যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে । এখন "যতোটুকু পারা যায়" ততোটুকু করা হবে

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হবু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনোত্তর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন , " যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেছে (!!!!!) " , জনগনই নাকি নির্বাচনের মাধ্যমে এই বিচার সম্পন্ন করেছে ফেলেছে ।
এখন উনারা আইনের মাধ্যমে "যতোটুকু করা যায়" ততোটুকুই করবেন ।

এই " যতোটুকু করা যায় " শুনে একটু ভুরু কুচকালাম । ইশতেহারে তো "যতোটুকু করা যায়" বলে কোন শব্দ লেখা ছিল না ।

মাননীয়া হবু প্রধানমন্ত্রী , আপনি কি আবার পিছলাইতে চাচ্ছেন ?
নাহ , কিছু বলব না , তবে মনে রাখবেন , পাবলিক আজকাল এর চাইতে বড় পিছলা । এদের হাতে আছে ছোট্ট দুই ইঞ্চি দৈর্ঘের একটা সিল ।
কখন যে কার কোথায় ওটা বসিয়ে দেয় , আগাম বলা মুশকিল ।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

এদের হাতে আছে ছোট্ট দুই ইঞ্চি দৈর্ঘের একটা সিল ।
কখন যে কার কোথায় ওটা বসিয়ে দেয় , আগাম বলা মুশকিল ।

সহমত চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হায় রে হাসিনা...

পলাশ দত্ত এর ছবি

।। লেখাটা হইছে সেইরকম ।। চলুক

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

লাল কমল [অতিথি] এর ছবি

জটিললললললললললল!!!!!!!!!

নামহীন [অতিথি] এর ছবি

লঙ্কায় গেলে সবাই রাবণ ...

... নামহীন

bicharChai এর ছবি

১৯৯৬ সালের পর যখন একটু আকটু বুঝতে শিখলাম, বিটিভি নামক একটাই চ্যানেল ছিল তখন। বিটিভি খুললেই নাটক, সিনেমা সব কিছুতেই ৭মার্চের ভাষন, খবর জুড়েই হাসিনা-কথন, আর যেকোন অনুষ্ঠানে অনেক ক্ষেত্রে অপ্রাসংগিকভাবে হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বংগবন্ধুর স্বপ্নের অবতারণা - এই সব শুনতে শুনতে, দেখতে দেখতে আমার সবে বুঝতে শেখা মনে তখন মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অথবা জাতির জনক শেখ মুজিবকে নিয়ে এক চরম বিতৃষ্ণার জন্ম হয়েছিল। লেবু যত ভালই হোক, তা বার বার কচলালে তিতা হবেই।

যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই, অবশ্যই বিচার করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব। কিন্তু সচলায়তন খুললে ইদানিং বেশির ভাগ পোস্ট আর কমেন্ট দেখে মনে হয় নতুন সরকারের একটাই কাজ আর তা হল এই বিচার করা। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র ও দুর্ণীতিতে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে জড়িত আমাদের দেশের সমস্যার অন্ত নাই, এখনো এদেশে মংগা হয়, এখনো এদেশে শিক্ষার হার অনেক কম, আরো হাজারো সমস্যা। কেন আমরা সচলায়তনের মত একটা সচল প্লাটফর্মকে শুধু একটা কথা বারবার বলে ব্যপারটাকে বোরিং করে ফেলছি? আশা করি অন্তত আমার মত পাঠকদের কথা চিন্তা করে হলেও সচলের লেখকগন কিছুটা ভেরিয়েশান আনবেন তাদের লেখায়। না হলে হয়ত সামনে টাইটেলে যুদ্ধাপরাধীদের ব্যপার দেখলে সামনে আমরা ওই পোস্ট পড়াই বন্ধ করে দিব, কারণ ভিতরে সেই বারবার পড়া একই ধরণের লেখা, একই ক্রোধ-ক্ষোভ-ঘৃণা। ওই যে বললাম লেবু যত ভালই হোক, তা বার বার কচলালে তিতা হবেই।

হিমু এর ছবি

বন্ধ করে দিয়েন। সমস্যা কোথায়?


