মার্কিন মুল্লুকে-৫: মার্কেটপ্লেস

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৬/২০১১ - ৮:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বাবা খুব ভালো বাজার করতে পারতেন। তাঁর প্রিয় বাজার ছিল কারওয়ান বাজার। সময়ে–অসময়ে প্রায়ই থলি হাতে সেখানে যেতেন তিনি। বাজারে যাওয়াটা প্রায় ভ্যাকেশনে যাওয়ার মতোই ছিল তাঁর কাছে। আমি ওই দিকে পা মাড়াতাম না কস্মিনকালেও। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে আমি আমার জীবনের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম – অর্থাৎ পুরোদস্তুর বেকার। আমার জীবন খুব সুখেই কাটছিল, সকালে আড্ডা মারতে বেরোতাম, আর দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরতাম। সারাদিন আড্ডা মারাই এতো পরিশ্রমের কাজ, অফিস করাটা যে কতখানি দুরূহ সেটা ভেবে মাঝে মাঝে গা শিউরে উঠতো। চিরকাল ব্যাপিয়া সুখ বলে কিছু নেই – এক সকালে আম্মা ডিক্রি জারি করলেন যে, কাজকর্ম না জোটালে বাসার বাজার করতে হবে। জলে বাস করলে কুমিরের শাসন অস্বীকার করা যায় না, তাই বিরস বদনে আব্বার সাথে আমিও একদিন কারওয়ান বাজারে হাজির হলাম।

বাজার দর নিয়ে আমার ধারণা অনেকটা দৈনিক পত্রিকাগুলোর আইটি বিশেষজ্ঞদের মত, আমার কাছে জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি কমই মনে হচ্ছিল। কিন্তু আব্বা দেখলাম প্রতিটা জিনিসকেই উচ্চমূল্য ঘোষণা করলেন। সব বিক্রেতাই “ডাকাইত” উপাধি পেল। ওদের চাওয়া দামের বিপরীতে উনি এমন সব দাম বলতে লাগলেন যে আমার মনে হলো যে অক্ষত অবস্থায় আজকে পিতা-পুত্র কেউই ঘরে ফিরতে পারবো না। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো প্রায় প্রতিটি জিনিসই তিনি “ন্যায্যমূল্যে” কিনলেন। বাজার শেষে রিকশাতে উঠে আব্বা আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় উপদেশটা দিলেন।

মুলামুলি (দরাদরি) ছাড়া কোনো কিছু কিনবা না, কিনলেই ঠকবা...

আমি পিতার কাছ থেকে খুব বেশি উপদেশ পাই নি, সব মিলিয়ে সাত-আটটার বেশি হয়ত হবে না। অর্ধেক জীবন কাটিয়ে এই উপদেশটা সবচেয়ে উপরে রেখেছি, অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই। জীবনের সর্বক্ষেত্রেই “মুলামুলির” প্রয়োজন আছে। সবজি কিনতে গেলে দরাদরি চলে, কিডনি বেচতে গেলেও সেই দরাদরি। অফিসের বসের সাথে বেতন নিয়ে দরদাম, স্ত্রীর সাথে ঈদের শাড়ির বাজেট নিয়ে দর কষাকষি, প্রেমিকার সাথে ডেটিং এর কমে যাওয়া সময় নিয়ে মুলামুলি, পুত্র-কন্যার সাথে ঊর্ধ্বগামী হাতখরচ লাগাম দেওয়া নিয়ে দামা-দামি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়ে বিরোধীদল আর সরকারী দলের মারামারি, আসলেই এই পৃথিবীতে এক কথায় রাজি হওয়া মানেই ঠকা। বাজার ব্যবস্থার বাইরে আমাদের জীবন নয়, এই ব্যবস্থায় ফিক্সড প্রাইস একটা ফাঁদ বিশেষ।

মার্কিন দেশে নেমে বিমানবন্দরের কনভেয়ার বেল্ট থেকে মালগুলো নামানোর জন্য একটা ঠেলাগাড়ি (কার্ট) খুঁজতে রওনা দিলাম। বেশি খুঁজতে হলো না, সামনেই আছে থরেথরে সাজানো ঠেলাগাড়ি। উন্নত দেশ বলে কথা! কিন্তু কী ইয়ের ঠেলাগাড়ি এগুলো - এতো জোরে টানছি অথচ এক-পাও নড়ছে না! আমার চেহারাতে তখনও “হপায় আইছি” ভাব লেগে আছে - যেই বন্ধু আমাকে আনতে গিয়েছিলেন উনি দ্রুতই তার পকেট থেকে পয়সা স্লটে ভরে একটা ঠেলাগাড়ি বের করলেন। এবার কোনো টানাটানি নয়, ঠেলাগাড়িটা মাখনের মত মসৃণভাবেই বেরিয়ে এলো। কী আশ্চর্য দেশ! এগুলো তো বাংলাদেশও মাগনা দেয়। আর এক ঠেলাগাড়ি বের করতে ৭৫ সেন্ট!!! মুখ দিয়ে নিজের অজান্তেই বেরিয়ে গেল - “ডাকাইত”। ব্যাপারটা নিয়ে মুলামুলি করতাম হয়ত, কিন্তু ধারে কাছে কাউকে দেখলাম না। যন্ত্রের সাথে দরাদরি করি কীভাবে?

দীর্ঘ মার্কিন জীবনে আমার এই ধারণা জন্মেছে যে ইচ্ছে করেই ঐ ঠেলাগাড়িগুলো ফ্রি দেওয়া হয় না। আপনি এই দেশে পা দিয়েই যেন বুঝতে পারেন যে, এই মুল্লুকে কোনো কিছুই মাগনা নয়। পুরো দেশটাই একটা বাজার, আমাদের কারওয়ান বাজারের চেয়েও অনে--ক অনে--ক বড়, সুন্দর করে সাজানো, দোকানিরা ইংরেজিতে কথা বলে, মেয়েরা হাসি উপহার দেয়, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই কাওরান বাজারের “ডাকাইত” দোকানিদের মতই। পুরো দেশটাই একটা মুক্তবাজার! আর সবকিছুই ফিক্সড প্রাইস – অর্থাৎ আপনার ঠকার সব বন্দোবস্ত পাকা।

এই দেশে সবার হাতেই ক্রেডিট কার্ড থাকে, প্লেন থেকে নেমে আমিও একটা ক্রেডিট কার্ডের জন্য হন্যে হয়ে গেলাম। একদিন সেটা জুটেও গেল। রাবীন্দ্রিক ভাষায় বললে বলতে হয় যে - “ভাগ্যলক্ষীর কল্যাণে এক প্রত্যুষে ডাকবাক্স খুলিয়া দেখিলাম যে সিটিব্যাংক আমার নামে বাকির খাতা খুলিয়াছে”। তবে সেই বাকির খাতার ঋণের সীমা অতি সামান্য, প্রায় ক্ষুদ্র ঋণের কাছাকাছি। আমার আনন্দ প্রায় ছাদ স্পর্শ করল। লাফ দিয়ে আমি মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করলাম যদিও কারওয়ান বাজারে ঢুকতে আমার প্রায় চব্বিশ বছর লেগেছিল।

