বলিউড: জানে তু... ইয়া জানে না

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: বুধ, ২৭/০৮/২০০৮ - ১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto যে সিনেমা নিয়ে আজ লিখতে বসেছি সেই সিনেমা দেখতে আমার যে এতো কষ্ট হবে তা ধারণায় ছিলো না। কারণ সিনেমাটির রিভিউ পড়েছি দু’টো ভারতীয় সংবাদপত্রে। সমালোচকেরা বেশ প্রশংসাই করেছেন। হিন্দি সিনেমার সব চেয়ে নিন্দুক সমালোচকেরা মনে হয় সব পশ্চিমবঙ্গে। সেই পশ্চিমবঙ্গের সমালোচকও দেখলাম সিনেমাটি নিয়ে দু’কলাম ভালো কথাই লিখেছে।

তাই খুব আয়েশ করে চা-বাদামভাজা নিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসি। শুরু দেখে ভালোই লাগে। মুম্বাই শহরের নানান বয়সী যুগলের খন্ডাংশ। মনে হয় নাহ! আব্বাস টায়ারওয়ালা নতুন পরিচালক হলেও আমির খান যেখানে প্রযোজক, সিনেমা মন্দ হবে না। তবে একদম সত্যি কথা - সিনেমা শুরু হবার কিছুক্ষণ পরেই এমন বিরক্তি ধরে গেলো যে মিডিয়াপ্লেয়ার বন্ধ করে দিলাম। টানা পাঁচদিন পর আবার বসলাম, রাতের খাবার সহ, সিনেমা শেষ করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে।

[স্পয়লায় অ্যালার্ট]

ছ’বন্ধুর কাহিনী। এরমধ্যে আছে দুই জিগরি দোস্ত রাজ আর অদিতি। দু’জনের এমনই বন্ধুত্ব যে সবাই ধরে বসে ওদের দু’জনের প্রেম আছে। এখান থেকেই গল্পের ফাঁক শুরু। ছ’জনের এতদিনের এতো বন্ধুত্ব এরপরেও কি করে সবার এই ভুল হয়? রাজের মা - যার সাথে রাজের বন্ধুর মতো সম্পর্ক, অদিতির বাবা-মা - যাদের সাথে অদিতির সব কথা হয়, তারাও কি করে এই প্রচন্ড ভুল করেন? সে যাই হোক, এই ভুলের সমাপ্তি হয় যখন রাজ-অদিতি সবাইকে জানায় ওরা শুধুই বন্ধু।

তখন সবার খেয়াল হয় - এই যে রাজ-অদিতি একে অন্যের সাথে এভাবে সেঁটে আছে - এ তো ঠিক নয়। এভাবে চললে নতুন কারও সাথে বন্ধুত্বও হবে না আর জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়াও জটিল হয়ে দাঁড়াবে। তখন বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করে ওরা দু’জন দু’জনের জন্য প্রেমিক-প্রেমিকা খুঁজে দেবে। খুবই হিন্দি-সিনেমিয় ব্যবস্থা সন্দেহ নেই! তবে সেই করেই খোঁজ পাওয়া যায় রাজের প্রেমিকা মেঘনার।

সে মুহূর্তে মনে হয় সব ঠিক আছে। রাজ-মেঘনার গুজুর-গুজুর ফুসুর-ফুসুর, প্রেমালু দৃষ্টি বিনিময়, মিনিটে মিনিটে জাবড়া-জাবড়ি - নিঃসন্দেহেই প্রেম। এই দেখে অদিতির শুরু হয় ঈর্ষা। সে দেখে তাকে তো রাজ মোটেই সময় দিচ্ছে না। রাগ দেখিয়ে সে যায় অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের দিকে। বিবাহিতব্য যুবক অজয়। অজয় খুব ডাঁকাবুঁকো ছেলে। মারামারি করে, ধাপা-ধাপ প্রেমিকা পালটায়। পরে বোঝা যায় সে লোক ভালো নয়। পোঙটামিতে বিশেষ অভিজ্ঞ। অদিতির আবার এমন ছেলেই পছন্দ। রাজের মতো নুতুপুতু ছেলে ওর দু’চোখের বিষ।

ওহ বলিনি বুঝি? রাজ সেই রকম ল্যাতপেতে। মা’র কাছে শপথ করেছে সে বাবার মতো হবে, যে কি-না একটি মাছি পর্যন্ত মারেনি। কিন্তু আসল কাহিনী বোঝা যায় ছবির মধ্যে থেকে রাজের বাপের আস্ফালন দেখে। জানা যায় রাজের মা যা বলেছে সব মিথ্যে। রাজের বাপের ছিলো সেই রকমের দাপট। মারামারি থামাতে গিয়ে সে মারা যায়নি বরং মরেছে শত্রুর চ্যালা-চামুন্ডা ভরপুর দালানে একা মারামারি করতে গিয়ে! বাপ চায় রাজ "রাঠোর" বংশের অন্যদের মতো কাউকে ধুমধাড়াক্কা মেরে, জেল খেটে, ঘোড়ায় চড়ে - তিন শর্ত পূরণ করে খাঁটি রাঠোর পুরুষ হয়ে উঠুক।

