গতানুগতিক - ৩

আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন আলমগীর (তারিখ: শুক্র, ২৩/১০/২০০৯ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
সচলদের মান-অভিমান, নাকি লোকজনের জান পেরেশান, অথবা লেখার মানে টান- কারণ যাই হোক সচলায়তনে লেখা আসা একদমই কমে গেছে। যদ্দিন ধরে সচল পাতা পড়ি এমন ভিটামিন-দশা আর দেখছি বলে মনে পড়ে না। অনেকেই আসে লেখা পড়তে, ঘোরাঘুরি করে, মূলত পাঠক হয়েই ফিরে যায়। এমন আকালের মধ্যেই চোখে কাঁটা হয়ে আছে:

অনলাইনে সর্বাধিক সদস্য ২২৫২,
সময় শুক্র, ২০০৯-০৯-১৮ ১০:১৯

এ রেকর্ড গত নির্বাচনের চাইতেও সরেস। আলু পোড়া কতোই না উপাদেয়!

২.
এফএম রেডিওর সাথে পরিচয় সেই ২০০১ সালেই প্রথম বার অস্ট্রেলিয়া আসার পর। সবচেয়ে প্রিয় স্টেশন ছিল মিক্স ওয়ান ও ওয়ান পয়েন্ট ওয়ান (১০১.১)। পুরোপুরি গানের রেডিও, সারাদিনই গান হয়। তবে ভাল লাগার কারণ প্রতি সন্ধ্যায় একটা বিশেষ অনুষ্ঠান- লাভ সঙ ডেডিকেশন, উপস্থাপনা করে রিচার্ড মারসা। এই ভদ্রলোকের কণ্ঠ, বাচন-ভঙ্গি, কথোপকথন, এমনই অসাধারণ যে মনে হয় এ গুণগুলো গিলে খেয়ে ফেলি- ঠাট্টা না মোটেই।

রিচার্ডের কাছে অনেকে ফোন করে, প্রেমে পড়ার কথা, প্রেম ভাঙার কথা, নিরবধি চলতে থাকা প্রেম-বিরহের কথা জানায়। সে স্মরণে রিচার্ড একটা গান বাজায়। সন্ধ্যায় শুরু হয়ে প্রায় মাঝ-রাত অবধি চলে এ উৎসর্গ অনুষ্ঠান।

সেই ২০০১ সালে জেসি নামে কোন মেয়ে রিচার্ডকে জানায় সে মোস্তফার প্রেমে পড়েছে। মোস্তফা আবার কেমন নাম, সে বিস্ময় চাপা থাকে না। মোস্তফা যে জেসির কাছে ফিরে গেছে তাও জানা হয় না। আজ ২০০৯ সালে রিচার্ডের কাছে মোস্তফা অপরিচিত নাম না, জিহাদ, বা মুহম্মদও না। গত কয়েক বছরে মেলবোর্ন এবং সিডনিতে এত বেশী অভিবাসী এসছে যে অনেক কিছুই দ্রুত পাল্টাচ্ছে।

৩.
গ্রীষ্মকাল আসি আসি করেও আসছে না। এক সপ্তাহ কাপড়-খোলা গরম যায় তো পরের সপ্তাহে আবার যেমন-তেমন শীত। প্রতি ভোরে উঠে গুণে কম করে হলেও গোটা বিশেক হাঁচি দিই। আলজিভের কাছে শানায়- ইচ্ছে করে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে দিতে পারতাম যদি। আজকে একজন বলল, এসব নাকি খড়-জ্বরের (Hay Fever) লক্ষণ। আফসোস, অস্ট্রেলিয় একটা কিছু গায়ে চড়তে এত দিন লাগল!

দু'জনে মিলে দুটো গান সাজিয়েছিলাম, এক আড্ডায় গাওয়ার জন্য। বৌরটা কিবোর্ডে একাধিক ট্র্যাকে করা- প্লে বাটন টিপ দিলেই চমৎকার বাজে, আমারটা দীনহীন গিটারে- শুনতে হলে নিজে বাজাতে হয়। খড়-জ্বর সারলে এ গান দু'টারে টাঙানোর ইচ্ছা রাখি।