কিছু দিনের মধ্যেই টের পেলাম যে এই দেশেও মুলামুলি চলে - কিন্তু সেটার চরিত্র অন্য। এখানে সবকিছুই ফিক্সড প্রাইস, কিন্তু সেই নির্দিষ্ট মূল্যের কোনো মা-বাবা নেই। এক দোকানে কোক সস্তা তো অন্য দোকানে মাংস সস্তা। এক জায়গার আমের অগ্নিমূল্য তো অন্য খানে কাঁঠাল পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। কোনো দোকানে একটা কিনলে একটা মাগনা, আর কোনো দোকানে দুটো কিনলে একটা ফ্রি। ন্যায্যমূল্য পেতে হলে আপনাকে বাজার করতে হবে পঞ্চাশ জায়গায়। কলা কিনেই দৌড় দিয়ে যেতে হবে অন্য দোকানে পালং শাক কিনতে, পালং শাক কিনেই হয়ত খেজুর কিনতে বিশ মাইল পথ পাড়ি দিতে হবে। আর কেউ পকেট মারছে কি না এটা নিশ্চিত করতে হলে মাথার মধ্যে অথবা বুক পকেটে একটা ক্যালকুলেটর রাখতে হবে সর্বদাই। প্রযুক্তির এই পীঠস্থানে আমাকে কোনোদিনই সেকেণ্ড অর্ডার ডিফারেন্সিয়াল ইক্যুয়েশনের সমাধা করতে হয় নি, বরং ৩৭ ডলারের ১৫% ডিসকাউন্টের পরে ৮.২৫% সেলস ট্যাক্স দিলে দাম কত হবে সেটা বের করতে হয়েছে অনেকবার। আপনি ক্যালকুলাসে কাঁচা হলেও অসুবিধা নেই, কিন্তু ক্লাস এইটের পাটিগণিতে ৭০ এর কম পেলে মার্কিন ভিসার জন্য ভুলেও দাঁড়াবেন না।

নেটের কল্যাণে কোন দোকানে কোন জিনিসের দাম কম সেটা আগে ভাগেই জানা যায়। আবার অনেক দোকান “প্রাইস ম্যাচ” করে, অর্থাৎ কুদ্দুসের দোকান যেই দামে টিভি বেচবে, জুলেখা স্টোর্সও সেই দাম অথবা তারচেয়ে কম দামে একই টিভি বেচবে বলে পণ করেছে। হয়ত জুলেখা স্টোর্স টিভি কেনার জন্য ভালো লোনও দেয় যেটা কুদ্দুস দেয় না। জুলেখার দোকানে গিয়ে দেখলেন একই টিভি ১০০ ডলার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে । এই ক্ষেত্রে জুলেখা বেগমকে কুদ্দুসের কম দাম বলে দেখুন, সে তার টিভির দাম কমিয়ে সমান করে দেবে। কেননা জুলেখা “প্রাইস ম্যাচ” এর নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আপনি ভালো দামও পাবেন, আবার ভালো লোনও পাবেন – মানে আম আর ছালা দুটোই আপনি নিজেই রাখবেন। এত কিছু কীভাবে মনে রাখবেন? আমি অলস লোক তাই মুলামুলি সমস্যার সমাধান করেছি শর্টকাট উপায়ে। কোন কিছু কিনতে হলে সদ্য সেই জিনিস কিনেছে এমন বন্ধুর দ্বারস্থ হই, বাজার নিয়ে তার গবেষণাপত্র হাতিয়ে নিয়ে, সেটা দেখে চোখ বন্ধ করে জিনিসটা কিনে ফেলি। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি লতা হার্বালের তেল ছাড়াই মাথা ঠাণ্ডা থাকে। বন্ধুত্বেরও একটা বাজার মূল্য আছে।

তবে একধরনের ব্যবসায়ীদের সাথে এই দেশে কোনো মুলামুলি চলে না। তাঁরা হচ্ছেন ডাক্তার ও ডেন্টিস্ট। তাঁরা ব্যবসায়ের মূলমন্ত্র হিসেবে ভয়কে ব্যবহার করেন, আপনার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিয়ে আপনার মানিব্যাগ হাতিয়ে নেওয়া তাদের লক্ষ্য। বছর দুয়েক আগে একবার প্রবল মাথা ঘোরা নিয়ে অফিসে দুম করে পড়ে যাই। অ্যাম্বুলেন্স এসে অফিস থেকে তুলে নিয়ে গেল আমাকে। অফিস থেকে হাসপাতাল – দূরত্ব এক মাইলের কম। অ্যাম্বুলেন্সের বিল ৯০০ ডলার। ইনস্যুরেন্স দেবে ৭০০ ডলার, বাকিটা আমার। সেখানে পৌঁছানোর পর ডাক্তার সাহেব বললেন যে এটা স্ট্রোক হতে পারে, এই লোকের এখনি কিছু টেস্ট হওয়া দরকার। অতি দ্রুত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মধ্যে ঢোকানো হলো। একটু পরে ডাক্তার বিরস বদনে জানালেন যে, এটা স্ট্রোক নয়, মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো। অথচ আমি শুরু থেকেই তাই বলছিলাম। আড়াই ডলার দামের একটা ওষুধ কিনে বাসায় ফিরলাম। পরে হাসপাতালের বিল খুলে দেখলাম – জরুরি চিকিৎসার অনেক টেস্টই নিজের পয়সার করতে হবে। ইনস্যুরেন্স সবগুলোর পয়সা দেবে না। ওগুলো দেখে আরেক দফা মাথা ঘুরে উঠল। হাসপাতাল হচ্ছে ডাক্তারদের কর্পোরেট অফিস, এখানে একবার যদি হাজির হন, তবে ওনারা আপনাকে সর্বস্বান্ত করার সব ব্যবস্থা পাকা করে ছাড়বেন। আর শুধু হাসপাতাল নয়, এই মুল্লুকের সব ডাক্তার ও ডেন্টিস্টরাই চান আপনি সবচেয়ে দামি ওষুধটা খান আর আপনার দাঁতগুলো পালটে ফেলুন, ভালো হেলথ ইনস্যুরেন্স থাকলে হার্টের ভাল্ব বা কিডনিও বদলে নিতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যবীমা না থাকলে দুটো ব্যথার ওষুধ খেয়ে শুয়ে থাকলেই একটু ভালো বোধ করবেন। ওদের দোষ দেই কীভাবে? আমিও চাই আপনি আমার প্রতিষ্ঠানের তৈরি কম্পিউটারটাই ব্যবহার করুন, এই বিকিকিনির হাটবাজারে একই উদ্দেশ্য নিয়েই ওনারাও উপস্থিত।

