[এইটার ভূমিকা হৈলো- এইটার আবার কী ভূমিকা লাগে, অ্যাঁ?!]
আবার হাওয়ার ঠাট্টা-হাসি
আবার অক্টোবর।
শাপে বর, না বরেতে শাপ-
বোঝাটা দুষ্কর!
ভোর-বাতাসে হিম মেশানো,
রোদের রঙে শীত।
বিকেল হ'লেই কাঁপতে লাগে
একলা মনের ভিত্।
উদ্লা মনের একলা লাগা
নতুন কিছু নয়,
বছর বছর এমন মাসে
এটাই আমার হয়।
বুঝতে পারি- আসছে উড়ে
প্রিয় ঋতুর মায়া।
জানতে এখন ইচ্ছে, কবে-
আসবে তুমি, প্রিয়া?
[জীবনের বত্রিশ-তম অক্টো...
অক্টোবর ফেস্টের ময়দানে দ্দীণূঃ
না মোটেও হ্যালুসিনেশনের কথা বলতেছিনা। একেবারে রূঢ় বাস্তব ঘটনা। অগাস্টিনার নামক আখের রস বানানে ওয়ালা কোম্পানীর বিশাল বীয়ার গার্টেনের একাংশের জনা পঞ্চাশেক রস খেয়ে মাতাল, টালমাটাল, হাফ মাতাল, সিধা, ব্যাঁকা, দেইড়া, কুইড়া এমনকি বুইড়াও এক লিটারী গেলাস 'মাস' দুই হাতে তুলে ধরে চিৎকার করে ওঠে "প্রোস্ট, আউফ দ্দীণূ" বলে! একবার না, দুইবারও না। এই ঘটনা চলতে থা...
নাহ্ এনকিদু আসলেই একটা খারাপ লোক।
ফটাফট মুখের উপরে কথা বলে, ডিপ্লোম্যাসী বোঝেনা, স্থান-কাল-পাত্রের কথা না হয় বাদ ই দিলাম। এই লোকের কাছে কাঁদুনী গাইতে যাবার মানে হয় না, চিত্তে মলমদায়ী কোন কথাবার্তা তার কাছে থেকে পাওয়া যাবেনা। বরং ঠাস করে কাঠ খোট্টা একটা জবাব দিয়ে দেবে, দিলের দগদগে জখম তাতে বাড়বে বৈ কমবে না।
একদিন জিটকে একটু তরল মুডে ছিলাম, এঙ্কিদুরে দেখে জিগাই...আচ্ছা বলোতো আমা...
এক.
পাড়ায় আমরা সেই ন্যাংটা কালের চার বন্ধু ছিলাম। একেবারে যাকে বলে হরিহর আত্মা। একসাথে স্কুলে যাওয়া, একসাথে মারামারি করা , একসাথে একই মেয়ের সাথে টাংকি মারা এভাবেই বেড়ে উঠেছিলাম আমরা।
শুধু পার্থক্য ছিল একজায়গায়। বাকী তিনজন স্কুল ছেড়েই সিগারেট ধরে ফেলল, আমি ধরলাম না। কিন্তু এক ঈদের দিনে তারা উস্কানি দিয়ে আমাকেও সিগারেট ধরালো।
তারপর কতো চন্দ্রভূক অমাবশ্যা এলো চলে গেল , পার্থক্য...
[justify]
সেই ছোট্টটি থেকেই ছেলেটা ছিল খুব দুরন্ত। কোথায় কোথায় চলে যেত; বেলা পার হলেই কেবল দেখা পাওয়া যেত ঘরের উঠানে। মায়ের বকুনি, বাবার শাসন কিছুই আটকাতে পারত না। ওদের ঘরটা যেখানে, সেখান থেকে অনেকটা হেঁটে বিশাল এক মাঠের ধারে ঐ নাম না জানা অচিনবৃক্ষটা। দলবল নিয়ে এসে ওরা কত যে হুটোপুটি করত গাছটার গোঁড়ায়। মাঝে মাঝে আবার গাছের ডালে দোলনা বেঁধে আকাশ ছোঁয়ার সাধ হত ওদের।
ছেলেটার কৈশোরও কেট...
গত কয়েকদিন ধরে মন অনেক খারাপ।
সচলায়তনের লেখক সংখ্যার চাইতে পাঠক যে অনেক বেশি এতে আশা করি আমার সাথে কেউ দ্বিমত করবেননা। এখানে আমরা এখন অনেকেই আছি যারা মাসের পর মাস চমৎকার লেখাগুলি পড়ে যাই নিজের অস্তিত্ব জানান না দিয়েই। আমাদের মাঝেই কেউ হঠাৎ একদিন সাহস করে একটি দুটি লেখা দিয়ে পরে সচলায়তনের লেখককূলেরও অংশ হন।
আমি ভেবেছিলাম সচলায়তনে নীরব পাঠিকা হিসেবেই সবসময়ে আমার উপস্থিতি থ...
আগের পর্বগুলো:
পর্ব - ১, ২,পর্ব - ৩, ৪,পর্ব - ৫,পর্ব - ৬,পর্ব - ৭,পর্ব - ৮, ৯
১০.
হাসনাইনের তড়িঘড়ি করা আচরণের আকস্মিকতায় কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া রাজু, তাও সবসময়ের মতো হাসনাইনের পিছু পিছুই তাকে কাউন্টারের দিকে যেতে হয়, এ এমনই এক অনুসরন যেন এ...
ভূতের যেকোনো ঘটনা শুনলেই আমাদের আগ্রহ জাগে অতি স্বাভাবিক কারণে। সহ্যশক্তির মধ্যে ভয় পেতে আমরা ভালোবাসি।
আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। ভয়ের আনন্দটা নেয়ার পাশাপাশি আমি আসলে ভিন্ন কোনো এক পৃথিবীর আভাস খুঁজে বেড়াই। একটা বিশ্বাস আমার ভেতরে প্রবলভাবে বসবাস করে, আমাদের এই চোখে দেখা, কানে শোনা, হাতে ছুঁয়ে অনুভব করা পৃথিবীর পাশাপাশিও আরো এক বা একাধিক পৃথিবী (প্যারালাল ওয়ার...
লগইন করতে পড়তে হবে।
[restrict](এ পোস্টে কোনো মন্তব্য না করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি)
সময়টা পার হচ্ছে নানা ধরনের ব্যক্তিগত অস্থিরতার মধ্যে। এক ধরনের ডিপ্রেশনে আছি, অস্থিরতা বোধ করছি। কাকতালীয় কিনা জানি না, এরই মধ্যে, কাল বিকেলে, এক বন্ধুর সাথে ক্যাঁচাল লেগে গেলো। বিষয়- ওই যে, তানবীরা যা লিখেছেন, সেটা নিয়েই। ফলে অস্থিরতা চরমে। এরই মাঝে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা কর...
""একবার গির্জার এক পুরোহিত বিলাতের শেফিল্ড কয়লাখনির শ্রমিকদের কাছে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তিনি বলছিলেন,"তোমরা যদি যিশুর ভজনা না করো, তবে নরকে যেতে হবে।" তাই প্রথমেই একটি লোক প্রশ্ন করল, "কে যিশু?" পুরোহিত মশাই জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কেউ জানো কে যিশু?" সবাই চুপ। একজন বলল, "তার কত নম্বর?" তারা মনে করেছিল, যিশু বোধ হয় তাদের মধ্যে থেকেই কোনো একজন হবে। মানে, কয়লাখনির শ্রমিকদের কথা বলছি। ওদের নিশ্চয়ই...