অন্য আরেক তারেক অণু

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল্লাহ এ.এম. [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/০৯/২০১৩ - ১২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বাঙ্গালীর ঈর্ষাপরায়নতা সুবিদিত। অন্যের গুনাবলী কি আছে সে কথা শুনতে আমাদের মনোকষ্টের অবধি থাকে না, সে সব গুনাবলী মাটিচাপা দেওয়ার জন্য তার দোষের ইতিহাস আমরা খুঁজে খুঁজে বের করি। কোন কিছু খুঁজে না পেলে তার দোষের তত্ব আবিস্কারে আমাদের মেধা সঞ্চালন করি এবং সহজেই অনেক কিছু আবিস্কার করি। তারেক অণু কি করে জিব্রাইল ফেরেস্তার মত এই এখানে তো সেই ওখানে ভ্রমন করে বেড়ায়, পয়সা পাতি কোথায় পায়, তার উপায় আমরা আবিস্কার করে ফেলেছি- সে একজন আন্তর্জাতিক স্মাগলার। কি করে সে গনেশের গতিতে পাতার পর পাতা ব্লগ লিখে চলেছে, সে সমস্যারও আমরা সমাধান করে ফেলেছি, লেখা ও সম্পাদনার কাজ তার হয়ে হয়ে অন্য কয়েকজন পেইড লোক করে দেয়। গুজব শুনতে আমাদের বড়ই আমোদ লাগে, গুজব বিশ্বাস করে আমাদের মন প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। আমিও গুজবের এই অনাবিল আনন্দে সন্তোষের সাথে অবগাহন করতাম, কিন্তু আমার সাথে একদা দেখা হয়েছিল অন্য আর এক তারেক অণু'র। তার কল্যানে জেনেছি কেন এবং কিভাবে মানুষ ইবনে বতুতা হয়ে যায়, তারেক অণু হয়ে ওঠে।

দু-আড়াই বছর আগে সিএনজি করে মিরপুর এক নম্বরের দিকে একজনের সাথে জরুরী প্রয়োজনে দেখা করতে যাচ্ছি। রাস্তার জ্যাম, প্যাঁ-পোঁ শব্দে মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে, উপরন্তু দশ নম্বর গোল চক্করের কাছাকাছি এসে সিএনজি'র ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিল। সিএনজি ছেড়ে অগত্যা একটা রিকসা চালককে জিজ্ঞেস করলাম এক নম্বরের দিকে যাবে কি না। যেতে রাজী হলো, ভাড়া কত জিজ্ঞেস করলাম। জবাবে সে অনিশ্চিত সেই উত্তরটি দিল- যা ভাড়া আছে দিয়েন। সামান্য কিছুদূর যাবার পর চালক আমাকে অনুরোধ করে বললো আমি যেন তাকে পথ চিনিয়ে নিয়ে যাই। মনে মনে প্রমাদ গুনলাম, পথঘাট চেনে না, নিশ্চয়ই আনাড়ি চালক, কখন কিসের সাথে ধাক্কা লাগিয়ে দেয় কে জানে। আশংকাগ্রস্থ হয়ে প্রশ্ন করে জানলাম চালক হিসেবে সে আনাড়ি নয়, তবে ঢাকায় নতুন, রাস্তাঘাট তেমন চেনে না। বাড়ী বৃহত্তর রংপুরের গাইবান্ধা অঞ্চলে। ভাবলাম উত্তরবঙ্গের অভাবী অঞ্চলের মানুষ, একটু বেশী উপার্জনের আশায় হয়তো ঢাকায় এসেছে। আমার মনোভাব অনুমান করেই বোধ হয় সে তার ঢাকা আগমনের কারনটি ব্যক্ত করলো- শুনে আমার আক্কেলগুড়ুম। সে ঢাকায় এসেছে রাজধানী শহরটাকে ভাল করে দেখতে। একটা শহর ভাল করে দেখতে হলে সেখানে কিছুদিন থাকা দরকার। কিন্তু সে গরীব মানুষ, পয়সা খরচ করে ঢাকা দেখার সাধ্য নেই, তাই রিক্সা চালায়। ঢাকা দেখাও হলো, জীবিকাও নির্বাহ হলো। ভালভাবে দেখা হয়ে গেলে আবার চলে যাবে অন্য কোন শহরে। কয়েকবছর আগে সমুদ্র দেখার আপাতঃ অসাধ্য সাধ পূরনের জন্য কক্সবাজারে গিয়ে হাজির হয়েছিল, সেই শুরু। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশী জেলায় সে এভাবে কিছুদিন করে কাটিয়েছে। বাংলাদেশ দেখা শেষ হলে একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ভারত ভ্রমনে বের হবে। তার এক হিন্দু বাল্যবন্ধু ইন্ডিয়ায় চলে গেছে, এখন শিলিগুড়িতে রিক্সা চালায়, তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

