গুরুচন্ডালী - ০১৫

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ১৭/১২/২০০৮ - ১০:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
ইদানিং খালি লিখতে ইচ্ছে করে। আবঝাব, নিজের দিনপঞ্জির মতো করে। যা-ই দেখি, যা-ই শুনি, যা-ই পড়ি, যা-ই পরি- সব নিয়েই। এই যেমন আজকে অনেকদিন পর রাইনের পাড় ধরে হাঁটলাম সন্ধ্যাবেলায়। শেষবার গিয়েছিলাম খুব সম্ভবতঃ হিমু-বদ্দা'র সফরের সময়। গাছে গাছে তখনো পাতা ছিলো। দুই ধারে সবুজ পাতার কিম্ভূতকিমাকার গাছের সারির মাঝবরাবর পায়ে চলার রাস্তা। নদীর তীর ধরেও আরেকটা বাঁধানো ট্র্যাক। কেউ কেউ ইনলাইন স্ক্যাটিং ও করে ঐদিকটায়। প্যারাবোলিক রাস্তা, নদীর গতিপথের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। আজকে ঠান্ডা ছিলো প্রচুর। ৫ টায় ঝুপ করে নেমে যাওয়া সন্ধ্যায় হঠাৎ কী মনে করে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম ঐদিকটায়। নদীটা বেশ প্রশস্ত মনে হলো। কয়েকটা ভটভটি চলে গেলো মাঝে সাঝে। কয়েক কিলোমিটার দূরের পোস্ট টাওয়ার যেনো মেঘের ভেতর ঢুকে গেছে, কিংবা মেঘ গুলোই হয়তো কূয়াশা হয়ে নিচে নেমে এসেছে! পোস্ট টাওয়ারের দেয়ালে ক্ষণে ক্রিসমাস ট্রি, ক্ষণে জার্মান পোস্টের মনোগ্রাম ভেসে ওঠে। ঐদিকে তাকাই একবার, পরক্ষণে নদীর ঐ পাড়ে ভাসমান চাইনিজ রেস্তোঁরার দিক হয়ে দৃষ্টি ঘুরিয়ে আনি পাতা ঝরে যাওয়া গাছ বেষ্টিত পথের মাঝে। এই ঠান্ডায় ইতস্ততঃ কয়েকজন জগিং পাগল (জগা ঠাকুর) ব্যতিত আর কাউকে চোখে পড়ে না! আমি হাঁটতে থাকি...

২.
দেশে ফোন করলে একটা বিশেষ কার্ড ব্যবহার করি। এই কার্ডের বিশেষত্ব হলো, কোনো ভুজংভাজুং নাই। একটা এ্যাকাউন্ট নাম্বারের বিপরীতে রিচার্জ করো আর কথা কও। প্রতি মিনিটে একটা নির্দিষ্ট পরিমান সেন্ট খরচা করো- সোজা হিসাব। কোনো আলগা হিসাব নাই। নাই কোনো আলগা ঝামেলা। কিন্তু পিরোবলেম হইলো আমি যে ফোন থেকে ফোন করি, মতান্তরে যে প্রোভাইডারের মোবাইল ব্যবহার করি সেইটা। গত মাসখানেক ধরে এই প্রোভাইডার কোনো কার্ডের এক্সেস নাম্বারেরই এক্সেস দেয় না। ফোন করলে কানেক্ট হওয়ার আগেই লাইন কেটে যায়। গত বেশ কিছুদিন ধরে, এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন মাঝে মধ্যে লাইন এক্সেস পাওয়া যায়, কিন্তু তার জন্য করা লাগে নানা রকম পুজা-অর্চনা-মানত প্রভৃতি। যখন ফোন করবো ভাবি, ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে বসে পড়ি এক্সেস নাম্বারে এক্সেস পাওয়ার মল্ল যুদ্ধে। এমনও হয়েছে রাত দুইটায় যুদ্ধ শুরু করে এক্সেস পেয়েছি সকাল সাতটায়। আবার এমনও হয়েছে ধৈর্য্যের সঙ্গে কুলাতে না পেরে অবশেষে সেযাত্রা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হয়েছি পগারপার। বাড়ির, অন্দরের জনগণ মাঝে মাঝে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে পাল্টা ফোন দিয়ে জানান দেয়, "ইশটিল ওয়েটিং..."। মির‌্যাকলটা ঘটে তখনই, ঘুট করে লাইনটা লেগে যায়। যে লাইন পেতে আমার টানা ৫ থেকে ৭ ঘন্টা ধৈর্য্যের সঙ্গে নানা বোঝাপড়া করা লাগে, সেই ফোন পেয়ে আমার পেরেশানির অন্ত হয়। হুঁশ করে একটা বাতাসের সঙ্গে বেরিয়ে যায়, "তাইলে মনে হয় হালায় আমার নিয়তটাই খারাপ!"

