আদিম সমাজগুলোতে নির্যাতিতদের কেউ একজন প্রতিবাদ করে উঠতো। তার জাতি-গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতো, শোষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নতুন ধর্মের ডাক দিতো। সেই সাহসী মানুষ অস্বীকার করতো শাসকের ধর্মকে। নিজেকে সম্পর্কিত করে তুলতো ঈশ্বরের সাথে; হয় ঈশ্বর-পুত্র নয় পয়গম্বর হিসেবে দাবী করতো নিজেকে। পয়গম্বরদের ইতিহাসগুলোর সরলীকরণ করলে এই আমরা পাই। এ কথাগুলোই প্রথম কিসত্দিতে (ভূমিকা) বর্ণনা করা হয়েছে। এই সরলীকরণে অনেকেই আপত্তি করেছেন। তুলেছেন নানা প্রশ্ন; কতটা ইতিহাস স
সে বড় মায়াবতী ছিল।
সে ছিল ছায়াময় বৃক্ষের মত।
আমার যত অপরাধ কতদিন
আগলে রেখেছে বন্ধু আমার।
আমার কত নাঁকি কান্না মুছে
দিয়েছে মমতায়।
আমি আর কত কাঁদতাম
যতটা কাঁদিয়েছি তারে!
আমাদের শৈশবে কত বেলীফুল আর গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো ছিল উঠোনে উঠোনে। আমরা হেটেছি ছায়ায় ঢাকা কত কত পথ। আমরা মায়ায় বেধেছি আমাদের কত কত শৈশব।
এখনও আমাদের পথগুলো আগেরই মত আছে, আমরা তবু হাটি অন্য পথে অন্য আগুনে পুড়ি আর দুর থেকে বলি ভাল থাকিস।
আমাদের আসলে কেমন আচরণ করা উচিত এটা বুঝতে পারি না। গত রাতে চ্যানেল ওয়ানে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাাৎকার প্রচারিত হলো। তিনি পেশায় মুড়ি বিক্রেতা, তার আবাসস্থল ভেঙে যাওয়ার পর দয়াবান একজন তার দোকানে পাশে একটা ছাপড়া তুলে তাকে থাকতে দিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে ্মন বিষয়ের উপস্থাপনা যেমন হয় ঠিক তেমনই বিষয়টা, স্মৃতিসৌধের সামনে তার অশ্রু ভরা চোখ আর পেছনে হায়দারের 30 বছর গানটা চলছে-
তবে প্রশ্নটা হলো আমাদের আসলে কি করা উচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করা গ্রামের কিংবা শহরের দরিদ্র মানুষগুলো এখনও দরিদ্র, তাদের অর্থনৈতিক কোনো উন্নয়ন ঘটে নি। এটা বাস্তব সত্য, এর সাথে এটাও বাস্তব সত্য যে তারা কোনো রকম পারিশ্রমিক দাবি করেন নি। তাদের বিবেচনায় মনে হয়েছিলো
[b]
বোবা আদালতে বিচারকগন বধির ।
শিকারী কুকুরের লালা ঝরছে আর
মহামান্যগনের চোখের সামনে ঝুলছে
কালো নিগারের পাথুরে শরীর ।
শুনেছি ভীষন অপরাধী, ভয়ংকর খুনী
তাহারাই শুনিয়েছেন সব, আর সে নির্বাক
নিয়মতান্ত্রিক, নির্বিবাদে ।
নিথর দুপা বাতাসে দুলছে কাকতাড়ুয়া,
কাক কে তবে?
হাসলেন যারা, শেষ আর্তনাদে?
