ঢাকা থেকে ২: হ্যালো ঢাকা

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: রবি, ১২/০৭/২০০৯ - ১০:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক

প্রচন্ড গরম। যাকেই এ কথা বলি সেই খ্যা-খ্যা করে হাসে। বলে, "মামা, আর কদ্দিন আগে আইলে গরম কী ও কতো প্রকার বুঝতা!" আমার বোঝার তেমন আগ্রহ হয় না। এমনিতেই বাইরে গেলে জামা ঘামে ভিজে শরীরে লেপ্টে থাকে; শরীর চিটচিটে হয়ে আসে।

গতবছর ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা এসেছিলাম। এই দেড় বছরে ঢাকার চকচকে ভাবটা কেমন যেনো মলিন হয়ে গেছে বলে মনে হয়। রাস্তা-ঘাট ভাঙা। দেয়াল ভর্তি আজে বাজে বিজ্ঞাপন। হাঁটা রাস্তাজুড়ে আবর্জনা। যাওয়া আসার পথে নতুন দেখি নতুন বস্তি গজিয়ে উঠেছে। রাস্তার ধারে গৃহহীন মানুষ, ট্রাফিক স্যিগন্যালের মোড়ে মোড়ে অসংখ্য ভিক্ষুক। মনটা খারাপ হয়ে যায়। এটাই আসলে ঢাকার আসল চিত্র। জোর করে ভাসমান মানুষ-ভিক্ষুক তাড়িয়ে, ঝলমলে আলোতে-বিজ্ঞাপনে এতোদিন যেনো চাপা দেয়া ছিলো সব। এখন সব-সবাই আবার বেরিয়ে এসেছে।

ঢাকায় চোখে পড়ে ধর্মের বাহ্যিক প্রদর্শন। গতবারেও এটা খেয়াল করেছিলাম। বাড়ছে টুপি-দাঁড়ি আর বোরকা পরা মানুষের সংখ্যা। বাড়ছে অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যাও। বনানীতে আমাদের বাসার আশে-পাশের অনেক একতলা দালান দেখি আর নেই। সব বিল্ডারদের হাতে চলে গেছে; ওরা সুউচ্চ দালান বানাচ্ছে পুরনো দালান গুঁড়িয়ে। বেড়েছে রেস্তোরার সংখ্যা। যেদিকে তাকাই শুধু রেস্তোরা। কোনোটা দেশি, কোনোটা বিদেশী, কোনোটা আবার ফাস্টফুড বেচে। দামের মধ্যেও এতো ফারাক। কোথাও একবেলা খেতে লাগে পঞ্চাশ টাকা, কোথাও পাঁচশো। এসবের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় বেনিয়াদের কেএফসি, পিৎসা হাট, এ-এন-ডব্লিউ। সেখানেও অগুনতি মানুষের ভিড়।

গতকাল যাই বসুদ্ধরা শপিং মলে। আরিফ-টুটুল-নজরুল-মেসবাহ-রাসেল ভাইরা ওখানে ছিলেন। চা-সিগারেট-কফির সাথে নিছক আড্ডা। শপিং মলে ঢোকার পথে আমি কেমন দিশেহারা হয়ে যাই। এতো মানুষ! আমার বসুন্ধরাকে মৌচাকের মতো মনে হয়। সেই চাক ঘিরে অগুনতি মানুষরূপী মৌমাছির ভিড়। এতো মানুষের উচ্ছ্বাস, আনন্দ, কেনাকাটা দেখে আমার মনে হয় না এই দেশে এতো অভাব আছে। মনে হয় না এক ধাপ নেমে এলেই আমাকে ঘিরে ধরবে অভাবী মানুষের সাহায্যপ্রার্থী হাত। লিফট ধরে ফুডকোর্টে গিয়ে আবারো চমকে যাই। প্লেটে প্লেটে চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নুডল, শওরমা, বার্গার... কে বলবে দেশে খাদ্যাভাব?

দুই

গতকাল তাঁত বস্ত্রমেলা থেকেও ঘুরে এলাম। মানিক মিয়া এভিনিউ এর বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের উদ্যোগে চলছে এই মেলা। ঘুরে ঘুরে দেখি। তাঁতের শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, বিছানার চাদর, হস্তশিল্প, সবই আছে। অনেক বিদেশিনিকে দেখলাম। তাদের চোখে মুখে গুপ্তধন আবিষ্কারের আলো! তবে ব্যবস্থাপনা খুব ভালো মনে হলো না। ক্রমাগত স্পিকারে বালামের সিডি বাজছে। প্রবেশ পথের ঠিক পাশে আবার কোথা থেকে যেনো একটা কুৎসিত দর্শন ভাঙা তাঁত এনে ফেলে রাখা হয়েছে। দেখলেই অস্বস্থি লাগে। বাতাস চলাচলের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এই গরমে একটু পর পর তেষ্টা পায়। সেটা নিবারণেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। তাঁত বস্ত্রের সাথে কিছু স্টলে দেখলাম চিপস, মধু, হাড়ি-পাতিল, ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে। হোক। এতেও যদি বোর্ড কিছু টাকা পায়।

