জার্মানী, অস্ট্রিয়া আর সুইটজারল্যান্ড তিন দেশকে উপকূল দিয়েছে লেক কনস্ট্যান্স; পশ্চিম ইউরোপের দীর্ঘ নদী রাইনের তরল স্ফটিক। মাসুদ রানা থেকেই লেক কনস্ট্যান্স নামের সাথে আমার প্রথম পরিচিতি। মাসুদ রানা থেকেতো কত জায়গার গন্ধই পেয়েছি। কিন্তু এই হ্রদের জন্য কি এক অদমনীয় টানে অজান্তেই বশীভূত হয়ে আছি অনেককাল। ইচ্ছে ছিল জীবনে কখনো ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ হলে যাবই যাব। এসেছি তাও বেশ ক বছর হয়। এবারের গ্রীষ্মে সুয
[justify]রৌদ্রজ্জ্বল একটি দিন, একপাশে সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষে আঁকাবাঁকা রাস্তা, অন্যপাশে বিস্তীর্ণ সৈকত ছুয়ে নীলে রঙের সাত আটটা শেড তৈরি করতে করতে সমুদ্র মিশেছে গাড় নীল দিগন্তে। ভয়ংকর সুন্দর বুঝি একেই বলে!
[justify]১০৬ মিলিয়ন বছর আগেকার কথা,। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের অটওয়ে সমুদ্রতট। সেসময় এই উপকূলের তাপমাত্রা আজকের চেয়ে অনেক কম, কারন অস্ট্রেলিয়া ছিল এন্টার্কটিক সাইকেলের ভেতরে। সুবিস্তীর্ণ সমুদ্রের সুনীল জলরাশি নিরন্তর আছড়ে পড়ছে অনাদিকালের নিরবতা কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে। যেন প্রতিমুহূর্তে সগৌরবে মহা কালকে মুচকি হেসে বলছেঃ "তুমি একাই প্রাচীন নও, হিসেব করে দেখো, আমিও ছিলাম; আছি; আর থ
পশ্চিম ইউরোপের বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে দীর্ঘ স্রোতস্বিনী রাইন। রাইনের পূর্ব তীরে ছবির মত ছিমছাম পরিপাটি এক দেশ। প্রায় পনেরশ বছর আগে পাহাড়ের মাঝের এই বিচ্ছিন্ন ভু-খন্ডে থিতু হতে আসা আলেমানি গোষ্ঠীর বংশ ধারা বয়ে এসেছে এদেশের অধিবাসীদের মাঝে। যদি ‘এক দেশে ছিল এক রাজা, রানী, রাজ পুত্র আর তাদের প্রজাকুল’ এভাবে শুরু করতে পারতাম তবে যথার্থ হত। সুবিশাল আল্পস পর্বতমালার একাংশ গভীর আলিঙ্গনে ঘিরে রেখেছে রু
স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরগুলো সম্বন্ধে সবাই কমবেশী পরিচিত। জ্ঞানের প্রচার এবং প্রসার - এই লক্ষ নিয়ে ১৮৪৬ সালে আমেরিকার সরকার স্থাপিত করে একগুচ্ছ জাদুঘর। প্রতিষ্ঠাতা দাতা এবং ইংরেজ বিজ্ঞানী জেমস স্মিথসন-এর নামানুসারে এদের নামকরন করা হয় স্মিথসোনিয়ান। "জাতীর চিলেকোঠা" হিসেবে অভিহিত এইসব জাদুঘরে রয়েছে ১৫৪ মিলিয়ন দূর্লভ প্রদর্শিত বস্তু। এখন পর্যন্ত রয়েছে ১৯ টি জাদুঘর, ৯ টি গবেষণা কেন্দ্র, একটি চিড়িয়াখানা যাদের বেশীরভাগের অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি। বুঝতেই পারছেন একদিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমনে এতগুলো জাদুঘর ঘুরে দেখা দুঃসাধ্য কর্ম। সেই সাথে এদের প্রদর্শিত বস্তু নিয়ে লিখতে বসলে বইয়ের পর বই লিখতে হবে, এবং সে কাজও গবেষকরা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন! এ লেখায় আমার উদ্দেশ্য শুধু এই জাদুঘরগুলো সম্বন্ধে আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। তাই চেষ্টা করলাম কিছু চমকপ্রদ প্রদর্শিত বস্তুর রেকর্ডকৃত ভিডিও এবং তাদের অতিসংক্ষেপিত কাহিনী এ লেখায় তুলে ধরার। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং মনে এই বিশ্বখ্যাত জাদুঘরগুলো দেখার বাসনা জাগবে। চলুন তাহলে পড়ে দেখা যাক ...