৪.
জাত-পাতের সম্পর্ক নিয়ে এবিসি টিভিতে 'রেস রিলেশন' নামে এক নতুন কমেডি শুরু হলো। নামে কমেডি হলেও জাত-পাতের বিষয় আছে বলে, শুরুর আগেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে বহু বির্তক হয়ে গেল। এবিসির এক হোমড়া-চোমড়া এক পর্যায়ে বলেই দিয়েছে, ভালো না নাগলে, বা ভালো না লাগাতে চাইলে কেউ যেন এ শো না দেখে। হোস্ট জন স্যাফরন জাতিতে ইহুদি, কিন্তু সব ধর্মকে নিয়েই তার এই অনুষ্ঠান। তবে, জন এর আগে প্রচুর ভাল অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে। তাই তার ভক্তও আছে।

কী দেখানো হলো প্রথম পর্বে তা নিয়ে একটু বলা যাক। পৃথিবীজোড়া অভিবাসনের যুগে কারো পক্ষে তার নিজের জাতের বাইরে একজনের প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা বেশী। কেন সে অন্য জাতের কারো প্রেমে পড়বে? অথবা আদৌ কি পড়বে? এটা যাচাই করার জন্য ইন্টারভিউ নেয়ার ছলে সে ৬জন মহিলার অন্তর্বাস জোগাড় করে- এর মধ্যে একজন পুসিক্যাট ডলসের গায়িকা! চোখ বেঁধে জনকে সেসব শোঁকানো হয়, ভালো নাকি ভালো না- ক্যাটাগরি করে দেখা যায়, জনের দুর্বলতা ইরোশিয়ানের প্রতি।

এর পর তার ঝোঁক চাপে জিউস্টাইন (জিও+প্যালেস্টাইন) মানব সন্তান জন্ম দেয়ার। প্যালেস্টাইনি সাউন্ড রেকর্ডিস্ট নিয়ে সে ইসরায়েলের এক স্পার্ম ব্যাংকে যায় তার স্পার্ম ডোনেট করতে। খুপচিতে ঢুকে সে কৌটা তুলে দেয় তার সেই প্যালেস্টানি সহকর্মীর কাছে। ইজরায়েলি পর্ন ম্যাগাজিন দেখে দেখে কাজ শেষে সেটা যথারীতি জমা দেয়া হয়। এবার তারা যায় প্যালেস্টানি স্পার্ম ব্যাংকে। সেখানে স্পার্মদাতা সেই প্যালেস্টাইনি। কিন্তু খুপচিতে ঢুকে কৌটা চলে যায় জনের হাতে। কোন সহায়ক ম্যাগাজিন নাই, তাই নিজের ব্যাগ থেকে ওবামার বই বের করে, "ইয়েস উই ক্যান" বলতে বলতে কাজ শেষ করে। পরে সেটা যথারীতি জমা দেয়া হয়।

এত বিস্তারিতভাবে এ আপাতঅশ্লীল কথাগুলো লিখার কারণ হলো, এবিসি টিভিকেই অস্ট্রেলিয়াতে ভদ্রলোকের আদর্শ টিভি ধরা হয়। এবিসির খবর, খবর বিশ্লেষণের কোন তুলনা হয় না। পুরোপুরি জনগণের ট্যাক্সে চলে বলে, কোন ধরনের বিজ্ঞাপনও থাকে না। আমেরিকার বস্তাপচা মুভি না দেখিয়ে নিজেদের নির্মাণ করা অনেক ভাল অনুষ্ঠান দেখায়। এবিসি টিভি যখন এই জাত-পাতের কৌতুকানুষ্ঠান শুরু করে, তখন আসলেই ভাবনার উদ্রেক করে। নিজে কোন সিদ্ধান্তে আসার আগে বাকী পর্বগুলো দেখতে চাই।

৫.
প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে লেখা একটা ব্লগপোস্টে প্রথম একটা মন্তব্য পড়ে এরকম: "আর কইয়েন না, এদের জন্য অসি সরকার যা খরচ করে তা দিয়ে দশটা যমুনা সেতু বানানো যায়"। লেখাটা প্রতিবন্ধীদের সমস্যা, তাদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টি এসব নিয়ে; সে বিবেচনায় মন্তব্যটা রূঢ়, অনেকটা বিনা কারণে গালে চড় মারার মতো। আহত-পর্ব কাটার পর একটু ভাবতে বসি। কথা তো সত্য, কিন্তু হজম করতে কষ্ট হয়।

রাষ্ট্র তার সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করবে। বণ্টন সুষম/সমান হবে, নাকি কারো জন্য বেশী হবে? যে মানুষগুলো নিশ্চিতভাবেই রাষ্ট্রের প্রতি বিশেষ কোন অবদান রাখতে পারবে না, তাদের জন্য রাষ্ট্র বাড়তি তো পরের কথা, একটা টাকাই বা কেন খরচ করবে?

