বাংলাদেশ ভারত সাইবার যুদ্ধ বলতে যে চলমান ঘটনাটিকে বোঝাচ্ছি সেটি সম্পর্কে খুব স্পষ্ট তথ্য পাচ্ছিনা। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা কতটা নির্ভরযোগ্য সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, বাংলাদেশি এবং ভারতীয় হ্যাকাররা দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাক করছে বিরতিহীনভাবে।
ঘটনাটি শুরু হয়েছে জানামতে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। এই সময়ে বাংলাদেশের কিছু হ্যাকার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাক করে। সেখানে তারা লিখে দেয়, তাদের সেইসব সাইট হ্যাক করার কারণ। টানিয়ে রাখে সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর ছবি। এইসব হ্যাকাররা নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্লাক হ্যাট হ্যাকার দলের সদস্য হিসেবে।
এইখানে ঘটনাটি শেষ হয়নি, বরং শুরু হয়েছে।
এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার পরে ভারতের হ্যাকাররা হ্যাক করে বাংলাদেশ সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাইট। ইন্ডিশেল নামের ভারতীয় হ্যাকারদের একটি দল এই হ্যাকিং চালায়। বাংলাদেশের হ্যাকারদের পাল্টা হ্যাকিংও চলতে থাকে। বাংলাদেশের হ্যাকারদের তিনটি দলের নাম জেনেছি এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশ ব্লাক হ্যাট হ্যাকারস, বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এবং এক্সপায়ার সাইবার আর্মি। শোনা যাচ্ছে দুপক্ষেই অন্যান্য বিভিন্ন দেশের হ্যাকাররা যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের হ্যাকারদের পক্ষ নিয়েছে বিশ্বের সবচে বড় হ্যাকার দল অ্যানোনিমাস। অ্যানোনিমাসের কথা আপনারা সম্ভবত শুনে থাকবেন। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার এবং উইকিলিকস বিষয়ক গোলযোগের সময় অ্যানোনিমাস উইকিলিকসের পক্ষে বিশ্বের অনেকগুলো বড় সংস্থার ওয়েব সাইট হ্যাক করে প্রতিবাদ জানায়। সাম্প্রতিক সোপা/পিপা বিরোধী আন্দোলনেও অ্যানোনিমাস হ্যাক করে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সাইট।
সব মিলিয়ে জানতে পারলাম ভারতীয় ১৫ হাজারেরও বেশিসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশের পক্ষে অন্য দেশের হ্যাকাররা। ভারতীয় হ্যাকারদের দল ইন্ডিশেল বলেছে, রবিবার রাতের মধ্যে বাংলাদেশীদের এই হ্যাকিং বন্ধ না হলে তারা বাংলাদেশের গুরুদ্বপূর্ণ সব ওয়েব সাইট গুঁড়িয়ে দেবে। তাতে অবশ্য বাংলাদেশের হ্যাকাররা থেমে নেই। বরং দেখতে পাচ্ছি ব্লগে-ফেসবুকে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে হ্যাকিংয়ে সম্পৃক্ত করছে হ্যাকাররা। বাংলাদেশের হ্যাকারদের দাবী, তারা এখনো তাদের আসল আক্রমণ শুরুই করেনি! দুপক্ষের থেকেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দুইদেশেরই সাইবার স্পেসে আরো বড়রকমের ঝড়ঝাপ্টা আসতে পারে।
এই সবগুলো খবরই সম্ভবত পাঠকরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। এই লেখাটির উদ্দেশ্য সংবাদ পরিবেশন নয়। বরং বুঝতে চেষ্টা করা, এই সাইবার আক্রমণের উদ্দেশ্য সৎ হলেও এর ফলাফল কতটা ইতিবাচক হবে!
বাংলাদেশের হ্যাকারদের ক্ষোভ এবং আবেগের সততায় কোনো সন্দেহ পোষণ করছি না আমি। বিএসএফ-এর কর্মকাণ্ড ঘৃণ্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর প্রতিবাদ করা দরকার। প্রতিবাদ যাঁরা করছেন তাঁদেরকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের হ্যাকারদের কর্মকাণ্ডও প্রতিবাদ। অবশ্যই যৌক্তিক প্রতিবাদ। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিবাদের পদ্ধতিটি কতটুকু গ্রহনযোগ্য। অথবা যে পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করা হচ্ছে তাতে কী ফলাফল আশা করতে পারি আমরা?
একটি ব্যাপার নিশ্চিত, এরকম হামলার ভয়ে ভারত সরকার কখনো কোনো দাবী মেনে নেবে না। কোনো দেশের সরকারই নেবে না। নেয়া সম্ভব নয়। হ্যাকাররা যদি ভারতের সব সরকারী সাইটও হ্যাক করে ফেলে তবুও ভারত সরকার হ্যাকারদের দাবী মেনে নেবে না। তারা হ্যাকারদের সঙ্গে কখনোই কোনো সমঝোতায় আসবে না। আসার রীতি নেই। একটি রাষ্ট্র তা করতে পারে না। সুতরাং প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে ঠিক, কিন্তু সেই প্রতিবাদের ফলাফল কেবল খানিকটা প্রতিশোধ নিতে পারার আনন্দ পাওয়া। এবং দেশের জন্য একটা যুদ্ধ করে ফেললাম সেই অদৃশ্য তৃপ্তি।
বস্তুত, সীমান্তে যে হামলা-হত্যা অনিয়ম সেগুলোর সমাধান বাংলাদেশের সরকারকে কূটনীতিকভাবেই করতে হবে। কূটনীতিক সমাধানের সদিচ্ছা সরকারের কতটুকু আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। এবং দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ সরকারকে সেই প্রশ্নটি করতে পারেন। সরকারকে দেশের নাগরিকদের জীবন-সম্মান রক্ষায় চাপ দিতে পারেন। সরকারকে জানিয়ে দিতে পারেন, নাগরিকদের কাছে তার দায়বদ্ধতার কথা। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে এইসব সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা সাধারণ নাগরিক হিসেবে যে আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছে না সেটিও সরকারকে প্রতিমুহূর্তে জানিয়ে দেয়া দরকার।
সরাসরি ভারত সরকারকে প্রতিবাদ জানানোর একটি উপায় হিসেবে পহেলা মার্চ ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক এসেছে। এই প্রচেষ্টাতেও ভারত সরকার দুম করে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেবে সেরকম সম্ভাবনা নেই। সেরকম চাওয়া নিয়ে এই উদ্যোগ নেয়াও হয়নি। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য একটি বার্তা যথাস্থানে পৌঁছে দেয়া। বার্তাটি পৌঁছে গেলেই আমরা খুশি। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আয়োজনটিকে আমি ভালোভাবে নিচ্ছি। হ্যাকারদের আক্রমণকে নিচ্ছি না। তার কারণ এই দুই কর্মকাণ্ডে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। দুটি আয়োজনেরই উদ্দেশ্য সৎ, কোনো সন্দেহ নেই। আমি চাই সেই উদ্দেশ্য পূরণ হোক। সীমান্ত হত্যা বন্ধ হোক, টিপাইমূখ বাঁধ ইত্যাদিও বন্ধ হোক। কিন্তু হ্যাকিং একটি অপরাধ। একটি রাষ্ট্রকে তার সমস্যা ন্যায়সঙ্গত কূটনৈতিক পথে সমাধান করতে হবে। সেই যোগ্যতা রাষ্ট্রের থাকা উচিত। রাষ্ট্র তার নাগরিককে হোক সে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, অন্যায় পথ অবলম্বন করতে দিতে পারে না।
কেউ একটি অপরাধের প্রতিবাদে আরেকটি অপরাধ করতে পারেনা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে আরেকটি অন্যায় কোনো হিসেবেই গ্রহনযোগ্য নয়। ব্লগে ফেইসবুকে যারা দেশের জন্য যুদ্ধ ইত্যাদি ভারী কথা বলে কীবোর্ড কাঁপিয়ে ফেলছেন, তাদেরকেও তারা যে কাজটি করছেন সেটির নৈতিকতা ভেবে দেখবার অনুরোধ করি।
আমি বরং মনে করি হ্যাকারদের যে দারুণ প্রতিভা আর প্রাণের প্রাচুর্য সেটি ব্যবহার করে তাঁরা সাইবার জগতেই ন্যায়সঙ্গতভাবে সরকারকে ভালো রকমের চাপ দিতে পারতেন এসব সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের জন্য। সাইবার জগতের ক্ষমতা আর বিস্তৃতি অসীম। হ্যাকাররা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড সাইবার জগতেই বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারতেন সুচারুভাবে। বিশ্বের সামনে এই বিষয়টি খুব স্পষ্টভাবে উঠে এলে সেই চাপ ভারত সরকারও নিশ্চয়ই অনুভব করত। আমি বিশ্বাস করি হ্যাকারদের যে দূর্দান্ত ক্ষমতা আমি দেখছি তাতে সেই কাজটি তারা অসম্ভব সফলভাবে করতে পারতেন।
এবং অবশ্যই, বাংলাদেশ সরকারকে সাইবার জগত সম্পকে আরো সচেতন এবং আধুনিক হবার প্রয়োজন আছে! এমনিতেই সরকারী ওয়েবসাইটগুলি বেশিরভাগই হালনাগাদ নয় এবং সেখান থেকে কারো প্রয়োজন সচারচর মেটে না। মুখে যতই বলা হোক, আমাদের নীতিনির্ধারকদের সাইবার জগত সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে বলে মনে হয়না। আমাদের সরকারী আলয়-সংস্থা-সেবাপ্রতিষ্ঠানগুলো সত্যিকারের হিসেবে একটুও ডিজিটাল নয়। নামমাত্র যা রয়েছে সেখানে আধুনিকতা বলে কিছু নেই। অথচ দেশে আইটি বিশেষজ্ঞ অথবা দক্ষ আইটি জনশক্তির অভাব নেই। চাইলেই আধুনিক হয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটির জন্য কেবল সাইবার জগত সম্পর্কে স্পষ্ট বোধ আর উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে কী হবে সেটা পরে। এইমুর্হর্তে আমাদের যে সাইটগুলি রয়েছে তা সে যে অবস্থায়ই থাকুক যোগ্য তত্ত্বাবধায়কের অধীনে থাকা প্রয়োজন। ভারতীয় নবীশ শ্রেণীর হ্যাকাররা ৫ মিনিটের চেষ্টায় যদি দেশের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে ফেলে তাহলে সেটা খুব সুখের বিষয় নয়। কোনোমতে ৬ মাসের আইটি ডিপ্লোমার সার্টিফিকেটের জোরে আর মন্ত্রীর আত্মীয় হবার সুবাদে কেউ দেশের গুরুদ্বপূর্ণ সরকারী সাইট রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব পাননা বলেই বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে এরকম জায়গায় যোগ্য লোকেরাই আছেন। কিন্তু সেটি সত্য নয়। এইসব তত্ত্বাবধায়কের অযোগ্যতা প্রমাণ করে দিয়েছে ভারতের হ্যাকাররা।
আশা করছি এই হ্যাকিংয়ের ফলে অন্তত দেশের সরকারী সংস্থাগুলোর টনক নড়বে। সাইবার জগতে আরো শক্ত প্রতিরক্ষাবূহ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তাঁরা বুঝতে পারবেন। দেশের জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটির তত্ত্বাবধান করবেন যোগ্য কেউ।
সবমিলিয়ে আমার বক্তব্য সহজ এবং স্পষ্ট, যে লোকটি আমার উপর অন্যায় করেছে আমি তাকে সেটা মুখোমুখি বলতে চাই। আমার যোগ্যতায় সেই অন্যায়কে যথাস্থানে তুলে ধরে তার প্রতিকার করতে চাই। আমার কষ্ট যতই থাকুক, গোপনে তার ঘরের চালে ঢিল মারতে চাইনা। সেটি আমার যোগ্যতা নয়, বরং কূটনৈতিক অযোগ্যতা এবং কাপুরুষতার প্রমাণ দেয়।
মন্তব্য
হুমম। অ্যানোনিমাসরা সকল মহান রাষ্ট্রের জন্যেই একটা মাথা ব্যথা হয়ে উঠতেছে। শালাদের মুরদ নাই বিএসফের মতো একটা আইনি কাঠামোর ভিতরে থেকে দুষ্কর্ম করার। তীব্র ধেক্কার!
আমার ধারণা এটার মুল ফলাফল হবে মিডিয়াকে ভারতের হত্যাযজ্ঞের দিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো। অবশ্যই এই হ্যাকিং / ডিডস এটাক গুলো কূটনৈতিক সুফল বয়ে আনবে না কিন্তু অনেক বেশি মানুষ ব্যাপারটা সম্পর্কে অবগত হবে। আমি পশ্চিমা মিডিয়ার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হত্যাকান্ডগুলো সম্পর্কে খবর খুব কমই দেখেছি। যদি এখন এই সাইবার ওয়ার সংক্রান্ত খবর হিসেবে সেখানে সীমান্তবর্তী হত্যাকান্ডগুলোর কথাও যায়, তাহলেই বা খারাপ কি? সাইবার ওয়ার কে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।
আমি এক্ মত।
বর্তমানে সাইবার ওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, এটি প্রতিষ্ঠিত একটি রূপ পেয়েছে, প্রতিবাদ কিংবা সাইবার জগতের আধিপত্য বুঝাতে এটি করা হচ্ছে, কিন্তু দুদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য একটি ভুল পদক্ষেপ্ই যথেষ্ঠ, তথ্যগুলো চোখে পড়লো কিছুক্ষণ আগেই, তারপরে দেখলাম আপনার লেখা, মনে হচ্ছে ঘটনাটা বেশ গম্ভীর হতে যাচ্ছে|
সাইবার ওয়ার শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবীতে খুব শীগ্রই|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ওয়েবসাইট হ্যাকিং করা সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু বলে মনে হয় না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ভারতীয়দের অনাচারের জবাব দিতে চাই। আসুন। সরকার কিছু করে না। আমাদের ই করতে হবে।
কী করতে চাচ্ছেন? যুক্তিসঙ্গত মনে হলে আমিও অংশ নিতে চাই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রিয় দিগন্ত, একটা বিনম্র প্রশ্ন আপনি কলকাতার কোন বাংলা ব্লগে লিখেন ?
হ্যাঁ হলে একটা প্রস্তাব আছে।
হ্যাঁ লিখি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সেখানে বিএসএফ কর্মকান্ড নিয়ে কোন আলোকপাত হয় কিনা ? হলে তার লিংক দিলে আমরা জানতে পারতাম তাদের প্রতিক্রিয়া । জানতে পারলে ভাল লাগতো। আর নাহলে আপনাকে অনুরোধ এ নিয়ে একটা লেখা দেন যদি আপনার সেটুকু সময় থাকে । হয়তো অযাচিত আবদার
অনেক লেখা হয় গুরুচন্ডালীতেই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমার মতে বাংলাদেশের হ্যাকারদের উচিত ভারতের সাইট হ্যাক না করে বাংলাদেশের সাইগুলোকে হ্যাক করে সরকারের চোখে আংগুল দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়া। এই সরকারের ভারতলেহন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রতিবাদ করতে গেলেও ভয় হয় বড় কোন মন্ত্রী আরো লজ্জাকর কোন বক্তব্য দিয়ে বসে কিনা।
খুব ঠিক কথা।
বাংলাদেশ সরকার এদেরকে গেরেপতার করে ভারত সরকারের হাতে দ্রুত তুলে দেবেন আশা রাখি।
আর ভারত সরকারের তাদের হ্যাকারদের কি করা উচিত? আমাদের হাতে তুলে দেয়া হোক সেটা চাইলেন না যে?
