গুরুচন্ডালী - ০০৪

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৩/২০০৮ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

: আলেস ক্লা আন্নে?

: ইয়া... আলেস গুটে। দু বিস্ত জেয়ার ডুন গেভোর্ডেন!

মৎস্য আর ঘাস পাতার ওপর গাঁইতি চালিয়ে, বুকের দুরফুর কমানোর লক্ষ্যে গরু খাওয়া বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিলো। আল্টস্টাডে ডরোথীন স্ট্রাসের মুস্তাফার দোকানে তাই হানাও দেয়া হয়নি এই মাসখানেক। কাল বিকেলে কারস্টাডের উপরের তলার ক্যাফেটেরিয়াতে উইণ্ডো সীটে বৃষ্টিস্নাত শহরের বিষণ্ণতায় এক গ্লাস আমরস গলাধঃকরণ করেই এলোমেলো পদক্ষেপে পুরাতন শহরের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। মাসখানেকের বিরতির পর গরুর হাম্বা ডাক আমাকে খুব নস্টালজিক করে দিচ্ছিলো। বৃহষ্পতিবার মুস্তাফা ফ্রেশ গোশত দোকানে তোলে। দেখিই না গিয়ে কী হয়!

মুস্তাফার মা। ষাটোর্ধ তুর্কিশ মহিলা। দাঁতহীন বুড়ো মানুষের মতো কথা বলেন। খুব ভালো জার্মান হয়তো বলেন না, কিন্তু কথা বলেন খুব মায়া করে। তুর্কী আন্নে মানে হলো, মা। আমি দোকানে ঢুকেই ভদ্রমহিলাকে ঐভাবে সম্বোধন করি। কুশল জিজ্ঞেস করি। ভদ্রমহিলা অনেক খুশী হোন।

মুস্তাফা সুন্দর, ভালো, তরতাজা দেখে গোশত নিয়ে কেটে কুটে কয়েকটা ঠোঙা করে দেয়। ও ভালো করেই জানে, ওসব কাটাকুটি আমাকে দিয়ে হয় না, নিজেই সব রেডি করে দিয়ে বলে, "নাও, এবার শুধু হাঁড়িতে তোলা বাকী!"

আমি শত-কোটি ধন্যবাদ দিয়ে ব্যাগটা হাতে ঝুলিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তায় নেমে আসি। ঠিক পরক্ষণেই হৃদয়ের উষ্ণ ছোঁয়াটুকু ভুলে যাই। ট্রাম ধরার চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। এবং দ্রুত পা চালাই, ট্রামটা মিস হলে আরও পাঁচটা মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে!

কাউফহফে দেখা হয়ে যায় নাদিয়া'র সঙ্গে। ম্যানস্ সেকশনে কাজ করে। ঘুরতে ঘুরতে একসময় খেয়াল করি কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চশমা না থাকায় ঠাহর করতে পারি না ঠিক। খুব ধীরে সেদিকে এগোই একটা-দুটো শার্ট-গ্যাঞ্জি নেড়ে নেড়ে। কাছে যেতেই নাদিয়া হাউমাউ করে ওঠে।

"মাই গট। তোমার একী হাল! কি এতো টেনশন করো! ম্যান তোমাকে চেনাই যায় না। তুমি কি ঠিক আছো?"

নাদিয়াকে আশ্বস্ত করি। আমি ঠিকই আছি। শুধু স্ট্রেসের পরিমানটা বেড়েছে। নিজের প্রতি যত্ন বলতে যা বুঝায়, ওটাতে সামান্য ঘাটতি হচ্ছে বটে! সেটা ঠিকমতো হলেই আবার ফুলে ফেঁপে ওঠা যাবে, ব্যাপার না।

কিছু সময় কাটলো নানা আলাপে। নাদিয়া দৌঁড়ে গেলো ক্যাশে ডাক পরেছে বলে। আমি পাশ কাটিয়ে এসকেলেটর ধরে সোজা নিচের ফ্লোরে। নাদিয়ার জন্য আর অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করে না।

