আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রসঙ্গে 'আমার দেশ' পত্রিকার নোংরামী এবং চমৎকার কিছু তথ্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: রবি, ০৯/১২/২০১২ - ১০:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর ২০১২) লণ্ডনের দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম'কে ফোন করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। সাংবাদিকের ভাষ্যে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপে আলোচনার রেকর্ড তা(দে)র কাছে রয়েছে এবং তারা সেটি প্রকাশ করতে চায়। ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে চুরি করা কোন তথ্য যেন প্রকাশ করা না হয়, সেটি বিচারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। একই সঙ্গে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ এবং বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার জন্য কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে ইকোনমিস্ট'কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন আদালত। ইকোনমিস্টকে নিয়ে এই ঘটনার মাঝেই আমার দেশ পত্রিকা ড. জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি হকের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে। আমার দেশের হ্যাকিং এ অংশগ্রহন খুব অবাক করা কিছু নয়। যে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য নিয়মিত মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই বিচার কার্যে বাধা দিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা না করা হলেই সেটা আশ্চর্যজনক হত।

(এই লেখার শুরুতেই একটি কথা স্পষ্ট বলে নিচ্ছি, বিচারপতি নিজামুল হক যদিও বলেছেন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে স্কাইপেতে কথা বলেছেন, কিন্তু আমার দেশে প্রকাশিত ট্রান্সক্রিপ্ট যে তাঁরই কথোপকথন সেটা তিনি নিশ্চিত করেছেন বলে আমার জানা নেই। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনও এই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেন নি। সেইজন্যে, এই লেখায় আমার দেশে প্রকাশিত স্ক্রিপ্টে বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড.আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কথোপকথের বিষয়ে যে আলোচনা করছি সেটি যে সত্যি তাঁদেরই কথোপকথন সেরকম কোন দাবী আমি করছি না।)

মূল বক্তব্যে ফিরি।

প্রথমেই 'আমার দেশ'-এর ধন্যবাদ প্রাপ্য। তারা তাদের নোংরামির মাধ্যমে হলেও এটা প্রমাণ করেছে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার হচ্ছে সেই বিচার খুব সঙ্গত আর স্বচ্ছভাবেই হচ্ছে। যে বিচারকরা এই বিচার করছেন তাঁরাও প্রভাবমুক্ত। এই কথাগুলো অবশ্য যাঁরা ৩০ লক্ষ স্বজন হারানোর বেদনা বুঝতে পারেন তাঁদের আগে থেকেই জানা ছিল। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধীতাকারী জামায়াত-শিবির এবং এদের বংশোদ্ভুত বেঈমান সম্প্রদায়েরই কেবল এই বিষয়টি বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে তাদেরই পত্রিকা আমার দেশ যখন এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছে, সে নিজেদের নির্বুদ্ধিতার জন্যে হলেও, তখন তাদের পায়ের নিচের মাটি আরো খানিকটা সরে গেল ভেবে ভালো লাগছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার সামনে যে বাধা তার তালিকা দীর্ঘ! ইতিহাসের সবচে ঘৃণ্য নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি সংগঠিত হয়েছে যে শ্বাপদদের দ্বারা, সেই নরপশুদের বিচারের জন্য অসামান্য লোকবল এবং অর্থবলের প্রয়োজন ছিল। যেভাবে যত পরিপূর্ণ আর শক্তভাবে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজন ছিল সেভাবে আয়োজন করার সামর্থ আমাদের হয়নি। কতকিছু যে অবশ্যই থাকার প্রয়োজন ছিল এই বিচারের জন্য সেই তালিকা দিয়ে দুচারটি ব্লগ লিখে ফেলা যাবে। সেই প্রসঙ্গে না যাই। আমার মাতৃভূমি দরিদ্র। আমাদের দূর্বলতা নিয়েই আমরা স্বজন হত্যার বিচার না করার কলঙ্ক মুছবার পথে এগোচ্ছি।

