শুনশান চুপচাপ নেই কোনো শব্দ
কতদিন হয়ে গেল আকতার স্তব্ধ
শব্দের ভাঁজে ভাঁজে বারুদের হুঙ্কার
বহুদিন হয়ে গেল, শুনিনা তো, আকতার
প্রিয় মেহেদী,
'ওয়াকিং ডিসট্যান্স' কথাটার মাজেজা দেশের বাইরে যারা গিয়েছেন তাঁরা সম্ভবত হাড়ে হাড়েই বোঝেন । একবার কলকাতায় গিয়ে হাতে কলমে শিখেছিলাম আমিও । যে হোটেলে গেলাম প্রথমে, সেটায় খাবার বন্দোবস্ত ছিলনা । বলল, চিন্তা কি দিদি, এই তো সামনেই খাবার দোকান, ওয়াকিং ডিসট্যান্স । ওদের 'ওয়াকিং ডিসট্যান্স' এর সংজ্ঞাটি তখনও জানা ছিলনা বলে পট করে হোটেল নিয়ে নিলাম । এদিকে ক্ষিধের মুখে বের হয়ে দেখি ত্রিসীমানায় ক
[justify]অদ্রোহ আনাড়ি হাতে ভুস করে আমার মুখের উপর সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বললো, "স্যার যা করেন, মঙ্গলের জন্যেই করেন।"
[justify]
কাক ডাকা ভোর। আলো পুরোপুরি ফোঁটে নাই এখনও। একটা দু'টা রিকসা চলছে রাস্তায়। মাঝে মধ্যে হুস্ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। টুকরি নিয়ে সাজু দ্রুত পায়ে হেটে চলেছে সাজু। গন্তব্য কারওয়ান বাজার। কঠিন একটি দিনের শুরু, প্রতিদিনের মতো ক্রেতাদের বাজার সদাই টুকরিতে বহন করেই তার দিনটা যাবে। কিন্তু তার মতো টুকরিওয়ালা মেলা। ক্রেতা পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কাজ শেষে বঞ্চনাতো আছেই। সাজুর মনে পড়ে যায় ওই দিনের কথা। ভারি টু
গল্পঃ
বেশ সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় রাতুলের। হাত বাড়িয়ে বালিশের পাশে রাখা প্লাস্টিক ডায়ালের ডিজিটাল ঘড়িটাতে সময় দেখে নেয়, সাতটা পাঁচ। কাল ভেঙ্গেছিলো ছয়টা পঞ্চাশে, তার আগের দিন ঠিক সাতটায়। এত সকালে রোজ ঘুম থেকে উঠতে হলে অ্যালার্ম ঘড়ি থাকা জরুরী, ফার্মগেটের ওভারব্রীজের নীচের জটলা থেকে সত্তর টাকা দিয়ে এই ঘড়িটা কেনার সময় এতেও অ্যালার্মের সুবিধা থাকার কথা ছিল। তবে সত্তর টাকার ঘড়ি কেনার সময় এত কিছু কেউ দেখে কিনে না, আর রাতুলের আসলে ঠিক কিছু যায় আসে না অ্যালার্ম থাকা না থাকায়। শুধু ঘড়িটার চারপাশে আরো কিছু অকেজো বাটনের সাথে অ্যালার্ম বাটনটা শুধু মনে করিয়ে দেয়, কিছু একটা থাকার কথা ছিলো, যা এখন নেই।
তাঁর চলে যাওয়া জুড়ে থেকে যায় থোকা থোকা বিষন্নতা, ট্রিপল ফাইভের ভুলে যাওয়া ধোঁয়ার ফিরে আসা আর দীর্ঘতম ঘুমের শেষে জেগে উঠা ব্যক্তিগত স্মৃতিময়তা।
ঠিক করেছি সচল হবো। খুব ভেবে চিন্তে নেয়া সিদ্ধান্ত যে তা না। কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড় হচ্ছিলো। খুব ঝগড়া শেষে, মেয়েটা যেমন শেষমেশ কাদতে শুরু করে, তেমন বৃষ্টি। ঝড়ের সময় জানালা খুলে দিয়েছিলাম। আগের চার ভাগে’র কপাট কপাট ওয়ালা কাচে’র জানালা, এখনকার থাই গ্লাস এর জানালা না যে ঝা করে খুলে ফেলা যায় একপাশ। তারই একটা খুলে ছিলাম। জানালা’র গুলো ঠেকিয়ে রাখার জন্য হুক এর মতো ছিলো একসম
সুয়োরানীর হয়েছিল হাড় মড়মড়ে রোগ, আমার হল উদ্ভুট্টি কান কট কটে ব্যারাম । থেকে থেকে কানের ভেতর কটকট কটকট । কী যে জ্বালা । দেখেবেছে এক ডাক্তারের কাছে হাজির হলাম । দেখি বিরাট সাইন বোর্ডে বড় করে নাম লেখা, বুলন্দ্ চৌধুরী । বাহ, বেড়ে নাম । শুনতেই বেশ তেজিয়াল বোধ হয় । ভেতরে গিয়ে দেখি বেঁটে খাটো শুকনো চেহারার শ্যমলা রঙা অমায়িক বৃদ্ধ । মনে হল, যাহ্, নামকরণের সার্থকতা তো ঘটল না !