ঢাকামেট্রো ০২-০৭১২

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৭/২০১২ - ১২:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত এক যুগ ধরে সঞ্জয়ের সেলুনে চুল কাটাই। এই লম্বা সময়ে চুল কাটানোর চার্জ বেড়েছে চারগুণ, কিন্তু সঞ্জয়ের বয়স যেন বাড়েনি। ঠিক একই রকম আছে গত বারো বছর ধরে। সেলুনের দেয়ালে ঝুলছে সঞ্জয় হেয়ার ড্রেসিং সেলুনের পুরনো ক্যালেন্ডার, ২০০৮ সাল, তাতে বড় করে সঞ্জয়ের ছবি আর গোল্ড স্টার শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপন। সঞ্জয়ের সেলুনে আরো ৪ জন কাজ করে, এরা বয়সে সদ্য কৈশোর-উত্তীর্ণ তরুণ। কাজের মাঝে তারা অনবরত কথা বলে, খুনসুটি করে। চুল কাটানোর ফাঁকে তাদের গল্পগুলো আমার ভালো লাগে। আমার আরেকটা অনুমান হলো - সঞ্জয় এদেরকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসে, কাজ শেখায়, তারপর বলে - অন্য কোথাও গিয়ে নিজের ব্যবস্থা করে নাও। এই ৪ জন তরুণ প্রতি ২/৩ বছরে পালটায়।
নিতান্তই পাড়ার মোড়ের সেলুন বলে সঞ্জয়ের দোকানে এসি নেই। টিউব লাইট আছে ৫টা। আর একটা ফ্যান। গতবার খেয়াল করেছিলাম, জেনারেটরের একটা লাইনও কোত্থেকে নিয়ে এসেছে। দুটা লাইট জ্বলে তাতে, আর মাসের শেষে ৩০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সেলুন সার্ভিস ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। মোমবাতির আলোতে কাজ করাটা হয়তো অসুবিধাজনক। সঞ্জয়ের দোকানে আরো দুটো ব্যাপার আছে, প্রথমটা হলো - এখানে সারাক্ষণ গান চলে। একসময় ক্যাসেট প্লেয়ারে চলতো, দু বছর আগে ছোট্ট সাউন্ড বক্সে পেন-ড্রাইভ প্লাগ-ইন করে গান বাজাতে দেখেছি। এখন দেখি মোবাইল ফোন থেকে সাউন্ড বক্সে। এফএম জোয়ারে সঞ্জয়ের দোকানে এখন আরেফিন রুমি, ন্যান্সি, কণা, কনিকা আরো অনেক চলতি গানের আধিপত্য। কোন গান চলবে তা ঠিক করে তরুণ সহকর্মীরা। ভারতীয় বাংলা গানের প্রতি সঞ্জয়ের ভালোলাগা আছে, একটু ঠান্ডা মেজাজের গান তার ভালো লাগে, এমনটাও শুনেছি আগের কয়েকবারের কথোপকথনে। সঞ্জয়ের সেলুনের দুটো বিষয়ের কথা বলছিলাম, দ্বিতীয় বিষয়টি হলো - দোকানে সে পত্রিকা রাখে নিয়মিত। একসময় ইত্তেফাক রাখতো, গত দুবছর দেখছি বাংলাদেশ প্রতিদিন। সম্ভবতঃ দাম কম, তাই। অথবা - বিনোদন পাতায় স্বল্পবসনা নায়িকাদের দীর্ঘাকায় ছবি থাক্‌ সে কারণে। লাইনে অপেক্ষারত কাস্টোমারেরা পত্রিকা পড়ে, গান শোনে।
এবার গিয়েছিলাম গত বৃহস্পতিবারে সন্ধ্যায়। সঞ্জয় জানালো, সিরিয়াল আছে- ২ জনের পরে হবে। বললাম, তাহলে কাল আসবো। শুক্রবারেও যাওয়া হলো না। শনিবারেও না। আমাদের এলাকায় রোববার দুপুরের পর থেকে সব সেলুন বন্ধ থাকে, তাই গতকাল যাইনি। আজ যখন গেলাম, রাত ৯টা ৫। সঞ্জয় আমাকে দেখে জিহবা কামড় দিলো, আজও সিরিয়াল। বললো, ঘন্টা খানেক পরে আসেন। বললাম, ১০টা পাঁচে? জবাবে সে বললো, সকালে আসেন তাহলে। আমি সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হই, এই কারণ বিশ্লেষণ জানানোর ইচ্ছে আর হলো না। একটু দূরত্বের সেলুনে যাবো কিনা এ ভাবনা মাথায় এলেও সঞ্জয় মনে কষ্ট পাবে- ভেবে সেলুনের টুলে বসে থাকি। পাশে কিশোর দুই ভাই লাইনে আছে। সঙ্গে আছে তাদের বাবা। দশ মিনিট পরে ছোটো ভাই চেয়ারে গিয়ে বসলে আমি ঘড়িতে চোখ দিই, রাত নয়টা তিরিশ। সঞ্জয়ের দোকানে আজ একজন কর্মী কম, বাড়ি গেছে, তার নাম - দয়াল। আমি অপেক্ষা করি, রাস্তায় তাকিয়ে ঘরে ফেরা মানুষের ব্যস্ততা দেখি, সামনে ভ্যানে বসা হকারের হলদে আম দেখি, সুমন টেলিকমে ফ্লেক্সি করতে যাওয়া মানুষ দেখি। পাশে বসা কিশোর আর তার বাবা বাংলাদেশ প্রতিদিন পড়ছেন। কিশোর পড়ছে স্পেন-ইতালী ফাইনাল ম্যাচের রিপোর্ট, বাবা পড়ছে - রকমারী পাতা।