৩.
জামা কাপড় জমতে জমতে কাবার্ডের নিচটা পুরা বোঝাই হয়ে গিয়েছিলো। অনতিবিলম্বে ধোপাবাড়ি না পাঠালে পরেরদিন গামছা পরে বাইরে যাওয়ার সিসটেম করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমাকে লুঙ্গি পরা অবস্থায় আমার ফ্লোরের লোকজন দেখেছে, উপরের তলার কেউ কেউ দেখেছে টিভিরুমে বিড়ি টানতে যাই বলে! এইটা কী জিনিষ, এই নিয়ে তাদের কৌতুহলও প্রথম প্রথম মেটাতে হয়েছে। এখন তারা লুঙ্গি চিনে, আমার পরিধেয় হিসেবে। এর মধ্যে একটা পর্দানশীন ভাবও আছে। কিন্তু আমাকে যদি গামছা পরে ঘোরাঘুরি করতে হয় তাহলে তো অবস্থা একেবারে বেড়াছেড়া! বাসায় না হয় ঘুরলাম, ব্যাপার না। কিন্তু গামছা পরে শহরে চলে গেছি, এইটা ভাবতেই কেমন শিউরে উঠলাম। নিজেকে যাদুঘরের কাঁচের দেয়াল ঘেরা এক ঘরে কল্পনা করে অজান্তেই আঁৎকে উঠলাম। কাল-বিলম্ব না করে একটা বিশাল ব্যাগে সব জাতাজাতি করে ঢুকিয়ে ছুট দিলাম ধোপাবাড়ি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমার সব কাপড় চোপড়ই মোটামুটি ইস্ত্রিমুক্ত। স্ত্রী এবং ইস্ত্রি- এই দুই জিনিষই আমার কাছে চরম ঝামেলার মনে হয়। আল্লায় বাঁচাইছে, এখনও পর্যন্ত সহি-সালামতে এই দুইয়ের অত্যাচার থেকে বাইরে আছি।

৪.
দেশে থাকাকালীন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কার্ড সেকশনে কাজ করতো এক ইয়ার দোস্ত। অনেক চাপাচাপি করেছিলো 'ভিসা-মাস্টার' করানোর জন্য। বলে "তুই শুধু সিগনেচার মেরে দে, বাকিটা আমি করছি। লিমিট স্টার্টিং-এ পঞ্চাশ হলে চলবে!" আমি গাঁইগুঁই করি। এই জিনিষ আমার ঠিক জুইতের মনে হয় না। মনে হয় হালায় পরের ধনে পোদ্দারী! কখনো তাই করা হয় নি।
সেদিন কী মনে করে কার প্ররোচনায় দিলাম একটা ফর্ম ফিলাপ করে। প্রথমে আসে ইমেইলে কনফার্মেশন, তারপর একদিন ঘরের ঠিকানায় একটা গোল্ড মাস্টার! লিমিট শুনে আমি চিক্কুর দিয়ে উঠি- "কস কী রে মমিন!"