এরপর নানান সাঁট করে রাজ-অদিতি দু’জনেই বুঝতে পারে ওদের আসলে প্রেমই ছিলো। সেই বুঝের পরে রাজ মেঘনাকে নির্মল ছ্যাঁকা দেয়। অদিতির অজয়কে ছ্যাঁকা দেয়াটা অবশ্য নির্মল হয়না। অদিতি বদমাশ অজয়ের হাতে মার খেয়ে মুখে দাগ নিয়ে ফিরে আসে। সেই দেখে রাজ তার ভালো মানুষের খোলস ফেলে খাঁটি রাঠোরের পথ ধরে। প্রথমে ব্ল্যাকবেল্ট পাওয়া অজয়কে বিনা বাঁধায় সেই রকম মার দিয়ে প্রথম শর্ত পূরণ করে। এরপর জেল গিয়ে দ্বিতীয়টি। এরপর সেই চিরন্তন এয়ারপোর্ট সিন। নায়কের প্রতিজ্ঞা না পেয়ে নায়িকা বিদেশ চলে যাচ্ছে, নায়কের তাকে থামাতে হবে। সেই থামানো সহজ হবে না... নাই টেলিফোন, নাইরে পিওন, নাইরে টেলিগ্রাম। যানবাহনও নেই যানবাহন ধর্মঘট বলে। তাই মর্দ রওনা দেয় ঘোড়ায় চড়ে। রাঠোর বংশের তৃতীয় শর্তও পূরণ হয়ে গেলো।

মুম্বাইয়ের সড়কে ঘোড়া চালিয়ে, এয়ারপোর্টে সমস্ত সিকিউরিটিকে কাঁচকলা দেখিয়ে আমাদের নায়কপ্রবর একদম অন্তস্থলে চলে গিয়ে নায়িকাকে গান গেয়ে শোনায়... ইমোশোনালেরা দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলে। এরপর পর যা হয় তাই। দু’জনের মিল-মোহব্বত।

খুবই তরল কাহিনী। সেই তরল কাহিনীর ফাঁকে চলে অন্য বন্ধুদের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ টাইপ গল্প, জনৈক পুলিশের আসামী মারধোর নিয়ে রাজের মা’র আইনী লড়াই, অদিতির চিত্রকর ভাইয়ের নিঃসঙ্গতার চন্ডালী, মেঘনার বাবা-মার অসুখী দাম্পত্য জীবন আর তিন শর্ত পূরণ করা নিয়ে রাজের দুই চাচাতো ভাইয়ের বিরক্তিকর ভাঁড়ামো (আরবাজ খান, সোহেল খান... সালমান খানের দুই ভাই)।

পুরো সিনেমা দেখে আমার মনে হয়েছে সিনেমার টার্গেট মার্কেট ছিলো ভারতের অল্পবয়স্ক ছেলে-মেয়ে। পাত্র-পাত্রীদের চলতি ভাষার হিন্দি আর লাফালাফি দেখে তাই মনে হয়। আর গল্প ছিলো খুবই ফোকাসড। মনে হতে পারে আড্ডা-প্রেম-পার্টি ছাড়া আর জরুরী কিছু নেই জীবনে। একই রকম তারুন্যের গল্প নিয়ে ছিলো "দিল চাহতা হ্যায়"। কিন্তু সেই সিনেমার গল্পের গাঁথুনি ছিলো শক্ত। আড্ডা-প্রেম-পার্টি সারা সিনেমা জুড়ে থাকলেও "দিল চাহতা হ্যায়"তে চরিত্রগুলোর টানাপোড়ন অস্পষ্ট কিংবা শিশুতোষ থাকে না। তাই একই ডোমেইন নিয়ে "দিন চাহতা হ্যায়" হয়ে যায় মনে রাখার মতো একটি সিনেমা আর "জানে তু... ইয়া জানে না" হুজুগে।

ভারতে সিনেমাটি জনপ্রিয় কেনো হয়েছে তা নিয়েও ভেবেছি। আমার মনে হয় তরুনেরা পছন্দ করেছে কারণ এত কাছাকাছি তারুন্যের সিনেমা হয় না ভারতে। আর যারা একটু বয়স্ক তাদের মনে পড়ে গিয়েছে তাদের কলেজ জীবনের কথা। এই-ই। আর ক’বছর পরে আমার মনে হয় না কেউ এই সিনেমার গুন গাইবে।

সিনেমার ভালো দিক বলতে হবে কাস্টিং। বুড়োদেরকে কলেজে না পড়িয়ে তরুন্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ভালো লেগেছে। অভিনয় সবার মাঝারি মানের। আলাদা ভাবে বলতে হবে অদিতির ভাই প্রতিক বাব্বর, রাজের মা রত্না শাহ, বাবা নাসিরুদ্দিন শাহ আর পুলিশ অফিসার পরেশ রাওয়াল এর কথা। এই চারজনই খুব অল্প সময় স্ক্রিনে ছিলেন, কিন্তু যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ মুগ্ধ করে দেবার মতো অভিনয় করেছেন। ডিরেক্টিং, ক্যামেরার কাজ নিয়ে আলাদা ভাবে কিছু বলার নেই। তবে অল্প ক’টি লোকেশনে যেভাবে কাজ সারা হয়েছে তা দেখে মনে আশা জাগে। হিন্দি সিনেমায় দামী লোকেশনে শুটিং না করা একটি রিস্ক, সেই সাহস অন্তত্য পরিচালক দেখিয়েছেন (বাজেট কম ছিলো অবশ্য)। সিনেমায় আমির খানের একটি প্রচ্ছন্ন ভাব পাওয়া যায়। আমিরের হিউমার, অভিনয়ের ছাপ পাওয়া যায় বেশ কিছু জায়গায়। সেটি মনে হয় শুটিংস্পটে ওর নিয়মিত উপস্থিতির কারণে। হিন্দি সিনেমার রিভিউ দিলে গান-নাচ নিয়েও বলতে হয়। গানগুলো ভালো লাগেনি আবার মন্দও লাগেনি। এ. আর. রেহমানের ফিউশনের ধাঁচ তেমন ভাবে ছিলো না। বুদ্ধিমান কোরিওগ্রাফি জন্য নাচ মন্দ লাগেনি।