কাউফহফ থেকে যখন বেরুলাম তখন আকাশে চালুনীর মতো ফুঁটো। চালের গুঁড়ি যেমন খুব সূ্ক্ষ হয়ে পরে, তেমনি বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে- পটপটকটকট! বেথোফেনের মূর্তির পাশ দিয়ে স্টারবাকস, পিৎজা হাট ছাড়িয়ে ফ্রিডেন প্লাৎস। ডিএম-এ ঢুকতে হবে। কিছু দরকারী জিনিষ না কিনলেই না। অযথাই কয়েকটা পাক ঘুরে তিনটা মাত্র জিনিষ হাতে ধরে চেকআউটে বিল মিটিয়ে বের হবার পথেই ঝপাৎ করে নেমে গেলো। অনেকের মতো ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করলোনা বলেই সোজা হাঁটা দিলাম মার্কটপ্লাৎসের দিকে। ওখান থেকে ক্যাফে গোয়েটলিশ, বুভিয়ের, কার্টহাউজ পেরিয়ে বহুমূখি বাস স্ট্যান্ড।

লাইনের বাস এলো পনেরো মিনিট পর। উঠলাম। দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। সামনের দিকে কোনমতে নিজের ভারসাম্য রক্ষা হয় এমন একটা জায়গায় ঠেস দিলাম। পাশের সীটেই এক বয়স্ক মহিলা তার কুকুর নিয়ে বসে আছেন। ভাবছি, কুকুরটা যদি আমাকে কামড়ে দেয়, তাহলে!

আমার ঠিক সামনে নব্বই ডিগ্রী কৌণিক ভঙিতে দাঁড়িয়ে আছে এক ললনা। খুব সম্ভবত পোলিশ হবে। শরীরের গঠনে তাই মনে হয়। তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে না।

আমার এখন জানালার কাঁচে এঁকেবেঁকে বৃষ্টির গড়িয়ে পড়া পানি দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু সমস্যা হলো জানালাটা দেখতে হলে ললনাটির ঠোঁট সমান উচ্চতায় আমাকে তাকাতে হয়। বাদ দিলাম। কারণ, আমার বাম পাশের যে ভদ্রলোক আছেন তিনি মনে করছেন আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ললনাটিকে দেখছি। তার দিকে না তাকিয়েও আমার দিকে তার দৃষ্টি বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছিলো আমাকে।

সচলায়তনে প্রথম পাতায় বামে নিচের দিকে একটা নতুন জিনিষ লক্ষ্য করা গেছে। সেই প্রেক্ষিতে ভোটানোর উপায়টা কীভাবে!- আজকে সচলায়তনে ঢুকার পর থেকেই মাথায় এটা টুংটাং করে যাচ্ছে। কেম্নে কি!


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

আহেম, মানে, শরীরের গঠন-টঠনও খিয়াল করেন নাকি?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আহেম, আপনে এতো লাইন রাইখা অই লাইনটারেই বাইছা নিলেন ক্যা? চিন্তিত
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সমান সমান উচ্চতায় থাকলে অসুবিধা কি?



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সমান সমান উচ্চতা হইলে আর জানালা দেখা হইবো না, সমস্যাটা আসলে ঐখানেই!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুমন চৌধুরী এর ছবি

জানালা?



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
শামীম হক এর ছবি

বস্, নাদিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছা করেনা, পোলিশ ললনার দিকে তাকাইয়া থাকতে ইচ্ছা করে না..., আপনার হইলো কি?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দুইটার পেছনেই যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ কারণ আছে, কিছু হওয়া লাগে না বস! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তবু (বিপ্লব)


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অ।
ঐটা তাইলে সত্য ঘটনা ছিল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বদ্দা কী জানালার কথা জানাইলো?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বদ্দা আসলে জানালা না খোলা-জানালা'র কথা জানাইছে! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনি খোলা জানালায় ললনা দেখেন ঐটা বদ্দা জানলো ক্যামনে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কইতে পারুম না।
বদ্দা মনে হয় মনে করছে আমি ললনার মধ্যে খোলা জানালা দেখতাছি!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহা, প্যাঁচ লাইগা গেছে।
আপনি, ললনা, বদ্দা, জানালা; কোনটার মধ্যে কে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আহারে!