৫.
বহুদিন পর আমার চুলায় আগুন জ্বললো অবশেষে। এমনিতেই নাচনা বুড়া, তার ওপরে বাজে ঢেরা। জ্বরের অজুহাতে নিজেই নিজেকে প্রবোধ দেই, "তোর না ব্যাটা জ্বর, তুই রাঁনবি ক্যামনে? জুইত কইরা হুইয়া থাক। ক্ষুধা লাগলে আল্লারে ডাক!" জ্বর ছেড়ে গেলেও প্রবোধে শরীর মানে, মাগার পেট তো আর মানে না। দৌঁড়াই বাইরে। কখনো ম্যাকুস, কখনো ডোনার (O-এর উপরে দুই নক্তা) আবার কখনো ক্রিসমাস মার্কেট থেকে তেলে ভাজা ব্যাকফিশ ফিলে খেয়ে পেটের জ্বালা জুড়াই। রান্না ঘরে বিপুল বিক্রমে পুরো লম্বা টেবিল জুড়ে প্রাকরন্ধন যুদ্ধরত অবস্থায় জিগলিন্ডে'র সাথে কথা হয়। ক্রিসমাসে এই শুক্রবারেই ইবিজা যাচ্ছে বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। ওর মা ওর নামে ফ্ল্যাট কিনেছে, টাকা ইনভেস্টমেন্টের উপায় হিসেবে। বাংলাদেশের ব্যাপারে দারুণ উৎসাহী জিগলিন্ডে। কার্নেভালের আগে আগেই ফিরে আসবে ছুটি উদযাপন শেষে। আসার পথে রোমা থেকে শাড়ি আর আনুষঙ্গিক জিনিষ কিনে আনবে, কার্নেভালে পরবে বলে! কিচেনের ডাইনিং টেবিলের ওপর রাখা ফ্লোর মেইট দের ক্রিসমাস ক্যালেণ্ডারের দিকে চোখ যায়। ক্যালেণ্ডারে আমার ঘর খুলে কে যেনো চকোলেট খেয়ে ফেলেছে! আমিও খানিক চিন্তা করে আরেকটা ঘর খুলে তার চকোলেট খেয়ে তাতে লবন ভরে আবার বন্ধ করে দিয়েছি সুন্দর করে। আমার এই কর্মে জিগলিন্ডে হাসে। "তোমার বান্দরামী গুলো খুব ইউনিক...!"
হঠাৎ আমার জন্য একটা গিফট আছে, বলে দৌঁড়ে তার ঘরে চলে যায়। ফিরে আসে একটা বই হাতে। আমার হাতে দিয়ে বলে, "ম্যারী ক্রিসমাস..."। ধন্যবাদ দিয়ে বইটা হাতে নিয়ে উলটাই। দ্য কাইট রানার। কবে, কখন, কথায় কথায় বইটা ভালো লাগার কথা জানিয়েছিলাম! আমি ভুলেও গেছি। ও সেটা মনে রেখেছে। ইবিজা যাওয়ার আগে আর দেখা নাও হতে পারে, এই ভেবে আজকেই হাতে ধরিয়ে দিলো ক্রিসমাস প্রেজেন্ট। আমি অসামাজিক প্রাণী এক, এই যে চারপাশে এতো বন্ধুতা, এতো ভালোবাসা- এর প্রতিদান দেই কী করে!