সারক্যাজম বোঝেন নাই মনে হয়
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এটাকে সারক্যাজম বলে মনে হচ্ছিলোনা বলেই প্রশ্ন করলাম। পুরো নিঃসন্দেহ হলে তো প্রশ্ন না করে প্রতিবাদ জানাতাম। উনি সারক্যাস্টিক হয়ে বলেছেন সেটা পষ্ট করে বললে অধমের সরল মন নিশ্চিন্ত হবে আরকি। পোস্ট ও কমেন্টে হ্যাকারদের যেভাবে শাপশাপান্ত করা হচ্ছে তাতে নিশ্চিত হতে পারছি না।
পোস্টে হ্যাকারদের শাপশাপান্ত করা হলো কীভাবে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পোষ্টের মুলভাষ্য অনুযায়ী হ্যাকারদের এই কর্মকান্ড একটি উদ্দেশ্যহীন অপরাধ যার ফলাফল ভাল হবে না। তারা গোপনে অন্যের ঘরের চালে ঢিল ছুড়ছে। তারা জনপ্রিয় সাইটে সীমান্তহত্যার খবর ও নিজেদের প্রচার করে ক্ষনিকের আত্মতৃপ্তি ও দেশের জন্য যুদ্ধ করার মত একটা আনন্দ দিলেও আখেরে এটা নীতিবর্জিত একটি কাজ। তাদের কাজটি মূলত কাপুরুষতার পরিচায়ক। এই ভাষ্যগুলোকেই আমি শাপ বলে ধরে নিয়েছি। ঠিক না ভুল সে প্রশ্নে যাবার সময় হচ্ছেনা এবং মুল পোষ্টের যে লাইনগুলো থেকে এই ধারনা এসেছে তা কপি করতে পারছিনা সাইটের রেসট্রিকশনের কারনে। আমি যদি ভুল বুঝে থাকি তাহলে শুধরে দিলে খুশি হব।
[পষ্ট:সিরিয়াস]ভারত সরকার তাদের হ্যাকারদেরকে বিয়েসেপের আইটি বিভাগে নিয়োগ দিতে পারে। ভালো থাকবেন।[/পষ্ট]
সহমত। এ কথাটা আমি বলতে চাচ্ছিলাম।
আর এনোনিমাস বাংলাদেশ কে সাহায্য করছে খবরটা নাও সত্যি হতে পারে। সাধারণত এনোনিমাস কোনো আক্রমণ করার আগে টুইটার/ইউটিউবে ঘোষণা করে। এরকম কিছু এখনো দেখিনি
এই সাইবার যুদ্ধ কেমন যেন ছেলেমানুষী লাগছে শুনতে। যে কাজে শুভ কোন ফলাফল আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তাতে এভাবে সময় আর শ্রম নষ্ট করা কেন?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই হবে, সেটা যে যে অবস্হানে আছে, সেখান থেকেই। আমাদের অবস্হা এমন হয়েছে, যতক্ষণ না নিজের ঘরে আগুন লাগবে, ততক্ষণ আমরা নিস্পৃহ থেকে যাবো। সকালে চা খেতে খেতে জোড়া খুনের খবর পড়বো, তারপর বিপিএলের শিডিউলের দিকে চোখ দিবো।
এর মধ্যে কেউ যদি নিজের একটু সময় নষ্ট করে প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করে, আমি দোষের কিছু দেখিনা। এটাতো এমন না যে এরা ব্যাংক হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, ঐসব ফালতু ওয়েবসাইটের এমনিতেও কেউ খোজ রাখে না, যদি এর মাধ্যমে বি এস এফের ঘটনা বিদেশী প্রচার মাধ্যমের একটু নজরে আসে।
আমি নৈতিকতার চেয়েও ব্যাপারটার ফলাফল নিয়ে চিন্তিত। আমাদের প্রতিবাদে আমাদের সরকারই কান দিচ্ছে না, ভারত সরকারতো না ই, এ অবস্থায় একজন হ্যাকারকে নৈতিকতার কথা শোনালে হয়ত সে পাত্তা নাও দিতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে "শান্তির সময়ে"ও আমাদের সরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক হয় বেশ সহজেই। আমাদের সরকারী ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তা এখনো প্রশ্নাতীত না, বেসরকারীগুলোরও যে খুব আলাদা অবস্থা তা না। এখন এই ঘোষিত যুদ্ধের সময়ে বেশ কিছু সাইট ভারতীয় হ্যাকারদের কবলে যেতেই পারে, ব্যাপারটাকে কোলাটেরল ড্যামেজ বলে উড়িয়ে দেবার কোন উপায় নেই আসলে, কারণ যখন বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়, তখন আমাদের দেশের মান সম্মান নিয়েই টানাটানি পড়ে যায়।
ভারতের যে বিপুল জনসংখ্যা, আর তাদের আইটিতে আগে থেকে এগিয়ে থাকার যে সুবিধা তাতে ওদের আমাদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হ্যাকার থাকার কথা। সবাই মিলে বাংলাদেশের সাইবার স্পেস অ্যাটাক করতে নামলে ব্যাপারটা আমাদের জন্য খুব একটা সুখের ব্যাপার হবে না। তাই বাস্তবতা বিচারে আগে নিজেদের নিরাপত্তা না বাড়িয়ে ভারতের সাইবার স্পেস আক্রমণ করতে যাওয়াটা বিবেচনাপ্রসূত হয়নি। আগে অন্তত নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটা মাঝারি পর্যায়ে হলেও নিয়ে আসা উচিত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাইয়া ঠিক বলেছেন একদম
আসলে এই ব্যাপার গুলো যাদের কে ভাবানোর কথা তারা দিব্বি নাকে তেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে আছে
এক্ষত্রে আমরা আমাদের সরকারের উপর চাপ বাড়াতে পারি যাতে করে তাদের নতজানু মাথাটা একটু টেনে তুলতে পারে।
লেখার জন্য
অ্যানোনিমাস বাংলাদেশের হ্যাকারদের সাহায্য করছে এই কথার সোর্স কী? প্রিয় ডট কম ছাড়া এই কথা তো আর কোথাও খুঁজে পেলাম না। আমি তো জানতাম অ্যানোনিমাস কিছু করতে চাইলে আজান দিয়ে করে।
বাবারা, তোরা হ্যাক-ফ্যাক যাই করিস ইংরেজিটা শুদ্ধ করে লিখিস।
জাকারিয়া স্বপোনদার টেক ডট প্রিয় ডট কম ক্রমশ বিনোদনের দিক দিয়ে মোস্তফা জব্বারের ফেসবুক পাঁচিলের সমকক্ষ হয়ে উঠছে। এই পোস্টটা পড়ে জানলাম, অ্যানোনিমাজ১৭ নামে একটা ইন্দোনেশীয় হ্যাকার গ্রুপ জিঙ্গোয়িস্টিক পাকি ও বাঙ্গি হ্যাকারদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। সেটাকেই জাকারিয়া স্বপোনদার বিনোদনমাধ্যম অ্যানোনিমাস বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
বিবিএইচএইচ'এর বরাত দিয়ে এইখানেও অ্যানোনিমাস'এর 'সমর্থনে'র কথা বলছে।
তবে, কাহিনি হৈলো অন্য জায়গায়। হ্যাকাররা দেখি হ্যাকিং এর 'দুটি সংবাদ' জানানোর কথা বলে তিন নম্বরে গিয়ে সুনা ব্লগের লিংক দিছে! [গিয়ানজামটা এইখানেই।]
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাইবার যুদ্ধ জিনিসটা অনেকটা একে অন্যের প্যান্ট খোলাখুলি প্রতিযোগিতার মতো। ভারত আমাদের সাথে এই যুদ্ধে পারবে না, কারণ আমাদের প্যান্ট খোলা রেখেই যুদ্ধে নেমেছি। সরকারী ওয়েবসাইটগুলোর জামাকাপড়ের বালাই কোনদিনই ছিল না। কিছু কিছু ওয়েবসাইট স্রেফ প্রটোকল মানার জন্যই বানানো, ওগুলোতে সংশ্লিষ্ট লোকজনই ঢুঁ মেরে দেখে না কোনদিন। সুতরাং ভারতীয় হ্যাকারগন হন্যে হয়ে খুঁজেও হ্যাক করার মতো জিনিস পাচ্ছে না। শেষমেষ কোন জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটের মতো জিনিস হ্যাক করা শুরু করেছে যেটার ডোমেইন কখন মেয়াদ উত্তীর্ন হবে খোদ ওয়েবমালিকই জানে না।
তবু এই যুদ্ধ যদি দুই সরকারকে অন্ততঃ একটা বৈঠকে বসাতে বাধ্য করতে পারতো,(ফলাফল যাই হোক,) কিছু একটা শান্ত্বনা পাওয়া যেতো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বান্ধায় রাখার মতো মন্তব্য।
ন্যাংটার নাই চোরের ভয়, এই প্রবাদের যথার্থ প্রয়োগ এটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লে ভাই, ল্যাংটো করেই ছাড়ল
[আবার এক খবরে দেখলাম, তারা ঘোষণা করেছে, ভারতের হ্যাকাররা তাদের কাছে দুগ্ধপোষ্য শিশুর মতো বোকা, তাই কোনমতেই পাল্লা দিতে পারছেনা, এখনো নাকি আসল খেলা শুরুই করেনি আমাদের বীর সাইবার যোদ্ধারা আর তাতেই নাকি ভারতের হ্যাকার শিশুদের প্যান্টে হিসু শুরু হয়ে গেছে, ]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমাদের আছেই কী আর হ্যাকই বা করবে কী !
তার চেয়ে বাংলাদেশী হ্যাকারদের কাজে যদি মানুষ একটু জানতে পারে বিএসএফের কুকীর্তি সম্পর্কে সেটা খারাপ কী ?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কিছু সরকারী ওয়েবসাইট এর লিঙ্কু। এইগুলার জামা কাপড় আছে নাকি পুরাই ল্যাংটা? পাছা উদোম? একটু জানাইলে দ্যাশ উপকৃত হয়।
http://www.bpatc.org.bd/
http://www.moedu.gov.bd/index.php
http://www.bpsc.gov.bd/2011/
http://www.mopme.gov.bd/
http://www.mopa.gov.bd/index.php
http://www.bangladesh.gov.bd/
http://www.banbeis.gov.bd/webnew/
http://www.ugc.gov.bd/
http://www.dhakaeducationboard.gov.bd/
http://www.nctb.gov.bd/
অপ্রয়োজনীয় এই সাইবার যুদ্ধে মেধার অপচয় দেখে হতাশ বোধ করছি। আত্মতৃপ্তি ছাড়া এতে কিছু মিলবে না।
ইসসস, এরকম করে আমাদের বীর সাইবার যোদ্ধারা যদি দেশের সকল ছাগু সাইট হ্যাক করে সবকটাতে ছাগলের ইয়ের ছবি ঝুলিয়ে দিতো,
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এমন মন্তব্য অনেক দিন পড়িনি
চরম মন্তব্য
নাওয়ারিদ
বিডিনিউজ২৪ এই ব্যাপারে কলমবিরতিতে গেছে নাকি?
বিভিন্ন হলিউডি চলচ্চিত্রে দেখে এসেছি যে শত্রু শিবিরের কম্পিউটার হ্যাক করে তাতে সুক্ষভাবে তথ্য পাল্টে দেয়। যাতে শত্রুদের প্ল্যানে গন্ডগোল লেগে যায়। কিন্তু সেইক্ষেত্রে হ্যাকিংটা ধরা না পড়াই বাঞ্চনীয়। এইভাবে আমাদের হ্যাকাররাও কিছু করতে পারেনা? ধরেন টিপাইমুখ। অবস্থা দেখে মনে হয়, আমাদের সরকারী লোকজনই এইটা বানায় ছাড়বে যদি ভারত নিজে নাও বানাতে চায়। এইটার প্ল্যানিং এ এমন কিছু গন্ডগোল করে দেয়া যায় না যেটা কোনভাবেই ধরা পড়বে না, কিন্তু বাঁধে পানির চাপ পড়া মাত্র তা ভেঙ্গে গুড়া গুড়া হয়ে যাবে? হইলে খারাপ হইতো না।
সেই পানি যাবে কোথায়?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শুভ ফল আসুক কিংবা নাই আসুক তারা তো প্রতিবাদ করছে এইটাই বা কম কিসে! এদিক থেকে ব্লাক হ্যাট এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। অনেকে দেখলাম শুভ ফল আসবেনা এইটা ধরে নিয়ে এটাকে হাস্যকর বলছেন। আমি বলব ফলাফল আসাটা বড় কথা না , তারা তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে হলেও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এইটাই বিষয়.
ভারতের কতিপয় পর্নোগ্রাফিক সাইট হ্যাক করে ঠিক কি রকমের প্রতিবাদ করছে বলে মনে হয়?? সবাই তো না জেনেই দৌড়াচ্ছে সাইবার ওয়ার, সাইবার ওয়ার বলে, কিন্তু খোঁজ নিয়েছে কতজন যে ভারতের কিছু ব্যক্তিগত সাইট, ব্যক্তিগত মেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড আর পর্নোগ্রাফিক সাইট ছাড়া তেমন কিছুই হ্যাক করেনি তারা, বরং বাংলাদেশের বেশ কিছু সরকারী সাইট হ্যাক করে রেখেছে ভারতীয় হ্যাকাররা| নিজেদের ঘর সামাল দেওয়ার মতো সাইবার স্ট্রেটেজি এবং সিকিউরিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাংলাদেশের আছে কিনা এটা জানা দরকারী কারণ এতে আমাদের ক্ষতি সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতাটা অন্তত জানা থাকতো, সেটা না করে জিহাদী জোশে এগিয়ে গেলে বড় ধরনের পুটুমারা খাবার আশঙ্খা থেকে যাচ্ছে|
আর বর্তমান আপডেট অনুযায়ী ভারতীয় যেকটি সরকারী বা আধা সরকারী সাইট হ্যাক করা হয়েছিল তাদের সবাই কয়েক ঘন্টার মাঝেই পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে| কিন্তু যতদুর জানি বাংলাদেশের সরকারী সাইটগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নিজেদের সামনে ভারতকে আকাশ সমান উচ্চতায় বসিয়ে "তারা কোমর বেঁধে নামলে আমরা গেসি" টাইপ কমেন্ট পছন্দ হইলনা।
আপনার
এই আশংকার জবাব নীড় সন্ধানী ২০ নং কমেন্টে দিয়েছেন। ঐখানে সমর্থনও জানিয়েছেন দেখলাম!! তাহলে?
ঠিক এই কারণেই বলেছি- জিহাদী জোশে এগিয়ে গেলে বড় ধরনের পুটুমারা খাবার আশঙ্খা থেকে যাচ্ছে|
কোনো জবাব দেওয়া হয়নি বরং একই আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে, শুধু তাই নয় আমাদের সাইবার ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর দুর্বলতা সম্পর্কেও বলা হয়েছে| আর তাতে কোনো সমর্থন দেইনি, বরং একই কথা ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে বলেছি| আগে অন্তত ভালো করে পড়ে তো দেখুন| তারপর না হয় ফিরতি কমেন্ট করবেন| নাহলে তো আপনিও দেখছি জেহাদী জোশে আছেন|
আর একটা কথা, ভারতকে উঁচু করে বসিয়ে কোথায় কথা বলেছি জানিনা, কোথা থেকে তা আপনার মনে হলো ঠিক সেটাও বুঝলামনা, কিন্তু যদি পরিসংখ্যান আর বাস্তব ভেবে দেখেন তাহলে হয়তো আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা| আর যদি তা করতে না পারেন, সাইবার যুদ্ধে সমর্থন করতে থাকুন| আর কি করার|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইটা আশংকা??!!
এটা কি বীরত্ব??
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যত ক্ষুদ্র সাইট হোক না কেন তারা হ্যাক করেছে এবং এইটা সবার নজর এ পড়েছে। সরকারী কেকটি সাইট ও হ্যাক করেছে. বিদেশে বসে মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট এর চূড়ায় উঠেছে কি উঠে নাই, কোন এঙ্গেল এ ছবি তুলেছে এইসব নিয়ে ব্লগ এর পর ব্লগ লেখার তুলনায় তারা অনেক ভালো কাজ করছে.
পোথোমালোর পর্বত ব্যবসায়ী আর ছাগুদের সঙ্কর প্রজাতির এই অবস্থা শেষমেশ?
কুনদেশী পাগল আসছেন ভাই? একটা মানুষ পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া জয় করেছে ওইটার সাথে কয়টা মদন ঘরে বসে আরেকজনের সম্পত্তি চুরি করছে তার তুলনা করেন? দূরে যায়া মরেন। গো ফার অ্যাওয়ে অ্যান্ড ডাই।
..................................................................
#Banshibir.
বাংলাদেশের সরকারী সাইটগুলা হ্যাক করা লাগে নাকি আবার? গিয়া খালি এডমিন যোগ করার একটা এসকিউএল ইনজেকশন মারলেই প্রায় সব সাইটই হাইগ্যা মুইত্যা কাবার আর সেইটা না হইলে টেবিলের নাম ধইর্যা দুই চাইরটা ইনজেকশন মারলেই গোটা ইউজার পাসওয়ার্ড দেখতে পাওয়া যায়, খুব হইলে একটা এনক্রিপশন থাকে তাও আবার যে আবুল মার্কা পাসওয়ার্ড থাকে কয়েক মিনিটের ব্রুটফোর্সে ভাইংগা যায়
পোলাপাইনের কাম দেখেন, মাস খানেক আগের আমগো ফ্রেন্ডসার্কেলের কাম পাসওয়ার্ড ছিলো মনে হয় "হ্যালোপাসওয়ার্ড" এই জাতীয় কিছু
_________________
[খোমাখাতা]
আমি বিষয়টাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করি, মডেল সিমুলেশনে যখন কোনও প্যারামিটারের লিমিট এরিয়া বের করি, তখন সেন্সিভিটি অ্যানালাইসিস করি। এতে করে যে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তা না কিন্তু তাতে কোন প্যারামিটারের দৌড় কত দূর সেটা জানা যাই। আমাদের অবস্থা হল "ন্যাংটার নাই চোরের ভয়", সুতরাং তারা যদি সামান্য হলেও কোন সরকারের টনকে একটু নাড়া দিতে তাই অনেক বড় পাওয়া, সেটা বাংলাদেশের দুর্বল আইটি ব্যবস্থা বা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ-ই হোক না কেন।
উপরন্তু এই বান্দারা আর যাই করুক নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থেকে যতটুকু প্রতিবাদ করতে পারত তা তারা করছে। আর আমাদের আবাল সরকার চুষণ নীতিতে চলছে, উল্টা যেখানে তাদের শক্তভাবে প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন ছিল কিন্তু সরকার এই নীতিতে কেন চলছে তার কারণ বের করার সাধ্য আমার নাই।
আবাল সরকারের সাথে আবাল মানুষের সংখ্যাও কম না, যাদের ইন্ডিয়ার নাম শুনলেই প্যান্ট ভিজে যায়, আর "মামা আল, মামা আল" বলে চিৎকার করতে থাকে
“যুদ্ধে ওংশো গ্রহণ করা যুদ্ধে জেতার চেয়েও ওনেক বড়ো"
@নীড় সন্ধানীর কমেন্টে জাঝাঁ।
যত কিছুই হোক, আমার মতে হ্যাকিং করা নিয়ে ভালো মন্দ অনেকেই অনেক কিছু বলবে, কিন্তু লাভ যে কিচ্ছু হয়নি তা কিন্তু না। এখনও ভারতীয়দের এই আইটি সেকটরে মুকুট বিহীন সম্রাট ধরা হয়ে থাকে। বিশ্ব ব্যাপী আউটসোর্সের কাজগুলোও তারাই করে বেশীর ভাগ। সে তুলনায় বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের শৈশবও এখনও পার হয়নি ধরা যায়। এমতাবস্থায় বাংলার পোলাপাইন সেই মুকুট বিহীন সম্রাটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার যে হ্যাডম দেখাইছে এইটাই তো বড়। এই চান্সে যদি আউটসোর্সিং এর কিছু কাম বাঙ্গালী পায়, খারাপ কি? সাথে সরকারী সাইট গুলো হ্যাক হওয়াতেও ভালো হইছে। পুলাপাইন চাকরী পাইবো
আউটসোর্সের কাজ পাওয়ার জন্যে টুকিটাকি হ্যাকিঙের চেয়ে যে কাজটা আউটসোর্সড হবে সেটাতে দক্ষতাই কি অগ্রাধিকার পায় না?
সেটা তো অব্শ্যই।
হ্যাকিং-মুখীতা কোনোভাবেই আউটসোর্সিং এ সাহায্য করবে না। বরং পোলাপান কাম-কাজ করার থেকে হ্যাকিং করে সময় নষ্ট করে শুনলে বহুজাতিক-বাহিনী কাজ পাঠাবে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
"When a man is denied the right to live the life he believes in, he has no choice but to become an outlaw.?
-Nelson Mandela-
@লেখক,
সম্পূর্ণ লেখাটাই আতেলেকচুয়ালিজমের জলন্ত উদাহরন।
প্রতিবাদ যদি যৌক্তিক হয় তাহলে আপনার চিন্তায় কেশঝড়ার কোন কারন দেখছি না। বাঙালি হ্যাকাররা কী করছে? হত্যার বিপরীতে সাইট হ্যাক করছে? হত্যা<>হ্যাকিং, এখানে অযৌক্তিকতার কিছুই আমার চোখে পড়ল না।
আপনাদের কাছে যৌক্তিক পথ মনে হয়েছে গান্ধীবাদী স্বদেশী পণ্য কীনে হন ধন্য, আমিও এটা সমর্থন করি। কিন্তু আপনার চিন্তায় ব্যাপক চিন্তিত হয়ে যেটা বুঝি না সেটা হল, সাইবার যুদ্ধে যা হচ্ছে ঐটাতে কিছু না হইলে পহেলা মার্চ যে বন্ধ ডেকেছেন ঐটাতে কার যৌনকেশ ছিড়বে বলে আপনি মনে করেন?
আর আপনার মনে হচ্ছে গান্ধীবাদী স্বদেশ আন্দোলনেই ভারত সরকার ভয়ে হেগেমুতে আপনাদের পায়ে এসে লুটোপুটি খাবে? বাহ চমৎকার ভবিষ্যতদ্রষ্টা তো আপনি!!
ঘটনা যদি এটাই হয় মানে কুটনৈতিকভাবেই করতে হয় তাহলে আমাকে বলেন পহেলা মার্চের ঐ মামদোবাজী কেন করতে চাচ্ছেন? নিজেদের দেশপ্রেমি মামদোবাজ প্রমান করতে? আপনারা কড়া দ্যাশপ্রেমিক!