সব মিলিয়ে "জানে তু... ইয়া জানে না"কে আমি পাঁচে দেবো দেড়।

© অমিত আহমেদ

ব্যবহৃত ছবি: উইকিপিডিয়া

বি:দ্র: ইদানিং খুব হিন্দি সিনেমা দেখছি। আমার একটি সমস্যা আছে। সেটি হলো কোনো সিনেমা দেখতে শুরু করলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেমন অস্বস্তি লাগে। মনে হয় কি যেনো শেষ করলাম না! তাই কষ্ট হলেও দুই-তিন কিস্তিতে বস্তাপঁচা হিন্দি সিনেমাও দেখে শেষ করে ফেলি। পরে অবশ্য খুব আফসোস হয়। মনে হয় অহেতুক কয়েক ঘন্টা জলে ফেললাম। তাই ঠিক করেছি হিন্দি সিনেমা দেখে সেই সিনেমার ছোট্ট করে একটি রিভিউ দেবো সচলায়তনে। তাতে নষ্ট করা সময়ের কিছুটা প্রায়শ্চিত্য হবে। "বলিউড" সিরিজ পোস্ট করার ইচ্ছে থাকলেও ব্যাপারটি নির্ভর করবে পুরোপুরি আপনাদের আগ্রহের উপর।


মন্তব্য

দৃশা এর ছবি

আপনে যে এই সিনেমা নিয়া এতোবড় রিভিউ কেমনে লিখলেন ...আমি রীতিমত আপনার ধৈর্য্য ক্ষমতা দেইখা মুগ্ধ!! এই সিনেমা দেইখা হিসাব করতেছিলাম আমি কি সময় নষ্ট করলাম নাকি কামে লাগাইলাম সিঙ্গারাগুলা সাবার কইরা। ইয়াং জেনারেশনের এই মুভি মনে ধরছে তার কারন না হয় তাও বুঝলাম...বুড়াবুড়ি গো কেন এতো ভালা লাগল এইটা বুঝলামই না। এক্কেরে তাজ্জবের খোলা পিঠা!!
--------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

অমিত আহমেদ এর ছবি

এইটা তো কিছুই না। এরপরে লিখবো "সিং ইজ কিং" এর রিভিউ। বুঝেন তাইলে!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কীর্তিনাশা এর ছবি

খাইসে আমারে!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অমিত আহমেদ এর ছবি
গোপাল ভাঁড় এর ছবি

ছবিটা কিন্তু ওত খারাপ না। গানগুলা কড়া,কিছু কিছু সিকুয়েন্স বেশ ভাল।

"বাট পাপ্পু কান্ট ডেন্স সালা" - একমত

--------------------------------------------
ইয়ান্না রাস্কালা, মাইন্ড ইট

--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........

অমিত আহমেদ এর ছবি

আরে গোপাল ভাঁড় ভাই! আপনাকে তো দেখিই না ইদানিং? কই ডুব দিছিলেন? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কনফুসিয়াস এর ছবি

সবার এইরম বিরূপ মন্তব্য দেখে একটু ভয়ে আছি, ঘটনা হইল সিনেমাটা আমার খারাপ লাগে নাই, বেশ ভালই লাগছে। কারণ আছে অনেকগুলা। যেমন- হিন্দী মুভি দেখার সময়ই আমি আগে থেকে কিছু ছাড় দিয়া বসি। শিশুতোষ গল্পে যেমন এডাল্ট কন্টেন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রাখি না, অনেকটা সেরকম আরকি। সুতরাং, যখন দেখতে বসি, ধরেই নিই, হিন্দী মুভির যাবতীয় দোষাবলী এইখানেও উপস্থিত। এবং তারপরে যদি ভাল কিছু পাই, তো সেইটা উপরি।
এইসমস্ত কনসিডারেশান মাথায় রাইখা দেখলে দেখার চাপ কমে, মুভিটাও তখন খারাপ লাগে না।
জানে তু- নিয়া অবশ্য ব্যক্তিগত কিছু কারণ আছে। বালক বয়সের নানা কান্ডকীর্তির কথা মনে করায়া দিছে, এইজন্য একটু ভাল লাগছে বোধকরি। দেখার পরে তাই মনে হয় নাই যে টাইমটা পুরা পানিতে গেলো, বরং দুই একজন মুভিপ্রেমীরে হাল্কা স্বরে রেকমেন্ডও করছি।
তবে এআররেহমানের মিউজিক খুব একটা আলাদা করে ভাল লাগে নাই। এইই।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

কনফুর "শিশুতোষ গল্পে যেমন এডাল্ট কন্টেন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রাখি না" কথাটির কারণ আমি বুঝলাম না। এ-তো একটি সাধারণ বিবেচনার ব্যাপার। যে সিনেমা যে বিভাগের সেই বিভাগের আলোকেই আলোচনা-সমালোচনা করতে হয়। "জানে তু... ইয়া জানে না" কমার্শিয়াল কমেডি ধাঁচের হিন্দি সিনেমা। সেই ক্যাটেগরিতেই সিনেমার রিভিউ করা হয়েছে। কোনো কারণে কি মনে হয়েছে আমি সত্যজিতের সাথে টায়াওয়ালার তুলনা করছি?

