দিনগুলো গড়িয়ে যায়, সাথে নিয়ে নিস্তব্ধতা, কোলাহল, ব্যস্ততা, অবকাশ। দিনগুলোতে কিছু ঘ্রাণ, শব্দের ভার, উপলব্ধির আস্বাদন জড়িয়ে থাকে। কোন কোন রাত, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যা, রিকশায় ঘোরার বিকেল কিংবা ভালো না লাগার দুপুরগুলোয় কত কথা উঁকি দিয়ে যায় মনের ঘরে –
ডুব সাঁতারে ভীষণ উদ্গ্রীব তুমি, সীমান্ত।
অহং আর আমিত্বে ভরাট সময়ের ঝুলি।
ঠিক কতটা ডুবে জেনে যাবে গহীন আমায়।
ভেতরের ক্লেদে জমে থাকে শ্য...
মহাকালের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা
সীমাহীন বালুরাশির প্রতিটি ক্ষুদ্রাণু আমার কাছে আজ মূল্যবাণরূপে ধরা দেয়।
মস্তিষ্কের মধ্যভাগে কুটিল নিউরণগুলো-
মাথাচাড়া দেয় আজ মনের শত বাঁধা অতিক্রম করে।
প্রতিটি কোষে নির্দিষ্ট মাত্রার বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয় সে।
সে তীব্র দাহ অতিক্রম করে-
কেবল মনের জোরে টিকে থাকি আপ্রান চেষ্টায়।
অসীম কুয়াশাঘেরা জীবনে...
কতখানি ফাঁকা তুমি?
আমার মতই কি জলে আঁকা সুখ?
প্রিয়মুখ পুড়ে যায় না-চেনার ভানে।
তোমাকে দেখে ঠিক আমার মতই মনে হয়।
অবিকল বিকল ডানা।
হাতে পায়ে একই করাতের দাগ।
চোখ তুলে তাকালে দেখলাম, চোখ নেই, আছে যশোর।
একটা আস্ত শহর চোখে এঁটে এঁটো কুড়াচ্ছ কুকুরদের সাথে।
ঘুরেফিরে শহরের বিভিন্ন ডাস্টবিনে আমাদের দেখা হয়।
মৃত শিশু, জলের বোতল বা গহন কাঁকন।
সুধীজনের কোঁচকানো মুখের পরিপাটি বসার ঘরেও পাই ...
আমার অস্তিত্ব আজ
স্পষ্ট দু’ভাগে বিভক্ত-
মাঝখানে যেন সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া,
এক ভাগ তুমি-হীন,
অন্য ভাগে তোমাকে ফিরে পাবার সম্ভাবনা।
যে ভাগে তুমি নাই,
সেখানে আমি অফিস করি, বাজার যাই,
বোনাস আর বেতনের খবর রাখি,
ছেলে ভালো স্কুল পেলোনা বলে প্রেসার বাড়াই,
আর ক্রিকেটের স্কোরে পুরাতন বন্ধুদের ফোন করি।
কিন্তু তারা কেউ তোমার কথা জিজ্ঞাসা করেনা,
বলেনা কোথাও কখনো তোমার সাথে তাদের দেখ...
শুধু চাই
কখনো আক্ষেপ নামের তিনচোখা দানবটা এসে হানা দেয়
মনের সব ক’টা জানলা দিয়ে ঢুকে পড়ে আচমকাই
আমার শরীর অবশ হয়ে আসে
ধমনী আর শিরাগুলো হয়ে পড়ে রক্তহীন।
কখনো বা বেদনা নামের অক্টোপাস আট পা সমেত উঠে আসে
কষ্টের সাগর অতল থেকে
আমার হৃতপিন্ডকে খুবলে নিয়ে যেতে চায় ভয়াল থাবায়
আমি হয়ে পড়ি প্রানহীন এক ফ্যাকাসে মানবী।
আরেকজন আছে; তার নাম ক্রোধ
যার অযৌক্তিক সংক্রমনে ছেয...
