গণজাগরণে উত্তাল শাহবাগ

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শুক্র, ০৮/০২/২০১৩ - ১১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তাল জনসমুদ্রের ঢেউ আজ এসে মিশেছিল শাহবাগ। লক্ষ লক্ষ মানুষের মিলিত স্লোগানে বার বার কেঁপে উঠছিল সমগ্র এলাকা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এসেছে, সবার একই দাবি "ফাঁসি চাই"। বিকেল তিনটার মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। সচল সদস্যরাও অনেকেই এসে পৌঁছে যান গণগ্রন্থাগার এর সামনে। সেখানেই একসময় বসে শুরু হয় আমাদের স্লোগান। স্যামদা, তৈরী ব্যানার নিয়ে আসার পরে কয়েক ঘন্টা টানা স্লোগান আর দেশাত্মবোধক গান চলে। অনেকেই ছবি তুলে পোস্ট করবেন আমি ফোন থেকে তোলা কয়েকটা ছবি দিচ্ছি।

1

2

5

6

7

8

9

10

11

12

13

14

15

4

3

সাথে ছিলেন [এই মুহুর্তে যাদের নাম মনে পড়ছে] নজরুল ইসলাম, নূপুরের ছন্দ, নিধি, শাহেনশাহ সিমন, অকুতোভয় বিপ্লবী, তানিম এহসান, দুষ্টু বালিকা, সস্ত্রীক স্যাম, রায়হান আবীর, বুনোহাঁস, কল্পনা আক্তার, মনিকা রশিদ, ওডিন, খেকশিয়াল, জুন, উজানগাঁ, সুরঞ্জনা হোক, মৃদুল আহমেদ সহ আরও অনেকেই। সাথে থেকে অসংখ্য মানুষ উৎসাহ দিয়েছেন, সঙ্গ দিয়েছেন, স্লোগান এবং গানে গলা মিলিয়েছেন। স্বতঃস্ফুর্ত এই গণজাগরণ আসলেই অসাধারণ।

শাহবাগ এর জনসমাগম থেকে উঠে আসা কিছু দাবি-

১. কাদের মোল্লা সহ সকল যুদ্ধাপরাধী (গোলাম আজম, নিজামী, সাইদী, মুজাহিদ) রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এর ফাঁসি।

২. জামাত-শিবির এর রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং বহিঃস্কার।

৩. ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ।

৪. সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, জঙ্গি গোষ্ঠীর সমূলে উৎপাটন।

৫. রাজনৈতিক কিংবা কোন কারণেই যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর সাথে কোন ধরনের আঁতাত করা যাবেনা।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

লে ঘিরে লে । গুল্লি

উচ্ছলা এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

গুল্লি

ঝুলে থাকেন, আসতেছি দেঁতো হাসি

নীলম এর ছবি

ইশ! দুপুর একটায় চলে আসতে হলো কাজে, সবার সাথে দেখা হলো না। অবশ্য সমস্যা নেই। সবাই একি সুরে গলাতো মিলিয়েছি। হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

দুর থেকে যতটুকু করার চেষ্টা করছি। সাথে আছি সবসময়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

থাকুক শাহবাগ। চলুক শাহবাগে জড়ো হবার প্রত্যয়

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

ফাহিম হাসান এর ছবি

ফাঁসি চাই। ফাঁসি ছাড়া কথা নাই।

সজল এর ছবি

হাততালি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাপস শর্মা এর ছবি

ক'দিন আগেও রাগে, ক্ষোভে, হতাশায়, অক্ষম বিষ আর বিমর্ষ হয়ে ভেবেছিলাম সবুজ-লাল দুই রঙের মিশেল ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আমি ভুল ছিলাম। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের অসহায়ত্ব দেখে ভেবেছিলাম - এদের শেষ এখানেই। আমি ভুল ছিলাম। সবুজের বুকে নিয়মিত বরাহনন্দনদের হাগু-মুতু দেখে ভেবেছিলাম এরা বাংলা নামের দেশটাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ছাড়বে। ভুল ভুল, ভুল .. আমি ভুল ছিলাম। কান্নায় ভেঙে পরা সর্বহারা মুক্তি সংগ্রামীকে দেখে ভেবেছিলাম কার জন্যে লড়েছেন তিনি, সব বৃথা। আমি ভুল ছিলাম। ভুলে গেছিলাম বাংলার ইতিহাস ঘাটলে একটা কথাই বের হয় - আপোষহীন লড়াই। সেই লড়াই আবারও শুরু হয়ে গেছে বাংলা নামের দেশে। এই লড়াই আবাগের, এই লড়াই সবুজের, এই লড়াই সময়ের, এই লড়াই বাঙালির শৌর্যের, এই লড়াই মানুষের অস্তিত্বের অভিযোজনের, এই লড়াই বাঙালির চেতনার, এই লড়াই বাংলার মাটির, এই লড়াই স্বাধীনতার রক্তেভেজা ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগের, চারলক্ষ বীরাঙ্গনার সম্ভ্রম-এর এবং বাঙালির আত্মবলিদানের। আমি অবাক হয়ে আবারও দেখছি বাংলা নামের দেশটা আবারও জেগেছে..

ছাপান্ন হাজার বর্গ-মাইল থেকে দূরে বসে টের পাই একটাই আওয়াজ - ''তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।''... স্যালুট বাঙালি, স্যালুট বাংলাদেশ.. মুক্তিযুদ্ধের তর্পণের সবুজভূমি এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে বসে এই জাগরণ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে গেলাম। এই লড়াই আবগের, আর আবগের কোন ভৌগোলিক সীমারেখা থাকেনা। এই লড়াই মানবতার, মানবতার কোন গণ্ডি নেই। এই লড়াই একজন মানুষ সিসেবে আমাকে নাড়িয়েছে, এই লড়াই একজন বাঙালি হিসেবে আমাকে সহস্র মশাল-এর আগুনমুখী তিতিক্ষার জানান দিয়ে গেছে

অতিথি লেখক এর ছবি

শাহাবাগ স্রোতের বিপরীতে অবস্হান করছি-----------তারপরও ছিলাম,আছি, থাকবো। আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত।

--মম রাজ্যের রাজা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।