“.........বুকে ভর দিয়ে এগোই, কালো প্রেমে মৃত্তিকার আলিঙ্গনে। এইখানে কাদায় কাদায় দশটি পায়ের ছাপ দিগন্তে দেখায় সূর্যাস্তের পথ। দুপাশে যন্ত্রমূখী মানুষের ভীড়ে আমি পাগল বৃক্ষ আর সবুজের কথা চেঁচাই আপনমনে। কিন্তু কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না। রক্তে শীর্ণ প্রলয় আর নখে উদ্ভ্রান্ত আঁচড় তুলে কেউ দ্যাখে না। চোখে পেরেক আঁটে দু-তিন জনে, অল্পদরে বেচে হর্ষ আর তা কিনে গোগ্রাসে গিলতে থাকে বিষন্নদৃষ্টি...
সুখ- হাসি- গান- আড্ডা- তালের ফাঁকে
দিন কেটে যায় দারুণ রুটিন ধরে-
মধুর সময় মুখ তুলে চায় শুধু
মুখর প্রাণে নবীন উছাস ভরে!
হঠাত্ কী হয় একলা কোন ক্ষণে
মন উদাসীন স্মৃতির মালা গাঁথে,
মুক্তো হাতে আনমনা মন ভাবে,
কারণ ছাড়াই হারায় স্মৃতির সাথে।
বুকের লুকোন্ দুঃখগুলো বুঝি
আবার জাগে গহীন ঘুমের শেষে,
আমরা পুতুল, মনের সুতোয় নাচি,
অতীত ঘাঁটি ধুলোয় মলিন বেশে।
গুমরে মরি কোন অজানা শোকে,
আজ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই গণতন্ত্র বিদ্যমান এবং গণতন্ত্রকে আজ শাসন ব্যবস্থার মধ্য সর্বোৎকৃষ্ট মডেল বলে ধরা হয়। জনগণও খুশি এ কারণে যে অন্তত অন্ধকার যুগের দাসত্ব আজ তাঁদের সামনে নেই, নেই মধ্যযুগীয় কোন জমিদারী প্রথা কিংবা নেই কোন উপণিবেশিক শাসন অথবা কোন স্বৈরশাসন। জনগণ মুক্ত এবং স্বাধীন। আসলে কি তাই? বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মানুষ আসলে কতটা মুক্ত এবং স্বাধীন নিজের ভাগ্য ...
ঘুম ভেঙে যায়, ভিতরে কোথায় যেন একটা ভোঁতা ব্যথা। সে কি শূন্যতার বেদনা? ছল্ ছল্ ছলাৎ শব্দ শুনি। নৌকায় কি এসে লাগে ঢেউ? এত ঢেউ? উঠে বসি, এগোই একটু, ছইয়ের ভিতর থেকে বাইরে হাত বাড়িয়ে ছুঁই ঝড়ের শিণ্ শিণ্ শব্দ, খুব ঝড় বাইরে। সূচের মতন ঠান্ডা বৃষ্টি বিঁধে যায় হাতে।
হাত ভিতরে টেনে নিয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ি একপাশ ঘেঁষে। আয় ঘুম, আয়। তুই না এলে কীকরে এই ভঙ্গুর মানুষশরীর সইবে এত অমানুষিক আ...
আজ হোক কাল হোক, মরতে তো একদিন হবেই। জীবনের অনেক কিছুর উপড়েই আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না। অনেক সময় জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়েছে পরিস্থিতির কারণে। নাম-ধাম-জন্মতারিখ-ধর্ম-পেশা কোন কিছুই আমার ইচ্ছাকে গ্রাহ্য করে নি। বেঁচে থেকেই এমন অনেক বিষয় মেনে নিতে হয়েছে আমাকে। মৃত্যুর পরে আমার ইচ্ছার দাম দেবে কে? আর এমন কোন মহৎ কর্ম তো এ জীবনে করি নি যে, লোকে আমার মৃত্যুর পর আমার ই...
