ইন্টারনেট মনিটরিং এর প্রতিবাদ শুরু হোক

অরূপ এর ছবি
লিখেছেন অরূপ (তারিখ: শনি, ০৬/১০/২০০৭ - ৪:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অ্যানিমেটেড ইমেজ
নরমাল ইমেজ
ইন্টারনেটের গলা টিপে ধরা হচ্ছে এবার। এ বিষয়ে আপনি-আমি কিছুই করতে পারবো না শব্দযুদ্ধ আর সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া। প্রস্তাব করছি সহমত পোষনকারী সবাইকে উপরের ছবিটিকে প্রোফাইল পিকচার বা সকল লেখায় ব্যবহার করতে অন্তত আগামী ১ সপ্তাহের জন্য..

ছবির লিংকঃ
http://www.sachalayatan.com/free_internet_bd.gif
http://www.sachalayatan.com/free_internet_bd.jpg

ছবি ব্যবহার করতে কোন অনুমতি গ্রহন বা সূত্র উল্লেখ করার বাধ্যতা নাই..

এ বিষয়ে রেজওয়ান ভাই এর পোস্ট


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

প্রোফাইল ছবি হিসেবে না দিয়ে, লেখার শুরুতে বা শেষে এই ছবি ব্যবহার করা যায়। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে।
কারণ মন্তব্যেও প্রোফাইল ছবি আসে। সব মন্তব্যে একই ছবি বিভ্রান্তিকর হবে।
সিগনেচারে এই ছবি দিতে পারলে অবশ্য খারাপ হতো না। সিগনেচারে কি ছবি দেয়া যায়?
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নিঘাত তিথি এর ছবি

হাত-পা গুটিয়েই থাকি, কিন্তু কিছু করতে ইচ্ছা করে। কেমন করে কি জানি না। একটা কিছু তবু...কোন একটা উপায়ে...

প্রতিবাদ করছি।

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

রেজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ অরুপ। হাত পা গুটিয়ে না থেকে কিছু একটা শুরু করা দরকার।

দুটি বড় ব্যানার করবে কেউ? ইংরেজী ও বাংলায়? সবার ব্লগের (ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস যে কোন প্লাটফর্মে) সাইড বারে ডিসপ্লের জন্যে। একটি এইচটিএমএল কোড করে দিলে ভাল হয়-ইমেজে সচলায়তনের লিন্ক থাকতে পারে -পাবলিসিটিও হবে সাথে সাথে।

এটি বিশ্বজুড়ে প্রচারের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।

আর দৈনিক পত্রিকায় যার যোগাযোগ আছে তারা কি পত্রিকায় একটি লেখা দিতে পারেন সেন্সরশীপের ব্যবাপরে? বা তাদের বলবেন এনিয়ে রিপোর্ট করতে? তাহলেও কিছুটা এগোয় ব্যাপারটা - লোকের জানা প্রয়োজন।
××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাঘ না থাকলে গোলপাতা নড়লো যে!
গণহারে ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর তত্ত্বহাঙ্গরের চোঁয়াল বসানো সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিবাদ!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৌরভ এর ছবি

সামিল হলাম।
আমার নিজস্ব জার্নালেও বদলাবো আজই।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আছি!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আবদুল্লাহ মাহবুব এর ছবি

সচলায়তনের সদস্য না হলেও সামিল হচ্ছি,
আগামী ১ সপ্তাহ অবশ্যই এ ছবি থাকবে আমার প্রোফাইলে, সেটা বাড়তেও পারে দরকার হলে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ইন্টারনেটের গলা টিপে ধরা হচ্ছে এবার। এ বিষয়ে আপনি-আমি কিছুই করতে পারবো না শব্দযুদ্ধ আর সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া।

একমত নই।করা যাবে বহু কিছুই ।কথা হচ্ছে কতোদূর পর্যন্ত আমরা যেতে চাই।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

একটা কার্টুন আঁকবেন কেউ? বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা হচ্ছে, কিন্তু মাঝপথে থেমে যেতে হল শিল্পী ধৃত হওয়ায়। ধরুন 'এ-খাঁচা ভাঙবো আমি'র মত। খন্ডিত মানচিত্রের ধারটা দেখতে কোন এক প্রাণির মত হোক, নয়তো জলপাই। অথবা বাংলাদেশের মানচিত্রের মাঝে একটা বুটের ছাপ/ছেড়া।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ই-বাংলাদেশ এর মডারেটর ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত দাশ গুপ্তের সৌজন্যে মূল সার্কুলারটি এখানে তুলে দিলাম।

স্বপ্নচারী এর ছবি

আমার ব্লগে ব্যবহার করলাম। কোন আপত্তি আছে কি?