আমিও অনুরোধ করব হ্যাকিং আর বন্দের মামদোবাজীতে যেহেতু কিছুই হবে না, আপনারাও পহেলা মার্চের সার্কাসটা বাদ দিন। জনগনকে ঘুমুতে দিন।
ফিলিস্তিনিতে যেয়ে বলেন ইসরায়েলিরা মারছে তো কী হয়েছে। তুমি তো আর তাদেরকে মারতে পারো না। আফটার অল হত্যা অন্যায় কর্ম।
আপনার বিজ্ঞ মস্তিষ্কে সাইবার জগৎকে আর কীরকমভাবে ব্যাবহার করে সরকারকে কুটনৈতিক চাপ প্রদান করা সম্ভব বলে মনে হয়? মানে কয়েকটা উপায় যদি বলতেন। কেননা আমার কাছে মনে হয় দুনিয়াকে যদি সাইবার জগতের মাধ্যমেই আপনার প্রতিবাদ জানাতে চান তাহলে হ্যাকিং ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আপনার কী মনে হয় আপনার জ্ঞ্যানগর্ভ প্রবন্ধ প্রত্যেকদিন নিউইয়র্কের, লন্ডনের, জার্মানির, ইটালির পত্রিকায় ছাপিয়েই যাবে ছাপিয়েই যাবে? তাহলে আর কী উপায় থাকতে পারে এই হ্যকার গুলোকে বুঝিয়ে দিন না। ল্যাটা চুকে যায়।
আপনার কী মনে হয় হ্যাকিং চুরি করে করছে? যুদ্ধটা যেহেতু সাইবার বিশ্বে, সুতরাং ইন্ডিয়ার সাইবার বিশ্বের রাজা রানীদের জানানোটাই যৌক্তিক কী বলেন। তাদের রীতিমতন জানিয়েই এই যুদ্ধা চলছে।
বাঙলাদেশ অতীতেও বৃদ্ধদের দেশ ছিল, এখনও তাই আছে। পারব নাকি পারব না, ইতিবাচক না নেতিবাচক সেটা হিসাব করতে থাকলে আজীবন এখনকার মতই পুটুমারা খেয়ে যেতে হবে।
সাইবারযুদ্ধে ভারতের যেসব যৌনকেশ ছিঁড়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে একটু বলুন ভাইয়া। হ্যাকিং করে ভারতের প্রভূত ক্ষতিসাধন সম্ভব, মেনে নিচ্ছি। এ যাবৎ তাদের কী ক্ষয়ক্ষতি হলো, আমাদের মতো মামদোবাজদের একটু জানান।
@ হিমু ভাই, একটা কথা, আপনি আজকাল অনেক নরম ভাবে লোকজনের সাথে তর্ক করছেন, আপনার অগ্নিমূর্তি দেখিনা!!! স্বরূপে দেখতে চাই
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গরম দিতেও যার কুপি আরেকজনের কাছ থেকে ধার করে আনতে হয় তার অমন কেলানো হাসি কি মানায় ভাই? আপনিই বলুন?
কার থেকে কে কুপি ধার করে কেলাবে সেটা মনে হয় আপনি এখনো লিজ এ নেননি, তাই মনে হয়না এখানে আপনার অনুমতির প্রয়োজন, আপনার বুদ্ধি ও শক্তি অনুযায়ী যৌনকেশ ছিড়তে থাকুন এবং অপরকেও উত্সাহিত করুন, তবে দেখবেন আপনার কেলানো দাঁতে না ঢুকে যায়, "খুপ খৈয়াল কৈরা"।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বেশ বলবর্ধক আর উৎসাহোদ্দীপক মন্তব্য। অনেক দরকারী। আশাকরি কাজে দিবে। আপনারে অরফিয়াস ভাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এবার না ছিড়লে সামনের বার ছিড়বে। কিন্তু ছিড়তে পারবোনা বলে শ্যাম্পু ঢালার তো মানে নাই।
এবারে কী ছিঁড়লো, জানা যাবে না?
@হিমু,
সাইবার যুদ্ধে ভারতের যৌনকেশ ছেড়াতো দূরের কথা কেশাগ্রও ছোঁয়া যাবে না, এটা খুবই স্বাভাবিক কথা। কিন্তু সেই কথা চিন্তা করে কেউ যদি পশ্চাৎদেশে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বসে থাকে তাতেও কিছু হবে না। যেমন ধরেন পহেলা মার্চ ভারত বন্দ। আমি নিজে এর পক্ষে আছি। যে কেউই বলতে পারে যেখানে ভারতের রপ্তানীত মাত্র ১ কি ২% বাঙলাদেশে আসে সেখানে এই ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে ফায়দাটা কী? এই লেখাটাতে দেখেন বলেওছে ভারতী ব্লগার বিপ্লব পাল।
আপনাদের ভারত বন্দে ভারতের কত কেশ ঝড়াবেন সেটার একটা আপাত হিসাবও তো দিতে পারেন নাকি?
এই প্রশ্নে আপনাদের জবাবটা খুব শুনতে ইচ্ছে করছে। জানিয়ে দিন সবাইকে।
আমি আপনার মতো যৌনকেশ দিয়ে ব্যাপারটাকে মাপছি না অবশ্য। এ কারণে আমার ব্যাখ্যা বা হিসাব আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হতে পারে। আপনি যদি যৌনকেশ-স্ট্যান্ডার্ডের বাইরে বেরিয়ে দুনিয়াটাকে বোঝার চেষ্টা করেন, তাহলে আমার নিচের ব্যাখ্যা বুঝতে পারবেন।
ভারতের মোট আনুষ্ঠানিক রপ্তানির খবর আমরা রাখি। এই আনুষ্ঠানিক রপ্তানির বাইরে অনানুষ্ঠানিক চোরাচালান চলে। সেই অনানুষ্ঠানিক চোরাচালানের পরিমাণ আনুষ্ঠানিক রপ্তানির কয়েক গুণ হবে বলেই ধারণা করা হয়। এই পণ্যগুলো ভারতের দেশজ উৎপাদন, আর আমরা তার বাজার। এই পণ্যগুলোর মধ্যে অনেক পণ্যের দেশীয় বিকল্প আমাদের রয়েছে, অনেক পণ্যের বিকল্প দেশীয় পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা আমাদের আছে, কিন্তু সেগুলো ভারতীয় পণ্যের কাছে মার খায়। ভারতীয় পণ্য বর্জনের কাজটা যদি আমরা সিরিয়াসলি করতে পারি, আর যৌনকেশ ছেদন দিয়ে বিচারের কাঠবলদামি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি, তাহলে ঐ বিকল্প দেশীয় পণ্যের শিল্প ও বাজার দুটোই বাংলাদেশে গড়ে উঠতে পারে। তাতে কর্মসংস্থান হবে। আপনার মতো বেকার হ্যাকারেরা কাজ করে দুমুঠো খেতে পাবে। এই বর্জনে আমাদের অর্জন ওখানেই। দীর্ঘদিন বিদেশী পণ্য ব্যবহার করলে একটা জাতির আত্মসম্মানের জায়গাটাতেও কিছু ঘাটতি দেখা দেয়, সে ঘাটতিও আস্তে আস্তে দূর হতে পারে।
আপনি বুঝতে না পারলে আমি আবারও আপনাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতে পারি।
আমি ভারতের যৌনকেশ ছেদনের সংকল্প নিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলছি না। আপনি যদি মনে করেন, ভারতের বাল না ছিঁড়ে আপনি ভাত খাবেন না, আমি আপনার সেই অগ্নিশপথকে সম্মান জানাতে প্রস্তুত। হ্যাক করুন, বাল ছিঁড়ুন।
এইবার আমার জিজ্ঞাসা আবার। হ্যাক করার পেছনে আপনি স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদী কী কী অর্জনের কথা ভাবছেন, সেটা জানান। যৌনকেশের কারেন্সি বাদ দিয়ে আমাকে বা আমার মতো মামদোবাজদের বুঝিয়ে বলুন। এমনও তো হতে পারে, আপনার পরিকল্পনা অত্যন্ত কার্যকরী, আমরা যৌনকেশ দিয়ে দুনিয়া বিচার করি না বলে বুঝতে পারছি না। আমাদের আলোকিত করুন। ধন্যবাদ।
@হিমু,
বেশ ভালো কথা। আমিওতো এটাই চাই যাতে মানুষের মেরুদন্ড খাড়া হউক, সোজা হউক, শক্ত হউক। কিন্তু সোজা করার প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই যদি কেউ তাতে করে বেকে যেতে পারে বলে হুশিয়ার দেয় তাহলে ঠান্ডা মেরে যাওয়া মেরুদন্ডী প্রাণির কাছ থেকে ভবিশ্যতে কিছু সরিসৃপ ছাড়া আর কিছু আশা না করাটাই স্বাভাবিক না? কী বলেন?
আমি বেকার তবে হ্যাকার নই, হলে এই মূহুর্তে খারাপ লাগত না।
আর আমি যেই প্রতিবাদের এডভোকেসি করছি তাতে করে মনের শান্তি আসবে। আমার কাছে ব্যাপারটা খারাপ না।
আপনার কি মনে হয় না এই ঘটনায় অনেক অনেক মানুষের মনে ভারত বিরোধী একটা চেতনা এখন কাজ করছে?
তাহলে এতক্ষন ধরে যে শব্দের ভাড়ামীটা করলেন, অনুসারীদের অনুরোধে অগ্নমূর্তী হয়ে বয়ানটা দিলেন তার মূল্য কী রইল?
সল্পমেয়াদী দীর্ঘমেয়াদী যাই হোকনা কেন। বিরাট সংখ্যার একটা মানুষ যে বাঙলাদেশের মানুষের এই প্রতিবাদটা সম্পর্কে জানছে এটাই আমার কাছে বেশ ভালো একটা আউটকাম।
যার যার জায়গা থেকে সবাই যদি প্রতিবাদ করে তাহলেই তো হল। আমরা যৌনকেশ ঝড়ানোর চেষ্টা করছি আপনারা আরেক কাঠি সরেস হয়ে হয়ত ভারতীয়দের সারকামসাইসড করবেন। সমস্যার তো কিছু নাই। করুক না যার যার জায়গা থেকে। বন্ধের জন্য যেমন আমার নৈতিক সমর্থন আছে এই সাইবার যুদ্ধেও আমার নৈতিক সমর্থন আছে। কী করলে কী হবে আর হবে না এই কথা বললে তো কোন দিন কোন কাজই হবে না।
আর ইয়ে বিনয়ের সাথেই বলছি, গান্ধীকে ফলো করার আপনার অভ্যাসটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। কিপ ইট আপ।
হ্যাকিং করে মেরুদণ্ড শক্ত করেন আপনি? হ্যাকিং শেখার আগে কি সরীসৃপ ছিলেন?
অনুরুদ্ধ হয়ে তো কিছু বলিনি। বাল ছিঁড়ার কথা তো আপনিই তুলেছেন। ওপরে গিয়ে দেখুন। নাকি যৌনকেশ বললে চলে, বাল বললেই খারাপ হয়ে যায়?
বিরাট সংখ্যার মানুষকে যদি সত্যিই জানাতে চান বিএসএফের অপকর্মের কথা, একটু কষ্ট করে উইকিপিডিয়ার এই ভুক্তিতে বিএসএফের খুনাখুনির ব্যাপারগুলো ইংরেজি খবরের কাগজের সূত্রসহ যোগ করে দিয়ে আসুন। এতে করে আরো বেশি লোক আরো বেশি সময় ধরে জানতে পারবে, রেফারেন্স হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবে। হ্যাকড সাইট তো আর অনির্দিষ্টকাল হ্যাকড হয়ে থাকবে না, উইকিপিডিয়া টিকে থাকবে।
এখানে আছে বাংলা উইকিপিডিয়ায় বিএসএফের ভুক্তি। এটাতেও পারলে কিছু যোগ করুন। মনের শান্তি পাবেন না?
সাইফুল, আপনি অনেক মজা করে কথা বলেন। পড়তে মজা লাগে। ধারনা করছি আপনি হ্যাকারদের একজন। অথবা তা না হলেও অন্তত হ্যাকিংয়ের সমর্থক। উপরে বেশ কিছু সারহীন মন্তব্যের জবাব দেইনি। যথেষ্ট চিন্তাশক্তি এদের থাকলে ওই মন্তব্যই করত না। আপনার মন্তব্যেরও জবাব দেয়ার দরকার ছিল না। অনর্থক খানিকটা শ্রম নষ্ট। কিন্তু জবাব দিচ্ছি। আপনার মন্তব্য থেকে আমার কিছু কিছু পাঠক একটা ভ্রান্ত ধারনা পাবেন বলে সন্দেহ করি। তাঁদের সেই ভ্রান্তি দূর করবার জন্যেই আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি।
এইখানে অরুচিকর শব্দগুলো বাদে যে প্রশ্ন করেছেন সেটার জবাব আমি লেখাতেই দিয়েছি। আপনি সেটা বুঝতে পারেন নি। বলুনতো আপনি মিছিলের পক্ষে, নাকি মিছিলের নামে রাস্তায় নেমে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার পক্ষে? দুইটাতে যে পার্থক্য আছে সেটা বুঝবার মতো চিন্তাশক্তি রয়েছে আপনার? ভারত বনধ আর হ্যাকিং যে এক জিনিস নয় সেটা বুঝতে না পারলে এই পোস্টটি আপনার জন্য নয়!
(এখন আবার বলেন না যে আমি হ্যাকিংয়ের সঙ্গে মানুষ মারার তুলনা করেছি!)
বাঙালিরা হত্যার বদলে সাইট হ্যাক করছে না! এই ভুল ধারণা থেকে উঠে আসুন। অল্পকিছু ছেলেপেলে আবেগের বশে যা করছে সেটার দায় নেয়ার জন্য বাঙালি জাতি বসে নেই! ব্যক্তির দায় জাতির উপরে চাপানোর মতো মূর্খামি দেখে তো আর কিছু বলতেও রুচি হয়না!
বাঙালি হত্যার দায় ভারত সরকারের। সেই বিষয়ে কথা বলার দায়, প্রতিবাদ করার দায়, অথবা ক্ষতিপূরণ নেয়ার দায় বাংলাদেশের সরকারের। একটি দেশের কিছু নাগরিক স্ব-উদ্যোগে যে অন্য একটি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (তা সে যেরকমই হোক) করতে পারে না সেটা বোঝার কাণ্ডজ্ঞান আপনার নেই? সেরকম কিছু করলে যে সেটাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে সেই ধারনা আছে? কোথায় বাস করেন আপনি? আপনার যদি মনে হয় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এর শোধ নিতে হবে তাহলে আপনার সরকারকে বলুন যুদ্ধ ঘোষণা করতে। তারপর ইটপাটকেল লাঠি সড়কি নিয়ে যান, ঝাঁপিয়ে পড়ুন। তখন সাইবার আক্রমণও করবেন। ভারতের মিলিটারি ডেটাবেইজ হ্যাক করে এনে দেবেন পারলে।
আপনার সরকার আপনার পছন্দমতো প্রতিবাদ না করলে অথবা যুদ্ধ না করলে রাস্তায় নামুন। সরকার বদলে ফেলুন। তারপর সেই নতুন চিন্তাশীল সরকারকে বলুন যুদ্ধ করতে।
যতক্ষণ তা না করছেন ততক্ষণ সভ্য দেশের সভ্য নাগরিকের মতো আচরণ করুন।
ফিলিস্তিন ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশ ভারতের অবস্থা মেলানোর মতো পরিস্থিতিতে আমরা নেই। আপনি সেরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছেন সম্ভবত। যুদ্ধাবস্থা প্রয়োজন কেন আপনার? স্পষ্ট করে বলুন তো!
সরকারকে কোনো দেশের নাগরিক 'কূটনৈতিক' চাপ দিতে পারেনা! কোথায় এসে পড়লাম! আপনি তো ঠিকমতো বাংলাও জানেন না!
আমি সরকারকে চাপ দেয়ার কথা বলেছি যেন বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিকভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করে! সাইবার জগতকে ব্যাবহার করে কীভাবে সরকারকে চাপ দেয়া যায় সেটা বুঝতে পারছেন না? আপনাকে বোঝানো সম্ভবও নয়। এইবার নিশ্চিত হলাম আপনি নিজে হ্যাকার নন! হ্যাকার হতে গেলে সাইবার জগতের ক্ষমতা সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা ধাকা দরকার!
অবাক হচ্ছি না। আপনার চিন্তার দৌড় দেখতেই পাচ্ছি। বাস্তবতা সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনাই নেই।
মনে হওয়ার কিছু নেই। হ্যাকিং লুকিয়েই করা হয়।
এই তো লাইনে এসেছেন! বিরাট একটা থ্রিল পাওয়া যাচ্ছে তাইনা? "তোরা আমার দেশের মানুষ মেরেছিস, আমি তোর কম্পিউটার হ্যাক করব! পারলে ঠেকা!" তাই তো? এই উত্তেজনা একটা শ্রেণী ড্রাগ নিয়ে পায়! একটা শ্রেণী অন্যায় করে পায়। সেই অন্যায়ের পেছনে যদি কোনো মহৎ উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
ইন্ডিয়ার সাইবার বিশ্বের রাজা-রানী কারা? তাদের জানিয়ে যে বিরাট যুদ্ধ করে ফেললেন তারপর? তারা সব বিএসএফ কান ধরে বাড়ি নিয়ে যাবে?
না তা করবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। এদের সঙ্গে বস্তত ভারত সরকারের কোনো সম্পর্কই নেই! এরাও দেশ বাঁচানোর উত্তেজনার লোভেই কামড়া কামড়ি করবে! সেই কামড়াকামড়ির কোনো শেষ নেই! কোনো ফলাফল নেই। কে কার বেশী ক্ষতি করল সেই হিসেব করে আত্মতৃপ্তি পাওয়া ছাড়া কারো কোনো লাভ নেই।
আপনারা বলতে আর কার কথা বললেন? এই পোস্ট'টা একজন ব্যক্তির লেখা।
আমি খুব দেশপ্রেমিক নই। বাংলাদেশের কেউ অন্য দেশের কাউকে মেরে ফেললে আমি সেটারও বিপক্ষে। আমার দেশত্ববোধ দূর্বল। সারাপৃথিবী একটি দেশ হলে আমি বেশি খুশি হতাম।
আমাদের সৌভাগ্য এই দেশ অন্তত অতীতে বোধশক্তিহীন মূর্খদের দেশ ছিল না। তা হলে এই দেশটার জন্মই হতো না।
ভাবছি আমি সীমান্তে দাঁড়িয়ে বিএসএফ-এর দিকে ইট মারার আন্দোলনের ডাক দেবো। তাদের গুলির জবাবে আমাদের ইট মারার অধিকার নিশ্চয়ই আছে! যে আমার এই আন্দোলনের বিরোধিতা করবে সে ভারতের দালাল! সে হত্যার প্রতিবাদ করতে চায় না! সে মামদোবাজ দেশপ্রেমিক! বলে রাখলাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যৌনকেশের আলোকে বুঝিয়ে বলুন। এভাবে বললে উনি বুঝবেন বলে মনে হয় না।
ভারতীয় রেজর দিয়ে যৌনকেশ মুন্ডন করা থেকে বিরত থাকলে সরাসরি কিছু ফল পাওয়া যাবে। পহেলা মার্চ এটা করলে ডাবল লাভ, পয়সা ইন্ডিয়াকে দেওয়া হলো না, অ্যাট দ্য সেইম টাইম যৌনকেশ দিয়ে পরিমানযোগ্য কিছু লাভও পাওয়া গেল। এই আন্দোলন যদি এক্টিভ মুন্ডনকারি (৮ কোটি লোক) করে তবে সেটা মারাত্মক ইকোনমিক ইম্প্যাক্ট ফেলবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুটোই সমর্থন করি। পরিস্থিনি বিচার করে। আপনি আমার ভাইকে আজকে অন্যায়ভাবে মিছিলে পুড়িয়ে মারলে আমি আপনাকে পুড়িয়ে মারা শুধু সমর্থন না, আমি নিজে গিয়ে পুড়িয়ে রেখে আসব।
তাহলে বোধ করি একটা নোটিশ আপনার দিয়ে দেয়াই উচিত ছিল পোষ্টের শুরুতে, যে আপনি কি আতেলদের জন্য পোষ্ট লিখেছেন নাকি যারা আতেল না তারাও এই প্রবন্ধ পাঠ করতে পারবে। তাহলে হয়ত আমি আর পাঠ করে জ্ঞ্যান বাড়াতে আসতাম না।
এখন তো দেখা যাচ্ছে আমাকে রেখে এখন আপনাকেই আমার বাঙলা শেখাতে হবে। আমি বলেছি বাঙালি হ্যাকাররা হ্যাক করছে, এটার ভুলটা কোথায় বুঝালাম না। তাহলে এই দেশ থেকে যারা হ্যকগুলো করছে তাদেরকে আপনি কী বলতে চান? বাঙালি বলবেন না। আমি যদি বল , বাঙালি চোর তাহলে সেটা হয়ে যাবে বাঙালি জাতিই চোর????
