প্রোস্টঃ আউফ দ্দীণূ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১০/২০০৯ - ৫:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অক্টোবর ফেস্টের ময়দানে দ্দীণূঃ

না মোটেও হ্যালুসিনেশনের কথা বলতেছিনা। একেবারে রূঢ় বাস্তব ঘটনা। অগাস্টিনার নামক আখের রস বানানে ওয়ালা কোম্পানীর বিশাল বীয়ার গার্টেনের একাংশের জনা পঞ্চাশেক রস খেয়ে মাতাল, টালমাটাল, হাফ মাতাল, সিধা, ব্যাঁকা, দেইড়া, কুইড়া এমনকি বুইড়াও এক লিটারী গেলাস 'মাস' দুই হাতে তুলে ধরে চিৎকার করে ওঠে "প্রোস্ট, আউফ দ্দীণূ" বলে! একবার না, দুইবারও না। এই ঘটনা চলতে থাকে বারবার। একসময় দেখা গেলো এই আউফ দ্দীণূ'র শব্দ-তরঙ্গ ম্যাক্সিকান ওয়েভের মতো এদিক ওদিক করে পুরো অগাস্টিনার বীয়ার গার্টেনেই ছড়িয়ে পড়েছে। এক বেরসিক টালমাটাল হঠাৎ জিজ্ঞেসই করে বসলো, "তা এই দ্দীণূটা কে যেনো?" লাগলো ভেজাল তখনই। আচ্ছা, খুলেই বলি ঘটনাটা তাইলে!

জর্ম্মন দেশে একটি নয়, দুটি নয় পাঁচ-পাঁচটি বছর পার হয়ে গেলেও মিউনিখের স্বনামধন্য অক্টোবর ফেস্টে তশরিফ আনা হয়নি একবারও। গতবার অনেক হাউকাউ করে পিলান বানানোর পর কাসেলপুরের সাথে টাইমিং-এ না মেলাতে সে যাত্রাও সাইড লাইনের বাইরে রেখে দিতে হলো অক্টোবর ফেস্টের হাদুমপাদুমসমগ্র। এবার আর মিস দেয়ার উপায় ছিলো না। বিশ্ব বিখ্যাত ঔরস মুবারক এইবার মিস করলে পিডায়া হাড্ডিগুড্ডি আলাদা কইরা ফেলার হুমকী দিয়ে রেখেছিলেন তীরুদা। বাধ্য হয়ে তাই যেতে হলো। আমি ঐসব বেলেল্লাপনা করি না যদিও, নেহায়েৎই ফর্মালিটিজ! [হাসিব্বাই এবং বদ্দার বেলেল্লাপনার সচিত্র বর্ণনা না পেলেও বিশদ বর্ণনা পাওয়া যাবে হিমুর আসন্ন অক্টোবর ফেস্ট সিরিজে]

তো মিউনিখে নেমেই আমার আক্কেল গুড়ুম। হাসিব ভাইকে আমার দলেই ভাবতাম। মানে নন-বেলেল্লাবাজ আরকি! কিন্তু কিসের কী! গিয়ে দেখি পুরা আধা নাঙ্গা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। মুসলমানের ছেলের এই দশা দেখে আমি হারেরেরে করে উঠতেই পাশে ধূতি পাঞ্জাবী পরা তীরুদা, মাথার জরীর কাজ করা বাহারী টুপিটায় হাত বুলিয়ে বললেন, আরে হৈ হুল্লা করো ক্যান। এইটা তো অক্টোবর ফেস্টের পোষাক! এবার ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, হাফপ্যান্ট স্টাইলে পরা একটা হাফলুঙ্গি পরে হাসিব ভাই দাঁড়িয়ে আছেন। হাঁটু পর্যন্ত মোজা, রং লাল। আর ঢাকা থেকে বয়ে আনা সাদা রঙের বেলী কেডস। এই হাফ লুঙ্গি টাইপের পোষাকটা বেশ পরিচিত ঠেকলো এতোক্ষণে। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কোথায় যেনো তারে দেখেছি...!

