ইচ্ছে করে জেগে উঠি পুর্নবার; গলা চেঁচিয়ে বলি আমি আগেই জানতাম হাওয়াভরে তুমি দাঁড়াতে শিখনি, দাঁড়াতে পারবে না আর। সময়ও বাঁধবে না নিয়ম। কিন্তু তোমার আগ্রহ কম! আগ্রহ, আমিও যদি এরকম হই... দৃশ্যহত্যা দেখবো বলে দাঁড়াই, তার আগে দু'শো-এক সেকেণ্ডের আত্নহত্যা দেখে বাড়ি ফিরি; সেকেণ্ডহত্যার ডরে তুমি ঘামো, ভয়ে দু'হাত ঘষে শরীরে মিশাও; নাক ঢলে অনুভব করো-
সেকেণ্ড-মিনিট গুনে সন্ধ্যা সাতটায় মনটা কত কি...
প্রশ্ন:
আজ চট্টগ্রাম শহরটা কেমন আছে?
ছাত্ররা কি বেশী দুষ্টুমী করেছে?
ডাক পিয়ন কি আজও ভুল করে পাশের বাসার চিঠি দিলো?
ছাদের কার্নিশে কি এখনও বিকেলের রোদ পরে?
ভয় পেলে কি আমার প্রিয় ঐ কালো বেড়ালটা দেখে?
তোমাদের গলিটা-
সেই চায়ের দোকানটা, এখনও কি বাকী দেবে আমাকে?
আর তুমি- মিথ্যে করেও দিলে না একটু আশ্রয়।
উত্তর:
শহর-টা আজ সবুজের ঘ্রানে আনমনে,
ইস্কুল- দিয়েছি সব তালা ঝুলিয়ে-
ডাক পিয়...
হলুদ আলোয় ভেসে গেছে ঘরদোর,
দেদারসে আজ মিলে যাচ্ছে
পাপ-পূণ্যের জটিল হিসাব।
জীবন, তুই আর কতবার পায়ে দিবি প্রাচীন শিকল?
তোর ডানাভাঙ্গা চড়ুইয়ের স্বপ্ন
তোর অক্লান্ত হাটার প্রত্যয়
তোর চিলেকোঠার নিঃসঙ্গ অন্ধকার,
সব বিক্রি করে দিয়ে বাজার দরে
চল্ আমরা বেরিয়ে পড়ি হরিণ শিকারে।
-অন্ধকারের পথিক
ইচ্ছে করে চুপটি করে
সকল কথা বলতে,
ইচ্ছে করে উদাস মনে
অচিন পথে চলতে।
ইচ্ছে করে আকাশ থেকে
বৃষ্টি পেড়ে আনতে,
ইচ্ছে করে অদ্ভূতুড়ে
সকল কিছু মানতে।
ইচ্ছে করে ভুবন ভুলে
নিজের মনে ভাসতে,
ইচ্ছে করে ইচ্ছেমতন
একটুখানি হাসতে।
ইচ্ছে করে সবাই মিলে
কোথাও গিয়ে ঘুরতে,
ইচ্ছে করে পাখনা মেলে
গগনজুড়ে উড়তে।
ইচ্ছে করে সমন ভুলে
যখন তখন রাগতে,
ইচ্ছে করে সবার সাথে
আড্ডাতে রাত জাগতে।
ইচ্ছে করে চি...
দেউটি নিভায়ে দাও, ওগো প্রভু , নিরঞ্জন
সূর্য ডুবে যাক ধীর লয় সঙ্গীতে।
একা বসে আছি , ঠোঁটে চুম্বন
আর দুটি কাপ চা , এই অধীর দু'হাতে।
এখন আষাঢ়। শূণ্য মন্দির। কেউ নেই ঘরে।
আজ মেঘেরাও চলে গেছে দূর দেশে
নগরীর চিল ঘুরছে এখনো ,চক্রাকারে
সবুজ টিয়ে ঝাঁক ঝাঁক ফিরছে প্রদোষে।
সোডিয়াম বাতি সব জ্বলবে এখন
শহরে, অন্ধ গলিতে।
একা বসে আছি, ঠোঁটে চুম্বন
আর দু'টি পেয়ালা অধীর দু'হাতে।
কৃষ্ণ কানহাইয়া
...
দারফুরের কঙালসার শিশুরা
তোমাদের দিতে পারি না খাদ্যের আশ্বাস কিংবা মুক্তির স্বাদ
খালি পারি, মানবতার নামে বলি দিতে।
আমরা মানুষের মোড়কে কিছু অমানুষ
পারলে আমাদের ক্ষমা কর।
ফিলিস্তিনি কিশোরেরা
হাতের কলম ফেলে তুলে নিয়েছ ইট,পাথর আর নুড়ি
মুগ্ধ হই তোমাদের সাহস দেখে
তবু পারি না ইসরাইলী বেয়োনেট থেকে বাঁচাতে
নীতিবাগীশ ফাঁকা বুলি ছাড়া যে কিছুই নেই আমাদের
পারলে ক্ষমা কর আমাদ...
কবে কোনকালে বেহুলা গ্যাছে এই স্রোতে
তারই শোকে জলেশ্বরীর ঢেউয়ে আজো দ্বীর্ঘশ্বাস।
দংশনই যদি নিয়তি হবে, তবে সহস্র সাধনাতেও তাকে যায়না এড়ানো,
লৌহবাসরে - সেই বুঝি সদ্যপরিনীতার প্রথম পাঠ।
শাস্ত্র থেকে আমদের মৃত্তিকা জীবন
শেখেনি কিছু, ক্ষরন এড়ানোর হিরন্ময় চেষ্টায়,
তারো নিয়তি শুধু নিরন্তর ভেসে চলা,
দিকচিহ্নহীন অজানা স্রোতে, স্বপ্নের লাশ নিয়ে - একাকী ।
তোমার জন্য মুগ্ধতা
সমস্ত আয়ুকাল জুড়ে
তোমার ইচ্ছের পরশে গলে
মোম হয়েছি
নিতে পারো যেমন খুশি গড়ে
তোমার ইচ্ছেগুলো আমার আকাশ
সেথায় সুখ পাখিরা উড়ে।
মিনা আহমেদ
কোন এক সন্ধ্যাবেলা বেদনাহত প্রাণে
বসে বসে ভাবছিলাম একা নদীকিনারে। নাহ্
তাকে ঠিক ঠিক সন্ধ্যা বলা যাবে না তবে
বিকেলও ছিলো না; আর সত্যি কথা যদি বলতে হয়
ওগুলোকে কোনভাবেই ভাবনা বলা যায় না।
বরং ক্রমাগত ভাবনার ভারে আমি ছিলাম ক্লান্ত, ভীষণ ক্লান্ত,
বস্ত্তত আমি আর ভাবতেই চাইছিলাম না।
বহুদিন আগের কথা- দু’একটা ভুলতো হতেই পারে
আর কথা পুরোনো হলে ঠিকমত কে কবে রেখেছে মনে ।
যাক গে সে সব। মোটক...
রাঘবে বোয়ালে
যশের খেয়ালে
এভাবে দমালে
ফুটে কি ফুল কমলে?
দোকানের পসরায়
যতই ফুলই শোভা পায়
মুক্ত পথিক তবু বনফুলেই সুখ পায়
যতই সুবাস দিক দোকানের পসরায়
বনফুল সৌরভ চারিদিকে ছড়াবেই
মুক্ত পথিক মন বনফুলে মাতবেই।
লেখক - যাচিত বিবেক