বাংলাদেশে ব্যাটারি বাইক বা ইজি বাইকের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং আমাদের অদ্ভুত নীতিমালাঃ পর্ব ২

ধ্রুব আলম এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব আলম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৫/২০১৬ - ৪:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব

গত পর্বে লিখেছিলাম ব্যাটারি বা ইজি বাইকের নিবন্ধণ বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আজকে বলবো কেন, কিভাবে ও কারা এদের নিবন্ধন, উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ করেছিলো। একটা কথা আগেই বলে রাখি, ব্যাটারি বাইক কিন্তু এখনো (২০১৬) নিষিদ্ধ একটি যান, আইনত!

২০১০ সালে ন্যাশনাল রোড সেফটি কাউন্সিলে ('জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল' হবে কি?) সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে ব্যাটারি বাইকগুলোকে আর নিবন্ধন করা হবে না। ইতোমধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমানে ইজিবাইক রাস্তায় নেমে গেছে এবং নিবন্ধন করে তারা বৈধতাও নিয়ে ফেলেছে। যাকগে, সে সময় (২০১০) এদের আমদানি নিষেধের প্রস্তাবনা দিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ২২শে নভেম্বর সকল বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেয়, সব জেলার রাস্তা ও মহাসড়ক(হাইওয়ে)গুলো থেকে ইজি বাইক চলাচল বন্ধ করতে।

২০১১-তে সরকার সকল ধরনের ব্যাটারি চালিত তিন-চাকার যান আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয়গুলো আরো সিদ্ধান্ত নেয় তাদের আর নিবন্ধণ না করার এবং যেগুলো ইতোমধ্যেই রাস্তায় আছে, তাদের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দিয়ে তুলে ফেলার। এ সময়সীমা নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হবে বলা হয়।

অন্যদিকে, উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) ২০১৪ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি ও ১৫ই সেপ্টেম্বর, আবারো সরকারকে নির্দেশনা দেয় ১৫টি জেলার রাস্তা ও মহাসড়কগুলো থেকে ব্যাটারি বাইক নিষিদ্ধ করার। সাথে অবশ্য শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যানগুলো যেমন নসিমন বন্ধের নির্দেশও ছিলো। এছাড়াও, একই সালের (২০১৪) ৩রা জুলাই উচ্চ আদালত যন্ত্রচালিত ও ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করে, এর মূল কারণ ছিলো এগুলো সবই ছিলো অনিবন্ধিত। উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ, রিকশা মালিকদের ৫টি রিট খারিজ করে এই আদেশটি দেয়।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ২০১৫-র ২৭শে জুলাই, মহাসড়কগুলোতে ১ আগস্ট থেকে তিন-চাকার যান ও অযান্ত্রিক যান নিষিদ্ধ করে একটি সার্কুলার জারি করে। এর সাথে উচ্চ আদালতও ৩রা আগস্ট, ২০১৫ থেকে সরকার ও পুলিশকে চলাচলের অনুপযুক্ত (আনফিট) যানবাহন দেশের সকল রাস্তা থেকে দূর করতে বলে। এরপরে, হাইওয়ে পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা ১লা আগস্ট থেকে ২০শে আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১,২০০ যানকে জরিমানা ও ১১১টি যানের বিরুদ্ধে কেস করে।

এত কিছুর পরেও সারাদেশে ব্যাটারি বাইক বা ইজি বাইক চলছে কিন্তু বহাল তবিয়তে। তাদের বন্ধ করার নানা সময়ে নানা পর্যায় থেকে নির্দেশ আদেশ সুপারিশ এসেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবং এদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যদিও এগুলো উৎপাদন, আমদানি, নিবন্ধণ বা চলাচল সম্পূর্ণভাবেই নিষিদ্ধ। আমি আমার থিসিস সুপারভাইজারকে এই কথাটা বললাম, তার বিস্ময়ের শেষ ছিলো না! এদের চালক হতেও কোন প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা এমনকি লাইসেন্সও লাগে না। অনেকেই হয়ত প্রশ্ন করবেন কেন এদেরকে নিষিদ্ধ করার কারণ কি বা এদের কেন নিষিদ্ধ না করে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হলো না?