কনফুসিয়াস এর ছবি

-সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করা যায় কি না ট্রাই করছি।
autoযা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সামিল হলাম।

চমৎকার উদ্যোগ! একটা অনলাইন পিটিশনের ব্যবস্থা করলেও চমৎকার হত। সবাইকে অনুরোধ করা যেত সচলায়তনে এসে সাইন করে যেতে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

Tasneem Khalil এর ছবি

Arup: Greetings from E-Bangladesh. I was wondering if it will be possible for you to publish a new post with your campaign proposal in Bengali and English. That way we can aim for international participation also. We are interested to link this campaign from our sidebar. Please let me know your take হাসি

রেজওয়ান এর ছবি

সুমন, পিটিশনটাকে কাকে করলে কার্যকর হবে?

××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সরকারকে এড্রেস করে পিটিশন করলে কার্যকর হবে বলে মনে হয় না। আমি ভাবছিলাম ইউএন কে এড্রেস করে করা যায় কিনা। সেটাও এপ্রোপ্রিয়েট হবে না, এটা আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার। আর কাকে করা যেতে পারে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় আমাদের ব্যাপারে প্রথমে সরকারকেই আমাদের উদ্বেগের কথা জানানো উচিৎ। তার পর না হলে পরবর্তী করনীয় ঠিক করা যাবে। কি বলেন?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আপাতত: রাষ্ট্রপতি বরাবর করা যায়।
অবশ্য সংবিধান অনুযায়ী যে কেউ মামলাও করতে পারেন।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
http://www.sachalayatan.com/free_internet_bd.gif

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ফারুক হাসান এর ছবি

সামিল হলাম।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

কেমিকেল আলী এর ছবি

অরূপকে অশেষ ধন্যবাদ, আর সাথে তো আছি-ই।

মাশীদ এর ছবি

আমিও আছি।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

অমিত আহমেদ এর ছবি

অরূপ'দা কে অসংখ্য ধন্যবাদ -- এমন তড়িৎ ছোট্ট একটা উদ্যোগই কিন্তু যোজন পার্থক্য তৈরী করে দেয়।
শামিল হলাম।


ব্লগস্পট | অর্কুট | ফেসবুক | ইমেইল

মেঘ এর ছবি

মেঘ
বালিত মুখ লুকায়ে আর কত নজিদের ঢাকবে?

সাথে আছি যে কোন প্রতিবাদের

মেঘ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

http://www.sachalayatan.com/free_internet_bd.gif

দরখাস্তটা রাষ্ট্রপতি বরাবরে করা যায়।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

ব্লগস্পটে যোগ করলাম।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

ফেসবুক আর সামহোয়ারইনে যোগ করব
______ ____________________
suspended animation...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তীব্র প্রতিবাদ, ঘৃণা!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

দ্রোহী এর ছবি

মাঝে মাঝে খুব হতাশাবোধ করি। স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাই..........


কি মাঝি? ডরাইলা?

অনিকেত এর ছবি

সঙ্গে আছি.........

সৌরভ এর ছবি

আমি আপাতত ব্যানারটা বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন অরকুটে ভূত-থেকে-ভূতে পদ্ধতিতে ছড়াচ্ছি।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই সুত্রে আরেকটা ব্যাপার উল্লেখ করতে চাই।

আইএসপি যে মনিটরিং করে সেটাকে ইউসেজ এবং এবিউজ মনিটরিং বলা যায়। ইন্টারনেট স্পীডের কতখানি ব্যবহার করল, অর্থাৎ কতখানি ডাউনলোড এবং আপলোড করল এই তথ্য গুলো ইউসেজ তথ্য বলা যায়। আর এবিউজ হল, আপনি পর্ণো সাইটগুলোতে যাচ্ছেন কিনা, পি২পি ব্যবহার করে কোন ইল্লিগাল গান বা মুভি ডাউনলোড করছেন কিনা এগুলো।

কনটেন্ট মনিটরিং হল আপনি কোথায় কি লিখছেন। কাকে কি ইমেইল করছেন। এইসব মনিটরিং করা। এগুলো কোন আইএসপি করে না। আর সরকারের এইটাই উদ্দেশ্য বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।

তাছাড়া প্রাইভেসীও এরসাথে জড়িত। আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ব্যক্তিগত তথ্য, আপনার প্রেম ভালোবাসার কথা এসব কেন সরকার হাতাবে?