ভিডিও গেমসের মত এই দেশে পদে পদে মুক্তবাজারের ফাঁদ। বেড়াতে যাবেন? সোমবারে এক ভাড়া, বুধবারে আরেক, বিকেলে যেই দামে প্লেনে ঠাঁই পাবেন হয়ত সকালে ওই দামে চাকার খোলসেও সিট মিলবে না। প্লেনের টিকেট নিলামে কিনতে পারেন, তেমনি ই-বের নিলামে চড়াতে পারেন বউয়ের সাধের শো-পিসগুলো। আন্তর্জালের কল্যাণে এই দেশের তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আছে এক অভিন্ন বাজার। আপনি সেই বাজারের যেমন ক্রেতা, তেমনি চাইলে হতে পারেন বিক্রেতাও। বেচার সময় উচ্চমূল্য চাইবেন আর জিনিস কিনবেন পানির দরে। কি পারবেন তো? সবাই কিন্তু পারে না সেটা। তাই সবার জন্য আমেরিকা নয়। এখানে কারও কারও আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় আর কেউ কেউ রাত জেগে দেউলিয়া আইন নিয়ে গবেষণা করে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা, যাদের বলে ম্যাঙ্গো পিপল, তারা কোনোমতে চালিয়ে নেয় আরকি। সৌভাগ্যজনকভাবে আমার বাবা এই ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়টাও বলে দিয়েছিলেন। বাজার নিয়ে তাঁর দ্বিতীয় এবং শেষ উপদেশটাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। উনি বলেছেন...

হ্যাভ দ্য অ্যাবিলিটি - বাট ডু নট বাই...

অর্থাৎ দোকানে যাবেন, সবকিছু দেখবেন-টেখবেন, তারপর কিছু না কিনেই বাসায় চলে আসবেন। ক্রেডিট কার্ডের নাম ভুলেও মুখে নেবেন না। চোখ-কান সহ বাদবাকি ইন্দ্রিয়গুলো বন্ধ রাখলে ভালো ফল পাবেন। যদিও মার্কিন দেশে এগুলো করার আগে আপনাকে মহানির্বাণের পথে অনেকখানি অগ্রসর হয়ে থাকতে হবে। একমাত্র জুনিয়ার মহাপুরুষ অথবা সিনিয়র লেভেলের কঞ্জুসরাই পারেন এটা করতে।

আপনি যা-ই হোন না কেন...ওয়েলকাম টু আমেরিকা!!! শ্যাম চাচা কিন্তু আপনার অন্যসব চাচাদের মতো দিলদরিয়া নয়, এটা মাথায় নিয়ে বিমানে উঠে বসুন, আর হ্যাঁ পকেটে কিছু পয়সা রেডি রাখবেন...নিদেনপক্ষে একটা ক্রেডিট কার্ড। বিমানবন্দরে ঠেলাগাড়িগুলো আজকাল বাকির খাতাও নেয় দেখেছি।


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

"অফিস থেকে হাসপাতাল – দূরত্ব এক মাইলের কম। অ্যাম্বুলেন্সের বিল ৯০০ ডলার।" অ্যাঁ

"একমাত্র জুনিয়ার মহাপুরুষ অথবা সিনিয়র লেভেলের কঞ্জুসরাই পারেন এটা করতে।" হো হো হো

তাসনীম এর ছবি

বন্ধু-বান্ধব অনেকেই নিয়ে যেতে চাইছিল হাসপাতালে, কিন্তু অফিসের নিয়ম হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে। সবাই মিলেই ডাকাতি করে মনে হয়...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কাজের থেকে সহায়তা দেয়নি? যেহেতু কাজের সময় হয়েছিলো কাজ থেকে কম্পেনশেসন পাবার কথা।

তাসনীম এর ছবি

আমি অবশ্য সহায়তা চাইনি। আম্রিকাতে আবার না-চাইলে কেউ কিছু দেয় না হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দ্রোহী এর ছবি

পঁচাত্তর সেন্ট, বলেন কি! শায়েস্তা খানের আমল ছিল নাকি? ভাল দাঁও মেরেছেন মশাই। আমার কাছ থেকে তিন টাকা রেখেছিল। মন খারাপ

তাসনীম এর ছবি

খরচটা এখন তিন থেকে পাঁচ ডলার, আগে কম ছিল মন খারাপ

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তাসনীম এর ছবি

আর আজকাল প্রতি স্যুটকেসের জন্য ২৫ ডলার চার্জ করে এয়ারলাইন্স।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অপছন্দনীয় এর ছবি

একমাত্র জুনিয়র মহাপুরুষ আর সিনিয়র লেভেলের কঞ্জুসরাই পারেন এটা করতে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

...আর আপনার দাঁতগুলো পালটে ফেলুন...

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

(বাংলাদেশে আমি যে ক্রেডিট কার্ডটা ব্যবহার করতাম সেটার সব তথ্য খুঁজে এনে ব্যাংকলক্ষ্মী আমাকে বলেছে যেহেতু ওই কার্ডে কখনো দেনা শোধ করতে ভুল করিনি এবং জরিমানা হয়নি, কাজেই তারা আমাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে না।)

তাসনীম এর ছবি

বাংলাদেশের ক্রেডিট রেকর্ড এখানে চেক করা যায় নাকি? সেক্ষেত্রে তো আপনার ক্রেডিট কার্ড পাওয়া উচিত।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অপছন্দনীয় এর ছবি

কী জানি, বাংলাদেশের ওটা ভিসা ইন্টারন্যাশনাল ছিলো। জিজ্ঞেস করলো কখনো কোন কার্ড ব্যবহার করেছি কিনা, করেছি বলতে নম্বর চাইলো, আর তারপরে কী সব দেখেটেখে বললো কখনো ক্রেডিট নিয়ে ঝামেলা হয়নি বলে নাকি এখন দেবেনা... মন খারাপ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সুপার্ব! হো হো হো

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো
যথারীতি চমত্কার লেখা! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ। তবে এই মন্তব্যটা কোথায় যেন দেখেছি চিন্তিত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হো হো হো

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ মজার লেখা। বরাবরের মতোই। কখনও দেখা হলে আপনাকে 'হস্তবুসি' করতে হবে। হাসি

তাসনীম এর ছবি

দেখা হওয়ার অপেক্ষায় আমিও আছি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া
ম্যাঁও রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

লোকজন খুবই খ্রাপ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

লোকজনের ঘাড়ে দুষ দেন কেন? একা আপনেই তো পিচ্চি মেয়েটারে কাঁদাইলেন!

tanjim এর ছবি

একটু আগে কে যেন অট্টহাসি দিচ্ছিল দেখলাম চিন্তিত

অপছন্দনীয় এর ছবি

ও কিচ্ছু না, বড় হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আরেকটি পিচ্চি খোকা...

