স্বাধীনতা দিবসের অণুগল্প: সর্বনাশ

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: বুধ, ২৬/০৩/২০০৮ - ৮:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto‘আস-সালামু আলাইকুম।’
‘ওয়া আলাইকুম আস-সালাম।’
‘জনাব, আপনার লগে পাঁচ মিনিটের জন্য একটু একা কথা বলতে চাইতেছিলাম, জরুরি।’
‘আপনি আবার পত্রিকার লোক না তো, চাচামিয়া?’
‘জ্বী-না জনাব। আগে স্কুলে পড়াইতাম। এখন মুদির দোকান চালাই।’
‘আচ্ছা এই দিকে আসেন।’

‘বলেন এইবার। কি ব্যাপার?’
‘জনাব আপনারে আমি একাত্তরের একটা গল্প শুনামু। না... না! আপনি উত্তেজিত হইবেন না। পাঁচ মিনিটের কথা কইছি, এর এক সেকেন্ডও বেশি নিমু না। আল্লার দোহাই লাগে আমারে কাহিনীটা কইতে দেন!’
‘ঠিক আছে। কাঁটায় কাঁটায় পাঁচ মিনিট দিলাম।’
‘একাত্তরে আমাগো পাঁচজন মুক্তির একটা দল আছিলো। এক লগে বেশ কয়টা অপারেশন করছি। ভোলাডাঙায় একটা অপারেশন করতে গিয়া আমাগোর তিনজন শহীদ হইয়া গেল। থাকলাম কেবল আমি আর খাদেম। দুইজন মিলা আই যাই হোক, যুদ্ধ করন যায় না। এমন সময় খবর পাইলাম পিতলাডাঙায় দশ মুক্তির একটা দল সুরুজপুর থেইকা সদ্য একটা অপারেশন সাইরা মোড়ল সাবের বাসায় আইসা উঠছে। তাগো লগে যোগ দেওনের লাইগা আমরা দুইজন গিয়া দেখি কাহিনী জব্বর! সুরুজপুর থেইকা অপারেশন জিইতা, জ্যান্ত তিন পাকসেনা আর এক রাজাকার ধইরা সাথে কইরা নিয়া আসছে।’
‘...আমরা দলে নতুন দেইখা কমান্ডার আমগোরেই কইলো তাগো ব্যবস্থা করতে। চাইরজনকে লাইন ধইরা নদীর পাড়ে বসাইছি। এক ব্রাশ ফায়ারে তিন পাকিরে আগে মারলাম। রাজাকারটারে বেনোয়েট দিয়া মারনের ইচ্ছা আছিলো। কিন্তু পারলাম না। হাত আটকায় গেলো। সে হাউমাউ কইরা কান্দে। কয় ‘আমারে মুক্তিতে নেন। জান দিয়া দিমু। ভাইয়ের ডরে রাজাকার হইছিলাম।’ এমনডি সবাই কয় মারনের আগে। কিন্তু হের গলায় কি জানি কি আছিলো। আমি মারতে পারলাম না। ভাবলাম একটা সুযোগ দিয়া দেখি। খাদেম চেইতা গেল। সে তক্ষনি মাইরা ফালায় আরকি। আমি বুঝাইলাম। কমান্ডাররে কইলাম। উনিও চেইতা উঠলেন। কইলেন, ‘শুনো আকবর, লিকু রাজাকার আর নেকু রাজাকার অনেক লোক মারছে, পাকিগো লাইগা আমাগো বোনরে তুইলা নিছে, লুটপাট করছে। বড় ভাইডারে ধরতে পারিনাই। এইটারে জিন্দা রাখুম না।’ পুরা দল একদিকে আমি আরেক দিকে। শেষে আমারে মানাইতে না পাইরা ঠিক হইলো রাজাকাররে বাইন্ধা রাখন লাগবো। সামনের অপারেশনে শালা কি করতাছে দেইখা তারপর তারে মারা হইবো না দলে নেয়া হইবো তা ঠিক হইবো। নেকু রাজাকাররে বাইন্ধা রাখন হইলো। খাওন-দাওনের তো কথাই নাই বরং সবাই গিয়া ইচ্ছামত কিল-ঘুষি-লাত্থি মাইরা আসে। আমি হের পক্ষ নিছি দেইখা আমারেও বলতে গেলে একঘর কইরা ফালাইলো। এতদিনের দোস্ত খাদেম, সেও কথা কয় না। কিন্তু নেকু রাজাকারের দেওন তথ্য নিয়া আমরা পরের অপারেশনে ফাটায়া ফেললাম। এরপরের অপারেশনে নেকুও আমাগো লগে গেল। এর পর থেইকা প্রতি অপারেশনেই। সেরম ফাইটার আছিলো। জিতনের দেড়মাস আগে এক অপারেশনে বুকে গুলি লাগলো নেকুর। আমার বুকে মাথা রাইখা পরাধীন দেশে মইরা গেল পোলাটা। আমারে কইলো, ‘ওস্তাদ, আমার ছেলেটারে কইয়েন আমি জয় বাংলা... আমি মুক্তি! আর কিচ্ছু না ওস্তাদ। শুধু এইটা কইয়েন... ওয়াদা করেন। ওয়াদা করেন তারে কইবেন। নাইলে সর্বনাশ হইয়া যাইবো... সর্বনাশ!’ রাজাকার নেকুরে মারনের লাইগা অস্থির হইয়া গেছিলো সবাই। মুক্তি নেকুর মৃত্যুতে সবাই হাইমাউ কইরা কান্দলো!’

