'দুইটা টাকা দেন গো স্যার', হঠাৎ তন্দ্রাটা চটে যায় মামুনের। জ্যামে প্রতিদিনই আটকে থেকে বাসে বসে বসে ক্লান্তিতে তন্দ্রা মতো এসে যায়। আজ যেন সেটা একটু বেশিই।
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার, লেবুগুলা নিয়া যান, মিষ্টি লেবু'
“ডাল ভাত তরকারি ফল-মূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে -
খুঁজে পেতে আনি খেতে - নয় বড়ো সিধে সে!”
দুঃস্বপ্নের চোখে চোখ রেখে শুধোই, ভালবাসা কি ভুল ছিল ?
হা হা করে হেসে উঠে বলে, ছিল, ছিল । ভুল অঙ্কই করিস কেবল ! বুঝিস নাতো কিছু । মাথা নেড়ে স্বগতোক্তি করে, এ খুকিটা কিচ্ছু বোঝে না মা, এ যে ভারী ছেলে মানুষ ! হা হা হা ...।
এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
ফুলেল বহ্ণি
স্কুলে পড়তে বাসে করে বাড়ি ফেরার সময়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আমার প্রিয় খেলা ছিল শিমুল গাছ গোনা। যে কোন জার্নিতে আমার গল্প-গুজবে আগ্রহ বরাবর কম। হয় সাথে থাকা বই পড়ি নাহলে কয়েক দশকে স্ব-উদ্ভাবিত ‘জার্নি বাই বাস-ট্রেইন গেইম’ আছে আমার বেশ কিছু, আগ্রহী গেমারের সংখ্যা ভেদে সেগুলো মডিফাই হতে থাকে। সে সময়ে ২০-২৫টা পাতাহীন লাল-লাল শিমুলের মাথা গুনতাম প্রতিদিন। মাঝেমাঝেই দুই-চারটা এদিক সেদিক হতো হিসেবে। পরদিন আবার গুনতাম। নিজেকে তখন ‘বলাই’ মনে হত।
কয়েক মাস আগে এক সদ্য পরিচিতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। যেচে পড়ে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করায় তার উপর যথেষ্ট বিরক্ত ছিলাম! "কী হে! কী অবস্থা! এখন তো একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে..." টাইপ কথা বলে কেটে পড়ার তাল করছি, আচমকা লোকটি একেবারে আমার হৃদয়ের দুর্বলতম কোনে ঘাই মেরে বসল!
[justify]
আমার দাদার নাম ছিল ওমর আলী বক্স। উনি সেই নাম পালটে নাম নেন আমির হোসেন। কোথাও কোনো ফর্ম পূরণ করতে গেলে আমি মনে মনে ওনাকে ধন্যবাদ দেই, উনি এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটা না নিলে এই মার্কিন দেশে আমার লাস্ট নেম হতো Box। সেটা হয়ত আমার সহকর্মী জাস্টিন হুকারের চেয়ে ভালো হতো, কিন্তু বিড়ম্বনা থেকেই যেত। এই ছোট্ট সিদ্ধান্তটা থেকে ওনার দূরদৃষ্টির পরিচয়টা বেশ পাওয়া যায়।
কালীদাস থেকে রবীনদ্রনাথ মৌসুমের প্রথম মেঘ এবং বৃস্টি নিয়ে অনেক যল্পনা কল্পনা করেছেন। সাহিত্যের প্রত্যেক শাখায় অনভুতির অবাধ বিচরন করেছেন, লিখেছেন কবিতা, গান, নাটক, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস। বাঙ্গালী মনে ক্ষেত্র প্রস্তুতই আছে। একটু শুধু বর্ষার ছোঁয়া, যাদু বলেই মন মেঘের সঙ্গী হয়ে উড়ে যায় অসীম দিগন্তে!!
যাঁরা জানেন না, তাঁদের অনেকেরই মনে চিন্তা খেলা করে, এই লোকগুলো নিজেরা লিনাক্স ব্যবহার করে ভাল কথা, কিন্তু আমাদের পিছে লাগছে ক্যান? এঁদের স্বার্থ কী? এদের কি মহাপুরুষ রোগে ধরছে? কাউরে ইমপ্রেস করতে চায়? নাকি কেউ কি এঁদের টাকা দেয়?: দেয় মনে হয়, অবশ্যই দেয় ….
[i]কবে যেন চলে গেছিস তুই, হিমঝরা শীতের শেষরাত্রি ভোর হয়ে গেছে। শুধু ফেলে রেখে গেছিস কিছু কমলা-গোলাপী নখরঞ্জনী, মরিচারঙের দাগলাগা ঘী-রঙের রুমাল, কোণাওঠা আয়না একটা আর আলতার একটা আধা-ফুরানো শিশি।