তাসনীম এর ছবি

আমিও তো লোকজনের অন্তর্গত রে ভাই...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

সবকটা ভাইবেরাদরদের মাইনাস!!! রেগে টং

হুঁ হুঁ বাবা, এরপর থেকে 'ঘটোৎকচ, বৃক্কপ্রদাহ'-- এমন সব দাঁতভাঙা বুলি জুড়ে নিয়ে মন্তব্য করবো যে....

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ফাহিম হাসান এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি

উফফফফ, তাসনীম ভাই, উফফফফফ !! হাসতে হাসতে আমার পরিপাকতন্ত্রে গিট্টু লেগে গেল মনে হচ্ছে

কানাডায় অবস্থা একটু ভালো মনে হয়। তবে যাই হোক, বইয়ের দাম (বিশেষ করে টেক্সট বই) অনেক বেশি। বভিন্ন ওয়েবসাইটের সুলুক সন্ধান করি কিভাবে কম দামে কেনা যায়। আর ক্যামেরা, ল্যাপটপ কিনতে হলে একটু রিসার্চ না করলেই না, বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের ডিল। গ্রসারি করতেও তাই। আমি আবার দশমিকের হিসাব করতে কাঁচা। 99 cents আর 69 cents এর চক্করে মাঝে মঝে পড়ে দেখি ম্যালা খরচ হয়ে যায়!

তাসনীম এর ছবি

সেই জন্যই বলছিলাম, এই দেশে দরকার পাটিগণিত হাসি ধন্যবাদ ফাহিম

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

দারুণ বর্ণনাশৈলী। চলুক
ঐ দেশে যেয়ে আর যাই হোক অসুস্থ হওয়া যাবে না কিছুতেই!!!!

আর আপনার পিতার উপদেশদুটো বাস্তবিকার্থে আসলেই শিরধার্য।

তাসনীম এর ছবি

বীমা ছাড়া এই দেশে অসুস্থ হলে খবর আছে। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে পুরো একটা লেখা দিব। আর ওই দুটো উপদেশ অত্যন্ত প্র্যাক্টিকাল।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অদ্রোহ এর ছবি

এর চেয়ে তো আমাদের রঙ্গভরা বঙ্গবাজারই শ্রেয়তর মনে হচ্ছে দেঁতো হাসি

লেখা যথারীতি দুর্দান্ত...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তাসনীম এর ছবি

বঙ্গবাজার ইজ দ্য বেস্ট। ধন্যবাদ অদ্রোহ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বাধীন এর ছবি

যথারীতি মজারু হইছে গুরু গুরু

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আব্দুর রহমান এর ছবি

পুরা 'ডাকাইত' লেখা।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

guest_writer এর ছবি

আমার বন্ধু আজাদ দোকানে কোন কিছুর দাম বেশি দেখলেই বলে " বড় হইলে কিনব "
এখন থেকে দেখি সবসময়ই এটা জপ করতে হবে। হো হো হো
চমৎকার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ

নির্ঝরা শ্রাবণ

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ নির্ঝরা শ্রাবণ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মাহবুব রানা এর ছবি

প্রতিবার বাজার করতে যাওয়ার সময় ৩-৪ দোকান ঘুরতে হবে সেটা ধরে নিয়েই বাইরে যাই। আজকেও ৫ আইটেম কিনলাম ৩ দোকান থেকে। আমি গাড়ির তেলের হিসাবও ইনক্লুডেড রাখি মাঝে মাঝে দোকান টু দোকান দাম তুলনা করতে, বিশেষ করে কাঁচাবাজার করার সময়।
ঠেলাগাড়িতে কয়েন লাগে শুনে বেশ অবাক হয়েছি। মার্কিন দেশে যাওয়া হয়নি (আগ্রহ যা ও ছিলো আপনার কথা শুনে সেটাও সতি্য কমে যাচ্ছে), কিন্তু অন্য কোথাও কয়েন দিয়ে ঠেলাগাড়ি নিয়েছি বলে মনে পড়ে না।

লেখা যথারীতি দারুন!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ মাহবুব। ঠেলাগাড়িগুলো এখন কয়েন নয়, তিন থেকে পাঁচ ডলার নেয়। এটা আমার কাছে খুবই আপত্তিকর একটা জিনিস মনে হয়। প্রতিটা এয়ারপোর্ট একটা ফি নেয়, যেটা টিকিটের দামের সাথে থাকে, এরপরও একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের জন্য পয়সা দিতে হয়। এখন ডোমেস্টিক ফ্লাইটে আর চেকড-ইন লাগেজ ফ্রি না, ব্যাগ প্রতি ২৫ ডলার।

বেড়ানোর জন্য ভালো জায়গা, ভবিষ্যতে ভালো ভালো কিছু লিখতে হবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

বস্টনের এয়ারপোর্টে কিন্তু ঠেলাগাড়ি ফ্রি। বরং জার্মানির দোকানে বাজার রাখার ঠেলাগাড়ি নিতে গিয়েই আমাকে জীবনে প্রথমবার পয়সা ভরতে হল...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (অফ্লাইন) এর ছবি

ইংল্যান্ডে সুপারমার্কেটে ঠেলাগাড়ি নিতে ১ পাউন্ড করে দিতে হতো বছর পনের আগে, এখন কত জানি না। নিয়মটা এমন যে সার ধরে ঠেলাগাড়ি রাখা আছে, একটার খাঁজে আরেকটা আটকানো, শেষপ্রান্তেরটা বের করতে হলে তার আগেরটার হাতলের একটা স্লটে কয়েন ঢোকাতে হবে, ব্যস খুট করে শেষ্টা খুলে চলে আসবে। সেলফ সার্ভিস।
কিন্তু ঠেলাগাড়ির কাজ শেষে সেটা আবার নিয়ে গিয়ে ঐ সারির শেষমাথায় ঢুকিয়ে দিলে, সেটার স্লট থেকে কয়েনটা খুট করে বেরিয়ে আসে। মানে আপনার কয়েন আপনার কাছেই ফেরত এল। আমার মনে হয়েছে পুরো ব্যাপারটা ট্রলি চুরি ঠেকাতেই আসলে।
আম্রিকায় কি এমন করে ফেরত দেয় না? চিন্তিত

আর ওয়াশরুমের জন্যে খুচরো নেবার নিয়ম স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে মেলা পুরনো মনে হয়। ইওরোপে নানান কাজে এত খুচরা নিয়ে ঘুরতে হয় যে পকেট কয়েনের ভারে দ্রুতো ফুটো হয়ে যায়! হাসি

তাসনীম এর ছবি

যেসব এয়ারপোর্টে ইন্টারন্যাশানাল ফ্লাইট নামে সেগুলোর কাস্টমস হলে ফ্রি ঠেলাগাড়ি থাকে। কিন্তু ডোমেস্টিক লাউঞ্জে আমি এখনো দেখিনি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দিগন্ত বাহার() এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