সরকার যদি বলে, যে তারা কনটেন্ট মনিটরিং করবে না। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় তাহলে কেন তারা ব্যক্তিগত তথ্যের এক্সেস চাইবে? তথ্যগুলো দিয়ে কি করবে তাও কোথাও স্পষ্ট নয়। এখানেই লংঘিত হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা, এভাবেই ধর্ষিত হয় গণতন্ত্র।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আরেক ভাবে তুলনা করি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সাথে তুলনা করলে মিলটা স্পষ্ট বুঝবেন।

মনে করেন সংবাদপত্রে সাংবাদিক একটা লেখা লেখেন। সাংবাদিককে এক্ষেত্রে ইন্টারেনেটে একজন ব্লগার বা ইমেইল কারী সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

আবার সম্পাদক আইএসপিদের মত একটা ভুমিকা পালন করেন। লেখাতে খারাপ কিছু যাচ্ছে কিনা, ম্যাটারের আকৃতি বা কোয়ালিটি কেমন হচ্ছে এসব সম্পাদক দেখেন।

এখন সরকার বলল সংবাদ প্রকাশের আগে তাদের পক্ষের একজনের কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে সাইন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে সম্পাদক সম্পাদনার পর তাদের কাছে পাঠায় এবং তারা বলে দেয় কোনটা তাদের বিপক্ষে যাচ্ছে এবং বাদ দিতে হবে। ঠিক একই ভাবে ইন্টারনেট মনিটরিং করলে একই ব্যাপার ঘটে।

সংবাদ পত্রে তারা যে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে এটা তারই সমতুল্য।

বাকি প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আমার তথ্যগুলোকে একটু যাচাই করে নিতে হবে। আমি বাইরে যাচ্ছি এসে জানাবো আশা রাখি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কোন ব্যাখ্যা নেই। খালি অর্ডার আছে। রেজওয়ান ভাইয়ের এই পোস্টটি দেখুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এইটা:

পুরো ব্যন্ডউইদথ এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের অনলাইন এমআরটিজি ইউসেজ গ্রাফ (যার মাধ্যমে কে কোন সাইটে ব্রাউজ করেছে সব তথ্য জানা যাবে), ইউআরএল এড্রেস এবং প্রতিটি ইউজারের আইডি এবং পাসওয়ার্ড

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ এর ছবি

তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করার সুবাদে এই ব্যাপারে আমার ভিন্নমত আছে। এটাকে মনিটরিং বলা হলেও আদতে এটা সার্ভেইল্যান্স। যার মুল লক্ষ্য হলো সরকারের বিরুদ্ধে যে যা বলছে/করছে তাকে খুজে বে করে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া। পত্রিকার স্বাধীনতা তো গেছেই এখন বাকস্বাধীনতাকেও তাক করেছে জলপাইরঙ। সভ্য পৃথিবীতে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টের পিন যেমন গোপনীয়, ইমেইল বা লগ-ইন পাসওয়ার্ডও ততটাই একান্ত।

চুক্তিতে অনুমতি দিয়ে স্বাক্ষর করলেই তখন কর্পোরেট অফিসগুলো কর্মচারীদের ইমেল মনিটর করতে পারে কারণ সেই এড্রেস এর মালিক কোম্পানী। কিন্তু রাষ্ট্র পরিসরে এই যুক্তি খাটে না। স্বতসিদ্ধ যে: আমার ব্যাক্তিগত ইমেল এর মালিক একমাত্র আমি। আই.এস.পি গুলোর সাথে আইনি চুক্তি থাকে 'ডাটা প্রটেকশন' নামের, যার মানে হলো আমার অনুমতি ছাড়া আমার ইমেল দেখার অধিকার কারো নেই। আইএসপি যদি গোপনীয়তা নষ্ট করে তবে চুক্তিভঙ্গের দায় তাকেই নিতে হবে।

মো.রাহী এর ছবি

সঙ্গে আছি। ইন্টারনেট মনিটরিং বন্ধ করা হোক!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার প্রায়ই মনে হয় আমরা কি নেংটা হওয়া এবং নেংটা করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি?

যদিও আমাদের পোশাকের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে গেছে
কিন্তু কিছু কিছু জায়গা কিছু মেশিন বসানো আছে সিকিউরিটির নামে যেটার পেছনে বসলে কাপড় পরা মানুষকে কাপড় ছাড়াই দেখা যায়
সেইসব জায়গায় আমাদেরও যেতে হয় মাঝেমাঝে
জেনে কিংবা না জেনে

শুধু কারো না দেখার জায়গায় ছিল কানে কানে কথা... বলা
কিন্তু...
মোবাইলের কথা এখন অন্যরা শুনতে পায়
কুরিয়ারের চিঠি খুলে চেক করে
ইমেইল....

জয় গোস্বামীর কবিতাটা মনে আছে সবার?

'ততক্ষণই কলংক ভয় মুখে ঝেঁটার বাড়ি
যতক্ষণ না সবার সামনে নেংটো হতে পারি...'

মাহবুব লীলেন
+৮৮ ০১৭১১৩১৮৩০৩

এহেছান লেনিন এর ছবি

'ততক্ষণই কলংক ভয় মুখে ঝেঁটার বাড়ি
যতক্ষণ না সবার সামনে নেংটো হতে পারি...'

আসলেই এই অবস্থা আমাদের। অরূপের সঙ্গে সহমত। ধিক্কার জানাই।

*********************************************
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

miraj এর ছবি

this harvard inititated project tracks internet monitoring & surveillance issues worldwide. we may need to start a banglaedesh chapter soon.
http://opennet.net/

also check this site:
http://chillingeffects.org/

দুর্বাশা তাপস এর ছবি

ওতকিছু বুঝিনা। মানিনা, মানবনা।

==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।

রেজওয়ান এর ছবি

@ইমরুল হাসান:

এনিয়ে আলোচনা অবশ্যই কাম্য। কিছু ব্লগার তাদের ব্যবক্তিগত কন্টাক্ট দিয়ে পত্রিকায় যোগাযোগ করেছে এনিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টের জন্যে। কিন্তু বিডিনিউজের মত যায়গা থেকে বলে দেয়া হয়েছে তাদের ম্যানেজমেন্ট রাজী নয় এ নিয়ে ঘাটাতে।

প্রযুক্তির ব্যাপারটি এমন যে এর মধ্যে অনেক ব্যাপার থাকে যা সাধারনের কাছে অসচ্ছ থাকে। কোনটি কোন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে তাই পরিস্কার করে বোঝা প্রয়োজন। কিন্তু দু:খের বিষয় বিটিআরসি এনিয়ে কোন সংবাদ সম্মিলন করেনি।

আপনি যুক্তি দেখিয়েছেন সচলায়তন এর বিপক্ষে যুক্তি দেখায় কিনা। আমি আইএসপি বিষয়ক এক্সপার্ট আমেরিকা প্রবাসী এক বাংলাদেশী ব্লগারের এই নিয়ে মতামতের লিন্ক দিচ্ছি। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন বিটিআরসির এই পদক্ষেপ অবশ্যই খুবই স্থুলভাবে নেয়া হচ্ছে কিন্তু তার মতে এতে আতন্কিত হওয়ার এখনও কারন ঘটেনি, কারন আপাতত: উনি দেখতে পাচ্ছেন ইহারা ভিওআইপি নিয়ে জিহাদেই ব্যস্ত। তবে ভবিষ্যতে যদি আইএসপি সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সরকার ব্যবহার করেন (সে লক্ষন এখনো অস্পষ্ট তাহলে উনি এলার্মড হবেন)।

যদি তাই হয় তবে ভিওআইপি ব্যাপারটি নিয়েও যে ভয়ন্কর খেলা চলছে তা মানুষের জানা প্রয়োজন। প্রযুক্তিকে বেধে রাখা, নিয়ন্ত্রন করার যুক্তি তো হাস্যকর এবং এটি আরেক সাম্রাজ্যবাদী পদক্ষেপ।

আমাদের সবার এনিয়ে লেখালিখির উদ্দেশ্য একটাই যতটা সম্ভব মানুষকে তথ্যগুলো জানানো। যে কোন সেন্সরশীপের একটাই উদ্দেশ্য ভয় ভীতি দেখিয়ে তথ্যকে বাধা প্রদান করা। বাংলাদেশের মিডিয়ার যে করুন অবস্থা সেখানে এই ব্লগই একমাত্র ভরসা যতটা সম্ভব লোকের মাঝে এই বিষয় সম্পর্কে awareness জাগানো। অর্থাৎ তথ্যগুলো মানুষের কাছে পৌছানো। আমরা বিবিসির সাক্ষাৎকারগুলোর লিন্ক তুলে ধরেছি কারন সবারই তা শোনা উচিৎ। পত্রিকা মারফত এগুলো জানানো হচ্ছেনা। ফলে আপনি পারলে আপনার পরিচিত সবাইকে শোনান। আমরা এখানে কোন ষড়যন্ত্র পাকাতে বসিনি। এই তথ্যগুলো জেনে কারও যদি মনে হয় তাদের অধিকার খর্ব হয়েছে তাহলে সে প্রতিবাদ করবে তাদের মত করে। তাদের উপর চাপিয়ে দেয়াতো হচ্ছে না। এই তো গণতন্ত্রেরওপিনিয়ন বিল্ডিং।

আমার জানামতে এখন পর্যন্ত যা রিআকশন হয়েছে তাতে রাজনৈতিক কোন ভুমিকা নেই (প্রমান করে দেশের রাজনীতি জনগনের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট নয়), জুমার নামাজের পর কোন মিছিলও বের হয়নি।

আমি মনে করি শুধুমাত্র বন্দুক দিয়েই যুদ্ধ হয়না। আদর্শগত যুদ্ধে সামিল হতে হলে যে কেউ পারে যে কোন ভাবে আগাতে। আমাদের প্রতিবাদ আমরা এখনও সংবেদনশীল মানুষ আছি বলে। যখন অন্যায় অবিচার, স্বার্থান্বেষীদের আঘাতে জর্জরিত হয়ে আমরা জড় পদার্থে পরিনত হয়ে তাদের খেলার পুতুল হব তখন হয়ত অনেকেরই বিরক্তির কারন হব না। ততদিন এই সংবেদনশীর মানুষদের প্রতি লাল সালাম।

××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

আরশাদ রহমান এর ছবি

জেগে উঠুক বাংলাদেশ। খবরদারীর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছবি যোগ করারা চেষ্টা কখনো করিনি। প্রযুক্তিতে বড়ই কাঁচা। ছবি যোগ হোক আর না হোক মন থেকে চাই জেগে উঠুক বাংলাদেশ, খবরদারী বন্ধ হোক।

রেজওয়ান এর ছবি

ইমরুল হাসান, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি ষাড়ের মত আমার তর্কগুলি শুনিয়েছে তাহলে। আমি আসলে বিতর্কে সর্বদাই কাঁচা। অল্পে তেমন বুঝিয়ে বলতে পারিনা। আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাকে আঘাত করা নয়।

আপনার বক্তব্যটি এখন বুঝতে পেরেছি। আমরা পরিকল্পনা করতে পারি সেরকম একটি ক্যাম্পেইন সাইট যেথানে সাধারনের জন্য এর ব্যাকগ্রাউন্ড, বিভিন্ন লিন্ক ও ডেভেলপমেন্ট থাকবে। সেজন্যে সবারই সাহায্য প্রয়োজন। ফেসবুকের এই গ্রুপটি দেখেন ওখানে বেশ কিছু লিন্ক দেয়া আছে। আপনিও যোগ করতে পারেন।

মিরাজের (উপরের মন্তব্য দ্রষ্টব্য) ওপেন নেট প্রস্তাবনাটি নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করতে পারি।

×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

হাসিব এর ছবি

অরূপ বস,
একটু হাই রেজুলেশন ভার্শন দেন । বড় সাইজের ।

বজলুর রহমান এর ছবি

নাই, নাই , ভয়। আমি বি,টি,আর,সি কে ভাল করে চিনি (ভারতীয় বিষাক্ত চিনি নয়)। এক সময় মারগুব মোর্শেদ ছিল চেয়ারম্যান, তার পরে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব বহু কান্ডের নেপথ্য-নায়ক ওমর ফারুক। কারোই বিজ্ঞানে কোন জ্ঞান ছিল না। এখন জল্পাইরাজ্যের কেউ বোধ হয়, যে একটু আধটু জানে। কিন্তু এ সংস্থার কোন লোকবল নেই , শুধু উচ্চ মূল্যে বন্ধুবান্ধবকে পরামর্শক নিয়োগ করাই কাজ।