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ক্রিসমাসে জিগলিন্ডের বই উপহার প্রদান ভালো লাগলো।
কারো জন্মদিনে, বিয়ে কিংবা বিবাহবার্ষিকীতে বই দিলে দেখেছি মুখ ব্যাজার করতে। অনেককে আবার মুখ ফুটে বলতেও শুনেছি সংসারে কাজে লাগে এমন জিনিস দিতে পারো না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, ধন্যবাদ।

আমার একটা গোপন প্ল্যানের কথা কই। বড় হইয়া যখন বিবাহ করিব, ঠিক করিয়াছি তখন দাওয়াতনামায় লিখিয়া দিবো।

"জনাব, দয়া করিয়া পুস্তক ব্যতিত অন্য উপহার সামগ্রী আনিবেন না।

উইথ ডিউ রিসপেক্ট, আরজগুজার,
মাননীয় ধুসর গোধূলি
(সাক্ষর এইবার স্পষ্ট)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মহামান্য ধূগো, তাড়াতাড়ি বড়ো হোন, বিবাহযোগ্য হোন, বালক পান্থ কায়মনোবাক্যে এই প্রার্থনা করতেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বই কেনা শুরু করেন তাইলে দেঁতো হাসি

আর আপনেরে আমার বাড়ির ঠিকানা দিয়া দিমুনে। আমার মায়েরে ইট্টু যদি আমার বড় হওয়ার কথাডা বুঝায়া কইতেন...! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আন্টিকে বুঝানোর কাজটা রনদা আর লীলেন্দার ওপর ছেড়ে দেন। দেখবেন আন্টি একবারেই বুইঝা গেছেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে, আমি তো লীলেন্দা আর রণ'দারে ঠিক কইরা রাখছি আন্টির হইবো বেয়াইনরে বুঝানোর লাইগ্যা। কোনো মা তো তাঁর মেয়েরে আমার মতো কুলাঙ্গারের হাতে তুলে দিবেন না! ভাইরে, দুইটা দল তৈরী করেন। নাইলে আমার কোনোদিনও আর বড়ো হওয়া হইবো না! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঠিকাছে। লীলেন্দা আর রণ'দা দুজনরে দু'দিকে পাঠিয়ে দিয়ে বিয়ের কেনাকাটা শুরু করেন। সাথে দাওয়াতের লিস্টিটাও কইরেন কিন্তু। সচলের সবাই মান্যবর ধূগো'র বিয়ে খাওয়ার জন্য উন্মুখ! হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হৈ মিয়া, পিছলান ক্যান? পুরা কাফেলা তৈয়ার করেন। পুরা সচল নিয়াই দুই বাড়ির সামনে অবস্থান ধর্মঘট করুম। দফা আর দাবী একটাই মাননীয় ধুগো বড় হইছে। অখন কিছু একটা করো! চোখ টিপি
(ঈশ, লাজ শরমের আর বালাই রাখতার্লামনা আপনের লাইগ্যা। কই আপনে আইসা শ্লোগান তুলবেন। না, আমার নিজেরেই শ্লোগান মারতে হয়!)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিয়ার জন্য আগে মেয়ে ঠিক করেন বস, তারে এই কমেন্টগুলা পড়াব। তারপর সে কী বলে, দেখা যাবে চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লাজ শরমের বালাই না রেখে আপনি যেভাবে ডেসপারেটলি শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন, সেইটা দেখে আমাদের হবু ধূগো-ভাবী কী বলে, সেইটাই দেখার খুব শখ হচ্ছে দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লাজ শো-রুম? মিয়া যেই হারে রোজা রমজানের দিনে চারুকলা, আমতলা, ঝিগাতলা— সব জায়গায় আড্ডাইয়া যাইতাছেন, এগুলা নিয়া তো কথা কওয়া পাবলিক এখনো শুরু করে নাই। করলে বুঝবেন কতো ধানে কতো আটা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুমম... পান্থ আজকেই নীলক্ষেত যাবে... গুপ্ত স্যারের সমগ্র কিনবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নজু ভাই কোন গুপ্তের কথা বলছেন, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত না নীহাররঞ্জন গুপ্ত?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গোধূলীর বিয়ের দাওয়াত যেন মিস না হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা একটা কথা বললেন পিপিদা? সশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য মেন্টালী প্রিপারেশন নেন। বাঁচন নাই কৈলাম!

