'পাকি' সব করে রব

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শুক্র, ০২/১১/২০০৭ - ১০:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ 'প্রথম আলো'তে জাফর স্যারের(মুহাম্মদ জাফর ইকবাল) একটি লেখা বেরিয়েছে। লেখাটির শিরোনামঃ "ঘৃনা থেকে মুক্তি চাই"।

লেখাটি পড়ে আরো একবার আমার বুকের ক্ষত দগদগিয়ে উঠল। আরো একবার পোষ মানা এই প্রান উচাটন হল। আমার সামনে করিডোর দিয়ে হেটে যাওয়া কিছু মানুষ, কিছু কন্ঠস্বর শুনে হাতের মুঠো শক্ত হল।
ব্যস এই পর্যন্তই।
তারপর সদ্য জাগ্রত বিবেকের দংশন মেটাতে 'সচলায়তন' এ লেখা লিখছি। এর পর নিশ্চয়ই রাতে ঠিক ঘুমুতে যাব। কাল হয়ত রবের সাথে এই নিয়ে ঘন্টা খানেক উত্তেজিত বাক্যালাপ হবে। কিন্তু, তারপর?

আমি যখন এই দেশে এসে পৌছুই, তখন আমার সাথে ছিল দু'টো স্যুটকেস আর 'পাকি' দের জন্য বুকভরা ঘৃনা। আমি যেদিন প্রথম পাকি দেখলাম সে দিনটার কথা আজো মনে আছে। তখন দুপুরবেলা। আমার সাথে ইলেক্ট্রোডিনামিক্স কোর্স এর 'সহযোদ্ধা' লিথুয়ানিয়ার ছেলে গেদিমিনাস। খুব দেশের জন্য মন খারাপ হলে তাকে 'গেইদ্দা' বলে ডাকি। সে খুব একটা আপত্তি করে না। আমরা লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে গুলতানি মারছি এমন সময় একজন সহকর্মী তার সঙ্গে আসা এক ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। 'এ হল ব--, এই Fall এ আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ যোগ দিয়েছে।' আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম। করমর্দন করতে করতে জিজ্ঞেস করলাম সে ভারতের ছেলে নাকি। ব-- মাথা নেড়ে বলল 'না, আমি পাকিস্তানের'। এর পরের ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটল। আমি ঝট করে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড় দিলাম restroom এর দিকে। বেসিনে সাবান দিয়ে বার বার হাত ধুলাম। জানি খুব 'মেলোড্রামাটিক' শোনাচ্ছে। কিন্তু আদতে আমি তাই করেছিলাম। এমন না যে ওই ঘটনার জন্য আমি গর্ব বোধ করি, কিন্তু ঘটনাটা ঘটেছিল। হাত ধোওয়া শেষ করে পেছন ফিরে দেখি, গেদিমিনাস রাজ্যের অবিশ্বাস আর ক্রোধ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সে প্রায় তোতলাতে তোতলাতে জিজ্ঞেস করল, ' তুমি এই মাত্র কি করলে? তোমার কি মাথাটা গেছে ?? এইটা কি রকমের ব্যবহার?'

আমি খুব ঠান্ডা গলায় তাকে বললাম, প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বরে তুমি কি আমাদের বাসায় গিয়ে থেকেছ? গেদি আরো খেপে গিয়ে বলল, আরে...তোমার তো মাথাটা আসলেই গেছে। যাই হোক, যতই অবান্তর শোনাক, তোমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি--- না থাকি নি। এখন আমাকে প্লীজ বল যে .........

তাকে হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে বললাম, তাহলে তুমি আমার এই কান্ডকারখানার কিছুই বুঝবেনা। আমার রক্তিম চোখ, হিসহিসে কথা বলার ভঙ্গি দেখে গেদি আর সেদিন কথা বাড়ায়নি। পরে আমার যখন মাথা ঠান্ডা হয়েছে তার সাথে কথা বলেছি এই নিয়ে। বলেছি, এই পৃথিবীর এক বিশেষ দেশের মানুষের প্রতি আমি কি পরিমান ঘৃণা নিয়ে আছি। বলেছি, প্রতি ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে আমার মা এর মলিন মুখের কথা। বলেছি, মা কেমন করে প্রতিবার অশ্রুতে আপ্লুত হন, তার মৃত ভাইটির কথা স্মরন করে, যাকে ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের কিছু 'স্বেচ্ছাসেবী' বাহিনীর সহায়তায় পাকি-র বাচ্চারা কুকুরের মত গুলি করে মেরেছিল। তার অপরাধ? তার অপরাধ ছিল--- তার বয়েস ২১ বছর, তার অপরাধ ছিল সে কিছু 'কুকুরের' ভাষা বুঝতে পারেনি। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল--- সে একজন বাঙ্গালি।

আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের পরের বছর। একটি স্বাধীন দেশে আমি আমার প্রথম নিঃশ্বাস নিয়েছিলাম। আমি যুদ্ধ দেখিনি। আমি দেখিনি আমার বাবা মায়ের প্রানের ভয়ে মাইলের পর মাইল হেটে যাওয়া। দেখিনি আমার বোনটির ক্ষুধা তৃষ্ণায় মরমর হয়ে যাওয়া।

নাহ। এসব কিছুই দেখিনি। আমি কেবল দেখেছি আমার
দুখিনি মা এর কান্না। আজ স্বাধীনতার এত বছর পর ও আমার মা তার ভাইটির কথা মনে করে অশ্রু সমাকুল হন।

যাই হোক মূল প্রসঙ্গ থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি। বলছিলাম জাফর স্যারের লেখাটির কথা। স্যার লিখেছেন যে আজ বাংলাদেশে এমন কোনো পরিবার খুজে পাওয়া যাবেনা যারা তাদের আপন জন ৭১ এ হারায় নি। আজো দেশের কোটি কোটি ঘরে আপন হারানোর বেদনা হুতাশন হয়ে ঘুরে বেড়ায়।

কিন্তু স্বাধীন দেশে আমরা জন্ম নিয়ে কি করলাম? মুক্তিযুদ্ধ কে 'গন্ডগোল' বলা শিখলাম (আসলেই সে সময় বড়ই 'গোল বাঁধিয়াছিল')। চোখে সুরমা দেয়া কিছু শেয়াল জানালো, আমরা নাকি ঐ পাকি আমলেই ভাল ছিলাম। আরেকটু বড় হয়ে জানলাম, আমরা এখনও ঠিক নিশ্চিত নই আমাদের ১৯৭১ সালে কি হয়েছিল। একেকবার একেক উর্দি পরা ঋষভ পুঙ্গব এসে ক্ষমতা দখল করতে লাগল। ভাঙ্গা স্যুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জির মালিক সান গ্লাস পরে যেখানে সেখানে খাল কাটা শুরু করলেন। কিছু দিন পর আরেক বলদ চুড়ামনি এসে প্রথম কিছু দিন সাইকেলে করে অফিসে যাওয়া শুরু করল। উনি নাকি 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ' ঘোষনা করেছেন। তার সে জেহাদ নয় বছর চলেছিল। চারুবাক হুমায়ুন আজাদ তার প্রবচন গুচ্ছে লিখেছিলেন,' অন্য সামরিক শাসকের সাথে এরশাদের পার্থক্য ছিল এই যে, অন্যেরা কেবল দেশের রাষ্ট্র যন্ত্র কে দূষিত করেছিল, আর এরশাদ আমাদের মেয়েদের পর্যন্ত দূষিত করে ছেড়েছে (স্মৃতি থেকে লেখা,কাজেই ক্ষমাপ্রার্থি যদি গড়বড় করে থাকি)'।

জানিনা এরই রেশ ধরে কিনা, আমার দেশের এক ললনা খোলা ষ্টেডিয়ামে সবার সামনে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বললেন ' আফ্রিদি merry me!'

এই পুরষ্কার প্রাপ্য ছিল আমাদের?

'পাকি-দের ক্রিকেট আমি পছন্দ করি কারন তাদের খেলা আমার অসাধারন লাগে, এখানে রাজনীতি ঢুকানোর কোনো মানে হয়?'

'স্বাধীনতার অনেক বছর হয়েছে। এখন ওইসব ব্যাপার নিয়ে তর্ক করার কোনো মানে হয়?'

নাহ। আসলেই কোনো মানে হয়না। আমরা বিজয় দেখিনি। আমরা দেখেছি আমাদের অসহায় আত্মসমপর্ন সময়ের হাতে। আমরা দেখেছি দেশের আনাচে কানাচে দ্রুত গজিয়ে ওঠা দাঁড়ি-পাঞ্জাবীওলা।

আমাদের পরের প্রজন্ম আরো অসাধারন। তারা অসৎ বাপের টাকায় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়ে, আধো বাংলা, আধো ইংরেজিতে লর্ড ক্লাইভের কন্ঠস্বরে বলতে লাগলঃ 'Its not cool, man. Why do you hate them? What's done is done. Lets be friend now'

কোনো কারনে আমি cool হতে চাইলাম না। ঘাড় তেড়া করে গলার রগ উচিয়ে তর্ক করতে থাকলাম।

তারপর?

