প্রখর-রোদ্দুর
==========
তোমার হাতে জল ছিলো
আর, আমার বুকে ক্ষয়
মাতাল হাওয়া আকাশ জুড়ে রঙ্গের ফানুষ বয় ।
আমার বুকে অরণ্য
আর, তোমার কাঁধে চর
দরজা খিলান খুঁজতে থাকে আকাঙ্খার-ই জ্বর ।
ঝড়ের মাঝে খড়কুটো
আর, নদীর গায়ে টান
বাতাস করে ফন্দি ফিকির জোয়ার জলে বান ।
চাঁদের গায়ে মখমল সাজ
আর, নেকড়ে গলায় ডাহুক
মাতাল করা জোছনা মেখে রাজকুমারী জাগুক ।
জলের চিঠি
বাদুড় ডানায় সন্ধ্যা নামে
নীলচে ধূসর ঐ আকাশে,
উড়িয়ে চিঠি স্বচ্ছ খামে
মেঘকুমারী মুচকি হাসে;
জলের লেখা পড়লে ঘাসে,
অচিন আশে,
হৃদয় ভাসে।
--রিম; ৮।৬।২০১০
আপাত শুরু হউক পাঠ ‘ইচ্ছের তীব্র তীর’ বেয়ে ওঠা
নিয়ম ও সংঘাত
আর্তনাদ বাড়াও হাত হইয়ো না চুপচাপ; চোখে স্বপ্নঠাসা
কি কও বিষদাঁত?
গতিপথে চোখ ফুলে আছে; স্মৃতি নাড়িয়ে এত কার হাঁটা?
রাখো প্রস্তুত!
আকার-ইঙ্গিতে ব্যথা গলে পড়ে; তখন শরীর কি রকম লাগে?
সে বিবেচনায় স্মরণ করি লোকালয়; আপাত পৌষ ও মাঘে
বন পাড়ায় মূল্যবান কিছুই নেই; মনখারাপ হওয়া প্রিয়রাত
দরজায় দাঁড়ায়!
এবার দেখে নেবো কোথায় দাঁড়ালো ক...
…
কথায় কথায় ‘দিব্যি’ টানা ঠিক নয়। তবু
মেয়েটি, ছেলেটির কোন অক্ষমতাকে নয়, বরং
অনির্ণীত সামর্থ্য আর অপরিমেয় সম্ভাবনাকেই জিম্মি করে দিলো
সমুদ্রের দোহাই টেনে।
মেয়েটি কি জানতো, ছেলেটি সমুদ্র আর সমুদ্রের
অপার্থিব জগতটাকে অসম্ভব ভালোবাসে ?
সমুদ্রের গভীর নীল জলে সে শুধু মেয়েটির প্রতিচ্ছবি
দেখতো বলেই কিনা কে জানে,
পড়ন্ত বিকেলের ধুসর আলোয় চুপ করে বসে থাকে
বিষণ্ন সৈকতের প্রান্তসীমা...
যে ঔষধগুলো প্রেসক্রাইব করা হয়েছিলো,
সর্বসাকুল্যে তার মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৭২ টাকা।
'১৭২ কোটি কালো টাকা উদ্ধার করা হয়েছে
এক দেশদরদী! নেতার একাউন্ট থেকে'
এই খবরটি যখন আমারা পড়ছিলাম
চা খেতে খেতে দেশোদ্ধার করছিলাম
আর কাদের যেন পিন্ডি চটকাচ্ছিলাম
তখন বুড়ো লোকটি প্রেসক্রিপ্শন নিয়ে
হাত পেতে দাঁড়িয়ে গেল নাতির বয়সী
ছেলেমেয়েগুলোর সামনে...
ঔষধগুলো না হলে যে বাঁচানো যাবেনা,
একমাত্র মে...