হাঁটুপানির জলদস্যু

আরিফ জেবতিক এর ছবি

তিতা হোক অসুবিধা নাই , চিনি দিয়া খেয়ে ফেলব । কিন্তু প্রয়োজনে লেবু কচলে ছিবড়া বানিয়ে ফেলে হলেও বিচার নিশ্চিত করতে চাই ।

bicharChai  এর ছবি

না হিমু ভাই বন্ধ করতে তো চাই না, সচল পড়ে সব সময়ই সচল থাকতে চাই। আমার কাছে জাস্ট মনে হয়েছে, একটা ব্যপার নিয়ে এক নাগাড়ে বলে গেলে জিনিসটা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন তার আবেদন কিছুটা কমে যায়।

আমার কাছে মনে হল আপনিও ব্যপারটা ফিল করেছেন। যার কারণে, "নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা" নামের আপনার পোস্টটাতেও আপনি আগেই বলে দিয়েছেনঃ "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই ঠিকাছে- এবার আপনারা বাকীগুলো বলেন"। কারণ আপনি নিজেও বোধহয় বুঝতে পেরেছেন, এখন কমেন্ট বক্সে সবাই এটাই বলে যাবে, যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুও ঢাকা পরে যেতে পারে।

হিমু এর ছবি

আপনি আমার লেখা মিসকোট করছেন। ওভাবে আমি লিখিনি। আর কিছু কিছু কথা আছে বার বার না বললে কোন আবেদনই তৈরি হয় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটিও সেরকমই। সময়মতো এ নিয়ে যথেষ্ঠ কথা বলা হয়নি বলেই আজ এত বছর পর লেবু বেশি চিপতে হচ্ছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

bicharChai এর ছবি

সরি মিসকোট করার জন্য-কপি/পেস্ট করা উচিত ছিল মন খারাপ

দেখা যাক আওয়ামী লীগ এবার কি করে। তবে ইলেকশানের দিন যুদ্ধাপরাধীদের লিস্টে থাকা সাকা চৌ যা করল, তাতে এখন মনে হচ্ছে নিজামী-সাঈদী-মুজাহিদের আগে এই বদটাকেই বিনা বিচারে মেরে ফেলা উচিত।

@ নজমুল আলবাব
কারো কথা পছন্দ না হলেই তাকে ফুটতে বলাটা মনে হয় ঠিক না। ডিফারেন্ট ভিউ না থাকলে ব্লগিং করে মজা কোথায়?

আলমগীর এর ছবি

আশা করি অন্তত আমার মত পাঠকদের কথা চিন্তা করে হলেও সচলের লেখকগন কিছুটা ভেরিয়েশান আনবেন তাদের লেখায়।

এখানে যারা লিখেন তারা নিজের মনের তাগিদে লিখেন। তারা 'লেখক' এর চেয়ে নিজেদের ব্লগার বলে পরিচয় দিতে বেশী পছন্দ করেন। পাঠকদের প্রতি একজন ব্লগারের কোন দায় আছে বলে জানি না। কারো লেখা আপনার পছন্দ না হলে পড়বেন না।

বিপ্রতীপ এর ছবি

bichar chai,
আপনার মন্তব্য পড়ে কাল আমারও কিছুটা খারাপ লেগেছিল, ঘুমাতে যাচ্ছি বলে আর কমেন্ট করা হয়নি। আজ ঢুকে দেখি অনেকে করেছেন। এখানে একজন লেখক কিংবা ব্লগার যাই হোক, পাঠক আকৃষ্ট করার জন্য দায়বন্ধতা এড়িয়ে যাওয়াটা কোনভাবেই কাম্য নয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

খেকশিয়াল এর ছবি

সিল তো অনেক দূর.. জনগনের হাতে এখন আইক্কাআলা বাশ! আওয়ামী লীগ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়া এইরকম মিনমিন কইরা 'যতটুকু করা যায়' করতে থাকেন তো আমরাও আমাদের বাশ যতটুকু ভরা যায় ভরে দিবো!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অমিত আহমেদ এর ছবি