সিনেমাটির তুলনাও করা হয়েছে আরেকটি কমার্শিয়াল কমেডি ধাঁচের হিন্দি সিনেমার সাথে "দিল চাহতা হ্যায়"। আর ছবির মধ্য থেকে মৃত নাসিরুদ্দিনের কথা-বার্তা অবাস্তব হলেও সেদিকে আঙ্গুল না তুলে আঙ্গুল তুলেছি দুই ভাইয়ের জেলে যাবার জন্য ভাঁড়ামি নিয়ে।

আসল ব্যাপার হলো গল্প নিজের genre তে থেকেই গল্প কতটা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হলো। যাকে বলে গল্পের সাথে মিশ খেয়ে যাবার ব্যাপার।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হিন্দি বুঝিনা, ৩ ঘন্টার মুভি আমার ৪-৫ ঘন্টা লাগে দেখতে, সাবটাইটেল পড়ে পড়ে। তাই খুবি কম দেখা হয়, কেউ ভাল কিছু রেকমেন্ড করলে দেখা হয়। এটা তাইলে লিস্ট থেকে বাদ খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অমিত আহমেদ এর ছবি

দেখতে পারো। অনেক মেয়ে ইমরান খানের প্রেমে পড়ে গেছে সিনেমা দেখার পর। এইটা একটা মজার ব্যাপার। আমি এখন মোটামুটি গেস করতে পারি দেশি মেয়েদের হার্টথ্রব চিত্রনায়ক কে হবে। একটা প্যাটার্ন আছে। সো দেখতেও পারো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম, পড়লাম রিভিউটা। সিনেমাটা আসলে আমার কাছে অতটা খারাপও লাগেনি। মানে পাঁচে দেড় পাবার মতো খারাপ। এটা ঠিক, সিনেমাটা আসলে এখনকার তরুনদের টার্গেট করেই বানানো। আর দেখতে গিয়ে এটাও অনুভব করেছি যে অনেক অংশে দিল চাহতা হ্যায়-এর ছায়া থাকলেও কেন যেন আগ্রহটাও দানা বাঁধেনি, আর ধৈর্যচ্যুতি-ও ঘটেছে অনেকবার।

তবে ইমরান খান আর জেনেলিয়া দুজনকেই আমার ভালো লেগেছে আর বেশ সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে।

মিউজিকের কথা যেটা বললেন, এ.আর.রহমান আমার আমার সবসময়ের ফেভারিট এটা মাথায় রেখেই বলছি, হয়ত এটা ওর দ্য বেস্ট কাজ নয় কিন্তু কিছু গান অসম্ভব সুন্দর। আমার সবচেয়ে প্রিয় "কাহি তো হোগি ও দুনিয়া জাহা তু মেরে সাথ হ্যায়" (গেয়েছে: রশীদ আলী, বসুন্ধরা দাস)। অসাধারণ একটা গান। শুনলেই ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভূতি হয়। এ ছাড়া রশীদ আলী-র গাওয়া "কাভি কাভি" আর এ.আর.রহমান-এর গাওয়া "জানে তু ইয়া জানে না" গানগুলোও ভিন্ন মেজাজের এবং বেশ ভালো মনে হয়েছে। আর "পাপ্পু কান্ট ডান্স সালা" গানের লিরিকটা অসম্ভব মজার লেগেছে। যাই হোক, রিভিউ পড়তে মজা লেগেছে। সিং ইজ কিং-এর রিভিউ-এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম চোখ টিপি

অফটপিক: আদা--আ ওয়ে টু লাইফ শুনেছেন? এ.আর.রহমানের নতুন কাজ। সনু-অলকা'র গাওয়া "হাওয়া সুন হাওয়া" আর ওর নিজের গাওয়া "মেহেরবান" গানদুটো শুনে দেখতে পারেন। অনেকদিন পর ভয়াবহরকম ছুঁয়ে যাবার মতো গান শুনলাম। এক কথায়, অসাধারণ!

_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

অমিত আহমেদ এর ছবি

নাহ গানগুলো শোনা হয়নি। কষ্ট করে ইস্নিপস এর লিংক দিলে এই অধমের বিশেষ সুবিধা হইতো মন খারাপ


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

যথেষ্ট ধৈর্য্য থাকলে এইখান থেকে নামাইতে পারেনঃ http://www.songs.pk/ada_ar_rahman.html
যদি নামাইতে যান তাহলে মাথায় রাইখেনঃ
১) এইটা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে খুইলা রাইট মাউসের save target as এ ক্লিক কইরা নামাইতে হবে ... মজিলায় ভেজাল করে ...
২) এই সাইটটা পপ-আপে গিজগিজ করতেছে ... আবার পপ-আপ ব্লক করলে পেজ লোড হয়না ঠিকভাবে ... কাজেই কষ্ট কইরা পপ-আপের যন্ত্রণা সহ্য কইরা নামাইতে হবে ...
৩) পপ-আপের যন্ত্রণা থাকলেও এমনিতে সাইট ক্লিন ... আমি অনেকদিন ধইরা ভিজিট করি, ভাইরাস-টাইরাস ধরে নাই ... আর হিন্দি গান নামাইতে চাইলে এর চেয়ে ভালো সাইট আর পাবেন না ... হিউজ কালেকশন এবং ওয়েল অর্গানাইজড ...