কিন্তু, অসি সরকার দেখি করে। শিক্ষা, চিকিৎসা, কার-পার্কে সুবিধাজনক স্থানে বাড়তি জায়গা, প্রতিটি ভবনে আলাদা লিফট, লিফট না থাকলে সিড়িতে বিশেষ ব্যবস্থা, টয়লেট, পাবলিক পরিবহন, সব কিছুতেই সেসব মানুষের জন্য একটা ব্যাবস্থা থাকে। এসব সুবিধা খুব কমই ব্যবহৃত হয়, তবু সরকার বন্ধ করে দেয় না। সভ্য আরো অনেক দেশই প্রতিবন্ধী মানুষদের বিশেষ সুবিধা দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন, প্রতিবন্ধীদের দিকে নজর দেবেন, সরকারি ভবনে র‌্যাম্প বানাবেন। কেবল ঢাকা শহরেই কয়েক লাখ লোক শুনি খোলা আকাশের নীচে ঘুমায়, তাদের কী হবে? শেখ হাসিনার এ উদ্যোগকে ভাল বলব না মন্দ বলব? আমার নিজের সন্তান প্রতিবন্ধী, আমি কি সরকার থেকে বেশী সুবিধা নিয়ে ফেলবো? তার আগে আমাকে কেউ বলুন দেখি, প্রতিবন্ধী মানুষের কথা বলে, এমন কোন ধর্ম কিংবা মতবাদ কি আছে এ পৃথিবীতে?


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পড়ে গেলাম।

আলমগীর এর ছবি

কোথা থেকে চেয়ার না খাট দেঁতো হাসি
পইড়া কই গেলেন?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হো হো হো

আপনাকে কি এমনে বস্ বলি?

আলমগীর এর ছবি

আমারে তুই কইরা কন ক্যান? মন খারাপ
ঠিক আছে, বসলাম। এখন কী করতে কন?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বুঝেছি, আপনি ফর্মে আছেন হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফর্মে মানে একেবারে 'অন ফায়ার'! নিচে দেখেন, আমগো দুর্নীতিবাজ মেম্বররেও এক্কেরে হোতাইয়া লাইছে! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এক্কেবারে ...

রানা মেহের এর ছবি

না
পৃথিবীর কোন ধর্ম কোন মতবাদ প্রতিবন্ধীদের কথা বলেনা।
বলেনা বলেই তাদের কথা আমাদেরই বেশী বেশী বলতে হবে।

সরকার দরকার পড়লে দশটা যমুনা সেতু ভেঙে একটা সেতু বানাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য।
সেই মানুষটাও দেশেরই নাগরিক।

সচলে লেখা কমে যাওয়ায় আমার খুব একটা খারাপ লাগছে না আসলে।
মাঝে এতো এতো মানহীন লেখা আসতো।
পরিমান থেকে মান অনেক জরুরী
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আলমগীর এর ছবি

থ্যাংকু রানা আপা।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, আপনার মমিন সিরিজ কি বন্ধ? যাক, অটিজম নিয়ে সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষ কিছু জানে, আর নিজে না দেখলে বা পরিবারে না থাকলে কেউ বুঝে না বস। আমার এক শালা আছে, তাকে দেখলে বুঝতে পারবেন না বেচারা অটিস্টিক, প্রায় সব কিছুই ঠিকঠাক ভাবে করতে পারে, কিন্তু কমিউনিকেশনে সমস্যা, এদের পেছনে খরচ করা ইনভেস্টমেন্ট, শারিরীক ভাবে এরা সম্পুর্ণ সুস্থ, এদের নিয়ে যখন কেউ কটুক্তি করে, তখন আসলেই মেজাজ খারাপ হয়।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আলমগীর এর ছবি

ব্রেইনের কোন অংশ জানি খাইষ্টা জিনিশ পছন্দ করে? দেঁতো হাসি
মমিন আর লিখব না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গুগলে বেশ কিছু লিংক আছে। কিন্তু এধরনের বিষয়ে আমি আর নিজেকে জড়াতে চাইনা। কিছু লিখলেই অনেকে নানা প্রশ্ন করবে যেগুলোর উত্তর আমার কাছে নেই (কারণ আমি জ্ঞানী নই, তার মানে এই নয় যে ওগুলোর উত্তর নেই। বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এমন কেউ নিশ্চই উত্তর দিতে পারবেন।)। তাই আপনাকেই খুঁজে দেখতে অনুরোধ করছি।