আপনি যেন কোন টিচার এর কাছে বাঙলা শিখেছেন?
আপনার গবেষনার গাম্ভির্য আমি বুঝতে পারছি। খুবই গভীর। কিন্তু সারবত্তা যেটা বুঝলাম তা হল, সরকারের বাইরে থেকে প্রতিবাদের অধিকার কারো নেই। তাহলে মার্চের বনধ্-এর বিষয়ে আপনারা উদ্যোগী কেন বুঝলাম না। সার্কাসে মানুষকে নিয়ে মামদোবাজী করানোর লাইসেন্স আপনাকে কে দিল?
এই উপদেশটাও মনে ধরল। কিন্তু আবারও যেটা বুঝলাম না তা হল, তাহলে এই রকম দূর্ণীতি পরায়ন সরকারকে হটানোর এত সুন্দর একটা উপায় থাকতে আপনারা কেন গান্ধীর আন্দোলনে গেলেন। আপনারাওই তো পারেন সরকার উচ্ছেদ করতে। যেহেতু দেশের সমস্ত জনগন আপনাদের সাথে আছে। আপনারা ডাক দিলে যেহেতু সবাই মাঠে নামবে তাহলে ঐটা করাই কি প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কাজ হত না?
অবশ্যই পারে, যেমনটা আপনারা পহেলা মার্চে সমস্ত জনগন নিয়ে দেবেন। কিন্তু এখানে যে সাইবার ওয়ার্ল্ড দিয়ে কুটনৈতিক চাপ দেয়ার কথা এসেছে সেই খেয়াল কি আছে বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী সাহেব?
আমি নিজে হ্যকার নই, বেকার। আর হ্যাকার হিসেবে একবার দাবী করিনি। আমার তো ভাই নুণ্যতম ধারনা নাই, কিন্তু আপনার তো আছে? আপনিই কেন তাহলে আমাকে ধসিয়ে দেয়ার এই সুযোগটা হাত ছাড়া করছেন? বলেই দিন না আমার মতন হ্যাকিং সম্পর্কে নূণ্যতম জ্ঞ্যান না থাকার জনগনের জন্য যে আসলে হ্যাকিং ছাড়া আর কী উপায়ে সাইবার বিশ্বের মাধ্যমে সরকারকে কুটনৈতিক চাপ দেয়া যায়। আপনার জ্ঞ্যানটাও জাহির হল সেই সুযোগে।
এইবার মনে হয় আপনার নিজের একটু জ্ঞ্যান নেয়া দরকার ভাষাবিজ্ঞানী সাহেব। আপনি একটু কষ্ট করে হ্যাকিং আর ক্রাকিং এর পার্থক্যটা দেখে নিতে পারেন। তাতে করে ভাষা ছাড়া আপনার হ্যাকিং ক্রাকিং সম্পর্কেও জ্ঞ্যান আসবে। যদিও আমি জানি আপনি অনেক জ্ঞ্যান রাখেন এই ব্যাপারে।
তাহলে কি মার্চের বন্ধে আসলে আপনারা আপনাদের উঠে যাওয়া বিগার কমানোর জন্য প্রতিবাদ করবেন? কোন থ্রিল আপনারা পাচ্ছেন না? বরঞ্চ উত্তেজনার আগুন বেশি হয়ে যাওয়ায় একটু পানি ঢালবেন বন্ধের মাধ্যমে? বাহ বেশ তো।
আপ্নারা বলতে যারা আপনার সাথে গলা মেলাচ্ছে আর কী।
আমিও মনে রাখলাম। জ্ঞ্যান বৃদ্ধি করলাম। আপনাকে জলন্ত ধন্যবাদ।
ছাগলবলদদের জন্য পোস্টের শুরুতে নোটিশ দিতে গেলে দুনিয়ার সবকিছুই ছাগলবলদবিরোধী নোটিশে ভরে যাবে ভাইয়া।
কূটনীতি কথাটার অর্থই তো আপনি বোঝেন না। কূটনৈতিক চাপ এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রকে দিতে পারে। রাষ্ট্রের নাগরিক রাষ্ট্রকে কূটনৈতিক চাপ দিতে পারে না। সামাজিক চাপ দিতে পারে। "সাইবার ওয়ার্ল্ড" দিয়েও কোনো কূটনৈতিক চাপ দেয়া যায় না। বিগার উঠে গেলে এরকম ভুলভাল হয় অবশ্য। শান্ত হন।
ভারত বনধ ডেকে "আমরা" কোনো থ্রিল পাচ্ছি বলে মনে হয় না। থ্রিল সাধারণত পাওয়া যায় নিষিদ্ধ কাজে, বা পরিচয় লুকিয়ে গোপনে করা কোনো কাজে। ভারত বনধের ওপর রাগে আপনার যৌনকেশ তো পেকে যাচ্ছে মনে হচ্ছে ভাইয়া। এই বনধ তো ভারতের বাজার সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে আপনার একান্ত ব্যক্তিগত প্রতিরোধ, এখানে রোমাঞ্চের কিছু নাই, বরং দায়িত্বের কিছু ব্যাপার আছে।
মার্চ ১ এ ভারত বনধে আছেন তো? নাকি কম্পিউটারের এক ট্যাবে ভারতীয় সিনেমার আইটেম গান ছেড়ে রেখে আরেক ট্যাবে সচল খুলে বিগার নামাতে ছুটে আসবেন? আসুন ভারতের ওয়েবসাইট হ্যাক করতে গিয়ে ভারতের আগ্রাসী বাণিজ্য সম্প্রসারণকেও রুখে দাঁড়াই। হ্যাক করে ভারতের একটা যৌনকেশ ছেঁড়ার পাশাপাশি নিজেই লুঙ্গি খুলে যৌনকেশে ভরপুর প্রত্যঙ্গগুলো ভারতের হাতে তুলে দিয়েন না প্লিজ।
সেটা মনে হয় আপনি আপনার সমর্থন দেওয়া লেখককে শেখালেই ভালো করবেন। লেখকের মন্তব্যগুলো একটু পড়ুন না, তারপরে দেখুন কাকে আসলে শেখাতে হবে। তারপরেই না হয় ভাষাজ্ঞ্যান দিতে আসবেন।
প্রশ্নই আসে না রাগ করার। আমি সম্পূর্ণভাবেই এর পক্ষে। কিন্তু কেউ যদি মনে করে খালি বন্ধ ডাকা মানেই দেশপ্রেমি হয়ে দায়িত্ব পালন করা তাতে আমার ঘোরতর আপত্তি আছে। আপনি আপনার জায়গা থাকে প্রতিবাদ করছেন, অন্যেরা অন্যদের জায়গা থেকে।
বাঙালি রতিক্রিয়ার চেয়েও উপদেশে বেশী আনন্দ পায়। আপনার আপাতত ঐ ব্যাপারে চিন্তা না করলেও চলবে। যদি কখনও দরকার হয় তাহলে আপনি চাইলে আমি অবশ্যই লোক খুজতে আপনাকে নিয়োগ করতে পারি। আমি আর যাই করি ভারতীয় নেতার অনুকরতে প্রাতঃকৃত সারব না। এতেই আপাতত সন্তুষ্ট থাকুন না। কী বলেন?
পোস্টলেখক তো আমার কোনো কথায় সমর্থন দেননি। পোস্টলেখক তার বক্তব্য দিচ্ছেন, আমি দিচ্ছি আমারটা। আমরা একদলে জোট বেঁধে আপনার সাথে তর্ক করছি না তো। আর পোস্টলেখক কূটনীতি শব্দের ভুল ব্যবহার করছেন না, করছেন আপনি। তাই আপনাকে শেখানোর এবং আপনার তা শেখার প্রয়োজন আছে। না শিখে আপনি মূর্খ থেকে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে সচলে সময় কেন নষ্ট করবেন বলুন? ঘাস মাঠে পাবেন, বা সোনাব্লগে।
আপনি সম্পূর্ণভাবে ভারত বনধের পক্ষে থাকলে যৌনকেশের হিসাব চাইছেন কেন এসে? মামদোবাজির অভিযোগই বা কেন করছেন? আপনি নিজেও তো তাহলে "আমাদের" মতোই মামদোবাজ। এক মামদোবাজ আরেক মামদোবাজকে মামদোবাজ বললে হবে? আর "খালি" বনধ ডেকে তো কেউ দেশপ্রেমের "দায়িত্ব" পালন করছে না। দেশপ্রেমের দায়িত্বের মধ্যে কী কী পড়ে একটা লিস্ট দিয়ে যান তো দেখি, বাকিগুলি পালনে "আমরা" অনিচ্ছুক বা অপারগ কি না।
আপনি হ্যাকিঙের সমর্থন করছেন, ভালো কথা। হ্যাকিঙের সমর্থন যে করে না, তার জায়গাটাকেও সম্মান করতে শিখুন। আপনাকে পোস্টলেখক ঘাড়ে ধরে হ্যাক করা থেকে বিরত রাখছে না, শুধু বলছে হ্যাকিংকে যতটা ডিগনিফাই করছেন আপনি, সেটা তত ডিগনিফায়েড পন্থা না। আপনার যদি মনে হয়, আপনি হ্যাকিং করে ভারতের যৌনকেশ ছিঁড়ে বিন্ধ্যপর্বতের সমান উঁচু আঁটি বাঁধবেন, গো অ্যাহেড, আপনাকে কেউ আটকাচ্ছে না। কিন্তু সেটা আপনাকে ডিগনিফাই করবে না। ভারতের ওয়েবসাইটের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি নাই, কাছা খুলে পাছা উদাম রাখলে বাংলাদেশের হ্যাকার সেটা হ্যাক না করলে বুরকিনা ফাসোর হ্যাকার করবে।
আপনি কি ভারতীয় নেতারা যেভাবে হাগে, তারচেয়ে ভিন্ন কোনো পন্থায় হাগেন? আপনি তো বস পাবলিক! আপনি প্রথম আলোর অনলাইন ডেস্কের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার খবরটাও পেপারে আসা দরকার। আরেকটা উপদেশ দিয়ে রতিক্রিয়ার আনন্দ পেলাম। সুযোগ করে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
আপনার এই মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায় আপনি আগের মন্তব্যগুলো ঠিকভাবে না পড়েই কথা বলে যাচ্ছেন। আমি বলেছিলাম, হ্যাকিং-এ যদি ভারতের কিছু না হয় তাহলে আপনারাও একদিনের বন্ধে কিছু করতে পারবেন না। তাহলে করছেন কেন? কিন্তু কিছু করতে পারব না বলে তো আর না করে বসে থাকব না, নাকি? সে জন্যেই বন্ধে যেমন আমার নৈতিক সমর্থন আছে, আলোচ্য সাইবার যুদ্ধেও আছে। আশা করি আমার পয়েন্ট পরিষ্কার হয়েছে।
কিন্তু ব্রাদার আপনাদের কথায় তো তা মনে হচ্ছে না।
আর লিস্ট আমি দেব কেন? আমার কথায় কি আপনারা বন্ধ ডাকছেন নাকি আমার কথায় হ্যাকিং চলছে। আমি শুধু দুটোতেই সমর্থন দিচ্ছি। কিন্তু আপনারা আপনাদের থেকে আলাদা পন্থায় করা প্রতিবাদটিকে "কিছু হবে না" বলে সমর্থন করতে পারছেন না। যেটা আপনাদের বেলাতেও পরিষ্কারভাবে খাটে।
কেন? আমাকেও নকল করতে চান নাকি?
খুবই স্বাভাবিক।
আপনার আগের মন্তব্য মন দিয়েই পড়েছি। মামদোবাজি আর যৌনকেশে ভরপুর। আপনাকে প্রশ্নও করেছিলাম, ভারতের যৌনকেশ কীভাবে কতটুকু ছিন্ন হলো, উত্তর পাইনি।
একদিনের বনধে দুনিয়া উল্টে ফেলার লক্ষ্য নিয়েও তো "আমরা" এই প্রস্তাব করিনি। প্রক্রিয়াটা হ্রস্বমেয়াদে তেমন সাড়া পাবে না, মধ্য আর দীর্ঘমেয়াদে সাড়া পাবে, এমন আশা আমরা করছি। সেটার সুফল আমাদের ঘরে এসে জমা হবে। আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, হ্যাকিঙের হ্রস্ব-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদে কী ফল পাওয়া যেতে পারে, উত্তর পাইনি। উত্তর দেয়ার যোগ্যতা আপনার আছে, এমন আশা করেছিলাম। আশাহত করবেন এবারও?
"আমরা" "আমাদের" প্রস্তাবিত পন্থাটির মালিকানা বা স্বত্ব নিয়ে নিইনি। তেমনইভাবে, হ্যাকিঙের পন্থাটিকে "আমরা" "আমাদের" পন্থা থেকে ভিন্ন, এই কারণে সমালোচনা করছি না, করছি হ্যাকিঙের পদ্ধতি আর হ্যাকারদের দৃষ্টিকোণের কারণে। "আমরা" বনধ ডাকি আর "আপনারা" হ্যাক করেন, তাই "আমরা" "আপনাদের" প্রতিদ্বন্দ্বী, ব্যাপারটা এমন নয়। আজকে যদি আপনি কোনো ভারতীয় প্রতিবেশীর দরজায় মুতে দিয়ে সীমান্তে মানুষ হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন, তাহলেও কেউ না কেউ আপত্তি করবে। আপনার কাছে ঐটা "আপনার জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ" হতে পারে, আপনি হয়তো দেশপ্রেমের ঠেলাতেই মুতে আসবেন, কিন্তু সেটা আপনাকে ডিগনিফাই করবে না, এটাই পয়েন্ট।
কে জানে, করতেও পারি। হয়তো সারা বাংলাদেশই আপনার এই নতুন হাগুকায়দার ফ্যান হয়ে যাবে, প্রথম আলো বন্ধুসভা হয়তো জেলায় জেলায় ট্রেনিং ক্যাম্প করবে। কিছুই তো বলা যায় না ভাইয়া। অনলাইন ডেস্কে আপনার খবর দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আবারও প্রমান করলেন পড়েন নি। আমি বার বার বলেই যাচ্ছি তেমন কিছু হয়ত হবে না, কিন্তু হবে না বলে তো আর না করে বসে থাকলেও চলবে না। যেমন এইমাত্র যে লিঙ্কটা দিলাম সেটা চায়নার একটা দৈনিক। আপনার কি মনে হয় না জনমত গড়তে এটা একটা গূরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে?
আপনারা তাহলে ডিগনিফাইড হবার জন্য লালায়িত হয়ে আছেন। আমি কিন্তু আবার ডিগনিফাইড হবার জন্য লালায়িত নই। আমাকে পেছনমারা দিয়ে গেলে আগে প্রতঙ্গটিকে কেটে দিয়ে তারপরে জিজ্ঞেস করব কেন করেছে। ওসব ডিগনিফাইডনেসের ব্যাপার পরে। ওসব করতে করতে সে লোক আরেক জনকে পুটুমারা দিয়ে ফেলবে।
ভাগ্য ভালো বলি নাই!! নইলে এই নকলের দেশে মৌলিকভাবে হাগাও সম্ভব হত না!!
যাই হউক, ক্ষ্যন্ত দিলাম। আশীর্বাদ করি, আপনারা ডিগনিফাইড হোন।
হবে না বলে না করে যদি বসে থাকলে না চলে, তাহলে বসে না থেকে যান না ভাই, দেশে ভারতীয় পড়শীদের দরজায় মুতে আসুন। তাদের ডাইনিং টেবিলের ওপরে উঠে হেগে আসুন। ওগুলো করা থেকে বিরত আছেন কেন?
কোন দেশের জনমত গড়তে চীনের দৈনিকের খবর কাজে আসবে? চীনে চীনাদের জনমতের কোনো দাম আছে? ভারত আর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে চীনের আলাদা কূটনৈতিক অবস্থান আছে, এইসব খবরে সেই অবস্থানের বালটাও বাঁকা হবে না।
সাংহাই ডেইলির কথা বাদ দিলাম, খোদ গার্ডিয়ানেই এসেছে বিএসএফের খুনের খবর। তারপর বিএসএফ আরো শ দু'য়েক লোককে মেরেছে। খোদ ভারতে দ্য হিন্দু ভারত সরকারকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে বলে লিখেছে, ঐ লেখা প্রকাশিত হবার পরও তিনচারজনকে মেরেছে বিয়েসেফ, সেদিন এক মহিলাকে পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে। আর আপনি আসছেন চীনের দৈনিকে হ্যাকিঙের খবর দিয়ে "জনমত" গঠন করতে। বিএসএফ এইভাবে মারে কারণ তারা জানে বাংলাদেশীদের ডিগনিটি নাই, ঠিক আপনার মতো।
ডিগনিটির জন্যে কাউকে লালায়িত হতে হয় না। জিনিসটার মূল্য কারো কাছে থাকে, কারো কাছে থাকে না, এ-ই। আপনি ডিগনিটির পরোয়া করেন না, খুব ভালো, চীনের দৈনিক পেতে যৌনকেশ উৎপাটন করে যান, আর মৌলিক পদ্ধতি হেগে সাংহাই ডেইলি দিয়ে গুহ্যদেশ সাফা করুন।
এখানে একটু দেখেন, চীনের একটি পত্রিকার নিউজ করেছে।
Nearly 20,000 Indian sites get hacked by Bangladesh groups protesting border killings
আপনাদের দেশপ্রেমী চোখে এটাকে কি কিছু মনে হয়??
পার্টি দেন। চীনের পেপারে খবর আসছে, আমরা জাতে উঠে গেছি। হুররে!
দেওয়া যায়। কিন্তু আমি চিন্তিত অন্য ব্যাপার নিয়ে। এই খবর তো তাও আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে একজায়গাতেও হলে এসেছে, কিন্তু মার্চ আসার আগেই আনন্দে যেভাবে রাতে স্বপ্নদোষ হওয়া শুরু হয়েছে আপনাদের তাতে সফল হলে কী করবেন কে জানে। আনন্দে গোয়া বীচেই না চলে যান।
অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর তোলাই আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটার ফল পাওয়া যাক আর না যাক। এক কাজ করুন, মনমোহন সিঙের বাড়ির দরজায় মুতে আসুন। ধরা পড়লেও ক্ষতি নাই, নগদে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছবিসহ খবর ছাপা হবে। সাবধান মনমোহন, বিয়েসেফ খুনাখুনি না থামালে আমরা সাইফুলকে পাঠিয়ে তোমার দরজা গন্ধ করে দেবো!
হিমু ভাই,
আমাদের দেশের সীমান্তে ভারতীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে যে সাইবার যুদ্ধ, তাকে পাইক্কারা কৌশলে ফেলাফত প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে পরিনত করেছে। আন্দোলনের উদ্দেশ্য পরিস্কার না হলে, তার অকাল মৃত্যু হয়। তাছাড়া, আমরা যে ২০ হাজার সাইট হ্যাক করছি বইলা শোনা যাইতেছে, তার বেশীরভাগই হইল ব্যক্রিগত গুরুত্বহীন সাইট; অন্যদিকে, কয়েক মাস আগে ভারত থেকে আমাদের যে সরকারী সাইটগুলো হ্যাক করা হইছে, তাও ঠিক করতে পারে নাই এখনো! সুতরাং, যুদ্ধের জয়-পরাজয়ে সংখ্যার বিচারের চেয়েও, গুনগত পরিমাপটাও জরুরি!