বিডিআররে ধন্যবাদ, তুমি না কইলে তো এ আর রেহমানের গানের কথা অজানা থাইকা যাইতো দেঁতো হাসি

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ফাহিম:

ব্যাপার না, আমিও বিশেষ প্রীত হইলাম যে তোমারে গানগুলার সন্ধান দিতে পারসি দেঁতো হাসি

আমি গান সাধারণত নামাই www.apunkabollywood.net থেকে। আমার কাছে সাইটটা বেশ ভালোই মনে হইসে। তোমারটাও ট্রাই কইরা দেখবোনে।

অমিত ভাই:

আদা'র ডাউনলোড লিংক হইলো:
http://www.apunkabollywood.net/browser/category/view/3744/ada-..-a-way-of-life-(2008)

ধৈর্য থাকলে এখান থেকে নামিয়ে নিতে পারেন। আমি অবশ্য একটু আগে ইস্নিপ্সে গান দুইটা (আমি যে দুইটা রিকমেন্ড করেছিলাম) আপলোড করেছি।

http://www.esnips.com/doc/c3aa5129-b253-4202-b675-4fb5768f64bc/Meherbaan---A.R.-Rahman

http://www.esnips.com/doc/0ff7c873-4008-48a2-a213-d12cafafce97/Hawa-Sun-Hawa---Sonu-Nigaam--Alka-Yagnik

এরপরও যদি লাগে তো বলবেন, মেইল করে না হয় পাঠিয়ে দিব হাসি

গানগুলো ভালো লাগার কথা। পরে জানাবেন কেমন লাগল।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

তানবীরা এর ছবি

অমিত আমি আমি আছি একনিষ্ট পাঠক। আর কারো জন্য না হলেও আমার জন্য লেখেন।

আমি এবার লন্ডন যেয়ে দেখলাম মেহবুবা হলে গিয়ে উইকএন্ড রেটে টিকিট কেটে। হলে বসে মনে হলো আত্মহত্যা এর থেকে সস্তায় করতে পারতাম।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অমিত আহমেদ এর ছবি

কন কি! একেবারে থিয়েটারে গিয়ে? হে হে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

রায়হান আবীর এর ছবি

দেইখেন না এই সব সিনামা।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অমিত আহমেদ এর ছবি

ক্যান? রুচি বদলাতে হিন্দি সিমেরার জুড়ি নেই। পোলাও খেতে খেতে এলাচের দানায় কামড় পড়ার মতো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অমিত আহমেদ এর ছবি
সবজান্তা এর ছবি

আমাদের ডিপার্টমেন্টে একজন মাটির মানুষ স্যার আছেন। উনি খাতা দেখে শুধু লেখেন মাইনাস এক, মাইনাস দুই অর্থাৎ উনার ভাষ্য হচ্ছে, আমি তোমাদের ফুল মার্কস দিয়ে রেখেছি, শুধু যেখানে ভুল করবে সেখানে সামান্য কিছু কাটি।

হিন্দি সিনেমা দেখার বেলায় আমার নীতি অনেকটা এমনই, তবে উল্টা। আমি ধরেই নেই হিন্দি সিনেমা মানে শুন্য। এরপর যে সিনেমা যাই করে তাই আমার কাছে উপরি পাওনা। অমিত ভাই যেমন বললেন দিল চাহতা হ্যায়, এমন ধরণের কিছু ছবি যেমন কোম্পানী, রাঙ্গ দে বাসান্তী, তারে জামিন পার এসব কিছু দেখে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিলাম, কারণ এতোটা আমি আশা করি না। হিন্দি সিনেমা মূলত আমার কাছে একদম টাইমপাস বিনোদন। এখনো মাঝে মাঝে দুপুরে কিংবা রাতে খাবার সময় জি সিনেমাতে গোবিন্দ আর রাভিনার ভাড়ামোর ছবি দেখি। এর থেকে হালকা একধরণের বিনোদন পাই আমি, কাহিনী কিংবা অভিনয় নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাই না।

অনেক অযথা কথা বলে ফেললাম। আসল কথাটা বলি, আপনার রিভিউটা ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে এরকম মুভি রিভিউ দিলে ভালোই হয়।


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত এর ছবি

আমি ধরেই নেই হিন্দি সিনেমা মানে শুন্য।

কেন ?
____________________________________
দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম

সবজান্তা এর ছবি

হা হা ভাই, বিতর্কের আভাস পাই, কিন্তু বিশ্বাস করেন সারাদিন জ্বরের শরীর নিয়া দৌড়ায়া বিতর্কের অবস্থা আর নাই। তয় ফ্রেন্ডলি ফায়ার হইলে খেলতে রাজি আছি।

আসলে হিন্দি সিনেমা মানে শুন্য, কথাটা এখন আর পুরোপুরি খাটে না। এখনকার প্রচুর হিন্দি সিনেমাতেই আমি অনেক ধরণের চমক দেখি। জনি গাদ্দার কিংবা আরো জানি কী একটা সিনেমা ছিলো অনিল কাপুরের , ওগুলো দেখে বেশ বুঝি, হিন্দি সিনেমা টিপিক্যাল বৃষ্টিভেজা আমি তুমির থেকে ভালোই বের হয়ে আসছে।

তবে মূল দর্শকশ্রেনীর রুচি, পছন্দ ইত্যাদি বিবেচনা করে এখনো অধিকাংশ সিনেমাকেই হিট বানানোর জন্য প্রথাগত রাস্তা ধরেই হাঁটতে হয়। পক্ষান্তরে হলিউডের কথাই যদি বলি, দর্শকশ্রেনীর ভিন্নতা, অর্থ, কালচার সব কিছু মিলিয়ে এখনো অনেক বেশি পছন্দ ( আমার ব্যক্তিগত ) করার অত ছবি এখান থেকেই পাই। তাই যখন আমি ভাবি যে অবসর সময়ে একটা সিনেমা দেখবো, না চাইলেও ইংরেজীর দিকেই ঝুঁকি। অন্যকারো কাছে ভালো কথা শুনলেই কেবল মাত্র হিন্দি ছবি দেখি।


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত এর ছবি

টেকনিকাল ধুনফুন বাদ দিলে হলিউডে ভাল ছবির সংখ্যা গুনে বলা যাবে। আর আর্ট ফিল্ম (!!!) এর কথা বাদ দিলেও মেইনস্ট্রিম হিন্দি মুভিগুলার অনেক গুলাই কিন্তু মেকিং, এডিটিং, সিনেমাটোগ্রাফি-র দিক দিয়ে ওয়ার্ল্ডক্লাস।
খারাপ লাগে বাংলা সিনেমার অধঃপতন দেখে।
তবে এদের সবার থেকেই ইওরোপিয়ান মুভি ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে আছে ১০০ বছর, আবারও টেকনিকাল ধুনফুন বাদ দিয়ে।