একটা আফসোস জাগলো মনে- তরুন বয়সে যখন কলেজে পড়ি, তখন রাঙ্গামাটি কক্সবাজার যাওয়ার খুব ইচ্ছা হতো, পয়সার অভাবে যেতে পারি নি। তখন যদি এই টেকনিকটা জানা থাকতো! আমার স্বল্প দুরত্বের গন্তব্য খুব বেশী কিছু আর শুনতে দিল না। তা ছাড়া যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি, সে মোবাইলে বার বার তাড়া দিচ্ছে। এভাবেই আমার সাথে দৈবক্রমে সাক্ষাত হওয়া একজন অতি দুর্লভ বাঙালীর সাথে আমার যোগাযোগটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল চিরতরে। তখন বিষয়টির গুরুত্ব সেভাবে উপলব্ধি করতে পারি নি, উপলব্ধি করেছি এর কিছু পরে যখন সচলায়তনে তারেক অণু নামের অন্য একজন বাঙ্গালীকে দেখেছি। এই প্রসঙ্গটি তারেক অণুর একটি ব্লগে মন্তব্য আকারে প্রকাশ করার পর আমাকে সে প্রশ্ন করেছিল- কোন ছবি আছে কি? তখনই অকস্মাৎ বুঝতে পেরেছিলাম কত বড় নির্বোধ আমি, অসচেতনার বশে কি অসাধারন একজন মানুষের নামটা পর্যন্ত জিজ্ঞেস করি নি। আমার ফটো তোলার তেমন বাই নাই, তাই সংগে কোন ক্যামেরা থাকে না। কিন্তু এখন তো অতি সাধারন মোবাইল সেটেও মোটামুটি চলনসই ছবি তোলা যায়। প্রতিবার তারেকের এক একটি লেখা পড়ি আর কল্পনায় ভাবার চেষ্টা করি সেই মানুষটির প্রতিটি স্থান ভ্রমনের কাহিনী। জানি না এখন সে কোথায় আছে, তার মুখচ্ছবিও এখন আর মনে নাই, কিন্তু তার কথা মনে হলেই তারেক অণুর মুখটি ভেসে ওঠে মানসপটে।

আব্দুল্লাহ এ এম

ছবি: 
04/11/2012 - 7:07অপরাহ্ন

মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

হ্যাঁ, সত্যি-ই দুর্লভ বাঙালী শুধু না, দুর্লভ মানুষের গল্প।
সুন্দর লেখা, পড়তে ভাল লাগল।
ফাটাফাটি ছবিটা কি আপনি বানাইলেন?
তারেক অণুর জবাব নাই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ফাটাফাটি ছবিটা কি আপনি বানাইলেন?