যেরকম নাটক-সিনেমায় হয়ে থাকে, এই সময়ের বাস্তবেও, আমাদের যত অর্থ আর লোকবলের অভাব রয়েছে, জামায়াতের সেসব নেই। জামায়াত-শিবির কতভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে চেষ্টা করে সেই হিসেব সংক্ষেপে দেয়া সম্ভব নয়। অপরাধী বাঁচাতে খ্যাতিমান আইনজীবি রয়েছে তাদের, পৃথিবী সেরা প্রচার সংস্থা ভাড়া করা রয়েছে তাদের, পয়সা খাওয়া কূটনীতিক রয়েছে তাদের, রক্ষা করার মত বিদেশী সহচর এবং প্রভু রয়েছে তাদের, দেশ বিদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন অথবা দলবদ্ধভাবে নেটে/বাইরে প্রচারের জন্য নিয়োগ করা বাহিনী রয়েছে তাদের, রয়েছে শিবিরের লাখ লাখ শুয়োর! আপনি কি কল্পনা করতে পারেন জামায়াত কত টাকা এবং কত লোকবল খাটায় যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্য? না কল্পনা করতে পারেন না! কোন সাধারণ মানুষ কল্পনায় এই অংক আসার কথা নয়!

আমার অভাগা মাতৃভূমি কীভাবে এগোচ্ছে?

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের একজন বিচারককে সাহায্য করার জন্য বিশেষজ্ঞ-কর্মীদের বাহিনী প্রয়োজন হয়। বাহিনী তো দূরে, তার ক্ষুদ্র একটা ভাগও আমরা সেটা দিতে পারিনি। তাছাড়া এই প্রক্রিয়া এইদেশে প্রথম। বিচারও হচ্ছে একটি নতুন আইনে। বিচারকরা তাঁদের কাজের স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য এবং পুরো প্রক্রিয়াটি ঠিকভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্যেই বিশেষজ্ঞ-অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। বিচার কার্য বিষয়ে একজন বিচারকের তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি নিয়ে যাঁরা জানেন না তাঁদের জানিয়ে রাখি, পরামর্শ নেয়ার এই বিষয়টি বেআইনি নয়, নতুন কিছুও নয়। এটি সহজ এবং স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন একজন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ। বিচারকরা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে অথবা অন্য কোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। এতে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়না। এই প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বুদ্ধিমত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়!

বিচারকের কথা/আলোচনা তাঁর অনুমতি ছাড়া কেন রেকর্ড/হ্যাক/প্রচার করা হবে? এই প্রশ্নটির জবাব নিশ্চয়ই মাননীয় আদালত চাইবেন। বাংলাদেশের আইনানুযায়ী (এবং ব্রিটিনের আইনেও) হ্যাকিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সমস্যা হচ্ছে, বিচারকের কাছ থেকে তথ্য চুরির সঙ্গে আরো অনেক প্রসঙ্গ জড়িত। বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি কেউ জিজ্ঞেস করেই জানতে পারে। যা জানতে পারেনা তা হচ্ছে স্বাক্ষীদের সম্পর্কে তথ্য।

এইকজন বিচারকের কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। গোপন তথ্য আছে বলে কোন ব্যক্তি কোন বিচারককে ফোন করতে পারেনা, কোন প্রশ্ন করতে পারেনা! তাতে বিচার কার্য প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তথাকথিত সাংবাদিক সাহেব আসলে কী চান? বিচার প্রভাবিত করার ইচ্ছে কেন তার? সে এবং তার দোসররা কেন হত্যাকারীদের রক্ষা করতে চায়? এই প্রশ্নগুলোর জবাব সব বাংলাদেশী জানেন। বাঙালী মাত্রই বেঈমানদের সঙ্গে পরিচিত। মীরজাফরের বংশধরেরা একাত্তর থেকে রক্ত মেখে নিয়ে এখনো যে সক্রিয়, সে সকলেরই জানা।

প্রশ্ন হচ্ছে এরা কতদিন থেকে সক্রিয়? জামায়াতের হ্যাকাররা কতদিন থেকে হ্যাকিং করছে?