সবজান্তা এর ছবি

একটা আসলে ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি আসলে হলিউড বলতে বাইরের সব মুভিকেই বুঝিয়েছিলাম।

দেখেন আমার চলচ্চিত্র বিচার ক্ষমতায়, টেকনিক্যাল ধুন ফুন এর ব্যাপার বাদ দিয়েও হলিউডে ভালো ছবির সংখ্যা মনে হয় খারাপ না। এই মূহুর্তে বেশ অনেকগুলিই মনে করতে পারছি। তবে ভালো ছবি কনসেপ্টটা খুব ঝাপসা আমার কাছে। ভালো আপেক্ষিক, তাই এ নিয়ে তর্ক হতে পারে।


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত এর ছবি

ঠিকাছে, আগে হিন্দি মুভি নিয়ে কথাবার্তাটা শেষ হোক। আপনি আমারে আপনার দেখা সেরা ৫টা হিন্দি মুভির নাম বলেন।

সবজান্তা এর ছবি

হা হা, অমিত ভাই, আমি আপাতত আজকের জন্য একটু যুদ্ধবিরতি চাচ্ছি। থার্মোমিটারের পারা চরচর করে লাফিয়ে উঠায়, ঠিকমত আর কিছু ভাবতে পারছি না। কথা দিচ্ছি, সুস্থ হয়েই এ নিয়ে কথা শুরু করবো।

Stay Tuned.


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত এর ছবি

ওক্কে। ভাল থাইকেন।

অমিত আহমেদ এর ছবি

বেশ তো আড্ডা জমেছিলো মন খারাপ


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমি এই চেয়ারে বইসা এফেক্টের ধুনফুন বাদ দিয়া আনলিমিটেড হলিউডের ভালো ছবির নাম দিতে পারব।
বাইল্যা মাছের সাথে কৃষ্ণচূড়ার তুলনা করার দরকার কী? দেঁতো হাসি
--------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নিঘাত তিথি এর ছবি

সবজান্তার স্যারের কথা শুনে খুব মজা লাগলো। আর হিন্দী সিনেমা বিষয়ক তার কথাটাও ঠিক, দেখার সময় খুব বেশি কিছু আশা করার মানে হয় না। ভালো লাগলে উপরি পাওনা, না লাগলে স্বাভাবিক। তারপরেও দেখি, মাঝে মাঝে নাচ-গান, হাবিজাবি ভালোই লাগে!

"জানে তু..." সিনেমাটা আমার একদম ভালো লাগে নি বললে হিপোক্রেসী হবে। ভারি কোন কাহিনী নেই, কোন মেসেজ নেই। অসাধারণ কিছুই নয়। সাধারণ হিন্দী সিনেমা। তবু আমার মজাই লেগেছে...নিজের ইউনিভার্সিটি জীবনের কথা মনে হয়েছে, আরো কিছু ব্যক্তিগত কারণ আছে। আর দুইজন বন্ধু এত কাছে থেকেও নিজেদের প্রেমের কথা বুঝেনি--এই বিষয়টাকে অমিত ভাইয়ের আজব লেগেছে। ভাইজান, আপনি কেমনে জানেন যে সবাই সব ঠিক সময়ে বুঝে? কত মানুষের কত সময় লেগে যায়! ধরেন কখনও কখনও সাড়ে তিন বছরও লেগে যেতে পারে...।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আর দুইজন বন্ধু এত কাছে থেকেও নিজেদের প্রেমের কথা বুঝেনি--এই বিষয়টাকে অমিত ভাইয়ের আজব লেগেছে। ভাইজান, আপনি কেমনে জানেন যে সবাই সব ঠিক সময়ে বুঝে? কত মানুষের কত সময় লেগে যায়! ধরেন কখনও কখনও সাড়ে তিন বছরও লেগে যেতে পারে...।

গল্পের আভাস পাওয়া যাইতেছে দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

নিজেদের প্রেমের কথা বোঝেনি সেই নিয়ে তো আমি কোথাও বিস্ময় প্রকাশ করিনি। আমি বিস্মিত হয়েছি তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে অন্যদের অন্ধকারে থাকা নিয়ে। এমন মনে হয় চার বছরে ওদের দু'জনের কথা কেউ কখনো জানতে চায়নি। বন্ধুদের কথা বাদ দিলাম, বাবা-মা এই কথা তো জানতে চাইবেনই। সেটাই স্বাভাবিক।

হিন্দি সিনেমার কাছে কিছু আশা করা ঠিক নয় এই মন্তব্যের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। অসাধারণ কিছু উপহার দেবার ক্ষমতা বলিউডের ভালোই আছে। কেবল পাবলিক খাবে নাকি সেই ভয়ে অনেকেই ইচ্ছে করে পিছিয়ে থাকেন। ভারতের মতো দেশেই "স্বদেশ" ফ্লপ হয়। আবার "ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া" হিট হয়।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ভারতের মতো দেশেই "স্বদেশ" ফ্লপ হয়। আবার "ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া" হিট হয়।

যাক আরেকজনরে পাওয়া গেল যার স্বদেশ ভাল্লাগছে ... শুধু ইন্ডিয়া না, আমার ফ্রেন্ডদের মধ্যেও স্বদেশ ভাল্লাগছে এমন পাবলিক হাতেগোণা, বাকিরা আমারে ধুনা দিছে এই ছবি রেকমেন্ড কর্ছিলাম বইলা ... মজার ব্যাপার হইলো তাদের মধ্যে শুধু সস্তা হিন্দি ছবি ছাড়া আর কিছু খায় না এমন পাবলিক যেমন আছে তেমনি টপ-রেংক ছবি দেখে ফাটায়ে ফেলতেছে এমন পাবলিকও আছে ...