দেখা যাক কী হয়। আমি কেনো যেনো খুব বেশি ভরসা পাই না।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্বিমত।

সত্যি ত'। ওদের আসল বিচারটা ত' হয়েই গেল। জনগণ তাঁদের বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে 'বিচার' করেই তাদেরকে 'না' বলেছেন। এরচেয়ে বড় বিচার আর কি হতে পারে? এভাবে বারবার বিচার করতে থাকলে আমাদের নিকৃষ্ট আদালতগুলোর আর 'রায়' দেয়া নিয়ে 'বিব্রত' হতে হবে না। ত্রিশ লক্ষ শহীদের উত্তরসূরিদের দায়িত্ব ত্রিশ লক্ষ বার দল বেঁধে তাদেরকে 'না' বলা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনন্তকাল বয়ে নিয়ে যাওয়া।

জনগণ যে বিচার সহজে করতে পারেন তাকে কোর্ট পর্যন্ত টেনে নেবার দরকার হয় না।

প্রফাইল

..................................................................................................................
চায়ের সাথে টা ও দিলাম সড়ক দেখে হেঁটো
গাছের মরা ডালটা দিলাম কুড়াল দিয়ে কেটো

অভ্রনীল এর ছবি

এদের হাতে আছে ছোট্ট দুই ইঞ্চি দৈর্ঘের একটা সিল ।

কিন্তু পরের সীল দিতে তো আরো অন্তত ৫ বছর, এই ৫ বছরে যে রাজাকারগুলো আরো ফাল পাড়বেনা তার গ্যারান্টি কি?

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

নদী এর ছবি

সংবাদ সম্মেলন শুনে মনে হয়েছে, হাসিনার বক্তব্য অনেক সংযত করে লেখা হয়েছে (যিনিই লিখে থাকুন) । অনেকটা ওবামা স্টাইল করার চেষ্টা করা হয়েছে । ধন্যবাদ পাবার যোগ্য ।

মূল বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধী ইস্যু ইচ্ছে করেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়েছে । রাষ্ট্রব্যবস্থা যদি আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে পারে, তবে আইনের শাসন আছে বলা যাবে (আমি নিশ্চিত যে প্রশ্ন সামনে আসবে তা হল, আগে কেন করেননি? এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত, "সময়ের দাবী" ) । আর অন্য পার্টির তুলনায় মাথা গরম মানুষের সংখ্যা বেশী আ'লীগে (যেহেতু অপশাসনের শিকার তারাই বেশি হয়; বামদলগুলোর একই অবস্থা যদিও তাদের মাথা ঠান্ডা (আমার অনুমান?) ) । এই সত্যটি হাসিনা বা তার উপদেস্টা জানেন বোধ হয়। তাই যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, দেশের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য । এটি আমার ধারণামাত্র ।

তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেই হবে সামনের ৫ বছরে। বিফল হলে মানুষ, দল আর দেশকে চরম মূল্য দিতে হবে ।

নদী

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এমন প্রত্যাশা আমার কখনোই ছিল না। বরং জনগণকেই বিচারের দাবিতে উচ্চকিত হয়ে সরকারকে বিচারে বাধ্য করতে হবে।

অভ্রনীল এর ছবি

সহমত
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

হিমু এর ছবি

লক্ষণ ভালো না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নজমুল আলবাব এর ছবি
জিজ্ঞাসু এর ছবি

হাসিনার কথার সুরে কেমন মোলায়েম ভাব লক্ষ করা গেল !!!!!!!!
লেখার জন্য আরিফ জেবতিককে চলুক

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ধ্রুব হাসান এর ছবি

ওভারঅল এই প্রথম তিনি বেশ ঘোছানো ভাষন দিলেন। এখনি হতাশ হওয়ার মতো কিছু হয়নি। বরং এইটা দেখে ভালো লাগছে যে, মাথা ঠান্ডা রেখে আজেবাজে কথা না বলে যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারটা আইনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা, আর বিচার বিভাগের দ্বায়িত্ব হলো ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। যদি আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে না পারে তো জনগণকে লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প দেখিনা।

তবে এখনি অনতি বিলম্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকর করে লীগ সরকার প্রমাণ করুক তাদের স্বদিচ্ছা আছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি প্রেস কনফারেন্সটা দেখি নাই। কারো কাছে ভিডিও লিংক আছে?

যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে মন্তব্য করার সময় তিনি একটু সতর্ক হলে দোষের কিছু দেখি না। প্রথমে আসে আওয়ামী লীগের সদিচ্ছার কথা। রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটিকে জিইয়ে রেখে সেটাকে পুজি করে ভোট টানার দরকার আওয়ামী লীগের ফুরিয়েছে বলেই মনে করি। সুতরাং এ ব্যাপারে তারা আন্তরিক হবেন, এটাই চাওয়া।

এখন আওয়ামী লীগ আন্তরিক হলেই যুদ্ধাপরাধীর বিচার রাতারাতি হওয়ার পক্ষে অনেক বাধা আছে। রাজনীতি অভিজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চাপ সৃষ্টি, আমেরিকার গ্রীন সিগনালহীনতা ইত্যাদি অনেক ব্যাপার থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সরাসরি বক্তব্য হাসিনাকে বিপাকে ফেলে বিষয়টিকে আরো জটিল করতে পারতো।

জনগণ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সরকারকে চাপ সৃষ্টি করা। ইনফ্যাক্ট, চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে সরকারের জন্যও কাজটা সহজ হবে। তখন তারা বিগবস (আমেরিকা-মিডলইস্ট) দের বলতে পারবে, জনগণের দাবির মুখেই তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সদিচ্ছা থাকলে এটা সম্ভব, খুবই সম্ভব।

যুদ্ধাপরাধী বিচারে যে জিনিসটা আগে দরকার, তা হলো যুদ্ধাপরাধীর ডেফিনিশন। প্রথমেই আসতে হবে সংগঠন হিসেবে কারা মুক্তিযুদ্ধের সসস্ত্র বিরোধিতা করে হত্যা-লুটপাত চালিয়েছে বা সহযোগিতা করেছে, তাদের বিচার। এই ডেফিনিশনে জামাতজাতীয় সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত সবাই যুদ্ধাপরাধী। এসব সংগঠন নিষিদ্ধের পাশাপাশি এর সাথে যারা জড়িত ছিলো, বন্দুক হাতে খুন করুক আর মজলিশে শুরায় বসে পরিকল্পনা করুক, সবারই শাস্তি হতে হবে। এরপরে আসে অন্যান্য দলে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বা পরবর্তীতে সাধু সন্ন্যাসী বনে যাওয়া যুদ্ধাপরাধী, যারা কোনো সংগঠনের আওতার বাইরে গিয়ে লুটপাট ও হত্যা করেছে বা সহযোগিতা করেছে।