এই প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে পারছি না। কিন্তু এই সময় যে দীর্ঘ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের স্বাক্ষীরা কেন হঠাৎ করেই স্বাক্ষী দিতে ভয় পাচ্ছিলেন, স্বাক্ষী/তাঁদের আপনজন কীভাবে হামলার স্বীকার হচ্ছিলেন সেটি এখন স্পষ্ট হচ্ছে আমাদের কাছে। জামায়াত শিবিরের শ্বাপদেরা বিচারকদের কাছে থাকা স্বাক্ষী সম্পর্কিত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য চুরি করে তাঁদের প্রভাবিত করেছে, করার চেষ্টা করেছে। এইজন্যেই এখন স্বাক্ষী নিরাপত্তা ভয়াবহভাবে হুমকীর মুখে। রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী উধাও হয়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলোও এখন স্পষ্ট।

আমার দেশ এ প্রকাশিত কথোপকথনের বর্ণনা দীর্ঘ। ১৭ ঘন্টার কথোপকথন নাকি রয়েছে তাদের কাছে। তারা প্রকাশ করেছে তার কিছু অংশ। সেই কিছু অংশেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে চলা বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে দারুণ অনেক তথ্য পাই আমরা।

আমার দেশ-এ প্রকাশিত হওয়া বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কথোপকথনে দেখা যায়, সরকারের মন্ত্রী(রা) এই বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে নেয়ার ব্যপারে উদগ্রীব। এটি আমাদের আশান্বিত করে। স্বজন হত্যার বিচার হবে সেই আশা নিয়ে যত ব্যথিত মানুষ এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তাঁদের পক্ষ থেকে আমি এই সরকারের সকলকে অভিনন্দন জানাই। জনগনের প্রতিনিধিরাও জনগনের চাওয়াকে হৃদয়ে ধারণ করেন সেটি জেনে ভালো লাগলো। আমরা আশা করি আমাদের প্রতিনিধিরা আমাদের চাওয়াকে সবসময়ই সবার উপরে রাখবেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সচল রাখতে তাঁদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।

মজার বিষয় হচ্ছে, মন্ত্রীর আগ্রহকে বিচারক অথবা পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞ কেউই খুব সহজে নেন নি। তাঁরা দুজনেই সরকারের আগ্রহের যে 'চাপ' সেই চাপ'কে এড়িয়ে গিয়ে আইনের নিজের গতিতে, সে দীর্ঘ সময় নিয়ে হলেও, একটি সুষ্ঠ বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া পক্ষে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার স্বজনদের হত্যাকারীদের মানবাধিকারে বিশ্বাস করিনা। আমার মায়ের দিকে কেউ চোখ তুলে চাইলে আমি হিংস্র হয়ে উঠব। সভ্য উপায়ে আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়ার মানবতা আমার ভেতরে কাজ করবে না। বিচারপতি নিজামুল হক এবং আইন বিশেষজ্ঞ এই দেশেরই সন্তান। স্বজন হারানোর বেদনা তাঁদের হৃদয়েও বাজে। কিন্তু আবেগ এড়িয়ে গিয়ে তাঁরা এই বিচারকে ন্যয্য রাখার যে মনোভাব ধারণ করেন সেজন্য আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। পৃথিবীর দরবারে, সময়ের চোখে এই বিচার নিয়ে যেন কোন প্রশ্ন না ওঠে সেই নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

প্রসঙ্গত, ছাগু সম্প্রদায়ের ম্যাৎকার বিষয়ে উল্লেখ করা যেতে পারে, ড. আইহমেদ জিয়াউদ্দিন রায় লিখে দিচ্ছেন না। এই কথোপকথনে তিনি রায় লিখবার একটি 'স্বীকৃত কাঠামো' তৈরি করতে সহযোগিতা করার কথা বলছেন মাননীয় বিচারপতিকে। সেইসঙ্গে তাঁরা দুজনেই একটি বিস্তারিত, পূর্ণাঙ্গ এবং আইনসিদ্ধ রায় দেয়ার পক্ষে। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমরা যাঁরা কেবল একটি রায় শুনতে চাই, তাঁদের কথা মেনে কেবল একটি 'রায়' দেয়ার পক্ষেই তাঁরা নন। আমরা এখন জানি যে, এই বিচারের রায় হবে পূর্ণাঙ্গ এবং বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।

আমার দেশের হ্যাকিং এ অংশগ্রহন এবং প্রচার অবিশ্বাসীদের একগাদা অভিযোগ-প্রচারনার পথ বন্ধ করে দিল। 'শেখ হাসিনার আইওয়াশ' দিয়ে যে প্রচারণা শুরু হয়েছিল সেই প্রচারণা সময়ে সঙ্গে সঙ্গে নানা রূপে আমাদের সামনে এসেছে। আমরা শুনেছি, 'কাউকেই গ্রেপ্তার করা হবে না, এই বিচার একটা ভান'। অপরাধীদের যখন গ্রেপ্তার করা হল তখন আমরা শুনেছি, 'তদন্তে কিছুই প্রমাণ হবে না, কোর্টে কিছুই টিকবে না'। তদন্তে যখন যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ হল, প্রমাণ যখন কোর্টে টিকে গেল তখন এল শেষ বক্তব্য। 'কোন কথা নেই, এই বিচার ভেঙে দাও, এই বিচার মানিনা'।