আর ইন্ডিয়ার পাবলিকের কথা আর কি কমু ... দিল চাহতা হ্যায় এর গ্রস প্রফিট মনে হইয় দেখছিলাম চার কোটি রূপির মত, যেখানে গাদার-এক প্রেম কথার মত ছবির (যেখানে সানি দেওল খালি হাতে টিউবোয়েল তুইলা জনতারে ঠেঙায় দেঁতো হাসি ) গ্রস ইনকাম পঞ্চাশ কোটির উপরে ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

কও কি!
শাহরুখ খানকে আমার পেইন লাগে, কিন্তু এই একটা ভালো সিনেমা সে করছে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ফাহিম, স্বদেশ কিন্তু আমারও খুবই ভালো লাগসিলো। আর মিউজিকের কথা কি আর বলব! এ.আর.রহমান তো এ.আর.রহমান-ই ! "ইয়ে জো দেস হ্যায় তেরা" গানটা শুনলে অসাধারণ এক অনুভূতি হয়।

গাদার! আমিশা 'পাতিল' আর সানি পাঁজী'র সুপার ডুপার ব্লকবাস্টার মুভি! নো কমেন্টস! বুইঝা লও! দেঁতো হাসি
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

হিমু এর ছবি

হিন্দি সিনেমার মধ্যে আমার ফেভারিট হচ্ছে আন্দাজ আপনা আপনা। বারবার দেখি। একেবারে নিপাট ভাঁড়ামো, কিন্তু যতবার দেখি ততবারই ভালো লাগে। তারপর ভালো লেগেছে ইস রাত কি সুবহা নেহি, কৌন, রাত, মুসকুরাহাত, দিল চাহতা হ্যায়, কোম্পানি। দক্ষিণ ভারতীয় ছবির মধ্যে ভালো লেগেছে সাদমা আর কালাপানি


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

পারলে জানে ভি দো ইয়ারো টা দেখিস। লাস্টের সিকোয়েন্সটা পুরা পাংখা।

অমিত আহমেদ এর ছবি

"আন্দাজ আপনা আপনা" আমার সেরম প্রিয় সিনেমা। সেদিন নিউজে পড়লাম এর সিক্যুয়ল হচ্ছে। "দিল চাহতা হ্যায়", "কোম্পানি" বাদে বাকিগুলো অবশ্য দেখি নাই।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আমি বছরে হিন্দি ছবি দেখি সাকূল্যে পাঁচ-সাতটা ... গত ছয়-সাত বছরের ভালো লাগা ছবির লিস্ট মোটামুটি এই রকম (দুই একতা বাদ পড়তে পারে শিওর না):

রং দে বাসন্তী
দিল চাহতা হ্যায়
তারে জমিন পার
লগন
পেজ থ্রী
লাইফ ইন আ মেট্রো
কাল হো না হো
কোম্পানী
ওমকারা
মকবুল
কৌন
লক্ষ্য
স্বদেশ
লাগে রাহো মুন্নাভাই
ব্ল্যাক
হেরা ফেরি
চাচী ৪২০
সাথীয়া
সরকার
সরকার রাজ
আবতাক ছাপ্পান
যুবা
রেইনকোট
আঁখে
এক হাসিনা থী
চাক দে ইন্ডিয়া
গুরু

পুরান ছবির মধ্যে মনে পরতেছে কমল হাসানের পুষ্পক ... এইটারে অবশ্য হিন্দী ছবি বলা যায় কিনা বুঝতেছি না, কোন ডায়লগ নাই দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সামনে রমযান মাস অথচ "রোজা"র কথা একেবারেই কইলেন না জনাব! কিঞ্চিৎ সেন্টু খাইলাম মনে হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

রোজা যখন বাইর হইছিল তখন হাফপেন্টুল পইরা ইশকুলে যাই ... দেখছিলাম কিনা সেইটাও মনে নাই খাইছে

তবে রোজার গানগুলি বড়ই সৌন্দর্য্য ... রেহমান এট হিজ বেস্ট ... এখনো শুনি দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

ভাই তো ভালোই হিন্দি সিনেমা দেখেন মনে হচ্ছে হাসি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

জানতাম এইটাই বলবেন দেঁতো হাসি

লিস্টটা দ্যাখেন, লগন আর দিল চাহতা হ্যায় রিলিজ হয় টু থাওজ্যান্ডে ... সো গত আট বছরে মোটামুটি এই কয়টা ছবি ভালো লাগছে ... আর আমি হিন্দী ছবি এক্সপেরিমেন্টালি দেখি না ... রিভিউ-টিভিউ দেইখা যখন মোটামুতি শিওর হই তখনি দেখি ... সো যে কয়টা দেখছি প্রায় সবই ভাল্লাগছে ... সাক্সেস রেট প্রায় হান্ড্রেড দেঁতো হাসি

জানে তু দেখার খুব বেশি শখ ছিল না, যেসব পুলাপানের রুচির উপরে ভরসা আছে তারা দেইখা মোটামুটি পজিতিভ রিপোর্ট দেয়ার পরে দেখলাম ... অসাধারণ কিছু না, বাট ভালো লাগছে ... সবচে ভাল্লাগছে নাসিরুদ্দিনের নাচ দেঁতো হাসি

সিং ইজ কিং জীবনেও দেখুম না দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মাঝে মাঝে এইরম হিন্দি ছবির রিভিউ লেইখেন তো.... বাছ বিচারে সুবিধা হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

ভালো লাগা আরো দুইটা সিনেমার কথা বলা দরকার ছিলো। পুষ্পক (দক্ষিণী, যেটার কথা কিংকর্তব্যবিমূঢ় উল্লেখ করেছে) আর হেই রাম! (বলিউড)।

আর পুরানা জমানার সিনেমাগুলি, বিশেষ করে অমোল পালেকার আর উৎপল দত্ত অভিনীত ছবিগুলি (নরমগরম, গোলমাল, ছোটি সি বাত) তো দারুণ!