মক্কার মানুষ হজ্জ্বে যায় না। মিউনিখবাসী তীরুদাও আখের রস ফেস্টিভালে যাবেন না। অগত্যা ঘর থেকে বের হতে হলো জার্মানীর তিন কোণা থেকে আসা আমাদের চার জনকেই। বাকী দুজন হলেন স্বনামধন্য বদ্দা আর পাপিষ্ঠ হিমু। অবশ্য হিমুকেই বা পাপিষ্ঠ বলছি কেনো। আমাকে দেখেই বড় করে সালাম দিলো। মুসাবাহ্ করলো, কোলাকুলি করলো, হাল-হকিকত জিজ্ঞেস করলো। বাল-বাচ্চার খবরাখবর নিলো! আমি তো পুরাই 'থ! এ যে দেখি রীতিমতো ভূতের মুখে রামনাম! আসলে ভূত না, হবে খোদ ব্রহ্মদৈত্যের মুখে ত্রিপিটক পাঠ। চারজনের মধ্যে বদ্দা একটু বেশি উদ্দমী ছিলেন। আগে আগে হাঁটছিলেন আর বলছিলেন, "ঠ্যাঙে মেন্দি দিয়া হাঁটলে বাড়া বাড়াটাও পাইবানা ঐখানে গিয়া!" ওখানে আমাদের জন্য কে কি বেড়ে বসে আছে, বদ্দার বক্তব্য থেকে সেটা বুঝে উঠতে না পারলেও আমরা তাড়াতাড়ি পা চালাই। নাইলে কপালে কিছু একটা 'মিস' আছে সেইটা বুঝতে পারি।

ঔরস মোবারক চত্বরে ঢুকে মানুষ দেখে আমাদের মাথা আউলা হয়ে গেলো। হিমু হঠাৎ জিজ্ঞেস করে বসলো, "দোস্ত, তোর কি আইডিয়া আছে পূব দিক (এখান থেকে ক্বেবলার দিক) কোন্দিকে হবে?" আমি কনুইয়ের খোঁচা দেই হিমুকে, চেপে যাও বৎস্য! সামনে থেকে বদ্দা আর হাসিব ভাই যেভাবে হনহন করে হেঁটে চলেছেন, ক্বেবলার দিক খুঁজতে গেলে আমাদেরকেই পথ হারিয়ে কেবলা কান্তের মতো গলা জড়াজড়ি করে কাঁন্তে হবে অবশেষে। তার চেয়ে স্করপিয়নসএর গানের মতো চলো, "ফলো দ্য মুরুব্বিয়ানস..." করি।

ভাটাকটি হুয়ি আত্মার মতো কোথাও জায়গা না পেয়ে বদ্দা আর হাসিব ভাই আমাদেরকে নিয়ে ঢুকলেন অগাস্টিনার'র চত্বরে। নানা বর্ণের, না মতের, নানা গন্ধের মানুষ এখানে বেঞ্চিতে বসে কেউ ঢুলছে, কেউ উঠছে, কেউ বসছে, কেউ গাইছে, কেউ সিক্সটিন প্লাস সিনসিনারি করছে। আমি আর হিমু, দুজন কঁচিকাঁচা সেদিকে মুগ্ধ নয়নে ঘুরে ঘুরে তাকিয়ে দেখি। হঠাৎ আমাদের চোখে আটকে গেলো হাসিব ভাইয়ের মতো কেউ। চোখ কঁচলে দেখি আরে এতো আমাদের হাসিব ভাইই। বেঞ্চিতে জায়গা না পেয়ে দুজন অস্টাদশীর সাথে আলাপে মগ্ন। তাদেরকে পটিয়ে যদি আখের রসের অর্ডার দেয়া যায়। বেঞ্চিতে পাছা ঠেকানো না থাকলে নাকি ওখানে আখের রসের অর্ডার নেয় না ওয়েটাররা। মহা মুসিবত। হিমু দেখি গুনগুন করে। লতার "আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের", গানটা নয়। একেবারে এন্ড্রু কিশোরের "দেখলে তোমারে, শইলটা কিরাম করে" হয়ে বিপাসা বসুর "যাদু হ্যায় নিশা হ্যায় আর কি কি জানি হ্যায়..."। আমি তার চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখি হাসিব ভাইয়ের সেই আখুবান্ধবী (আখের রস মারফত পাতানো বান্ধবী)দিগের দিকে। পুরাই বেশরিয়তী ব্যাফারস্যাফার। বদ্দা এর মধ্যে এক বেঞ্চিতে বসে গিয়ে এক আধা মাতাল বুইড়াকে সচলায়তন কী জিনিষ সেই তালিম দিচ্ছে। এর মধ্যে হাসিব ভাই ফিরে এলেন বালিকাদ্বয়ের বাহুবন্ধন ছেড়ে। এসে খুলে বললেন প্রথমে বালিকারা রাজী হয় নাই আখের রস অর্ডারের প্রোক্সি দিতে, পরে যখন বলা হলো আমরা আসলে আমাদের এক বন্ধু, যে কিনা দুর্ভাগ্যবশতঃ এখানে উপস্থিত থাকতে পারছে না, সেই ভাগ্যাহত রোগাহত বন্ধুবর দ্দীণূকে স্মরণ করতে চাই এই ঔরস মোবারকে, তখনই কেবল বালিকারা ছলছল নয়নে ছ্যালছাবিলা বদন ঝাঁকিয়ে রাজী হলো হাসিব ভাইয়ের প্রস্তাবে। এদিকে বদ্দাও বুড়াকে বাংলা ব্লগের ইতিহাস বুঝানোর জন্য পেয়ে গেলেন নতুন উপাদান। তিনি শুরু করলেন এফডিপি'র (জর্ম্মন দেশের এবারের ক্ষমতায় যাওয়া জোটের দ্বিতীয় পার্টি) প্রধান ভেস্টারভেলেকে নিয়ে।