প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে সকল ফ্রন্টে তাদের নোংরামি জারি থাকলো। 'আমার দেশ' নামের পত্রিকা নির্লজ্জ প্রচার করতে থাকলো দেশবিরোধীদের পক্ষে! বিচারকের কাছে থাকা তথ্য চুরি হল! বিচারকের কাছে থাকা তথ্য চুরি গিয়ে পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই হুমকির মুখে পড়ল। হুমকির মুখে পড়লেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সহায়ক পরামর্শদাতা এবং তাঁদের স্বজনরাও। আমরা সহ্য করছি এখনো। আমাদের সবসময়ই সহ্য করতে হয়।

৭০ বছর পরে এসে এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ হয়নি বলা আইনগতভাবে অপরাধ। এখনো সেই অপরাধীদের পক্ষে কথা বলা, প্রচার করা, এমনকি তাদের অপরাধ সম্পর্কে সন্দেহ করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর আমার অভাগা স্বদেশ তাঁর সন্তানদের লাশ বুকে নিয়ে শুনেছে সেই হত্যা অস্বীকার করার কথা। আমার অভাগা স্বদেশের পতাকা উড়েছে হত্যাকারীর গাড়িতে! স্বদেশের রক্ত চুষে নেয়া মিলিয়ন ডলার নিয়ত খরচ হয়ে যাচ্ছে এই দেশের জন্মের যারা বিরোধীতা করেছিল তাদের বাঁচাতে। আমরা সহ্য করছি!

তবে সহ্য করার সহজ একটি কারণ রয়েছে। আমরা শ্বাপদ নই। স্বজনের হত্যাকারীদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া দারুণ তীব্র ক্রোধ হৃদয়ে চেপে নিয়ে আমরা সহ্য করি। আমরা সহ্য করি কারণ আমাদের উত্তর প্রজন্ম জানবে, আমরা ন্যয্য বিচার করেছিলাম। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলিনি, ধর্মের নামে হত্যা করিনি, জীবিত পুড়িয়ে হত্যা করিনি, পশুরও অধিক নির্যাতন করিনি। আমরা কথা বলার সমান সুযোগ দিয়েছিলাম, আমরা আমার দেশের আইনকে সন্মান করেছিলাম।

আমরা সহ্য করি কারণ আমাদের কাজ দিয়ে আমরা কখনো আমাদের মা-কে লজ্জা দেব না। আমাদের জন্যে কখনো আমাদের উত্তর প্রজন্মের মাথা নিচু হয়ে যাবেনা।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লিঙ্ক দুটোর একটাও কাজ করছে না। একটু চেক করো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লিঙ্ক তো আমার এখানে কাজ করছে পাণ্ডব'দা। আপনি আরেকবার দেখবেন?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

আমি তো দুটো লিঙ্কই দেখতে পাচ্ছি।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

Bahar  এর ছবি

Toby Cadman responds to The Economist's article:
"I find the whole situation rather disturbing. If it is established that there was an improper relationship between the Chairman and Dr. Ziauddin Ahmed then that is worrying as it may impact on the entirety of the proceedings. Without wishing to prejudge the proper response that will have to be taken, it is my view that this necessitates a fully independent and impartial inquiry on the international level. The United Nations must be called upon to fully engage on this issue as a matter of urgency."

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার টিস্যু পেপার শেষ। ইউনাইটেড নেশন কি কোন সাহায্য করতে পারবে? জামায়াতর উকিল হেইগে যে ন্যাংটা হইছে সেই লজ্জা তিন সপ্তাহের মাথায় ভুলে গিয়ে আবার ইন্টারন্যাশনাল ডাকতেছে! মজা পাইলাম!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গুরু গুরু খুব দরকারী লেখা। স্যালুট।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্যাম এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু
এই লেখাটি আসুন ছড়িয়ে দেই...
অনেক ধন্যবাদ অনার্য দা

