Archive - জ্যান 18, 2011

বলয়

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবলুর মেজাজটা খারাপ। আব্বা এখানে এসে সেই কখন থেকে বসে আছে। নড়েও না চড়েও না। কথাও বলেনা। বাবলু একজায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেনা। তার হাত-পা কামড়ায়। সে অনেকক্ষণ গা মুড়ামুড়ি করেছে । তারপর বলেছে তাকে মশা কামড়াচ্ছে। সেকি একটু ঘুরে আসবে? কিন্তু আব্বার কোনো সাড়া নাই। তারপর ক্ষিদা লাগসে বলে সে শুরু করেছে ঘ্যানঘ্যান। তারও বেশ কিছুক্ষণ পরে আব্বা তার দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বললো, বাবলু একটা কাজ করতে পারবি বাবা?

কি?

কাজটা আমরা দুইজন মিলা করবো, বুঝছিস?

কাজটা কি?

লোকজনের কাছে টাকা চাবো

কি বলবো?

বলবি, তোর মা হাসপাতালে, অপারেশনের জন্য টাকা দরকার। আমাদের সাহায্য করেন। পারবি না?


সাকিন সুন্দরবন ৬। জল প্রহরী

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৪:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পদবি নৌকা চালক। প্রশিক্ষণ বন্দুক চালনায়। নাম রতন সরকার


অছ্যুৎ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ১১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]অবারিত নীলাকাশ ছাপিয়ে নিস্পৃহ চেয়ে থাকা দীর্ঘশ্বাসকে ক্রমশ দীর্ঘায়িত করতে থাকে। আকাশের সব আলোতেই আমরা সন্তুষ্ট, অন্তত আমি। অথচ সূর্যের অনবরত দগ্ধ চেহারার বেদনাক্লিষ্ট রূপ একাকী ভেসে যায় একই পথে প্রতিদিন, কেউ তাতে ভুলে দেখলেও, কখনও সমবেদনা জানায় না। শুধুমাত্র জোছনা ধরে রাখে সেই দগ্ধ ইতিহাস, কালান্তরে। আর সেথায় জন্ম নিতে থাকে সহস্র কবিতা, যা আজও টিকিয়ে রেখেছে তথাকথিত পবিত্র ভালবাসাকে, মানুষের পিঞ্জরে। আঁধারের সাথে মিলিয়ে যাওয়া স্বপ্নহীন ঘুমে আমি নিজের পিঞ্জর খুজে বেড়াই। উপস্থিত সব শূণ্যতা আমায় সঙ্গ দিয়ে নিয়ে চলে রাত্রের নদীতীরে। হালকা শিরশিরে বাতাসে আমি ধূসর ঘ্রাণ নিতে থাকি


দিরুর জীবনের স্ন্যাপশট, গল্প নাই

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৮:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাখি কখন জানি উড়ে যায়
একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায় ...

একদিন যখন তুমি আশ্বস্ত হবে, জানবে, এই মৃত্যু চোখের পলকে তোমাকে ভ্রমণ করে যায়, তখন তুমি, প্রতিবার চোখ খুলে দেখবে, এই পৃথিবীতে বস্তুতপক্ষে নির্লিপ্ততাই মানুষের স্বভাবধর্ম।

সুতরাং ছেলের নাম নির্লিপ্ত নিরহংকার। মা বলছিল আরবি নাম রাখতে। সেই মা বাঙালির ইতিহাস কমবেশি ঠিকঠাক জানে। জানলেও, তার ছেলে ভাষানিরপেক্ষ হয়। ভাষা ইতিহাসনিরপেক্ষ না হউক।