একেবারেই ব্যক্তিগত রচনা... হুদাই
বনানী বাসস্ট্যান্ড
দুপুর একটা চার
আপনি কি শুধু এস. এস. সি পাশ? ঘরে বসে কিংবা চাকুরী/ব্যবসা করে পেতে পারেন এইচ. এস. সি সার্টফিকেট। আজই যোগাযোগ করুন।
বছরে ২০ দিন। শুধুমাত্র শুক্রবার।
বছরে যে শুক্রবার ২০ দিন এই প্রথমবারের মতো জানলাম! ইন্টারেস্টিং! প্রথমে তো ভেবেছিলাম ঘরে বসেই চাকুরি ব্যবসা একটা কিছু দিয়ে দেবে। দ্বিতীয়বার, পড়ে ধরতে পারলাম, নাহ! আসলে পড়াশুনার কথা হচ্ছে।
এলোমেলো কিংবা মনোরম শব্দগুচ্ছে প্রকাশিত এমন এক মাধ্যম, যার ভেতরে লুকিয়ে থাকে অনেক অনুভূতির অনুরণন, অনেক আনন্দের কোলাহল কিংবা হতাশার চাপা দীর্ঘশ্বাস। কখনো এটি বয়ে আনে কারো শেষ বিদায়ের কান্নাভেজা খবর । ছোট্ট শব্দের এই মাধ্যমটির নাম চিঠি! যদিও আজকাল হাতে লেখা চিঠির চল প্রায়ই উঠে যেতে বসেছে তারপরও নিভুনিভু করেও প্রদীপের ক্ষয়িষ্ণু সলতেটির মত জিঁইয়ে আছে চিঠি নামের আবেগময় এ মাধ্যমটি।
বাবার অফিস থেকে সন্ধ্যে নাগাদ দুজন লোক এসে কি বলতেই মা যেন কেমনধারা হয়ে কাছের চেয়ারটায় ধপ করে বসে পড়লেন। এই ছবিটায় না থাকলেও বাবা সম্পর্কিত এটাই আমার প্রথম স্মৃতি। পরের স্লটের দৃশ্যটায় দেখি ঐ লোক দুজনের সাথে মা, ভাই আর আমি শীতের রাতে একটা গাড়িতে করে ছুটে চলেছি কোথায়। কে একজন বলছে, আমরা বডি নিতে যাচ্ছি। আরেকজন ধমকে উঠে বলছে, আহ্, কিসব বল, এখনও কনফার্ম হয়নি তো। পাশের সিটে মা পাথরের মত মুখ
রাস্তার পাশে এক টং দোকানে সিগারেট কিনছিলাম। পাশে দাঁড়িয়ে আছে দু'জন খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ঘর্মাক্ত শরীর আর ক্লান্ত চেহারাই বলে দিচ্ছে প্রতিদিনের শ্রমিক তারা। কিন্তু তাদের কথোপকথন কানে আসতেই একটু সতর্ক হলাম, তুলনামূলক অল্প বয়স্ক লোকটি বলছে_
একটা গল্প লেখার অপচেষ্টা
গ্রামটা শান্ত আর শীতল। চারিদিকে ছায়া ঘেরা। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটা খাল। খালটার দুপাশে সার সার নৌকা বাধাঁ। খালের গা ঘেষে ওদের বাড়ি। সারাদিন ছুটোছুটি, হুটেপুটি করেই মেয়েটার দিন কেটে যায়।খালের ওপাশটায় রয়েছে মেয়েটার পুতুল খেলার ঘর। বন্ধুদের নিয়ে সারাদিন ওঘরটায় মুনার কত যে আয়োজন! দিনগুলো যেন স্বপ্নের মত কেটে যায়।
আমাদের ডকিন্সখুড়ো একটা মাথাপাগলা লোক, সেটা সবাই জানে। ট্যাঙস ট্যাঙস কথা বলে। ধম্মকম্মের নাম শুনলেই তোপ দিয়ে উড়িয়ে যেতে চায়। এইসব বেয়াক্কেলে কাজের জন্য তার কপালে যে অনন্তকাল রৌরব নরক রয়েছে সে তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেসব বাদ্দিয়েও খুড়ো কয়েকটা বড় বড় বদবুদ্ধি প্রচার করে গেছেন। সেলফিশ জিন, এক্সটেন্ডেড ফিনোটাইপ এসব বইতে সেসব ফলাও করে লিখেওছেন। সেদিন আমার এক দোস্ত কইল, ‘ভাইরে, খুড়োর ভিডিও দেখি, কড়া কড়া কথা মজাই লাগে, কিন্তু কোনো বই তো পড়ি নাই! Am I missing something?’ তাই ভাবলেম, ডকিন্সখুড়োর প্রধান বৈজ্ঞানিক দুষ্টুবুদ্ধিগুলোর একটা ছোট আলোচনা করা যাক, হাজার হোক খুড়ো তো আসলে একজন জীববিজ্ঞানী!
১/
সোমবারে ছুটি থাকলে খানিকটা বিপদে পড়তে হয়।
১
ভাড়া বাসার এক চিলতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেঝভাই হাত ঘুরিয়ে বোলিং কিভাবে করতে হয় দেখিয়ে দিলো। ওকে নকল করে ছুড়লাম জীবনের প্রথম বল, সিমেন্টের মেঝেতে পড়ে বলটা হয়ে গেলো লেগস্পিন। ক্রিকেট যেমনি খেলতাম, আমার করা বলগুলো আর সোজা হয়নি কখনো। জীবনে প্রথম কথা বলার কথা মনে নেই সংগত কারণেই, তবে বুঝতে শেখার পর থেকেই যদ্দুর মনে পড়ে কথাবার্তা বলি পেঁচিয়ে। মানে সিরিয়াস কথা বলার সময়ও একটু জোক করতে না পারলে পোষায় না, আশেপাশের মানুষ আমার কথার জালায় কতবার যে হাতের সুখ মিটাতে চেয়েছে কে জানে!
বিন্দু থেকেই সিন্ধু। অল্প অল্প করে পলি জমে জমে চর হয়ে যায়। ঠিক সেরকম বিবাহিত জীবনের ছোট ছোট খিটমিটগুলো, জমতে জমতে অসহ্য হয়ে যায়। বিয়ে নিয়ে কত গবেষণাই তো কত জনে করছেন, কিন্তু স্বামী একটুশখানি পড়তে বসলেই তাকে বিরক্ত করবার যে চিরন্তন মেয়েলি স্বভাব সে নিয়ে আজ অবধি তেমন গবেষণা চোখে পড়ে না।