নিলয় নন্দী এর ছবি

সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় একটি লেখা।
আমাদের উচিত এটা যতদূর সম্ভব অন্তর্জালে ছড়িয়ে দেয়া।
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

মণিকা রশিদ এর ছবি

আসুন সবাই মিলে এই লেখাটি যতভাবে পারা যায় সবার সাথে শেয়ার করি। রতনকে কৃতজ্ঞতা জানাই এরকম একটি লেখার জন্যে।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

স্যালুট। শেয়ারড।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

গুরু গুরু


_____________________
Give Her Freedom!

স্যাম এর ছবি
পুতুল এর ছবি

এই হল আমার দেশ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
এই রকম প্রয়োজনীয় লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। শেয়ার দিলাম।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

টিউলিপ এর ছবি

যুক্তিতে না পেরে বিচারকদের ভয় দেখিয়ে বিচার প্রক্রিয়াতে সচ্ছতা (!) আনার চেষ্টা করছে জামাতিরা।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

দীপ্ত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ গুছিয়ে লেখার জন্য। বাক্যে বাক্যে আপনার আবেগ অনুভব করলাম।
শেয়ার করছি।

তারানা_শব্দ এর ছবি

চলুক

ধন্যবাদ রতনদা!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

স্পর্শ এর ছবি

জামাত-শিবির কি গোয়েন্দাবাহিনি গঠন করে ফেলেছে! এভাবে আড়িপাতা এদেশের সার্বভৌমত্বের উপর সুনির্দিষ্ট আঘাত। অনতিবিলম্বে এসব সঙ্গঠন নিষিদ্ধ করা হোক।

এদের শেষ আমরা দেখেই ছাড়বো, এবং তা শিঘ্রই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

রাব্বানী এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রকাশ্যে আমারদেশ বিএনপির পত্রিকা। কিন্তু মূলত আমারদেশ বেজন্মাদের পত্রিকা। আপনি সংগ্রাম আর আমার দেশ হাতে নিলে বুঝতে পারবেন না কোনটা রাজাকারদের আসল পত্রিকা। বেজন্মাদের পত্রিকা বেজন্মাদের রক্ষা করার জন্য চরমপন্থা গ্রহন করবেই। কিন্তু ওই বেজন্মা সম্পাদক আর রিপোর্টার পাকিস্তানে না থেকে বাংলাদেশে বসে এই কাজটা কোন সাহসে করেছে সেটাই খুব অবাক করেছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাফি এর ছবি

এই গোপনীয়তা ভঙ্গের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

অরফিয়াস এর ছবি

ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলো জামায়েত-ই-ইসলামী এবং ছাত্র শিবির। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই শুয়োরের বাচ্চাদের সাহায্য এবং সমর্থন করে চলেছে এই দেশেরই কিছু মানুষ। এদেরও দেশদ্রোহীতার অভিযোগে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করি। রায়ের দিন যতই এগোচ্ছে বেজন্মা কুকুরগুলো এখন আরো হিংস্র হয়ে উঠছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অমি_বন্যা এর ছবি

এইসব ছাগুর দল জানে যে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। অনেক বছরের পুরনো পাপ তাদেরকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে চলেছে। আর এ কারণেই এই বিচার প্রক্রিয়াকে তারা তাদের সর্ব শক্তি দিয়ে বানচাল করতে চাই।

কিন্তু তারা তো জানে নিশ্চয় যে পাপ বাপকেও ছাড়েনা আর সত্য চাঁপা থাকে না?
পাপকে ছাইচাপা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা বৃথা , সত্যের আর কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসের ঝড়ে উড়ে যাবে সব ।

Rupom Prottoy এর ছবি

আসলে এদের প্রযুক্তি জ্ঞান আর ধূর্ততা অনেক বেশি।
আমাদের আরো সাবধান হতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ফারাসাত

হিমু এর ছবি

ইকোনমিস্টের এই ব্লগটিতে (যেটি প্রথমআলোব্লগ বা বিডিনিউজব্লগের সমতুল্য) জামাতশিবিরের লোকজন একাধিক নিক তৈরি করে সমানে বাহ্বা দিচ্ছে ইকোনমিস্টকে। যেহেতু ইকোনমিস্টের অজুহাত হচ্ছে "পাবলিক ইন্টারেস্ট", তাই পাবলিক ইন্টারেস্ট ম্যানুফ্যাকচার করার জন্য জামাতের সক্রিয় অনলাইন ছাগুরা সমানে কমেন্ট দিচ্ছে ওখানে। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে ঐ পোস্টে গিয়ে ইকোনমিস্টের এই হ্যাকিংকে নিন্দা জানানো। সবাই কিছুক্ষণ পর পর গিয়ে মন্তব্য করে আসি, আসুন।