সঞ্জয় যে লোকটিকে সার্ভিস দিচ্ছে, লোকটির বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। হলদেটে দাঁত, লাল চোখ, খানিক বের হওয়া, চুলে পাঁক ধরেছে। চুল কাটানোর পর কলপ করছে। সঞ্জয় ব্রাশ দিয়ে কালি করে দিচ্ছে। লোকটি বাচাল প্রকৃতির। বকবক করে যাচ্ছে। সঞ্জয় মনোযোগী শ্রোতা। মাঝে মাঝে বিষ্ময় প্রকাশ করছে সে। প্রশ্নও করছে। খানিক পরে, আরেকজন লোক সেলুনে প্রবেশ করলে বয়সে পঞ্চাশের কাছাকাছি লোকটির পরিচয় কিছুটা জানতে পারি। স্থানীয় সিএনজি গ্যারেজের মালিক সে। রেন্ট অ্যা কার এর গাড়িও আছে। নতুন কিছু গাড়ি কিনবে, নোহা গাড়ি খুঁজছে সে।

একেবারে কোণার টেবিলে আরেকজন তরুণ কাস্টোমার। আমি যখন নয়টা ৫ মিনিটে আসি তখন থেকে সে মুখে ফোম মেখে বসে আছে। অপেক্ষাকৃত বেশি বয়েসী খাটো আকৃতির নাপিত তার মুখ ঘষছে। এটা ওটা লাগাচ্ছে। আমি ভেবে পাই না, একজন লোক মুখে ফেনা মেখে কী করে এতক্ষণ বসে থাকে! তা-ও বয়েসে পঁচিশ কি ছাব্বিশ! মুখে দুই তিন দফায় ফেনা মাখা, ঘসাঘষি শেষ হলে এবার মাথা ঘাঁড় পিঠ ম্যাসাজ শুরু হয় তার। চোখ বুঁজে আরাম লুটে সে। আমার মনে পড়ে, আমাদের উপজেলা সদরের বিএনপি নেতা আমিরোসেনের কথা। সেলুনের ঘাঁড় ম্যাসাজ করতে গিয়ে ঘাঁড়ের রগ ছিঁড়ে গিয়েছিল তার। ইন্ডিয়ার হসপিটালে গিয়েও উপকার হয়নি। দেখতাম, হাত দুটো পাশে স্থির রেখে - স্থির ঘাঁড় সামনে রেখে আস্তে আস্তে পথ হাঁটতো সে। জানি না কখনো তার উত্তাল মিছিলের স্মৃতি মনে পড়তো কিনা!

