যে বাড়িটিতে আমি বড় হয়েছি, সেই চারতলা বাড়ীটির তলায় একটি আর ছাদে আরেকটি পানির ট্যাঙ্ক ছিল। নিচতলার সিঁড়ির তলায় লোহার খাঁচায় বসে থাকতো এক ময়ূরকণ্ঠী নীল রং এর পেড্রলো পাম্প। সকাল বিকেল সিঁড়িঘরে মৃদু ঝাঁই ঝাঁই শব্দ তুলে সেই পাম্প নিচের ট্যাঙ্ক থেকে পানি ছাদের ট্যাঙ্কে তুলত। ভোরে ঘুম ভেঙে শুনতে পেতাম। আবার আসরের আজান পড়তে পড়তেই। বিকেলেও সিঁড়ি বেয়ে নিচে খেলতে নামার সময় বেখেয়ালে শুনতাম আমি সেই পাম্পটার আও
বিকেলটা ঘাপটি মেরে বসেছিল মেঘের আড়ালে। দুপুর গড়িয়ে দিনটা তাই সরাসরি সন্ধ্যার কবলে। আষাঢ় বিকেলে মেঘের অন্ধকারই সত্য। বৃষ্টির সাথে বুনো গন্ধ বাতাসে ভর করে ছুটোছুটি। এইসব দামাল চঞ্চলতা আজকাল কপালে বিরক্তির কুঞ্চিত রেখা বৃদ্ধি করে। লাঠি ঠুকে ছাতার ভারসাম্য রেখে বয়সী শরীর বর্ষা প্রণয়ে অক্ষম। শরীরটা নিরাপদ আশ্রয়ে স্বেচ্ছা-বন্দী।
বেল পাকলে কাকের কী? সক্কাল বেলাতেই শুনিয়া আসা কথাটা রইসের মাথায় ঘুরিয়া চলিছে সারাদিনমান। কাকের চিন্তায় তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়ের মূল যেন বিদীর্ণ হইয়া গেল। বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বলিতে বলিতে তাহার মুখমন্ডল গৌরবর্ণ হইয়া উঠিল। জগৎকে উষ্ণ, ঘুর্ণিমস্তিষ্ক, রক্তনয়ন মাতালের কুজ্বটিকাময় ঘূর্ণমান ব্রহ্ম বলিয়া বোধ হইল।
ইস্কুলে কোনো অমেরুদণ্ডী প্রাণীর রচনা লিখেছিলাম কি না মনে নেই; আমাদের সবগুলো রচনাই ছিল শোয়ানো মেরুদণ্ডের গরু-ছাগল-ভেড়া-মহিষের মাহাত্ম্য কারণ এই শ্রেণির মেরুদণ্ডগুলা চারটা খুঁটির উপর লম্বালম্বি শুয়ে থাকে বলে শিং-খুর-নাক-কান-লেজ নিয়ে কয়েকটা বাক্য লিখে সরাসরি চামড়া ছিলে চামড়ার রপ্তানিমূল্য কিংবা ছিলা চামড়ায় লবণ মাখানোর কৌশল কিংবা সেই চামড়ায় বানানো জুতা-মোজা-ব্যাগের বর্ণনা দিয়ে লম্বায়প্রস্থে রচনা বড়ো ক
শীতের সকালটায় হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে স্যারের বাসায় পড়তে গিয়ে দেখি বাগানের পুরনো বেদিটায় একা একা বসে আছেন। বললেন, 'আজ পড়াব না রে, মনটা ভালো নেই'। সবাই খুশি মনে ফিরতে শুরু করতেই ডেকে বললেন, 'আশালতা, তুমি থাকো, তোমার সাথে কথা আছে'। আমি অবাক হওয়ার চেয়ে চিন্তিত হলাম বেশি। কারন একা ফিরতে হবে। তার মানে রোজদিন দরজার আড়ালে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা উনার পাগল ছেলেটার সামনে দিয়ে একাই যেতে হবে, এইট
সেদিন জ্যাকসন হাইটসে মুক্তধারার নিচে দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। জায়গাটাকে নিউইয়র্কের বাংগালী হাব বলা হয়। হঠাৎ কানে বাংলা প্যারডি ভেসে এল। এক ছেলে গাড়ির হুডে বসে বন্ধুদের সুর করে বন্ধুদের প্যারডি শোনাচ্ছেঃ
শোন মমিন মুসলমানও
যত পার গাঞ্জা টানো
আখেরাতে সবই পাইবা
গাঞ্জা পাইবা না।।
১.
অন্তর্জালের সুবাদে আমি ইচ্ছেমত লেখার সুযোগ পেয়েছি। আগে পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের কাছে ধর্ণা দিতে হত। লিটিল ম্যাগাজিনে কায়দা করে যোগাযোগ করতে হত। মুশকিল হল, আমাদের দেশে তো দেশপ্রেম গেছে একাত্তরের পরে। তার বদলে পয়সাপ্রেম এসে পড়েছে। সে সময় থেকে নানা ধরনের কায়দাবাজির জন্ম হয়েছে।
আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের লিখন শৈলী দেখে আমি বরাবরই মুগ্ধ হই। সহজ কথাকে তারা এমন জবরদস্ত ভাষায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লেখেন, যে আমার মত নির্বোধের পক্ষে তার মর্মার্থ উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এদিকে আমার জ্ঞানত্ষ্ণা প্রবল। কী লিখলো, তার অর্থ উদ্ধার করতে না পারলে আমি অস্বস্তিবোধ করি। বন্ধুমহলে যারা একটু জ্ঞানীগুণী আছেন, তাদেরকে তখন আমি জ্বালাতন করা শুরু করি। এই টার্মটা বুঝায়ে দে, ঐ কন্ডিশনটা বুঝায়ে দ
“I am America. I am the part you won't recognize. But get used to me. Black, confident, cocky; my name, not yours; my religion, not yours; my goals, my own; get used to me.” ~Muhammad Ali
'স্বদেশকে চেনে বলেই ওরা বিশ্বকে চিনতে পারে।' কারা? - এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি।
উত্তর: ফরাসিরা।