মুসলিম জাঁহান মূর্তিতে মূর্তিতে সয়লাব! ইসলাম ডুবিলো!

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল্লাহ এ.এম. [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২০/০৪/২০১৩ - ১০:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছরকয়েক আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রবেশপথে লালন শাহের মূর্তি সম্বলিত একটি নির্মানাধীন ভাস্কর্য ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। মহাজোট সরকার সেই চেষ্টার সাথে সংহতি প্রকাশ করে সেখানে আর লালনের কোন মূর্তি গড়ে নি। কাছাকাছি সময়ে মতিঝিলে বিমান অফিসের পার্শ্বে নির্মিত বলাকা ভাস্কর্যও ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, সরকার অবশ্য সে চেষ্টায় সায় দেয় নি। সাম্প্রতিক জামায়াতি তান্ডব এবং হেফাজতি উত্থানের সময় লক্ষ করা যাচ্ছে অরাজনৈতিক সে সকল ভাস্কর্যের সাথে সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতীক বিভিন্ন ভাস্কর্যও ভেঙ্গে ফেলার দাবী উঠেছে। শুধু দাবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বেশ কিছু মূর্তি। শুধু মূর্তি নয়, বেদায়াতি সংস্কৃতির বাহক অভিহিত করে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে শহীদ মিনারও। আমি নাদান পাবলিক, ইসলামের বিস্তৃত জ্ঞানভান্ডারের অতি সামান্য অংশই আমি জানি। তাই ভেবেছিলাম হেফাজতের দাবী হয়তো হাক্কানী দাবী, কিন্তু গুগল বলছে অন্য কথা। মুসলিম বিশ্বের দেশে দেশে বিভিন্ন প্রান্তরে স্থাপিত রয়েছে অজস্র মূর্তি ও ভাস্কর্য, হেফাজতী হুজুরেরা কি সে সবের খবর রাখেন? বোধ হয় না! দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্য বিবচনা করে এ সকল নাফরমানী কামের কিছু নিদর্শন এইখানে পেশ করা গেল। আমার দাবী- পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশ্বের সকল মুসলিম দেশকে হেফাজতের পক্ষ থেকে অবিলম্বে নাস্তিক কাফের হিসাবে ঘোষনা করা হউক।

ইরানঃ আমাদের অতি পরিচিত এবং অতি গুরুত্বপূর্ন এই দেশের পথে প্রান্তরে রয়েছে সে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক বাহক বিভিন্ন জনের অগনিত মূর্তি। তার মধ্য থেকে কয়েকটি নিম্নে উদ্ধৃত হলো-

*তেহরানের ফেরদৌসী স্কোয়ারে স্থাপিত মহাকবি ফেরদৌসীর মুর্তি।


*তেহরানের লালেহ পার্কে স্থাপিত ওমর খৈয়ামের মুর্তি।


*ইরানের হামাদানে স্থাপিত ইবনে সিনার মুর্তি।


*খোরাসানের মাসাদে ভারত জয়ী নাদির শাহ এর মুর্তি।


*হামাদানের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে ময়দান-ই-ইমাম এ ইমাম খোমেনির ম্যুরাল।

সতর্কতাঃ ইসলামী স্কলারদের বিরাট অংশ অবশ্য ইরানকে ইসলামী দেশ বলে মনে করেন না। কেউ কেউ তাদের প্যাগান ধর্মের ধারক বাহক বলেও বিবেচনা করে থাকেন। সুতরাং ইরানকে সহজেই নাস্তিক মুরতাদদের দেশ বলে ঘোষনা দেওয়া যায়।

ইরাকঃ ইসালামের ইতিহাসের স্বর্নযুগের প্রতিভু ইরাক। দেখা যাক এ বিষয়ে ইরাকের বর্তমান অবস্থাঃ


বাগদাদের ইন্টারন্যশনাল জোন এ হাম্মুরাবির মুর্তি


বাগদাদে সম্প্রতি নির্মিত লিবার্টি ষ্ট্যাচু


বাগদাদে আলিবাবা ফাউন্টেন, এই নারী আলিবাবার সেই বিখ্যাত বাঁদী, মর্জিনা।


বাগদাদের আবু নুয়াস ষ্ট্রীটে শাহেরজাদী পার্কে আরব্য উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাহেরজাদী এবং শাহরিয়ারের মুর্তি