আমি বুঝলাম ড. গুইডো ভেস্টারভেলেকে যদি কোনোভাবে বাংলা শিখিয়ে বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে এনে ছেড়ে দেয়া যায় তাহলে তাঁর সাথে দ্দীণূর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে "কে বড় দ্দীণূ" এই শিরোপা নিয়ে। প্রমাণ চান? এই নেন—

ঐতিহ্যগতভাবে এবং পদাধিকার বলে তাঁর জার্মানীর পররাস্ট্রমন্ত্রী হবার কথা থাকলেও আংরেজীর ব্যাপারে তিনি বড়ই উদাসীন। এখানে আরেকটা ভিড্যু—



যাইহোক, বদ্দা বুইড়ার সাথে আলাপে মগ্ন, বালিকাদ্বয়ের 'বাহু ম্যায় চলি আওওওও' ডাক শুনে হাসিব ভাই আবারো চলে গেলেন তাদের পানে। হঠাৎ দেখি হাসিব ভাই আর সেই বালিকাযুগল হাতের বিশাল লিটারী গেলাস উঁচা করে বলে উঠলো প্রোস্টঃ আউফ দ্দীণূ! আর মুহূর্তেই একটা ম্যাজিকের মতো কারবার দেখলাম। এতো হট্টগোলের মধ্যেও টেবিলের পর টেবিলে সবাই একে একে হাতের বিরাট গেলাস উঁচা করে বলতেছে, আউফ ডিনো, আউফ ড্ডিনো, আউফ ডিন্নো। কেবল একটা ইটালিয়ান টেবিল থেকেই শুদ্ধ উচ্চারণটা শুনতে পেলাম, "আউফ দ্দীণূ, অ্যাঁ"।

বদ্দার সেই আলাপি বন্ধু হঠাৎ আলাপ থামিয়ে জিজ্ঞেস করে উঠলো, "তা এই দ্দীণূটা ক্যাঠা!"

বদ্দা, একটা নাতিদীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, "সে এক কাহিনি বটে!"

বদ্দা মেইন কাহিনীতে যাওয়ার আগেই হিমু আমাকে গুঁতা দিয়ে বললো, "দোস্ত, মুতা লাগছে, পূব দিকটা কোন্দিকে?"


মন্তব্য

কুবের [অতিথি] এর ছবি

"ঠ্যাঙে মেন্দি দিয়া হাঁটলে বাড়া বাড়াটাও পাইবানা ঐখানে গিয়া!"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি ধুগোদা, এই লাইনটার জন্য যেখান থেকে পারি, যেমনে পারি, যার শালি পারি, আপনার জন্য একটা তুলে এনে দিবো, কথা দিলাম !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- উইথ দ্য কমপ্লিমেন্টস, আপনার কথা গৃহীত হইলো। হাসি
ওরে কে কোথায় আছিস, কুবের মাঝিরে চা দে। ফুল তোলা কাপে দিস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ভাই হাসতে হাসতে ক্ষুদ্রান্ত্রে গিট্টু লেগে গেল !!!!