ঘুরে বুঝলাম যতোই "ফিক্সড প্রাইস" লেখা থাকুক না কেনো দরদাম না করলে ঠকতে হবে। ইচ্ছে মতো দাম লেখা। খানিক ঘুরে গরমের ঠেলা সামলাতে বাইরে এসে পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরাই। পাটের চাহিদা বাড়ছে সারা পৃথিবী জুড়ে। আর সেই পাটকল একের পর এক বন্ধ করে দিলাম আমরা। এখন দেশে পাটশিল্পের যে অবস্থা আর পাট চাষের যে তরিকা তাতে খুব আশাবাদী হতে পারি না। ভারতের একচেটিয়া বানিজ্য দেখেই আমাদের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে যেতে হবে। দ্য গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ!

তিন

এবার দেশে এসেছি একটা তালিকা নিয়ে। অল্প সময়ের জন্য দেশে আসি। দেখা যায় আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-বান্ধবদের সময় দিতেই সময় শেষ হয়ে যায়। আট/নয় বছর ধরে যে কাজগুলো না করতে পেরে প্রবাসে বসে আফসোস করি সেগুলো আর করা হয় না। কতো দিন শাঁখারীবাজারের দিকে যাই না; অনেকদিনের ইচ্ছে ওখানে গিয়ে কিছু ছবি তুলবো! নটরডেমে পড়াবস্থায় ব্যবহারিকের দিনগুলোতে একটা রেস্তোরায় দুপুরে ডাল-ভাত-গরু/মাছ কিংবা বিরিয়ানী খেতাম। সেই রেস্তোরায় খাই না নয় বছর। কতো বছর নিউমার্কেটে যাই না। জানি এবারও তালিকার সব করা হবে না। তবু যদ্দুর যা করা যায়। প্রবাসীদের তো এমনই জীবন।

ইদানিং দেশে এসে নতুন অনেকের সাথে পরিচিত হয়েই আর আলাপের বিষয় খুঁজে পাই না। অনেকেরই আলোচনার বস্তু, ভাবনা ম্লেছ মনে হয়; অজ্ঞানতা মনে হয়। হয়তো আমিই বদলে গেছি। ছেলেবেলার বন্ধুদের সাথে এই সমস্যা খুব একটা হয় না। তাই ওদের সাথেই সময় কাটে বেশি। সুযোগ পেলেই নানান রেস্তোরায় আড্ডা মারি। স্টার কাবাবে যাই। রুমালী রুটির সাথে গ্লাসসি খাই। বলি, "দোস্ত কিছু করা দরকার। কি করা যায় বলতো?" এলিফ্যান্ট রোড়ে যাই জুতো দেখতে। সেই ফাঁকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাই। চানাচুর খাই। পেয়াজু, আলুর চপ খাই। যা পাই তাই খাই। যা পাই তাই কিনি। প্রবাসীরা সাধারণত যা করে থাকেন।

মিলিয়ে-ঝুলিয়ে সব, মন্দ লাগে না। বরং ভালো লাগা একটা কিছু বুকের মাঝে জট পাকিয়ে থাকে। শত হলেও তো বাংলাদেশ! আমার বাংলাদেশ!!

© অমিত আহমেদ

আগামীকাল "অ্যা মিউজিক্যাল ইভনিং ফর অ্যা ফ্রিডম ফাইটার" নিয়ে দু'কলম লেখা থাকবে।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এসব নিয়েই বাংলাদেশ।

নিবিড় এর ছবি

অমিত ভাই আমি ভাবছিলাম আপনি বয়সে অনেক বড় হাসি
ঢাকা আসলেই বদলে যাচ্ছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সোহাগ ভূইঁয়া এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে ঢাকাকে অনেক মিস করছি! মন খারাপ

এনকিদু এর ছবি

নটরডেমে পড়াবস্থায় ব্যবহারিকের দিনগুলোতে একটা রেস্তোরায় দুপুরে ডাল-ভাত-গরু/মাছ কিংবা বিরিয়ানী খেতাম।

ক্ষুধা নিবারন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অমিত আহমেদ এর ছবি
সবজান্তা এর ছবি

নাকি আপ্যায়ন ? এইটাও কিন্তু বিখ্যাত হোটেল। এইটা বলেন হোটেলটা কি মেইন রোডের উপরে ছিলো নাকি আরামবাগের সেই গলির সামান্য ভিতরে ছিলো ?