সঞ্জয় ঠিকই বলেছিল, আমার ডাক পড়লো - রাত দশটা বারো মিনিটে।
পঞ্চাশের কাছাকাছি হলদে দাঁত ও বড় চোখের লোকটি সাদা চুল কালো করে, সানসিল্ক শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে চলে গেছে। একটু আগে উঠে গেল - ফেসিয়াল করা তরুণটি, মাত্র খেয়াল করলাম তার মুখের গড়ন ক্রিকেটার রাজিন সালেহর মতো, ভাঙাচোরা।
মোবাইল থেকে সাউন্ড বক্সে গান চলছে "তোমায় ছেড়ে বলো দূরে যাবো কোথায়, একজনমে এতো প্রেম পাবো কোথায়", ডুয়েট গান। যে ছেলেটি আমার চুল কাটছে সেও গুনগুন করে গাইছে। এই গানের আগে সে গত রাতে দেখা শাকিব খানের সিনেমার গল্প বলছিল, যেখানে শাকিব খান শিল্পী হওয়ার জন্য কোনো এক প্রতারকের কাছে ২ লাখ টাকা জমা দেয়, সাথে ছিল আফজাল শরীফ। গল্পটি অসমাপ্তই রয়ে গিয়েছে---।

এমন সময় সাদা কোর্তা পরা, মাথায় সাদা টুপিওলা এক লোক ঢুকলো সেলুনে।
সঞ্জয় নির্দেশ দিলো - অ্যাই, মুরুব্বী আসছে - গান বন্ধ করো।
মুরুব্বী জবাব দিলো, না গান চলুক। ভালোই তো। এটা কুমার বিশ্বজিৎএর গান না?
এক কর্মচারী জবাব দিলো, না কুমার বিশ্বজিৎ না।
মুরুব্বী টুপি খুলে ফেলেছে। গালে ছাপ দাড়ি। পান খাওয়া দাঁত। বয়স চল্লিশের মতো। তার মোবাইলে কল এলে খেয়াল করলাম তিনি উচ্চস্বরে কথা বলেন। সঞ্জয় তখন মুরুব্বীর দিকে ইংগিত করে নতুন আসা আরেক কাস্টোমারকে বলছে, 'ভালো গান গায়, গতদিন গান শোনাইছে'।
ফোনে কথা শেষ করে মুরুব্বী এসে বসলেন, আর শুরু করলেন এক পাক্ষিক কথা বার্তা। জিটিভিতে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, নতুন শিল্পী সন্ধান চলছে, তিনি বাসায় মেয়েকে বলেছেন, টিভিতে দেয়া ঐ নম্বরটা লিখে রাখতে, মেয়ে এখনো লিখে রাখেনি। এদিকে শুভ্রদেব ফোন ধরছে না, ফকির আলমগীরের ফোন নম্বরটাও হারিয়ে গেছে। এই দুজনের সাথে মুরুব্বীর নাকি খুব ভালো কানেকশন, একসাথে কত উঠা বসা, খাওয়া দাওয়া গান।
এরপর মুরুব্বী গল্প করেন, কত কত খুনী সন্ত্রাসী তার কাছে এসে নত হয়েছে, পিস্তল রেখে বলেছে - বাবা আমায় আশীর্বাদ করেন।