মোদ্দাকথা, আমাদের এখন সোচ্চার হওয়ার সময়, হতাশ হওয়ার নয়। ব্যালটের মাধ্যমে যেমন রাজাকার গং কে লাথি মারা গেছে, সেই ধারা অব্যাহত রেখে সরকারকে বাধ্য করতে হবে যুদ্ধাপরাধীর বিচারে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হতাশ হওয়ার সময় নয় ,ক্রমাগত চাপ তৈরী করার সময় । হলে প্রথম বছরেই করতে হবে , পয়লা রাতে বিড়াল মারার মতো । লোহা গরম থাকতেই বাড়ি দিতে হবে ।
ক্রমাগত চাপ দিলে সরকারের পক্ষে সুবিধা , এটি ঠিক বলেছেন ।
এই পোস্টটিই সেই চাপদেয়ার নদীতে একবিন্দু শিশির ।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আপনি প্রেস কনফারেন্সটা না দেখে ভালোই করেছেন মনে হয়। কারন আমাদের হবু প্রধানমন্ত্রীর লিখিত ব্যক্তব্য পর্যন্ত বেশ ভালোই চলছিলো, কিন্তু সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে দেখা যায় চরম অব্যবস্থা! কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিককে দেখলাম প্রশ্নের নামে তোষামোদী ব্যক্তব্য দিতে, তার উপর মাইক নিয়ে কাড়াকাড়ি তো ছিলোই। ভাগ্য ভালো যে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় ছিলো সংক্ষিপ্ত, তা না হলে আরো কিছু ভুল ইংরেজী শুনতে হতো। সবকিছু মিলিয়ে আয়োজনটা ছিলো বেশ অগোছানো। তবে সবচেয়ে আশার দিক ছিলো, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাসিনার দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তব্য প্রদান। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, এবার আওয়ামী লীগের শুরুটা ভালো, দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তারা কি করে!

তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে এক তরুন সাংবাদিকের প্রশ্নের উওরে তিনি বেশ জোরের সাথেই বলেছেন, জনগন নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের বাতিল করে দিয়েছে, এখন আইনের আওতায় এনে বিচার কাজ শুরু করতে হবে। এবং তা অবশ্যই করা হবে। আমার মনে এই ব্যক্তব্যে হতাশ হওয়ার কিছু নেই! আসলে আমাদের সব স্বপ্নের একটা সাংগঠনিক ও গঠনমূলক রুপ থাকা উচিত, শুধু চিৎকার করলে বিশৃংখলাই তৈরী হয়, কাজের কাজ হয় কম!

আনিস মাহমুদ এর ছবি

উদ্ধৃতি:
ভাগ্য ভালো যে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় ছিলো সংক্ষিপ্ত, তা না হলে আরো কিছু ভুল ইংরেজী শুনতে হতো।

ইংরেজি ভুল হলে অনেকেই ক্ষুব্ধ হন, কিন্তু ভুল বাংলা নিয়ে সোচ্চার হতে তেমন কাউকে দেখি না।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

ধ্রুব হাসান এর ছবি

হা হা হা, তা ভালো বলেছেন। কথা সত্য। সরি বড় ভাই।

স্পর্শ এর ছবি

এসব বলে পার পাবেনা। এক বিন্দু ছাড় দেবনা।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিঝুম এর ছবি

আমার মনে হয় ধ্রুব ভাইয়ের কথাই ঠিক । হাসিনা ঠান্ডা মাথায় এগুতে চাইছে । যেভাবেই কিংবা যখনই হোক না কেন । কেবল বিচার চাই । নতুন আরো একটা দাবী যোগ হলো, তা হচ্ছে, জাতির পিতার হত্যাকারীদেরও শাস্তি কার্যকর হোক অবিলম্বে ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আনিস মাহমুদ এর ছবি

উদ্ধৃতি:
জাতির পিতার হত্যাকারীদেরও শাস্তি কার্যকর হোক অবিলম্বে ।

শুধু জাতির পিতা নয়, জিয়াউর রহমান-মঞ্জুরসহ সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন থলেতে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন রঙের বেড়াল বের করার স্বার্থে।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

এনকিদু এর ছবি

কতটুকু করা সম্ভব ? পুরোটাই ।

কতটুকু সদিচ্ছা আছে ? এখনো জানি না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি এইমাত্র এক সাংবাদিক বন্ধুর বাসায় রেকর্ড করা সম্মেলনটির বেশ কিছু ক্লিপিং দেখে এলাম ।
আমার কাছে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা যা বলছেন সেটির কিছুটা মিসইন্টারপ্রিট হয়েছে ( আমি সহ ) ।

আমার কাছে পুরো ক্লিপ মিলিয়ে দেখে মনে হয়েছে শেখ হাসিনা বিষয়টিকে এড়িয়ে যাননি , তিনি যা বলেছেন তাঁর মোটামুটি ভাষ্য হচ্ছে - দেশের মানুষ তো নির্বাচনের মাধ্যমে বিচার সেরেই ফেলেছে , এখন বাকীটা আইনের ব্যাপার । যতোটুকু করা যায় করা হবে । ...বিষয়টিকে পজেটিভ দৃষ্টিতে দেখে আমি এই পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিচ্ছি ।
..........