আবারও বলছি, দেশী হ্যাকাররা প্রয়োজনে পরিচয় লুকিয়ে হলেও সরকারী ওয়েবসাইটগুলোর ওয়েবমাস্টারদের কাছে প্রাথমিক নিরাপত্তা জোরদার করার উপায়গুলো কনভে করুন। পাল্টা হ্যাকিঙের শিকার হওয়া এই দুবলা সাইটগুলো কিন্তু আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে। জেহাদী জোশে কোলেইটারাল ড্যামেজের কথা ভুলে যাবেন না।
আপনাদের ১লা মার্চ স্বদেশী পণ্য আন্দোলনে কি প্রতিক্রিয়া হয় দেখা যাক। গান্ধির মুখে ছাগলের গন্ধ বলে চিল্লান আবার তার স্টাইলে সুদূর প্রবাস থেকে আন্দোলনের ডাক দেন
"আমাদের" আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য "আপনি" অপেক্ষা করছেন জেনে ভালো লাগলো। আমিও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। দেখি আমরা কী পরিমাণ মামদোবাজি করতে পারি।
"গান্ধীর মুখে ছাগলের গন্ধ" বলে চিল্লাই কোথায় একটু লিঙ্ক দিয়ে দেখান তো ভাইয়া। গান্ধীর মুখে ছাগলের গন্ধ থাকলেও আমার কোনো আপত্তি নাই অবশ্য। তবে স্বদেশী পণ্য আন্দোলন "গান্ধীর স্টাইল" না। এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন অরবিন্দ ঘোষসহ আরো কয়েকজন। গান্ধী এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করায় পরবর্তীতে জিনিসটা তার নামেই প্রচার পায়।
আমি গান্ধীর স্টাইলে পায়খানাও করি। গান্ধীর সমালোচনা করলে কি সুদূর প্রবাসে বসে পায়খানা করাও বন্ধ করে দিতে হবে ভাইয়া? জানাবেন প্লিজ। আপনার উত্তর পেলে টয়লেটে যাবো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপাতত ছেড়াছিড়ি বন্ধ আছে মনে হয়। পয়লা ফাল্গুন তো, উনারা নতুন গজানো ঘাসের সন্ধানে গেছেন।
শত শত বাংপাকিকে হতাশ করে Bangladesh Black HAT Hackers নামক ফেইসবুক পেইজ লিখেছেন
হে হে হে, বাংপাকিদের বিরাট সাধনার পাকিস্তানের জিন্দাবাদ শ্লোগানরে হালাল করা গেলো না আর এই ইস্যুতে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রতিবাদের উপায় হিসেবে হ্যাকিংটাও আমার কাছে সম্পূর্ণ অর্থহীন লাগে না। উইকিলিক্সের টাকা লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ায় মাস্টারকার্ড, ভিসার মতো প্রতিষ্ঠানকে হ্যাকিংয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ দেশী হ্যাকাররা যেটা করছে তাতে খুব বেশি নিজেদের হয়তো লাভ নেই, তবে ওদের দেশের ওয়েবসাইট (যেগুলোতে ওদের জনগণের যাতায়াত বেশি) হ্যাক করে তাতে তথ্যগুলো দিতে পারলে তো অন্তত তাদের দৃষ্টিগোচর করা যায়। এমনিতে তো আমাদের মিডিয়া ওদের আকাশে ওড়ে না, কাজেই ভারতের মানুষ এইসব ব্যাপারে কতটা জানেন সেটাও ভাববার বিষয় না?
তবে সাইবার যুদ্ধ যদি করতে হয়, তাতে কোনো পাকি হ্যাকারবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মেলানোর প্রশ্নই আসে না। ব্ল্যাক হ্যাটেরা সেটা তাদের স্ট্যাটাসে পরিষ্কার করেছেন উপরে দেখলাম। কিছু অতিউৎসাহী আবার পাকি ডিফেন্স ফোরামে দলে দলে যোগদান করছেন। তাদের জন্যে নিন্দা...
এই পয়েন্টে সহমত... এতকিছুর ফলে আমাদের সরকারের যেন বোধোদয় হয়, ওয়েব সাইটগুলোর নিরাপত্তা যেন একটু হলেও বাড়ে!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
BBHH(Bangladesh Black HAT Hackers) এর চেয়ে BCA (Bangladesh Cyber Army) কে আচরণগত ভাবে বেশ অনেকটা পরিণত মনে হচ্ছে। এই খবর টা তার প্রমাণ।
এদের নামটা কি পাকিস্তান সাইবার আর্মি থেকে ধার করা?
বাবারা, তোরা হ্যাক-ফ্যাক যাই করিস ইংরেজিটা শুদ্ধ করে লিখিস
অরাজকতা কখন বাড়ে? মানুষ কখন কাউকে ডাকাত সন্দেহ হলে পুলিশে না দিয়ে পিটিয়ে মারতে শুরু করে? মৃদু উস্কানিতেই গণধোলাইয় দিয়ে মেরে ফেলে অচেনা অজানা কোনো তরুণকে? এই হিংস্র মানুষগুলো কারা? সাধারণ মানুষই তো!
এগুলো হয় প্রসাশন শাসনে অক্ষম/অনিচ্ছুক/অপারগ হয়ে পড়লে। কোনো এলাকায় প্রশাসন দুর্বল হয়ে পড়লে সেখানে বড় বড় গডফাদারের জন্ম হয়। এটা কিন্তু কোনো 'কাকতলীয়' বিষয় নয়। ঐ স্থানে অই ব্যক্তি গড ফাদার হিসাবে না থাকলে, অন্য কেউ ঠিকই সেটা হয়ে যেত। একটা যায়গার পরিবেশই নিজে থেকে ঐ স্থানে কী কী 'অপরাধপ্রবণতা'র উদ্ভব ঘটবে সেটা নির্ধারন করে। তাই বৃহৎ স্কেলে কি ঘটবে সেখানে দুয়েকজন ব্যক্তি মুখ্য নয়।
এই ব্যাপারটা শুধু অপরাধ না, কোনো রাজনৈতিক/সামাজিক/শিক্ষা... আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সত্য। সময়ের প্রয়োজনে এবং সময়ের প্ররোচনাতেই সব হয়।
এখন আসি এই হ্যাকিং বিষয়ে...
এই যে কিছু হ্যাকার হঠাৎ এসব শুরু করলো, সেটা বর্তমানে হ্যাকিং পরিচালনাকারি গ্রুপের এরা যদি বিরত থাকতো, তাহলে অন্য কেউ করতো। যেহেতু তারা তাদের নিজজ্ঞানে এটাকে 'যুদ্ধ' মনে করছে। অনেকটা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিয়েছে মনে করছে। সঙ্গে দেশাত্ববোধ কাজ করছে এক রকম। তাই কেউ না কেউ এসবে জড়িয়ে পড়তই আজ না হয় কাল। কিন্তু কেন?
কারণ আবারও সেই প্রশাসনের/সরকারের অক্ষমতা। যেমন ভারতের এই রীতিমত প্রাতিষ্ঠানিক হঠকারিতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র কোনো ধরনের প্রতিবাদ বা কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে, অনিচ্ছুক (ব্যর্থ না, স্রেফ অনিচ্ছুক!!!কী দুর্ভাগ্য আমাদের...[1][2]) সীমান্ত হত্যা-নির্যাতনের সঙ্গে যোগ করুন, টিপাইমুখ, তিস্তা, তিতাস নদী ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে সরকারের অবস্থান। এমতাবস্থায় কিছু নাগরিক নিজের হাতে আইন তুলে নিতে চাইবেই। অনেকটা সেই পুলিশে না দিয়ে 'গণধোলাই' দিয়ে দেওয়ার মতই। ব্যাপারটা নীতিগত ভাবে ঠিক নয়। কিন্তু ঐ(/এই) পরিবেশে এ ধরনের আচরন ইভলভ করারই কথা। বলা হচ্ছে, কিছু করতে চাইলে কেন সরকার পরিবর্তনে আন্দোলন হচ্ছে না? কেন এরা নিজেদের পছন্দমত সরকার বসিয়ে, সেই গভর্নিং বডিকে দিয়ে আনুষ্টানিক প্রতিবাদ/প্রতিরোধ গড়ে তুলছে না?
হ্যাঁ, এই অবস্থায় এমন হওয়াটা হচ্ছে সবচেয়ে 'বেস্ট'কেস সেনোরিও। কিন্তু সামাজিক ঘটনাতে, ভ্যারিয়েসন থাকে। সবাই বেস্ট সিদ্ধান্তটা নেবে না। কেউ কেউ তাই হ্যাক করতে বসবে কম্পিউটার খুলে। কেউ ভারতীয় পেলে পিটুনি দিতে বসবে। যার মনে যা চায় করতে শুরু করবে, নিজের জুতার মাপ অনুযায়ী। একটা বিশৃংখল পরিশ্তিতিতে যা হয় আরকি। 'বিশৃংখল' কেন বলছি? কারণ আবার সেই, সরকারের চুড়ান্ত ব্যর্থতা। সরকার (মানে শাসন ক্ষমতার মানুষগুলো) কিছু করুক বা না করুক, যদি এই আশ্বাসটা দিতে পারতো যে, আমরা(মানে তারাও জনগনের মত) বিচলিত, বেদনার্ত, এবং ক্ষুব্ধ। তাহলেও হয়তো এ ধরনের হ্যাকিং গ্রুপ সৃষ্টি হওয়ার প্ররোচনাদানকারী উপাদান কমতো।
আর সংঘবদ্ধ সাইবার অ্যাটাক করে কি লাভ হয় আমি জানি না। কিন্তু এমন হতে দেখেছি নানান আন্তর্যাতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে, সারা বিশ্বেই। ওসব 'যুদ্ধে' শেষ মেশ কি লাভ ক্ষতি হয়েছে। কি পলিটিকাল এজেন্ডা সিদ্ধি হয়েছে, সেটা জানি না। তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে সেসব দেখে, বাংলাদেশের কেউ, উৎসাহী হয়ে ওঠা স্বাভাবিক। যেখানে এত এত 'প্রেসনা' (/ক্যাটালিস্ট) অলরেডি বিদ্যমান। সেখানে কিছু কিশোর/তরুনের, তার নিজের বুঝ/দৌড় অনুযায়ী, 'সাইবার যুদ্ধ' [3] শুরু করতে চাওয়া একটা খুবই সম্ভাব্য কনসিকুয়েন্স।
আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র সক্রিয় না হলে, তারা আমাদের দেশের মানুষ কি চায়, সেটা না বুঝলে। এখনকার হ্যাকাররা থামলে কাল অন্য কোনো দল হ্যাকিং শুরু করবে। পরশু সীমান্তে যে শিশুটার বাবা নির্মমভাবে নিহত হয়েছে, তাদের কেউ কেউ প্রতিশোধ নিতে উগ্রপন্থি গোষ্ঠিতে যোগ দেবে। ডোমিনো ইফেক্টের মত ঘটে থাকবে এমন নানান কিছু... কারণ ড্রাইভার ঠিকমত স্টিআরিং না ধরলে গাড়ি খাদেই গড়াতে থাকে ...
[1] http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-21/news/218264
[2] http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-14/news/224553
[3] http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-14/news/224633
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খুবই চমৎকার মন্তব্য স্পর্শ। আরেকটু যোগ করি। প্রথম কথা হলো এই হ্যাকিং কি নৈতিক? উত্তর হলো না। তাই বলে এই ছেলেগুলো চুপ করে না বসে থেকে, নিজেদের তাড়না থেকে "একটা কিছু" করছে। এইটা তারা মনে করেছে প্রতিবাদের অন্যতম উপায়। এখন এইভাবে হ্যাকিং করে এরা যদি "কি লগার" প্লট করত বা "মেলিশিয়াস বাগ" সংক্রমন করত - আমি স্পষ্ট বিরোধীতা করতাম। বদলে এরা যা করছে একটা ম্যাসেজ রেখে আসছে। এই ম্যাসেজ সাধারন ভারতীয়রা কতখানি বিশ্বাস করছে বলা মুশকিল, কিন্তু আর যাই হোক না হোক এই সাইবার ওয়ারের ঘটনায় ব্যাপারটা মিডিয়াতে আলোচিত হচ্ছে। এর প্রেক্ষাপট হিসেবে তখন সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘট্নাও সামনে চলে আসছে। এইটা আমার কাছে ইতিবাচক লাগে। সেই কারণে এই প্রচেষ্টায় "আমাদের হ্যাকারদের ভয়ে ওরা বদলাবে" এই আশা আমি করি না, বরং জনমত সৃষ্টিতে/মিডিয়ায় আলোচিত হতে কাজে দিবে - সর্বোপরি সীমান্তের সংবাদ লাইমলাইটে আনতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস।
যে মেসেজগুলো রেখে আসছে, সেগুলোর সব কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা নিয়ে নয়। প্রচুর মেসেজ রেখে আসা হচ্ছে পাকি কায়দায়, ধর্মীয় বুলি বা পাকিস্তান জিন্দাবাদ টাইপ কথাবার্তা। হ্যাকিঙের উদ্দেশ্যটা ঐখানে গিয়ে হোঁচট খেয়ে যাচ্ছে। এই তরুণেরা যদি ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে আল্লাহর মহত্ত্ব নিয়ে আহাজারি করে আসে, তাহলে কী মেসেজটা পৌঁছানো হয়? বাংলাদেশীরা সীমান্তে স্বদেশী হত্যায় ক্ষুব্ধ, নাকি ভারতীয়রা সংখ্যাগরিষ্ঠ অমুসলিম বলে ক্ষুব্ধ? প্রথমটায় কোনো সমস্যা নেই, দ্বিতীয়টায় সমস্যা আছে। প্রথমটার পাশাপাশি দ্বিতীয়টাও ঘটে চলছে, আমি ওপরে একটা লিঙ্ক দিয়েছি, পড়ে দেখিস।
আপনার উপরের ঐ লিঙ্কের লেখাটির পরতে পরতে ভুয়া ইনফরমেশন দেওয়া। যে এটা লিখছে তারে শুধু এইটুকু জিজ্ঞাসা করতে মন চায় এই এটাকগুলো যদি "সামান্য ডজ (DDos?)" এটাকই হয় তাহলে সাইটগুলো ডিফেইস করল কে?
পরতে পরতে কী কী ভুয়া ইনফরমেশন পেলেন, একটু কষ্ট করে জানান। ডিফেইস কীভাবে করলো, সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই। ডিফেইস করে কী লিখে দিয়ে আসা হচ্ছে, সেটাই আলোচ্য।
হুম, পাকি হ্যাকাররা তাওয়া গরম পেয়ে রুটি ভেজে নিচ্ছে।
বাংলাদেশের ছাগুরা (ছাগুরাম তিরিভুজ মার্কা হ্যাকার, যারা বালটাও জানে না কিন্তু হ্যাকার হওয়ার অভিনয় করে) সেই তাওয়া গরম করে দিচ্ছে, এবং গুহামানব আলুসাংবাদিকেরা রুটি ভাজার কাজটা সহজ করে দিচ্ছে। বহু লোক এই সাইবার যুদ্ধকে হিন্দু বনাম মুসলিম যুদ্ধের সাইবার ফ্রন্ট ভেবে বাহবা দিয়ে আসছে। হাটহাজারিতে যারা মন্দির ভেঙেছে, তাদের সাথে এদের পার্থক্য কোথায়?
হ, এদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের এই সুযোগ ছাগুরা নগদে নিছে।
ধন্যবাদ!
চোখ খুলে দেয়ার জন্য, বাকিরা যেমনে গুনতে ও ছিড়তে ধরেছিলেন!
হ্যাকিং এর প্রথাটাতে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করিনা। যা হচ্ছে তার দ্বারা মেধার অপচয় ছাড়া আর কিছুই হচ্ছেনা। এই পথে প্রতিবাদ করাটাও অন্যায় এবং অযৌক্তিক।
বরং পয়লা মার্চ এর যে প্রতিবাদের ভাষাটা প্রকাশ পেয়েছে সেটাই অনেক দীপ্ত এবং যুক্তিযুক্ত। প্রতিবাদ হোক এইভাবেই।
ডাকঘর | ছবিঘর
পাকিস্তানিরা একাত্তরে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার জন্য ক্ষমা চায় নাই, উপরন্তু অনেক ওয়েবসাইট আর ফেইসবুক পেইজ আছে যেখানে বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়. জামাত-শিবিরের অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে যুদ্ধপরাধীদের স্বপক্ষে প্রচারণা চালানো হয়. ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যে জোয়ার, এই জোয়ারটা কি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে তোলা যায়না? জামাত-শিবিরের ওয়েবসাইট গুলা কি বন্ধ করে দেওয়া যায়না?
হ্যাক হওয়া সাইটের পেজে ঝুলছে ফেলানির লাশ,আছে হাবিবুরকে নির্যাতন করার video,ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে জেমসের 'আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালোবাসি' আর সেই সাথে আছে নিম্নোক্ত দাবি-
"1. Stop hacking Bangladeshi websites and stop all types of access to Bangladeshi Cyber Space completely...
2. Stop killing innocent Bangladeshi citizens at Bangladesh-India borders...
3. Stop Tipaimukh Dam...
4. Sign the "Teesta Water Sharing Treaty"...
5.Either stop broadcasting of Indian Media in Bangladesh or let Bangladeshi Media enter India...
6. Stop all Anti-Bangladesh activities of BSF and punish all offenders for their deeds against Bangladesh...
7. Last but not the least, India has to stop all activities which go against Bangladesh in any possible way...
Peace is what we all want, war is never the solution !!"
এগুলোর সঙ্গে ছাগুর সম্পর্ক কই?
২।'ফাকিস্তান জিন্দাবাদ' লেখা সাইটটি ফাকিস্তানিরা হ্যাক করেছে।এর সঙ্গে বাংলদেশি হ্যাকারদের কোন সম্পর্ক নেই।
৩।এই ঘটনাটা ছাগুদের অনুকূলে হওয়ায় তারা দলে দলে bbhh এর ফ্যান পেজে এবং ব্লগে গুজব ছড়াচ্ছে যে এই যুদ্ধে বাংলাদেশ এর পক্ষে সৌদি,ইন্দোনেশিয়া,মালয়শিয়া,ফাকিস্তান ইত্যাদি মুসলিম রাষ্ট্র আর ভারতের পক্ষে ইসরায়েল আর রাশিয়া যোগ দিয়েছে। ঘটনাটাকে ধর্মযুদ্ধ বানানোর এই হীন চেষ্টার প্রতিবাদ করে bbhh তাদের পেজে লিখেছে যে এই যুদ্ধ
বাংলাদেশের ৩ টি হ্যাকার দল একাই লড়ছে এবং ইন্ডিয়ার সাথেও রাশিয়া বা ইসরায়েল যোগ দেয় নি।যারা হ্যাকারদের ফাকি কানেকশন খুঁজছেন তারা ধ্রুব বর্ণনের কমেন্ট পড়ুন।
৪।যারা হ্যাকিং করছে তারা বেশিরভাগই স্কুল কলেজের ছেলে।ঢাকার নাম করা কলেজের ছেলে যেমন আছে তেমনি আছে পঞ্চগড়ের অখ্যাত স্কুলের ছেলে।তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়।তারা খুব ভালো করেই জানে ভারতের কাছে নতজানু সরকার নির্দেশ পাওয়া মাত্র ওদের ধরতে এবং ওদের উপর নির্যাতন করতে পিছপা হবেনা।পারলে ওদের সমর্থন করুন
আর নাইলে দূরে গিয়া মুড়ি খান।না জেনে উল্টাপাল্টা কিছু লিখবেন না।
৫।ভারতের কোন 'যৌন কেশ' এতে ছিঁড়ছে না মানলাম কিন্তু এর দ্বারা অনেক ভারতীয় সীমান্ত হত্যা সম্বন্ধে জানছে।এটাই বা কম কি?উল্লেখ্য এই সাইবার যুদ্ধ নিয়ে ভারতের বেশ কিছু পত্রিকা রিপোর্ট করেছে এবং তাতে প্রাসঙ্গিকভাবেই সীমান্ত হত্যা আর bsf এর নির্যাতন এর কথা এসেছে।
বিবিএইচএইচের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানাই।
পত্রিকায় পড়লাম হ্যাকার গ্রুপগুলো বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোকে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে। কীভাবে সে কাজ করা যায়, এ ব্যাপারে তারা গোপনে কিছু পরামর্শ কি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ওয়েবসাইটের রক্ষণাবেক্ষকদের জানাতে পারে? বেশিরভাগ সরকারী ওয়েবসাইটই প্রস্তরযুগীয়, সেগুলো যারা চালায় তারাও গুহামানব ক্যাটেগোরির। ভারতীয় হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কী করা দরকার, তার কিছু দিকনির্দেশনা প্রয়োজনে বেনামে এসব সাইটের ওয়েবমাস্টারদের কি জানানো যায়?
