উপন্যাস: গন্দম

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: রবি, ২৮/১০/২০০৭ - ৭:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

উপন্যাস: গন্দম
লেখক: অমিত আহমেদ
প্রকাশিত: জাগৃতি প্রকাশনী, ফেব্রুয়ারি ২০০৮
সর্বমোট ১৯ খন্ড (সচলায়তনে ১১ পর্যন্ত প্রকাশিত)/ ১২৭ পৃষ্ঠা
মূল্য: ১৩৫ টাকা [ই-শপিং: বইমেলা | গ্রন্থমেলা]
প্রচ্ছদশিল্পী: ইসমাইল গনি হিমন
ISBN: 984 70087 0042 3

[অন্তর্জালে ‘গন্দম’ গোয়ার্তুমি]



প্রারম্ভিক

সামহোয়্যার ইন’ এবং ‘সচলায়তন’ ব্লগে গুটি গুটি পায়ে যে গল্পের সূচনা হয়েছিলো, এ বই প্রকাশের সাথে সে গল্পটি একটি পূর্নাঙ্গ পরিনতি পেলো।

ব্লগে ‘গন্দম’ লেখা শুরু করেছিলাম, খুব হালকা চালে। ইচ্ছে ছিলো এটি হবে একটি বড় গল্প, কয়েক পর্বেই সমাপ্য। কিন্তু কয়েকটি পর্ব প্রকাশের পর পরই ব্লগাড়ুদের অনুরোধ ও হুমকির (!) মুখে পড়ে সে পরিকল্পনা বদলাতে হলো, ঠিক হলো বড় গল্প নয়, ‘গন্দম’ হবে একটি পূর্নাঙ্গ উপন্যাস। সে সিদ্ধান্ত নেবার পর ‘গন্দম’ প্রকাশ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে, নতুন করে গল্পের ছক কেটে শুরু হয় রাত দিন অন্তর্জালে গবেষণা।

‘গন্দম’ উপন্যাসটিতে আমি দিন তারিখ উল্লেখ করে গল্প বলেছি। কারণ আমি চেয়েছি আমাদের সময়ের তারুন্যের গল্প বলতে। চেষ্টা করেছি নতুন প্রজন্মের চোখে আমাদের সময়ের ঘটনা, চলতি গুজব, কিংবা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গল্পের সাথে সাথেই তুলে আনতে। সে জন্যই আলাদা ভাবে দিন আর তারিখের উল্লেখ, আর রাত দিন অন্তর্জালে গবেষণা। ছোটবেলায় একটা বদ অভ্যেস আমার ছিলো। বইয়ে পড়া যে কোনো তথ্য আমি চোখ বুঁজে বিশ্বাস করে ফেলতাম। পরে সে বিশ্বাস ভেঙে যাবার পর আমি ঠিক করি আমার কোনো লেখায় আমি ভুল তথ্য দেবো না। তথ্যের নির্ভুলতা নিয়ে আমার বাড়াবাড়ি একটি উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। উপন্যাসের একটা জায়গায় আমি উল্লেখ করেছি কোলকাতায় খুব হাওয়া দিচ্ছে, বৃষ্টি হতে পারে। এমন একটি দিন খুঁজে বের করতে আমাকে পুরো একটা দিন ভারতের আবহাওয়ার রেকর্ড ঘাঁটতে হয়েছে।

উপন্যাসটি লেখা হয়েছে ঢাকা ও কোলকাতার পটভূমিকায়। দুই প্রাচীন শহরের এক দঙ্গল ছেলে মেয়ে এ উপন্যাসের পাত্র পাত্রী। তারুন্যের গল্প বলতে গিয়ে আমি গতানুগতিক ভাবে কেবল মধ্যবিত্তকে অবলম্বন করিনি। বরং চেষ্টা ছিলো সব শ্রেনীকে, তা সে একটু করে হলেও ফোকাস করা। ঢাকার অংশ আর কোলকাতার অংশ লেখা হয়েছে ভিন্ন ভঙ্গীতে। বিশেষ করে কোলকাতার ঘটনা পড়তে গিয়ে পাঠক ভারতীয় বাংলার একটা গন্ধ পেতে পারেন - এ বিষয়টি ইচ্ছাকৃত।

আরেকটি বিষয় জানিয়ে দেয়া দরকার মনে করছি। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন ‘গন্দম’ সত্যি ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা কি না? আমার জবাব ‘না’। উপন্যাসের তথ্য নির্ভুল থাকলেও চরিত্র গুলো সবই আমার কল্পনাপ্রসূত। জীবিত কিংবা মৃত কারো সাথে কোনো চরিত্রের মিল পাওয়া গেলে তা হলে তা হবে নেহায়তই কাকতালীয় ঘটনা।

এ মুহুর্তে খুব বেশি করে মনে পড়ছে ‘সচলায়তন’ ও ‘সামহোয়্যার ইন’ এর সহব্লগারদের। এত অসংখ্য ব্লগারদের উৎসাহ না পেলে ‘গন্দম’ থেমে যেতো সেই কবেই! কৃতজ্ঞতা প্রিয় আরিফ জেবতিক ভাইকে, লেখালেখির স্বেচ্ছা অবসর থেকে যিনি আমাকে টেনে হিঁচড়ে বের করেছেন। ধন্যবাদ সুহৃদ আনোয়ার সাদাত শিমুল, শিবলী সাদিক শোয়েব ও শ্রদ্ধেয় নজমুল আলবাব ভাইকে, যাঁদের সাহায্য না পেলে এই ‘গন্দম’কে আর দুই মলাটে আটকানো যেতো না। সব শেষে ধন্যবাদ দেবো জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার শামসুল আরেফিন দীপন ভাইকে। আমার প্রথম উপন্যাসের প্রকাশনার কাজটি যিনি পরম মমতার সাথে করেছেন।

আপনাদের ‘গন্দম’ পাঠ শুভ হোক!



উৎসর্গ
আমার ছোট্ট পরিবার... বাবা, মা ও ছোট ভাইকে


© ‘গন্দম’ উপন্যাসের সর্বস্বত্ব লেখক কতৃক সংরক্ষিত ও জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। লেখার যে কোন অংশ যে কোন মাধ্যমে প্রকাশের অনুমতি প্রাপ্তি কেবল মাত্র লেখকের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে।

‘গন্দম’ উপন্যাসের কাহিনী ও পাত্র-পাত্রী সম্পূর্ণ ভাবেই লেখকের কল্পনাপ্রসূত। তাই জীবিত কিংবা মৃত কারও সাথে গল্পের কোন চরিত্রের মিল পাওয়া গেলে তা নেহায়তই কাকতালীয় ঘটনা বলে ধরে নিতে হবে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।