সতর্কতাঃ সাদ্দামের কুশাসনে বোধ হয় ইরাকের অধঃপতন ঘটেছে। সুখের বিষয় আল কায়দা সেখানে যথেষ্ট তৎপর, আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে সেখানে প্রকৃত ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে এবং এ সকল বে শরা কার্যক্রমের অবসান ঘটবে। সে পর্যন্ত ইরাক বাদ।

উজবেকিস্তানঃ ইসলামী সভ্যতা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানের অপূর্ব ক্ষেত্র হলো উজবেকিস্তান। এ দেশের সমরকন্দ বোখারা এককালে ইসলামের আলোকবর্তিকা হিসেবে পথ দেখিয়েছে আমাদের। দেখা যাক এ দেশের অবস্থা-

বিশ্বখ্যাত বিজেতা আমির তৈমুর(তৈমুর লং) এর মুর্তি। সারা উজবেকিস্তানে তৈমুরের এরকম অগণিত মুর্তি রয়েছে।


বোখারার লিয়েব-ই-হউজে বিশ্বখ্যাত রম্য চরিত্র মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মুর্তি


আন্দিজেন নগরে স্থাপিত মোগল সম্রাট বাবুরের মুর্তি

সতর্কতাঃ এই দেশ একসময় নাস্তিক কম্যুনিষ্টদের অধিকারে ছিল, তাই ইসলামের শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে নাস্তিক্যের পথে চলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই এ দেশটিকেও গোনার মধ্যে না ধরে বাতিল করে দেওয়া যায়।

তুরস্কঃ

মর্মর সাগর তীরে ফেতে পোতাশ্রয়ে অপূর্ব মর্মর মুর্তি


আংকারাতে ইনডিপেনডেন্স টাওয়ারের পাদদেশে তুরস্কের জাতীয় সংস্কৃতির ধারক তিন নারীমূর্তি


আন্তালিয়ায় এডুকেশন এ্যাক্টিভিষ্ট তুরকান সায়লান এর মূর্তি


সারা তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের রয়েছে অগনিত মুর্তি। এটি ইস্তাম্বুলের বেসিকতাসে স্থাপিত।

হায়! হায়!! এককালের সারা জাহানের খলিফার দেশের এ কি অবস্থা? নাস্তিক কামাল পাশা এ কি হাল করেছে এ দেশের! ইসলামী দল ক্ষমতায় আসার পরেও দেখি অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নাই। তুরস্ক বাদ!

এবার তাহলে দেখা যাক আধুনিক যুগের উন্নত মুসলিম দেশগুলোর অবস্থা-

মালয়েশিয়াঃ

বাটু কেভ এর বিখ্যাত মুরুগান মুর্তি


কুয়লালামপুরে ফ্রীডম মেমোরিয়াল ষ্ট্যাচু


কুচিং হলিডে ইন হোটেরের সামনে মার্জার মুর্তি


কুয়ালালামপুরে একটি স্কুলের সামনে কনফুসিয়াসের মুর্তি।

মালয়েশিয়ায় অতীতে একসময় হিন্দুয়ানী রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত ছিল, তার রেশ ধরেই হয়তো এখনও এদেশে চালু রয়েছে হিন্দুয়ানী মূর্তি সংস্কৃতি, তাই মালেয়শিয়াও বাদ।

দুবাইঃ

এই আরবীয় যুগলের মুর্তি বুর্জ আল খলিফার বিপরীত পার্শ্বে সংস্থাপিত হয়েছে।


দুবাইয়ের ওয়াফি অঞ্চলের প্রবেশপথে পাহারাদারের প্রতিমুর্তি হিসেবে সংস্থাপিত কুকুরের মুর্তি।


দুবাইয়ের ইবনে বতুতা মার্কেটে স্থাপিত মুর্তি।

আয়! হায়!! আরব মুল্লুকের দেশ দুবাইয়েরও দেখি খুবই খারাপ অবস্থা! এইটাও বাদ।

অন্যান্য কিছু দেশঃ

সিরিয়ার সিটাডেল এ গাজী সালাউদ্দিনের মূর্তি


তিউনিসে হাবিব বরগুইয়া এভেনিউয়ে ইবনে খালদুনের মূর্তি


আলজিয়ার্সের রাজপথে একটি মূর্তি


তাজিক রাজধানী দুসানবেতে সেকেন্দার বাদশার (আলেকজান্ডার) মূর্তি


মালিতে একটি পার্কে ইবনে বতুতার আবক্ষ মূর্তি

খুবই হতাশাজনক অবস্থা! ইয়াহুদি নাসারাদের চক্রান্ত থেকে সারা মুসলিম জাঁহানের কেউই কি রক্ষা পায় নাই? সব বাদ!