আরে নাহ, এটা তারেকের অরজিনাল ছবি দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ইচ্ছে শক্তিটাই আসল,ইচ্ছে আর চেষ্টা থাকলে ঘুরাঘুরি কোন বিষয় নয়।আর ইচ্ছে না থাকলে অজুহাত হিসাবে আপনি পেয়ে যাবেন একলক্ষ অজুহাত।আমার নিজের প্রথম দিকের ঘুরতে যাওয়ার ঘটনা টা ছোট করে বলি,সেন্টমার্টিন যাচ্ছি বন্ধুরা মিলে।আমার সব বন্ধুদেরি ভালো টাকা পয়সা ছিলো পরবাসী বাবার সুবাদে,আমার যা ছিলো না।যাইহোক যাওয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় ২১০০ টাকা করে জমা দিতে হবে।তখন বিকেল ৫টা আমি টাকা জোগাড় করতে পারিনি,বাসায় বলে মাকে বিব্রত করতে চাইনি।আর কারো কাছে টাকা চাওয়ায় আমার জড়তা চিরকালি ছিল।তখন সিদ্ধান্ত নিলাম আমার গীটার টা বিক্রি করে দেই,পরে না হয় আরেকটা কিনে নিবো কোন মতে,যেইকথা সেই কাজ।গীটার কিনার জন্যে অনেকেই ছিলো আমার পাড়ায়।তাদেরি একজনের কাছে ২৩০০টাকায় বিক্রি করে দিলাম প্রথম জীবনের ভালোলাগার প্রথম সম্পদকে।পুরোটা পথ আমার গলায় কান্না চেপে ছিলো,সেই রাত আমার আজো মনে পড়ে,নীরবে কেদেছি ।সকালে যখন টেকনাফ থেকে জাহাজে উঠলাম আর নীল জলরাশির বিশালতা দেখলাম তখন নিজের এমন দু:খগুলোকে বড়ই ক্ষুদ্র মনে হল,ভালোলাগা এসে আমার সব কষ্টকে সাগরের জলে ডুবিয়ে দিয়ে গেল।

এখন সময় বদলে গেছে,টাকার তেমন অভাব নেই,এখন শুধু সময়ে অভাব।তবু যাই সময় পেলে,তবে সেটা অণু তারেক ভাইয়ের তুলনায় অতি নগন্য।তুব যাই,অন্জন দত্তের গানের কথার মতোই পাহাড়ের গন্ধ আমার যেন সারা শরীরে,পাহাড় আমাকে তাই প্রতিনিয়ত টানে।মাঝে মাঝে মনে এই শহরের ব্যস্ত মানুষগুলোকে যদি একবার পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে দেখাতে পারতাম পাহাড়ের সৌন্দর্য্য!

মাসুদ সজীব

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চলুক

ঈয়াসীন এর ছবি

হাততালি , লেখা ও ঘটনা দারুণ। অণুর ছবি ডবল দারুণ।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

অণুর ছবি ডবল দারুণ

হতেই হবে, কারন অণু নিজেই ডবল দারুন!

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

মানুষ কত স্বপ্নবাজ! খুব ভাল লাগল আরেক তারেক অণুর গল্প।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

হ্যাঁ, মানুষ তার সপ্নের সমান বড়।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

আইডিয়াটাও দারুন! সাইকেল চালানো শিখি নি বলে আফসোস হয় খুব, ভাবছি রিকশা দিয়েই হাতে খড়ি দেয়া যায় কিনা! রথ দেখাটাও হয়ে যাবে! হাসি

গান্ধর্বী

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ভাবছি রিকশা দিয়েই হাতে খড়ি দেয়া যায় কিনা!

জানতাম রিক্সাচালনা শেখার আগ্রহ বোধ করবেন, তাই সহজে রিক্সা চালনা শিক্ষার(লাইসেন্স সহ) একটা কোর্স চালু করতে যাচ্ছি অচিরেই, যোগাযোগ রাইখেন।

গান্ধর্বী এর ছবি

হো হো হো

অতিথি লেখক এর ছবি

হৃদয় ছোঁয়া লেখা চলুক , তারেক অনুর ছবি অসাধারন দেঁতো হাসি
ইসরাত

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

তারেক অনুর ছবি অসাধারন

অসাধারন মানুষের ছবি অসাধারন হইবে না তো কি হইবে আমাদেরটা?