দিগন্ত বাহার() এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বইখাতা এর ছবি

খুবই মজার হয়েছে তাসনীম ভাই। আর অনেক ভালও লেগেছে এই লেখাটা।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ বইখাতা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আশালতা এর ছবি

ফ্যানটাবুলাস !!!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আশালতা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বাস্তব এর ছবি

Domestic flight purpose এ বার আমাকে একটা লাগেজ এর জন্য $50 দিতে হবে American Airline কে। আর লাগেজ ট্রলির জন্য ইউরোপ এও $5 দিতে হয়। সব মিলিয়ে খুবই বিরক্তিকর।

তাসনীম এর ছবি

কয়দিন পরে প্লেনে জামা-কাপড়ের জন্য পয়সা চাবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নতুন করে কি বলবো, যথারীতি _ _ _ _ _

কী হবে, বলেন তো ?? দেঁতো হাসি

তাসনীম এর ছবি

তোমাকেও _ _ _ _ হাসি

কী হবে বলো তো?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

Ruhul Amin এর ছবি

আমার বাবাও মাছ বাজারে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টার কাটিয়ে মাছ কিনে বিজয়ির হাসি হেসেও বাড়ি ফিরতেন।

=========
আমি জানি না।

তাসনীম এর ছবি

বাবাদের জন্য বাজার হচ্ছে ভ্যাকেশন স্পট।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সচল জাহিদ এর ছবি

বরাবরের মতই অতি সুখাদ্য। ভোজনের পর সুখের ঢেকুর তুলতেছি ...


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ। বদহজম না হলেই আনন্দ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমাদের ইউরোপ ভালো। এয়ারপোর্টে একটা পয়সা নেয়নি। দেঁতো হাসি
এই লেখাটা মনে হয় জিএমতানিম্ভাইকে উদ্দেশ্য করে লেখা! হাসি

একমাত্র জুনিয়ার মহাপুরুষ অথবা সিনিয়র লেভেলের কঞ্জুসরাই পারেন এটা করতে।

হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

ইউরোপেও নাকি ঠেলাগাড়ি ফ্রি না...কে জানি বলল উপরের মন্তব্যে।
তানিমকে এনাফ সতর্ক করা হয়েছে, এবার ভালো কিছু বলতে হবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

রেস্টুর‌্যাণ্টে খেতে গিয়ে বাধ্যতামূলক টিপস দেয়াটাও আমার কাছে আনফেয়ার খরচ মনে হয়। মালিকরা কৌশলে তাদের ওয়েটারদের কম বেতন দিয়ে পার পেয়ে যান এতে করে।

লেখা মজার হয়েছে হাসি

তাসনীম এর ছবি

বাধ্যতামূলক টিপস তো দেখি পার্টি একটু বড় (৫/৬ বা বেশি হলে দিতে হয়)। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

টিউলিপ এর ছবি

কোথায়, আমাদের ভার্সিটি থেকে তো ওরিয়েন্টেশনে বলেই দিল সার্ভিস খারাপ হলেও ১০%, অ্যাভারেজ হলে ১৫%, আর ভালো হলে ২০% টিপস দিতে। এমন কি টেক-আউটেও টিপস দেওয়া লাগে বলে জানি।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

তাসনীম এর ছবি

ওটা সম্ভবত রেকোমেন্ডেশন। এক-দুইজন লোকের জন্য বাধ্যতামূলক টিপ চাইতে দেখিনি এখনো। তবে আমেরিকা বিশাল দেশ, এগুলো থাকতে পারে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ঘটনা সেটাই, উপরে টিউলিপ যেরকম বললেন। বাধ্যতামূলক না, কেউ জোর করে চাইবে না, কিন্তু "রিকমেণ্ডেড"-এর নামে এমন একটা টাইট সোশ্যাল সিস্টেম তৈরী করে রেখেছে যে আপনি ন্যুনতম ১৫% টিপস না দিয়ে পার পাবেন না। মালিকরা ওয়েটারদের চাকরি দেয় আর বেতন কম করে ঠিক করে এটা ধরে নিয়েই যে তারা ১৫% টিপস পাবে, এই টিপস আবার ট্যাক্স ফাইল করার সময় রিপোর্টও করতে হয়। কাজেই টিপস না দেয়া মানে আপনি স্বল্প আয়ের ওয়েটারদের আয় আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। এই যে সামাজিক একটা চাপ তৈরী করেছে ব্যবসায়ীরা, তাদের খরচের একটা অংশ ক্রেতা/ভোক্তাদের উপরে চাপিয়ে দেয়ার জন্য, "বাধ্যতামূলক" বলতে সেটাই বুঝিয়েছিলাম।

তাসনীম এর ছবি

ইয়েপ গট ইট হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলাদেশে এভাবে ভোক্তার উপর ভ্যাটের বোঝাটা চাপিয়ে দেয়া হয়। অথচ বিক্রেতা তার কস্টিং-এ ভ্যাট হিসেব করে মূল্য নির্ধারণ করার কথা ছিলো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তাসনীম এর ছবি

বাংলাদেশে ভ্যাটের হার কত?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সাধারণ বিক্রয়ের উপর ১৫%, আমদানী পর্যায়ে ১৫% (আমদানী শুল্ক, সম্পূরক কর ও রেগুলেটরি করসহ আমদানী মূল্যের উপর), আগাম বিপনণ পর্যায়ে ৩% (অন্যান্য শুল্ক-করাদিসহ আমদানী মূল্যের উপর), ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের উপর ৪.৫%......... এভাবে বলে শেষ করতে পারবো না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

টেক-আউটে তো টিপস লাগে না বলেই জানতাম? হোম ডেলিভারি দিলে সেই চার্জটা লাগে।

আমিও তাই দেখেছি, যে বড় পার্টি হলে - ৬ বা ৮ জন - অনেক দোকানই সার্ভিস চার্জটা বিলেই যোগ করে দেয়।

হাসিব এর ছবি

টারান্টিনোর রিজারভয়ার ডগসের একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়লো হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

মি: পিঙ্কের সাথে সম্পূর্ণ একমত!

আয়নামতি1 এর ছবি

পোষ্ট পড়ে দারুণ মজা পেয়েছি!