আমি তো চিনিনা এই কালো মানুষ ।
আমি তো জানিনা ঐ সাদা মানুষ ।
জেনেছি কেবল - এক হাত কালো,
আরেকটা সাদা । এ আমারই, আমিই শেক
মানুষ কীভাবে পয়গম্বর হয়ে ওঠে-এই ধারাবাহিকের লেখা নয় এটি। তবে সম্পর্কিত। মূল সম্পর্ক সাদিক মোহাম্মদ আলমের সব পয়গম্বররা আরবে কিত্তে? লেখাটির সাথে।
প্রথম কিসত্দিতেই বলেছি, আরবে নবী হওয়া ছিল ভীষণ ফ্যাশন। প্রতিবাদী তরুণ-যুবাদের বিদ্রোহের অংশ ছিল নবী হওয়া। নতুন ঈশ্বরের কাছে ক্ষমত
বেলাদির মাথায় একরাশ ঘনকালো চুল ছিল। রাজের বিস্ময় মাখানো একজোড়া চোখ ছিল তার। তখন অবশ্য অতটা বুঝতামনা। শুধু চোখ গুলো দেখতে আমার ভিষন ভালো লাগত।
আমাদের বাড়ির উত্তর সীমানায় ছিল একসারি কদম গাছ। তার পরই শুরু বেলাদিদের বাড়ি। সীমানা থেকে ঘর অবধি যেতে বেশ লম্বা একটা ফাঁকা যায়গা ছিল। মখমলের মত বিছানো সবুজ সবুজ সেই ঘাসের মাঝখানে ছিল বেশ বড় একটা পাথর। অনেকটা বেদীর মত। সাদা রঙের সেই পাথরে বসে রোজ বিকেলে বেলাদি রবীন্দ্রনাথের বই পড়ত। মাঝে মাঝে সুনীল।
2001 সালের কথা।হায়দার নামের আমার এক বন্ধু একটি ফ্ল্যাট কিনে ফেলেছে! এই নিয়ে আমাদের বন্ধু মহলে বিরাট হৈ চৈ পড়েছে।আমরা তখনও মাত্র শুরু করেছি,ভাগে জোকে সিগারেট খাই,ডেটিংয়ে যেতে হলে এর ওর কাছ থেকে ধার করি,আর আমাদের মদনা বন্ধুটি এক্কেবারে ফ্ল্যাট কিনে ফেলল!চার বেড রুমের ফ্ল্যাট ,পুরোটা টাইলস দেয়া,ছাদে সুইমিংপুল!! গর্বে আমাদের বুক ফুলে যায়।ফ্ল্যাট টা এখনও নাকি শেষ হয় নি,হায়দার তাই জাকির রোডে আমাদের মেসের পাট চুকাতে পারছে না ।
তো বার বার আমরা হায়দারকে তার ফ্ল্যাট দেখানোর জন্য অনুরোধ করলেও ,সে দেখাচ্ছি দেখাবো করে পিছিয়ে যায়। আমরাও তখন বিভিন্ন কাজে খুব ব্যস্ত তাই খুব জোরালো ভাবে ফ্ল্যাট দেখতে যেতে পারি না।
একদিন অনেকটা নিজের মন আর হায়দারের
বিভিন্ন সময়ে এমন ভাবে বিষ্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছে, এমন কি সাহিত্যেও বিষয়টা এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যেনো মুক্তিযুদ্ধ একটা হৈ হৈ রৈ রৈ বিষয়।হঠাৎ একদিন 26 শে মার্চ সকালে কেউ বলে গেলো তোমরা স্বাধীন। গনহত্যা হলো সারা রাত, বর্বরতায় মেরুদন্ড কুঁচকে যাবে ভয়ে এমন প্রত্যাশার রাত শেষে বেতারে ইয়াহিয়ার ভাষণ। মুজবিকে রাষ্ট্রোদ্রোহী ঘোষণা, আওয়ামীলিগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা।
ইতিহাসের সরল নির্মাণে আমরা নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেই মুক্তিযোদ্ধা মানেই ধোয়া তুলসি পাতা পুতপবিত্র মানুষ না, পাকিস্তানপন্থি মানেই ববর্র নীচ চরিত্রের মানুষ। বিষয়গুলো কোনো যুদ্ধেই এমন না। মানুষের মানবিকতার সবটুকু যুদ্ধ নষ্ট করে দিতে পারে না। তবে সরল নির্মাণের ফলেই হয়তো ম
মহান কবিতা ছাড়া আর কিছুই মনে পড়েনা। পড়েছি অনেকবার, আবারও পড়লাম আজ। বার বার পড়া যায় বলেই আমার বিশ্বাস। সমমনাদের জন্য
শামসুর রাহমান এর কবিতা
স্বাধীনতা তুমি
স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল, ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল-াসে কাঁপা-
স্বাধীনতা তুমি
শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
স্বাধীনতা তুমি
পতাকা-শোভিত শে-াগান-ম
বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠে গেলো ।
সুপার এইটে উঠলে কি হয়? ক্ষুধা দারিদ্্র কমে? সুশাসন নিশ্চিত হয়? ঘাতক দালালের বিচার হয়? কিছুই হয়না । তবু এক অদ্ভূত ব্যখ্যাহীন আবেগে চিৎকার করে উঠি-- জয় বাংলা
এই সেই দিন যেদিন শুরু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রক্তাক্ত জন্ম যুদ্ধ । কয়েক হাজার বছরের পরাধীন বাংগালীর স্বাধীনতার সংগ্রাম?
স্বাধীন হয়ে কি হয়? কি হয়েছে? ক্ষুধা-দারিদ্্র কমেছে? মানুষে মানুষে বৈষম্য কমেছে? সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে? কিছুই