সংবিধান সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। যারা দেশে প্রকৃত অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছিলো তারাও অসন্তুষ্ট। একদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বহাল রেখে আরেকদিকে আবার ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচানো প্রকৃত অর্থে প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। দেশের উচ্চ আদালত এরকম প্রলাপীয় সংস্কার যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে সেই আদালত পরবর্তীতে যে আরো প্রলাপকে সমর্থন দেবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
আমার এক ফুপু। যুদ্ধে স্বামী হারানোর পর বিয়েশাদি না করে দেড় বছরের ছেলেটাকে বড়ো করে তুললেন। পড়াশোনা রাজনীতি নাটক আর চাকরি করতে করতে একদিন জন্ডিস বাঁধিয়ে ধুপ করে ছেলেটা মরে গেলে ফুপু একদম ঝিম মেরে গেলেন। তার এই অবস্থায় সবাই ঠিক করল ফুপু যদি ঘুরে ঘুরে সবার বাড়িতে কিছুদিন করে থাকেন তাহলে হয়ত ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন...
টিনটিনের পরেই বোধহয় বিদেশী কমিক্সের মধ্যে অ্যাসটেরিক্স আমাদের কাছে সবচেয়ে সমাদৃত। প্রতিযোগিতায় অ্যাসটেরিক্সের পিছিয়ে থাকার একটা বড় কারণ অবশ্য এর অনুবাদের অভাব। ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়ে ২০০২ সাল অবধি প্রথম দশটা বই বাংলায় বের হয়েই অনুবাদ বন্ধ হয়ে যায়। শুনছি এই বছর আবার নতুন করে অনুবাদ চালু হয়েছে, ‘ঢালের খোঁজে অ্যাসটেরিক্স’ দিয়ে।
সকালের সূর্য নাকি জানান দেয় গোটা দিনটি কেমন যাবে। কিন্তু প্রবাদের দফারফা হতে দেখেছি বহুবার। ঝলমলে দিনের মুখ নিমিষেই হাড়িপনা কালো হতে দেখেছি। তারপর ছিঁচকাঁদুনী মেয়েটার মত দুপুরভর কেঁদেকেটে ঘনহয়ে আসা বিকেলে ফিক করে হেসে উঠতে দেখেছি। এতকিছু দেখাদেখির অভিজ্ঞতা থাকলেও আমার ছেলেবেলায় যে কাজিনের হাতে সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হয়েছিলো তার যে কোনই পরিবর্তন হবে না এটা আমি এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম।
ছুটির সন্ধ্যায় জম্পেস পারিবারিক আড্ডা চলছে, এর মাঝে ছোট্ট তুতুন মাকে জিজ্ঞেস করে বসল, আমি তোমার পেটে কি করে এলাম আম্মু ?
দয়া করে আমার এই পোষ্টে খারাপ লেগেছে কিংবা দুঃখ পেয়েছেন এ জাতীয় মন্তব্য করবেন না। কারুর সহমর্মিতা অথবা সহানুভূতি চেয়ে মানবিক আবেদন জানানোও আমার উদ্দ্যেশ্য নয়। এ লেখার তাৎপর্য কেউ বুঝতে পারলেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পাবো। ধন্যবাদ।
সাবরিনা সুলতানা
১. ক্লাস ওয়ান। বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। সেদিন মনে হয় সাধারণজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। আর মাত্র ১০/১৫ মিনিট বাকি। আমার সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ, শুধু একটিতে আটকে আছি। বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও? আমার ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার হব। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার বানান ভুলে গেছি।আমার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। ডাক্তার বানান পারি, কিন্তু আমি ত ডাক্তার হতে চাইনা। ঘাড়ের রগটা সেই ছোটবেলা থেকেই একটু ত্যাড়া হবার কারনে আমি ডাক্তার লিখতেও নারাজ। বেশ কিছুক্ষন পরে বানান মনে পড়ল আর লিখেও আসলাম। তখন আমার খুশি দেখে কে?
একজন স্বঘোষিত অসাধারণ মানুষ হিসেবে সাধারণ মানুষ যেসব কাজ অনায়াসে সেরে ফেলে, যেমন সাতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ন্যূন কাজ আমি পারি না। এই নিয়ে বিড়ম্বনার ও শেষ নেই। তাই মাঝে মাঝেই ঠিক করি, কালকেই সব শিখে ফেলে দুর্মুখের মুখের উপর জবাব দিয়ে দেই। কিন্তু আইনস্টাইন যদি বাসার ঠিকানা মনে রাখবে তো রিলেটিভিটি আবিস্কার করবে কে! শয়তানের বাক্সের সামনে নানান ওয়েবসাইট ঘুরে তাই আমার সময় কেটে যায়, সাধারণ আর আমার পক্ষে হয়ে ওঠা হয় না।
আমি যখন ছোট ছিলাম, স্কুলে পড়ি, তখন একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, চোর ধরার স্বপ্ন। আমরা চিরকাল বেশ বড় বড় বাড়িতে বড় হয়েছি, গাছপালা বাগানআলা বাড়ি ছিল বেশিরভাগ সময়েই। তার মধ্যে যে বাড়িতে সবচেয়ে দীর্ঘদিন থেকেছি সেই বাড়িটা ছিল বিশাল, আর আশেপাশে তখন অন্যান্য বাড়িঘর কম ছিল, রাস্তাটা মেইন রোড হলেও ট্রাফিক অনেক কম ছিল, আর ছিল চোরের উপদ্রব। দেখা গেল পেছনের পাঁচিল টপকে ঢুকে বাগানে টাঙানো ধোয়া কাপড় টেনে নিয়ে সটান মেইন গেইট খুলে বের হয়ে গেল কেউ, মূহুর্তের মাঝে, “এই, এই, কে রে!” বলে তেড়ে যাবো কি, বুঝে উঠবার আগেই! সে এক অবস্থা!
মিডিয়া তুঘলকের আক্রমণের শিকার পরিবেশবাদীরা
এম আব্দুল্লাহ