মুরুব্বী বলেন, মানুষ যখন মারা যায় তখন পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু বলে , আমাকে কিছু দিয়ে যা। যদি প্রকৃত মানুষ তিনি হয়েই থাকেন, যদি আল্লাহ খোদা ভগবান ঈশ্বরের কৃপা আর মানুষের দোয়া থাকে, তবে জিটিভির মঞ্চ তিনি গানে কাঁপিয়ে দেবেন। পরাজিত হয়ে ফিরে এলেও তিনি মেনে নেবেন। পরাজয় স্বীকার করার মানসিকতা, অভিজ্ঞতা তার আছে। বারাক ওবামাকেও হক্ব কথা বলতে তিনি ছাড়েন না।
সঞ্জয় এর মাঝে উস্কানি দেয়, মুরুব্বী একটা গান ধরেন।
মুরুব্বীও আগ্রহ দেখায়, তবে শর্ত হলো, উপস্থিত সবাই সম্মতি দিতে হবে।
সঞ্জয় বলে, হু দিলাম, সবাই ভোট দিলাম।
মুরুব্বী রাজী না।
আমি চোখ বন্ধ করে আছি দেখে আমার সাথে আলাপের সুযোগ পেলেন না। গান শুরু করলেন -
"এত দুর্নীতি, এত বৈষম্য মেনে নিয়ো না
এত অন্যায়, কেউ থাকে রাস্তায়
কেউ সুরম্য অট্টালিকায়, মার্সিডিস বেঞ্জ আর নিশান করলা
আর কেউ মুচড়ে পড়ে রাস্তায়
হাহাকার, বেদনার প্রলাপ, চিৎকার
এত দুর্নীতি, এত বৈষম্য মেনে নেবো না"
এরকমই কথা, অনেক লম্বা গান। লাইনগুলো একাধিকবার করে গাওয়া। শোষন নিপীড়নের বিরুদ্ধে গান। ভাবছিলাম, মূল গানটি কার গাওয়া, শুনিনি আগে কখনো। এ গান শেষ না হতেই আরেকটি বিরহের গান শুরু করলেন তিনি। সুবালা-রাণী চলে গেছো হৃদয় ভেঙে। এটা মূল বক্তব্য। এর মাঝে সেলুনে এসেছে সমবায় সমিতির লোক, সাপ্তাহিক চাঁদা চাইছে। সঞ্জয় ইশারায় বলছে, কথা আস্তে বলো, গান চলছে।
এভাবে বিরহের গান চলে আরো ৩/৪ মিনিট, সুর আগেরটার মতোই।
গান শেষ হলে মুরুব্বী জিজ্ঞেস করেন, কী গান কেমন লাগলো? এটায় সুর বসালে কঠিন গান হবে। সমস্যা হলো, গান তো আর লেখা নাই, এগুলা উপর থেকে আসে, আবার চলে যায়, লিখেও রাখি না, কেউ তো আর লিখবেন না। হারায়ে যাবে।
যে ছেলেটি আমার চুল কাটছিল, তার সম্ভবতঃ কথা শুনতে ভালো লাগে না, সে বলে - এবার একটা কীর্তন ধরেন।
মুরুব্বী আবার গান শুরু করেছে - কথা সুর কোনোটাই মনে নেই এখন।
আমার চুল কাটা শেষ। ঘড়ির কাঁটায় দশটা পঞ্চাশ।
একশ টাকার নোট ভাংতি নাই, তাই বাইরে এলাম। যে ছেলেটি চুল কেটেছে, সে সামনে আমওলার কাছ থেকে ভাংতি নিলো।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, গান গাইছে উনার পরিচয় কী?
ছেলেটি জানালো, মাথা খারাপ। আউট।

