১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের রাত। অপারেশন সার্চ লাইট নামের কুখ্যাত নিধনযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে। সহকর্মী সবাইকে ঢাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ীতে অস্থির পায়চারী করছেন বঙ্গবন্ধু। গোলাগুলির পরিমান সেই সাথে নিরীহ বাঙ্গালীর প্রতিরোধের স্লোগান জয়বাংলা ধ্বনি বাড়ছে। শোনা যাচ্ছে আর্ত চিৎকার আর ছোটাছুটির শব্দ। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে দোতালার বারান্দা থেকে কয়ে...
[নাটক, মোটামুটি ভালো মানের থিয়েটার, দেখলেই আমি চার্জ পাই। আর, আমার চার্জ পাওয়ার ফল বা সূচক হয় কিছু ভালো কাজের চেষ্টা ক'রে শীতনিদ্রাপুর থেকে কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে আসা। সেইসব ভালো কাজের মধ্যেও লেখার চে' ভালো আর কিছুই হ'তে পারে না। এই কিছুদিন খুব বেশি ব্যস্ত ছিলাম বললে বাড়িয়ে বলা হবে, কারণ কাজের চাপে এমনই তার পেঁচিয়ে ছিল মাথার, যে আসোলে কাজের কাজ কিছুই হয়ে ওঠেনি। তাই, বড়জোর বলি- হ্যাঁ, চ...
রোকেয়া হলের গেট,সময় বিকাল পাঁচটা। হল গেট লোকে লোকারণ্য (বলা উচিত যুবকে যুবকারণ্য!)। প্রতিদিনের নাটকের মহড়া হচ্ছে-‘আপু একটা কল নেবেন’। দয়ালু মেয়েরা নাম আর রুম নাম্বার লেখা ছোট কাগজ নিচ্ছে, একটু এগিয়ে গিয়ে হাঁক দিচ্ছে-‘নিউ বিল্ডিং ৫,অমুক’। এমন সময় একটা কান্ড হলো। হলের ভিতর থেকে হেঁটে আসা একটা মেয়ে আচমকা দৌড় দিলো, অন্যদিকে হল গেটে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলেও ছুটে গেলো। এরা দুজন একজন আরে...
১
১৯৭০ এর মাঝামাঝির দিকে অর্থনীতি এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং সার্কেলগুলোতে একটা থিওরি দাঁড়াতে থাকে - 'এফিশিয়েন্ট মার্কেট হাইপোথিসিস' থিওরি। বর্তমানেও ফাইনান্স এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং টেক্সটগুলোতে এটি পড়ানো হয়, এবং আমরাও পড়েছি, কিন্তু ফর্মুলেশন হওয়ার সময় থিওরিটির জোর খুবই বেশি ছিল। ১৯৯৮ সালে ওয়াল স্ট্রীটে 'লং টার্ম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট' ক্রাইসিসটিকে অনেকে মনে করেন থি...
অ্যাম্বিঝড় এখনো বহমান। বিবিধ সফটওয়্যার সহযোগে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে বাংলা বর্ণমালাকে দুমড়ে মুচড়ে অ্যাম্বিবাক্সে বন্দি করার চেষ্টায় মত্ত অনেকেই। ধূগোদা একটা পোস্ট দিয়েছেন অ্যাম্বিগ্রামারের উপর। আমিও গোমর ফাঁস করব বলেছিলাম তখনই। আমার গত পোস্টের অ্যাম্বিগ্রামগুলো দেখে যারা বিমোহিত তাঁদের মোহভঙ্গ করতে এবং যারা যান্ত্রিক আঁকাআঁকিতে জড়ত ...
ওয়াইল্ড-স্কোপ একটি লিংক দিয়েছেন সহী বুখারী
তিনি অভিযোগ করেছেন আমি বুখারীর ৩৯নং হাদিসটি পুরাটাই উল্টাপাল্টা বলেছি। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি যে আরব দেশে বসে প্রফেসর ডঃ মুজীবুর রহমান কোর’আনের যে বাংলা অনুবাদ করেছেন এবং সেখানে যে হাদিস সমূহের সূত্র ব্যবহার করেছেন তা ইংরেজি অনুবাদের চেয়ে আরো বেশি নির্ভরযোগ্য। কেননা এ অনুবা...
সচলের জন্য একটা ব্যানার বানানর শখ আমার অনেক দিনের । কিন্তু শখটা কখনই বাতিক হয়ে মাথায় উঠেনি, তাই ব্যানারটাও করা হয়নি । কিছুদিন আগে হিমু ভাই বরাহ শিকারের বাই তুললেন যখন, তখন আমার মাথায়ও কিছু একটা করার বাতিক চাপল । প্রথমে কিছু আঁকিবুকি করে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম । খুবই সাধারন মানের কয়েকটা ছবি । কতগুলো কাঠি মানব বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বা হেঁটে চলেছে বরাহ শিকারে, আ...
[justify] আমার ছেলেবেলা থেকে খুব খায়েশ ছিল যে একটা কুকুরছানা পালবো, টিনটিন পড়ে সে ইচ্ছা আরো প্রবল হয় কিন্তু আমার মায়ের ব্যাপক ধাতানী আর বকুনি খেয়ে সে সাধ বারে বারে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। কিন্তু নেড়ি কুত্তার লেজ যেমন সোজা হয় না, তেমনি অতৃপ্ত বাসনাও মন থেকে মুছে যেতে চায় না, তাই এই ইচ্ছা মাঝে মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইত, আর বকুনির ভয়ে আমিও চিন্তার গলাটাকে বেশ জোরে চিপে দিত...
আমি লুঙ্গি পরি না। কারণ, লুঙ্গি পরে কখনই আমার 'কাপড়-চোপর পরার' - আত্মবিশ্বাস হয় না। প্রথমবার লুঙ্গি পরার পরে মনে হয়েছিল, বিবস্ত্র হয়ে হাঁটছি কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটা কেউ খেয়াল করছে না! অনেকটা গুহামানবদের যুগের মতন - কেউ উলঙ্গ থাকল, নাকি কচুপাতার মিনি-স্কার্ট পরে থাকল, সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই! তবে নিজে না পরলেও বাবা, চাচা কিংবা মামাদের দেখেছি এই জিনিস খুব আনন্দ নিয়...
আশির দশকের একদম শেষ থেকে নব্বইয়ের দশকের মাঝ পর্যন্ত বুয়েটে পড়তাম। হলে না থাকলেও বুয়েট জীবনে হলের সাথে যোগাযোগ থাকা অতি বান্থনীয়। পড়াশুনা ছাড়াও আড্ডা, মদ্যপান এবং "ইয়ে" চলচ্চিলের কারনে নিয়মিত হ্লবাসী না হলেও মাঝে মাঝে হলে থাকতে হয়। আমিও থেকেছি মাঝেমাঝে। একটা জিনিসের চল ছিল তখন, সেটা হোল রাতে বাতি নিভিয়ে বন্ধুপ্রতিম দুই হলের গালি বিনিময়, যেটাকে আন্তঃ হল গালি প্রতিযোগিতা বলা হত। ...