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত আহমেদ এর ছবি

মেইন রোড়ের উপরে ছিলো। তবে একাধিক রেস্তোরায় খাইতাম। আরেকটা ছিলো চত্তরের ঠিক আগের গলিতে। আরেকটাতে যাইতাম হঠাৎ হঠাৎ, সেটা ছিলো কাঁচাবাজারের ঠিক উলটা সাইডে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ঢাকায় যাতি ইসসে করে। মন খারাপ

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাহবুবুল হক এর ছবি

ঢাকায় চোখে পড়ে ধর্মের বাহ্যিক প্রদর্শন। গতবারেও এটা খেয়াল করেছিলাম। বাড়ছে টুপি-দাঁড়ি আর বোরকা পরা মানুষের সংখ্যা।

আপনার এ পর্যবেক্ষণটার সাথে সহমত জানাচ্ছি। আমি প্রায়ই একা একা ভাবি, ঢাকা শহরে মসজিদ-মাদ্রাসা-মহিলা মাদ্রাসা-এতিমখানার সংখ্যা কত ? আমার এলাকাতেই যদি হাফ বর্গকিলোর মধ্যে চারটি মসজিদ আর কমপক্ষে ১০ টি মাদ্রাসা-এতিমখানা-হেজফখানা (তার মধ্যে আবার অন্তত ৪ টি মহিলাদের জন্য) ইত্যাদি থাকে তাহলে সারা ঢাকা শহরে এর সংখ্যা কত হতে পারে ভেবে আমি অবাক হই। এসব প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কী বিদ্যার্জন হচ্ছে বা কারা আসছে-যাচ্ছে কেউ কি জানে ? বিগত জোট সরকার এ ক্ষেত্রে সম্ভবত প্রবল উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী আনা হচ্ছে গ্রাম থেকে, তাদেরকে কি প্রলোভন দেয়া হচ্ছে ? মহিলা মাদ্রাসা গুলোর অবস্থান ও রাখঢাক ভাব দেখে ঘোরতর সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক। ঢাকা শহবের অত্যন্ত ব্যস্ত ও ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অনেক মাদ্রাসা রাতাবাতি গজিয়ে উঠেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এলাকার অলিগলি-মোড়ের দোকানগুলোতে টুপি-দাড়িঅলা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে তা ও লক্ষণীয়। সব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা রাজপথের পাশেই বড় বড় মসজিদ দাঁড়িয়ে আছে বিশাল স্থাপনা নিয়ে, এলাকাবাসি বা সরকার চাইলেও সেসব রাস্তার প্রশস্তকরণ আর কখনোই হয়তো সম্ভব নয়। যেমন সম্ভব নয় নদী দখল করে গজিয়ে ওঠা মসজিদ বা মাদ্রাসাগুলো ভাঙা। ঢাকা শহরে রাস্তা বন্ধ করে জুম'আর জামাত হয় এরকম মসজিদের সংখ্যা কম নয়। নাগরিক জ্ঞান বা দায়িত্ববোধ এখানে ধর্মীয় উন্মাদনা আর অবিমৃ্ষ্যকারিতায় ভেসে যায়। সওয়াব হাসিলের বাহ্যিক আয়োজন আমাদের মধ্যে এত প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে দেখে বিস্মিত হই, বাংলাদেশ শুধু বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ গুলোর একটা নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
.................................................................................................................

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধর্মের প্রদর্শন আর ব্যবহারই বাড়ছে শুধু; সবাই যেভাবে পারছে ধর্মকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছে; এর বেশি কিছু না। এই মন্তব্যের দরকার ছিলো খুব এই পোস্টে। ধন্যবাদ!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

ধুর, তাও তো দেশে গেছিস। তোর চোখেই না হয় ঢাকা দেখি।

সন্ধ্যার পর মঞ্জুর টং-এ গেছিলি?

অমিত আহমেদ এর ছবি

মঞ্জুর টং এ গেছিলাম। আগের মতো নাই। গিয়ে দেখবি আশে-পাশের অফিসের কয়েকজন কর্মচারি কেবল বসে আছে। নর্থ সাউথ আর ওইখানে নেই তো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

অমিত আহমেদ এর ছবি

@ প্রকৃতিপ্রেমিক, আসলেই পিপি'দা। আফসোস!
@ নিবিড়, তোমার চেয়ে তো বড়ই দেঁতো হাসি
@ সোহাগ ভূইঁয়া, শেষ কবে এসেছিলেন ঢাকায়?
@ এস এম মাহবুব মুর্শেদ, আপনার আসার প্ল্যান কবে?