রানা মেহের এর ছবি

সাইফ
যতটুকু জানি আপনি ডাক্তার।
অটিজম সম্পর্কে আপনি হয়তো জানেন। তাও বলছি।

আমার এক শালা আছে, তাকে দেখলে বুঝতে পারবেন না বেচারা অটিস্টিক, প্রায় সব কিছুই ঠিকঠাক ভাবে করতে পারে, কিন্তু কমিউনিকেশনে সমস্যা, এদের পেছনে খরচ করা ইনভেস্টমেন্ট, শারিরীক ভাবে এরা সম্পুর্ণ সুস্থ, এদের নিয়ে যখন কেউ কটুক্তি করে, তখন আসলেই মেজাজ খারাপ হয়।

সবাই কিন্তু আপনার শালার মতো ভাগ্যবান নন।
অটিস্টিক অনেকেই, সত্যি বলতে বেশীরভাগই নিজের দায়িত্ব নিতে অক্ষম। দৈনন্দিন টুকিটাকি কিছু ছাড়া পুরোপুরি অন্যের ওপর নির্ভরশীল।

বিশেষ করে কারো যদি অটিজমের সাথে অন্যান্য ডিস্যাবিলিটি থাকে, তার জন্য সমাজ - পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়া খুব কঠিন।

খুব রুঢ সত্য হলো, এদের পেছনে খরচ করা ইনভেস্টমেন্টতো দুরের কথা একজন সুস্থ্য মানুষ থেকে তার জীবনযাপনের ব্যয় অনেক বেশী।
কিন্তু সেই দায়িত্ব সরকারের অবশ্যই।
সরকার আমার জন্য সিঁড়ি বানালে তার জন্যও লিফট বানাবে।

আর আরেকটা কথা।
এবিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট শব্দটা কেমন কানে বাজলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমার মতের প্রকাশটা মনে হয় ঠিকমত করতে পারিনি, "ইনভেস্টমেন্ট" বলতে বুঝিয়েছি যে রিসার্চ করা হচ্ছে সেটাকে। জেনেটিক সমস্যা নিয়ে ভ্রুনের জন্ম হলে সেটা আগে থেকে জানা যায়, ১২ সপ্তাহের মাঝেই সাধারনত জানা যায়, তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার সুযোগ থাকে। কিন্তু অটিজম টের পেতে হলে আপনাকে ১-২ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এর আগ পর্যন্ত বোঝা যায় না।

তাহলে, কেউ অটিস্টিক হোয়ে জন্ম নিলে কি করবেন? তাদের যতটা সম্ভব ট্রেনিং দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বেচে থাকার সুযোগটা দেওয়া যায় অন্তত। আপাত দৃষ্টিতে আপনে দেখছেন, এদের খাওয়া পড়ার দায়িত্ব সরকারের, কিন্তু সেটা সুচের অগ্রভাগ মাত্র, সব ডাটা জমা করা হচ্ছে, কোন বাচ্চা কোন অ্যাপ্রোচে কেমোন রেসপন্ড করছে, সেগুলা অ্যানালাইসিস হচ্ছে, এই ডাটাবেসজ ক্রমবর্ধমান । সবার অটিজম এক পরিমানে হয় না, যারা কম, তাদের রিহ্যাব করতে আপনার আপত্তি? আর ইনভেস্টমেন্ট অবশ্যই, কারন যত বেশি এ পথে গবেষনা হবে, ভবিষ্যতে এই অটিস্টিক বাচ্চাদের রিহ্যাব বা চিকিৎসা বা অটিজম প্রতিরোধ করা সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠবে। তাহলে, কি দাড়াল, আপনার এটাকে ইনভেস্টমেন্ট মানতে অসুবিধা কোনখানে? আপনে চান না, এরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক?

আর ইনভেস্টমেন্ট মানতে আপনার এত আপত্তি, ফ্লু শট দিয়ে উদাহরণটা দেই, গত বছর ফ্লু শটের ব্যার্থতার হার ছিল ৬৬%। ফ্লু শটের পেছনে তাহলে ব্যয় করা বিলিয়ন ডলার তআহলে অর্থহীন, তখন তো সেখানে গিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন না।

আরেকটা উদাহরণ দেই, এইডস নিয়ে এত মাতামাতি, এইডস হয় কিভাবে? এটা তো এড়ানো সম্ভব, ঠিক না, এর পেছনে এত এত টাকা খরচ হচ্ছে, কই কাউকে তো আপত্তি করতে দেখছি না। অটেস্টিক বাচ্চাদের পেছনে সরকার আপনার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করছে কারন, সে বুদ্ধি তাদের মাথায় আছে, এজন্যেই করছে, ইনভেস্টমেন্ট হিসাবেই করছে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা মেহের এর ছবি