মস্তিষ্কের কোথাও না কোথাও আবেগ থাকে
আর থাকে বৈষয়িকতা, তাদের মাঝামঝি কোনমতে টিকে থাকে ভালবাসা
বিমানের পর্যাবৃত্ত ঐকতানে কেঁপে ওঠে আকাশ,
বৃষ্টি হবে, হবে না, হয় না, এলোমেলো গল্পরা বাঁধবেনা উপন্যাস
মানুষের পচনশীল সভ্যতায় সংবেদনশীলতার নিখোঁজ সংবাদ
বাণিজ্যিক কবিতার নীচে চাপা পড়া সৃজনশীলতার গলিত লাশ;
নগরীর দূষিত নদীসমূহ অমৃতবিহীন মৃত-প্রায়,
নেহাত বৃষ্টিতেই শহর সাজে হঠাৎ ভুল ক'র...
স্বপ্নভঙ্গ ও স্বপ্নের কাব্য
রবিউল ইসলাম
সুকান্ত বলেছিলেন,”জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার,তবু মাথা নোয়াবার নয়”,
জ়্বলেছি বটে ,পুড়েছি ঢের ,জিনেছি জয় বেশ আগে,
তবু আজ?
আজো যে অক্লান্ত দাবানল??
তেত্রিশ টি ফাগুন কেটেছে তবু আগুন নেভেনি।
আজ এইদেশ শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘশ্বাস,বিদেশি ভাষার ককটেল
ক্ষমতাধরের পুতুলনাচ,রাজাকারের রঙ্গমঞ্চ।
বাংলা আমার তুমি আজ কেবল বেহায়ার দলবদল,একদিনের পান্...
একটি সময়কে গুনে রেখে চলছে নিস্কাম
থোড়া
লাজ খোলা হাসির জুড়েই মনস্কাম
খাড়া
অপূর্ণফল তোমার জন্য রাখছি না-আসা প্রেম
ছাড়া
কুড়াই এসো দেহকাবা ছুঁয়ে কোথায় লুকানো হৃদয়কাবা!
একটি সময় গুনে রাখছি, ভাবছি গেছে যতদিন
আমাদের
স্মৃতিফুল মরে যাচ্ছে তো যাবেই- জীবন
পরপার
শীতপ্রিয়ঋতু হউক আমার মৃত্যুদিন... যেমন
কবর
ভুলমন্ত্র পাঠে যন্ত্রনাকোমল... যতসব ভাবা
ওরা তোমাকে মুছে দিতে চায়
তাদের কাল্পনিক আধুনিকতার ধুষরে
ওরা তোমাকে বদলে দিতে চায়
নিজেদের গড়া সঙ্গায়
ভুলি যেতে চায় আর মুছে দেয়
তোমার গর্বিত অতীত
কুপমুন্ডক তাদের দুনিয়া
গুন্ডিত করতে চায় তোমার ইতিহাস
লুণ্ঠনের লালসা অমিত ওদের
তোমার ধংসের উত্সবে মাতহারা
ওরা বলে তোমায় ভালবাসে
ওদের ভালবাসা নয় কি প্রশ্নবিদ্ধ
ওদের অদ্ভুত আচরনে?
--- স্বপ্নরোগী (ওসাইরিস নেমিন ওয়াহিদ)
সচলে এই আমার প্রথম পোস্ট। নির্দিষ্ট কোন প্ল্যানিং ছিল না; সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম...রাত্রি জাগরণের মুসাফির-মুসাফির ভাব আর চায়ের তৃষ্ণা,- দুটোই ছিল চোখেমুখে। মুজগুন্নী মহাসড়কে অনেক শান্তিপ্রিয় মানুষ,- প্রৌঢ়, বৃদ্ধ, বোরখা-আটকা মহিলা এমনকি কিশোরীরা- ঘোরলাগা একটা শান্তিতে হেঁটে বেড়াচ্ছে এইসব দেখতে দেখতে আমারো একটা পরিব্রাজক-পরিব্রাজক অনুভূতি হচ্ছিল। মুজগুন্নী পার্কের উত্তরপা...