রাত বাড়ছে।
এখনো রাস্তায় মানুষের ভীড়।
মানুষ ঘরে ফিরছে। ক্লান্ত চেহারার মানুষ। হাল্কা বাতাস বইছে।
আমার কানে কেবলই বাজছে - "এত দুর্নীতি, এত বৈষম্য মেনে নিয়ো না"।


মন্তব্য

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনার লেখায় চেনা-পরিচিত জিনিসগুলো খুব সুন্দর করে ফুটে ওঠে। আমার ভালো লাগে আপনার ডিটেইলিং এর স্টাইলটা। আপনি নিঃশব্দে ফ্রেমের বাইরে দাঁড়িয়ে, সূক্ষ্মভাবে মানুষকে, কোন কিছু নিয়ে তাদের আচরণকে, অবজার্ভ করতে পারেন এইটা মনে হয় গল্পগুলো পড়লে। 'ঢাকা মেট্রো' আগ্রহ নিয়ে পড়ছি, সবসময়ে মন্তব্য করে ওঠা হয় না।

নাপিত আর সেলুন নিয়ে আমার নিজের কিছু কিস্যা কাহিনী আছে, তার মধ্যে অন্যতমটা মনে পড়ে গেল আপনার দিনপঞ্জির শুরুতেই, বছর আড়াই বা তিনেকের আমাকে নিয়ে বাবা সাহেব বাজারে সেলুনে চুল কাটাতে গিয়েছে। কেউ একজন, মনে হয় ছোট চাচা আমাকে বেরুবার আগে বলেছে, চুল তো পিচ্চি পিচ্চি করে দেবে, কেমন লাগবে! এইটা আমার মাথায় ঢুকে গেছে, সেলুনে চুল কাটার সময়ে আমি বুঝাচ্ছি যেন বেশি পিচ্চি পিচ্চি না করে দেয়, বাবা ইশারায় বলেছে, কোন দরকার নাই আমার কথা শোনার, গরমের দিন, যত পারেন ছোট করে দেন। চুল কেটে দেবার পরে আমি হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে কানছি, "আমার চুল লাগায়ে দাও! লাগায়ে দাও!"
আব্বা কপট বকাঝকা করছে সেলুনের ছেলেটাকে, যে আহা, বেশি কাটলা কেন। সেলুনের সবাই মুখ টিপে হাসছে। শেষে আমাকে বুঝ দেয়া হলো, বাড়ি গিয়ে এই চুল স্কচটেপ দিয়ে আটকায়ে দেয়া হবে। আব্বা বলে সেদিন তাকে রাস্তার সবাই ছেলেধরা ভেবেছিলো নিঃসন্দেহে, আমার জেদ বেশ কুখ্যাত ছিলো পরিচিত মহলে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা। বেশ মজার হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

"এত দুর্নীতি, এত বৈষম্য মেনে নিয়ো না"।

এখন শুধু মাথা খারাপ।, আউট মানুষেরাই জোর গলায় এই কথা বলতে পারে। আমরা বোধহয় মেনে নিয়েছি।
সুন্দর বর্ণন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

বুড়া মকবুল এর ছবি

মিষ্টি খেয়ে কাওকে জিজ্ঞাস করতে হয় না কি খেলাম।আমি গতকাল নিবন্ধিত সদ্য পাঠক,গল্পের ভালমন্দ না বুঝলেও স্বাদ ঠিকি টেরপাই।সাদামাটা একটা গল্পের অভিজাত উপস্থাপন।তবে কেবল একটি জায়গায় মনটা একটু খুত খুত করছে,সব গল্পের ই কি একটি মেসেজ থাকতে হবে!! একটি গল্প কি শুধু গল্প হতে পারে না।
এটি একটি জিজ্ঞাসা কোন মতামত নয়।
ধন্যবাদ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গল্প নয় তো! দিনলিপি। মেসেজ আসলেও সেটা ইছাকৃত নয় হাসি ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়)

খুব ভাল লাগল, একটা ল্যাতিন ঘরানার নির্লিপ্ত ছায়া আছে।

নিলয় নন্দী এর ছবি

চলুক টানা বাক্যবিন্যাস সেই কথাই মনে করায়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তারেক অণু, নিলয় নন্দী; কী বললেন বুঝিনি মন খারাপ

দুর্দান্ত এর ছবি

সাথেই ছিলাম যেন। চলুক

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চুল কাটানো নিয়ে আমার বরাবরই অনেক এলার্জি । ছোটোবেলাতেও অনেক ঝামেলা করতাম- স্যালুনে যেতে চাইতাম না । এখনো যাই না- কম যাই । আর, ইয়ে মানে- আমি কিন্তু এখনো ছোট... দেঁতো হাসি

সুন্দর... অনেক সুন্দর শিরোনাম... হাসি

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

আপনার ঢাকা মেট্রো সিরিজটা আগ্রহ নিয়ে পড়ছি - খুব ভাল লাগছে আপনার বর্ণনা/লেখনী
চলুক চলুক

অমি_বন্যা এর ছবি

ছোটবেলার সেলুনে গিয়ে চুল কাটার কথা মনে করিয়ে দিলেন শিমুল ভাই। অনেক ধরনের ছাট ছিল তখন একটার নাম রাহুল কাট । আমার পাড়ার বাল্য বন্ধুর মাথা ভর্তি চুল মুহূর্তেই একটা বাটি বানিয়ে দিয়েছিল। এই কাটের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল কানের উপর চিপ থাকা যাবে না। বেশ ক্রেজ ছিল তখনকার সেলুনে গিয়ে বিভিন্ন স্টাইলে চুল কাটার মুহূর্ত গুলো ।

