আজই দুপুরে আধখানা দুনিয়া পাড়ি দিয়ে আমার হাতে এসে পৌঁছেছে একখানি চকচকে রঙিন মলাটওয়ালা চল্লিশপাতার বই। বইখানি অনেকদিন থেকেই আমার কড়া নজরে আছে, কারণ এই বইটি হল দুইজন খুবখ্রাপ সচলের এক অশুভ আঁতাঁতের ফলশ্রুতি। আর সবচেয়ে নিন্দনীয় ব্যাপার এই যে, যখন আমি ছোট্টটি ছিলাম সেইফাঁকে এঁরা দুইজন কালা শব্দটির কপিরাইট দখলিস্বত্ত্ব করে ফেলেছেন; কালা শব্দটি আমার সঙ্গেই একাত্মভাবে জড়িত (তার প্রচুর সাক্ষ্য দিতে
আবারো জোর করে লিখলাম কয়েকটা। এর কয়টা গল্প হলো আর কয়টা শ্লোগান, কে জানে?
১৩। ভাঙ্গা দালান। পূর্ণিমা । অশরীরিরা আমাদের দেখছে।
১৪। ঘুমে যাকে ছুঁই, জাগরণে তাকে পাইনা।
১৫। সাগরে মুক্তো থাকে। মুক্তোতে অশ্রুর সাগর।
১৬। আকাশের ঝড় ঘর ভাঙ্গে, ঘরের ঝড় ----?
১৭। টাকার র্যাপিংএ ভালবাসার খুঁত ঢাকা পড়ে।
১৮। গরুটা ভালবাসা চেয়েছিল। স্টেইকটাকে যত্নে চিবুই।
১৯। বন্ধুটি বলেছিল, ‘কাল আসিস’। মাথা খারাপ!
অনেককিছু দেখলাম।
অনেককিছু শুনলাম।
অনেককিছু পড়লাম।
অনেক কিছু বুঝলাম।
অনেকদিন চুপচাপ ছিলাম।
এইবারও তাই মুখ খুললাম না।
শুধু- আমাদের শ্রদ্ধেয় ক্রীড়া সাংবাদিকগণ, বরেণ্য প্রাক্তন ক্রিকেটারবৃন্দ
আর যাঁরা অতিমাত্রায় ফালাফালি করছেন তাঁদের কাছে ছোট্ট একটা অনুরোধ!
হোল্ড থ্রি ফিঙ্গারস ইনফ্রন্ট অফ ইউ, অ্যান্ড ট্রাই টু রিড বিটুইন দ্য লাইনস!
তোমার কাছ থেকে সজ্ঞানেই দূরে থাকি। তোমাকে না দেখেই দিনটা কাটাবার চেষ্টা করি। আমাকে তুমি চাও না, তাতে আমার আক্ষেপ নেই। আক্ষেপ একটাই তুমি কখনো বিশ্বাসই করলে না কতোখানি ভালোবাসি তোমাকে।
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
আমাদের শহরে আজকাল আর বৃষ্টি হয় না।
গত বছর ঠিক কত মিলি বৃষ্টি হয়েছে তার খবর খুঁজতে ইচ্ছা করছে না, শুধু জানি হাতে গোনা পাঁচদিন বা তারো কম ঝমঝমিয়ে রাস্তা-ঘাট ভিজিয়ে দেয়া দাবদাহে ক্লান্ত মানুষকে এক পশলা শান্তির হাওয়ায় ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছিল বারিধারা।
আবঝাব এক্সপ্রেস ডট কম
'বিষণ্ণতা একটা রোগ'— সিবা গেইগি'র বিজ্ঞাপনে এরকম একটা বিলাতি রোগের কথা থাকলেও আমার এই রোগ হয় নি। হয়েছে কষা রোগ। তবে রোগের ধরণের নামের কারণে যে ব্যাপারটা আপনার মাথায় প্রথমেই আঘাত করেছে, এটা মোটেও সেই রোগ নহে! 'নে-লেখা রোগ', লেখ্যকাঠিন্য যাকে বলে আরকি! আপনি অন্যকোনোকাঠিন্য বুঝে থাকলে, আপনার দিলে ময়লা। বাবলা পাতার কষ। সার্ফ এক্সেলেও এই ময়লা উঠবে কি-না, এই নিশ্চয়তা আপনাকে খোদ ইউনিলিভারও দিতে পারবে বলে মনেহয় না।
হলে থাকতে প্রতি মিলেই কমন আইটেম ছিলো মুরগি- একটুকরো মাংস, একটুকরো আলু, আর কিছুটা ঝোল। ঝোল মানে হলুদ গোলানো পানি আরকি। বছরের পর বছর সেই মুরগি খেতে খেতে আরেকটু হলেই আমার মুরগির মত পাখনা গজিয়ে যাচ্ছিলো। তবে সে যাত্রা রক্ষা হয়েছে। পাখনা গজায়নি। কিন্তু শেষ রক্ষাও হয়নি পুরোপুরি। বাসায় বলুন, চাঙ্খারপুলের রেস্তোরাতেই বলুন, বা অন্য কোথাও- মুরগির মাংসের সেই হলুদগোলানো ঝোলের সাথে আদা, জিরা আর বিভিন্ন গরম মশল
সাফির লেখা দেখে আমারো ছয় শব্দের গল্প লিখতে ইচ্ছে করলো। বলা যায় গায়ের জোরে লেখা। প্রথম কয়েকটা মন্তব্য হিসেবে আগে পোস্ট করেছিলাম।
[justify]১
বিকাল প্রায় পৌনে পাঁচটা। স্কুল আরও পনের মিনিট আগে ছুটি হয়ে গেছে। অর্ঘ্য আজ মহাখুশি। মহানন্দে পা নাচাতে নাচাতে এগুচ্ছে স্কুলের গেটের প্রাচীর ঘেঁষে অসাড় পড়ে থাকা ফুটপাথ ধরে। আজ আম্মু কিংবা আব্বু আসেননি গাড়ী নিয়ে তাকে নিয়ে যেতে। যদিও বাসা স্কুল থেকে বেশি দূরে নয়, হেঁটে মাত্র পনের থেকে বিশ মিনিটের পথ। আব্বু সাধারণত আসেননা,অফিসে থাকেন বলে। আম্মুই আসেন। আর আম্মু ব্যস্ত থাকলে কাদের চাচা, অর্ঘ্যদের গাড়ির ড্রাইভার।
আমি মেঘের কাছাকাছি থাকি।
দশ তলায়।
জানালা খুললেই রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ।
আজব ব্যাপার হলো এইসব ছাপিয়েও রাত তিনটার দিকে আমি একটা কাকের ডাক শুনতে পাই।
প্রতিদিন।
ঠিক রাত তিনটায়।
এই রুটিন চলছে আজ সপ্তাহ খানেক হলো।
আগে কাকটার ডাকে আমার পাতলা ঘুম ভেঙ্গে যেতো।
আর এখন নিজেই অপেক্ষা করি।
ঘড়ি মিলিয়ে দেখি।
বিষণ্ণ পাগলাটে কাকটা এখন আমার সময়ের পাহারাদার।