নাসির এর ছবি

দারুন ও দুর্দান্ত!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাঙ্গালীর ঈর্ষাপরায়নতা সুবিদিত

আর তারেক অণুর প্রতি আমার ঈর্ষা অতি প্রকাশ্য দুটি কারণে
কেমনে সে অত ঘোরে (সত্যি সত্যি ঘোরে নাকি অন্যের ঘুরাঘুরির ছবি ফটোশপ কইরা চাপা মারে সন্দেহ আছে)
আর কেমনে সে অত লেখে (নিজেই লিখে নাকি ভাড়াকরা লোক দিয়ে লেখায় সন্দেহ আছে

০২

ছবিটা লেখার শেষে না দিয়ে শুরুতে দিলে ভালো হতো

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ধন্যবাদ মাহবুব ভাই, এক্কেবারে মনের কথা বলছেন! কেমনে সে অত ঘোরে? আর কেমনেই বা অত লেখে? সন্দেহজনক, ঘোরতর সন্দেহজনক!
ছবিটা লেখার শুরুতেই পজিসন করেছিলাম, কেমন করে সেটা নিচে চলে গেল ঠিক বুঝলাম না। এ্যাডমিনদের প্রতি অনুরোধ, ছবিটা সারসংক্ষেপ হিসেবে চিহ্ণিত করে লেখার উপরে দিয়ে দিন।

hasan এর ছবি

আমার গাইবান্ধায় এমন লোক বহু দেখেসি ।অনেক আগে বান্দরবান এ রুমা থানছি তে গিয়ে অনেক দেশি ভাইয়ের দেখা পেয়ে এত আনন্দ লাগছিল দাওয়াতত দিয়েছিলেন ।এমনকি সাঙ্গু রিজার্ভ ফরেস্টের গহিনেও আমাদের এলাকার অনেকেই গিয়েছন খালি তাদের ফেবু dslr নাই নইলে তারাই প্রকৃত explorer রিয়েল ট্রেকার

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বলেন কি? সো মাচ তারেক অণু?

তানিম এহসান এর ছবি

কত বিস্ময়কর মানুষ আছে আপামর মানুষের মাঝে! দারুণ লাগলো পোস্ট।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মেঘা এর ছবি

সজীব, সতেজ প্রাণ মানুষগুলো বেঁচে থাক এই পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখার জন্য আরও অনেক অনেক দিন।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বেঁচে থাক, বেড়ে উঠুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

তারেক অনু একটি অবিস্মরণীয় নাম। এই নাম একদিন পরিব্রাজক এর সমার্থক হবে এদেশে, তা বুঝতে পারি।
এভাবেই মানুষের জন্ম সার্থক হয়।
*******
লেখা ভালো লেগেছে। খুব ভালো লাগলো জেনে যে, আরো তারেক অনুর জন্ম হচ্ছে এদেশে। হাততালি
*******
ভালো থাকবেন আব্দুল্লাহ এম এম।

-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আইলসা  এর ছবি

তারেক অনুরে ইর্ষা করে না একমাত্র নুবেল ভাই। হ্যায় আর তারেকা'নু মিল্যা পৃথিবী চইষ্যা বেড়ায় আর বেগান আওরাতদের ছবি তুলে। ছি ছি... সত্যপীরের বাংলায় তারেকা'নু বেইল নাই!!! চোখ টিপি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ঠিক! ঠিক!! আমরা সবাই তরেকরে খুবই ঈর্ষা করি রেগে টং

সত্যপীর এর ছবি

সত্যপীরের বাংলায় তারেকা'নু বেইল নাই!

আরে আমি কি কইল্লাম? ইয়ে, মানে... অ্যাঁ

..................................................................
#Banshibir.