একজন অতিথি পাঠকের মতামতের বিপরীতে একজন স্নেহভাজন সচল সদস্যের জবাব অতিরিক্ত আবেগী হয়ে যাওয়ায় , সেই সচলের জবাবটি মুছে ফেলা হয়েছে । ধন্যবাদ ।

কবি এর ছবি

শেখ হাসিনার ভাষনের কোন অনলাইন লিংক আছে কি কারো কাছে ? কেঊ কি কষ্ট করে ইঊটিঊওবে দিবেন কি?

কবি এর ছবি

শেখ হাসিনার ভাষন পড়ুন [url=http://www.bdnews24.com/upfile/hasina's%20speech.pdf]এখানে। [/url]

দ্রোহী এর ছবি

আমি হতাশাবাদী। আমার কেন জানি মনে হয় বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক তা চায় না। এবারও হয়তো তা আর হয়ে উঠবে না।


গরীবের আবার সিগনেচার!!!

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আরিফের শেষের মন্তব্যে তিনি যে ধারণাটি পোষণ করছেন সেটাই সঠিক।
মূল পোস্টে তিনি শেখ হাসিনার কথা বা জবাব থেকে যে ইন্টারপ্রিটেশন তৈরি করেছেন তা সঠিক হয়নি বলেই মনে হয়।
শেখ হাসিনার জবাব টিভিতে আমি দেখা গেছি। ভোটের মাধ্যমে জনগণতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেই দিয়েছেন - এই কথাটার পর মিলনায়তনে তুমুল করতালি শোনা যায়। ফলে বাক্যটি শেখ হাসিনা আবার বলেন। তবে এই প্রথম বাক্যে বিচার শব্দ ব্যবহার না করে রায় শব্দ ব্যবহার করলে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হতো।

আরিফের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি যে শেখ হাসিনা পিছলাতে চেয়েছিলেন। কারণ তিনি সাথে এ কথাও যোগ করেছেন লিগ্যালি তাদের বিচার তো হবে ইনশাল্লাহ। একে পিছলামো বলে না।

পিছলামি যদি দেখতে চান বা শুনতে চান তবে আরিফ জেবতিক দয়া করে বিবিসির সংলাপে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনায় নজরুল ইসলাম বা মাহমুদুর রহমানের বক্তব্য দেখতে পারেন। মাহমুদুর রহমান অবশ্য বলেছেন শেখ মুজিব আসল যুদ্ধাপরাধীদের পাকিস্তানের কাছে ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। আসলদের বিচার করা হলো না এখন পাতিদের নিয়ে টানাটানি করে লাভ কি?

এই পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরানোর সিদ্ধান্তটা ভালো হয়েছে। তবে উপস্থাপনার ত্রুটির জন্য মুছে ফেলাটাই আরিফ জেবতিকের সুনামের সাথে সঙ্গত হতো। কারণ লেখাটি পড়লেই মনে হয়, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে আরিফ জেবতিক খুব একটা খশি নন - কিন্তু এটা তিনি অন্য কথার কৌশলে ঢাকতে চাচ্ছেন। এই পোস্ট আসলে শেখ হাসিনার অহেতুক নিন্দা করার একটা পোস্ট হয়েছে। আরিফ জেবতিকের লেখা হিসেবে মানাচ্ছে না।