কাজি মামুন এর ছবি

সবাই কিছুক্ষণ পর পর গিয়ে মন্তব্য করে আসি, আসুন।

চলুক উই আর উইথ ইউ, উই আর উইথ বাংলাদেশ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রণদীপম বসু এর ছবি

ঘৃণ্য শ্বাপদদের কাজই হলো বিষাক্ত নোংরামি করা, রক্তের সাথে বেঈমানি করা...
একাত্তরেও তা-ই হয়েছিলো। আর তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আসলে এখনো শেষ হয়ে যায় নি ।
তবে বেঈমানেরা জেনে যাক্, রক্তের স্রোত পেছনে গড়ায় না---

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনিকেত এর ছবি

স্যালুট রতন---
'আমার দেশ' এর হঠকারী আচরণে আমি বিস্মিত নই, ক্ষুব্ধও নই।
এদের এই আচরণ প্রমান করছে--আমরা ঠিক পথে এগুচ্ছি এবং


ওদের দিন শেষের পথে..........

কাজি মামুন এর ছবি

কথোপকথন থেকে পাওয়া যায়,

গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটি রায় চায়।

গভর্নমেন্টের অন্য পাগলামিকে সমর্থন না করলেও এই পাগালামিটা ভয়ানকভাবে সমর্থন করছি। আর বুক থেকে অনেক দিনের একটি টেনশানও দূর হয়েছে যে, যুদ্ধাপরাদের বিচার একটা আইওয়াশ মাত্র। সরকারকে অনেক ধন্যবাদ যে, তারা রাজাকারদের বিচারে সত্যি সত্যি মরিয়া। সরকারের বোঝা উচিত, এই বিচার না করলে যে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে, তা নয়। বরং এই বিচারকাজটি করলে, তারা জাতির প্রতি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করবে এবং এ জাতির ইতিহাস যতদিন থাকবে, ততদিন তাদের এই কাজ প্রশংসিত হবে।

রাজাকারদের বাঁচাতে নব্য রাজাকারেরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে বলে মনে হয়। আর সেই যুদ্ধে সমর্থন জানাচ্ছে চিরকালের সহচর ও মিত্র বিএনপি। বিএনপি জামাত শিবিরের বিচার প্রতিরোধের হরতালে নৈতিক সমর্থন দেয়ার পর নব্য রাজাকারদের শক্তি ও সাহস দুটোই বেড়েছে বলে মনে হয়। আজকেও বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশে রাজাকারদের একটি গ্রুপ ডঃ জিয়া ও নিজামুল হকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। এই বিচার ঠেকাতে দেশজুড়ে নাশকতা করা হয়েছে, নির্বিচারে গাড়ি ভাংচুর ও সহিংসতা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী মঙ্গলবার হরতাল পর্যন্ত ডেকে বসেছে নব্য রাজাকার গোষ্ঠি।

বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের প্রার্থনা, তারা যেন বিএনপি-জামাতের আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত না হয়, রাজাকারদের বিচার কার্যকর করে। তাহলে যুগ যুগ ধরে এ জাতির সন্মান ও শ্রদ্ধা তারা পাবে।

ডঃ জিয়া ও নিজামুল হকের প্রতি রইল অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও সমর্থন।

তানিম এহসান এর ছবি

শেয়ার।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শেয়ার করলাম। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কড়িকাঠুরে এর ছবি

গুরু গুরু

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

রতন তোমাকে ধন্যবাদ।

জামায়াতকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করবে না। কিন্তু প্রতিহতও করবে না এটা তো মেনে নেয়া যায় না। আজকে টিভিতে বিশ্বজিৎ নামের একটা বাচ্চা ছেলেকে পিটিয়ে মারতে দেখলাম। আহারে!

আওয়ামী লীগের অংক বুঝতে পারছি না। জামায়াত দলটাকে নিষিদ্ধ করাটা জরুরি।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

স্যাম এর ছবি

জামায়াত দলটাকে নিষিদ্ধ করাটা জরুরি।

চলুক চলুক
এই মুহুর্তে

তানিম এহসান এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

হাইড্রোজেন সালফাইডের আসল পরিচয় কি জানা গেছে?