হা হা হা হা
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কন্কী! গিট্টু ছটছে নাকি এখনো লাইগাই আছে? মিয়া, আপনে তো দেখি আমারে শ্বশুর বাড়ির ভাত খাওয়াইবেন। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

সেরাম হইসে বস---

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভিডু পড়ে দেখুম...আগে হাইসা লই...

, হাফপ্যান্ট স্টাইলে পরা একটা হাফলুঙ্গি পরে হাসিব ভাই দাঁড়িয়ে আছেন। হাঁটু পর্যন্ত মোজা, রং লাল। আর ঢাকা থেকে বয়ে আনা সাদা রঙের বেলী কেডস। এই হাফ লুঙ্গি টাইপের পোষাকটা বেশ পরিচিত ঠেকলো এতোক্ষণে।

"দোস্ত, তোর কি আইডিয়া আছে পূব দিক (এখান থেকে ক্বেবলার দিক) কোন্দিকে হবে?"

লতার "আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের", গানটা নয়। একেবারে এন্ড্রু কিশোরের "দেখলে তোমারে, শইলটা কিরাম করে" হয়ে বিপাসা বসুর "যাদু হ্যায় নিশা হ্যায় আর কি কি জানি হ্যায়..."।

... বস, এইগুলান পান কই ?? আপনেরে একটা শালি দেওনই লাগে দেহি...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ধুসর গোধূলি এর ছবি
হাসিব এর ছবি

পুস্ট পৈড়া কিছু ভাবার আগে মনে করতে হবে এইটা হের ধুগার পুস্ট । আল্লায় বিচার করবো । শিউর ।

মামুন হক এর ছবি

হ, শিউর। তুই বিশ্বাস কর আমি ধুগোর কথা এট্টুও বিশ্বাস করি নাই দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, সত্য কথা কইলেই আল্লায় বিচার করবো! বাইরানের সময় যে আপনেরে খুঁইজা পাওন যাইতেছিলো না, সেইটা লেখোনের টাইম পাই নাই। আপনেরে পরে বদ্দা বাইর করলো অগাস্টিনার'এর পেছনের দিকের এগজিটে, মাটিতে বইসা ঠ্যাঙ ছড়ায়া কাঁন্তে আছিলেন। তবে আপনের কান্নার কারণ শুনে বেদম হাসি পাইছে আমার। "হায় দ্দীণূ, হায় দ্দীণূ...আই মিস মাই দ্দীণূ"— উফ হাসিব ভাই, আমার আজীবন মনে থাকবো আপনের সেই সময়ের চেহারাটা। দেঁতো হাসি

হিমু দেখি আৎকা আমারে বলে, "দোস্ত, আমার খালি হাসি উঠতাছে।" আমি তো মনে করছি আপনের কান্না দেখে বুঝি পাপিষ্ঠ হিমু হাসতে চায়। পরে ভুল ভাঙলো। না, সে অনেকক্ষণ যাবতই হাইসা যাইতেছে। কোনো কারণ নাই, কেউ তারে দুঃখী গণ্ডারের কাহিনীও শোনাচ্ছে না। অনেক চেপে ধরাতে শেষে বললো, "আমারে মনে হয় ধর্ছে। হাসিব ভাইরে খাইতে দেখলাম যে...!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুজন চৌধুরী এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অ সুজন্দা, অই অবস্থায় হযরত দ্দীণূর একটা খোমা খিইচ্যা দেন না, পোস্টের লগে লটকায়ে দেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি

হো হো হো
লেখা অনেক মজারু হইসে ধু গো দা। চলুক চলুক

----------------------------------------------------------------------------

ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক

এনকিদু এর ছবি

"দোস্ত, মুতা লাগছে, পূব দিকটা কোন্দিকে?"

