একটু একটু করে সময়ের মোচড়ে জীবন বদলায়। জানুয়ারীর কোনও একটা সময়ে গর্ভে আসা আমি সেই প্রতিটা দিনের সাথেই বদলেছি, যে বদলের ধারা চলছে এখনও, আমি মরার পরেও কি শেষ হবে? কিছুদিন তো চুল আর নখ বেড়ে চলবেই, তারপরে ব্যাকটেরিয়ার কব্জায় আমার সাধের শরীরটা সার হবে, ছোট ছোট অংশ হয়ে স্থান নেবে কোনও গোলাপ ঝাড়ের একটা সাদা গোলাপে! সেই গোলাপটা হয়তোবা কোনও না কোনও দিক দিয়ে বেহিসেবী হবে আমার মতো, হয়ত বাতাসের ...
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবারই কোনও ইচ্ছা কখনও আমার ছিল না। সারাজীবন ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখেছি, উচ্চ মাধ্যমিকে খারাপ রেজাল্টের কারণে সে স্বপ্ন যখন চুরমার হয়ে গেল তখন বাবার জোরাজুরিতে পরীক্ষা দিতে গেলাম জাবিতে। ঢাবির পরীক্ষার আরও পরে ছিল। আমার ইচ্ছা ছিল বিজ্ঞানের কোনও বিষয়ে পড়ার, ফার্মাসী/বায়োকেমিস্ট্রি ছিল প্রথম পছন্দ। বিবিএর কথা মাথাতেও আনিনাই কখনও। ফর্ম প...
তপুর একটা গানের প্রথম লাইনটাকে বদলে দিলাম নিজের ইচ্ছেমত। আবজাব পোস্ট দেয়া হয়না অনেক দিন। খানিকটা বলতে পারেন ভয়েই দেইনা। কারণ বিষয়বস্তুর সামান্যতা আর ভুলে ভরা পোস্ট নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে ভাল লাগেই বা কার? তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছে যে করেনা তা নয়। সেসময় নীড়পাতায় গিয়ে অন্যদের লেখা পড়ি, সময় কোথা দিয়ে যায় টের পাইনা। আর তারপরে মাথায় ঘুরতে থাকা শব্দগুলোকে হাতড়েও খুঁজে পাইনা! ব্যস...
জীবনের একদম গোড়ার দিকে আমরা শিখি, 'অ'-তে অজগর আসছে তেড়ে, 'আ'-তে আমটি আমি খাব পেড়ে... কিন্তু যেটা কেউ কখনও ভেবে দেখিনি, তা হলো—'অ' এর পরে 'আ'-তে এসেই আমরা সবচেয়ে বড় বিদ্যার সন্ধান পেয়ে যাই। 'আম' পেড়ে খাবার কথা বলা থাকলেও, আমটা গাছের মালিককে জিজ্ঞেস করে পেড়ে খেতে হবে কিনা, তা কিন্তু বলা হয়নি। আর সেই শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েই, জীবনের নানা অংশে বিভিন্ন জনের ভাগের আম খুব সুন্দরভাবে লম্বা লাঠি দিয়ে পেড়...
স্নাতক জীবনের শেষ পরীক্ষা চলছে। এতদিন এইসব আবজাবের থেকে আপনারা এই কারনেই বেঁচে ছিলেন।
আমার স্বভাবসুলভ আজাইরা প্যাঁচালের আগে একটা গল্প মনে পড়ল, সেটা বলে নেই... পুরানো গল্প, কিন্তু আমি শুনিনাই আগে। আমার মত দু'একজনকে পাওয়া যেতেই পারে ভেবে বলছি! গল্পটা বাবা দিবসে বলতে পারলে খুব ভাল হত, কিন্তু কি করা, আমি যে মাত্র গত পরশু রাতে আমার বেস্ট বান্ধবীর নানীর থেকে শুনলাম... :|...
বাবা তার প্রত...