****************************************

তানিম এহসান এর ছবি

না মনে হয়। মূল পরিচয় জানা গেছে- বেজন্মা।

ছাইপাশ  এর ছবি

সময় উপযোগী লেখা। চলুক

হাসিব এর ছবি

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উচিত ব্রিটিশ আইনে ইকোনোমিস্টের ওপর কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা খতিয়ে দেখা। হ্যাকিং করলে পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এরকম উদাহরণ সাম্প্রতিক ইতিহাসেই আছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া পত্রিকার হোমরা চোমরাদের বিচারের সম্মুখিন হতে হয়েছে সেই ঘটনায়। বিস্তারিত দেখতে এটা পড়তে পারেন।

সঞ্জয় কুমার চৌধুরী  এর ছবি

আমাকে কেউ বলবেন একটা news feed কিভাবে বানানো যায় যেটা শুধু ব্রিটিশ পত্রিকার / পত্রিকা ব্লগের সেই লেখাগুলো ধরবে যাতে "British press code of conduct' লেখাটা থাকবে?

News corporation আর BBC র ঘটনার পরেই বানানো দরকার ছিল...

(কেউ একজন এটাকে ('British press code of conduct') 'joke of ২০১২' আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছে, আফসোস নাম দেয় নাই - তাই তালিয়া পৌছাতে পারছি না)

হাসিব এর ছবি
নির্লিপ্ত পথিক  এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো ব্যাপারটা কেমন যেন ঘোলাটে মনে হচ্ছে। স্কাইপের পাসওয়ার্ড হ্যাক করা এক জিনিস, আর পুরো কথোপকথন কিভাবে হ্যাক করা যায় বুঝলাম না। যদি এক পক্ষ রেকর্ড করে এবং সেটা লিক হয় সেটা অন্যরকম কথা।
-রু

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনি বুঝতে পারছেন না বলে এরকম কিছু হতে পারেনা তা তো নয়!
কথোপকথন রেকর্ড করা সম্ভব, কম্পিউটারে ক্যামেরা থাকলে সেটা চালু করে ভিডিও করা সম্ভব, পুরো হার্ডডিস্ক কপি করে নেয়া সম্ভব। আরো অনেক কিছুই সম্ভব, কিন্তু সেসব বুঝিয়ে বলার জন্য এই পোস্ট নয়।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

আরো অনেক কিছুই সম্ভব সেটা জানি। আমাকে আলাদা করে বুঝানোর দরকার নাই। কিন্তু আরো অনেক যে কিছুগুলো আছে তার জন্য ইন্টারনাল এক্সেস প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাইরের কেউ এই কাজ করেনি। অফিসের/ঘরের নিজের মানুষরাই করেছে।

সজল এর ছবি

একটা স্পাইওয়্যার ইনস্টল করে দেয়া দরকার। সেটা নানা ভাবে হতে পারে। ইন্টারনেটের থ্রুতে হলে কেউ একজন দুইজনের একজনকে একটা লিংকসহ মেইল করেছেন, ভদ্রলোক অসাবধানে ক্লিক করেছেন। অন্যভাবে হলে তাদের কম্পিউটারে অ্যাক্সেস আছে এমন কারো মাধ্যমে ইউএসবি ড্রাইভ/পোর্টেবল ডিভাইস পিসিতে কানেক্ট করিয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারী অফিসের কম্পিউটারে ফিজিক্যাল অ্যাক্সেস পাওয়া অন্তত ওই অফিসে কাজ করা অগুণতি লোকের যে কারো পক্ষে করা সম্ভব।
প্রথম ক্ষেত্রে নিজের মানুষেরা না করলেও সম্ভব।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, সজল। আমি একটু ভুল ইম্প্রেসন দিয়েছি। কিভাবে কি হয়েছে সেটা নিয়ে আমার আসলে তেমন মাথাব্যথা নাই। জামাত খুব বেশি তত্পর। আজকে তৃতীয় মাত্রায় দেখলাম এই ট্রান্সক্রিপ্ট থেকে কোট করছে। শুধু অতটুকু যদি শুনতাম, আমি আসলেই বিভ্রান্ত হতাম। সেই কারণেই অনার্য সঙ্গীতের লেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। -রু