যেদিকে সূর্য উঠে সেদিকটা দেখিয়ে দিলেই পারতেন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মেহদী হাসান খান এর ছবি

হাস্তে হাস্তে পৈড়া গেলাম এর এক্টা ইমোটিকন চাই। দিতে হবি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাস্তে হাস্তে পইড়া যাওনের কোনো ইমোটিকন নাই, তয় পইড়া গিয়া হাসোনের ইমো আছে তো, গড়াগড়ি দিয়া হাসি — এই যে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কীর্তিনাশা এর ছবি

হেহহেহে! মজা হৈছে। দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দেঁতো হাসি
....................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাশু ভাই আর পান্থ'দাকে শুক্রিয়া। নাশু ভাই নাহয় নিজের জুনিয়র নিয়া ব্যস্ত, পান্থ'দা ব্যস্ত কী নিয়া? বালিকারা এখনো মুখের উপর না বলে দিচ্ছে? চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি
রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

@ কুবেরঃ শালি সাপ্লাই লইয়া চিন্তা করিবেন না। এই দেশে বেশী শালি আছে এরশাদ জ্যাডার। তেনি ২০০১ সালের নির্বাচনে সময় ময়মনসিংহের এক জনসভায় উপস্থিত জনতাকে শালা-শালি বইলা সম্বোধন করছিলেন। মিডিয়াতে এই লইয়া লেখালেখিও হইছিলো। তার দাবি- ময়মনসিংহে শ্বশুর বাড়ী তাই এই জেলার সবাই তার শালা-শালি।

সুতরাং আর দেরী না কইরা ধুগোর জন্য ময়মনসিংহের একজনরে জোগাড় কইরা দেন। ঢাকায় তো এই জেলার মহিলার অভাব নাই। জ্যাডা খুশি হইলে ভবিষ্যতে সাহাবী হইবার সুযোগ থাকিবে। বুজচাইন?????

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রেনেট এর ছবি

সহি সালামতে ফিরা আইছিলেন তো?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফেরার কাহিনী হইলো একটা ইতিহাস। ঐটা বর্ণনা করতে গেলে কয়েক দিস্তা কাগজ আর কয়েক ডজন কলম লাগবো। আধা ঘন্টার মধ্যে আমরা ৪ জন কম করে হলেও সাড়ে সাতবার হারাইছি, আবার দশ সেকেণ্ডের মাথায় খুঁজেও পাইছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

"দোস্ত, মুতা লাগছে, পূব দিকটা কোন্দিকে?

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

অতিথি লেখক এর ছবি

"ফলো দ্য মুরুব্বিয়ানস"

মজা পাইলাম

জব্বর হইচ্চে ধুগোদা
জলপুত্র তথাস্থু

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধূগো তার মন্তব্যে যতটা সরল, লেখায় মনে হয় ততটাই জটিল। গতকাল পড়া শুরু করে শেষ করতে পারিনি। আজ এগিয়ে পড়ে ফেললাম, এবং বুঝলাম ইহা না পড়িতে পস্তাইতে হইতো।

তবে কয়কজন ব্যক্তি বিশেষের ছবি দেখিতে মঞ্চায় (হাসিব এবং হিমু)।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খাইছে

দীর্ঘ-ই কার ওয়ালা ডাবল-দ-জাতীয় জটিল শব্দমালার কারণেই মনে হয় এমন মনে হচ্ছিল হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অইদ্দেহ কী টেকনিক্যাল হিসাব! আরে পিপিদা, কারো নাম যদি ডাবল দ, ট্রিপল ম দিয়া হয় তাই এই গরীবের কি দোষ? মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গরীবকে নো-বেল দেয়া হোক হো হো হো

খেকশিয়াল এর ছবি

হো হো হো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

দ্দীণু তো বিশ্ববিখ্যাত হইয়া গেলো। ওই মিয়া, এই পোস্ট দেখলে তো দ্দীণু খুশিতে ডগমগ করবো।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ডগমগ করলে আর কি, হাতে একটা ডুগডুগি ধরায়ে দিলেই হবে। আনন্দে বাজাইতে থাকবে আর নিজের খাঁচার ভিতরে নাচতে থাকবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

দর্কারছিল।
এই ব্যাটা ড. পাশ না ডাক্তার?
হিমু লোকজনরে অক্টোবরফেস্টের দাওয়াত বেড়ায় আবার হুজুর হয় ক্যামনে (চিন্তা)?