হাঁটুপানির জলদস্যু

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আর পুরানা জমানার সিনেমাগুলি, বিশেষ করে অমোল পালেকার আর উৎপল দত্ত অভিনীত ছবিগুলি (নরমগরম, গোলমাল, ছোটি সি বাত) তো দারুণ!

ইয়েস! এই ছবিগুলির কথা মনে ছিল না ... অসাধারণ ...

হেই রাম কেন জানি দেখতে ইচ্ছা করে নাই ইয়ে, মানে...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

ঠিক।
উৎপল দত্তের সিনেমাগুলো বারবার দেখা যায়। এখন মনে করিয়ে দিলেন... ডাউনলোড দিতে হচ্ছে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

এনকিদু এর ছবি

সিনেমা আর দেখা লাগবে না, আপনার লেখা পড়েই অনেক মজা পাইলাম । এখন থেকে ভাল সিনেমা দেখে এরকম আরো ভাল লেখা দিয়েন, খারাপ সিনেমা দেখলে সেটাও কেরামতি করে ভাল রসাত্নক বানিয়ে লিখে দিয়েন । আপনার লেখা পড়েই আমার হয়ে যাবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তারেক এর ছবি

আমার কাছে মুভিটা বেশ মজার মনে হয়েছে... রং দে বাসন্তীর পর এই একটা মুভি দেখে আমি মজা পাইছি।
অমিত ভাইকে সবিনয়ে বলি, আলোচনাটা বেশ উন্নাসিক হয়েছে। মুভিটা ভালো লাগে নাই আপনার বুঝতে পারছি, অনেক কষ্ট করে দেখেছেন এবং এইরকম একটা হাল্কা চালের মুভি নিয়ে লিখেছেন... আবার সিং ইজ কিং নিয়ে ও লিখার ইচ্ছের কথা জানালেন...
ছিঃনেমা ক্যটেগরীতে ফেলে রম্যালোচনা হইলে আর মজা পেতাম হয়তো হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অমিত আহমেদ এর ছবি

যে কোনো ক্রিয়েটিভ কাজের যাচাই ব্যক্তিগত রুচির উপর নির্ভর করে। আপনার যেমন ভালো লেগেছে তেমনি আরও অনেকেরই ভালো লেগেছে (মন্তব্য দ্রষ্টব্য), ভারতের কোটি মানুষের ভালো লেগেছে - তাই আমার লেখা পড়ে আহত হবার কোনো কারণ দেখি না। আমি আমার বিবেচনায় (কমার্শিয়াল হিন্দি সিনেমার প্রেক্ষিতেই, যেমন অন্য যে সিনেমার কথা বললেন "রাঙ দে বাসান্তি" সেটিকে আমি দেবো পাঁচে সাড়ে তিন) এ সিনেমা যেখানে স্থান পায় সেখানেই রেখেছি এবং সেটা জানান দেয়া যে উন্নাসিকতা হতে পারে তা মনে করি নাই। যে সিনেমাগুলি দেখেছি সেগুলোর রিভিউ করছি, এখানে আলাদা কোনো ক্যাটেগরি করতে হবে কেনো?


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমার মন্তব্য পইড়া তারেক ভাই আবার ভাইবা বসতে পারেন যে আমি মাইন্ড খাইছি। সেইটা যে খাই নাই তাই প্রমান করতে --> হাসি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সত্যজিতের শতরঞ্জ কি খিলাড়ি ছাড়া জীবনে কোন হিন্দী ছবি দেখুম না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

কিংকর্তব্যবিমূঢ়: তোমার সাইট থেকে একটু আগে ডাউনলোড দিলাম পুরা অ্যালবাম। সাইট খানা দেখি গানে ভরপুর! আস্তে আস্তে আরও কিছু ডাউনলোড দিবো। থ্যাংকস। আর ভালো কথা - আমি কিন্তু ফায়ারফক্স থেকেই, পপআপ ব্লক করে, ডাউনলোড অ্যাডঅন দিয়ে নির্ঝঞ্ঝাটে ডাউনলোড করলাম। সমস্যা হয় নাই।
অতন্দ্র প্রহরী: আরে তোমার সাইটটাও তো দারুন! এই লিংকটাও বুকমার্ক করে রাখলাম। থ্যাংকস ম্যান!
নজরুল ইসলাম: আবার জিগস খাইছে
এনকিদু: হা হা হা। ঠিকাছে ভাই।
পরিবর্তনশীল ও শিক্ষানবিস: একেবারে না দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া মনে হয় ঠিক না। সব কিছুতেই ভালো-মন্দ আছে। ভালোটুকু গ্রহন করে নেয়াটাই ভালো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

তাই নাকি ... তাহলে মজিলার আগের ভার্সনে ভেজাল করতো বলে আমি আর ট্রাই করি নাই ... দেখি আপডেটেডটা দিয়ে আবার চেষ্টা করি হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

লেখাটা পুরা জাঝা।

আগামী মাসে এক্টানা সিনেমা দেখার প্ল্যান করতেছি। কয়েকটা নামধাম বইলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।