তারপর এই দেশে চলে আসা। এই দেশে এসে আমার যতগুলো আফসোসের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে পাকিদের সাথে সাক্ষাত অন্যতম। আমি কিছুতেই সহজ হতে পারিনি। এবং ওদের এ কথা বুঝিয়ে দিতেও দেরী করিনি।

আমেরিকায় আসার সাত বছর পর আমি হয়ত এখন বেশ cool। কারন, এখন আমি পাকি-দের সাথে হাত মেলাই। আগের মত দৌড়ে গিয়ে হাত ধুইনা। এমনকি মাঝে মাঝে রসিকতা পর্যন্ত করি। আর রাতে এসে নিজেকে বোঝাই, এতে আপসেট হবার কিছুই নেই। 'ওরা' তো আর এর ভাগীদার নয়। 'ওদের' দোষ দেয়াটা একে বারেই ছেলেমানুষি।

আমি আসলেই এখন 'বড়মানুষ' হয়েছি। কপট ভদ্রতায় লুকাই মনের ঘা। মিষ্টি মিহি বচনে কথা বলি। আমি এখন খুব মানবতা বাদী।

কেবল মাঝে মাঝে, জাফর স্যার হঠাৎ করে এইসব লেখা লিখে ফেলেন। আর আমাকে আবার টেনে নিয়ে যান শুরুর জায়গায়।

ফখরুদ্দিন গং- রা জানিয়েছে, তারা যুদ্ধপরাধিদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেবেন না। খালি বেচারাদের সমস্যা, আসল যুদ্ধাপরাধি চিনব কি করে? বিনা বিচারে তো আর মুজাহিদ আর নিজামীকে তাদের 'গনতান্ত্রিক' অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। লোকে বলবে কি!

বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন যে প্রচুর লোক আসলে যুদ্ধটা 'উপভোগই' করে,অবশ্য তখনি যখন যুদ্ধটি তাদের বাড়ির পাশে হচ্ছে না।

আমাদের সেই 'উপভোগের' দিন শেষ হয়ে এল প্রায়। খুব শিগ্রি আমাদের ঠিক করে নিতে হবে পথ।

সময় আর বেশি নেই।

" পাকি সব করে রব
রাতি পোহাইল..........."


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

সেই রকম হৈছে। ৫ দাগাইলাম। পরে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা পোষণ করি।
--------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বড় ভালো লাগল। আমিও দুর্ভাগ্য বশতঃ এক পাকি প্রফেসরের সাথে কাজ করছি। মন খারাপ নিজেকে লেজ কাটা শেয়াল মনে হয় মাঝে মাঝে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

পাকিস্তান একটি দেশ হলেও এটি এক জাতিসত্ত্বার দেশ নয়। এখানে নানা জাতি আছে।

পূর্ব পাকিস্তানে যখন বাঙালিরা নিজেদের স্বাধিকারের জন্য লড়াই করছে তখন অন্যান্য প্রদেশেও অন্যান্য জাতিরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছে। তাদের সেই আন্দোলনের কিছুটা রেশ এখনও আছে। এক পতাকার নীচে থাকলেও পাকিস্তানের করাচি-ইসলামাবাদ-কেন্দ্রিক ক্ষমতাবলয়ের বাইরে থাকা অনেক জাতি-গোষ্ঠীর নেতা বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনকে যৌক্তিক হিসেবেই দেখেছিলেন এবং এ থেকে অনুপ্রেরণাও পেয়েছিলেন।

বুশ মানে যেমন আমেরিকা না, তেমনি ভুট্টো ও ইয়াহিয়া মানে পাকিস্তান না। তবু আমাদের ঘৃণা সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তানের দিকেই যায়। তবে আলোচনা করলে অনেক ভ্রান্তি দূর হতে পারে। আপাত: সত্যের নেপথ্যে থাকা গভীরতর সত্যগুলোকে জানা ও প্রকাশ করাটাই আমাদের প্রচেষ্টা হওয়া দরকার।

লেখাটা খুব ভালো লাগলো। নিজের অনুভূতির দুর্দান্ত প্রকাশ। বিপ্লব।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

স্যালুট!

আড্ডাবাজ এর ছবি

এটা বারবার পড়তে হবে। পছন্দের শেলফে তুললাম। ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পাকিদের নাকউঁচু ভাব অবশ্য সর্বত্রই আছে। ভারতীয়দের সাথে ওদের পার্থক্য হলো, ওরা তুলনামূলকভাবে অনেক বেকুব।

এক অর্থে সবচেয়ে বড় বেকুব হলো রাজাকাররা। এরা আরবদের পা চাটে, পাকিদেরকে মাথায় তুলে, আত্মসম্মানের বালাই না রেখেই দেশের সাথে, দেশের মানুষের সাথে গাদ্দারী করে। এদের জন্য ঘৃণার সাথে সাথে করুণাও হয়। সে করুণা অবশ্য থাকে না এরা পশুর চেয়েও হিংস্র বলে।