বি:দ্র: নির্বাচনী ফলাফলের পরপর হিমুর লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের পাসপোর্ট জব্দ করা উচিত। নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দেখুন আমাদের সময়ের সংবাদে

http://www.amadershomoy.com/online/content/2009/01/01/news0047.htm
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খবরটা পড়লাম। ভেতরে ভেতরে একটা খুতখুতি ছিলো যদি তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়! আপাততঃ সেটা বন্ধ করা গেছে বটে। কিন্তু কাজটা কতোটা আদতেই কাজের হবে সেটা বুঝতে পারছিনা এখনো। গো. আ-মইত্যা রাজাকার গং পালাতে চাইলে তাদেরকে আটকে রাখাটা কতোটা বাস্তব সম্মত? শপথ নেয়ার পরপরই সরকারের উচিৎ হবে মৌখিক আদেশ থেকে সেটাকে লিখিত আদেশে পরিণত করা, আর পালানোর যেকোনো প্ল্যান বি, সি, ডি সব পথ আটকে দেয়া।

বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিচার করে সাইজ করায় কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেনো এটাও মাথায় রাখে যে যে 'দুষ্টামি'র জন্য তারা বাবর প্রখুখ কিংবা হাওয়া ভবন সংশ্লিষ্টদের বিচার করছে সেই একই অভিযোগে যেনো তারাও না ফাসে কখনো!

শেখ হাসিনা বিগ বসদের গোস্বার কারণ দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি এড়িয়ে যান তাহলে নিজের পায়ে কেবল কুড়ালই না বরং ভোঁতা গিলোটিনে নিজের সাধের কল্লাটা হাসতে হাসতে এগিয়ে দিবেন। এটাই শেষ সুযোগ আওয়ামী লীগের জন্য দেশের একটা অংশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটা আওয়ামী লীগের জন্য শাঁখের করাত বলেই মনে হচ্ছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- উঁহু।
আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের স্বার্থেই সুযোগ পেয়েও যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটার সমাধা করেনি। এটা তাদের ক্যালকুলেশনে ভুল ছিলো বলেই প্রমাণিত। ৯৬-এ যদি তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামাতের বিচার নিশ্চিত করতো তাহলে পরবর্তীতে ক্ষমতায় বসুক আর না-ই বসুক, এতোটা ভরাডুবি হতো না। আর স্যামচাচা আর হাবিবি ভাইদের লাল চক্ষু'র দোহাই দিয়ে আসলে বিচারকার্য শুরু না করাটা একটা পিছলামী, এটা হয়তো এতোদিনে লীগ এতোদিনে বুঝেছে। এখন তাদের সামনে একটাই পথ খোলা যদি তারা দলের নাম নিশানা বাংলাদেশে রাখতে চায় তাহলে যুদ্ধাপরাধী ইস্যু ফিনিত করার কোনো অন্যথা নাই। রাম-শাম কাকুরা কিছু বলতে এলে তাদেরকে বাড়ির সদর দরোজায় থামিয়ে রেখেই বলে দেয়া যাবে, "উপায় নাই গোলাম হোসেন। ২৬২ টা আসন হুদাহুদি পাবলিক দেয় নাই আমাগোরে। গ্রেট পাওয়ার কামজ উইথ গ্রেট রেসপন্সিবিলিটিজ বস। সো শাট দ্য ফাক আপ এণ্ড সীট টাইট টু ওয়াচ দ্য ট্রায়াল"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হাবিবি ভাইদের ব্যাপারটা বুঝি কিন্তু স্যামচাচাদের সমস্যা কী? দাবার গুটি হারানোর ভয়? তাই যদি হয় তো আ.লীগের উচিত দ্রুত ট্রায়াল শুরু করা।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিগসি কে বিগ ধন্যবাদ ।