বড় একটা ভর্তি জগের ছবি দ্যাখতে মঞ্চাইছে ধুগো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দর্কার ছিলো বলেই তো এই দুর্দিনেও অপচেষ্টা করা!

আইন বিষয়ে ডক্টরেট। আমাদের জ্ঞান মতে আইন বিষয়ে উচ্চ থেকে উচ্চতর পড়াশুনা করতে চাইলে ইংরেজীতে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কিন্তু এরা এগুলো মানে না। তাদের মতে আইন বিষয়ে ডক্টরেট করা একজনের যে ইংরেজী জানাই লাগবে এমন কোনো কথা নাই। এই কথা শুনে আমি পুরা তব্দা খেয়ে গেছিলাম। কিন্তু যখন আমি পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম তাইলে সে আংরেজী না জেনে পররাস্ট্রমন্ত্রী হইতে চায় কেমনে, সারা দুনিয়া তো আর জার্মান ভাষায় চলে না! এই প্রশ্নে সে একটু দমে। এবং মিন মিন করে বলে ভেস্টারভেলেকে খুব সম্ভবত ফিন্যান্স মিনিস্ট্রি দেয়া হতে পারে।

হাসিব ভাইয়ের একটা গলা ভ্যানিস্ড ফটুক আছে, হিমুর সদয় হৈলে ঐটা দেয়া যেতে পারে। তবে হাসিব ভাইরে অই অবস্থায় না দেখাই ভালো। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুর্দান্ত এর ছবি

'বিখ্যাত ঔরস মুবারক' কস্কি মমিন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যার চোখে যা লাগে! চোখ টিপি

একলগে দেশে গলে আপনেরে লইয়া খড়মপুরে একটা সফর দিতে হৈবো দেখতাছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

"ঠ্যাঙে মেন্দি দিয়া হাঁটলে বাড়া বাড়াটাও পাইবানা ঐখানে গিয়া!"

হে হে হে। সেইরম মজা পাইলাম পাপিষ্ঠ লেখাটা পইড়া দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খালি এই লাইনটা লেখলেই তো হৈতো তাইলে। হুদাই কষ্টমষ্ট কইরা বাকি লাইনগুলা লেখলাম। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আমি [অতিথি] এর ছবি

আউফ দ্দীণূ!

হাসিব এর ছবি

কয়েকজন পরহেজগার ঈমানি বান্দার ওপর কলঙ্ক দিয়ে একি রকম পোস্ট ! অবিলম্বে ধুগোর আইপিসহ ব্যান চাই !

ধুসর গোধূলি এর ছবি
জি.এম.তানিম এর ছবি

বেশরীয়তি পোস্ট (নাকি প্রোস্ট?)

চলুক
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হাসিব্বাই রক্স শয়তানী হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তানিম, চেয়ার ডেস্ট্রয়ার সিমন, দুইজনেই সাবধান। হাসিব্বাইকে নিয়া বেশরিয়তী কথা কইলে কৈলাম তেনার পরিবার আইসা পিডাইয়া থুইবো না কাউরে। মাশাল্লাহ যেই স্বাস্থ্য, তায় আবার রেগুলার জিম-এ যায়। ঘরে আধামনি দুইটা বারবেল আছে। ঐগুলা দিয়া দুইহাতে প্রতিদিন তিনবার শারীরিক চর্চা করে। মাঝে মধ্যে দুই মইন্যা বারবেল মনে করে হাসিব ভাইকে দুইহাতে তুলেই বারবেলিং করা শুরু করে। অতএব, সাবধান এ রঙিলা! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অনেককিছু মনে হয় আপনাদের ইনসাইড জোক, বা ব্লগে পুরনো আলোচনার সূত্র, তাই পুরোপুরি বুঝিনি - তবে লেখাটা বেশ মজার। রসাস্বাদনে খুব একটা অসুবিধা হয় না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পুতুল এর ছবি

আউফ দ্দীণূ
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

বর্ষা এর ছবি

এইটা অনেক মজারু হইছে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ওসিরিস এর ছবি

লেখায় হাত্তালি হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।