খাড়ান সোজা কইরা বুঝাই।

এট্টা জানালা। তার এই পাশে আমি। আমার কোলে ললনা। আমরা বাদাম খাই। জানালার ঐ পাশে বদ্দা। বাইরে বৃষ্টি। বদ্দার হাতে ছাতা নাই, ভিতরে ঢুকার চাবিও নাই। অথচ ঘরটা বদ্দারই। দেঁতো হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বদ্দা এইটা নিয়ে কোনো জেনেসিস তো লিখে নাই।
আপনি আসলে চাপা মারতেছেন। (ধুগোধরাখাইছে)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, অহনতো কইবেনই। আপনেরে ইদানিং সন্দেহের বাতিকে ধর্ছে না! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

খুব ভালো লিখেছো। হৃদয় ছোঁয়া। ৫ দিলাম। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ৫-এর জন্য না। আপনার হৃদয় যে ছুঁতে পেরেছে লেখাটি, সেজন্যই কৃতজ্ঞতা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

পরিবর্তনশীল এর ছবি

গুরু...
পাঁচ দিতে বাধ্য হলাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু,
আপনার ছবি আঁকার হাত কেমন??
...না আঁকতে পারলেও সমস্যা নাই।যার এমন ছবির মত লেখার হাত তার আঁকাআঁকি না জানলেও চলে।

কানকথাঃ গুরু,আপনি নাকি ইদানীং আমার নিকের শানে নুযুল নিয়া প্রকাশ্যে অতি গোপনে খোঁড়াখুঁড়ি করতেসেন?? চোখ টিপি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগাগোড়া বিশেষ জ্ঞানের ইশটুডেন্ট হওয়ার খাতিরে আঁকাআঁকিতো করাই লাগছে। কেমন আঁকছি সেটা নিচের একটা এবং কেবল একটা টেস্টিমোনিয়াল থেকেই পরিষ্কার হবে।

ইন্টারমিডিয়েটে ক্লাসের ফাঁকে অনেক ধ্যান করে একটা জলজ্যান্ত গরু এঁকেছিলাম। নিজের অংকনে নিজে মুগ্ধ হওয়ার পর পাশে বন্ধুকে দেখাতেই ও চমকে উঠে বললো, "শালা, এতোবছর ধরে (সেই ইশকুল জীবন থেকে) আঁকাবুকি করছিস আর এখনো ব্যাঙটা ঠিক মতো আঁকতে পারিস না!"

লেখার ব্যাপারে বলি- যে পাঠকের এতো সুন্দর, শিল্পিত চোখে কিছু পাঠ করার যোগ্যতা আছে তার জন্য লেখকের লেখা সুন্দর হতে হয় না! পাঠক নিজেই তাতে সৌন্দর্য খুঁজে নেয়। শুক্রিয়া গুরু।

কানপ্রেসক্রিপশনঃ কানকথায় কান দিয়েন না বস!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু, আপনাকে দেয়া বাউন্সার তো পুরা হুক করে মাঠ ছাড়া করে দিলেন।
এই জন্যিই তো গুরু মানি।

কানোত্তরঃ কানকথায় কান না দিলেও মাথা কিন্তু ঘামাইতেসি চোখ টিপি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কোনো ক্রিকেটার থেকে হুক আর পুল যেকোনো শর্ট বের করে নেওয়ার পুরো কৃতিত্ব একজন সফল কোচের গুরু! হাসি

আর এতো মাথা ঘামাঘামির কী দরকার? কনফেস করেন মিয়া কনফেস। আপনের মিলা ভাবীর কসম লাগে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু ঐ কথাডা মনে আসে তো?
ওই যে কইসিলেন যে ভাবীর কই কই জানি দেবরের কি কি দাবী আছে...
অইটা মনে থাকলে এবং মানার মন থাকলে তাইলে কনফেস এর কথা ভাইবা দেখতে পারি চোখ টিপি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে মিয়া, আমার নিয়্যাত পরিষ্কার। সিনিয়র ভাইরা বহুত দাগা দিছে। কতো হুনতাম, "খাড়া বিয়া কইরা লই। তগোই দিন লাগবো।"
কিয়ের কি। সব হালায় বিয়া কইরা আমগোরে ভুইলা গেছে। তাই আমি চিন্তা করছি। বিয়ার পয়লা দিনই ঐ বেটিরে কইয়া রাখুম, "দেহেন। আমারে সিনিয়র ভাইরা অনেক আশা দিয়াও আশা পূরণ করে নাই। আমি চাইনা অগো মতো জুনিয়রগো কাছ থাইকা অভিশাপ নিতে। জুনিয়ররা আইলে, ইট্টু আট্টু খুইলা মুইলা বইয়েন। অরা তো ইট্টু দেখবোই, লইয়া তো আর যাইবো না। আর দেখলেতো আপনের কোনো কিছুতে টানও পড়বো না!"