ওরে কপাল
আজ যাই বলছি লোকজন দেখি বকাঝকা করছে মন খারাপ

সাইফ
আপনার আগের মন্তব্যে 'ইনভস্টমেন্ট' কথাটা যে রিসার্চ অর্থে এসেছে একদম বুঝতে পারিনি। ভেবেছি আপনি 'বিনিয়োগ' বলছেন। যেহেতু আলমগীরের লেখায় একটা কথা আছে কোন একজন পাঠক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবন্ধীদের পেছনে প্রয়োজনের বেশী টাকা খরচ করা হয়। তাই সেই শব্দটা ঝট করে কানে বেজেছিল।

মন্তব্যে কোথাও বলেছি, আমি চাইনা ওরা সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক? অনেক বড় একটা ব্লেইম হয়ে গেলনা সাইফ?

শুভেচ্ছা জানবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আসলে মাথা গরম করে করা মন্তব্যের জন্যে আমিও লজ্জিত, যাক, আসলে আমার শব্দের ব্যবহারে এ ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, আর যেহেতু ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটেছে বুঝতে পেরে ভালো লাগল। আসলে আপনার মন্তব্যে মোটিভ বুঝতে পারছিলাম না। তারপরেও ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। আর না, ব্লেমের মত শোনা গেছে বলে আমি খুবই দু:খিত।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রতিবন্ধী মানুষের কথা বলে, এমন কোন ধর্ম কিংবা মতবাদ কি আছে এ পৃথিবীতে?

প্রশ্নটা মাথার ভেতর বেশ কিছুকাল অনুরণিত হতে থাক্ ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আলমগীর এর ছবি

উত্তর পাইলে জানায়েন রণদা।

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার নিজের থিয়োরি হলো, যারা কোনো অটিস্টিক শিশু স্বচক্ষে দেখে নি তারা বিষয়টা কী জানলেও বেদনাটা টের পায় না। আমার খুব প্রিয় এক বন্ধু (সে খুব চমৎকার মানুষ, ভীষণ প্রাণোচ্ছ্বল এবং পরোপকারী), তার শিশুটি এই রকম। সেই দেবশিশুর মতো বাচ্চাটির কষ্ট কাছ থেকে দেখলে এই বেদনার সামান্য অনুভব করা যায়। শিশুটির বাবা মায়ের রোজকার যে কষ্ট সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, তার আন্দাজ করার সাহসও হয় না। এই সব দেখে মনে হয়, স্কুল কলেজে সবাইকে এই জাতীয় স্কুলে ভলান্টিয়ারিং করা বাধ্যতামূলক করা হোক। এতে কিছু শ্রমঘন্টা তো পাওয়া যাবেই, কিন্তু বড়ো যে লাভটা হবে তা হলো সামাজিক সচেতনতা ও সংবেদনশীলতা।

আলমগীর এর ছবি

পাঠকদা,
সচলে আসার প্রথমদিকে এটা লিখেছিলাম। অনেকের মন্তব্যে বেশ কিছু কথা চলে এসেছিল।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই সিরিজটা আমার অসম্ভব পছন্দ হয়েছে...।
প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে চিন্তাটা করলেই খুব কষ্ট পাই। আমাদের গৃহপরিচারিকাটির একটা অসম্ভব ফুটফুটে বাচ্চা আছে- সে অটিস্টিক। এই বাচ্চাটা যখন হাঁটতে গিয়ে পড়ে যায়, সেটা যে কী ভয়ানক একটা হৃদয়বিদারক দৃশ্য - সেটা না দেখলে বুঝতে পারা যাবে না...।

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

আলমগীর এর ছবি

থ্যাংকু।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তার আগে আমাকে কেউ বলুন দেখি, প্রতিবন্ধী মানুষের কথা বলে, এমন কোন ধর্ম কিংবা মতবাদ কি আছে এ পৃথিবীতে?