ধুগোর বিয়ে মানেই সেটা একটা কাটাস্ট্রফে হবে, ঐখানে সচলেরা না থাকলে ক্যামনে? লাঠিবল, জনবলের দরকার আছে না! চোখ টিপি

আর কে জানে, আমার বিয়ে হয়তো সচল মারফত সারা বিশ্বে ঢাকঢোল পিটায়েই হবে। আর এই ঢোল পিটানোর পিছনেও হয়তোবা কোনো কারণ থেকে থাকবে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

একা একা আর কত কষ্ট করবেন। গুরু, এখনই সময় চোখ টিপি

যেই সমাজ আপনারে অসামাজিক বলবে সেই সমাজ আমি মানিনা। জিগেন্ডেলি না কে জানি তারে জিগায়া দেখেন সেও একই কথা বলবে।

গুরু, আপনে আসলেই ইউনিক গুরু গুরু

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ গুরু, আমিও তাই ভাবতাছি। খিচুরি আমার পছন্দের খাবার। আর কোনো গুণ থাকুক বা না থাকুক, খিচুরি রাঁন্ধার (বে)গুণ আছে এমন কেউ হইলেই দিমু কোদালে পা! চোখ টিপি

জিগলিন্ডেরে জিগাইছিলাম, শরমে পইড়া। আমি তো তোমারে কিছু দিতার্লাম না। জিগলিন্ডে কয়, "লাগবো না। তুমি যেমন আছো তেমনি থাইকো, তাইলেই হয়! এটাই তুমি!"

মাঝে মইধ্যে বাক্য হারা হইয়া যাইগা গো গুরু আপনের, আপনেগো ভালোবাসা পাইয়া!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

লাগবো না। তুমি যেমন আছো তেমনি থাইকো, তাইলেই হয়! এটাই তুমি!

আহা। কি দরদ। এতো পুরা বাংগালী রমণীর কাহানী। গুরু, জিগলিন্ডে ভাবীরে দেখিবার মন চায় মন খারাপ

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাগো গুরু, জিগলিন্ডেরে ভাবী বানায়া বন্ধুতা নষ্ট করার কোনো ইরাদা এই গরীবের নাই। এইটুকুন কৃতজ্ঞতা বন্ধুতার প্রতি আছে। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

হাসি

তয় ভাবীর প্রতিও তো কৃতজ্ঞতা রাখা যায় দেঁতো হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"লাগবো না। তুমি যেমন আছো তেমনি থাইকো, তাইলেই হয়! এটাই তুমি!"
মেয়েটা তো দারুন। খুব ভাল লাগল ওর এই উত্তরটা।

যে ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য, সে তো সেটা স্বতস্ফূর্তভাবে পাবেই, তাই না? হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মেয়েটা আসলেই দারুণ। ওর কথা শুনলে মনে হয়, না হালায় কোথাও কোনো ভুল করি নাই।

কিন্তু সমস্যা বাধে আপনার মন্তব্যের শেষের লাইনে এসে। 'যোগ্য' শব্দটাই সব গুবলেট পাকায়ে ফেলে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শিমুল আপুর পোস্টটার কথা মনে পড়ল। আসলে অন্যদের কাছ থেকে ভালবাসা পাব, নাকি নিন্দা, সেটা কি আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করি না? আমার তো মনে হয়, কেউ আমাকে ("আমাকে" বলতে নিজেকে না, একজন ব্যক্তিকে বুঝাচ্ছি) যদি ভালবাসে, সেটা বাসবে আমার কথাবার্তা, ব্যবহার, কর্মকান্ডের জন্যই, তেমনি মন্দ বাসলে সেটার দায়ও আমারই। দুই-একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে।

তাই আপনি যে উপরে বলতেছিলেন যে, লোকজনের ভালবাসা/বন্ধুত্ব পেয়ে বুঝতে পারেন না কিভাবে প্রতিদান দিবেন... সেটা নিয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে বস। জাস্ট বি ইয়োরসেলফ হাসি