হয়তো অচিরেই এটা শুরু হবে। কী দুর্ভাগ্য আমাদের...
বিবিএইচএইচের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্রিয় "V"
ধরে নিচ্ছি আপনি বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপের কেউ। সুতরাং, আপনে মনে হয় এই প্রশ্নটি করা যায়।
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপের ফেসবুক পেজে ১৬ ঘন্টা আগে অ্যাডমিনের দেওয়া পোস্টটা খেয়াল করেন।
একটু খেয়াল করে দেখেন লেখা আছে "Just HackeD 2 INDIAN Sites"। এই কথার মানে যা বুঝছি যে বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার দল এই সাইট দুটো হ্যাকিংয়ের দায়িত্ব স্বীকার করছে।
হ্যাক হওয়া সাইট দুটোর মধ্যে প্রথম লিংকে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি: প্যালেস্টাইনের মুক্তির দাবি জানানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় লিংকটিতে দেখতে পাচ্ছি পাকিস্তানের পতাকা পত পত করে উড়ছে।
দয়া করে বলবেন বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার দলের সাথে যদি পাকিস্তানি হ্যাকারদের কোন সম্পর্ক না থাকে তাহলে তাদের হ্যাক করা পেজগুলোকে কেন আপনারা নিজেদের পেজে শেয়ার দিয়ে তাদের হ্যাকিংয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন?
আবারো খেয়াল করে দেখুন, পোস্টটি কিন্তু পেজের অ্যাডমিনের দেওয়া। কোন ফ্যানের দেওয়া না।
প্রিয় দ্রোহী,
আমি ম্যাঙ্গো পাবলিক।তাও আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা বলি-
১।এই ২ টা ফাকিস্তানি হ্যাকারদের কাজ। এর দায় কিভাবে বাংলাদেশি হ্যাকারদের উপর বর্তায়?ইন্ডিয়ান হ্যাকারদের ফ্যান পেজেও দেখবেন বাংলাদেশিদের দ্বারা হ্যাক হওয়া সাইট নিয়ে পোস্ট আছে।এর মানে কি তারাও 'সীমান্ত হত্যা বন্ধ হোক' এই দাবির সাথে একমত?আবার আমাদের হ্যাকারদের পেজেও চীনা এবং ইন্ডিয়ান
হ্যাকারদের হ্যাক করা সাইট সম্বন্ধে পোস্ট আছে।হ্যাক হওয়া সাইটে যে কথাবার্তা লেখা তার সম্পূর্ণ দায় হ্যাকারের।
২।আমাদের হ্যাকারদের হ্যাক করা সাইটে যদি ফাকিস্তানকে promote করে তবে আমি আর ওদের সাথে নাই।এরকম কিছু আমি এখনো পর্যন্ত পাই নি।-"আমরা নিজেদের যুদ্ধ নিজেরাই পরিচালন করতে সক্ষম। এইজন্য আমাদের কারো সহযোগিতা চাইবোনা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা।১৯৭১ এর চেতনাকে সমুন্নত রেখেই আমরা এই যুদ্ধে নেমেছি।তাই পাকিস্তানের সাথে কোনরকমের সম্পৃক্ততার ত প্রশ্নই আসেনা।
আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্তে রাংগানো হাত/মায়ের অস্রুসজল চোখের সাথে বেঈমানী করার আগে মৃত্যূকে বরণ করব। "
৩।তবে ভাষা নির্বাচনে মারাত্মক ভুল করেছে admin-'indian 2 sites just got hacked'দিলে ভালো হত।আরও ভালো হত এ সংক্রান্ত পোস্ট না দিলে।
৪।ফাকিস্তানি আর ইন্ডিয়ান হ্যাকাররা বহু আগে থেকেই কামড়াকামড়িতে লিপ্ত।এই ঘোলা জলে অনেক ফাকিস্তানি হ্যাকারই মাছ শিকার করতে পারে।একটা হ্যাকড সাইটের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকে না।সেটা আবার হ্যাক করে ডিফেস করা সোজা।এটা একটা সম্ভাবনার কথা বলছি মাত্র।
৫।ইন্ডিয়ানদের তরফ থেকে 'False Flag Operation'শুরু হয়ে গিয়েছে।গত রাতে তারা বাংলাদেশি এক সাইট হ্যাক করে bca এর নাম ঝুলিয়ে দিয়েছে।এছাড়া প্রায় ১০০ চীনা সাইট হ্যাক করে তাতেও bca এর ডিফেস ঝুলিয়ে দিয়েছে যেন চীনারা আমাদের সাইবার স্পেসে হামলা চালায়।
৬।bca নামটা ফাকিস্তান সাইবার আর্মি থেকে ধার করা নয়।ইন্ডিয়ান/রাশিয়ান/চাইনিজ সাইবার আর্মি রয়েছে।এটা একটা কমন নাম।@ ব্লগার হিমু
৭।"ইন্ডিয়া ফাকিস্তানের জন্মশত্রু তাই আমাগো শত্রু,সকল মুসলিম ভাই-ভাই ইন্ডিয়ার রক্ষা নাই" এই ছাগু মার্কা ধারণা নিয়ে তারা প্রতিবাদ করছে না। তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছে-"We don't have any personal issues with Indians. But the brutality of BSF as well as Indian government has forced us to do this,"
আমি ও ম্যাঙ্গো পাবলিক। তবে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং আর হ্যাকটিভিজমের পার্থক্য বুঝি।
উপরের এই ছবিটা দেখেছি নাগরিকব্লগে। বিয়েসেফের সীমান্ত হত্যার জবাবে যদি এইরকম মেসেজ ঝোলানো হয় তাহলে আর কিছু বলার থাকে না।
২০,০০০ সাইট হ্যাকিংয়ের গালগল্প বাদ দিয়ে কোন কোন সাইটে বিয়েসেফের সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে সুস্পষ্ট মেসেজ রেখে আসা হয়েছে তার একটা তালিকা কোথাও খুঁজে পেলাম না। এইরকম সাইট যদি ১০০ টাও হয় তবে সেটা ২০,০০০ সাইট হ্যাক করে "বালছাল" ঝুলিয়ে দিয়ে আসার চাইতে অনেক বেশি কার্যকরী।
এইরকম কোন ডিফেসড সাইটের তালিকা কি পাওয়া সম্ভব যেখানে সুস্পষ্টভাবে বিয়েসেফের সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে মেসেজ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে?
বাংলাদেশ-ভারত চলমান সাইবার যুদ্ধে হ্যাকটিভিজম যতটা না হচ্ছে তার চাইতে বেশি হচ্ছে নিজেদেরকে জাহির করা।
ভারতের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে, সেটার একটা তালিকা দেখতে চাই। কেউ কি দিতে পারেন?
বিএসএফ
ইন্ডিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জ
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ইন্ডিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জ না, হ্যাকড ইটটার নাম ইন্ডিয়াস্টকএক্সচেঞ্জ। ভারতের অনেকগুলো স্টক এক্সচেঞ্জ, সবচেয়ে বড়টা, যেটা ওদের রিপ্রেজেন্ট করে, সেটা মুম্বাইয়ে, নাম এনএসই। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণটা হচ্ছে বিএসই।
আমাদের পত্রপত্রিকায় কি এই সাইটটাকেই "ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জ" হ্যাক হিসেবে দেখানো হচ্ছে?
বলতে পারছি না। কোথায় যেন আরও অনেকগুলো হ্যাকড হওয়া সাইটের একটা লিস্ট দেখেছিলাম!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
১।হ্যাকটিভিজম-ই হোক আর ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং-ই হোক যেই গ্রুপ/হ্যাকার হ্যাক করেছে তারা ডিফেসে দাবি দাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের জাহির করবে এটা হ্যাকিং দুনিয়ার সাধারণ ব্যাপার।আপনাকে যে কোন ethical/black hat হ্যাকারদের হ্যাক করা সাইটগুলতে যেতে অনুরোধ করছি।
২।নাগরিক ব্লগের পোস্টটা সম্পূর্ণ biased.উনি ক্রপ করে যে ছবিটি দিয়েছেন তার উপরেই যে ফেলানির লাশের ছবি আর BSF এর নির্যাতনের বর্ণনা ছিল তার ছবি উনি দিলেন না কেন?ডিফেসের যে অংশটুকু দিয়ে জল ঘোলা করতে পারবেন সেটি ঠিকই দিয়ে দিলেন আর প্রতিবাদের অংশটুকু তার চোখে পড়ল না?উনার সবগুলো ছবিতে একই কাহিনি।আগেও বলেছি আবারও বলছি এই হ্যাকাররা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর দল। গিলেটিনে মাথা পেতে দিয়েই তারা প্রতিবাদ করছে।অমেরুদণ্ডী সরকার তাদের ধরতে পারলে কি জামাই আদর করবে তা তারা ভালোই জানে।ঐরকম কিছু ঘটলে আপনি এই ছোট ভাইদের পাশে থাকবেন তো?
৩।হ্যাক করা সাইট আজীবন হ্যাকড থাকে না।সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এডমিন ঠিক করে ফেলেন।সুতারাং লিস্ট দিলেও এখন গিয়ে দেখবেন বেশিরভাগ-ই ঠিকঠাক।সুতারাং লিস্ট দিয়ে কোন লাভ আছে মনে হয় না।
৪। ডিফেসে আদৌ bsf নিয়ে কিছু লেখা হয় কি না সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, তারা দেখে নেন(action speaks louder than words) http://www.basc.in/ http://grandsweetsandsnacks.in/
৫।ওয়েবমাস্টারদের নিরাপত্তা বাড়ানো সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া আছে।বিভিন্ন ব্লগে, ইউটিউব ভিডিওতে,ফেসবুক পেজে পাবেন।তবে এগুলো একেবারেই বেসিক জিনিস যা যে কোন ওয়েবমাস্টারের জানা উচিৎ।
৬। nic.in,dot.gov.in,maharashtra police এরকম আরও কিছু সরকারি সাইট হ্যাক হয়েছিল।এগুলো রিকভার করে ফেলা হয়েছে।
(ব্লগার দ্রোহী এবং হিমুর কমেন্ট পড়ে মনে হতে পারে আমিও বুঝি হ্যাকার বা তাদের মুখপাত্র,আমার সে যোগ্যতা নেই।আমি একজন নগণ্য মানুষ।আমি হ্যাকিং পারি না। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নীতি ঠিক থাকবে আরও হাজার বাঙ্গালির মত আমিও তাদের সমর্থন দিয়ে যাব)
হ্যাক করা সাইট যদি আজীবন হ্যাকড না থাকে, তাহলে ব্যাপারটা কি এমন যে এই প্রতিবাদের ভিজিটিবিলিটি কয়েক ঘন্টার?
আপনি বলছেন, হ্যাক করা সাইট ডিফেস করলে পরে আবার কেউ হ্যাক করে সেটা ডিফেস করতে পারে। ধরুন আপনি হ্যাক করে বিএসএফের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালেন, সাইটের খবরটাও কোনো কমন প্ল্যাটফর্মে জানালেন। কোনো পাকি হ্যাকার তারপর সেখানে গিয়ে আবার ডিফেস করে পাকিস্তান পায়েন্দাবাদ লিখে দিয়ে এলো। এরকম কি হতে পারে?
১। কোন দায়টা কাদের, সেটা কীভাবে আলাদা করবেন? ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের কথা তো বললেন, কয়টার জন্য অজুহাত দেবেন?
২। "আমাদের" হ্যাকারদের মধ্যে দেখলাম কমিউনিটি ব্লগে টিউটোরিয়াল ছড়িয়ে এক রাতে হ্যাকার বানানোর চেষ্টা করছে কেউ কেউ। এই এক রাতের হ্যাকারদের মধ্যে ছাগুরাও থাকবে। তারা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করবে। তখন কে কার সাথে আছে আর কে নাই, সেটা বোঝা যাবে না।
৩। আপনাদের অ্যাডমিনকে বলবেন একটু ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করে তারপর আনুষ্ঠানিক স্টেটমেন্ট দিতে। জেহাদী জোশ থেকে না।
৪। হ্যাকড সাইট যদি আবার হ্যাক করে ডিফেইস করা যায়, তাহলে বিএসএফের কার্যক্রমকে ফ্ল্যাগ করে রেখে আসা মেসেজগুলোরও কোনো নিরাপত্তা থাকে না, তাই না?
৫। "আমাদের সাইবার স্পেস"-এর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কোনো ভূমিকা কি আপনারা রাখতে চান? নাকি যার যার পাছা যে যে সামলাও নীতিতে চলা হবে? আমি অনুরোধ করবো, পরিচয় লুকিয়ে এবং গোপনে কিছু প্রাথমিক নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ আপনারা সরকারী সাইটের ওয়েবমাস্টারদের কাছে পাঠান। যুদ্ধে আক্রমণ আর প্রতিরক্ষা, দুটোই লাগে।
৬। জেনে ভালো লাগলো।
৭। এটা তাদের অবস্থান, যেটা আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করি। কিন্তু যুদ্ধের মাঠে অবস্থান হা্ইজ্যাক হয় সবার আগে। এটা খেয়াল রাখবেন প্লিজ।
আপনাদের আবেগের জায়গাটাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আপনাদের এই প্রচেষ্টার সুফল ভারতীয়দের ঘরেই চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের দেশে ওয়েব সিকিউরিটির জন্যে পয়সা খরচের ধারণাটা সরকারের মাথায় নাই। প্রয়োজনটা যখন তৈরি হবে, তারা একটা বড় ভারতীয় ফার্মকেই ভাড়া করে এনে কাজ দেবে, এমন সম্ভাবনা প্রবল। আপনারা সেই প্রয়োজনটাকে একটু অডিবল করছেন এখন।
এইটার একটা পাল্টা যুক্তি হতে পারে আমাদের ছেলেপেলেরাই যখন ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাক করতে পারছে তখন আমাদের আর ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দরকার নেই! এদের মধ্যে থেকে যোগ্যতমদের উপরই সে দায়িত্ব ন্যস্ত করার নির্ভরতা থাকতে হবে!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
সমস্যা হচ্ছে, আপনার চোখে যা "আমাদের ছেলেপেলে", সেটা সরকারের চোখে "আমাদের ছেলেপেলে" না-ও হতে পারে। সরকারী যোগানদারির কাজ এখন ছাত্রলীগ যুবলীগের লোকেরা পায়, বিম্পি-জামাত ক্ষমতায় গেলে ছাত্রদল যুবদল শিবির পাবে, আর কারিগরি কাজ দেদারসে ভারত, পাকিস্তান, চীন, কোরিয়াকে দেয়া হবে। এভাবেই বাংলাদেশ চলছে।
আর ওয়েব সিকিউরিটি এক্সপার্টের গালভরা ভারিক্কি ভাব আমাদের হ্যাকারদের আছে কি? তারা একটা ক্ল্যান্ডেস্টাইন দল, সাইবার গেরিলাপনার রোমাঞ্চ উপভোগ করছে। রোমাঞ্চ ফুরিয়ে গেলে তারা অন্য কোনো রোমাঞ্চ খুঁজে নেবে। এরই মধ্যে তারা সবাইকে "ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি বাড়ানোর পরামর্শ" দিয়েছে। এই পরামর্শ কাজে লাগানোর আগে অনেক সরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বড় স্কেলে ব্যাপারটা ঘটলে সরকার একটা টেণ্ডার দেবে, সেটা আন্তর্জাতিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেখানে হরিলুটের ভাগ এই "আমাদের ছেলেপেলে" পাবে না।
আরিফ জেবতিকের কাছে শুনলাম, রেলওয়ের আইটি কাঠামো দাঁড় করানোর কাজ নাকি টাটা আইটি পাচ্ছে। ওটা নিশ্চয়ই এমন কোনো রকেট সায়েন্স না, যে "আমাদের ছেলেপেলে"রা করতে পারবে না? কিন্তু তারপরও টাটা আইটি পাচ্ছে, কারণ তাদের পোর্টফোলিও ভালো। আমাদের ছেলেপেলেদের পোর্টফোলিওই নাই। আর "আমি অমুক সাইট হ্যাক করেছি" , এটা পোর্টফোলিওতে দেখে অ্যাপ্রিশিয়েট করার রক্ত বাংলাদেশের আমলাদের শরীরে এখনও নাই।
এটা চিন্তা করে তারা প্রতিবাদও জানাতে পারবে না ?
কোথায় কে বলেছে যে প্রতিবাদ করা যাবে না, কোট করে দেখান তো?
প্রথম কথা, সব হ্যাকিং প্রতিবাদ জানিয়ে করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, প্রতিবাদের একমাত্র রাস্তা হ্যাকিং না। তৃতীয়ত, এই প্রতিবাদের আয়ুও কয়েক ঘন্টা, ওরা আবার রিকভার করে ফেলছে।
কয়েক ঘন্টার প্রতিবাদের মূল্য দীর্ঘমেয়াদে একটা সেবা সেক্টর ভারতীয় ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়ে যেন চোকাতে না হয়।
আমাদের সরকার তো আমাদেরই সরকার, বাংলাদেশের সরকার। এখন বাংলাদেশের কোন সরকার যদি বাংলাদেশের চেয়ে অন্য কোন দেশের স্বার্থ বেশি দেখতে আগ্রহী হয় তাহলে কিন্তু তাদেরকে টাইট দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন মানুষ খুন হয় বিএসএফের হাতে, আর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন-- এসবে বিচলিত হওয়ার কিছু নাই, এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমাদের অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান আমাদের বোঝাতে আসেন যে ট্রানজিটের জন্য মাশুল চাওয়া হবে পাপ। আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভী পত্রিকায় কলাম লিখে টিপাইমুখ বাধের পক্ষে যুক্তি-তর্ক দেন। এই নির্লজ্জ ভারততোষী নতজানু পররাষ্ট্রনীতির হিসাব যে কড়ায়-গণ্ডায় আগামী নির্বাচনের সময় চুকাতে হবে এই হিসেব কি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের আছে?