ভাল কথা, আমাগো আসল দ্যাশ ফাকিস্তানের কি অবস্থা? দেখা যাক-


এই "কাজের বেটি রহিমা" মার্কা মূর্তিটা বেনজির ভুট্টোর, সিন্ধু প্রদেশের তাঁদো আল্লাহ ইয়ারে সাম্প্রতিককালে নির্মিত


লাহোর স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে ষন্ডমূর্তি


লাহোরে বাদশাহী মসজিদের পার্শ্বে মেরী মাতার মূর্তি


পাঞ্জাবের জং শহরের একটি রাস্তায় ঐতিহ্যবাহী ঘোরসওয়ারের মূর্তি


লাহোরে ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস প্রাঙ্গনে প্রেমিকযুগলের মূর্তি

খাইছে আমারে! এই যদি হয় পেয়ারা ফাকিস্তানের অবস্থা, তাইলে ইসলাম রক্ষা করবো কেডা? বাদ! বাদ!! ফাকিস্তানও বাদ।

একে একে সব দেশই তো বরবাদ হইয়া গেল, বাকী শুধু আল্লা রাসুলের দেশ সৌদি, দেখি একটু-


জেদ্দা নগরীতে মুষ্টিবদ্ধ হাত


জেদ্দায় হাংরি হর্স ভাস্কর্য


মরুর বুকে উটের ভাস্কর্য


জেদ্দা নগরীতে একটি বিমূর্ত ভাস্কর্য, মনুষ্য অবয়ব কি পরিস্কার নয়?

ওহ্ হোঃ মাথা পুরাই নষ্ট! বাঁচান! হেফাজত ভাই আমারে বাঁচান!!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ এই অধম নিতান্তই একজন ঘরকুনো বাঙালী মুসলমান, মালয়েশিয়া ছাড়া মুসলিম জাঁহানের আর কোন দেশে ভ্রমনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না থাকায় সকল ছবি ইন্টারনেট হইতে এস্তেমাল করা হইল। যদি ইয়াহুদি-নাসারা চক্রের কারসাজীতে এই সকল ছবি ইন্টারনেটে দাখিল করা হইয়া থাকে, তাহার জন্য আমি দায়ী নহি।


মন্তব্য

আলতাইর এর ছবি

উফফুরে!! দিলেন তো এক্কেরে সাড়ে তিন হাত!! তুরস্কের পয়লা ভাস্কর্য দেইখা তো তব্দা লাইগা গেলো!!

অতিথি লেখক এর ছবি

তুরস্কের পয়লা ভাস্কর্যের মত ভাস্কর্য শুধু তুরস্কেই নয়, আরো অনেক জায়গায়ই আছে, সৌদি অনেক ধনকুবেরদের বাগানবাড়ীতেও আছে। তব্দা খাইয়েন না।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

আলতাইর এর ছবি

আহা!! সেসব তো ঘরোয়া ব্যাপার-স্যাপার!! তা সেইসব সৌদি সাহেবদিগেরর ঘরোয়া ব্যাপারে খালি মুর্তি নহে......আরো অনেক কিছুই নাকি মুর্ত হয় বলিয়া কর্ণগোচর হইয়াছে!

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত

সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত চিন্তিত

আব্দুল্লাহ এ.এম.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ ... সব ফটোশপ দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ফটোশপ জানি না, সব গুগলের কারসাজি। গুগলরে ব্যান করা দরকার।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুগল কি ব্লগ দিয়ে চালাইতে হয়?? তাইলে তো গুগল ও নাস্তিক ইয়ে, মানে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ইস্লাম্রে ডুবায়া তো এক্কেরে পাথর চাপা দিলেন! আপ্নে মনয় নাস্তিক!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

না ভাই, আমি খালি আপনাগো নজরে আনলাম। এখন আপনারাই ভাইবা দেখেন তাগো কি ইসলামের মধ্যে রাখবেন, নাকি মুরতাদ ঘোষনা করবেন।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

জাত গেলগা!!!! অহন কি হইব?? হেফাজত কি এই দেশগুলারে নিষিদ্ধ করার আবদার করব কয়দিন পর?