তাসনীম এর ছবি

সেটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হাসিব এর ছবি

আমরিকা থেকে ইওরোপ অনেক ভালো জায়গা এইটা আবারো বুঝলাম।

  • ইউরোপে দাম নিয়ে কেউ অভিযোগ করে না। ১০টাকার পাতিল কিনলে সবাই ১০টাকার সার্ভিস পায়। ৫০টাকার পাতিল কিনলে ৫০ টাকার। টাকা ঢাললে ভালো জিনিস পাওয়া যাবে। এটা সাধারণ নিয়ম। আমেরিকায় এই নিয়ম আছে কিনা জানি না। কানাডায় অল্প কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমার মনে হয়েছে ওখানে সবসময় দুকান দুচোখ খোলা রেখে চাতুর্যের সাথে কেনাকাটা করতে হয়। প্রতিষ্ঠিত মার্কেটের সাথে একটা প্যারালাল মার্কেট মনে হয় ওখানে সবসময় চলে। ওগুলো না জানলে না চিনলে ঠকতে হয়।
  • ইন্সুরেন্স নিয়েও কোন ইউরোপে কোন অভিযোগ নেই। ইউএসএর ইন্সুরেন্সের গল্প শুনতে শুনতে এখন ওদিকে পাড়ি জমানোর চিন্তায় ধীরে ধীরে পানি জমছে। আমার এক কলিগ আপনার মতো অফিসে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলো। হাসপাতালেও গিয়েছিলো। ওরা ওকে হাসপাতালে এক রাত অবজারভেশনে রেখেছে। বিল এসেছে ৩০ইউরো। ১০ ইউরো প্রথমবার হাসপাতালে যাবার ভাড়া, ১০ ইউরো এ্যাম্বুলেন্স, ১০ ইউরো এক রাতের বেডের ভাড়া। অফিস পে করেছে। পুরো ব্যাপারটা আমাদেরই আরেক কলিগ যে এইসমস্ত ক্ষেত্রে ফার্স্ট এইড দেবার ট্রেইনিং ও অফিস কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত রোগীর দেখভাল করেছে। ইউরোপ আর আমেরিকার একটা তুলনামূলক চিত্র দেখতে মাইকেল মুরের সিকো দেখতে পারেন।

তাসনীম এর ছবি

* আমেরিকা ও কানাডার মতই, সর্বদাই চোখকান খোলা রাখতে হয়। তবে ইয়ু গেট হোয়াট ইয়ু পে ফর- এটা জেনারালি সত্য। কিন্তু ডিলের খোঁজে গেলে এর ফাইন প্রিন্টটাও পড়তে হয়।

* আমেরিকার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমি একটা সম্পূর্ন একটা লেখা দেব। এরচেয়ে খারাপ ব্যবস্থা আর দুনিয়ার কোথাও থাকা সম্ভব নয়। মাইকেল মুরের সিকো দেখেছি, ওটা অসাধারণভাবে সত্য। আমার নিজের অভিজ্ঞতাও খুবই খারাপ। ইন জেনারেল ডাক্তারদের কথা উইথ এ গ্রেইন অব সল্ট নিতে হয়, কেননা ওনাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ব্যবসা। ইউরোপের অন্যদেশের মধ্যেও জার্মানীর স্বাস্থ্যসেবার সুনাম শুনেছি। আমার প্রাক্তন এক মার্কিন সহকর্মীর ভাই এই দেশ ছেড়ে জার্মান দেশে স্থায়ী হয়েছেন মূলত সোশ্যাল কেয়ারের জন্য।

ওই ভার্টিগো নিয়ে আমিও একরাত হাসপাতালের অবজার্ভেশনে ছিলাম। বেশ ভালো বীমা নিয়েও প্রায় ১২০০ ডলার খর্চা হয়েছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বেশ অনেক খন ধরে হাসলাম। সত্যি ভাইয়া, তুমি লিখো বটে! হো হো হো

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ দুষ্ট বালিকা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একটাই অনুরোধ তাসনীম ভাই। পরেরবার মাথা ঘুরে পড়তে চাইলে কোনো রকমে লুফটহানজা'র ভিতরে উঠে তারপর পইড়েন। এনশাল্লা, চাইর আনাও খরচ হবে না। অথচ দরকার হলে আপনাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

আর লাগেজ টানাটানির জন্যও জর্মন্দেশ হয়ে যাইয়েন। যাওয়ার পথে একটা ঠেলাগাড়ি ব্যাগের ভেতরে ভরে নিয়ে গেলেও যেতে পারেন। পাঁচ টেকা তো দূরের কথা, পাঁচ পয়সাও লাগবে না। মানে, আমি গত ছয় বছরে কম করে হলেও তেত্রিশবার একাধিক এয়ারপোর্টে আসা যাওয়া করছি। কোনোবারই ঠেলাগাড়ির জন্য পয়সা দিতে হয় নাই। লাগেজের জন্যও না, অতিরিক্ত ওজনের জন্যও না। হাসি

তবে, একটা ব্যাপারে বেশ তাব্দা খাইছিলাম প্রথম প্রথম। আমার পূর্বকার অভিজ্ঞতা মোতাবেক ম্যাকুস হইলো পথে ঘাটে প্রকৃতি ডাক দিয়ে বসলে আয়েশ করে ডাউনলোড করার জায়গা। কিন্তু জর্মন্দেশে আইসা কাজ সারতে গিয়ে দেখি টাট্টিঘরের সামনে সাদা চাদর বিছানো টেবিলের মধ্যে একটা ফুলদানী। তার পাশে একটা সিরামিকের বাসন। প্রথমে বুঝি নাই কাহিনি কী! পরে কাজ সারার সময়ে শুনি টুংটাং শব্দ! বুঝলাম, কাজ সেরে বের হওয়ার পথে ওখানে নজরানা রেখে যেতে হয়। এইটা এখানকার দস্তুর। তবে, আমস্টার্ডামের এক ম্যাকুসে কাজ সারতে গিয়ে এই দস্তুরকেই হাজার খানেক শ্রদ্ধা জানাইছিলাম, যখন সাথে থাকা বঙ্গদেশীয় ভাইরে ডাউনলোড করার লাইনেই দাঁড়াইতে দিলো না নজরানা পরিশোধ করার আগে। এক দর এক দাম, দুই ইউরো। সেইটা আগে দিলে লাইনে দাঁড়ানো যাবে, তারপরে গিয়ে স্ট্যান্ডলোড বা সিটলোড!

আর নিত্য দিনের বাজারের ব্যাপারে তো লুলছিব্বাই বললেনই উপরে। এইখানে কোনো পণ্য (সুঁই থেকে শুরু করে বিমানের পার্টস) কিনতে হলে আপনি একই পণ্যের বিভিন্ন দাম পাবেন। এবং এটা হলো সেই, যেমন দাম তেমন কোয়ালিটি! আপনার নিজেকেই ঠিক করতে হবে আপনি কোনটা চান। এছাড়া পকেট কাটার আর কোনো সিস্টেম নাই।

তবে, ভুলেও মদনের দোকানে যাইয়েন না। হালায় মানুষ না, আস্ত একটা ডাকাইত। কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে রুচি চানাচুর, সবকিছুতেই হালায় পঁচিশ থেকে পঁচাত্তর সেন্ট করে বেশি রাখে দাম, কোলনের শ্রীলঙ্কান দোকানের চেয়ে। আমি যাই খালি আইলসার হাড্ডি বলে। তবে, ও আমারে পছন্দ করে না। হিন্দি-ঊর্দ্দূ কিছুই নেহি আতি হ্যায়, তাই ডাইরেক্ট আংরেজী মারি বলে!