‘...যুদ্ধ শেষ হইয়া গেল। নেকুর বউ-বাচ্চারে অনেক খুঁজছি। পাই নাই। হের গ্রামের লোক কয় নেকুর ভাই সেই যে পলাইছিলো আর আসে নাই। লিকু-নেকুর বউ-বাচ্চারে সবাই একঘর করছিলো। হেরাও এক রাতে পলায়া গেছে। কিন্তু সেই দিন টিভিতে আপনারে দেইখা চমকাইয়া উঠছি! সেই একই মুখ, সেই একই চোখ!’

‘...আপনের চাচার ভালো নাম যে মোঃ লিয়াকত আলী সেইটা জানলে আর সমস্যা হইতো না। হের নাম তো প্রায়ই দেখি পেপারে। আপনের বাপের পুরা নামটা...?’
‘মোঃ নেয়ামত আলী!’
‘তারে নিমপাড়া গ্রামে কব্বর দিছি আমরা সবাই। কব্বরের সংস্কার নাই। তয় আমি প্রতি মাসে গিয়া কবরটা সাফ কইরা দিয়া আসি। এইখানে আমার ঠিকানা আছে। আপনের হয়তো বাপের কব্বর জিয়ারতে মন চাইবো!’
‘জ্বী!’
‘জনাব, আপনের বাপ কি সর্বনাশের কথা কইছিলেন সেইটা কি আপনি ধরতে পারছেন?’
‘পেরেছি!’ ধরা গলায় উত্তর আসে।
‘আলহামদুলিল্লাহ! সময় কিন্তু এক্ষনো আছে!’

বৃদ্ধ তাঁর শতচ্ছিন্ন ছাতাটা তুলে নিয়ে ক্লান্ত পায়ে ছাত্রশিবির-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন।

© অমিত আহমেদ

দ্বিতীয় প্রকাশ: গল্পগ্রন্থ, "বৃষ্টিদিন রৌদ্রসময়", শস্যপর্ব ও শুদ্ধস্বর প্রকাশন, বইমেলা ২০০৯

বিঃদ্রঃ "মুক্তিযুদ্ধ" শিরোনামের ব্যবহৃত ছবিটি শিল্পী আহমেদ সাহাবুদ্দিন এর আঁকা।


মন্তব্য

তারেক এর ছবি

হায় অদৃষ্ট !
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

কনফুসিয়াস এর ছবি

চমৎকার ভাবনা।
অণুগল্পের জোয়ার আসুক সচলায়তনে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দারুণ! এবং খুবই সময়োপযোগী।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কেমিকেল আলী এর ছবি

কাহিনী হাছা না মিছা?
তয় যাই হোক সুন্দর হইছে।

সৌরভ এর ছবি

পড়লাম।


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

শেখ জলিল এর ছবি

গল্পটা কি সত্য ঘটনা অবলম্বনে? ভাবনাটা ভালো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অমিত আহমেদ এর ছবি