এখনও পাড়ায় গেলে সেইসব সেলুনে গিয়ে আড্ডা মারা হয়। এখনও পুরন অনেক নরসুন্দরের দেখা মেলে ওইসব এসি বিহীন ছোট সেলুন গুলোতে ।

লেখা বেশ লাগলো । চলুক

বন্দনা এর ছবি

আমার নিজের ও চুল কেটে রাহুলকাট করে দিসিল যখন আমি কলেজে পড়ি দেঁতো হাসি

নিলয় নন্দী এর ছবি

চিন্তিত কল্পনা করার চেষ্টা করছি।

বন্দনা এর ছবি

দেঁতো হাসি

অচিন পাখি এর ছবি

আমি দেশে থাকতে সেলুনে চুল কাটা ছাড়াও পেপার পড়ার জন্য প্রতিদিনই একটু বসতাম। এর ফাকে আরেকটা কারন ছিল তাদের আলোচনা শোনা। আমার মনে হতো এলাকার কে কেমন মানসিকতার তা ঐ সেলুনের লোকগুলো ভাল বলতে পারতো এবং তাদের আলোচনায় সেগুলো উঠে আসতো। আর তাদের বেশি কথা বলাটা হয়তো তাদের কাজের প্রয়োজনেই অভ্যাসে পরিনত হতো। আপনার বাস্তব গল্পের সাবলীল প্রকাশ ভঙ্গি ভাল লেগেছে। হাততালি

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

চলুক
দারুণ। আমারও বাসার পাশের স্বপন কাকার সেলুনের কথা মনে পড়ে গেল।

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার খাঁটি ব্লগরব্লগর। একেবারে সহজ কথা সহজ করে বলা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ধুসর গোধূলি এর ছবি

শিমুলের লেখাগুলোর বৈশিষ্ট্য এটাই, একেবারে স্পটে নিয়ে যায় পাঠকে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ঢাকার সব সেলুন মনে হয় একইরকম !!

নিয়মিত লেখেন না ক্যান ??

অতিথি লেখক এর ছবি

(অ.ট.) সুহান ভাই আমারো প্রশ্ন আপনে নিয়মিত লিখেন না কেন? ইয়োরো ২০১২ নিয়ে কিছু একটা ছাড়েন প্লিজ
আলু আর কালুর রিপোর্ট পড়ে পড়ে মাথা গুবলেট, টিকি-টাকা আর টিকটিকির মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছিনা

ওয়েম্বলি, আউলা এবং আমরা -এর মতন কিয়েভ, আউলা এবং আমরা টাইপের কিছু লিখেন প্লিজ

---------------------------
বাপ্পীহায়াত

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ বাপ্পীহায়াত ভাই, না লিখলেও আমি নিয়মিত কিন্তু- প্রতিদিন লগিন করে মন্তব্য করে যাই।

আর ইউরো নিয়ে তো আলুকালু পড়েই ফেলেছেন, দেখি হয়তো অন্যকিছু নিয়ে লিখবো সময় করে। হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপ্নিও লেখেন হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

প্রতিদিনকার জীবন থেকে যে 'দেখা'গুলোকে আপনি বের করে আনেন, তা অসাধারণ। এর মধ্যেই বোধহয় বেঁচে থাকার আনন্দ। প্রাণের আরাম। আমারও এরকম অনেক অভিজ্ঞতা জমা হয়, ধরা পড়ে চোখে। কিন্তু আপনার মত লিখতে পারি না। আসলে ঠিক সাহস পাই না।

ভালো থাকবেন।

নৈষাদ এর ছবি

আপনার ঢাকামেট্রো সিরিজ খুব উপভোগ করছি। চলুক

মুস্তাফিজ এর ছবি

পাড়ার নাপিতরা আসলে শ্রোতা হিসাবে ভালোই হয়।

...........................
Every Picture Tells a Story

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

এখনকার নরসুন্দরের দোকানে গেলে, এরা চুল কাটে আর কানের কাছে চুপি চুপি বলতেই থাকে। স্যার ফেসিয়াল করে দেই, স্যার আপনার চুল তো সব সাদা হয়ে গেছে, ভাল কালার আছে দিয়ে দেই। ম্যাসাজ করে দেই, মাথা বানায় দেই।।। আমি আবল -তাবল বলে এসব কাটিয়ে বের হই। শুধুমাত্র চুল কাটাটা যেন অপরাধ।
তবে ছোটবেলার চুল কাটার ঘটনাগুলো খুব মজার। আপনার লেখা খুব ভাল লেগেছে।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