এই জিনিসগুলো তো বদলাতে হবে। যেসব কাজ করার সক্ষমতা আমাদের নিজেদের হয়েছে সেগুলোর জন্য বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেয়ার আত্নঘাতী বদ অভ্যাস তো ছাড়তে হবে। এক ব্যাংকিং সফটওয়্যারের জন্য আমরা কত কোটি কোটি টাকা ভারতকে দিয়ে আসছি -- এসব তো বন্ধ করতে হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে গেলে। এখান থেকেই না হয় শুরু হলো।
আমাদের সহপাঠীরা, জুনিয়ররা আউটসোর্সিং ফার্ম দিয়ে সার্থকতার সাথে সেগুলো চালাচ্ছে না? এখানে তো আরও সম্ভাবনা তৈরি হলো-- হ্যাকিং স্প্রী শেষ হলে হ্যাকাররা মিলে তো আইটি সিকিউরিটি কোম্পানি দেয়ার কথা চিন্তা করতে পারে। আমাদের ছোট-বড় আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলো যেমন দেশে-বিদেশের কাজ করে বেড়ায়, সিকিউরিটি নিয়েও দেখা যাক না সেরকম কোনো ব্যাপার ঘটানো যায় কিনা।
পোর্টফোলিও তো কাজ করতে করতেই হয়। আর আমাদের আমলাদেরকেও তাঁদের প্রস্তরযুগের ধ্যান-ধারণা পাল্টাতে হবে।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আউটসোর্স ফার্ম দাঁড়াতে পারে, কারণ তারা কাজ পায় বিদেশ থেকে। বিদেশের লোকজনের কাছে যেগুলো কাজের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়, সে যোগ্যতা তাদের আছে এটা তারা প্রমাণ করতে পারে। বিল আদায়ের হারও মোটামুটি ভালো এবং ত্বরিত। সরকারী কাজের ক্ষেত্রে সবই উল্টো। আমাদের আউটসোর্স ফার্মগুলো দেশের কাজ কী পরিমাণ পায়, একটু জানাবেন তো রাজিব।
সরকারের লোকজন যদি এই পোস্ট পড়েন, ওপরের মন্তব্যটা মন দিয়ে আবার পড়বেন। আর হ্যাকার যারা আছেন, তারাও।
খুব বেশি পায় না! এ সংস্কৃতিই তো আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। যাঁরা বিদেশের নানা আকারের কাজ সাফল্যের সাথে করতে পারে তারা যে দেশের কাজগুলোও ঠিকঠাকভাবে করতে পারবে এ আস্থা তো তাঁদের উপর রাখতে হবে। রেলের আইটি কাঠামো দাঁড় করানোর মত এত বড় একটা কাজ টাটা আইটির মত বিদেশী কোম্পানিকে দিয়ে করানোর মত আত্নঘাতী কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। অনেক দেরি করে ফেলেছি--কিন্তু আর দেরি যেন না করি!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমরা ম্যাংগো পিপল, লেখালেখি করার যোগ্যতা নাই, তবে পড়ার অভ্যাস আছে। আপনারা যারা সচলায়তনে লেখেন, গুরুরা, তাদের লেখা পড়ি, কিছু জানার চেষ্টা করি। কিন্তু, আজকে এই পোষ্টের বিপরীতে যে ভাষায় কমেন্টগুলো আসছে, তাতে মনে হচ্ছে !
এত জ্ঞানীর চাপে তো পিষ্ট হইয়া যাইতাছি, বাচাও
মামদোবাজির অভিযোগ করে যৌনকেশের হিসাব নিতে এলে এরচেয়ে ভালো আর কী আশা করেন রে ভাইডি?
হ্যাকারদের জন্য ভালবাসা রইল এবং যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হইল। আমরা আছি এবং আমাদের জন্য training ব্যবস্থা করলে আমরাও এই সাইবার যুদ্ধে যেতাম।
সাইবার যুদ্ধে পদাতিকের পাশাপাশি গোলন্দাজও লাগে। এখানে উইকিপিডিয়ায় বিএসএফের ইংরেজি ও বাংলা ভুক্তি দুটোর লিঙ্ক দিলাম, এতে গুছিয়ে বিএসএফের হত্যা-নির্যাতনের খবরগুলো সূত্রসহ যোগ করুন। হ্যাকিং না করেও সাইবারজগতে লড়াই চালানো যায়।
হ্যাকিংয় যদিও চুরি তবুও তার মধ্যে নায়কোচিত একটা ব্যাপার আছে। সেই তুলনায় উইকিপিডিয়ার ভুক্তি নিবন্ধন দেড় হাজার টাকা বেতনের কেরানীর চাকুরির মতো নিরানন্দময় ব্যাপার।
সাইফুল ভাইকে দেখে ভরসা পেয়েছি। উনি কোনো কিছু না করে পশ্চাদ্দেশে অঙ্গুলি প্রবিষ্ট করে বসে থাকতে নারাজ। আবার হ্যাকিংও জানেন না বলছেন। উনি নিশ্চয়ই আঙুল পশ্চাদ্দেশে না দিয়ে কীবোর্ডে দিয়ে এই ভুক্তিগুলোকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের দিদির ডায়েরিতে শোভা পাচ্ছে:
ভাইয়ারা, আর যাই করিস, ইংরেজিটা ভুলভাল লিখিস না।
নাকি আশা করতেছিস দিদিকে দিয়ে লিখাটা শুদ্ধ করিয়ে নিবি?
ইংলাজি বুল কল্লে কি দুষ লুপম দাডা?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
http://timesofindia.indiatimes.com/india/Bangladesh-group-hacks-BSF-website-to-avenge-border-killings/articleshow/11892684.cms
http://gadgets.ndtv.com/shownews.aspx?id=GADEN20120194478
টাইম্স অফ ইন্ডিয়াতে ভারতীয়দের মন্তব্যগুলো লক্ষ্যনীয়। ছাগু সব দেশেই একই সংখ্যায় আছে, সহজেই প্রমাণিত হয় এদের মন্তব্য দেখলে।
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে কোনো স্ট্রিমিং সাইটে বাংলাদেশী হয়ে কোনো মন্তব্য করলে টের পাবেন এইসব প্রমাণের আরও চাক্ষুষ এবং লাইভ সিস্টেমটা কী! মাঝে মাঝে ভাবি, বিদেশী পর্যটকেরা যে বাংলাদেশীদের উষ্ণ আর অতিথি পরায়ন জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, সেটা এমনি এমনি দেয়নি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের চমৎকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সব জায়গায় যখন অনুষ্ঠানটির দারুণ প্রশংসা হয়েছে, তখন এটা নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট আর এর নিচে অনেক ভারতীয়ের ছাগু মন্তব্য পড়ে রাগে গা জ্বালা করছিল।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ভারতে এ নিয়ে প্রথম টিভি কভারেজ নাকি?
তার মানে, ব্লাক হ্যাটস একটা মেসেজ কনভে করতে পেরেছে দেখা যাচ্ছে ...
এই টিভি কভারেজের পরে ওদের সাধারণ মানুষ নিশ্চয়ই আরও কৌতূহলি হয়ে সাইটগুলো খুলে দেখবে। ব্লাকহ্যাটসএর দেওয়া মেসেজগুলো পাবে।
ব্লাক হ্যাটস তো কোনো 'হেট মেসেজ' পোস্ট করেছে বলে মনে হয় না। খবরে হেট মেসেজের কথা বললো কেন?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এটাই আসলে টুইস্ট। ঠিক যে কারণে আনোন্দব্যাজার পত্রিকা হাবিবুরকে নেংটা করে অত্যাচারের ভিডিও প্রচারের মাঝে পাকি ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজে, ঠিক তেমনি টাইমসনাউ এর এখানেও হেট মেসেজের ঘ্রাণ লাগানো হচ্ছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতে দেদারসে বাংলাদেশ-ভীতি বিক্রয় হয় বলে বোধ করি। কাটতিও নিশ্চয়ই প্রচুর। ভারতে বিএসফের কীর্তি কোনো খবর না। রাজনীতিবিদদের গলা ফাটানো ভাষণের উপাদান না। কিন্তু বাংলাদেশ ভীতি আলবৎ তা। ভয় আশঙ্কা উৎকণ্ঠা ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়। সেই একই কাহিনী।
অন্যদিকে আমাদের মিডিয়া ভারতীয় টাকা পেয়ে ভারতবান্ধব হয়ে উঠছে।
BBHHরা এই সুযোগে তাদের পেইজে ফ্যানদেরকে ভারতীয় পণ্য টিভি চ্যানেল বর্জনের আহ্বান জানাতে পারে।
ঠিক।
আপনার মন্তব্য পড়লে মনে হতে পারে, ভারতের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের কার্যক্রম সম্পর্কে অন্ধকারে আছে, এবং সাইট হ্যাক করে তাদের সেই অন্ধকারে আমাদের হ্যাকাররা আলো ফেলছে। ব্যাপারটা কি সেরকম? ভারতের সাধারণ মানুষের কাছে কি সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনের খবর অজ্ঞাত নাকি? এনডিটিভি আর দ্য হিন্দুসহ অনেক ভার্নাকুলার পত্রিকাতেও খবর গেছে। তারা জানে। তারা বদার করে না, এইটাই বটমলাইন। ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর তারা হ্যাকারদের রেখে আসা মেসেজ পড়ে ব্যাপারটা জেনে বুঝে বাংলাদেশের সমর্থনে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এই মডেল মাথায় রেখেই কি আমরা চলছি? ভারতের সাধারণ মানুষদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী জোশে আক্রান্ত লোকদের সংখ্যা তো কম না। তারা আবারও বাংলাদেশী কিশোরের লুঙ্গির নিচে রকেট লঞ্চার আবিষ্কার করবে। কারণ ঘরে বসে ঐটা করাই তাদের জন্য বেশি সহজ, বিএসএফকে চাপ দেয়ার চেয়ে।
এই হ্যাকাহ্যাকির লাভের গুড় ভারতের পকেটেই ঢুকবে। আমাদের সরকারী কর্মকর্তারা যখন বুঝবে, সরকারী সাইটের সিকিউরিটি বাড়ানোর বিদ্যা সরকারের নিয়োগ করা আইটিবলদদের নাই, তারা ভারত থেকে ওয়েব সিকিউরিটি এক্সপার্ট ভাড়া করে আনবে চড়া দামে।
এইতো বুঝতে পেরেছেন। 'বদার' করানোটাই দরকার। আর এই হ্যাকাররা মনে করছে, তারা এভাবে ওদেরকে বদার করাতে পারবে। যেমন অনেকে ভাবছে ভারতীয় পণ্য একদিন ব্যবহার না করলেও ( অবশ্য বনধএ কতজন অংশ নেবে সেটাও একটা কথা, 'পনের দিনে হিন্দি ভাষা শিখুন'-টাইপ বিজ্ঞাপন তো কম দেখিনি রাস্তায়!) ভারত বা ভারতীয়রা বদারড হবে, তেমন। যার যা কিছু আছে, সে সেইটা নিয়েই ঝাপাবে। এইটাই নেতৃত্বের ব্যর্থতার পরিণতি। আর আমাদের দেশেও তো প্রচুর মানুষ সীমান্ত হত্যা, টিপাইমুখ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে জানে। কতজন 'বদারড'?
আপনার আশঙ্কা অনুযায়ী, সরকার দেশী এক্সপার্ট(নিশ্চিন্ত থাকুন এই বস্তু দেশে প্রচুর আছে,) হায়ার না করে দুনিয়ায় এত দেশ থাকতে সেই 'ভারতের' এক্সপার্টই হায়ার করবে, যে ভারতের বদমাইশরা এই গতকালও একজনকে চোখ খুড়ে নিয়ে হত্যা করেছে ...তেমন সরকার যতদিন আছে ততদিন কিছু মানুষ হ্যাকিং, হোক আর যাই হোক, তাই ই করবে... কিছু মানুষ ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে... কেউ করবে আরও অন্য কিছু...
এখানে হাস্যকর ব্যাপারটা কি চোখে পড়ছে আপনার? যে ভারত নিয়ে এত কথা, আমরা রীতিমত নিশ্চিত ধরে নিচ্ছি (আসলে ধরে নিচ্ছি না, কথাটা প্রায় সত্যিই তো!) যে এই ডামাডোলে ভারতীয়দের দ্বারা আমাদের সাইট হ্যাকিং এর ফলে আমাদের সরকার সেই ভারতীয় এক্সপার্টই ডেকে আনবে!! আহ্ কি শান্তি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
"আর এই হ্যাকাররা মনে করছে, তারা এভাবে ওদেরকে বদার করাতে পারবে। যেমন অনেকে ভাবছে ভারতীয় পণ্য একদিন ব্যবহার না করলেও ভারত বা ভারতীয়রা বদারড হবে, তেমন।"
ভারতীয়রা বদারড হোক না হোক এটা এই তরুণদের প্রতিবাদের ভাষা। অন্তত একদিনের ভারত বর্জন থেকে কিছুটা শ্রমসাধ্য প্রতিবাদ। এবং এটা দেশে বিদেশে বেশ ভাল একটা মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে। একদিন কেন এক মাসের "ভারত বনধ"ও যে প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আনতে পারতো না সেটাও এসেছে।
আপনার সাথে একমত নই। 'বনধ' এ সবার সার্বিক অংশগ্রহন থাকলে, সেটা একটা বড় ধাক্কা হবে...
তবে এর জন্য আন্দোলনে প্রয়োজনীয় 'ভরবেগ' আনতে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর ব্যাপার আছে... মূল সমস্যা হলো, আমাদের দেশের মানুষরাই এসব নিয়ে 'বদার্ড' না...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দেশের মানুষের বদার্ড হওয়ার বিষয়টাই বলতে চেয়েছিলাম। " 'বনধ' এ সবার সার্বিক অংশগ্রহন থাকলে, সেটা একটা বড় ধাক্কা হবে..." অবশ্যই। তবে এই মেসেজটা সাধারণের কাছে সেভাবে যায়নি হ্যাকিংটা যেভাবে গেছে। বর্জনের ভরবেগ আনতে এটা কাজে লাগানো যায়।
আপনি যা বলতে চেয়েছেন আর যা বলেছেন, একটা আরেকটার উল্টো কেন?
"ভারতীয়রা বদারড হোক না হোক এটা এই তরুণদের প্রতিবাদের ভাষা।"
"একদিন কেন এক মাসের "ভারত বনধ"ও যে প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আনতে পারতো না সেটাও এসেছে"
"দেশের মানুষের বদার্ড হওয়ার বিষয়টাই বলতে চেয়েছিলাম।"
যা বলতে চেয়েছিলাম আর যা বলছি দুইটা যে এক আশা করি বুঝতে পারছেন।
বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়ার কিছু নমুনা দেখলাম আর শুনলাম। মানুষ খুশি হয়েছে। ভাবছে খুব জবাব দেয়া হয়ে গেছে। জবাব যে দেয়া হয়নি, জবাব যে দিতে হবে, এবং লম্বা সময় ধরেই দিতে হবে, ঐ বোধটাই দেখলাম অনেকের মধ্যে নাই। গোল করা লাগে না, আমরা কর্নার কিক পেলেই খুশি। আর আপনার মতো দুইচারজন ভাবছে এক মাসের বনধের এফেক্ট এক হ্যাকিঙেই উসুল করা গেছে। সেইটা মুখ ফসকে বলে ফেলে পরের মন্তব্যেই উল্টা কথা বলে শুদ্ধিপত্র দিচ্ছে।
আচ্ছা আমার মত দুইচারজন তো? দুইচারজনে কোন সমস্যা নাই। বাকি কোটি কোটি তো আছেই ঠিকপথে চিন্তার জন্য। ধন্যবাদ।
তাহলে ঈভ টিজিং আর এসিড মারাও নারীর হৃদয়হীনতার বিরুদ্ধে তরুণের প্রতিবাদের ভাষা। রাস্তাঘাটে ভুঁড়ি গালিয়ে রেখে যাওয়া ধনিক সম্প্রদায়ের কার্পণ্যের বিরুদ্ধে তরুণের প্রতিবাদের ভাষা। শিশু ধর্ষণ করা যৌন অক্ষমতার বিরুদ্ধে বুড়োদের প্রতিবাদের ভাষা।
আর প্রতিবাদ কি ক্যালরিতে মেপে তুলনা করতে হবে? চলেন আঁধলা ইঁট নিয়ে পায়ে হেঁটে বর্ডারে গিয়ে ইঁট মারি। বিপুল শ্রম হবে।
বাংলাদেশের মানুষ এই হ্যাকিঙের খবরে যুদ্ধজয়ের আনন্দে হাততালি দিয়ে যদি ভারতীয় মাল সেবন চালিয়ে যায়, বিএসএফের গুলির পয়সাটা আমাদের পকেট থেকেই বের হবে।
আমি বুঝতে পেরেছি, এই সার্টিফিকেট আপনার কাছে পেয়ে গর্বিত।
ভারতের মিষ্টির দোকানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে কয়েক ঘন্টার জন্যে সেই দোকানীকে "বদার" করাতে পারা, কয়েক ঘন্টার জন্য ঠিকাছে। তার মিষ্টি কেনা বাদ দেয়া, দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঠিকাছে। মিষ্টির দোকানের সামনে হাগু করে দিয়ে এলে মিষ্টির দোকানী বদারড হবে ঠিকই, কিন্তু হাগুকরনেওয়ালার দাবিতে কান দেবে না। মিষ্টির দোকান বর্জন করতে পারলে, সে কান দিতে বাধ্য হবে। গু সাফ করার চেয়ে খদ্দের হারানোর হ্যাজার্ড অনেক বেশি।
বাংলাদেশের কোন সরকার আছে যে ভারতকে বাজার দেয় নাই? একটু নাম বলেন শুনি।
হাস্যকর ব্যাপারটা চোখে পড়ার কারণেই চিন্তিত। হাতে বন্দুক থাকলেই গুলি ফোটানো যায়, কিন্তু গুলি ফোটালেই যুদ্ধ হয় না। পারিপার্শ্বিক খেয়াল করতে হয়। এই কারণেই যুদ্ধের পেছনে স্ট্র্যাটেজি বলে একটা ব্যাপার থাকে। এইখানে স্ট্র্যাটেজিটা হ্রস্ব-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদে কী, বারবার জানতে চাই। কেউ কোনো কথা বলে না। মাঝেমধ্যে এসে বুঝতে পেরেছেন সার্টিফিকেট দেয় খালি।
না, এবারে আপনি বুঝতে পারেন নি।
এটা কখনওই বলিনি যে, ভারতীয় পণ্যবর্জনের চেয়ে হ্যাকিং কার্যকর। ইন ফ্যাক্ট হাকিং করে কোনো মেসেজ টাঙানোর কার্যকারিতা ঐ 'স্বল্পমেয়াদি বদার' করানো পর্যন্তই। হ্যাকাররা ঐটুকু পারে, তারা ঐটুকু করতেসে। যে আরও বড় কিছু পারে সে আরও বড় কিছু (যেমন ভারত বনধ করা, বা সরকারের মেরুদন্ডমেরামত করা) করবে।
এখনকার অবস্থায়, কেন সবার কাছথেকে 'বেস্ট স্ট্রাটেজি' এক্সপেক্ট করা যাবে না, সেটা আমার আগের এক মন্তব্যে (এখন পর্যন্ত যেটার নাম্বার ১০৯) বলেছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঐ স্বল্পমেয়াদী বদার করানোটা স্বল্পমেয়াদী বদারের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যের সম্ভাবনার বিচারে কস্ট এফেক্টিভ কি না, সেটাও খেয়াল করতে হবে। হ্যাকারদেরই সেটা খেয়াল করতে হবে।
আপনার ঐ মন্তব্য অনুযায়ী, গণপিটুনি যে দেয়, তার কাছ থেকে বেস্ট স্ট্র্যাটেজি এক্সপেক্ট না করে সেটাকে তার প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হয়। ঈভ টিজারদেরও। কারণ সুন্দরী মেয়েরা হৃদয়হীন, সরকার দুর্বল, ঈভ টিজিং একজন না করলে আরেকজন করবে, সুন্দরী মেয়ে পাড়ায় থাকলে ঈভ টিজিঙের আচরণ ইভলভ করবেই...