যাবার মুহূর্তে আমার প্রেমিকা জিজ্ঞেস করছিল বার বার, আমি ফিরবো কি-না যুদ্ধ শেষে
ওই মুহূর্তে ওর চোখে ছিল কেবল ভয় আর অনিশ্চয়তা
লাইলাকের মতোন ওর হাতে রেখে আমার হাত, আমি হেসেছিলাম একটুখানি
সাহস কিংবা নিশ্চয়তা দেয়ার মত তেমন কিছুই পারিনি বলতে ।
আমরা তখন ডানজিনের পথে, হঠাৎ খবর পেলাম
নাযীরা ঢুকে পড়েছে ওয়ারশ-এ,
ওরা প্রতিটি বাড়ি, দোকান, ইমারত, স্কুল, সরাইখানা ডিনামাইটে উড়িয়ে দিয়েছে
আমা...
কেমন হতো পিঠের 'পরে
থাকতো যদি পাখা?!
আকাশ জুড়ে খানিক উড়ে
কোথাও যেতো রাখা?
উড়তে যেতাম কক্সবাজারে
সাগরপাড়ের হাওয়ায়,
মনটা দিতাম বিকেল রোদে
অশেষ আমোদ পাওয়ায়।
ঢেউয়ের ছোঁয়ায় পা ভিজিয়ে
আবার যেতাম উড়ে-
হিমছড়িতে যখন তখন
যেতাম খানিক ঘুরে।
লালচে রবির পরশ পেতে
দূর আকাশের বুকে-
উড়াল দিতাম পাখির মতো
গা ভাসাতাম সুখে।
ইচ্ছে হলে সাগর ভুলে
কোন্ পাহাড়ের চূড়ায়,
খানিক বসে বিরাম শেষে
মনটা দিত...
আমার হাসিমুখ তোমাদের দেখাই,
রাগ, ঘৃণা গোপনে লুকাই।
ওসব তোমাদের জন্য,
তোমরা, যারা সমস্ত হাসির পেছনে জমা রেখেছ আমার কান্নার দিন।
আমার প্রেমমুখ তোমাদের দেখাই,
ব্যর্থতা অস্বীকার করে।
ওসব তোমাদের জন্য।
যাবতীয় না-পারার যাবতীয় গ্লানি তোমাদের দিয়ে,
সমুদ্রে হাওয়া খেতে যাই।
আমার ভালমুখ তোমাদের দেখাই,
আর বিপর্যস্ত রাত, বেহিসেবি ভুল তোমাদের।
তোমাদের চোখের জল, শিশু-ফ্রক-ফুল পাড়িয়ে গে...
লালচে পাড়ের সফেদ শাড়ি,
রাস্তা জুড়ে ঘোড়ার গাড়ি,
ফুটপাথে বই, মন্ডা, মেঠাই,
চরকি, বাঁশি, আখ-
পাঞ্জাবিতে নবীন সাজে,
ভোরের আলোয় প্রবীন সাঁঝে,
নতুন দিনের বার্তা আনে
পহেলা বৈশাখ।
খুশীর পরশ সবার মনে,
বাংলা বছর বদল-ক্ষণে,
সবার মুখেই হাসির আভায়
দুঃখ আড়াল খোঁজে-
সবাই জানে সুখের মানে,
তাই মাতে বেশ প্রাণের গানে,
অন্তবিহীন আনন্দে মন
আশার বাণী বোঝে।
মন ছুটে যায় বটমূলে,
প্রাণ মাতানো গানের কূল...
ধুত্তরি ছাই
ধুত্তরি ছাই মন ভালো নাই...
তোমার মন এ আমার মন এ
ভালোবাসার রঙ ভাল নাই...।।
রাস্তা হাটা মেয়েটিও কপালে আজ
টিপ পরে নাই......