আজ্জুরী ললনা, মালিকা হামিরা, উহুলালা, জিঙ্গালালা, সব্বাই তো এমনিতেই আপনার পিছে পিছে ঘোরে চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধুগো ভাই, আপনে সত্যিই ইউনিক । খুব ভালো লিকছেন গুরু।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাদ ধন্যবাদ নাশু ভাই, গুরু তো আপনে, এইটা স্বীকৃত। এই গরীবরে ক্যান লজ্জায় ফেলেন! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তারেক এর ছবি

লোকজন কথায় কথায় রাইন, কর্ডোভার তীরে হাঁটে... হিংসা লাগে।
বই আদান প্রদান করা ভালো। পান্থদা ও করেন... তবে খালি প্রদান দেঁতো হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বই দিতে ও পেতে খুব ভালো লাগে আমার।
তারেক একখান কতা কই। আমার বই প্রীতি শুনে গেল বইমেলায়, একজন আমারে ১০০০ টাকা দিয়া কইল তোমার পছন্দমতো বই কিনে নিয়ো। আমি যে কি আনন্দ পেয়েছিলাম সেদিন, তা ভাষায় বর্ণনা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, আমি বাড়ি গেলে পুকুর পাড়ে হাঁটি, আর ঢাকায় থাকতে শত জ্যাম জোম উপেক্ষা কইরা বুড়িগঙ্গার পাড়ে গেছিগা। কখনো সদর ঘাটে থামন্ত লঞ্চের ছাদের উপর বইসা ঝাল মুড়ি খাইছি আর নাইলে কখনো জার্নী বাই বোট করছি সলিমুল্লাহ'র মহিলা হোস্টেলের পেছনের অংশে! চোখ টিপি

হাঁটোনের কোনো জায়গা তো হালারা রাখে নাই বুড়িগঙ্গার কোনো দিকেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

ধুগো আসলেই ইউনিক! আমার কথা বিশ্বাস না হইলে হিমুরে জিগান..............


কী ব্লগার? ডরাইলা?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শেষ প্যারায় কোন ম্যারির কথা বলা হইল?

এরশাদের বান্ধবীটা?

দ্রোহী এর ছবি

উঁহু.........এইটাও ইউনিক ম্যারি! ধুগোর সাথে নীচু ক্লাসে পড়তো!!!!!!!


কী ব্লগার? ডরাইলা?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হের ধূ. গো,

স্ত্রী এবং ইস্ত্রি থেকে মুক্ত হওয়ায় এতো খুশী? তাহলে শালী ইত্যাদি গং নিয়ে এতো হা-পিত্যেশ কেনো হে?? দেঁতো হাসি

অপ্রসঙ্গ: পোস্টে (বিপ্লব)
---
আপনার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া নিয়ে আরেকটা 'স্বপ্নায়াতন আসলেও আসতে পারে@ দ্রোহী।
কী ব্লগার? চলবে? খাইছে


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হা-পিত্যেশ করি, কারণ বেশিদিন তো আর বাঁচুম না। মরার আগে একটু অতি-আচার খাইয়াই মরি দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অভ্রনীল এর ছবি

কচি বয়সে মরনের চিন্তা!! কেউ বদ নজর দিসে নাকি? বুকে থুতু দেন... নজর কাটবো!
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নজর-ই নাই আবার বদ! পাড়ার মসজিদের বড় হুজুরের কাছ থাইকা একটা কালো কায়তন পড়া আইনা দিয়েন তো বস! গলায় বান্ধুম। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অভ্রনীল এর ছবি

নজর কাটাইবার জন্য না লাগাইবার জন্য?? পরে হুজুর যদি আপ্নের জিংলিংয়ের পিছে পড়ে আমার দোষ দিয়েননা কইলাম...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কল্পনা আক্তার এর ছবি

লেখতে ইচ্ছে করে! ভালো তো!! বাতাস মনে হয় উল্টা বইতে শুরু করেছে এইবার আপনরে দুর্গের মনে হয় আর রক্ষা নাই দেঁতো হাসি

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখতে তো ইচ্ছা করেই মাগার লেখা তো আর হয় না। এইটা একটা পরিস্থিতি আর কি!