চলছে গাড়ী, চলতে থাকুক। বেশ লাগছে আপনার সাথে ঘুরে বেড়াতে। চলুক

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনার লেখায় সব ডিটেইল্স উঠে আসে, যেটা পড়তে পড়তে সহজেই চিত্রায়িত করে নেয়া যায়। খুব কম কলমই পারে এরকম জীবন্ত চিত্র তুলে ধরতে পাঠকের মনে। মন দিয়ে পড়ছি আপনার লেখা।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ক্রেসিডা এর ছবি

বলতে ভুলে গেছি, পুরো লেখঅ পড়তে পড়তে শেষে এসে "ছেলেটি জানালো, মাথা খারাপ। আউট।" এই পাঞ্চিং মার্ক টা আলাদা একটা মাত্রা যোগ করে গেল লেখাটায়। মূলতঃ এই শেষটা এসে লেখাটাকে আলাদা একটা লেখায পরিনত করে যায়।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

রণদীপম বসু এর ছবি

হুমম !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমরা যারা 'ইন' তারা তো আর গাইতে পারবোনা, তাই আউটরাই একটু-আধটু যা গাবে। সিরিজ চলুক। নিয়ন-পেসসি সিরিজ কি শেষ হয়ে গেছে? এতদিন পরপর লেখ যে তাল কেটে যায়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নিয়ন পেপসি, সকাল বেলার খিদে; এগুলো আর জাগবে না মনে হয়। তাল কাটবে না হাসি

ওডিন এর ছবি

শিমুল ভাই নিয়মিত লেখা শুরু করে দিছেন। খুব ভালো খবর এইটা হাসি

আমি চুল কাটাই যেইখানে- দোকানের লোকেশন আর নাম তিন-চারবার চেঞ্জ হইলেও মালিক আর কয়জন কর্মচারি ঘুরেফিরেই আছে গত কুড়ি বছর ধরে। (হ্যাঁ, উনিশশো একানব্বই সাল থেকেই)। প্রথমে চুল কাটা ছিলো দশ টাকা, এখন ওদের ভিজিট ছয়গুন হয়ে গেলেও সেইখানেই যাই মাসে একবার এক্কেবারে রুটিন করে। গিয়ে একটা ফাঁকা চেয়ারে বসে পড়লেই হলো, গত সাত আট বছর ধরে ক্রু-কাটের ওপরেই আছি। তাই কিছু বলতে হয় না। বসামাত্রই কাঁচি নিয়ে ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ শুরু করে দেয়। যদি ওদের বাজানো ক্যানক্যানানি হিন্দি গান শুনে মাথা ধরে যায়, কিন্তু অভ্যেস হয়ে গেছে।

ওখানে এদ্দিন ইত্তেফাক রাখতো, আজকাল রাখে কালের কন্ঠ। প্রথমআলোর এস্তেনজা কিচ্ছা ওইখানেই পড়েছিলাম প্রথম যদ্দুর মনে হয় দেঁতো হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনিও ইতিহাসপাতাল লেখেন হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

চমতকার ব্লগ।

দীর্ঘদিন এক সেলুনে চুল কাটাই বলে সমস্যা, অন্য কোনো দোকানের কাটানো পছন্দ হয়না। যতদুরেই থাকি অপেক্ষা করি যদি সম্ভব হয় বাসার কাছের সেলুনটাতে চুল কাটাতে।

সেলুনের লোকজনের কথাবার্তার নানা ডাইমেনশন ভাল লাগে। এই একজন বলে জিনিষপাতির দামের কথা, একজন রাজনীতি তো আরেকজন সাকিব আল হাসান। চলতেই থাকে। সেদিন দুই লোক আসছে চুল কাটাতে। তারা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলে, শোনা যায়না। পরে শুনি দোকানি বলছে এরা পাকিস্তান থেকে আসছে। বানিজ্যমেলায় দোকান দিয়েছে তাই থাকবে মাস খানেক।