তাসনীম এর ছবি

পরে কাজ সারার সময়ে শুনি টুংটাং শব্দ! বুঝলাম, কাজ সেরে বের হওয়ার পথে ওখানে নজরানা রেখে যেতে হয়। এইটা এখানকার দস্তুর।

এই দিক দিয়ে আম্রিকা জার্মানীকে ডিফিট দিতে পারে। বাথ্রুম সেরে পয়সা দেই নাই কোনোদিন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অমিত এর ছবি

জার্মানীতে এই চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ট্যাক্স কাটে কিরকম ?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পুরোটাই নির্ভর করে আয়ের উপরে। যদি আয়ের পরিমান শূন্য বা কম হয় তাহলে চিকিৎসা সেবার টাকা পর্যন্ত গৌরী সেন দেয়। আর যদি ইনস্যুরেন্স নাও থাকে, বিনা চিকিৎসায় ভুগতে দিবে না কাউকে। পরে বিলের টাকাটা নিজের সামর্থ্যমতো (এমনকি মাসিক ৫ টাকা হারে) শোধ করে দেয়ার বিধান আছে।

ঢাকাইয়্যা যাদুকর () এর ছবি

জটিল লিখছেন তাসনীম ভাই

আমাদের এইখানেও (চকির তলা ডাউন আন্ডারে) একই অবস্থা - কুদ্দুস আর জুলেখা করতে করতে জীবন শেষ

আর আপনার সেই পরোপকারী বন্ধুটি মনে হয় আমার ভাইরাভাই ইয়ে, মানে... সেইম সেইম চরিত্র, আজকে একজনকে ল্যপটপ তো কালকে আরেকজনকে টিভি

তবে অ্যাম্বুলেন্সের বিল নিয়ে চিন্তা নাই, বছরে চার বার বিদ্যুৎ বিলের সাথে গনহারে সবাইকে অ্যাম্বুলেন্স সারচার্জ দিতে হয় (মনে হ্য় আমর স্টেট-এর ক্ষেত্রেই শুধু প্রযোজ্য)

ধুগো'দার মতন ডাউনলোড করতে পয়সা লাগেনা, তবে আপলোড করতে লাগে (অ্যালকো-পপ ট্যাক্স)

ভাল থাকবেন, ৬ নম্বরের অপেক্ষায় রইলাম

ঢাকাইয়্যা যাদুকর

তাসনীম এর ছবি

ডাউন আন্ডারের স্বাস্থ্যসেবারও সুনাম শুনেছি।

মনেহয় মার্কিন দেশের বাথরুম সেবা নিয়ে লিখতে হবে। এটা প্রশংসা করার মতো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারাপ কোয়াস এর ছবি

মার্কিন মুল্লুকের চেয়ে এখানকার চিকিৎসা ব্যায় কিঞ্চিত এগিয়ে। ভালো রকমের হেলথ ইন্সুরেন্স না থাকলে সামন্যতেই পকেট গড়ের মাঠের মত চেহারা নিতে পারে! ডেণ্টিস্ট আর ড্রাকুলা সমার্থক শব্দ এখানেও।

সস্তা বলতে কোন কিছুই এখানে নাই, টুরিষ্টদের খাবারের দোকানে ঢুকে দাম শুনে অতি দ্রুত প্রস্থান করার ঘটনা মাঝে মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় (সবচেয়ে কমদামী একটা স্যাণ্ডউইচের/বার্গারের জন্য আপনাকে ৮-১০ডলার গুণতে হবে!)

এয়ারপোর্টের ঠেলাগাড়ির জন্য এখনো কোন পয়সা গুণতে হয় না, তবে অদূর ভবিষ্যৎতে যে হবে না তার নিশ্চয়তা নেই। আর এদেশের ফোন কোম্পানীগুলার তুলনায় দেশের গ্রামীনফোনকে সাক্ষাত দেবদূত মনে হয়:)

তাসনীম ভাই, আপনার এই সিরিজটা সাপ্তাহিক করা যায় না? প্রতিটা পর্বই ইটালিয়ান হট সসেজ এর মত উপাদেয় হাসি


love the life you live. live the life you love.

তাসনীম এর ছবি

সিরিজটা সাপ্তাহিক করতে গেলে যেই সময় লাগবে সেটা কই পাই ভাই?

বাই দ্য ওয়ে, আপনি কই থাকেন?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারাপ কোয়াস এর ছবি

দ্বীপবাসী তাসনীম ভাই! বারমুডাতে আছি।


love the life you live. live the life you love.

guest_writer এর ছবি

আমার বাবাকেও দেখতাম দীর্ঘ দুই ঘন্টা মাছের বাজারে ঘুরে, আচ্ছামত দামাদামি করেই তবে মাছ কিনত এবং কিনার শেষে হাসিটাও বিজয়ীর হাসি ছিল।

ভাল লাগল চাল্লু

=========
আমি জানি না

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ফ্রুলিক্স.. এর ছবি

দেশে বাজার করার অভিক্ষতা প্রায় নাই বল্লেই চলে। এখানে এসে সুপার মার্কেটে যাই। একদিক দিয়ে ট্রলি নিয়ে ঢুকি অন্যদিক দিয়ে বের হই। কনজ্যুম করি খুব কম। তাই এতো দৌড়ানির উপর থাকতে হয় না।

হাসিব ভাই আর ধুগো জার্মানীর কথা বলে ফেলেছেন।
২ মাস আগে দেশ থেকে আসার সময় ফ্রঙ্কফুট্র এয়ারপোর্টে নতুন অভিক্ষতা হলো। ট্রলি সবসময় ফ্রি। কিন্তু এখন থেকে ২ ইউরো কয়েন দিয়ে ট্রলি বের করতে হবে। আবার বাস,টেক্সি, ট্রেন স্টেশনে ট্রলি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে ২ ইউরো ফেরত পাবেন। অবস্হা দেখে মেজাজ খুব খারাপ হয়েছিল। সবাই কি পকেটে করে (সাধারনত যারা টোরিষ্ট) ২ ইউরো কয়েন নিয়ে ঘুরবে। আম্রিকার অবস্হা শুনে এখন ভালই লাগতেছে।
জার্মানীর স্বাস্হ্যসেবা ভালো ঠিকই। কিন্তু মাসে মাসে বেতনের ১৫% (৭.৫% নিজে, ৭.৫% কোম্পানি) ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর পকেটে। এখন ডাক্তারে যাও বা না যাও। অবস্হা খারাপ হলে হেলিকপ্টারে আসবে। এবং ইর্মারজেন্সি ফোন কলের ১০ মিনিটের মধ্যে এ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধ্য। তবে এই অবস্হা কতোদিন যে থাকবে সেইটাই দেখার বিষয়।
গত কয়েক বছর থেকে হাইওয়েতে ডাউনলোড করতে ৫০ সেন্ট নিচ্ছে। আগে ফ্রি ছিলো। তবে টয়লেটগুলো খুবই চকচকা থাকে। অবশ্য ৫০ সেন্টের কোপন দিয়ে কফি খাওয়া যায় (ডাউনলোড, আপলোড ফ্রি হাসি)।