তারেক - সেটাই রে ভাই।
কনফুসিয়াস - ধন্যবাদ ব্রাদার।
সংসারে এক সন্ন্যাসী - ধন্যবাদ। এই প্লটটা নিয়ে একটা বড় গল্প লেখার ইচ্ছে ছিলো। আপনার রুশ প্রবচন পড়ে মনে হলো, দেখি অল্প পরিসরে যা বলতে চাচ্ছিলাম বলা যায় নাকি। কতটা সফল হলাম সেটা আপনাদের উপরে।
কেমিকেল আলী - কাহিনী কাল্পনিক। ধন্যবাদ।
সৌরভ - পড়েছেন বলে ধন্যবাদ সৌরভ।
শেখ জলিল - না জলিল ভাই। কাল্পনিক।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ভাবনাখানা চমৎকার
লেখাখানাও...
এইরকম অণুগল্প আরো বেশি করে লিখুন বস...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

একুশ জন লেখকের নতুন অনুগল্প নিয়ে একটা ই-বুক করলে কেমন হয়? অনুবাদ সহ।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সেরকম আইডিয়া...
প্রথমে ই-বুক...এরপর এক্কেবারে বুক...

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সন্ন্যাসীজির ছোট্ট গোল রুটি নামটা এক্কেবারে পারফেক্ট
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

ঠিক। তবে এ বিষয়ে আগে উনার অনুমতি নিতে হবে। আর আমি যা বুঝেছি নতুন সচলদের অনেকেই তোমার বন্ধু বা পরিচিত। ওদেকে হুমকি-ধামকি দিয়ে অনুগল্প সংগ্রহ করে দিতে পারবে নাকি সেটা বলো? (তোমারটা সিওর ধরে রাখলাম)। আরো কয়েকজনের ঘাঘু সচল গল্পকারের মতামত জেনে নেই। এরপর কাজে হাত দেয়া যায়।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

গল্প বাইর হবে না মানে...
একেবারে টাইট দিয়া দিব।
শুরু করেন কাজ...

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

আচ্ছা। দুইটা দিন যাক। একটা "ঘোষণা পোস্ট" দিয়ে কাজ শুরু করে দেবো।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ফারুক হাসান এর ছবি

চমত্ কার লাগলো!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

লেখা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আপনাদের মন্তব্যটা খুব কাজে আসে।
ধন্যবাদ।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

জবর লাগলো।
ই-বুকের আইডিয়াটাও।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

রায়হান আবীর এর ছবি

আহা আহা!!!
খুব সুন্দর প্লট। আর লেখার হাতের প্রশংসা করে আপনাকে ছোট না করি...
ইবুকের আইডিয়াটা চরম...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

আসাদুজ্জামান রুমন এর ছবি

আমার কাছে অসাধারণ লাগলো 'পাঁচ মিনিট' সময়টা। এই একটা পাঁচ মিনিটের জন্য আটকে দিতে পারি আমরা মহা সর্বনাশ!

তীরন্দাজ এর ছবি

একেবারে মনকাড়া কাহিনী।

আহা এমন যদি সব রাজাকারেরা হতো! এখন দেখি রাজাকারের ছেলেমেয়েরাও পারিবারিক দোষে রাজাকার!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

থার্ড আই এর ছবি

প্রানবন্ত উপস্থাপনা। ভালো লাগলো।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

উদ্দেশ্যহীন এর ছবি

ঘটনার মোড় আর উপস্থাপন ভঙ্গি অনন্য।
অসাধারণ লাগলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই সুন্দর ভাবনা, খুবই সুন্দর উপস্থাপন ।

একটা সত্যিকারের কাহিনী বলি, আমার বাবার মুখে শোনা, আমাদের ভোলার গ্রামেই এক বুড়া মত লোক ছিল, যার দুই ছেলে, এক ছেলে যুদ্ধে যায়, আরেক ছেলে রয়ে যায় বাবার কাছে । পাকিরা রাজাকার সহ খবর নিয়ে আসলে, এমন বুঝানো হয় অই ছেলেকে ত্যাজ্য করা হয়েছে, পাকিরা তবু এই ছেলেটিকে যার নাম ছিল আবু তাকে নিয়ে যায় ।এই আবু তাদের সাথে রাজাকার দলে নাম লেখায়, কিন্তু সব অপারেশনের খবর দিয়ে আসতো মুক্তি বাহিনীর কাছে । কাহিনীগুলি এত মজার বারে বারে শুনতে চাইতাম বাবার কাছে । একবার আবুর কথা শুনে মুক্তিরা গর্ত করে রেখেছিল বিশাল জায়গা জুড়ে, অইখানে সাজোয়া সহ সব পড়লে আবু নাকি লাফিয়ে লাফিয়ে বলতে থাকে ( বাবা খুব সুন্দর করে বলতে পারে ), "পড়সে নিরে ব্যাকটি? কোপা হালাগো কোপা, একটারেও ছাড়বি না! "

