Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

মালটোভা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ৭:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিপুল বাড়ি ফিরে হাত না লাগিয়ে লাথি দিয়ে পাক মারে স্কুলের জুতোজোড়া। ওর ইচ্ছা হয় জুতো ছুটে চলে যাক যেদিকে খুশি, কিন্তু ঠকাস করে গিয়ে দরজায় বাড়ি খেতেই ভয় পায় একটু। একা একা রাগ দেখিয়ে জুতো ছোঁড়া সহজ, কিন্তু সেটা বাড়ির মূল দরজায় জুতোর র‍্যাকের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে ডাইনিং রুমে ঢুকে পড়লে সমস্যা! মা দেখলেই ক্ষেপে যাবে, ধমকা ধমকি শুরু হবে আবার। তাছাড়া এখন বাজে বিকাল সাড়ে চারটা, বাবা নিশ্চয়ই অফিস থেকে বাড়ি চলে এসেছে, বিশ্রাম নিচ্ছে ডাইনিং রুম লাগোয়া বসবার ঘরে, টিভি ছাড়া আছে নিশ্চয়ই আর খবরের কাগজটাও থাকার কথা তার সামনে।


দয়া-কাঠামো-কর্তৃপক্ষ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দয়া* ও কাঠামো

দয়া-ক্লান্তি। কমপ্যাশন ফ্যাটিগ ইংরেজদের দেয়া নাম। আমরা এদিকটায় জানি, দয়া ধর্ম। প্রচারমাধ্যমে অতি-প্রচারিত দৃশ্যগুলো আমাদের কারো কারো মনে এখন আর দয়ার জন্ম দেয় না। কান্না, চিৎকার, লাশ হয়ে যাওয়া এইসব কোনো কিছুই। কান্নার প্রতি, চিৎকারের প্রতি, লাশের প্রতি (প্রায়) পর্নোগ্রাফিক আকর্ষণের স্তরটিও আমরা কিছুকাল হল পার হয়ে এসেছি। একদা অতিপ্রচারকে ঐ দয়া-ক্লান্তির উৎস বলে মনে হত। এখন মনে হয় কেবল অতিপ্রচারই নয়, খবরের পুনরাবৃত্ত কাঠামোগুলোরও রয়েছে দয়া কেড়ে নেয়ার বিশেষ ক্ষমতা। কাঠামো আমাদের দয়া-ক্লান্তি দেয়। ক্রসফায়ারের গল্পগুলো মনে করবেন এইখানে।


স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ প্রথম প্রাথমিকতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ৮:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা


একটি রেসিপি প্রস্তুতপ্রণালীঃ স্পাইসি এন্ড সাওয়ার গার্লিক শ্রিম্প

টিউলিপ এর ছবি
লিখেছেন টিউলিপ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ১০:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বাইরে পড়তে আসার সময় বাবা মার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিলো তাদের মেয়ে খাবে কী? কারণ মেয়ে রান্নাঘরে ঢোকে নি জীবনেও। ছোটবেলায় মা ঢুকতে দিতো না, সেটাই অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো। ভিসা হয়ে যাওয়ার পরে একটু আধটু শেখানোর চেষ্টা চললেও ব্যস্ততার কারণে তাই রান্না বিষয়ে প্রায় শুন্য জ্ঞান নিয়েই চলে আসলাম। ঝুলিতে আছে খালি ভাইয়ার কাছে দেখা একটু বেসিক, আর তাঁর উপদেশ “রান্না হলো কেমিস্ট্রি, যা করছো সেটা কেন করছো চিন্তা করে দেখবে।”


অশান্ত পাহাড়

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৩:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করছিলাম। কারো বিয়ের ছবি, গ্র্যাজুয়েশনের ছবি, জন্মদিনের শুভেচ্ছা ইত্যাদি দেখছিলাম, টুকটাক মন্তব্য করছিলাম। এই ফেসবুক জায়গাটা আমার খুবই আজব লাগে। একটা নিউজ ফিডে হয়ত দেখছি, কেউ লিখেছে "অন ক্লাউড নাইন"। আর তার ঠিক নিচেই রক্তাক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখন ভাল থাকার উপায় হল, সুখবরগুলি দেখা, এবং দুঃসংবাদগুলি এড়িয়ে যাওয়া। যে কোন খারাপ ঘটনাতেই আমার খুব প্রতিক্রিয়া হয়, আমি সাধারণত ফে