যা যা বেহায়া পাখি যা না অন্য কোথা যা না, কেউ করেনি মানা, অন্য কোথা যা না... 'ধন্যি মেয়ের' এটা আর 'ওগো বধূ সুন্দরী'র - তুই যত ফুল দিস না কেনে, বকুল যদি না দিস এনে, আমি তোর কোনও কথা শুনব না! এই দুই গান একটার পর একটা আমার মাথায় ভিতরে বেজে যাচ্ছে! উফফফ! মহা যন্ত্রণা!
পরস্পরবিরোধী কিছু খাপছাড়া চিন্তাভাবনাঃ
গত ক'দিন ধরেই আমি খুব পরস্পর বিরোধী চিন্তা করছি। একবার এই ভাবি তো পরমুহুর্তেই সম্পূর্ণ উল...
এতদিনেতো মনে হয় সক্কলে জেনেই ফেলেছেন যে আমি মানুষটা শুধু বেকুব কিসিমের তাইইনা, বরং প্রচন্ড রকম দুঃখ বিলাসী। আমার এই নেই, সেই নেই, রুপ নাই, গুন নাই, বুদ্ধি নাই, টাকা নাই, পয়সা নাই - এই হাজারো রকম 'নাই' কে ইনিয়ে বিনিয়ে ফ্যানফ্যানিয়ে বলতে আমি ভয়াবহ আনন্দ পাই। এদিকে আবার মনে কোনও এক চিপায় এই আকাংখাও থাকে যে কেউ না কেউ এসব 'আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে' ধরনের দিনপঞ্জী পড়ে বলবে, আহা তুমি তো সু...
আমার মত আবুগাবু মানুষেরা যখন চিন্তা করে কিছু বলতে যায় তখন দুইটা ব্যাপার হয়,
১। চিন্তা করতে পারার আনন্দ ও উত্তেজনায় যা নিয়ে চিন্তা করতে হবে সেটার কথা বেমালুম হাওয়া হয়ে যায় স্মৃতি থেকে,
২। অথবা কোনও জাদুর বলে তা যদি মনেও থাকে তাহলেও অনেক সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জড়ো করতে করতে পুলসিরাত যখন পার হবার সময় আসে তখন সে উলটা দিকে দৌড় দেয়...
আমি অবশ্য সনদপ্রাপ্ত সেসব আবুগাবুর থেকে একটু আ...
[পথ ও পথিকের কাজকর্ম এখনও সেন্সরবোর্ড কতৃক ছাড়পত্র পায়নি, যে এখনও আসেনাই তাকে নিয়ে হাহুতাশ না করে বরং চলেন আমরা বিবিধ আবজাব নিয়ে আমার মূল্যবান কথাবার্তা চোখ বড় বড় করে পড়ি! আমার আজকের বিষয় আমি নিজে, নিজেকে ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নিচে একটু দেখব, আজ নিজেকে অসম্ভব অসহ্য লাগছে, কিছু ফ্ল্যাশব্যাক আর কিছু প্যানপ্যানানি সমৃদ্ধ আমার আজকের এই প্রযোজনা!]
কয়েক বছর আগে একটা সময় ছিল যখন আমি নিজ...
অবশ্য হইলেও হইতে পারে...আজকাল্কার পথিকেরা বড়ই বেশরম, উহারা আজকাল 'তু চীজ বড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত'ও গায়না, 'u're beautyful' কইয়া চেচাইতে চেচাইতে কাপড়জামা খুলিয়া নগ্নগাত্রে পানিতে ঝুব্বুস করিয়া ফাল পাড়ে। প্যান্ট যেইখানে পড়ে আর সেইখান থেকে যা উঁকি দেয় উহা যে সকলেরই আছে আর নতুন করিয়া কারও দেখিবার প্রয়োজন নাই উহা তারা যেন বুঝিয়াও বুঝিতে চায়না... ভয় হয় উহাদের এই নিয়ে ধমকাইলে ঐ ধমকের চোটেই আর নিজের ভ...