- খেকশিয়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দারুন হয়েছে!
গ্রেট, অমিত ---

জাহিদ হোসেন এর ছবি

দারুন গল্প। মুগ্ধ হয়ে গেছি। অণুগল্প সংকলনের আইডিয়াটাও চমত্কার।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অনিন্দিতা এর ছবি

খুব ভাল আইডিয়া।

অমিত আহমেদ এর ছবি

লুৎফুল আরেফীন - ধন্যবাদ। ইবই-এর ঘোষণা আসবে আগামীকাল। অণুগল্প রেডি রাখেন।
রায়হান আবীর - বলেন এমন মন্তব্যে কেন ভালো লাগবে না! ইবুকের জন্য লেখা তৈয়ার করে রাখেন।
আসাদুজ্জামান রুমন - ঠিক বলেছেন। আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইলো।
তীরন্দাজ - ধন্যবাদ। কথাটা আপনি ঠিক বলেছেন। এখানে এটাও পরোক্ষ ভাবে বলার চেষ্টা ছিলো। রাজাকার বাবা-চাচার আদর্শে ছেলে বড় হয়ে শিবির হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বাবার আদর্শে বড় হলে কি এমন হতো? হয়তো না!
থার্ড আই - ধন্যবাদ তৃতীয়নয়ন।
উদ্দেশ্যহীন - অতিথি লেখকের মন্তব্য পেলেই আমার মনটা ভরে ওঠে। আপনাকে ধন্যবাদ।
খেকশিয়াল - হা হা হা! মজা পেলাম আপনার গল্প পড়ে। কাহিনীটা অছ্যুৎ বলাই-এর এই [স্বাধীনতার টুকরো স্মৃতি] পোস্টে যোগ করে দিন।
আনোয়ার সাদাত শিমুল - ছোটগল্পের মারকাট লেখকের কাছ থেকে "গ্রেট" পাওয়াটা আসলেই গ্রেট!
জাহিদ হোসেন - অনেক ধন্যবাদ! ইবই এর জন্য অণুগল্প রেডি করেন।
অনিন্দিতা - লেখা রেডি তো?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বলবার বিষয়টা তো এইটুকুতেই বলা গেছে।
চমত্কার।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ শোমচৌ। আপনার মন্তব্য আমাকে কতটা উদ্দীপিত করে জানলে নির্ঘাত নিয়মিত আমার পোস্টে এসে একটা মন্তব্য করে যেতেন হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

মাহবুবুল হক এর ছবি

গল্পটির প্রাণ লুকিয়ে আছে ‌'সর্বনাশ ' শব্দটির মধ্যে। সে দিক থেকে এ গল্পটি আরো বড় হলেও ক্ষতি ছিলো না। চমত্ কার উপস্থাপনা। দারুন ভাবনা।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হিমু এর ছবি

বেশ লাগলো পড়ে। অণুগল্পের ধারা আরো জোরালো হয়ে উঠুক।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দ্রোহী এর ছবি

অমিত আহমেদ: এক কথায় দুর্দান্ত। বিশেষ করে কাহিনীর পরিবর্তনগুলো যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, একবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি ভাই।

অনুগল্পের জোয়ার বয়ে যাক সচলায়তনে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

খুব সুন্দর হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অমিত আহমেদ এর ছবি

মাহবুবুল হক - সর্বনাশের ব্যাপারটা আপনি ঠিক ধরেছেন। আর গল্পের আকার বড় করতে গিয়েও শেষে সন্ন্যাসী'দার বলা রুশ প্রবাদটার কথা মনে পড়ে গেল - "সংক্ষিপ্ততা হচ্ছে প্রতিভার সহোদরা"। ভাবলাম দেখি অল্প পরিসরে বড় গল্প বলা যায় নাকি। আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্য আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
হিমু - ধন্যবাদ হিমু ভাই।
দ্রোহী - আপনার মন্তব্যে লজ্জাও পেলাম, গর্বও হলো! আমি বাকরুদ্ধ!
মুশফিকা মুমু - ধন্যবাদ হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পুরা গুল্লি



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নজমুল আলবাব এর ছবি

এরকম গল্প লেখার আমার খুব ইচ্ছা
অমিতরে আমি আজ ঈর্ষা করলাম

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ফারুক হাসান এর ছবি

গল্পটা আজকে আবার পড়লাম।
স্যালুট গল্পকার অমিত আহমেদ!

-----------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী,
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।