ক্লান্ত এক শুক্রবার বিকেলে পড়ার মতো আদর্শ লেখা। খুব ভালো লাগছিল পড়তে। ভাবাচ্ছিলো একটু একটু করে। শেষে এসে ঝাঁকি খেলাম একটা। আসলেই এমন কিছু নেই। ঠিক যেমন আরও অনেক প্রশ্নের জবাব নেই।

১০টা কেন, ১০০টা যমুনা সেতু তৈরি করা গেলেও আগে প্রতিবন্ধীদের সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমি এটাকে সভ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখি। এই বিষয়ে নিজের ভাবনাগুলো অনেক দিন ধরেই খসড়া করে রাখা আছে, কিন্তু কাউকে অজান্তে আহত করে বসার ভয়ে লেখা হয় না।

আলমগীর এর ছবি

আহত করার চিন্তা না করে লিখে ফেল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একবার বোধ'য় আপনার লেখাতেই আপনার সাথে আমার মতবিরোধ হয়েছিলো প্রতিবন্ধী শব্দটা নিয়ে। এই শব্দটাই আমি মানতে পারি না কেনো জানি। যাদেরকে এই ট্যাগ দিয়ে আলাদা করা হচ্ছে আমার মতে তাদের আসলে আছে কিছু ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা। যেটা হয়তো মোটা দাগে আমাদের সবার মাঝেই আছে। তাদেরটা প্রকট, আমাদেরটা তুলনামূলক প্রচ্ছন্ন। এখন এই সীমাবদ্ধতার কারণে অন্য সবার মতো ঐ ট্যাগের অন্তর্ভুক্তরাও আলাদা মনোযোগ দাবী করে। উদাহরণ দিই-

স্কুলে একজন অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্র যদি বাড়তি কেয়ারের জন্য অংক প্রাইভেট পড়তে পারে তাহলে একজন সামাজিক রীতিতে সীমাবদ্ধ একজন কেনো বাড়তি কেয়ারটুকু পাবে না?

এখন এই বাড়তি কেয়ার টুকু নিশ্চিত করতে যদি একটা যমুনা সেতুর নির্মান না হয় তাতে কোন মহাভারতটা অশুদ্ধ হয়ে লেখা হয়ে যাবে!

মিক্স ওয়ান ও ওয়ান পয়েন্ট ওয়ান সিডনীতে প্রচারিত হতো (এখনো কি হয়?) মিক্স ওয়ান ও সিক্স পয়েন্ট ফাইভ-এ। আমার তো মনে পড়ে ভরাট গলার ঐ আর.জে'র নাম রিচার্ড মূসা (নাকি মারসা)! দারুণ সব রোমান্টিক গান দিতো সপ্তাহের একটা কি দুইটা দিন বাদে বাকি দিনগুলোতে। অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি হতো কয়েক ঘন্টা। খুব সম্ভবত সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে দশটা। গাড়িতে শুনতাম খুব। খবরের মানের জন্য এসবিএস চ্যানেলের যশ কি পড়তির দিকে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

হ, আমার সাথেই বিতর্ক হয়েছিল। আপনার বক্তব্য ঠিক আছে।

সিডনিতে কী জানি না। মেলবোর্নে ১০১.১ এ হয়। ডিজে ভাইয়ার নাম Richard Mercer (আমার কানে লাগত রিচার্ড মার্সা)। আটটা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত চলে।

এবিসি খবরের জন্য এখনও সেরা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

২০০৪-এ কিছুদিন হঙকঙ ছিলাম। তখন খবরের জন্য এবিসি টিভি ছাড়া দেখার মত অন্য কোন চ্যানেল পাইনি। সেই চ্যানেলের খবর দেখে আমি পুরাই হতাশ। এদের কাছে "দুনিয়া", "গুরুত্বপূর্ণ" ইত্যাদি শব্দগুলোর সংজ্ঞাই পালটে গেছে। এখন এটাই যদি সেরা হয় তাহলে বাকীগুলোর অবস্থা কি?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আলমগীর এর ছবি

আপনি কোন এবিসির কথা কন? ইউএস টা নাকি?
আমি অস্ট্রেলিয়ান এবিসি নিউজের কথা কই।

নেট স্পিড ভালো থাকলে, দেখতে পারেন: (অস্ট্রেলিয়ার বাইরে দেখা যাবে কিনা নিশ্চিত না)
http://www.abc.net.au/iview/