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হইবো, মূর্তি বইলা কথা।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

তারেক অণু এর ছবি

চলুক

দুবাই-এ শেয়ালের না , সেইগুলা আনুবিস

মন মাঝি এর ছবি

আনুবিসও মনে হয় নেকড়ে-শিয়াল-কুকুর গোত্রের 'jackal' জাতীয় প্রাণীভিত্তিক।

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

@তারেক অণু,
তাই বলেন, ইসলামী দেশ হইয়া শিয়াল কুকুরের মূর্তি কেমনে বানায়, আনুবিস নিশ্চয় ইসলাম সম্মত!
তবে আমি যে সাইট থেকে ছবিগুলো নিয়েছি, সেখানে এদের কুকুরের মূতি বলা হয়েছে, আমিও তাই বলেছি।
প্রথমে ভাবছিলাম ছবির জন্য আপনার দ্বারস্থ হবো, কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম শেষে আপনারে না আবার নাস্তিক মুরতাদ ঘোষনা করে।

আব্দুল্লাহ এ. এম.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অনু'দা... আনুবিসের দেহ না মানুষের?... এখানে স্ফিংক্সের মত কেন?

মন মাঝি এর ছবি

আনুবিসের দেহকাণ্ড বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মতই, কিন্তু স্ফিংক্সের বা বলা ভাল পুরোটাই শিয়াল/নেকড়ের মতও আছে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে। মিশরীয় পুরাতত্ত্ব সংক্রান্ত এই লিংকে স্ফিংক্সরূপী আনুবিস দেখেন। আর পোস্টদাতার এই ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটা আরও একটু বিশেষ ধরণের। মিশরের ফারাওনিক যুগের মন্দির আর সমাধিসৌধগুলির প্রবেশপথের (এপ্রোচ রোডে) দুপাশে বড় স্ফিংক্সের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকৃতির এক ধরণের মেষমুণ্ড-স্ফিংক্স সুদীর্ঘ সারি দিয়ে সাজানো থাকত অনেক সময়। এইগুলিকে কেউ কেউ স্ফিংক্স-সড়ক বলেন। লুক্সোরের কর্নক মন্দিরের প্রবেশমুখে এরকম আছে, যা একসময় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। পোস্টের ছবিটাকে কেমন যেন সেটারই অনুকরণে আনুবিস-সংস্করণ মনে হচ্ছে, যদিও এগুলি আসলে 'স্ফিংক্স' বলে মনে হয় না - দেবতারূপী পুরোদস্তুর প্রাণীর মুর্তিই মনে হচ্ছে। 'স্ফিংক্সে' সম্ভবত একাধিক প্রাণীর মিশ্রণ থাকে, এখানে সেটা নেই। কর্নক মন্দিরে স্ফিংক্স-সড়কের শেষাংশের এই এবং এই ছবিগুলি দেখেন। মিল আছে না কিছুটা?

আরেকটা ব্যাপার, আনুবিস ঠিক শিয়াল বা কুকুর না। এতদিন মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত মত ছিল এটা ঐরকমই আরেকটি প্রাণী 'জ্যাকাল'-এর, তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় (লিংক) একে এক বিশেষ ধরণের আফ্রিকান 'গ্রে-উল্‌ফ' (লিংক) মনে করা হয়।

****************************************

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আফনে নাস্তিক দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারে নাস্তিক ট্যাগ দিয়া দাঁত কেলাইয়া হাসতাছেন ক্যান? কারো সর্বনাশ আর কারো পৌষ মাস!

আব্দুল্লাহ এ.এম.