না এবারে আপনি বুঝতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন।
গণধোলাই, ইভডিজিং এসবের মূল 'উৎস' হচ্ছে প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায়। যে ছেলে ইভটিজিং করে, তার বাপ চাচারা, 'ক্ষমতাধর' সেই কারণে করে। পাড়ায় সুন্দরী মেয়ে আছে স্রেফ এ কারণে না। ডাকাত সন্দেহে মানুষ অন্যকে পেটায়, কারণ তারা মনে করে পুলিশে দিলে পুলিশ দুটো বিড়িখাইয়ে ছেড়ে দেবে। উলটো যারা অভিযোগ করেছে তারাই হয়রানির শিকার হবে। মুল কথা হলো, যে প্রশাসনিক কাঠামোর এসবের 'গার্ডিয়ান' হওয়ার কথা ছিলো, তারা হচ্ছে না বলেই এসব আচরণের উদ্ভব।
এবার এর সাথে এই হ্যাকারদের হ্যাকিং মেলান। তারা 'সরকার কিছু করবে' এই ভরসাটুকু করতে পারেনাই বলেই নিজেরা কিছু করছে।
যেমন ধরুন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে যদি কেউ ব্যানার পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাকেও যদি সরকার র্যাব দিয়ে খাওয়ায়? জগন্নাথ ভার্সিটির শিক্ষাখরচ কম রাখার, আর তেল গ্যাস, রক্ষার মত নিরীহ দাবির দাবীকারীদের প্রতি সরকারের আচরণ আমাদের কী শিক্ষা দেয়?
এসব অবস্থা হচ্ছে জনগণকে প্রচলিত নিয়ম-নীতি ভেঙ্গে নিজেদের বুঝ অনুযায়ী কিছু করার নিয়ামক। সেখানে আন্দলোন, অভ্যুথানের নিয়ামক যেমন থাকে, তেমন থাকে ইভটিজিং, চাঁদাবাজি বা অবৈধ ব্যবসার মত অপরাধ বিস্তারের নিয়ামকও।
সরকার কি চাইলে, প্রতিবাদ স্বরূপ 'ট্রাঞ্জিটের' রাস্তা বন্ধ করে দিতে পারে না অন্তত কয়েক দিনের জন্য।( বন্ধ দূরে থাক, এর জন্য ট্যাক্সটা তো চাইলে পারে অন্তত!!) বা দীর্ঘ্যমেয়াদী কোনো হুমকি দিতে পারে না এ নিয়ে? সরকার কি পারে না, কালকে বলতে যে, কোনো ভারতীয় চ্যানেল এ দেশে চলবে না। দেশে কি টিভি চ্যানেল কম আছে? এসবব কিছু তারা করছে না। তাই নানা কিছুর নানান রকম 'নিয়ামক' থেকেই যাচ্ছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নিজেদের বুঝ অনুযায়ী মানুষ কিছু করতে চাইলে, ঠিকাছে। নিজেদের বুঝ অনুযায়ী মানুষ যে কোনো কিছু করতে চাইলে, ঠিক নাই। উপরে এক স্বঘোষিত মূর্খ দাবি করছে, হ্যাক করলে তার মনের শান্তি হয় এ কারণে সে হ্যাক সমর্থন করে। একইভাবে হাসান সাঈদ সুমনকে সমর্থন করে রুমানা মনজুরকে লোকে দুশ্চরিত্র বানিয়ে দিয়ে মনের শান্তি পেয়েছে। মনের শান্তি, পাবলিকের নিজের বুঝ অনুযায়ী কর্ম, এগুলো একারণেই পিঠ চাপড়ানোর আগে খতিয়ে দেখে নিতে হয়।
এই হ্যাকিঙের কোনো স্বল্প, মধ্য বা দীর্ঘমেয়াদী সুফল আছে কি? আমি জানতে আগ্রহী।
মানুষকে যারা যে বিষয়ের বিশেষজ্ঞ নয়, তারপরেও 'বুঝ' অনুযায়ী সেসব ব্যাপারে কিছু করে ফেলার প্রেসনা যোগায় সরকার বা তেমন যেসব প্রতিষ্ঠানের ঐ 'বিশেষজ্ঞ'সুলভ কাজটা করার কথা ছিলো, তাদের ব্যর্থতা, অনিচ্ছা, বা উলটোটা করার প্রবণতা - এটা বলতে চেয়েছি। যে যেটা করবে, সেটা ঠিক আছে কি ঠিক নাই সেটা তো বিচার করাই যায়। কিন্তু এটা আমাদের মানতে হবে, যে এমতাবস্থায়, আপনি একদলকে বুঝিয়ে সুজিয়ে থামালে, ঠিকই অন্য আরেকদল মানুষ ঐ কাজে নেমে পড়বে।
রোমানা মঞ্জুরকে দুশ্চরিত্রাবানানোর ব্যাপারটাও এই ব্যাখ্যায় পড়ে। কোনো নারীকে নিয়ে কোনো অপপ্রচার চালানোর ব্যাপারে প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক অবস্থান নিতো তাহলে পরের কোনো ঘটনায় এগুলো কমে যেত। 'অরাজকতা' শব্দটার মধ্যেই এর কারণ লুকিয়ে আছে।
দীর্ঘ্য-স্বল্প সম্পর্কে বলি, এই লিঙ্ক [১] এর খবর অনুযায়ী। ভারত সরকার, তাদের সরকারি সাইটগুলোর (হয়তো শুধু বি এস এফ সঙ্ক্রান্তটা নিশ্চিত হতে পারিনি) পাবলিক সার্ভিস ডাউন করে ফেলেছে। এবং এসব নিয়ে চুড়ান্ত অ্যালার্ট অবস্থায় আছে। এই ভিডিওর নিউজটাতে, দেখা যাচ্ছে, প্রতি ৩০ মিনিটে এই হ্যাকিং এর খবর প্রচারিত হচ্ছে সেদেশে। সো, একটা ভালো অ্যালার্ম বেজেছে সেটা নিশ্চিত। ভিডিওতেই একজন বললো, হ্যাকাররা সরকারের প্রতি এটা একটা মেসেজ দিতে চাচ্ছে। কী মেসেজ, সেটা নিশ্চয়ই সেই সরকার পাবে। হঠকারীকে শান্তিপূর্ণভাবে দেওয়া মেসেজ, আর একটু 'নাড়িয়ে দিয়ে' দেওয়া মেসেজের পার্থক্য আছে। এই হ্যাকারদের স্কিল কতদূর তা ভারত সরকার নিশ্চয়ই জানে না। এবং এহেন ঘটনা, সরকারের কিছুটা হলেও টনক নাড়াতে পারে। আর দীর্ঘ্যমেয়াদি হুমকি তো রইলোই, যে ভবিষ্যতেও এমন কোনো আক্রমন করা সম্ভব। এই দেশের সরকারকে নতজানু হয়তো তারা করে ফেলেছে, কিন্তু হ্যাকারদের এখনও পারেনি। এই মেসেজটাই কম কি?
[১] https://www.facebook.com/photo.php?v=142171722570985
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সেদিন পত্রিকায় উল্লাস জায়েদের একটা লেখা পড়লাম। মেলবোর্ন বা সিডনি, কোথাও ক্রিকেট খেলা হচ্ছিলো, তারা কয়েকজন মিলে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড আর টিপাইমুখের বাঁধের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করে, যা লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু কয়েক মিনিটের মাথায় মাঠের ভারতীয় দর্শকরা অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে অভিযোগ করে ঐ প্ল্যাকার্ড বাজেয়াপ্ত করায়। তাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কাজ হয়নি। তারা সিম্পলি বদার করে না।
আপনি ভাবছেন ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশী হ্যাকারদের এই নাড়িয়ে দেয়া প্রতিবাদকে হ্যাকারদের মনমতো করে অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরবে? এটার ওপর তারা তাদের পছন্দমতো রং চড়িয়ে বাংলাদেশকে এক ভয়ঙ্কর তথ্যসন্ত্রাসী দেশ বানিয়ে পাকিস্তানের কাতারে নামাবে। কারণ ভারতের অডিয়েন্স ওটাই খায়।
আপনি বাংলাদেশ সরকারকে নতজানু বলতে বলতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। আর হ্যাকারদের আবেদন পৌঁছে দিতে চাইছেন এমন এক জনগোষ্ঠীর কাছে যাদের কাছে বাংলাদেশের সরকার নতজানু। বিএসএফ যখন হাবিবুর রহমানকে ন্যাংটা করে পেটালো, ভারতীয় মিডিয়ায় তো এটা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি, কোনো লাভ হয়েছে? গতকালও একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
উল্লাস জায়েদদের আবেগ ও কাজকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি, কারণ সেটা ঠিক ফোরামে ঠিকমতো করা হয়েছে। হ্যাকারদের আবেগকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি, কাজটাকে না, কারণ সেটা একটা ভুল ফোরামকে ভুলভাবে অ্যাপ্রোচ করছে। নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে না, উপযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে।
দীর্ঘমেয়াদে যেটা হবে, কিছু বাংলাদেশী আইপি (যদি আইপি না লুকায়, ব্ল্যাক হ্যাটের কাছে পাওয়ার শেল আছে কি না জানি না, আর দেদারসে লোকজনকে ডিডিওএস সফটওয়্যার বিলানো হচ্ছে, তারাও আইপি লুকাচ্ছে কি না জানি না) বড় পরিসরে ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে। আর কেঁদেকেটে বাংলাদেশকে তথ্যসন্ত্রাসী সাইবারবখাটে দেশ প্রতিপন্ন করা হবে। বিএসএফের কিছুই হবে না।
বিএসএফের টনক নড়ানোর উপায় একটাই, ভারতের ব্যবসায় আঙুল দেয়া। হ্যাকিংকে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে গ্লোরিফাই করা হলে লোকের মনে একটা কমপ্ল্যাসেন্স কাজ করবে, যে আমাদের ছেলেপেলেরা তো দিচ্ছে পোঙা মেরে। এই কমপ্ল্যাসেন্স ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থে আঙুল দেয়ার কাজটাকে কঠিন করে তোলে। ইতিমধ্যে কয়েকজন বলা শুরু করেছে ভারতের পণ্য বর্জনের চেয়ে এইটাই ভালো। আমাদের মিডিয়াও হ্যাকিংকে উৎসাহিত করায় বেশি আগ্রহী, এতে লোকজনকে প্রবোধ দেয়া যায়, প্রতিরোধের স্পিরিটটাকেও ডাইভার্ট করা যায়।
ইভটিজিংয়ে সেই সাথে সমাজে নারী-পুরুষ মেলামেশার অভাব অথচ সেটাকে মোকাবেলা করার নৈতিক শিক্ষার অভাব, তদুপরি বলবৎ থাকা নারীবিদ্বেষ, এগুলো প্রভাব বিস্তার করে।
সে যাই হোক, এইসবই প্রকৃতিবাদী ব্যাখ্যা। মানে যাহা ঘটে তাহার বিবরণ। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান। তো যাহা ঘটে, তাহা করণীয় বা উচিত এমন ভাবাকে ন্যাচারালিস্টিক ফ্যালাসি বলে। এটা বলার অর্থ এটা নয় যে যাহা ঘটে তাহা কখনোই উচিত নয়। এটার অর্থ কেবল এই যে করণীয় নির্ধারণে লক্ষ্যের সাপেক্ষে হিসাব নিকাশ করতে হয়, যোগবিয়োগ গুণভাগ করতে হয়। "১০৯" নং কমেন্টের ন্যাচারালিস্টিক ব্যাখ্যাটা দেখার পর পরই এই ঘটনীয় আর করণীয়ের দ্বন্দ্বের কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো। আলোচনায় এই ফ্যালাসি ঘটেছে কি ঘটে নি তার ইঙ্গিত ব্যতিরেকেই এই প্রসঙ্গ আনলাম আলোচনায় সাহায্য হতে পারে ভেবে।
রিপো্র্টটা দেখে-শুনে মনে হলো, কোনো এক সুন্দর ঝলমলে সকালে বাংলাদেশের হ্যাকাররা মুখ ধোয়ার আগেই নান্নামুন্না ভারতের ২০ হাজার ওয়েব সাইটে হামলা করে 'সাইবার ওয়ার' ঘোষণা করে দিয়েছে। ভারত নিষ্পাপ, নিষ্কলঙ্ক।
রিপোর্টে, ভারতের ইন্ডিশেল বা ইন্ডিয়ান সাইবার আর্মির, বাংলাদেশী সাইট হ্যাক করার কথা বেমালুম চেপে গেছে। আরও চেপে গেছে বাংলাদেশী হ্যাকারদের হ্যাক করার কারণ!
অবস্থা বেশি সুবিধার না। প্রতিবেশী বড় ভাই, খুবই শান্তশিষ্ট। তাকে শুধুশুধু, বিনা উষ্কানীতে কাতুকুতু দেয়া মোটেও শিষ্টের কাজ হয় নাই। অশিষ্ট সবকয়টার ব্যাঞ্চাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'হ্যাকটিভিজম' এর ব্যাপারে একজনের মতামত নিতে দেখলাম। ঐ লোকের বক্তব্যথেকেও মনে হয়, 'কেন এসব করা হচ্ছে' অংশটা কেটে দিয়েছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বিয়েসেফের সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশি হ্যাকাররা ভারতীয় সাইট হ্যাক করছে এমন বার্তা ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত হবে ধরে নিয়েছিলেন নাকি?
বাই ডিফল্ট ধরে নেই না, কোনো কারণও নেই। কিন্তু আজকাল আমার ধরে নেয়াতে 'গলতি হ্যাজ' মনে করে ধরে নিতে চেষ্টা করা শিখতেছি। বাকিটা তেনাদের কৃপা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এবার চোখ উপড়ে বাংলাদেশীকে হত্যা করল বিএসএফ
এটা বিডিনিউজ২৪ বা প্রথমালোতে আসে নি?
আলু'তে আসছে। এখানেও দেখলাম আপডেট আছে। সাথে একজন শিশু অপহরণেরও।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্যাকিং এর ভাল মন্দ নিয়ে তো অনেক বিতন্ডা হয়ে গেল।
আমি একটা জিনিস ভাবছিলাম, আমাদের হ্যাকার ভাইরা পাকির বাচ্চাদের সাইট ডাউনের কাজেও তো নেমে পড়তে পারেন। সেইটা আরো বড় দেশপ্রেমের কাজ হবে। এমন হতে পারে---আমরা ১লা এপ্রিল ফাকিস্তান ডাউন দিবস ঘোষনা দিলাম। একেবারে ঘোষনা দিয়ে ওদের সব সাইট ধ্বসিয়ে দেয়া হল। সেইটা কি একটা জব্বর (কাগু না) জিনিস হবে না??
একটা জিনিস কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, এই হ্যাকিং এর ফলে ভারত সরকার বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সরাসরি প্রতিক্রিয়াটা জানতে পেরেছে। আমাদের ইন্টারফেস আমাদের সরকার কিন্তু এত দিন ভুল ম্যাসেজই দিয়ে যাচ্ছিলো (মানুষ মারায় আমরা খুশি/প্রতিবাদ করার গাটস আমাদের নেই)। এই হিসেবে ব্যাপারটা খারাপ না। এখন অন্যান্য ফ্রন্টে লাগাতার সঠিক ম্যাসেজটা পাঠিয়ে যেতে হবে ( দুই সরকারকেই)।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভারত সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিক্রিয়ার কথা ইনটেল রিপোর্ট আকারে পায় হাই কমিশনের টেলিগ্রাম থেকে। টিভি দেখে বা হ্যাক করা পর্ন ওয়েবসাইট দেখে তারা বাংলাদেশের জনগণের প্রতিক্রিয়া জানে না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"প্রতিবাদ করার সাহস আছে" এই ব্যাপারটা হয়ত ইন্টেল ঠিক মত দিচ্ছে না। মানে বৈরী মনোভাবের কথা জানে, কিন্তু সক্রিয় প্রতিবাদ (বলছি না, এটাই একমাত্র উপায় বা সেরা উপায়, তবে একটা উপায়তো অবশ্যই) এর ব্যাপারটা টের পাবে ধীরে ধীর।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মুশকিল কী জানেন? সক্রিয় প্রতিবাদের সবচেয়ে নিরর্থক আরামের পন্থাটাকে আমরা গ্লোরিফাই করছি। পত্রিকা পড়লে মনে হবে আমাদের হ্যাকাররা ভারতের পরমাণু বোমার লঞ্চারের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে ফেলেছে। লোকজন এক রাতের মধ্যে ট্রেনিং নিয়ে সাইবারগেরিলা হয়ে সাইবারযুদ্ধে জান কোরবান করে দিতে চাইছে। এই প্রতিবাদ যে কসমেটিক, সেটা আমরা বুঝলেও স্বীকার করতে নারাজ। এবং যে দীর্ঘমেয়াদী এবং কিছুটা কষ্টকর পদ্ধতি আছে ভারতকে বিহেইভ করা শেখানোর জন্যে, সেটার প্রতি লোকজনের রিলাকট্যান্স খুউপ খেয়াল করলেই বোঝা যায়। আমাদের দেশের লোক নামাজ না পড়ে জোকার নায়েকের পেজে লাইক্স দিস মেরে সোয়াব কামাতে চায়, আর হ্যাকারদের সঙ্গে আছি বলে প্রতিরোধে ইঁটা রেখে যেতে চায়। লম্বা সময়ের জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বললে হাজারটা ফ্যাকড়া বের করার চেষ্টা করে। হ্যাকিঙের ব্যাপারটা সামনে আসায় মানুষের একটা কসমেটিক সুদৃশ্য অনায়াস বিকল্প তৈরি হয়েছে, যেটা ভারতীয় পণ্য-সেবা-বিনোদন বর্জনের কষ্টকর পথটার একটা ডিট্যুর অফার করে। আর মানুষের স্বভাবই হচ্ছে সহজ পথটা খুঁজে নিয়ে চলা।
অফ টপিক (অথবা অন টপিক হলেও হতে পারে),
ভারতের ন্যাশনাল ইন্ফর্মেটিক্স সেন্টার, যারা ভারতের সরকারী সাইটগুলো হোস্ট করে, সেইখান থেকে এই পোস্টে নজর রাখা হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছি। এলাহাবাদের এই সেন্টারের আইপি 180.149.53.114 হতে কেউ এই পোস্টে এসেছেন দেখেছি, এবং এখানে মন্তব্যকারী সবার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। কাজেই আপনাদের ব্যক্তিগত সার্ভারের ভিজিটর লগে একটু দেখতে পারেন এই বাবাজির বা কাছাকাছি আইপির দেখা মেলে কি না।
সুপ্রিয় 180.149.53.114 এলাহাবাদী, ভালো থাকুন।
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
এলাহাবাদের আমি আছি ভাই, এই পোস্টে প্রথম থেকেই আসছি, শুধু তাই নয়, সচলেও আসছি তবে আমার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী এবং তাই ন্যাশনাল ইন্ফর্মেটিক্স সেন্টার এর আওতাভুক্ত হবার সম্ভাবনা বেশি , তবে নিঃশ্চিন্ত থাকুন, কোনো নজরদারির জন্য নয়
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এই পোস্ট ৮৮বার শেয়ার হয়েছে। একেবারে দিগ্বিদিক ছড়িয়ে গেছে মনে হয় বলা যায় না। হ্যাকাররাও তাদের পেইজে এই েলখার লিঙ্ক পোস্ট করেছে এমন দেখি নি। হয়তো এলাহবাদী বা তার বন্ধুবান্ধব, সার্কেলের লোকজন নিয়মিত সচল পড়ে।
দেশের সরকার অনেক আগেই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মাথা নত করে আছে।সরকারের মেরুদন্ডহীন নীতির কারনেই আজ তরুন সমাজকে হ্যাকিং এর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে হচ্ছে।
নতুন মন্তব্য করুন