সংক্ষিপ্ত:
http://www.abc.net.au/news/video/

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি ভুলে না গিয়ে থাকলে ওটা অস্ট্রেলিয়ান এবিসিই ছিল বলেই মালুম হয়। এইখানে অবশ্য কিছু কিছু ফ্যাক্টর কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। এক, ২০০৪ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে এবিসি অস্ট্রেলিয়া তার খবরে যথেষ্ঠ উন্নতি করে ফেলে থাকতে পারে। আপনি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে একটানা দেখে যাচ্ছেন তাই ওদের আগের দুরাবস্থার ব্যাপারটা মনে মনে ক্ষমা করে দিয়ে থাকতে পারেন। দুই, আপনি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন তাই লোকাল অস্ট্রেলিয়ানদের চাহিদা আর আপনার চাহিদা কাছাকাছি হবার কথা। এতে আপনি ওদের টার্গেট কাস্টমার গ্রুপে পড়ে যান। টার্গেট কাস্টমার গ্রুপের চাহিদা বোঝার মত প্রফেশনালিজম ওদের মধ্যে যথেষ্ঠই আছে। পক্ষান্তরে আমি এক দেশের মানুষ দ্বিতীয় দেশে থেকে তৃতীয় দেশের টিভি যখন দেখি তখন আমার কাছে অমন লাগতেই পারে।

অফটপিকঃ এবিসি টিভির একজন সংবাদপাঠিকা ছিলেন (নাম মনে নেই), যাকে দেখলে আমার হঙকঙ থেকে পশ্চিম দিকে যাত্রার বদলে দক্ষিণ দিকে লাফ দিতে ইচ্ছে করত।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

পাণ্ডবদাও দেখি আমার মতোই সংবাদপাঠিকাদের প্রতি অনুরক্ত!

হায় টারজানা!
হায় নুবলা!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই টারজানা আর নুবলা কারা? একটু জ্ঞান দেন দেখি।

আপনি যদি হিন্দী বা বাংলা গানের মিউজিক ভিডিও দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন আজকাল চিত্রায়ণের জন্য আর নায়িকাদের নেয়া হয় না। গায়িকা যা করেন, দেখান তাতে নায়িকা আঁচলে মুখ ঢাকেন। সুর্যের চেয়ে বালি গরম আর কি! এখনকার সংবাদপাঠিকারাও তাই অনেক ক্ষেত্রে সংবাদে প্রদর্শিত হাবিজাবির চেয়ে বেশি আকর্ষনীয়া। দুর্বল চিত্ত পাণ্ডবের আর কি দোষ বলুন!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

পড়লাম।

আলমগীর এর ছবি

আপনেরে না কিসের সাথে বাইন্ধা রাখছে,
তাও ক্যামনে পইড়া গেলেন অ্যাঁ
ফোম বিছাইয়া দিমু নেক্সট টাইম।

অনিকেত এর ছবি

লেখা ভাল লাগল,বস।
---তোমার গান শোনার জন্যে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষায় রইলাম।
---আমাদের মাঝের 'সেইসব' মানুষদের জন্যে অনেক দেশের সরকার অনেক কিছু করে। এখানে এসে প্রথম যখন ক্লাসে দেখলাম একজন লোক ছোট্ট একটা মোটরচালিত স্কুটারের করে ক্লাসে আসে, বাস স্টপের লাইনে অন্যদের সাথেই সমান বিরক্তিতে বাসের অপেক্ষা করে এবং বাস আসলে পরে যখন সবার আগে তার ওঠার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়----তখন যত না অবাক লেগেছিল, তারচেয়ে বেশি ভাল লেগেছিল। বারবার মনে হয়েছিল, ঠিক এই লোকটার জন্ম আমাদের মত একটি দেশে হলে তার উচ্চশিক্ষার আশাপূরন তো দূরের কথা, তার জীবন ধারন করাটাই একটা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যেত।

আমি হতাশ হতে চাই না।

আমি তাই বিশ্বাস করি---একদিন আমার দেশেও এমন হবে।
আমি বিশ্বাস করি, একদিন আমরাও বাসের লাইনে তাঁকে অপেক্ষা করতে দেখব আমাদের সাথে। বাস আসলে পরে সবার আগে তাঁকে উঠতে দেব হাসিমুখে।

আমি খুব বিশ্বাস করি আমি বেঁচে থাকতেই এমন কিছু ঘটে যাক আমাদের দেশে----

আলমগীর এর ছবি

কইছি না বস কইয়েন না।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

স্যার , লেখার শেষটা পড়ে ঝাঁকি খেলাম আর অনিকেতদার মন্তব্যটা পড়ে চোখে পানি এসে গেল। গৌতম বুদ্ধের কথাটা বলতে ইচ্ছা করছে---"জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক"।