চিন্তা কইরেন না গুরু। আমি আছি আপনের লগে। হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

রায়হান আবীর এর ছবি

সে খেলা কানাগলি রোদ চুপিসারে
এবং আগুন ছিল বাস কাউন্টারে...
হাওয়ায় হাওয়ায়...
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

এত বিক্ষিপ্ত কেন!!! হইছেটা কি আপনার? সচলে সমস্যা ভাগাভাগী (সব না যেমন, লেখাপড়ার চাপ, ছেকা দেঁতো হাসি এই রকম কয়েকটা বাদে.....) করেন সব ঠিক হয়ে যাবে হাসি

কল্পনা আক্তার

.................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
শেখ জলিল এর ছবি

নস্টালজিক!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

ঠোঁট সমান উচ্চতায় তাকালে সমস্যা কি?

লেখাটা খুব ভালো হয়েছে। পরিচিত ধুসরকে কেন জানি মিস করলাম লেখাটায়। মন খারাপ নাকি?

নতুন মডিউল? মনে হয় রেটিং এর ভিত্তিতে ওইটার ড়্যাংকিং হয়।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঠোঁট সমান উচ্চতায় তাকালে দুইটা সমস্যা। এক হলো পাশের বুড়াটা আংকেল দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ভষ্ম করে দেয়।
আর দ্বিতীয়টা কমু না। দেঁতো হাসি

মডিউলের ব্যাপারটা খোলাসা হইছে। অপরিচিত লাগলো ক্যান ধুসরকে? ললনার কথাওতো আছে মেম্বার জী! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

ফারুক হাসান এর ছবি

আহেম- এইটারে ইমোটিকন করন যায় কি? (হ্যা, মডুদের বলছি)
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার আকুতি এই কমেন্টের মাধ্যমে যথাযথ মডুদের কাছে জানিয়ে দেয়া হলো।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

শিক্ষানবিস এর ছবি

হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
গুরু... লেখা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে গুরু আপনে।
খাড়ান চেয়ারটা মুইছা দেই, ইট্টু বসেন। তারপর শুক্রিয়াখান দেই। হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমি মূলত ধুসরের ভক্ত। লেখা পড়ি তয় ভক্ত ছিলামনা। আজ থেকে সেটাও হলাম।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রং নাম্বার বাউলের কাছ থেকে লেখার চাইতে মানুষ হিসাবে ভক্তিটাই ধুসরের কাম্য। আপনি এই অধমের লেখার ভক্ত হইয়া গেলে লোকে বলবে পিঠ চুলকায়। (এমনিতেই তো কতোজনে কতো কথা বলে!) লেখার ভক্তিটা এক পাক্ষিক থাকুক শুধু, অন্যটা দ্বিপাক্ষিক হলেও অসুবিধা নাই।

আপনাকে রাতের তারা ভরা আকাশের এক ইঞ্চি সমান কৃতজ্ঞতা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ললনারা যদি ধুসর গোধূলিরে না টানে, তাইলে তো চিন্তার কথা।
জরুর ডালমে কুছ কালা হ্যায় !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কুছ কালা কই দেখেন?
আমি তো কালা'র জন্য ডালই দেখি না! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঘটনা কি, আপনার নাকি ইদানিং মন্তব্য কোটা শেষ হয়ে যায়?
হা হা হা হা।
বড়ই শরমের কথা,

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমিও বুঝলাম না ঘটনাটা!
এক মোটারামরে এমএসএনে ধরলাম, কি সব খাচড়া খাচড়া কথা শুরু করলো। এইবার আমিও গেলাম ভুইলা আমার সমস্যার কথা। তার লগে তাল দিয়া গেলাম! চোখ টিপি

আরেক মোটারামরে ধরলাম, হালা কয় কংগ্রেচুলেশন তোরে!!
আমি কই, হে কা?
হালা কয়, তুই ই প্রথম ব্যক্তি যে মন্তব্যের কোটা শেষ কইরা ফেলছে!

মনের দুঃখে ভাবলাম অফলাইন হইয়া কমেন্ট মারি। ওমা দেহি যাচাই বাছাই হইতে হইতে আমি বুইড়া হইয়া গেছি গা, মন্তব্য তাও আসে না। বড়ই সিরিংখলায় আছিলাম কাইলকা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আহারে !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।