আজকের নেদারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের খেলা যে দিবারাত্রির নয় সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম। সাড়ে এগারাটার দিকে যখন একটা হালকা ঘুম দিয়ে শেষ রাতে ওঠার চিন্তা করছিলাম, ঠিক তখনই টিভির স্ক্রীনের নীচের কোনায় দেখাচ্ছে নেদারল্যান্ড ১/০ ১.২ ওভার। আ-হা, খেলা তো দিনের বেলায়!
আজকের ( ১৪ মার্চ) দৈনিক সমকালে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক এবং মালিক অভীক সরকারের একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয়েছে। আমার কিছু ফেসবুক বন্ধু এই সাক্ষাতকারটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন এবং বেশ কয়েকজন লিংকও দিয়েছেন। ( একমাত্র হাসিবের লিংক দেয়া সংক্রান্ত কমেন্টে দেখলাম সত্য কথা ফুটে
[justify]
(১)
লেখার বাংলা ভাষা ও বাংলা লেখার ভাষা দুইটা এক বিষয় না। লেখার যেই বাংলা ভাষা সেইটা একটা সিস্টেম, ভাষা, ফরাসিতে লাংগ্। বাংলারে লেখার ভাষা আদৌ ভাষা কিনা, এই নিয়া সন্দেহ থাকে, এবং সেই সন্দেহ মোতাবেক বাংলা লেখার ভাষা কোনো ভাষা না, একটা তরিকা।
[justify]
‘মুড়ো হয় বুড়ো গাছ, হাত গোন ভাত পাঁচ… দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে
ফাল্গুন তাল জোড়, দুই মাঝে ভুঁই ফোড়.. সন্ধানে ধন্দায় নবাবে’
অংশীদারী কারবারের ‘অসীম দায়’ বৈশিষ্ট্যখানা নিয়ে পড়তে হয়েছে কখনো? আমার স্বভাবে দোষের ভাগটা আনলিমিটেড!
বাংলাদেশে এখন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা অনেক। প্রায় ১৩-১৪টি। স্কয়ার গ্রুপের মাছরাঙা, বেক্সিমকো গ্রুপের ইন্ডিপেনডেন্ট, সময়, মোহনা-সহ আরো কয়েকটি চ্যানেল অচিরেই অনএয়ারে আসছে। তখন সবমিলিয়ে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২/২৩টিতে। বাংলাদেশের মতো ছোট্ট দেশে সংখ্যা হিসেবে এটা অনেক। যদিও টিভি দর্শক সংখ্যা কম নয়। ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে অনুযায়ী আমাদের দেশে টিভি দর্শকদের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি
ক্রিকেটের সাথে বাংলাদেশীদের আবেগ জড়িত। আর এই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম অবশ্যই সাকিব আল হাসান। বলতে হয় আসলে সাকিবই আমাদের ক্রিকেটের ব্রান্ড এম্বাসেডর। কারণ দেড় বছর ধরে ওয়ার্ল্ড অলরাউন্ডার রাঙ্কিং এ ১ নম্বর পজিশন দখল করে রাখা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের একদিনের খারাপ পারফরমেন্সেই আমরা ভুলে যাই এই সাকিব আল হাসান আমাদের কি দিয়েছে। ভুলে যাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই সাকিব
[যারা 'মেইনস্ট্রিম ফটোগ্রাফি'র গুনমুগ্ধ দর্শক এবং এডিটেড ফটোগ্রাফির সামনে দাঁড়িয়ে বিব্রত বোধ করেন, তারা দয়া করে এই লেখাটা এড়িয়ে যাবেন। তারপরও কেউ ভুল করে ঢুকে যদি এই চিন্তায় ব্যস্ত হন যে 'ফটোশপ এসে কাটাকুটি করে ফটোগ্রাফিটাকে নষ্ট করে দিলো', তবে তাদের জন্য আমার এক গামলা ভর্তি করুণা পড়ে রইলো। ঐ গামলা থেকে করুণা তোলার লোটা নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করবেন।]
বড্ড খারাপ একটা দিন
ভূমিকম্পের পরে প্রায় ত্রিশ ঘন্টা পার হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটা হয়েছে গতকাল ভর দুপুরে। একটা ব্যাংকের আইটি তে কাজ করি। লাঞ্চ থেকে অফিসে ফিরে এসে ডেস্কে বসে আছি। আমার ম্যানেজার গেছে ছুটিতে, নিজের বাড়ি আয়ারল্যান্ডে। নিজের ক্যালেন্ডারে যে কয়টা মিটিং, কনফারেন্স কল ছিল, সকালেই সব চুকে গেছে। কাজেই কত তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে বাংলাদেশের খেলা ধরা যায় তাই চিন্তা করছিলাম।
শুরুতে একটা কৌতুক –
ক আর খ দুইজন সৈনিকের হঠাৎ পরকালে দেখা। প্রাথমিক কুশলাদি বিনিময়ের পরে খ জিজ্ঞেস করে
-তা তুই মরলি কি করে?
--আর বলিসনা মাথায় গুলি লেগেছিলো।
- যাক বাবা, চোখটাতো বেঁচে গেছে।
বেশ অনেকটা সময় ধরেই
আজ বাংলাদেশ জিতেছে। টাইগাররা আজ প্রমাণ করে দিল যে ইচ্ছার জোরে যেকোন কিছুই করা সম্ভব। আজ সারাদেশ আর দেশের বাইরে বাংলাদেশীরা আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। ধন্যবাদ টাইগাররা, আমাদের আরেকটি আনন্দের, গর্বের উপলক্ষ এনে দেওয়ার জন্য। আমাদের এই পোড়া দেশটাকে মাঝে মাঝে তোমরাই পারো খুশির জোয়ারে ভাসাতে। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাদের।