কাঠের সেনাপতির সন্ধানে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শনি, ০৬/০২/২০১০ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনে বেশির ভাগ আমি বইমেলায় একা একা গিয়েছি। একা একা হেঁটেছি। নাম জানা কিংবা অজানা স্টলের সামনে থেমে চোখ বুলিয়েছি নানান বইয়ে, হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছি প্রচ্ছদ – ফ্ল্যাপের বিবরণ - দাম, প্রতি বছরই দেখা মিলেছে কিছু চেনা-জানা মুখের। হয়তো জটলা কোলাহলে মাথা উঁচিয়ে দেখেছি, অটোগ্রাফ শিকারীর দল কাকে জানি ঘিরে ধরেছে। খুব প্রিয় না হলে, অটোগ্রাফে আমার তেমন আগ্রহ ছিলো না কখনো। রুমের বুক শেলফে হাত নেড়ে এখন যে কয়েকটা অটোগ্রাফসহ বই পাই, তার মধ্যে বারবার দেখি – ‘বুক পকেটে জোনাকী পোকা’। বইমেলায় যাওয়ার আগে মনের ভেতর লিস্টি থাকতো কোন কোন বই কিনবো, এর বাইরে অবশ্য সমপরিমাণ বই কিনতাম অপরিকল্পিতভাবে – হয়তো একেবারে অচেনা কোনো লেখকের বই...।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বইমেলা আমার কাছে অন্যরকম একটি আকর্ষণ হয়ে গেছে। কম্যুনিটি ব্লগের কারণে অনেক ছাপিত লেখকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, অনেক সহব্লগার ছাপিত লেখক হয়েছেন, এবং হচ্ছেন। মনে পড়ছে ২০০৮এর কথা। অমিত আহমেদের সঙ্গে তখনো দেখা হয়নি, অথচ অনলাইনে-মেইলে-চ্যাটে প্রচুর আড্ডা হয়েছে। প্রথম দেখাতেই হাত বাড়িয়ে বললাম, ‘আমি আপনার বই কিনবো, কিন্তু একপাতা জুড়ে অটোগ্রাফ দিতে হবে, পারবেন?’ অমিত মিটিমিটি হাসে, বলে – ‘তুমি শিমুল, তাই না?’ গতবার আমার এবং অমিতের বই প্রকাশিত হলো শস্যপর্ব থেকে। টরন্টোর ডানডাস স্কয়ারে হিম সন্ধ্যায় আমি তাকিয়ে থাকি আকাশে, কল্পনায় নিয়ন আলোর সাইনবোর্ডে দেখি আমার গল্প সংকলন।
‘ডানডাস স্কয়ার, তুমি কি বাংলা একাডেমীর মাঠ হয়ে যেতে পারো আজ?’

সে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে জিটকে প্রথমেই নক করি কনফুসিয়াসকে।
নানান কথার মাঝে বলি, ‘এবার আপনারও বই আসা উচিত ছিলো’।
জবাবে কনফু কী বলেছিলেন মনে নেই। অবশ্য কনফু ভাবেন বেশি। তার মাঝে হালকাচালি ব্যাপার স্যাপার কম। বিশেষ করে লেখালেখি নিয়ে বরাবরই তিনি সিরিয়াস।
বাংলা ব্লগস্পিয়ারে আমি এসেছিলাম ২০০৬এর মাঝামাঝি। সে-ই শুরু থেকে যাদের লেখা মন দিয়ে অনুসরণ করি তাদের মধ্যে কনফুসিয়াস অন্যতম। আমার এখনো মনে হয় – ব্লগে আমি যতোটা একটিভ পরে হয়েছি - তার প্রথম দিককার বিশাল এক ভূমিকা এই কনফুসিয়াসের। তার কিছু কমেন্টের। সে ঘটনা তাহলে বলেই ফেলি –

২০০৬এর মাঝামাঝি। অন্য এক ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করে টুকটাক লেখার চেষ্টা করছি, যতোটা না লিখছি – তার চেয়ে বেশি পড়ছি। নিজস্ব সংকোচে একেবারে পরিশুদ্ধ দিনলিপিগুলো প্রথম পাতায় না দিয়ে কেবল ‘নিজের ব্লগে প্রকাশ’ করি। কোথায় কবে কুকুরের তাড়া খেলাম, কোনদিন রেডিও কিনলাম – নব ঘুরিয়ে বাংলা অনুষ্ঠান শুনলাম, অফিসের ট্রেনিং’এ কী কী হলো- সেসব গল্প। মাঝে কিছু অনুগল্প। আর নিয়মিত কমেন্ট করছি এর ওর পোস্টে। আমার দিনলিপিগুলোও পড়ে থাকছে আমি যেমনটা চেয়েছিলাম, সেভাবে। একদিন কী হলো জানি না, লাঞ্চের পরে এসে দেখি – আমার সব পোস্টে একজনের টানা কমেন্ট। কিছু উৎসাহ, কিছু প্রশংসা, কিছু ইমোটিকন – এরকম। তার নাম কনফুসিয়াস। আমার কেনো জানি মনে হয় – এই কনফুসিয়াস আমার চেনা, হয়তো অন্য কোনো নামে লিখছে এখানে। নয়তো আমার লেখায় খুঁজে বের করে কমেন্টানোর কী দরকার? লিংকে ক্লিক করে ‘করি বাংলায় চিৎকার’ পাতায় গিয়ে টানা পড়া শুরু করি তার সব লেখা। লেখায় বৈচিত্র্য আছে, ভার আছে, ধারও আছে। কিন্তু, কে এই কনফুসিয়াস? সেই ব্লগে তখন জামাতি ছানাপোনাদের ব্যাপক উৎপাত। বেশ কয়েক জায়গায় দেখেছি কনফুসিয়াস ধৈর্য্য ধরে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কয়েকজনকে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের রেফারেন্স দিচ্ছেন – লেখকের নাম সহ। কিন্তু, আমি কনফুসিয়াসের পরিচয় খুঁজে পাই না।
আরো কয়েকদিন পরে পুরনো লেখায় পড়ি কনফুসিয়াসের একটি লেখা, কঠিন এক রোগে আক্রান্ত শিশু অমিতের মৃত্যু বিষয়ক পোস্ট। এ লেখা আমার কাছে নতুন মনে হয় না, মনে হয় – এ লেখা আগেও পড়েছি, অন্য কোথাও – পত্রিকায় নাকি অনলাইনে? কতক্ষণ ভেবেছিলাম মনে পড়ে না, তবে মাথায় ঝিলিক মেরেছিলো – বাংলালাইভ আই-পত্রিকার কথা। এক বন্ধুর দেয়া লিংকের সুত্র ধরে মাঝে কিছুদিন বাংলালাইভ পড়েছিলাম। এবার সেখানে গুতিয়ে দেখি – ‘ঈশ্বরের রংধনু দেশে’ সিরিজের লেখকই এই কনফুসিয়াস। আসল নাম – মু. নুরুল হাসান।

কনফুসিয়াসের লেখা তখন থেকে আমার আগ্রহের বিষয়।
আর্কাইভে তার আরেকটি লেখা – “আসুন আমরা একটি প্ল্যানচেটের আয়োজন করি”। দূর্দান্ত একটি লেখা। ইতিহাস বিভ্রম নষ্টের দলকে বিনম্র ভাষায় বোঝানো যখন ব্যর্থ হয়, হয়তো তখুনি কনফুসিয়াস বাংলায় এমন চিৎকার দেন। 'যেভাবে কয়েকটি সংখ্যার মানে বদলে গেলো' বাদ দিই কী করে!
এর কিছুদিন পরে – ব্লগার ‘প্রজাপতি’র পোস্টের সুত্র ধরে জানতে পারি – আজ কনফুসিয়াসের জন্মদিন। প্রোফাইলে দেয়া ই-মেইলে কনফুসিয়াসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘কেমন কাটলো জন্মদিন?’ তড়িৎ ফিরতি মেইলে অচেনা এই পাঠককে কনফু জানায় – ‘প্রবাসে থাকলে যা হয় আর কি, সারাক্ষণ ফোনের উপরে...’।
পরে ভেবেছি – কনফু কি জানেন যে তার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি বলেই ব্লগের বাইরে মেইল করে শুভেচ্ছা জানিয়েছি! মনের ভেতর খুঁতখুঁত লাগে – এই গায়ে পড়া আচরণে কনফু বিরক্ত হননি তো আবার!
প্রবাসে একা একা একটি ঘরে যে তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের জন্য নস্টালজিক হয়, শেয়ার্ড কিচেনে কালো একটি ছেলের কথা চমৎকার গদ্যে টেনে নিয়ে আসে; আমি সেই লেখকের কথা ভাবি। সম্ভবত সেদিনই পড়ি আরেকটি প্রতিক্রিয়া পোস্ট – ঢাকার রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন বলে সব গাড়ি থামানো হয়েছে, ট্রাফিকে আঁটকে আছে রোগীবাহী এম্বুলেন্স। পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে এ খবর। এ খবর নিয়ে কনফুসিয়াসের আরেকটি আগুন পোস্ট। সময়ের প্রবাহে বাংলা ব্লগ বিস্তৃত হয়েছে, পাঠক বেড়েছে, বেড়েছে কোলাহল। কনফুসিয়াসের পাঠক-ভক্তও বেড়েছে। কিন্তু, আমার কাছে প্রথম দিকের এইসব পোস্ট মনে পড়ে খুব, এখনো।

গল্পকার হিসেবে কনফুর শক্তির টের পাই – ‘সমান্তরাল’ পড়ে।
তার লেখা ‘শব্দশিল্পী’ আমার আরেকটি পছন্দের গল্প হলেও কনফু নিজের লেখার মানদন্ড নিজেই দাঁড় করিয়েছেন পাঠক আমার সামনে – ‘সমান্তরাল’।
এরমধ্যে কনফু জিটকে এড হয়েছেন, সম্ভবত আলাপের প্রথমদিনই জোর করে লিংক দিয়ে ‘প্রেয়ার হল’এর গান শুনিয়েছেন। আমার মনে হয়েছে – এই লোকটি আমার মতো – ভালোলাগা জিনিশ জোর করে হলেও অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর কতো কতো আলাপ। অনুগল্প সংকলন ‘দিয়াশলাই’ এর কাজ, সঙ্গে অমিত আহমেদ। শত শত মেইল। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কিংবা সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্প নিয়ে আলাপ। গল্প লেখার কৌশল নিয়ে সুতো টানাটানি। সব কিছুতে কনফুসিয়াস বড্ডো পরিপাটি, তাড়াহুড়ো নেই। লিংক দিয়েছি, কিন্তু কনফু পড়েননি – মতামত জানাননি, এমন ঘটনা মনে পড়ছে না। নিজের লেখালেখি নিয়ে কনফুকে তুষ্ট হতে দেখিনি এখনো। সচলায়তনে প্রকাশের পরেও কনফু খুঁতখুঁত করেন, আরো নাকি ভালো করা যেতো তার গল্পকে।

এরকমই দোটানায় ছিলেন কনফুসিয়াস এবার।
প্রসঙ্গঃ এবারের বইমেলায় তার লেখা গল্প সংকলন প্রকাশ।
শেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন, বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শস্যপর্ব থেকে, চমৎকার একটি প্রচ্ছদও হয়েছে।
বইয়ের নাম - “কাঠের সেনাপতি”। এ মুহূর্তে কনফুসিয়াস দেশে আছেন। নিজের বই প্রকাশের ক্ষণটি নিজ চোখে দেখবেন, এ ভাগ্যটি আমার হয়নি গতবার। কনফুসিয়াসের বই প্রকাশ আমার কাছে খুব ভালো লাগার, অপেক্ষার একটি ব্যাপার। অনলাইন নিকের বাইরে তারেক নূরুল হাসান নামে প্রকাশ করছেন তার প্রথম বই, গল্প সংকলন ‘কাঠের সেনাপতি’।

গত পাঁচ বছরের মাঝে আজ দ্বিতীয়বারের মতো বইমেলায় গিয়েছি।
লেখক পাঠকের কোলাহলে বারবার মনে হয়েছে – আর কয়েকদিন পরেই এরকম একটি স্টলে দেখা যাবে ‘কাঠের সেনাপতি’।
তারেক নূরুল হাসানের বই।
আমাদের কনফুসিয়াসের বই।

...এবার আমি নিশ্চিতভাবে অটোগ্রাফ শিকারীর দলে।


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা, শিমুল ভাই!

তারেক ভাইয়ের 'সমান্তরাল' পড়ে আমি যে কী ভয়াবহ মুগ্ধ হয়েছিলাম, বলার মতো না। মূলত এই গল্পের সূত্র ধরেই উনার সাথে আমার কথাবার্তা শুরু হয় ব্লগের বাইরে। উনি যদি আর কোনওকিছু কখনও না-ও লিখতেন, বা না-ও লেখেন, শুধু এই একটা গল্পের কারণেই উনি আমার প্রিয় গল্পকারদের একজন হয়ে থাকতেন, থাকবেন।

শুধু গল্পকার হিসাবেই না, মানুষ হিসাবেও উনি খুবই চমৎকার। লেখালেখির ব্যাপারে এতো যত্ন, পড়াশুনার ব্যাপারে এতো আগ্রহ ও ভালোবাসা খুব কম মানুষের মধ্যেই দেখেছি। তাই তো দীর্ঘদিন ধরে খুঁজতে থাকা কোনও বই হুট করে পেয়ে যাওয়ায় নিজের আনন্দ শেয়ার করতে সবার আগে উনাকেই জানিয়েছি। আমার ছেলেমানুষি উচ্ছ্বাস দেখে উনিও হেসেছিলেন। এমন বইপাগল মানুষকে ভালো লাগবে না-ই বা কেন!

আমার অনেকদিনের ধারণা ছিলো উনি হয়তো প্রায় মাঝ তিরিশের কোনও গুরুগম্ভীর ভদ্রলোক। কিন্তু উনার সাথে প্রথম দেখা হলো যেদিন, অবাক হয়ে দেখলাম আমার ধারণা একদমই ভুল ছিল।

সেই কনফু ভাইয়ের বই বেরোচ্ছে, ভীষণ দারুণ একটা ব্যাপার এটা। অপেক্ষায় আছি আমিও। অটোগ্রাফ শিকারীর দলেও যে আছি, এ ব্যাপারে কোনওই সন্দেহের অবকাশ নেই।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বইটার অপেক্ষায় আছি
আজকেও আলাপ করলাম
কিন্তু শিমুল কি বাংলাদেশে?

কেম্নে কী? জানি না তো?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমি তো দেশেই আছি, লীলেন ভাই ঃ)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আজিকে আমার সাথে কনফুসিয়াস ভাইয়ের দেখা হয়েছে। আমি উনাকে শিমুল ভাই বলে ভুল করিয়াছিলাম... দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা হা!
আমিও শুনলাম সে কথা... হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভালো লাগল লেখাটা। তার লেখা আমার-ও ভালো লাগে, বইপ্রকাশে অভিনন্দন জানাই।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেই অন্য ব্লগেই কনফুসিয়াসের লেখা পড়তাম। কিন্তু সেই সাইটে আমি মন্তব্য করতাম না বললেই চলে। সচলে আবার নতুন করে কনফুর লেখা পড়ার শুরু। ওর লেখা পেলে আমি চোখ গোল গোল করে পড়ে ফেলি।
মাঝে অনেকদিন কনফুর কোনো লেখা নাই, তাই দেখে আমি তাকে একটা ব্যক্তিগত বার্তা পাঠালাম লেখালেখির খবর নেই কেন জানতে চেয়ে। তার কদিন পরেই ব্যক্তিগতভাবে পড়তে দিলেন একটা গল্প 'কাঠের সেনাপতি'। সদ্য লেখা...

আজ যখন কাঠের সেনাপতি বই আকারে প্রকাশ হচ্ছে, মিথ্যে করে হলেও ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে, অন্তত এই গল্পটা লেখার জন্য তাগাদা দিয়েছি আমি, অথবা আরো মিথ্যে করে হলেও ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে, আমি না থাকলে এই গল্পটা লেখাই হতো না!!

আর তার চেয়েও বড় ব্যাপার, এই বইটার প্রচ্ছদও আমার করা! পৃথিবীতে কোনো কাজই আমি ঠিকমতো পারি না, সব কাজেই আমি ঠেকা চালানোর লোক। কনফু কী না সেই আমাকেই বেছে নিলো প্রচ্ছদকার হিসেবে? আমি সত্যিই খুব নার্ভাস। যাহোক, সেটা নিয়ে কথা না বলি আর...

তবে প্রিয় গল্পকার কনফুসিয়াসের প্রথম বইটার সঙ্গে কোনোভাবে নিজেকে জড়িত রাখতে পেরেই আমি ভীষণ গর্বিত। কনফুকে একটা বিরাট ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

বইটার জন্য আমি অপেক্ষা নিয়ে বসে আছি।

অনেক সুন্দর এই লেখাটার জন্য শিমুলকে ধন্যবাদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্নিগ্ধা এর ছবি

এক দুর্দান্ত গল্পকারের ইতিবৃত্ত সেরকমই আরেকজন লিখলে যেমন হওয়ার কথা, পোস্টটা তেমনই হাসি

কনফুসিয়াসের সাথে কখনই কোনরকম ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয় নি, তারপরও তাকে মানুষ হিসেবেই বড় পছন্দ করি, লেখার গুণ তো আছেই!

অনেক অভিনন্দন রইলো।

হিমু এর ছবি

এই পোস্টটা পড়ে মনে হলো, এটা আমার লেখার কথা ছিলো সামান্য ভিন্নভাবে।

তারেক নূরুল হাসানের গল্পগুলো সময়ের চোরাস্রোত ঠেলে টিকে থাকবে, বইয়ে এবং চলচ্চিত্রে। আমার এই কথা প্রমাণের জন্যে খুব বেশি সময়ও লাগবে না, কয়েক বছরই যথেষ্ঠ।

কনফুকে অভিনন্দন!



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আসলেই।

তিথীডোর এর ছবি

"সমান্তরাল" আমার খুব প্রিয় একটা গল্প... কনফুসিয়াস প্রিয় গল্পকারদের একজন আর আ সা শিমুলের সুত্রেই সচলের সঙ্গে পরিচয়...
দারুণ একটি পোস্ট (তালিয়া)
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো ছাপিত লেখক তারেক ভাইয়ের জন্যে!!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শুভ জন্মদিন কনফু বস!

আর অসাধারন একটা পোস্ট পড়লাম শিমুল ভাইয়ের কল্যানে, এজন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সচল জাহিদ এর ছবি

শিমুল ভাই অসাধারন একটা লেখা পড়ে ঘুমুতে যাবার মজাই আলাদা।অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কনফু ভাইয়ের জন্য অভিনন্দন রইল।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ওডিন এর ছবি

কনফুসিয়াসের 'আসুন আমরা একটি প্ল্যানচেটের আয়োজন করি' মনে হয় আমার পড়া প্রথম বাংলা ব্লগগুলোর মধ্যে একটা।

কাঠের সেনাপতির অপেক্ষায় আছি আমিও।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই সময়ে আত্মপ্রকাশ করা লেখিয়েদের মধ্যে, তারেক নূরুল হাসান একেএ আমাদের কনফুসিয়াস নিঃসন্দেহে এমন একজন যাকে অনেক দূর থেকে, অনেক ভীড়ের মাঝেও আলাদা করে ফেলা যায় অনন্য স্বকীয়তার কারণে। এমন অসাধারণ এক গুণ তারেক নূরুল হাসানের আছে যেটা গল্পের অক্ষরে ব্যাপ্তি বিস্তার করে পাঠকের চেতনার মূলে আলোড়ন তোলে। চেতনা জিনিষটা সময়ের মতো, কোনো বিনাশ বা ক্ষয় নেই। তারেক নূরুল হাসান কিংবা কনফুসিয়াস আর তাঁর গল্পগুলো রয়ে যায় সময়ের সাথে, সমান্তরালে অথবা গলা জড়াজড়ি করে।

আমার কাছে, ব্যক্তিগতভাবে কনফুসিয়াস একজন পথ দেখিয়ে, একজন সেনাপতি। তাঁর মতো অন্ততঃ একটা হলেও গল্প লেখার স্বপ্ন দেখি আমি, তিনি আমাকে সেই স্বপ্ন দেখিয়েছেন, পথ দেখিয়েছেন। আমি নিশ্চিত, "কাঠের সেনাপতি"ও তারেক নূরুল হাসানের অগুণতি পাঠককে সেই স্বপ্ন দেখাবে। গল্প লিখিয়ে না হোক, নিদেনপক্ষে গল্পবলিয়ে হতে সাহায্য করবে তাঁর পাঠককে।

অনেক অনেক শুভকামনা কুংফু।
জয়তু শিমুল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নিবিড় এর ছবি

অটোগ্রাফ শিকারীদের দলে আমিও আছি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দেঁতো হাসি ... অটোগ্রাআআআআআফ! দেঁতো হাসি

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

...এবার আমি নিশ্চিতভাবে অটোগ্রাফ শিকারীর দলে।

আমিও
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেশে তো আর নেই, মেলায় যাওয়াও হবেনা.. তবে প্রিয় লেখকের লেখা পড়লাম অনেকদিন পরে -- এতেই ভালো লাগলো।

সচলায়তনের প্রকাশায়তন প্রজেক্টের খবর কী? কতদূর এগুলো? দেশ থেকে বই এনে পড়া তো পোষায় না; বাঁধাই যায় খুলে, কাকে দিয়ে কিভাবে আনাবো সেটাও এক সমস্যা। তারচে পিডিএফ কিনে পড়া সহজ ও দ্রুত।

বর্ষা এর ছবি

শিমুলকে ধন্যবাদ, লিংকগুলোর জন্য। কনফুর লেখার সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কনফু'র লেখার সাথে পরিচয় এই সচলে এসেই। পরিচয়ক্ষণেই পরের লেখার জন্য মুগ্ধতা নিয়ে বসে থাকা। তার মলাটবন্দি সংস্করনে সেই মুগ্ধতা পুরামাত্রায় থাকবে!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

নিজের সম্পর্কে এত এত ভাল কথা পড়লে খুব কনফিউজড হয়ে পড়ি। ব্লগ ব্যাপারটা এ জন্যেই এত দারুণ, কত অল্প সময়ের ব্যাপ্তি, তার তুলনায় জমা হওয়া ভালোবাসার পরিমান পর্বতসমান।

বই করতেই হবে- এই মর্মে আমাকে মেইলবাণ মেরেই যাচ্ছিলেন নজমুল আলবাব ভাই। প্রায় বছর দেড়েক আগে থেকেই। গত বছর যখন খুব কাছের বন্ধু অমিত আর শিমুলের বই বেরুলো, ওরাও ধরেছিলো। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম এখন নয়, আরও বছর পাঁচেক যাক, পাড়ার লোকে চিনুক জানুক, তারপর না হয় হবে।
কিন্তু সিলেট থেকে আমার পাপীষ্ঠ প্রকাশকের মেইলবাণ থামছিলোই না। পরে নানা হাবিজাবি ভেবে টেবে ডিসেম্বরের পয়লা সপ্তায় সিদ্ধান্ত নিলাম বই করবো।

অবশেষে, আজ মেলায় আসছে সে বই।
উপরে যারা যারা আমার উদ্দেশ্যে অনেক ভাল ভাল কথা বললেন, সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। স্বার্থহীন ভাবে এমন প্রশংসা সবাই করতে পারে না।
আর প্রিয় লেখক আনোয়ার সাদাত শিমুলকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এই চমৎকার লেখাটির জন্যে। লেখাটি পড়ে রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত গানটার কথাই এখন মনে পড়ছে, এই মণিহার আমায় নাহি সাজে...।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

চলুক
আর
চলুক

একটা কনফু'র জন্য। আরেকটা শিমুলের জন্য।
যেমন দুর্ধর্ষ এক বিষয়ব্যক্তি, তেমনই দুর্দান্ত তার বয়ানকারী!

আমি ব্লগে অপেক্ষাকৃত শিশু ব'লে, আর ব্যস্ততার আশ্রয়ে আদতে অলস ব'লেও, আমার সেভাবে পড়া হয়নি কনফু'র আগের লেখাগুলো। তবে, সম্প্রতি যে ক'টাই পড়া হয়েছে, মুগ্ধ হয়েছি। তবে, পুরোনো সেই প্রাচীরগুলোতে হাত বুলিয়ে হাতিদেখার মতো ক'রে হ'লেও দেখে আসবো অন্ধের হাতে- এই ইচ্ছা আর আশা রাখলাম আজ নির্দিষ্ট ক'রে। সেটা অবশ্য এমনিতে শিমুল-সহ আরো অনেকের ব্যাপারেই হয়, পেরে উঠিনি এখনও। হাসি
লেখাটা প'ড়ে অনেক কিছু পেলাম, শিমুল। ধন্যবাদ দেবো? দেঁতো হাসি

'কাঠের সেনাপতি' এবং তানূহা'র জন্য অবশ্যই কনফুসিরিয়াস শুভকামনা থাকলো। চলুক
পড়বো এবং বলবো নিশ্চয়ই।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কারুবাসনা এর ছবি

ভালো লাগল।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।