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আমাদের কত ইচ্ছের অপমৃত্যু ঘটে পারিপ্বার্শিকতার চাপে। আর ইনি কী সুন্দর নিজের ইচ্ছেপূরণ করে চলেছেন। এই ভ্রমণপিয়াসী ভদ্রলোকের জন্য অজস্র অভিনন্দন।

শেষ কথা: লুকিয়ে আছে তারেক অণু সব ---- এর অন্তরে।

____________________________

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

লুকিয়ে আছে তারেক অণু সব ---- এর অন্তরে।

চলুক

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

লেখা যেরকম মানুষটাও সেরকম খুব ভাল

তারেক কি এত এত লেখা সব নিজেই ল্যাখে? বলেন কি? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

তারেক অনুর ব্লগ অনেক পড়েছি তবে দেখা হয়েছে মাত্র সেদিন। ইনাম আল হকের বাড়িতে। এর পর টঙ্গীতে ডা নিয়াজ ভাইয়ের বাগান বাড়িতে একসাথে ছিলাম। লেখা যেরকম মানুষটাও সেরকম খুব ভাল

সৃষ্টিছাড়া  এর ছবি

চলুক

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখা, ছবি (ফটোসপ) দুইই দারুণ হয়েছে।

তারেক অণু এর ছবি

যাক এত্তদিনে লিখলেন সেই অসাধারণ মানুষটি নিয়ে, ভাল লাগল।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

হ্যাঁ, সত্যিই তিনি এক অসাধারন মানুষ, আপনারই মত। তবে বিষয়টি আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি আপনার কারনে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

চরম উদাস এর ছবি

হাততালি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ওস্তাদ, ঠিক কি কারনে আন্নে তালিয়া বাজাইতাছেন সেইটা কিন্তু বুঝি নাই চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘোরাঘুরির ইচ্ছা মাঝে মাঝেই জাগে, যান্ত্রিকতায় আর হয়ে উঠে না ঠিক।তারেক অণুদা আর সচলায়তনের সৌজন্যে অবশ্য অনেক জায়গাই দেখা হইছে। বেশ কয়েকদিন যাবত মাথায় ভাঙ্গা রেকর্ডের মত ঘুরে, সুযোগ পেলে একবার অন্তত অণুদার সাথে একটা ট্যুর দিব। খাইছে
লেখা ভালা পাইলাম।

জিউস

অসীম এর ছবি

আগেই সন্দেহ করছিলাম তারেক অণু স্মাগলার। চরম উদাস গুরু নিজেই এক পোস্টে বলেছেন......
উদাস বলেছেন তাই সেটাই সত্য......... তবে তারেক অণুর সাথে মামুন নামের কারো যোগাযোগ থাকলেও থাকেতে পারে হেঃ হেঃ

এ হাসনাত এর ছবি

অণুদার ছবি দারুন। তবে তারচেয়েও দারুন রিক্সার পেছনের লেখা। এইডস্মুক্ত স্মাজ চাই। দেঁতো হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এইডস মুক্ত সমাজ চাই, তার নিচে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের জোড়া ছবি, তার দুপাশে "মা" লেখা দুটি বোর্ড, তার নিচে এক সুন্দরী ললনার সামনে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ, তার নিচে শিল্পী আসাদউল্লার নাম, সর্বশেষে আল্লাহ ভরসা। উচ্চমার্গীয় সব ভাবনার চুরান্ত প্রকাশ। দেঁতো হাসি

অসীম এর ছবি

আরেকটা জিনিস জানার ছিল কে কখন কোন পোস্টে তারেকনুকে স্মাগলার বলেছে জানতে চাচ্ছিলাম
আমি আসলে সচলে নিয়মিত না। নিজের একাউন্ট নেই বলে নিয়মিত হইনা, আবার এটাও মনে হয় সত্য যে নিয়মিত হইনা দেখেই একাউন্ট হয়না হাঃ হাঃ হাঃ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমার জানা মতে সেরকমটা কেউ কখনো বলে নি, পুরো ব্যাপারটাই তারেক অণুকে নিয়ে শুধুই মজা করা।

ফয়সাল ইজা এর ছবি

তারেকাণু কিডা? অ্যাঁ

হ্যাতেরে ভালো করি উডানের মলনের খুডির লগে বান্ধি হালাও। এই বয়সে এতো ঘোরন তো ভালা না। কোহেকাফের পরীতে আসর করছে নিশ্চিত।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

পারলে ধইরা বাইন্ধা একটা বিয়া করাইয়া দেন শয়তানী হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দুই তারেকাণুর জন্যই গুরু গুরু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।