হাওয়াই মিঠাই ১৭: নেপালি পরিবার

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বুধ, ২০/০৪/২০১১ - ৭:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডারবানে পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই সোজা আমার ডিপার্টমেন্টে চলে গেলাম। সব সময়ের মত ওখানেও আমি লেইট, ক্লাশ শুরু হয়ে গেছে এক সপ্তাহ আগেই। আমার ভিসা অফিসার কুম্ভকর্ণের মত দ্রুতগতিসম্পন্ন হওয়ায় আমার প্লেনে চাপতেও দেরি হয়ে গেলো।
ইউনি-র কোন একটা হল-এ থাকবো আমি। জানা আছে আগেই, কিন্তু তার আগে ডিপার্টমেন্টে গিয়ে কাগজ পত্রের ফর্মালিটি সারতে হবে।
অফিসের করণিক মহিলা হাসিমুখে আমাকে একটা ফরম দিলো, সেই ফরম পূরণ করতে গিয়েই লাগলো প্রথম গোলযোগ। নাম-ধাম ঠিকানা পরিচয়ের পরে একটা ঘর আছে সেখানে, এথনিসিটি। পৃথিবীর আর কোন দেশে এই অদ্ভুতুড়ে তথ্য জানতে চায় কি না জানি না, কিন্তু ওদের ওখানে এটাই স্বাভাবিক।
অপশান মাত্র চারটা। সাদা, কালো, কালারড এবং ইন্ডিয়ান।


ডেল চিহুলি’র কাচকলা

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বুধ, ২০/০৪/২০১১ - ১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপ্রিলের মাঝামাঝি হয়ে গেল অথচ এই হতচ্ছাড়া জায়গায় এখনও স্প্রিং এল না, একটু যে বাগানে গিয়ে ফুলটুল দেখব তার উপায় নেই। এদিকে কাজের চাপ যতই বাড়ে ততই মাঝেমধ্যে একটুআধটু ছিটকে অন্যদিকে যেতে ইচ্ছা করে। তাই যখন খবর পেলাম যে ডেল চিহুলি’র কারুশিল্প প্রদর্শনী আমাদের বাসার কাছেই মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্ট-এ আসছে, এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে সটান চলে গেলাম ক্যামেরা হাতে। কিছু ছবি আপনাদের জন্য সাজিয়ে দিলাম।


আমার কোন দেশ নাই

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২০/০৪/২০১১ - ১২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে রাগী বালকের মত ফুঁসছে দারুণ দুপুর।

কিছু বায়না করে না পাওয়া বালকের রাগ সামাল দিতে মায়ের হাসিমুখের উপস্হিতি যেমন বালকের রাগ মুছে নেয়, সেভাবে ঠান্ডা বিকেল এসে দাঁড়ায় সময় গড়িয়ে, রোদের রাগ মুছে নেয়।


শখের অপমৃত্যু

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৪/২০১১ - ৮:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিটি মানুষেরই জীবনে কখনো কখনো শখ থাকে। শখ বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোটবেলার শখ বড় হয়ে আর থাকে না কিংবা থাকলেও সেটার আবেদন আর আগের মত থাকে না। একেই কি শখের অপমৃত্যু বলে? তাহলে আমারো এরকম অন্তত দুটি শখের অপমৃত্যু হয়েছে বলা যায়।


অল্প-স্বল্প ছেলেবেলার গল্পঃ প্রসংগ ভর্তিযুদ্ধ, ১৯৯৪

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৪/২০১১ - ৮:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার স্ম্‌তিশক্তি ভয়াবহ রকমের খারাপ। গতকালকের ম্যাচে সাকিব কাকে কাকে বোল্ড করেছে কিংবা গত পরশুর খেলায় বার্সা শিবির ক'বার রিয়েলের জাল ছিন্নভিন্ন করেছে---এইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও আমি মনে রাখতে পারি না। সেজন্যেই বোধোয় বন্ধুদের স্ম্‌তিশক্তি দেখে আমার বরাবরই দারুণ হিংসে হয়। এমনো বন্ধু আছে, যাদের কিনা ক্লাস ওয়ানের ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি পর্যন্ত মনে আছে। আমি দেখি আর অবাক হই। এতোটুকুন মগজের মধ্যে এতো এতো