তুফানে উড়াইছি লুঙ্গি, বাসন্তী সমীরণে কীসের ভয়! দূর্গচিন্তা আপাততঃ দূরে রাইখা দিছি।

আপনেরে যে ইট-কাঠ খরিদদার দেখতে কইছিলাম, দেখছেন? দূর্গের ইটকাঠপরিবর্গা সব বেইচা দিয়া গুহায় যামুগা, যা আছে কপালে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কল্পনা আক্তার এর ছবি

খরিদ্দার পাই নাই অখনো।

শুনেন, গুহায় গিয়াও লাভ হইবেন না। আমি দূর্গ থেকে গুহায় গিয়াও নিস্তার পাই নাই.....আমার অবস্থাতো এখন আয় যায় আরকি... মন খারাপ

যে আসিবার সে এমনিতেই আসিবে বেহুলার বাসরের মতো কোন কিছুর মধ্যে ঢুকিয়া থাক্লেও কাজ হইবে না।

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

স্পর্শ এর ছবি

আরে মিয়া দেশ বিদেশ ঘুরতেছেন!! দারুণ মজা! আপনার গুরুচন্ডালী পড়তে ভাল লাগে।

ভাবছি যোঊতুক নিবো লক্ষ টাকার বই! দেঁতো হাসি

এত ভালবাসা জানালাম তার পরও আর আমার তিন গোয়েন্দার কোন খোজ নেই কেন? রেগে টং

..................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তিন গোয়েন্দার হদিস এখনো পাই নাই তো! পাওয়া মাত্রই পত্রপাঠ আপনার কাছে চলে যাবে ঠায়ঠিকানা।

লক্ষ টাকার বই নিলে কিছুমিছু এই গরীবরে দিয়েন। আমি তো আবার যৌতুক নিমু না! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ধূগো'দা, এখন তো কেউ "যৌতুক" নেয় না, নেয় "গিফট"! চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

এনকিদু এর ছবি

অনেকদিন পর ধূগো ভাইয়ের একটা লেখা পড়লাম হাসি

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দারুণ লেখা। এই লেখায় ধুগো নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছে! মন খারাপ করা পরিবেশ থেকে কেমন করে চমৎকার রসিকতার আবহ তৈরি করে তারপর শেষ ঘটনায় এসে আবেগের মোক্ষম চাল - অসাধারণ।

তবে বিয়ের গিফট হিসেবে বই সবসময় সুখকর না। আমার বিয়ের সময় বই যা পেয়েছিলেম বেশিরভাগই সো কলড ধর্মীয় বই - বুখারীর হাদিসসমগ্র, বেহেশতী জেওর আর কি কি যেন আছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বুখারীর হাদিসসমগ্র, বেহেশতী জেওর আর মকছুদুল মুমিনের গণ্ডা গণ্ডা হাত থাইকা বাঁচার জন্য মনেহয় এক্সট্রা আরেকটা লাইন যোগ করতে হবে তাইলে দাওয়াতনামায়! চোখ টিপি

আপনারে যারা চেনে না, যারা দেখে নাই তারা জানেও না আপনার মাঝে ইন্সপায়ার করার কি এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতাটার লাইগ্যাই আপনারে স্যালুট বলাই'দা। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

গুরু এইটা আপনের বেস্ট লেখা। আমি দুপুরে পড়ছিলাম, বাইরে যামু এইজন্য কমেন্ট না মাইরা দৌড়াইছি। সারাদিন খালি বিভিন্ন লাইন মনে করে হাসছি।