ছবিঃ স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামে প্রদর্শিত একটি মোয়াই। ইস্টার দ্বীপের আহু ও-পেপে অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে আনা হয়েছে এটি।
স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরগুলো সম্বন্ধে সবাই কমবেশী পরিচিত। জ্ঞানের প্রচার এবং প্রসার - এই লক্ষ নিয়ে ১৮৪৬ সালে আমেরিকার সরকার স্থাপিত করে একগুচ্ছ জাদুঘর। প্রতিষ্ঠাতা দাতা এবং ইংরেজ বিজ্ঞানী জেমস স্মিথসন-এর নামানুসারে এদের নামকরন করা হয় স্মিথসোনিয়ান। "জাতীর চিলেকোঠা" হিসেবে অভিহিত এইসব জাদুঘরে রয়েছে ১৫৪ মিলিয়ন দূর্লভ প্রদর্শিত বস্তু। এখন পর্যন্ত রয়েছে ১৯ টি জাদুঘর, ৯ টি গবেষণা কেন্দ্র, একটি চিড়িয়াখানা যাদের বেশীরভাগের অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি। বুঝতেই পারছেন একদিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমনে এতগুলো জাদুঘর ঘুরে দেখা দুঃসাধ্য কর্ম। সেই সাথে এদের প্রদর্শিত বস্তু নিয়ে লিখতে বসলে বইয়ের পর বই লিখতে হবে, এবং সে কাজও গবেষকরা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন! এ লেখায় আমার উদ্দেশ্য শুধু এই জাদুঘরগুলো সম্বন্ধে আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। তাই চেষ্টা করলাম কিছু চমকপ্রদ প্রদর্শিত বস্তুর রেকর্ডকৃত ভিডিও এবং তাদের অতিসংক্ষেপিত কাহিনী এ লেখায় তুলে ধরার। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং মনে এই বিশ্বখ্যাত জাদুঘরগুলো দেখার বাসনা জাগবে। চলুন তাহলে পড়ে দেখা যাক ...
ছবিঃ এরকম অসংখ্য অসামান্য চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, প্রাকৃতিক এবং প্রযুক্তিগত ইতিহাসে সমৃদ্ধ স্মিথসোনিয়ান । যার অতি যৎসামান্য তুলে ধরার চেষ্টা করব এই সিরিজ লেখায়।
আমি এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজে চড়িনি। আমার জানা নেই, উড়োজাহাজ যখন মেঘের মধ্য দিয়ে উড়ে চলে তখন যাত্রীদের পাখীর মত উপলদ্ধি হয় কি না। উড়োজাহাজে উঠতে না পারার আফসোস আছে বটে। আকাশ পথে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমার মনেহয় স্থল পথে, নদী পথে, সমুদ্র পথে ভ্রমণ বেশী উপভোগ্য হয়। তবে নিশ্চয় উড়োজাহাজে আরাম বেশী, সময় বাঁচে।
যাওয়ার কথা ছিলো দার্জিলিং। কিন্তু কপাল কখনো কখনো বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ে - ‘আমি আছি’। এখানে লেখা না থাকলে জোটে না অনেক কিছুই। কোলকাতায় সারাদিন ঘুরেও জলপাইগুড়ির ট্রেনের টিকেট পাওয়া গেলো না। এমনকি বাসের টিকেটও না। সাথের অন্যান্য ভ্রমণসঙ্গীরা আমার ভরসায় গালে হাত দিয়ে ব্যাকুল চিত্তে বসে আছে, হয়ত কিছু একটা ব্যাবস্থা করে ফেলতে পারবো। কোলকাতায় আমার এক বড়ভাই-বন্ধু আছেন – বাপ্পীভাই। তিনিও আমাদের সাথে ট্রেন টিকে
চোখের সামনে বিস্তৃত একটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির খাড়া পাহাড়ের দেয়াল। যেন সত্যজিৎ রায়ের একশৃঙ্গ অভিযান গল্পের ডুংলুং-ডো। আশ্চর্য কোন জগত অপেক্ষা করে আছে তার ওপাশে। শুধু ংমুং লেপা জুতো পড়ে ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ডের বাচ্চাদের মত ভেসে ভেসে প্রাচীর পাড়ি দেবার অপেক্ষা। কিন্তু দেয়ালটা স্থির নয়। প্রবল গর্জনে প্রতি সেকেন্ডে হাজার টন পানির ধারা ঝড়ে পড়ছে এর গা বেয়ে। প্রায় দেড়শ ফিট নিচে এসে আছড়ে পড়ে পানির উপর তৈরী করছ
- “লাল পানির নদী দেখেছ কখনো" ? আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো নিক। মুখে মিটিমিটি হাসি।
- “না ত। এ নদীর পানি খেলে কি নেশা হবে নাকি ? পাল্টা প্রশ্ন করি আমি।
- "আরে ধুর। এ পানি সেই পানি না।" হাত নেড়ে কথাটা উড়িয়ে দেয় নিক। খানিকটা আশাহত অবার ভান করি আমি।
- “ও। তাহলে পানি লাল হবার কারন কি ? লোহার আধিক্য না লাল মাটির মিশেল ?”
নেতিবাচক ভাবে মাথা নাড়ে নিক। জবাব দেয় না। মিটিমিটি হাসে।