সিরিজ চলুক।

তাসনীম এর ছবি

মাগনা জিনিসপত্র দুনিয়া থেকেই উঠে যাচ্ছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

প্রাঞ্জলা বর্ণনা। হ্যামিলনের বংশীবাদনের মতো।

ছেলেবেলায় 'মার্কিন কাপড়' নামে কম পয়সার একধরনের খস খসে কাপড় দেখেছিলাম। সেই থেকে মার্কিন কোন কিছুর কথা উঠলেই নিরস নিরস লাগে। আপনার 'মার্কিল মুল্লুকে' সে ধারণা থেকে মনকে নিষ্কৃতি দিল।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তাসনীম এর ছবি

মার্কিন কাপড়ের কথা মনে আছে। তবে এই দেশটা অত খসখসে নয় কিন্তু।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আধুলি [লগ ইন হচ্ছে না] এর ছবি

** লেখা অতি উপাদেয় হইছে, কিন্তু আপনার লেখা সবসময়ই উপাদেয়, নতুন করে বলার কিছু নাই।

এখানে (আরব আমিরাত), সুপার মার্কেটে কিছু দিন আগের থেকে পয়সা দিয়ে ট্রলি নেবার ব্যাপার চালু হয়েছে। আগে ট্রলির জন্য পার্কিং এরিয়াতে ঝামেলা হয়ে যেত, কারন বাজার গাড়িতে তুলে অনেকেই এলোমেলো করে ট্রলি ফেলে চলে যেত। এখন পয়সা দিয়ে ট্রলি নেবার পর পার্কিং এরিয়া তে নির্দিষ্ট যায়গায় ট্রলি ফেরত দিলে পয়সাটা ফেরত পাওয়া যায়। এই কারনে পার্কিং এরিয়াও অনেক পরিচ্ছন্ন।

বিমান বন্দরে এখনও ফ্রি ট্রলি পাওয়া যায়। ভাল থাকবেন।

_____
আধুলি

তাসনীম এর ছবি

পয়সা নেওয়ার পেছনের এই কারণটা চিন্তা করি নি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকবেন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

sumima yasmin এর ছবি

পুরা জীবনটাই মুলামুলির ওপর ঝুলে আছে!

সুমিমা ইয়াসমিন

তাসনীম এর ছবি

আসলেই।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পাঠক2 এর ছবি

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে রিলেভেন্ট একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস মনে পড়ল "ইফ ইউ কন্ট্রোল ইয়োর ডেট, ইউ কন্ট্রোল এভরিথিং"।

লেখা খুব চমৎকার হয়েছে।

তাসনীম এর ছবি

স্ট্যাটাসটা কাজের এটা করতে পারলে অর্ধেক সমস্যা শেষ জীবনের। ধন্যবাদ আপনাকে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সপ্ন কন্যা এর ছবি

বেশ মজা পাইলাম!!!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো গুরু গুরু

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মাথা ঘুরানোর গাড়িভাড়া ৯শ ডলার?
নয়শো ডলার দিয়ে আমাদের দেশে পুরা মাথাটাই বদলানো যায়

তাসনীম এর ছবি

এই খরচটা অবস্থা ভেদে ১১০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে একটা লেখা দিব...ওটাতে খরচের ব্যাপারগুলো কিছু বলব।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাফি এর ছবি

আমাদের ক্লাসে এক চাঙ্কু একবার মাথায় ঘুরায় পড়ে যাবার পরে একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে তাসনীম ভাই, ওয়্যারহাউসগুলোর কথা বললেন না? আমরা স্টোর করে রাখা যায় এমন সবকিছুই কস্টকো থেকে কিনি। বেশ সাশ্রয়ী। তার উপর গাড়ির তেলে ৩% ক্যাশব্যাক আছে, তেলের দামও তুলনামূলকভাবে কম পাই। লেখা খুবই ভাল লেগেছে এটাও জানিয়ে গেলাম

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ সাফি। আমি নিজেও স্যাম'স ক্লাব থেকে বাজার করি। সাশ্রয় হয় নিঃসন্দেহে। মাঝেমাঝে ২০ পাউন্ড আলু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় যদিও। ওরা দেশি জিনিসপত্র রাখলে খুব ভাল হতো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বন্দনা- এর ছবি

লিখা অসাধারন লাগসে।গতবছর আমেরিকা গিয়ে আমি ও এয়ারপর্টে ৫ ডলার গচ্চা দিলাম ঘোড়ার ডিম ট্রলির জন্য।এই ৫ডলার তাও প্রাণে সয়, কিন্তু এইবার ইউরোপ গিয়ে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কর্ম সারবার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৫ কি ৬ ইউরো করে দিছি।পুরা ২ সপ্তাহ ভ্রমন শেষে দেখলাম এইবাবদ মোটামুটি ৫০ ইউরোর মত বেরিয়ে গেছে পকেট থেকে।এই কষ্ট কই রাখি।

তাসনীম এর ছবি

দেখা যাচ্ছে বাথরুম সারার জন্য আমেরিকা ইউরোপের চেয়ে ভালো। আর হার্ট, কিডনি, লিভার সারানোর জন্য ইউরোপ ভালো।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারানা_শব্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি দারুণ আর দাড়ুন দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ তারানা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সবজান্তা এর ছবি

কবে যে এইসব গচ্চা দেওয়ার সুযোগ পাবো দেঁতো হাসি

তাসনীম এর ছবি

তখন কিন্তু বলতে পারবেন না যে কেউ সতর্ক করেনি দেঁতো হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

উত্তম জাঝা!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

pavelblank এর ছবি

jotilllll bossss হাততালি

pavelblank এর ছবি

jobbbor.. hosisee...bosssss বাঘের বাচ্চা

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নিত্যানন্দ রায়  এর ছবি

হায়রে মার্কিন মুল্লুক !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বহুদিন বাদে আরও একবার পড়া হলো। স্বল্প অভিজ্ঞতায় এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন বিমানবন্দরে ঠেলাগাড়ি নিতে হয়নি। তবে বিকিকিনির বাজারের তথ্য ঘাঁটতে গেলে মাথা ঘোরে আসলেই। এখানে এই অফার, ওখানে ওই অফার। একটু দেখেটেখে তাই বন্ধ করে রেখে দেই।

সিরিজটা পুনরুজ্জীবিত করেন। শেষ লেখা আসলো তো তাও মনে হয় বছর তিনেক আগে। মার্কিন মুল্লুক নিয়ে তো অন্তত শ'খানেক লেখা লিখে ফেলা যায়। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।