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্য চিরদিনই সত্য।
-------------------------------
মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান

শাব্দিক এর ছবি

সবই তো বাদ! চিন্তিত

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইলে উপায়? চিন্তিত চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু সংশোধনঃ

১।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু সংশোধনঃ

১. দুবাইয়ের মুর্তিগুলো হলো মিশরের ফেরাউনের আমলের ধর্মমতে মৃত্যু দেবতা আনুবিসের মূর্তি
২. আর মুরুগান হলো দেবতা কার্তৃকের অপর নাম।
৩. আর ইরানে, মূলত শিয়া মতবাদে মুর্তির/ছবি এসবের ব্যপারে তেমন গা-চুলকানি নাই।

আর বাকিগুলা ঠিকই আছে। তবে উল্লেখ্য ইসলামে হাজার দল-উপদল আছে যাদের কারোর সাথে কারোরই তেমন কোন মিলমিশ নেই, এমনকি এদের অনেকের ভিতর মূল ধর্মীয় মতবাদ নিয়েও বিশাল ফারাক। একটা বার্ডস-আই ভিউ পাবেন এখান থেকে। ভালমত হিসাব করলে ঐ চার্টের প্রত্যেকটা বাক্স থেকে এরকম আরো কয়েক ডজন বাক্স বের হওয়ার কথা, হে হে।

-- রামগরুড়

অতিথি লেখক এর ছবি

১. দুবাইয়ের মুর্তিগুলো হলো মিশরের ফেরাউনের আমলের ধর্মমতে মৃত্যু দেবতা আনুবিসের মূর্তি

আমি যে সাইট থেকে ছবিটা নিয়েছি সেখানে বলা হয়েছে এগুলো আনুবিসের আদলে তৈরী কুকুরের মূর্তি।

২. আর মুরুগান হলো দেবতা কার্তৃকের অপর নাম।

পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ভারতে যিনি কার্তিক, দক্ষিন ভারতে এবং মালয়েশিয়া/ইন্দোনেশিয়া/কম্বোডিয়া/ভিয়েতনামে তিনিই মুরুগান। সংশোধনীর তো কিছু দেখছি না।

৩. আর ইরানে, মূলত শিয়া মতবাদে মুর্তির/ছবি এসবের ব্যপারে তেমন গা-চুলকানি নাই।

তাদের গা-চুলকানি না থাকতে পারে, কিন্তু মোমিন মুসলমান হিসাবে আমরা তো নিচেষ্ট হয়ে বসে থাকতে পারি না।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

অতিথি লেখক এর ছবি

চুটকি--
(শিক্ষক ও ছাত্র) :

শিক্ষক : একদা এক ছাগল বিক্রেতা ডিঙ্গিতে করে হাটে যাচ্ছিল ১৩ টা ছাগল নিয়ে, মাঝ পথে ৫টি ছাগল লাফিয়ে ডাঙ্গায় চলে গেল, এখন কতটি ছাগল নিয়ে সে হাটে যেতে পারবে?
ছাত্র : একটাও না।
শিক্ষক: কেন?
ছাত্র : স্যার ছাগল কি আর আপনার মত?
শিক্ষক: কি--- বেয়াদব।
ছাত্র : না মানে -- ছাগল কি আর আপনার মত অংক বুজে, ওরা যখন ছোটে দল বেধেই ছোটে।
---------------------------------------------------------------
কি দরকার ছিল এত সব! ওগোর দরকার ক্ষমতা। আর ক্ষমতার নিমিত্তে সব অবান্তর। ওরা কি এত্তসব হিসেব করেছে?
লজ্জা দিবেন না,ওদের সেটাও নেই।

--মম রাজ্যের রাজা।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি ঠিক আছে, দলবেঁধেই ছুটুক, ছুটে গিয়ে মূর্তিগুলো ভোঙ্গেদিয়ে আসুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

দিলাম শেয়ার

স্বয়ম

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

শাহবাগে গিয়া গিয়া লোকজন সব নষ্ট হয়ে গেল!
সব নাস্তিক বোলোগারের দল! ইয়ে, মানে...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে কি মুশকিল! মূর্তি বানাইয়া ভইরা ফালাইছে, সেইটা দেখাইয়া দেওয়া তো আমার ঈমানী দায়িত্ব। ঠিক কি না?

আব্দুল্লাহ এ.এম.

ক্লান্ত তীর্থ এর ছবি

সব ফুতুসপের কাজ হাহাহাহাহাহাহা কোপাও মামা...

নৈর্ব্যক্তিক এর ছবি

আপনে লুক ভালো না। এমন করতে আছে?
দিনের পর দিন আহমাদিনেজাদের মাটিতে শোয়া, রাস্তার মোড়ে নামাজ পড়ার ছবি শেয়ার করে তাকে মুসলিম জাহানের সিপাহসালার ঘোষণা দেনেওয়ালারা খুব দক্ষতার সাথেই সময়মত ইরানিদের প্রকৃত মুসলিম ভাবে না। এমনকি তাদেরই শেয়ার করা আগের ছবি-লিংকের কাহিনী তুলে আনলেও গোঁ ধরে থাকে। ব্যাপক টাস্কিত!