রাজিব মোস্তাফিজ

আলমগীর এর ছবি

থ্যাংকু রাজিব।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বাংলাদেশে হাল্কার উপরে ঝাপসা কিছু কাজ হচ্ছে। আর যা কাজ হচ্ছে তার সবই 'আপ্যায়ন' খাতে চলে যায়। অর্টিস্টিকদের জন্য খালি কথার খই ফুটছে।

আশা করে আছি, একদিন বিশেষায়িত স্কুলের আরো শাখা হবে, তারা দেখানোর জন্য নয়, বরং সত্যিকারেই স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য কিছু করবে।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

আলমগীর এর ছবি

হ, সময় লাগবে এই যা।

কুবের [অতিথি] এর ছবি

"wired" এর গত সংখ্যার এই লেখাটা ভাবিয়েছিলো।

আলমগীর এর ছবি

ধন্যবাদ কুবের। লিংকটা পড়লাম।
সত্য কথা হলো, যেখানে মানুষের আবেগ জড়িত সেখানে সবচে বেশী ভাল ব্যবসা হয়। অটিজম নিয়েও হয়। ভাল-খারাপ তর্কে আর না যাই।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

৫ নম্বর অংকটি নিয়েই বলছি আমিও।

মানুষের, এবং 'শিক্ষিত' মানুষেরও, সেন্স আর কনশেন্স আসোলেই অ্যাতো ভ্যারিড! এরকম বিষয়ে বিশেষ ক'রে কতো ধরনের আজিব প্রতিক্রিয়া যে পাওয়া যায় মানুষ-নামক পাশের প্রাণীগুলোর কাছ থেকেই!
যে ব্লগে ওই অসি সরকারের অ্যাতো অ্যাতো খরচ নিয়ে ওই অশ্লীল মন্তব্যটা পড়েছিল ব'লে উল্লেখ করলেন আপনি, সেটাও আমার সেই সময়েই পড়া হয়েছিল, সব কমেন্ট-সমেত-ই পুরো লেখাই। সেখানেও খুব অর্থবহ কিছুই হয়তো বলতে পারিনি। শক-এ। সেই শক এমন প্রতিটি ওকেশনেই পাই আমি।
পাঠকদা'র কথার জবাবে যে লিংক-টা দিলেন, (ওই প্রাচীনকালে আমি ছিলাম না সচলে) সেখানে গিয়েও পড়লাম, পুরো লেখা এবং সব মন্তব্য।
পড়লাম, আজকেও এই লেখাতেও এই মুহূর্ত পর্যন্ত আসা প্রতিটি কমেন্ট-কাউন্টারকমেন্ট-সমেত। দেখলাম, ভাবলাম, যথারীতি। দেখানোর বা বলার কিছু নাই। এমপ্যাথি-অ্যাডমিরেশন-স্যাল্যুট কোনোকিছুই এখানে পুরোপুরি ওয়োর্দি হয় না, জানি।
বিনীত শুভকামনা থাকলো, অনেক আগে থেকেই আছে, আপনাদের তিনজনের জন্যই।

ভালো থাকুন আলমগীর ভাই। গতানুগতিক সিরিজের জন্য রইলো আরো একটা ইন্ধন।
চলুক

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আলমগীর এর ছবি

ইন্ধনের জন্য ধন্যবাদ। দেখি পোড়াইতে পারি নাকি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পাঠ করেছি। জানিয়ে গেলাম। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আলমগীর এর ছবি

হুঁ

সাফি এর ছবি

প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের প্রেক্ষিতেই কিনা জানিনা, কোন এক সংবাদপত্রে পড়েছিলাম বাংলাদেশে articulated bus (অনিকেতদা মন্তব্যে যার কথা উল্লেখ করেছেন) চালু হবে। কিন্তু আমার কাছে এসব উদ্যোগ কেন জানি অনেকটা লোকদেখান, সস্তা জনপ্রিয়তার অভিপ্রায়ে করা বলে মনে হয়। ঢাকা শহরে ২০০টা articulated bus নামানোর চেয়ে সারা দেশের শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা আরো জরুরী বলে মনে হয়। এখন যেমন তাদের নিয়ে ব্যবসা হয়, মাস্তানরা রাস্তার ধারে বসিয়ে ভিক্ষে করায়, এসব যেন না হয়।
এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ

আলমগীর এর ছবি

ধন্যবাদ সাফি।

সিরাত এর ছবি

অতিথি বেশি ক্যান কেউ কইলেন না? হাসি

আলমগীর এর ছবি

সে দিন ছিলো আন্তঃব্লগীয় আলু পোড়া উৎসব-২০০৯।
আপনি লেইট লতিফ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।