এই সেলফোন, ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের যুগে আমি যদি জানাই আমরা তিনভাই শৈশব পাড়ি দিয়েছি কিসব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, আজকের জেনারেশন হেসে গড়াগড়ি যাবে।
সুপার ফ্রাইডে
নানাবিধ কারণে ব্ল্যাকসবার্গ থেকে সাময়িক পালানো জরুরী হয়ে পড়েছিলো, মাস দুয়েক আগে পাওয়া একটা ইন্টার্নশিপের অফার তার একটা চলনসই ব্যবস্থাও করে দেয়। এলিয়েন হয়ে অ্যামেরিকাতে ক্যাম্পাসের বাইরে কোন কাজ করতে যাওয়ার নানা আচার তন্ত্রসাধনার প্রস্তুতির চেয়ে অনেক জটিল আর সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জব পারমিট পাওয়ার জন্য প্ল্যান অফ স্টাডি জমা দিতে হয়, তার জন্য বাচ্চা অবস্থায়ই পিএইচডির কমিটি তৈরি করে ফেলতে হয়। তার জন্য নানা প্রফেসরকে ইমেইল করে কি সামনাসামনি দেখা করে পটাতে হয়, তার জন্য রিসার্চ প্ল্যানের কল্পবিজ্ঞান লিখতে হয়। দিন দশেক সময় নিয়ে সব কিছু শুরু করে গ্র্যাজুয়েট স্কুলে সব কাগজপত্র জমা দিই মাত্র এক সপ্তাহ আগে। কোন কিছুই দ্রুত চলতে চায় না, খোঁচা খোঁচা দাড়ি মুখে ভয়ানক চেহারা নিয়ে সম্ভাব্য মধুরতম হাসি দিয়ে গ্র্যাজুয়েট স্কুলের নানা লোকজনকে পটানোর চেষ্টা করি। তেমন একটা কাজ হয়না এতে।
[justify]
[justify]
সেই অনেক বছর আগে যখন প্রথম পড়েছিলাম রফিক আজাদের 'চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া' কবিতাটা, যখন সেখানে পড়েছিলাম "চুনিয়া মানুষ ভালোবাসে" তখন মনে হয়েছিলো চুনিয়া নামের এই জায়গাটায় না গেল
[justify]দুটি হাত বুকের কাছটায় ভাঁজ করে মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে গৃহত্যাগী এক সন্ন্যাসী প্রায় শত বছর আগে আউড়েছিলেন এক শ্লোক, “উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত”, অর্থাৎ ওঠো, জাগো, জ্ঞান লাভ করো। এই শ্লোকটির কথা আমার খুব করে মনে থাকলেও মিহি ঠাণ্ডার প্রত্যুষে আমি ওসব ভুলে থাকার ভান করে মাথার ওপরে কম্বল মুড়ি দিয়ে লুকিয়ে থাকি। তবে সব
[justify]
প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে অ্যামেরিকার নানা ল্যান্ডমার্ক বিজয়ের অভ্যাস আমার অনেক পুরোনো। তবে প্রচারবিমুখ বলে সেই বিজয়গুলার কথা কোথাও তেমন একটা বলা হয় না। সেই কবে অনেক বিনয়ের সাথে স্যান মিগ্যাল বিজয়ের কথা লিখেছিলাম, সেই বিজয় এতটাই কনভিন্সিং ছিলো যে সেটা নিয়ে কেউ কোথাও প্রশ্ন তুলেনি। সম্প্রতি অ্যামেরিকার অন্যতম বিখ্যাত দুইটা শহর ব্ল্যাকসবার্গ আর ক্রিশ্চিয়ানবার্গকে সংযোগকারী হাকলবেরি ট্রেইল বিজয়ের পর মনে হলো এর খুঁটিনাটি শেয়ার করে পুরো বাংলাদেশকে গর্ব করার একটা উপলক্ষ দেই।