একটা লিখলে বেশুমার খাওয়া দাওয়ার অপরাধ মাফ করে দেওয়া হবে।

নিবিড় এর ছবি
ওসিরিস এর ছবি

আজ দুখান টিশ্যুনির গ্যাড়াকলে পইড়া যাওয়া হইলো না। কাল আবার গোসল করতে আশুলিয়ার দিকে যাইতে হবে। বিষ্যুদবার থিকা হাজিরা দিমু ইনশাল্লাহ।।
আর হুমকি ধামকি যা দেয়ার নজু ভাই দিয়ে গেছেন। আমরা অনুজরা তাই নিরব রইলাম।।

নিবিড় এর ছবি

দিনকাল খারাপ, পোলাপাইন মুরুব্বী মানে না মন খারাপ
ঘটনা কী মিয়া, তোমাদের ঐদিকে কি পানির এতই সংকট যে গোসল করতে আশুলিয়া যাবা খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

বইমেলায় যাইতাম ছাই!!!!!!!!!!!!! মন খারাপ ইয়ে, মানে... ওঁয়া ওঁয়া

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিবিড় এর ছবি

ম্যাডাম তিনটার সুবর্ণ ধরে রওনা দেন তিনটায় মেলা শুরু হওয়ার আগেই ঢাকা পৌছে যাবেন হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভাইজানকে অনুরোধ, খান কতক ছবিও লটকে দিয়েন।

নিবিড় এর ছবি

ঠিকাছে পরের বার থেকে চেষ্টা করব হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

পোস্ট পড়ে ভালো লাগল ।
পরের পর্বের অপেক্ষায়..............

------------------------------
আমার চারপাশ ডট কম

নিবিড় এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

করে ফেলেন মিয়া, বিয়া করে ফেলেন। একা একা আর কতদিন বইমেলায় যাবেন? দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

হুম, কথা ঠিক তাই ডাবল খাটের অর্ডার দিব ভাবতাছি দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দময়ন্তী এর ছবি

লিখুন লিখুন, রোজ লিখুন৷ 'বইমেলা' শন্দটা দেখলেই মনটা বেশ তিংপাং তিংপাং করে নেচে ওঠে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নিবিড় এর ছবি

হ, বইমেলা আসলে আমারো মন খুশি খুশি লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

বই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকি। এটাই সেই জায়গা যেখানকার রোদ-ধুলো-ভীড়-অপেক্ষা সবই ভালো লাগে।
নিবিড় ভাই, জনতার দাবীঃ আপনার আঠাশ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ ছিল প্রথম পর্ব ।

নুশান

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

৯, ও আর ঔ সেন্সর করলে কেন? 'ক' থেকে শুরু করলে, মাঝখানে কোন গ্যাপ না দিয়ে 'ল' পর্যন্ত চালাবে। প্রতিদিন অন্ততঃ একটা নতুন বই নিয়ে কিছু কথা বলো। তাহলে যারা এবার মেলায় যাবার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা মেলার খবরের পাশাপাশি মেলার নতুন বইগুলো সম্পর্কেও কিছুটা জানবেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গ্রেট!
২৮দিনই চাই...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মুক্তধারার স্টলের সামনে গিয়ে মনে হল দুনিয়ায় ইনসাফ বলে একটা জিনিস এখনো রয়ে গেছে। এদের কিছু কিছু পুরাতন বইয়ের দাম এত কম যেন মনে হয় এরা সরাসরি সত্তরের দশক থেকে উঠে এসেছে।

এই লাইনটা পড়ে বহুবছর আগের ছাত্রত্বকালের কথা মনে পড়লো। মুক্তধারা আমার ফেবারিট ছিল পুরোনো বই কমদামে কেনা পাওয়া যেত বলে। চট্টগ্রামের কারেন্টবুক সেন্টার ছিল বইয়ের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। ওদের র‌্যাক ঘুরে ঘুরে কোনায় কানায় পেছনের গোডাউনে যেখানে যত পুরোনো সংস্করন বই ছিল খুজে খুজে কিনতাম পাঁচ টাকা দিয়ে দুশো পৃষ্টার বই কিনেছি এমন নজীরও আছে।

বইমেলার বর্ণনা অতীব সুস্বাদু হয়েছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এক্টা লোক বইমেলা নিয়ে লিখছে, আর সবাই হাত ঠ্যাঙ হইতে দন্ত পর্যন্ত ধোলাই দেওয়ার ঘোষনা দিচ্ছে!
এই স্ক্রিনশট নিয়ে একটি বিশ্ব মানবতাবাদী লেখা চলে আসবে কোথাও। হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

চলুক

ক দিয়ে শুরু হয়েছে। ল দিয়ে যেন শেষ হয়!

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

নিবিড়, জটিল লেখা। এটা আমিও আর সবার মতো ২৮ পর্বেরই চাই।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

হিংসাইলাম!

সুমিমা ইয়াসমিন

অতিথি লেখক এর ছবি

দোকান গুলোর ভিতরের বই গুলো দেখলে বোঝা যায় এইগুলো মুরগী প্রকাশনী। সারা বছর এদের কোন খোজ খবর থাকে না শুধু বইমেলার সময় এদের হাকডাক দেখা যায় যাদের ডিসপ্লেতে লীগ সময়ে সামনে থাকে "ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার" আর বিএনপি থাকলে ডিসপ্লেতে থাকবে "খাল কাটার ইতিহাস"।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
লেখা চালিয়ে যান। খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখার ধরন।
আগামি কয়দিন পত্রিকা দেখে শুধু লিস্ট করে রাখবো যে কোন কোন বই কিনবো, তারপর একদিন শাআআআআ করে গিয়ে সারা বছরের বই কিনে আবার শাআআআআ করে চলে আসবো।

দুটো বই অলরেডি লিস্টেড- লিলেন দার সুন্দরবন আর গোয়েন্দা ঝাকানাকা ।

--
কালো ও সাদা

ওডিন এর ছবি

আজকের লেখা কই? আজকেরটা তো আরো জমজমাট রিপোর্টিং হবার কথা! চোখ টিপি

তাসনীম এর ছবি

চলুক, ভিকারিয়াস থ্রিল যেটাকে বলে সেটা পাচ্ছি তো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

'একটুকু ছোঁয়া লাগে'- এইটা কোন জিনিস? খালি টেক্সট দিলে তো চলিবে না বৎস‌্য, সাথে অডিওটাও যোগাইয়া দেয়া শাস্ত্রের নিয়ম।

বাদবাকি ব্যাপার-স্যাপার নিয়া উপরে সবাই বলছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।