এক্ষেত্রে বলা যায়, যানগুলো আর যাই হোক, মহাসড়কে চলাচলের উপযোগী নয়, সুতরাং নিরাপদ সড়কের খাতিরে সেখান থেকে এগুলো নিষিদ্ধ করাই উচিত। আর বারংবার শহর বা নগরাঞ্চলে এদের নিষিদ্ধ করার পেছনে রয়েছে নানা মহলের হাত। আমার গবেষণা ক্ষেত্র যেহেতু ছিলো খুলনা, সুতরাং আমি সেখানের অবস্থাটি বলতে পারি। সেখানে ব্যাটারি বাইক আসার পরে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়ে যায় বেবিট্যাক্সি বা অটোরিক্সা চালক ও মালিকেরা। তারা প্রথমেই চেষ্টা করে বাইকগুলোর চলাচলের ক্ষেত্র বা রুটের সীমা বেধে দেয়ার। ঘুষ, সমিতি, রাজনৈতিক শক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে তারা বারবার মহাসড়ক থেকে এদের সরিয়ে দেয়, ভারসাম্যহীন-আনফিট বলে প্রমাণের চেষ্টা করে (যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারাও আনফিট ও মহাসড়কে আইনত নিষিদ্ধ!)। তবুও ২০১৩ বা ১৪-র দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিলো ব্যাটারি বাইকগুলোর উপর, তাদের চলাচল ও বিক্রিও বন্ধ করেছিলো খুলনায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপের মুখে ব্যাটারি বাইকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারেনি।

কারণ ততদিনে এটি একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসায় দাঁড়িয়ে গেছে। এদের বাংলাদেশে বানানো (অবৈধভাবে), বা পার্টস জোড়া দেয়া, মেরামত করা, ব্যাটারি আনা (শুধু দেশ থেকে না, যশোর হয়ে প্রচুর ব্যাটারি ভারত থেকেও আসে), চিন থেকে মংলা বন্দর হয়ে আনা, বা পার্টস হিসেবে এনে জোড়া দেয়া, তাদের বিক্রি, ভাড়া দেয়া-নেয়া, চলাচল ইত্যাদিতে জড়িয়ে গেছে বহু মানুষ। এদের উপেক্ষা করে বা অখুশি করে ইজি বাইক নিষিদ্ধ করা দিনে দিনে কঠিন হতে থাকে। একসময় পাশার দান উলটে, অটোরিক্সার রুট বা চলাচলের ক্ষেত্রই হয়ে যায় সীমাবদ্ধ! ব্যাটারি বাইক এখন সারা খুলনা চষে বেড়ায় দাপটের সাথে, আগে নানা জায়গা যেতে তাদের যে বাধা ছিলো তা আর নেই। তাতে যে সকল পরিবহন সমস্যার সমাধান হয়েছে, তা কিন্তু না।

বাস সার্ভিস খুলনাতে আগেও ছিলো খারাপ, এখন হয়েছে যাচ্ছেতাই। ব্যাটারি বাইকের দৌরাত্ম্যে তাদের আয় কমেছে অনেক, অনেকেই চলে যাচ্ছেন এ ব্যবসা থেকে। একটা মহানগরীর যানবাহন ব্যবস্থায় অন্তত মোটামুটি ভাল বাস সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে গণপরিবহন হিসেবে, খুলনাতে সেটি বন্ধ হবার উপক্রম। ব্যাটারি বাইকের সংখ্যা বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে, তাদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে রিকশাতেও লাগানো হচ্ছে মোটর, যেটি অত্যন্ত বিপদজনক। এমন যদি হতো যে, খুলনার রাস্তা থেকে রিকশা কমে গিয়ে, ব্যাটারি বাইক সে স্থানটি নিতো, এর সাথে থাকতো বাস সার্ভিস, তবে সেটি হতো কাজের। কিন্তু তার বদলে রিকশার উপরে যুক্ত হয়েছে ব্যাটারি বা ইজি বাইক, আর অটোরিক্সা তো আছেই। সুতরাং রাস্তায় বেশ জ্যাম দেখা দিচ্ছে, যা অল্প কদিন আগেও খুলনাতে ছিলো বিরল। এর বাইরেও ব্যাটারি বাইকের ব্যাটারিগুলো অত্যন্ত বিপদজনক, তাতে ব্যবহৃত লেডের জন্যে, এছাড়া অবৈধ বিদ্যুতের ব্যবহার তো আছেই। পরিবহন ব্যবসায়ী, চালক ও সেবাগ্রহণকারীরা শেষোক্ত এই দুটো বিষয় নিয়ে কিন্তু একদমই উদ্বিগ্ন নন!

একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, বর্তমানে চাহিদার চেয়ে যোগান বেড়ে যাওয়ায়, খুলনায় পরিবহন ভাড়া রয়েছে প্রায় একই, বেশ ক'বছর ধরে। আগে ব্যাটারি বাইক বা অটোরিক্সায় যাত্রী না হলে তারা অপেক্ষায় বসে থাকতো কোন মোড়ে বা স্ট্যান্ডে; আজকাল ৪-৫ জনের বদলে অনেক সময় দুজন নিয়েই চলছে তারা! এদিক থেকে ভাবলে ভোক্তাদের লাভ হয়েছে বেশ।

খুলনাতে না হলেও, ঢাকার দিকে সরকার দেরিতে হলেও নজর দিয়েছে ব্যাটারি বাইক বা ইজি বাইকগুলোকে মূলধারার পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে আনার। কারণ তারা বিভিন্ন রকমের অসুবিধা সত্ত্বেও বেশ কম খরচে, ঢাকায় না হোক, অন্তত ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে পরিবহন সেবা দিচ্ছে, এবং একটি ভালো ব্যবসাতে পরিণত হয়েছে, যোগান দিচ্ছে কর্মসংস্থানের। সামনের পর্বে বর্ণনা করবো, সরকার কি কি উদ্যোগ নিয়েছে এ ব্যবসা বা শিল্প (ইন্ডাস্ট্রি)-কে সাহায্য করার। কিন্তু অত্যন্ত অদ্ভূতুরে ও আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে একদিকে, সরকার বার বার নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে ব্যাটারি বা ইজি বাইককে, আবার তাদের সহায়তায় নিচ্ছে নানা প্রজেক্ট!

অল্প কিছু শেষকথা বলতে চাই, আমার থিসিসটি ছিলো ট্রাফিক মোড চয়েস মডেলিং, তার হাত ধরে লিটারেচার রিভিউ করতে গিয়ে নজরে এসেছিলো এই তথ্যগুলো। কিন্তু সবকিছু পড়া বা থিসিস লিখে ফেলবার পরেও আমি বুঝে উঠতে পারি নি, সরকার আসলে কি চায়? যদি নিষিদ্ধই করতে হয় এগুলোকে, বা নিষেধাজ্ঞা তোলা না হয় এখনো, তবে তাদের ক্ষতিকর দিকগুলো কাটাতে সাহায্য করবার কি দরকার? আর যদি এদের বৈধতা দেয়াই হয়, তবে শুধু ঢাকায় কেন প্রজেক্ট হচ্ছে? সারাদেশের জন্যে আগে একটি নীতিমালা গ্রহণ করে, এদের নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। তাদের এখনো নিবন্ধন হয় না, আর বি আর টি এ এদের যান হিসেবে বৈধতা তো দূরের কথা, কোন শ্রেণীতেই ফেলে না!