১. ইন্টারপ্রিটেশনের বিষয়ে আমি নিজেই আগে বলেছি যে আমার কাছে মনে হয়েছে আমারটা মিসইন্টারপ্রিট হয়েছে ।
এখন কথা হচ্ছে , আমি এই পোস্ট মুছে ফেলতে পারতাম এবং সেটা ভেবেওছিলাম । কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম দুইটি কারনে এটা মোছা ঠিক হবে না । প্রথম কারন হচ্ছে , যারা টের পাচ্ছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আমি খুশী নই , তাদের কেউ কেউ এ ধারনাও করতে পারেন যে নির্বাচিত হওয়ার পরেই শেখ হাসিনাকে অজনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে আমি চেষ্টায় রত এবং পরে নিজের পোস্ট মুছে ফেলে সাময়িক অপপ্রচারটি সেরে নিচ্ছি ।
সেটা বেশি অস্বস্থিকর হতো । তাই নিজের ধারনাটি পরিষ্কার করে দিয়ে আমি পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়েছি । পোস্টে এডিট করিনি কারন এতে করে বহু কমেন্ট অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে ।

২. লেখাটি পড়লে যদি মনে হয় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আরিফ জেবতিক খুশী নন এবং সেটি অন্য কথার কৌশলে ঢাকতে চাচ্ছেন- তাহলে সেটি আরিফ জেবতিকের উপর অবিচার । কারন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অখুশী হলে সেটি প্রকাশ করতে কোথাও কোন বাধা আছে বলে আমার জানা নেই , সেক্ষেত্রে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে পাঠকের মূল্যবান সময় নষ্ট করার প্রয়োজন পড়ে না ।
যেসব পাঠক বিগসির মতোই মনে করতে পারেন , তাদের জন্য আরো পরিষ্কার করে বলতে পারি , শেখ হাসিনা বিজয়ী হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশী । তবে উনি যেহেতু এখনও প্রধানমন্ত্রী হতে কয়েকদিন দেরী আছে , সেক্ষেত্রে তিনি কী ধরনের প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা দেখার পরেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উনাকে দেখে আমার প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারব । "এরশাদের প্রেসিডেন্টশীপের অধীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা" এই ধরনের ছবি দেখলে অবশ্যই আমি শুধু অখুশী হবো না , আমি ক্ষুব্ধ হব ।

আমি এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় কামনা করেছি অসাম্প্রদায়িক দেশ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ..এই দুই ইস্যুকে মাথায় রেখে ।
এবং একটি ব্রুট মেজরিটির সরকারকে প্রথম থেকেই ক্রমাগত "হাউজ দ্যাট" বলে হুশিয়ার রাখাকে আমি ভালো মনে করি । কারন ৭০ এর পরে এবারের নির্বাচনে যে গনজোয়ার , সেই অর্জিত গনজোয়ারকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না ।

৩. পিছলামী দেখার জন্য বিগসি দুই পাতি পিছলার নাম রেফার করে বিগসির সুনামের প্রতি অবিচার করলেন । যে দলের নেত্রী নিজেই বলেছেন যে ৪০ ভাগ ভোট হাওয়া থেকে ( হাওয়া ভবন নয়) এসেছে , যে দল মনে করে ২৯৯টি আসনেই কারচুপি হয়েছে , যে দল জনগনের মনোভাবের কোন তোয়াক্কা না করে লালু ভুলু পিন্টু সান্টুদের মনোনয়ন দিয়েছে , যার কাছে উনার পুত্রদ্বয় সুপুত্র , সেই দলের বাঘা বাঘা পিছলা রেখে ছোটখাটো পিছলাদের দেখার টাইম কই পাবলিকের !

আলমগীর এর ছবি

আরিফ জেবতিক
আমার মনে হয় না আপনার ব্যাখ্যাতে (interpretation) বিশেষ কোন ভুল আছে। কেউ কেউ একটাকে ভুল ব্যাখ্যা মনে করে তুষ্টি পেতে পারে, কিন্তু ইলেকশনের আগে শেখ হাসিনার টিভি ভাষণকে মনে রাখলে খুব বেশী ভুল চোখে পড়ে না। সে ভাষণের ট্রান্সক্রিপ্ট আছে বিডিনিউজে। নির্বাচনী মেনিফেস্টোতেই নেই সে বিষয়। আলীগ বিচার করবে কি করবে না, প্রহসন করবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। তবে, দাবীতে আমাদের অবিচল থাকতে হবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।