[justify]
২০১১/২/১১ শুক্রবার
যাযাবরের মত সপ্তাহটা কেটে গেল। দক্ষিণে দুইদিনের সফর শেষে ঘরে একরাত কাটিয়ে আবার উত্তরের পথে যাত্রা। এবার গন্তব্য টরন্টো। টরন্টোর কথা মনে হলেই টরন্টোতে প্রথমদিন ড্রাইভ করার স্মৃতি মনে পড়ে। দুই ঘন্টা ধরে ঘুরেও যখন গন্তব্যে পৌঁছুতে পারছিলাম না তখন হাতের কাছে যে রেস্টুরেন্ট পাওয়া গেল সেখানেই ক্ষুধা মেটানো হয়েছিল। এমন নয় যে গন্তব্য অচেনা ছিল। সমস্যা ছিল--এই লেনে বাঁয়ে মোড় নেয়া যাবেনা তো সেই লেনে অবশ্যই ডানে মোড় নিতে হবে। এরপর কয়েকবার গিয়েছি, অবশ্যই জিপিএস সহ। সেই থেকে টরন্টো আমার কাছে আঙ্গুর ফল টক--এর মত।
ছেঁড়া শাড়ির কথা কি স্মৃতিতে ভাসে? ধুয়ে নিংড়াতে গেলে যে শাড়ি ফরফর করে ফেটে যেত কয়েক হাত? রংচটা সেই শাড়িটি কি স্মৃতিতে ভাসে? সেলাই দিতে গেলে সুতার টানে আরও বিঘতখানেক ছিঁড়ে আসতে যে শাড়ি? অপূর্ণ শৈশবের কয়েক সমুদ্র অশ্রু শুষে নেবার মতো পুরোনো সেই শাড়িটা কি তোমার স্মৃতিতে ভাসে?
তোমার কি স্মরণে আসে নাগরিক ড্রেন ছাড়া তোমার অশ্রু ঠিক কতদিন ধরে আর প্রশ্রয় পায় না কোথাও?
২০১১.০২.২০ রোববার
গত রাত থেকেই উৎসবের শুরু। দল বেঁধে আজ খেলা দেখবো সবাই। গ্যালারিতে ভুভুজেলা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু আমাদের তো কোনো নিষেধ নাই। স্পর্শ নিয়ে এলো হলুদ এক ভুভুজেলা। ভারতের ভুভুজেলা বাজিয়ে দিতে হবে আজ। আশরাফ আর আমি গিয়ে বাজার করে আনলাম। গরুর মাংস আর ভূনা খিচুরী। বস্তা ভরে চিপস চানাচুর মুড়ি আনা হলো। কোক আনা হলো লিটারে লিটারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, হবে ও। মাশরাফি কে কেন নেয়া হলোনা, সিডন্সের ক্কারী বেলালী, আশরাফুল সাহেব তো নিজেই একটা বিতর্ক, সেরা এগারো কি হবে, নাঈম না শুভ, রকিবুল না আশরাফুল, তিন পেসার না দুই পেসার, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কখন নেয়া উচিত, এই রকম আরো ২৩১৫৬ টা বিতর্ক আছে। আমাদের সবার ই নিজস্ব মতামত আছে; আছে যুক্তি, আবেগ, পছন্দ, অতি পছন্দ ও অপছন্দ। বাংলাদেশে নাকি উপদেশ দাতা, এম বি এ আর ক
১
আমি ইংরেজি ভাষায় 'লিটারারি নভেল' খুব একটা পড়িনি। বাংলায় বাধ্য হয়ে শরৎচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ কিছু পড়েছি, তারপর যখনই অন্য কিছু পেয়েছি লাফিয়ে সরে গেছি। তার থেকে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহাসিক উপন্যাস আমার অনেক ভাল লাগতো, যদিও তাঁর মতেই এগুলো তার দূর্বলতম প্রচেষ্টা।
//কুটুমবাড়ি//
আর মাত্র একদিন বাকি। তারপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বলার অপেক্ষা রাখে না, এটিই প্রথম কোনো বৈশ্বিক ক্রীড়ার আসর, যা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অবশ্য ভারত আর শ্রীলংকাও সহআয়োজক হিসেবে আছে, তবে বাংলাদেশের মাটিতেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে দশম ক্রিকেট বিশ্বকাপের। এই মুহূর্তে সারা দেশজুড়েই একটা সাজ সাজ রব, দেশবাসীও আক্রান্ত হয়েছে প্রবল ক্রিকেট জ্বরে। বলা যায়, বিশ্বকাপ আয়োজনের সকল প্রস্তুতিই সম্পন্ন। সাফল্যের সাথে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও শেষ করা গেছে। এখন শুধুই অপেক্ষা ব্যাটে-বলে জমজমাট লড়াই শুরু হওয়ার।
এবারের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই ক্রিকেটপাগল দেশবাসীর জন্য একটি সুসংবাদ
আমি শুধু বলি, আমি সেইসব মানুষদের একজন নই যারা অনেক অপেক্ষার পর হাতে পেয়েছে ছোট্ট একটা প্রবেশপত্র, সরাসরি মাঠে বসে উপভোগ করতে পেরেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বকাপের।
রাত পোহালেই পর্দা উঠছে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন বাংলাদেশ' - বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমরা সবাই। যতটা উদ্বোধনের তার চেয়েও হয়তো বেশি আমাদের লাল-সবুজে বর্ণিল ঐ ১১ জনের মাঠে নামার অপেক্ষা।