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

যদি এদের বৈধতা দেয়াই হয়, তবে শুধু ঢাকায় কেন প্রজেক্ট হচ্ছে? সারাদেশের জন্যে আগে একটি নীতিমালা গ্রহণ করে, এদের নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ধ্রুব আলম এর ছবি

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। সরকারের এমন দমননীতির কারণ আমি বুঝতে অপারগ, তবে যে সকল অন্যান্য কিছু কারণ বলেছি, সেগুলোই আসলে বড় ভূমিকা রাখে নীতিনির্ধারণে মনে হয়।

সোহেল ইমাম এর ছবি

ব্যাটারি বাইক বিষয়ে এই অদ্ভুত নীতিমালার অসামঞ্জস্য কাটিয়ে উঠতে সরকারের এ দিকেই নজর দেওয়া দরকার। ব্যাটারি বাইকের কারনে রাজশাহীতেও যাতায়াত খরচ এখনও কম। আমাদের সুবিধাই হচ্ছে একরকম।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

ধ্রুব আলম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। আমি জানতাম না বাকি শহরগুলোতেও ভাড়া কমাতে এরা ভূমিকা রাখছে, শুধু খুলনাতে দেখলাম গত ৪ বছরে ভাড়া বাড়েনি বরং একটু দামাদামি করলে আগের থেকে বরং কমেই যাওয়া যায়!

মাসুদ সজীব এর ছবি

ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়িগুলো কি মূল সড়ক অর্থাৎ হাইওয়েতে চলাচল করে? আমি এমনটা দেখিনি, যদিও আমার অভিজ্ঞতা ফেণী-কুমিল্লা-বিবাড়িয়া-চট্রগ্রামের মাঝেই সীমাবদ্ধ।

মফস্বল শহরগুলো তে বাস চলাচল এখন বিলুপ্ত প্রায়। বাস বিলুপ্তির মূল কারণ ব্যাটারি চালিত বাইক বলে মনে হয় না, আমার অভিজ্ঞতা বলে মূলত সিএনজির জন্য এই শহরগুলোতে বাস সার্ভিস বন্ধ প্রায়। এটি সত্যি নগরের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য ইজি বাইক যাত্রীদের জন্য সবদিক থেকে সহায়ক। তাই এদের নিষিদ্ধ না করে নিদিষ্ট নীতিমালার ভেতরে আনাই যথাযথ হবে।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

ধ্রুব আলম এর ছবি

ঢাকায় ব্যাটারি বাইক মনে হয় বেশ সমস্যার সৃষ্টি করবে, এর বাইরে মফস্বলে এরা বেশ ভালো উপকার করেছে সাধারণ ব্যবহারকারীদের। খুলনাতে আসলে বাসের আয় ভয়ংকর কমে গেছে ব্যাটারি বাইক আসার পরে, সব শহরের কথা বলতে পারলাম না।

অবশ্য বাস সার্ভিস আগেও ভীষণ খারাপ ছিলো, বাসযাত্রীরা ছিলো ক্যাপটিভ ইউজার, যাদের বাসে চলতেই হতো, আর উপায় ছিলো না। এখন বাস অপারেটররা খানিকটা বাজার অর্থনীতি চেখে দেখছে আর কি!

হাসিব এর ছবি

আমি আরও একটু জমজমাট একটা পোস্ট আশা করে বসে ছিলাম। আরও বিস্তারিতভাবে কিছু নামানো যায়?

ধ্রুব আলম এর ছবি

দুঃখিত, কাঠখোট্টা একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ফেলায়। আসলে এটা বাংলাদেশে বাইকগুলো আসার বা চলাচলের সময়ানুক্রমিক বর্ণনা। আমি চাইলেও খুব বেশি আকর্ষণীয় করতে পারছি না। আমি থিসিসের লেখার বাইরে যৎসামান্য কিছু বাড়তি যোগ করেছি।

সামনে সময় পেলে, খুলনার যানবাহন ব্যবস্থা নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে, ছবি ও আরো বিস্তারিত বর্ণনাসহ। আসলে আমার থিসিস টপিকের বাইরে যেতে চাচ্ছি না। পত্রিকাগুলোর রিপোর্টের মত বানিয়ে বানিয়ে অনেক কিছু বলে ফেলা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি। কাজ যেহেতু করেছি খুলনায়, তাই সেখানের যানবাহন নিয়েই বলা সমীচীন বোধ করি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।