Hasan Rahman এর ছবি

ওই সময় দেশে তিন উদ্দিনের সরকার ছিল, মহাজোট নহে! এই দুর্দান্ত তথ্যবহুল লেখার জন্য অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখিত এই তথ্যবিভ্রাটের জন্য, ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

nowfel_mahmud এর ছবি

ইসলামিক বহু শিল্পকলায় গাছের ছবি দেখতে পাওয়া, বলাবাহুল্য সেসময় গাছের প্রাণ থাকার বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত হয়নি। আজ যদি কেউ দাবী করে গাছের প্রাণ থাকার (যা আজ প্রমানিত) কারণে সেসব শিল্পকলা বেদআত হয়ে গেছে তবে ব্যাপারটা কেমন হবে???

না খেয়ে থাকা যেমন রোজা নয় তেমনি মূর্তি মানেই 'ঈশ্বর' নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হেফাজতে ইসলাম এর উচিত এখন ঢাকা বাদ দিয়ে তেহরান অভিমুখে লং মার্চ করা । সেখানে দেখি ভাস্কর্য (ছাগু দের ভাষায় মূর্তি) অনেক বেশি। তবে ইরান এর প্রেসিডেন্ট তাদের কে আদর করে মতিঝিল এ বসাতেন নাকি ঠেঙ্গায়ে ধর্ম ব্যবসার সাধ জনমের মত ভুলিয়ে দিতেন, সেটাই প্রশ্ন থেকে যায়।

কৃষ্ণমানব ।

চরম উদাস এর ছবি

লা হাওলা দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কি "লে হালুয়া" বলতে চেয়েছেন? চোখ টিপি

সাইদ এর ছবি

সব ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

উহু হয় নাই।। এগুলান সব শিয়া মুসলিম। জাহান্নামি! বাতিল।
পারলে সুন্নী মূর্তি একটাও দেখান।

অফ টপিক: সৌদির উট আমাকে মুগ্ধ করিল!

অতিথি লেখক এর ছবি

অফ টপিক: সৌদির উট আমাকে মুগ্ধ করিল!

এইটা পুরাই সুন্নী চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভন্ডরা এভাবেই ধরা খেয়ে যায় বারবার । কষ্ট করেই সংগ্রহ করেছেন নিশ্চয়ই এই ছবিগুলো । ভালো লাগলো ।

তালেব মাষ্টার

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের ঈমান আমান রক্ষা করার জন্য এইটুকু কষ্ট করা সবার জন্যই ফরজ।

অতিথি লেখক এর ছবি

হেফাজতের রিএকসানঃ ( গলা এবং পশ্চাতের রগ উচিয়ে) নাস্তিইইইইইইইইইইইইইক!!!! ছাগুরাম সুলভ

কসাই মওলানা

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

হায়, হায়... জাত গেলো বলে... সব ইহুদী-নাসারা-নাস্তিকদের গুগল আর ফটোশপের কাজ। খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়াহুদী-নাসারা-নাস্তিক-গুগল আর ফটোশপের ফাঁসি চাই।

প্রদায়ক এর ছবি

ঢাকা সেনানিবাসের ৬ শহীদ মইনুল রোডের বাসাটিতে কয়েকদিন আগেও ছিল জিয়াউর রহমানের 'মূর্তি'। ছবিগুলোর কপিরাইট: দৈনিক ভোরের কাগজ

গ্রেগরীয়ান এর ছবি

সচলের সবাই নাস্তিইইইইইইইইইইইইইক!!!! ছাগুরাম সুলভ

সিদ্বার্থ অরুণ এর ছবি

"হেই" এর বক্তব্য-"সবগুলা নাস্তিক আর মুরতাদ"
এই লেখাটাতেই "হেই"এর ১৩ দফা দাবির একটা দাবি শেষ।ভালো হয়েছে সামনে এধরনের সময় উপযোগী লেখা চাই।

Mohammad Salim Ullah এর ছবি

আপনার ছবি নিতে চাই

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

কেন ভাই? মূর্তি গড়ে রাস্তার মোড়ে স্থাপন ক্রবেন নাকি?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।