একবার হাসিনার কাছে ইয়াহু থেকে এক ভয়দেখানো ইমেইল এসেছিল, তা আই,পি নম্বর মিলিয়ে সাইবার কাফে পর্যন্ত ট্রেস করা হয়। কাফের মালিক ধরিয়ে দিলেন পার্থ নামে এক বাচ্চা ছেলেকে, যে আসলে চাকরি খুঁজতে সেখানে গিয়েছিল । চোর চাই, চোর চাই, হোক না সে লোক। আর নাম পার্থ জাতীয় হলে জোট আমলে সোনায় সোহাগা ।

নিশ্চিন্তে কাজ করুন, সেখান থেকে যেখানে ডায়নামিক আই,পি ব্যবহার হয়, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটা একেবারেই অসম্ভব যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্রাউসিঙ্গের মধ্য থেকে তাঁরা আপত্তিকর কর্মকান্ডের হিসাব খুঁজে পাবেন। দেখা যাবে নিজের সদ্য গোঁফ ওঠা ছেলেটাই ইন্টারনেটের চিপা গলিতে ঘোরাফেরা করছে। কেয়া শরম কি বাত।

হাসিব এর ছবি

বজলুর রহমান,
ভয় নাই এটা আমিও মনে করি । কিন্তু এইসব আইন সরকারের অন্যায় হস্তক্ষেপের হাতটা প্রসারিত করে । এই আইনের হাত ধরে পরে দেখা যাবে আরোও নতুন নতুন কালো আইন জারী হচ্ছে । ওয়েব কি লেখি না লেখি সেটা নিয়ে হয়তো দেখা যাবে সরকার ব্লাকমেইলের নতুন রাস্তা খুলে বসেছে । সুতরাং, আমার গায়ে পড়ুক না পড়ুক এটা শুরুতেই প্রতিহত করা উচিত ।

বজলুর রহমান এর ছবি

আইনের চাইতে আইনের প্রয়োগ বেশি অর্থবহ। আমি শুধু এখানে প্রয়োগযোগ্যতার প্রসঙ্গ তুলেছিলাম। নীতিগতভাবে অবশ্যই নিন্দা জানানো উচিত।ভাল আইনেরও মন্দ ব্যবহার হতে পারে, বা একেবারেই চেপে যাওয়া হতে পারে, সেটা খারাপ। কিন্তু অন্যায় আইন ব্যবহারের অযোগ্য হলে, সেটা হাসির খোরাকও বটে, এই দুঃখের দিনেও। আমি আরো দুএক লাইন লিখেছিলাম ওপরের অংশে আরো হাল্কা মুডে, মডারেটর সম্ভবত তা ভুল বুঝে বাদ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে এখন প্রেস সেন্সরশীপ চলছে। মাহফুজ আনামের মত আপাত স্পষ্টভাষী জাঁদরেল সম্পাদকদেরকেও হাত-পা ধরতে হয়, নিজের রিপোর্টার, কার্টুনিস্টকে বর্জন করতে হয়। সুপ্রীম কোর্টকে কব্জা করা হয়েছে তাঁদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিটিরও অবৈধ প্লট এবং অন্যান্য কেলেংকারীর ভয় দেখিয়ে। নিম্ন আদালতকে মুক্তি দেওয়ার কোন ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না, এবং সেই বিচারকরা এমনই উজবুক, যে আদেশমত সবাইকে সমানভাবে তের বছর দন্ড দিয়ে যাচ্ছে, অপরাধ ছোট-বড় যা-ই হোক না কেন। বাঘা বাঘা উকিলরা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেছেন, কারণ তাঁদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যাঁরা কোর্টে একবার দাঁড়ালেই লাখ টাকা পান, তাঁদের বার্ষিক কর রিটার্নে ৭/৮ লাখ টাকা দেখানো দৃষ্টিকটু।
সুতরাং যেখানে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইন কি হলো না হলো সেটা হয়তো বড়ো কথা নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।