গত দুই বছরে চুল কাটনোর টাকা এখানে দিগুন হয়েছে, পনের থেকে ত্রিশ। আর দেশের বাইরে দশ মিনিটের এক্সপ্রেস কাট আমাদের থেকে নিত দশ ডলার!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কী চোখ রে বাবা...
দুর্ধর্ষ লেখায় ৫ তারা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার ঢাকা মেট্রো সিরিজের শিরোনাম স্টাইলটা এত পছন্দ হইছে, চুরি করলে কপিরাইটের ঝামেলা হবে কিনা ভাবতেছি। খাইছে

আপনার লেখা পড়ে আমার দীর্ঘদিনের প্রিয় হারাধন নাপিতের কথা মনে পড়ে গেল। সেলুনে চুল কাটতে বসলে যদি বারবার ফোন আসতো সে মধুর বিরক্তিতে বলতো, আপনারে এত মানুষে খুঁজে, শান্তিতে এট্টু চুলই কাটাতে দেয় না, এক কাম করেন, ফুনটা বন্ধ করি দ্যান, আরামে চোখ বুজেন।

হারাধন কাজ বদলে কোথায় চলে গেছে, আজো সেরকম নাপিত পেলাম না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ।
সবার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা নরসুন্দর ই-বই করা যেতে পারে হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

প্রস্তাবে লাইক দিলুম।

বাউলিয়ানা এর ছবি

ঘ্যাচাং

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রস্তাবে সহমত

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

খালি ই-বইয়ের ঘোষণাটা দিয়ে দেখেন, কেম্নে সবাই ছিছ্‌ড়ায়ে দৌড় দিয়ে পালায়... মুহুহুহুহুহুহু! শয়তানী হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই কথা যাযাবর ভাইয়ার চে বেশি আর কে বুঝবে! দেঁতো হাসি

লেখা পড়তে খুব ভালো লাগলো, শিমুল। সবসময়ই লাগে। যখন লিখেন আর কি। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিঘাত তিথি এর ছবি

খুব ভালো লাগলো শিমুল। শিমুলীয় লেখা, খুঁটিনাটি ডিটেইলস। কি সাধারণ, কিন্তু কি ভালো লাগার। শিরোনামের ধারণাটাও কি দারুণ!

গান গেয়ে যাওয়া মাথা "আউট" মানুষটার গল্প পড়তে পড়তে "চন্দ্রবিন্দু"র "কন্ডাক্টর বাস ভাড়া চায় না" গানটার কথা মনে পড়ে গেলো।

আর, অনেক দিন পরে আনোয়ার সাদাত শিমুল আবার মোটামুটি নিয়মিত লিখছেন, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইটা কার মন্তব্য!
চিনতেছি না চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নিঘাত তিথি লগ ইন করে কমেন্ট করেছেন, এটাও বড় কথা হাসি আরো জরুরী কথা হলো, তিনি লেখেন না ক্যানো???

অতিথি লেখক এর ছবি

ছোটবেলায় যে নাপিতের কাছে চুল কাটাতাম তিনি এখনো বেঁচে আছেন। মনে আছে উনি নিজের সুবিধার জন্য আমার ঘাড়টাকে অনেকক্ষণ ধরে বাঁকিয়ে রাখতেন আর বলতেন "ঘাড়ের কাজি হইল এইটা"। তাছাড়া একটা হাতে টেপা মেশিনের মাধ্যমে উনি ঘাড়ের কাছের অতিরিক্ত লোমগুলো টেনে টেনে তুলতেন। একবার উনার এই জ্বালাতনের ব্যথা সইতে না পেরে আমার ছোট ভাই উনাকে অশ্রাব্য গালি দিয়ে বসেছিল।

সিরিজ চলুক শিমুল ভাই।

নির্ঝরা শ্রাবণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগল! আপনার দেখার চোখ আছে বটে! খুব ছোটখাটো বিষয়ও কী সাবলীলভাবে উঠে আসে আপনার লেখায়। মনে হয় পুরা ঘটনা চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি একটা অনুরোধ, আপনার নতুন গল্প পড়তে চাই। হাসি

জি.এম.তানিম এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।