যারা কোনোভাবেই পাকিস্তানকে বন্ধু ভেবে ওসব কথা বলে, তাদের জন্যও করুণা এবং ঘৃণাই জাগে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৌরভ এর ছবি

অনুভূতির দুর্দান্ত প্রকাশ!
ঘৃণা, আবেগ আর দ্বন্দ্ব - সব মিলেমিশে দারুণ।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রাহা এর ছবি

সময় আর বেশি নেই।
একমত
আমার লেখায় আর্মি মামুদের নিয়ে গদগদ কমেন্ট তাও একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে পেয়ে অবাক হলাম ।
৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসংগে সদা সতর্ক থাকুন (যেন সর্ষের মধ্যে থেকে ভূত না বের হয়)http://www.sachalayatan.com/mrhrussell/9914

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

অনিকেত এর ছবি

সকলকে অশেষ ধন্যবাদ আপনাদের সদয় মন্তব্য গুলোর জন্য।

@শোহেইল মতাহির চৌধুরীঃ আপনার সাথে আমি একমত। সব পাকি-রা একরকম না। আমার সাথে এই খানে একটি পশ্‌তু ছেলে আছে। পাকিদের প্রতি তার ঘৃনা আমার চেয়ে কম নয়। মাঝে মাঝেই আমাকে বিড় বিড় করে বলে, আমাদের (পশ্‌তু ভাষাভাষীদের) আসলে তোমাদের উদাহরন দেখে শিক্ষা নেয়া উচিত।

আমার দেশ, আমার ভাষা,------আমার পরিচয়। কোন কিছুর বিনিময়ে এইটা আমি বিনিময় করতে পারব না।

সকলকে আবারো ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য। একই সাথে অনুরোধ করব, চোখ কান খোলা রাখতে।

আমি একটা মুক্তিযুদ্ধ মিস করেছি, যদি দ্বিতীয়টার ডাক আসে, আমি যেন প্রস্তুত থাকি, আমার সকল কিছু নিয়ে।

ভালো থাকুন সকলে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

অনুভূতির প্রকাশ খুব সুন্দর!
আমার একটা লেখা ছিল অভিন্ন বিষয়ে


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অনিকেত এর ছবি

ভাই,আপনার লেখাটি পড়লাম। মোটামুটি অসামান্যের পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা, আপনার মত আর কিছু মানুষের দেখা পেলে, আমি আমার দেশটার ভবিষ্যত নিয়ে আর চিন্তিত হব না।

ভালো থাকুন।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমি বিশ্বাস করি দেশে এখনো আপনার আমার মত মানুষ বেশি। কিন্তু জানোয়ারদের নিনাদে আমাদের কন্ঠস্বর হারিয়ে যায়। নতুন প্রজন্ম সেই নিনাদ শুনেই বড় হচ্ছে সেটা নিয়েই আমার ভয়। আর ২০ বছর পরে কি হবে? এজন্যই আমাদের সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে, নিজ স্থান থেকেই নিজের দায়িত্বটা পালন করতে হবে - তবেই কেবল আমরা উতরে যাব। তা না হলে কি হতে পারে ভাবলেই আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়!

আপনার জন্য আমার নতজানু শ্রদ্ধা!


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ লিখেছিলেন:
"পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও।"

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অনিকেত এর ছবি

আহা......
হুমায়ুন আজাদের তুলনা শুধু তিনি নিজে।
আফসোস, আমাদের মাঝে তিনি রইতে পারলেন না।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

তাঁকে থাকতে দিলো না পাকিদের বিশেষ অঙ্গ লেহনে ব্যাকুল অমানুষেরা।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নিঘাত তিথি এর ছবি

অসাধারণ অনুভূতির প্রকাশ। হাততালি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

অনিকেত এর ছবি

আপনার সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বিবাগিনী এর ছবি

একশো দলা থুথু পাকিদের জন্য।
‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

অনিকেত এর ছবি

এক্কেবারে সত্য কথা বলেছেন

...অসমাপ্ত [অতিথি] এর ছবি

আমি একটা মুক্তিযুদ্ধ মিস করেছি, যদি দ্বিতীয়টার ডাক আসে, আমি যেন প্রস্তুত থাকি, আমার সকল কিছু নিয়ে।

পুরো লেখাটাই অসাধারণ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুল্লি

বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন যে প্রচুর লোক আসলে যুদ্ধটা 'উপভোগই' করে,অবশ্য তখনি যখন যুদ্ধটি তাদের বাড়ির পাশে হচ্ছে না।

মন খারাপ তিতা সত্য

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।