সকাল থেকেই কিচিরমিচির কিচিরমিচিরে কান ঝালাপালা। পা টিপে টিপে লিভিং রুমে গিয়েই দেখলাম পুরোদস্তুর সার্কাস চলছে। একটা পাখি আসে, এসে প্রথমে রেলিংএ বসে, ইতিউতি চায়, ঝুপ করে ঝোলানো বার্ড ফিডারে গিয়ে ঠোঁটে বিচি তুলে নেয় একটা। তারপর উড়ে গিয়ে মাচায় বসে খুব দ্রুত ঠুকঠুক করে বিচিটা ভেঙে খেয়েই উড়ে পালায়। আবার একটু পরে এসে একই কান্ড করে। মাঝে মাঝে বার্ড ফিডারের মাঝে রাখা বাটির পানিতে একটু ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়।
কী আসে যায় এই যদি হয় সেই সে শেষের রাত?
এই যদি হয় শেষ দেখা এই 'তিনটে বেজে সাত'?
কী আসে যায় এই যদি হয় শেষ কটি লাইন লেখা?
কী আসে যায় আর কখনো না-ই যদি হয় দেখা?
কী আসে যায় অচিন পথে একলা গেলে হেঁটে?
কী আসে যায় কেউ যদি দেয় প্রাণের ও ফুল ছেঁটে?
কী আসে যায় না-ই যদি আর সকাল দেখা জোটে?
কী আসে যায় শব্দ যদি না আসে আর ঠোঁটে?
কী আসে যায় দুই খানি হাত বিশ্রামে যায় যদি?
১৮৫৬ সালের অগাস্ট মাসের রৌদ্রকরোজ্জ্বল এক প্রভাত । উত্তর-পশ্চিম জার্মানির নিয়ান্ডারথাল উপত্যকার চুনা-পাথরের খনিতে সেদিনের কর্মব্যস্ততা মাত্র শুরু হয়েছে । হঠাৎই এক শ্রমিকের শাবল শক্ত কিছুতে বাড়ি খেয়ে ঠং করে আওয়াজ করে উঠল । শ্রমিকটি আগ্রহী হয়ে আরেকটু খুড়েই দেখতে পেলো কিছু হাড়-গোড় । হয়তো পাহাড়ী ভালুকের হাড় এই ভেবে সে সেগুলো পাশে সরিয়ে রাখলো পরে দেখার জন্যে । ওই দিনই খনি শ্রমিকটি হাড়গুলো দেখাতে নিয়ে
১
নিজের সম্পর্কে কোন কিছুই স্থির করে বলতে পারি না। কোন ধরনের মুভি ভালো লাগে থেকে শুরু করে কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চাই, আমি স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারি না। জীবনের লক্ষ্য রচনায় বরাবর লিখে এসেছি, আমি ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গিয়ে জনসেবা করব। লিখেছি কারণ, আমার কাছে যে নোট ছিলো, তাতে এমনটাই লিখা ছিলো।
মুনিয়ার ডিভোর্সের খবরটা শুনে আমি বেশ একটা ধাক্কা খাই। প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা ঠাট্টা। ঠাট্টা বটে, নিয়তির নির্মম ঠাট্টা! মুনিয়ার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হতো বাড়ির গেটের কাছে। বিকেলে আমি বাসা থেকে বেরুতাম অফিসের উদ্দেশ্যে আর মুনিয়া তখন অফিস থেকে ফিরতো বাসায়। টুকটাক কথা হতো। প্রতিবেশীসুলভ কুশল বিনিময়। যদিও আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, কিন্তু আমাদের প্রথম পরিচয় হয় এপার্টমেন্টের লিফটে। মুনিয়া তার স্বামী-সন্তান-পরিবার নিয়ে থাকতো আমাদের ওপরের তলায়। হাসিখুশি মেয়েটির প্রাণোচ্ছ্বলতা আমাকে ছুঁয়ে যায়। আমাদের আলাপ-পরিচয়টা টুকটাক কথাবার্তাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। একই এপার্টমেন্টে থেকেও কেউ কারো বাসায় যাবার সময় আমাদের হয় না। ইট-কাঠ-কংক্রিটের এই শহরে আমরা ক্রমশ নিরেট নিরস মানুষে পরিণত হচ্ছি। আমরা নিজের মাঝে নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখি। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক মেলামেশার ঐতিহ্য!
একটি চিনামাটির ছোট প্লেটে যদি খুব ছোট এক টুকরো কাগজে আগুন জ্বালিয়ে সেটা একটা কাঁচের গ্লাস উপুড় করে ঢেকে দেয়া হয় তাহলে দেখতে দেখতে সেই কাঁচের গ্লাসটি ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। এখন ঠিক তার পাশেই যদি আরেকটি চিনামাটির প্লেট একটি কাঁচের গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় ভেতরে কোনো জ্বলন্ত কাগজ ছাড়াই, আর আগের গ্লাসের ধোঁয়া দৈব উপায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় নতুন গ্লাসটির মধ্যে, তাহলে দর্শকের অবাক না হয়ে উপায় থাকেনা। ব্যাপারটি অদ্ভুত
[justify]মেঘলা আকাশ, সাগর জল
মেঘলা দিনে মেঘের ঢল।
মেঘলা জমিন, বাঁশের ঝাড়
মেঘে ভাসছে নদীর পাড়।
মেঘলা দুপুর, ছায়ার রঙ
মেঘবরণে ধরছে সঙ।
মেঘলা পাহাড়, ঝরণা ধারা
মেঘে নাচছে বাঁধনহারা।
[justify]আল জাজিরাতে সুবীর ভৌমিক তাঁর ‘Book, film greeted with fury among Bengalis’ (২৯ এপ্রিল ২০১১) লেখায় একাত্তরের ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত করেছেন শর্মিলা বসু ও মেহেরজান সিনেমার পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনকে। সুবীর ভৌমিক একটা বাক্যে একাত্তরের যুদ্ধকে সিভিল ওয়ার বলার চেষ্টা করলেও লেখাটা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে
[justify]
"স্মৃতির শহর" ই-বুক আকারে প্রকাশিত হয়েছে। বইটা এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিলাম। আমার এই অ্যাকাউন্টের। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় তবে প্রবেশ এইখানে অনেকদিন বাদে। লিখছিও আজ। অনভ্যাসের কারণে বানান ভুল হতে পারে; দুঃখিত সেজন্যে। আর এ লেখা একবারেই সাদামাটা। অসাধারণ কিছু লেখার ক্ষমতা আমার নাই।