হাত না পা, কোনটা চাস?
এক অন্তহীন ধাতব গহ্বর তাকিয়ে আছে মনোয়ারের দিকে। পৃথিবীর সব আলো শুষে নিয়েছে ঐ গহ্বর, কেড়ে নিয়েছে সব ওম। মনোয়ারের চামড়ার ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে হিম।
অই হাউয়ার পো! কানে কতা ডুকে না?
কানে কথা একটু কমই ঢোকে মনোয়ারের। যেমন ঢোকেনি শামসুর কথা। ফেন্সি শামসু - পাড়ায় সবাই তাকে এই নামেই চেনে। ফেন্সিডিলের ধান্দা করে, মাঝে মাঝে হেরোইনেরও। সেই সঙ্গে পার্টটাইম পুলিশের সোর্স।...
১। আদর
প্রেম এসেছিল সকালবেলায়
আস্তে ধীরে নয়, ঝড়ের মতো, শিলপড়া বৃষ্টির মতো।
শরত শিশিরের মতো।উদ্ধত না,
ফাল্গুনি হাওয়ার মতো শিরশিরে,
কাঁচামিঠে আমের মতো, আতরের গন্ধ আর আশ্লেষের ওমের মতো,
আদর এসেছো ফিসফিস ঘ্রাণের মতো,
ঢেঊখেলা ধানক্ষেত যেন।
২।অভিমান
তুমি তো জানোই
আমি ভালোলাগায় মরেছিলাম সারাটা সকাল।
ভেবেছিলাম মুখোমুখি বসে ঝগড়া করবো, কবিতা পড়বো।
স্যাফো, জয় গোস্বামী, বাস...
এখন--
আমার কেবল ইচ্ছে করে, লাল ঘুড়িটার লেজের সাথে-
ইচ্ছেগুলো মাখিয়ে দিয়ে, অনেক দূরে হারিয়ে যেতে।
হঠা\--
তোমায় দেখে ইচ্ছে হলো, সারা জীবন চুপটি থেকে-
তোমার চোখের তারার মাঝে, রঙ্গিন কোন স্বপ্ন পেতে।
আবার--
যখন ছিলেম নিজের মতন, একা একাই লাগতো ভালো,
মন খারাপের দুপুর বেলা, প্রজাপতি করতো আলো।
হয়তো--
ছোট্ট বেলায় ইচ্ছে ছিল, অবুঝ কোন বিকেল বেলায়,
তোমার মত কাউকে পেলে, কাটবে সময় না...
১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১
স্থান: সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের বাসা।
সময়: মাঝরাত।
সেলিনা পারভীন টেবিলের সামনে বসে একমনে কিছু লিখছেন। এমন সময় ঘুম ঘুম চোখে তার আট বছর বয়সী ছেলে তার পেছনে এসে দাঁড়ায়।
সুমন: মা?
সেলিনা পারভীন:(চমকে পিছনে ফিরে) ও তুই, ঘুম থেকে উঠেছিস কেন?
সুমন:(ঘুম চোখ কচলাতে কচলাতে) আমার ভয় করছে, মা।
সেলিনা: (সুমনের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে) বোকা ছেলে, ভয়ের কী আছে? মা তো পাশেই আছে!
এমন সম...
আমি একজন লেখক। ভালো বাংলা টাইপ করতে পারি। মাঝে মাঝে ইংরেজী কোটেশানও দিতে পারি। আমার কয়েকশো লেখা বাংলাদেশের নানান মিডিয়ায় প্রকাশিত। এবারের বইমেলায় আমার দুইখানা বই প্রকাশিত। মাঝরাতের টক শো'তে মাসিক ২/৩ বার হাজিরা থাকে। আমি একজন নিরপেক্ষ সহনশীল প্রগতিশীল ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধে চেতন অচেতন জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী। আগামী তিনমাস ফ্রী আছি। ভাড়া কিংবা বিক্রি হতে চাই। যে কেউ চাইলে অগ্...