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

বিপ্রতীপ এর ছবি

মুহুর্তের জন্য মনে হলো সব ছেড়ে ছুঁড়ে ফিরে যাই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মনটা খারাপ করে দেয় ঢাকার কথা...

সাজেদ এর ছবি

দারুন লেখা, ঢাকা নিয়ে আরো লিখেন, দীর্ঘ ৬ বছর পরে ঢাকায় যাব।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এই ছেলেটার বিয়ে দেয়া দরকার । ঢাকায় এখন গরম কোথায় ? এ কী বলে এসব??
গতমাসের তুলনায় তো এখন জ্যাকেট পরা ঠান্ডা ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ওইসব নিয়ে আর কী বলবো! বুঝতেই পারছেন। আমিও বুঝতে পারছি।

তবে, অতোকিছুর মধ্যে আমার যে লাইনটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো (এমন যেখানেই যখনই দেখি ভালো লাগে), সেইটা হইলো এই বিষয়টা, যে আপনি এক্স-নটরডেমিয়ান। কারণ, আমিও। দেঁতো হাসি
আমার রোল ছিল ৯৬১০৭২. আপনার? হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আপ্নে তো গ্রুপ-১। কিন্তু অহনতরি আমি এইটা জানিও না!!!

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আইছে আরেকজন! তার মানে, আপ্নেও! অ্যাঁ
হুরোমিয়া! হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এই তো ...সচলের সেই প্রিয় মুখের সেই রকম সাবলীল লেখা। খুব ভালো। চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আহমেদুর রশীদ [অতিথি] এর ছবি

এই একমাস অমিতের বর্ষা সিরিজ চলুক।

সিরাত এর ছবি

অন্য চোখে দৈনন্দিনকে দেখা হল। ভাল লাগলো।

আজকে খুবই কড়া গরম পড়েছে। গতকালও এরকমই ছিল।

রায়হান আবীর এর ছবি

বসুন্ধরা কাঁচাবাজারে কয়জন আর কেনাকাটা করতে যায়? সবাই তো ডেট করতে যায় দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

অমিত এর ছবি

ঢাকায় যাওয়া দরকার একবার। আমার হয়ে বেশ কয়েকটা বিফ শরমা খেয়ে এস হাতিরপুলে।

দ্রোহী এর ছবি

সবাই দেশে যায়। খালি যাওয়া হয় না আমার।

মন খারাপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দেখো দেখি কী কাণ্ড, মেম্বর মন খারাপ করে ক্যান? আরে আমরা তো যামু আরও পরে। আগে অমিত, ফাহিম, শিমুল- এরা গিয়া গিয়া পুরান হোক না। আমাগো তো বেইল আইবো বেয়ান রাইতে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

হিংসা মন খারাপ
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

@ বিপ্রতীপ, কী আর করবা কও। জীবন।
@ ইশতিয়াক রউফ, বুঝিরে ভাই!
@ সাজেদ, খুব সম্ভব ঢাকাকে আগের মতো চিনতে পারবেন না। তবু আগে থেকেই স্বাগতম জানিয়ে রাখি।
@ আরিফ জেবতিক ভাই, এই গরমের বাজারে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন মন খারাপ
@ সাইফুল আকবর খান, নটরডেমিয়ানের ব্যাপার্টাই আলাদা। এইটা আমারো হয়। আমার রোল ছিলো ১৯৯০৩২০।
@ বিপ্লব রহমান'দা, ধন্যবাদ দাদা।
@ আহমেদুর রশীদ ভাই, চলবে হাসি
@ সিরাত, অনেক ধন্যবাদ।
@ রায়হান আবীর, আবীরের তো বেশ জ্ঞান আছে এই নিয়া। জটিলস্য ব্রাদার। জটিলস্য দেঁতো হাসি
@ অমিত ভাই, সুযোগ পেলে টরন্টোতেও আসেন। আর হাতিরপুলে বিফ শওরমা খেয়ে ছবি দিবোনে।
@ দ্রোহী, বস আপ্নেও আসবেন। আমাদের প্রবাসীদের ইচ্ছা বাঁধা থাকে সময়-সুযোগ আর সামর্থ্যের সাথে। আমরা চাইলেও তো সব কিছু করতে পারি না।
@ কিংকর্তব্যবিমূঢ়, গৃহীত হইলো দেঁতো হাসি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ।
তার মানে, ৯৯?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অমিত আহমেদ এর ছবি
সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুমমমমমমমম
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তানবীরা এর ছবি

শত হলেও তো বাংলাদেশ! আমার বাংলাদেশ!!

কথা এইটাই, যুক্তি দিইয়ে বিবেচনা করলে হয়তো কিছুই নেই কিন্তু আবেগের কথা আলাদা।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গরম ভালু লাগে না। মন খারাপ

দারুণ লেখা, বরাবরের মতোই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।