নানা কারণে মনমেজাজ খারাপ। মোটামুটি তাৎক্ষণিক সমাধানের অযোগ্য সঙ্কটেই খারাপ। এরকম পরিস্থিতিতে বিষন্ন টাস্কিতে পড়ে থাকার বিকল্প নাই। তাই ছিলাম চুপচাপ পড়ে সন্ধ্যা থেকে। সচলায়তনে ঢোকা যাচ্ছে না। অসহায় অবস্থা জোরদার হলো। এর গুতাই তারে গুতাই। বিরক্তি বাড়ে। বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে নববর্ষে ঠিক কী যেন এক্টা পোস্টাতে চেয়েছিলাম সেই আইডিয়া বিলুপ্ত হয়। শেষমেষ জার্মান সময়ে নববর্ষ আসত...
[justify]গতকাল ইউএস সময় গভীর রাত থেকে (বাংলাদেশে সময় ৩১ শে ডিসেম্বর দিনের বেলা) সচলায়তন এক্সেস করা সম্ভব হচ্ছিল না। সচলায়তনে সে সময় ডেভলপমেন্টের বা টেকনিক্যাল কোন রকম কাজ করা হচ্ছিল না।
ভাল করে খোঁজ নিয়ে এবং যাচাই করে দেখা যায় যে সার্ভার হোস্ট প্রদানকারী সংস্থা একটি টেকনিক্যাল কাজ করতে গিয়ে এই বিপর্যয়টি ডেকে আনে। তাদের সাথে যোগাযোগ করার পরও তাদের ...
বুয়েটে মেলা দিন কনসার্ট দেখা হয় না। শেষ দেখছিলাম '০৩ ব্যাচের র্যাগে মাইলস, শিরোনামহীনের। এরপর মাঝে জেমস আসলো আর ওয়ারফেজ তো ২বার কাপায় গেলো। তো ওয়ারফেজ মিস করায় খুবই দুঃখ পাইছিলাম।এইটা আমার প্রিয় ব্যান্ড কিন্তু এদের একটা লাইভ কনসার্টও এখন পর্যন্ত দেখি নাই। তো ২৪ ডিসেম্বর ছিলো ডাব্লুউ আর ই ডে কনসার্ট। ভাবলাম এইবার যদি মিস করি তাইলে মনে হয় ওয়ারফেজ আমার কপালে আর নাই!! যাই হোক রাত ৮...
২৭-১২-০৯
অদ্ভুত এক বিষন্নতার মধ্যে দিয়ে দিন কেটে যাচ্ছে। এম্নিতেই আমার প্রতিদিনকার কাজের লিস্ট অনেক ছোট, যেচে কিছু করব সেই আগ্রহ কখনই নেই। দায়ে না পড়লে আর মাথায় সমস্যা না হলে আমি আমার হাতপা নাড়াতে নারাজ। পিসিটা নষ্ট হওয়ায় প্রতিদিনের লিস্ট থেকে তিনটি অত্যাবশ্যকীয় কাজঃ ফেসবুক, সচলায়তন আর বিডিজবস বাদ পড়ে গেছে।
অতি দরকারী কিছু কাজ যেমন খাওয়াদাওয়া, গলির দোকানটা থেকে চা-বিড়ি আর প্র...
কুয়ালামপুরে বসে লিখছি। আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি সত্যি সত্যি দেশে যাচ্ছি!
এরকম হয়, যে ব্যাপারগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি উতসাহ, আগ্রহ, প্রত্যাশা, অপেক্ষা বা এমন যেকোন ভালো লাগা বা কষ্টের অতি মানবীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে, সেই ব্যাপারগুলো চোখের সামনে চলে এলে আমি ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারি না। এয়ারপোর্টে তারুকে ফেলে যখন ইমিগ্রেশান পার হচ্ছিলাম, তখন আবার এটাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে আমি ...
উৎপলকুমার বসু, জীবনানন্দ পরবর্তী মধ্য পঞ্চাশের কবি। হঠাৎ মজা করে লিখতে শুরু করা এই কবি এখন কবিদেরো কবি। নিজের একটা পাণ্ডুলিপি পুন:পাঠ করতে করতে মনে হলো, নতুনতো কিছুই এখানে নেই। আসলেই নেই। তবে আর কেন, এইসব পুনরাবৃত্তির প্রকাশ। তারচেয়ে উৎপলকুমার বসু থেকে কয়েকছত্র পাঠ করা যাক। এই কবি দুই বছর আগে নিজ দেশে পরদেশের নাগরিক হয়ে বেড়াতে এসেছিলেন।
সলমা-জরির কাজ
৭.
বন্ধু, তোমার হাতের উপর ...
ঢাকায় কদিন ধরে ভালোই শীত পরেছে। গায়ে চাদর জড়িয়ে কোনো টং দোকানের চা বা রাস্তার পাশের গরম গরম ভাপা পিঠার সাথে আড্ডাগুলোও জমে বেশ। আর মাশ্রুমাড্ডার বিখ্যাত মাশ্রুম তো আছেই। ইদানিং সন্ধ্যা গুলো কাটছে ভালোই এখানে-সেখানে আড্ডায়।
সেদিন গেলাম ছবির হাটে। আড্ডায় অনেকদিন পর ইশতির সাথে দেখা। ইশতি অনেকটা আমার ছোট ভাইয়ের মতই। পড়ে বুয়েটে, আর্কিটেকচারে। দারুণ ফটোগ্রাফি করে আর খুব ঘুরে বেড়...
বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল জাকার্তা শহরে। ইন্দোনেশিয়াকে একটু একটু করে ভাল লাগতে শুরু করেছে। কারণ দেশটির মূল সৌন্দর্য রাজধানীর বাইরে এবং ইতিমধ্যে জাকার্তার আশে পাশে বেশ কয়েকটি সুন্দর জায়গায় যাওয়া হয়েছে। সেইসব সম্পর্কে লেখা ও ছবি পরবর্তী পর্বের জন্যে তোলা রইল। আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে লিখছি।
আগেই বলেছিলাম যে জাকার্তার সাথে বাংলাদেশের অনেক মিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বাংল...
[প্রথম পাতায় এখনো আমার একটা পোস্ট বেয়াড়ার মত উঁকিঝুকি দিচ্ছে। মডুভাইএরা ইচ্ছে করলে সেটা সরিয়ে দিতে পারেন]
হোমওয়ার্ক জিনিসটা আমার খুব অপছন্দ। পিচ্চিকালে হোমওয়ার্ক দেখলেই পেটব্যথা শুরু হয়ে যেতো, আর করার সময় মাথায় নানারকম উচ্চমার্গীয় চিন্তাভাবনা খেলা করতো। এখন এই বুড়োবয়সে এসেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। রাগীব ভাই একগাদা হোমওয়ার্ক দিয়ে বসে আছেন- সেগুলো নিয়ে গুতোগু...
২৫শে আগস্ট, ২০০৯।
পর্দা টানা না থাকায়, জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া ভোরের আলোয় ঘুম আপনাআপনি ভেঙে গিয়েছিল, অ্যালার্মের অপেক্ষায় না থেকেই। পাশ ফিরে জানালার বাইরে তাকাতেই অভূতপূর্ব এক দৃশ্য চোখে পড়ল। যা আগে কখনও দেখা হয়নি, এবং এভাবে যে ব্যাপারটা দেখা হয়ে যাবে, সেটা কখনও ভাবিওনি। সূর্যোদয়। দেখেছি আগেও, কিন্তু চোখের সামনে সূর্যকে আড়মোড়া ভাঙতে দেখার ভাগ্য হয়নি আগে কখনও।
অদূ...