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

অতি প্রয়োজনীয় পোস্ট

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমরা সহ্য করি কারণ আমাদের কাজ দিয়ে আমরা কখনো আমাদের মা-কে লজ্জা দেব না। আমাদের জন্যে কখনো আমাদের উত্তর প্রজন্মের মাথা নিচু হয়ে যাবেনা।

এই বিচার শেষ করে না যেতে পারলে মাথা নিচু হয়ে যাবে।
৪১ বছর অপেক্ষা করে আছি। আর কত ! আমি এ জীবনেই বিচার দেখে যেতে চাই।

স্যাম এর ছবি

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন
'মানুষ হইতে হবে' - মানুষ যখন।
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান
নাই কি শরীরে তব রক্ত, মাংস, প্রাণ?
হাত পা সবারই আছে, মিছে কেন ভয়?
চেতনা রয়েছে যার, সে কি পড়ে রয়?
সে ছেলে কে চায় বল, কথায় কথায়
আসে যার চোখে জল, মাথা ঘুরে যায়?
মনে প্রাণে খাট সবে, শক্তি কর দান,
তোমরা 'মানুষ' হলে দেশের কল্যাণ।

রানা মেহের এর ছবি

গুড জব

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

যুমার এর ছবি

চলুক

স্যাম এর ছবি

[img][/img] -(স্কেচঃ সুজন চৌধূরী)

stand up for ICT

স্যাম এর ছবি

[img][/img]

(স্কেচঃ সুজন চৌধূরী)

stand up for ICT

স্যাম এর ছবি

[img][/img]

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

নির্ঝর অলয়

amin এর ছবি

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর ও সাহসী লেখার জন্য ধন্যবাদ।

সরকার যে এই জন্তুগুলোর বিচারের জন্য চাপ দিচ্ছে- এটা জানতে পেরে স্বস্তি পেয়েছি। কারণ দিনার-রিয়ালের হর্সপাওয়ারের সামনে আদর্শের ফাঁকাবুলি বিলকুল উবে যায়!

৭০ বছর পরে এসে এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ হয়নি বলা আইনগতভাবে অপরাধ। এখনো সেই অপরাধীদের পক্ষে কথা বলা, প্রচার করা, এমনকি তাদের অপরাধ সম্পর্কে সন্দেহ করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর আমার অভাগা স্বদেশ তাঁর সন্তানদের লাশ বুকে নিয়ে শুনেছে সেই হত্যা অস্বীকার করার কথা। আমার অভাগা স্বদেশের পতাকা উড়েছে হত্যাকারীর গাড়িতে! স্বদেশের রক্ত চুষে নেয়া মিলিয়ন ডলার নিয়ত খরচ হয়ে যাচ্ছে এই দেশের জন্মের যারা বিরোধীতা করেছিল তাদের বাঁচাতে। আমরা সহ্য করছি!

ইউরোপ থেকে ঠিক এই শিক্ষাটাই আমরা নিতে পারিনি। দ্বিতীয় হিটলার ইউরোপে আর আমাদের জীবনকালে তৈরি হবে না। অথচ আমরা কিন্তু স্বাধীনতার ৩ বছর পরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর খুনীরা এবং জিয়াউর রহমান সাহেব এবং খোন্দকার মোশ্তাক পাকিস্তানপন্থারই পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছিল। এখনো আমাদের তথাকথিত ডিগ্রধারী মানুষ টিটকিরি দেয় -"এই বিচার নিয়ে খুব চিন্তিত নাকি?" কিংবা "যুদ্ধ হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে"- এসব বর্বর লোককে এ সমস্ত অসভ্য-বিকারগ্রস্থ কথা বলতে বাধা দিলে একদল তথাকথিত নিরপেক্ষতার প্রতিমূর্তি সেজে "গণতান্ত্রিক অধিকার" বিষয়ে গলাবাজি করেন। অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জামায়াত একটি অবৈধ সংগঠন। এমনকি সংবিধানে জাতীয়তাবাদের শর্ত অনুযায়ী জামাতীরা বাংলাদেশি বা বাঙালি হবার যোগ্য নয়। কারণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের উৎস হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী এদেরকে দেশ থেকে বের করে দেওয়াটাও কিন্তু সাংবিধানিক!

নোংরা পার্টির নোংরা পত্রিকা।

নির্ঝর অলয়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।