আজ কিছুদিন হল চাকরিটা হারিয়েছে আদনান। সারাদিন বাসায় বসে থাকা আর টিভি দেখা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার। তার স্ত্রী মৌ কাজ করে একটা খাবার দোকানে। দুজন মিলে সংসারের ঘানিটা ভালই চালিয়ে নিচ্ছিল। একটাই মেয়ে পুষ্পিতা নার্সারি তে পড়ে। আগে স্বামি-স্ত্রী দুজন মিলে মিশে বাচ্চাকে পালতেন। মৌ সকালে কাজ করত আর তিনি রাতে। লণ্ডন শহরে একটুখানি সুখের আশায় দিনরাত খাটনিতে কোনো বাধা ছিলনা মনে। হঠাৎ করে চাকরিটা চলে
আজ খুব সকালে ঘুম ভাঙল আমার। সকাল ৮ টায় একটা ক্লাস আছে। সকাল ৮ টার ক্লাস সাধারণত আমি করি না। কিন্তু আজ কেন যেন মনে হচ্ছে আজ একটা অন্যরকম দিন। যাই হোক, সকালে উঠেই মুখে ব্রাশ ঢুকিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম গোসল করার জন্য। ঢুকেই যে জিনিসটা দেখে খুব অবাক হলাম তা হল কলে পানি আছে। গত চারদিন ধরে তো এলাকাতেই পানি নাই। বুঝলাম না কিছু।
আওয়ামী লীগ সরকারের ৩ বছরের সুশাসনে বাংলাদেশ হঠাৎ করে ৬০ দশকের জার্মানী হয়ে গেছে।ব্যাপক গতিতে শিল্পায়ন চলছে, সাঁ-সাঁ করে অবকাঠামো দাঁড়াচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ধাঁই-ধাঁই করে এগুচ্ছে। সমস্যা একটাই এই শনৈ-শনৈ উন্নতির সাথে তাল মেলানোর মতো দক্ষ বা অদক্ষ জনশক্তি পাওয়া যাচ্ছেনা, বেকারত্বের তো প্রশ্নই উঠে না।প্রবাসী জার্মানদের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশ গঠনের এই ব্যাপক কর্মযজ্ঞে অনুপ্রাণিত করতে নেয়া হচ্ছে "
সম্প্রতি ১ মার্চ ভারতীর পণ্য বর্জন কর্মসুচীর ঘোষণা দেখে একটু হেলেদুলে বসলাম। বাহবা দিলাম দেশের মানুষের দেশপ্রেম দেখে। নিজের দিকটা বিচার করতে হবে। আমি কতটা দেশ প্রেমিক সেটা সবাই কে জানাতে চাই। আপনারাও যদি একটু মনে রাখেন।
… ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে ঠিক সেই মেঘের মতো একটি ছেলেকে হেঁটে যেতে দেখা গেলো নবাবপুরের দিকে । দক্ষিণ থেকে উত্তরে । পরনে তার একটা সদ্য-ধোয়ানো সাদা সার্ট । সাদা প্যান্ট । পা জোড়া খালি । জুতো নেই । ...… সব আছে তার । ধবধবে জামা । প্যান্ট । পকেটে কলম । কবজিতে বাঁধা ঘড়ি । হাতে একটা খাতা । মুখের দিকে তাকালে ভদ্রলোকের সন্তান বলে মনে হয় । কিন্তু পায়ে জুতো নেই কেন ওর ? ...
আবারো ফেব্রুয়ারি মাস, আবারো বইবই গন্ধ। বইপাগলদের তীর্থস্থান বইমেলার মৌসুম। বইমেলা শব্দটি শুনলেই মনের ভিতর কেমন একটা শিহরণ বয়ে যায়। নতুন বইয়ের গন্ধ, স্বাদ পাওয়ার জন্য মন উৎসুক হয়ে উঠে। কাগজের বই পড়ার যে আনন্দ, যে গন্ধ তা কি আইপ্যাড-কিন্ডল-নুকে হয়? হয় না।
পুরান ঢাকা নিয়ে লেখার ইচ্ছা বহু দিনের। পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে অনেক ভাবেই তা লিখেছি। কিন্তু ব্লগে লেখার আলাদা একটা ব্যক্তিসত্ত্বা কাজ করে। যা পত্রিকাতে বলা বা লেখা যায়না। তাই সচলায়তনে আসা।
দ্বিতীয় পর্ব : বিষণ্ণ গোধূলি
অর্ক সেবার খুলনা থেকে মা বাবার সাথে দাদু বাড়ি যাচ্ছে। পাকশি ঘাট ,ফেরি পার হয়ে আরো দেড় ঘণ্টার রাস্তা। ছোট্ট অর্ককে বাবা দেখায়
নদীর ওপর ঐ যে লাল ব্রিজটা দেখছো, ওটা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
বাবা আমাদের বাস ঐ ব্রিজ এর ওপর দিয়ে যাচ্ছে না কেন?
ওর ওপর দিয়ে শুধু ট্রেন যায়। বাস এর জন্য ঐ ব্রিজটা না।
বাবা বাসের জন্য কোনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নেই কেন?
কেউ বানায়নি তাই।
ব্রিজ কারা বানায় বাবা ?
মাটিতে খড় বিছিয়ে তার উপর চটের বস্তা পাতা একটা বিছানা। সেখানেই দুইটা মোটা ছেড়া ময়লা কাথাঁয় মাথামুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিল রইছুদ্দি। সাত-সকালে আচমকা চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গে তার। ঘুম ভাঙ্গতেই ছেলে আর ছেলের বউয়ের তীক্ষ্ণ কন্ঠস্বর ভেসে এলো কানে--