ধরো, আমার সাথে তোমার আজই শেষ দেখা?
- তাহলে জোছনার জল ভেঙ্গে বৃষ্টি নামবেনা পৃথিবীর কোনো বরষায়, মাটির শরীরে থাকবেনা আবাদের মাঠ অথবা বিপনী বিতানে কোনো চোখ জুড়ানো পন্য।
যদি ফিরিয়ে দিতে বলি ভবঘুরে বিকেল?
- বইবেনা যুগল নদী মনি-মালা। বাঁশি বাজবেনা চন্দ্রস্নাত এই শহরে।
মনে করো, এখানেই থেমে গেল আমাদের হেঁটে চলা?
- কবিতার স্বচ্ছ ডানা আমি ভেঙ্গে দেব খানখান, তাতে বিরক্ত হবেন স্বয়ং ঈশ্বর।
ঘরকুনো হিসেবে বাঙালির সুনাম আছে। ইউরোপের লোকেদের টাকা হলে বা না হলেও তারা জাহাজে চড়ে বের হয়ে যেতো, সাগর মহাসাগর পার হয়ে যেতো। আর আমাদের টাকা হলে আমরা হেরেমখানা খুলে বসতাম।
কী যেন বলে অনুভূতিটাকে? নস্টালজিয়া। যতবারই বাঁশির সুরে শুনি ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে...’ ততবারই অব্যর্থ ভাবে আক্রান্ত হই নস্টালজিয়ায়। এইতো গতকালই চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে হঠাৎ চলে গেলাম বিটিভি তে। সেখানে হচ্ছে ‘মাটি ও মানুষ’। আমার ছোটো বোন, এই সেইদিন যার জন্ম হলো, সেও নাকি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত, এর সূচনা সংগীত শুনে! বিটিভিতেই থিতু হলাম তাই। এবারের পর্ব মধু চাষীদের নিয়ে।
সে অনেক কাল আগের কথা।
আরবের লোকেরা অবশ্য ততদিনে গুহা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, তারপর গঙ্গা বইতে বইতে পদ্মা হয়েছে, পদ্মার চরে কুঁড়েঘর বানিয়ে আমরা উপরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলাম “সচলায়তন”।
তো, অনেকের মনে আছে, অনেকে হয়ত ভুলেই গেছেন- সচলায়তনে একসময় অমিত আহমেদ নামে একজন সু-লেখক নিয়মিত লিখতেন। সু, মানে, ভাল লেখক তো তিনি অবশ্যই ছিলেন। কিন্তু আমার তাঁকে সু-লেখক ডাকার কারণ অন্য, সুদর্শন লেখক-কে সংক্ষিপ্ত করে আমি এই শব্দ হাজির করেছিলাম।
বইমেলায় অমিত আহমেদের বই বের হবে শোনার পরই আমরা কিছু পাপী বান্দা কল্পনা করেছিলাম, মেলায় গিয়ে স্টলে অমিত একটু দাঁড়ালেই হলো, ব্যস, আর পায় কে, বই সব হু হু করে সুন্দরী ললনাদের বগলদাবা হয়ে যাবে! এবং সেই আনন্দে হয়তো ফরিদ রেজা সাহেব তখন সত্যজিতের নকল করে নতুন বই বের করে ফেলবেন, “বগলবন্দী বই”।
যাই হোক এই লেখার আসল উদ্দেশ্যে আসি। এখানে আপনাদের একটা অসম্ভব সহজ বুদ্ধি শিখাবো। কিভাবে সহজে আপনার বন্ধুকে বোকা বানাতে পারেন এই দিনে
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সচলায়তন মূলধারার একটি সংবাদপত্রের সাবসিডিয়ারী গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সচলায়তনের জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই সংবাদপত্রটি বরাবরই সচলায়তনকে প্রশংসার চোখে দেখেছে। এবিষয়ে দুপক্ষের দীর্ঘ আলোচনা শেষে পহেলা এপ্রিল থেকে সচলায়তন উক্ত সংবাদপত্রের ব্যানারে পরিচালিত হতে থাকবে। যথাসময়ে সংবাদপত্রটির নাম আপনাদের জানানো হবে।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে ডেভিড ব্রুকসের একটি প্রবন্ধ পড়ে edge.org এর সাথে পরিচিত হলাম। তারপর গত কয়দিন ধরে রাত-বিরাত ওটাই পড়ছি।
‘দৈনিক আনন্দবাজার’ নামে পশ্চিমবঙ্গে একটি 'বনেদী' খবরের কাগজ আছে এবং তা বাংলাতেই ছাপা হয় এটা জানতাম। তবে আমি ভারতে গিয়েছি মাত্র একবার, পশ্চিমবঙ্গেও ছিলাম মাত্র দুই দিন। সেটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ায় স্বাভাবিক ট্যুরিস্টসুলভ উত্তেজনায় (অথবা আমার নিজের স্মৃতিভ্রষ্টতায়) এই বনেদী কাগজটি হাতে তুলে নেয়ার 'সৌভাগ্য' অর্জন করতে পারিনি। এমনকি পত্রিকাটির কারেন্ট অনলাইন ভার্সনও ইউনিকোড-সমর্থিত না হওয়ায় অনেক
খুবই খারাপ এক স্বভাব হয়েছে রইস উদ্দিনের, কিভাবে-কিভাবে যে এই স্বভাব গেথে গিয়েছে সে নিজেও জানে না। তবে নিজের বদ স্বভাব নিয়ে নিজের ভেতরই এক ধরনের আত্ন তৃপ্তিমূলক অপরাধ বোধ আছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও দুবেলা খাবার যোগারের চিন্তায় রইস রাতে ঘুমাতে পারত না। ছেলে-মেয়েগুলোর জন্যে একমাত্র ভবিষ্যত বলতে ছিল ভাল একজন মানুষের বাসায় বা ক্ষেতে কাজের ব্যবস্থা।
আমেরিকায় যাব, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে। একথা কাউকে বলতে গেলেই মুশকিলে পড়ে যাই। সবার প্রশ্ন একটাই - মানুষ পড়তে যায় লন্ডন আমেরিকায় তা বাবা তুমি কেন মেক্সিকো যাচ্ছ? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া মুশকিল। দ্বারস্থ হতে হয় প্রথমে টেক্সাসের। টেক্সাসের পাশেই যে নিউ মেক্সিকো আর সেটা যে আমেরিকাতেই এটা কষ্ট করে বোঝাতে পারলেও চোখ সরু করে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকানোটা অগ্রাহ্য করতে পারিনা। কেউ কেউ টেক্সাসটা কোন দিকে জানতে চান, তাকে তখন নিউইয়র্ক থেকে টেনে নিচে আনা লাগে। সৌভাগ্যের বিষয়