(O-এর উপরে দুই নক্তা) এইটা বেশী জোস হইছে।

কালকে নাশু ভাইরে বুঝানোর চেষ্টা করতেছিলাম সচলে কোন টাইপের লেখা আমি সবচে ভালো পাই। এইটা সেই জনরের একটা লেখা। আপনারে বিপ্লবী পাঁচ তারা। দেঁতো হাসি
=============================

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাহ, রায়হান আবীরীয় মন্তব্যে চলুক

আপনেরে নাকি জনগণ খালি ছাদে নাজুক অবস্থায় আবিষ্কার করছে? মিয়া আপনের আরেকটু ট্রেইনিং-এর দরআকর আছে। খাড়ান দেশে আইয়া লই, হাতে কলমে দেখাইয়া দিবো নে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আহেম! আমি কিন্তু কিছু শুনিনি! চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

গুরু ছাদে আমি কিছুই করি নাই। পাব্লিক হুদাই কিছু না পাইয়া এইসব ভুয়া স্ক্যান্ডাল ছড়ায়। আমার উপরে যার মন্তব্য হের কথাই কইতেছি। দেঁতো হাসি

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আসলেই, পাবলিক খুব "খ্রাপ", না? চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অন্যরা যদি ভদ্রতা করে সমালোচনা না-ই করে, তাহলে তো নিজেকেই দায়িত্বটা নিতে হয়! চোখ টিপি

আমি আসলেই মানুষটা বস পদের না হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বস, দুর্দান্ত লেখা! খুব ভাল্লাগসে। খুব সহজ-সরল কিছু কথা সুন্দর করে লিখসেন, যেটা আসলেই অনেক কঠিন কাজ।

আপনার বিয়াতে আমি তাইলে বই-ই দিব। আর কিছু না। হাসি

আপনার কী কপাল! ললনারা সবসময় আপনার পিছে-সামনে-ডানে-বায়ে... চোখ টিপি

আপনার আর জিগলিন্ডের বন্ধুত্ব আরো অটুট হোক দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ললনারা আমার সামনে পিছে ডাইনে বায়ে? বলি, ঐ যে দেখা যায়, নানা বর্ণের, রঙের নাক উঁচা-বুঁচা সব ললনাগো লগে কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া কে জানি ফটুক খিচায়? চোখ টিপি

তারপর লীলেন্দাতো কইলোই কাইলকা কী কী জানি করলেন! ঐগুলার শ্বেতপত্র কিন্তু প্রকাশ করা হবে বিডিআর ভাই। বুইঝেন কইলাম! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আহেম! আমি কিন্তু (এইবারও) কিছু শুনিনি! দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

যান বস, আপনার ইবিজাগামী বান্ধবী জিঙ্গালালা-রে প্রাণ ভইরা দেখেন গা। তাইলে আপনেও আর কিছু শুনবেন না! চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খালি জিঙ্গালা? মালেকা হামিরা, মালেকা উহুলালা- যতো আছে সবারেই দেখুম, মন-প্রাণ-চোখ উজার কইরা দেখুম, আবার কান খুইল্যা শুনুমও, মুখ খুইল্যা কইতেও ছাড়ুম না! সূত্র কিন্তু আমার জন্য না, বিডিআর ভাইয়ের লাইগ্যা, খিয়াল কইরা। চোখ টিপি

বস, রায়হানরা নানান কথা কয় আপনের নামে। ভালো হইয়া যানগা, আসেন আমার পতাকা তলে। কী আছে জীবনে কন!

ইয়া হাবিবি দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রায়হান তো "খ্রাপ" পোলা! ওর কথায় বস কান দিয়েন না হো হো হো

আপনার পতাকা তলে আসতে পারি, আপনার শালীকূলের ভাগ দিবেন? চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে আমরা নিজেরা নিজেরা কাইজ্যা করতাছি ক্যান? অন্য পাবলিকগো ধরেন জাইত্যা। হাসি

শালীকূল তো আপনেগো লাইগাই বস। শুধু আমার টুকটুকি বউটা / বউ গুলোর দিকে কু-নজর দিয়েন না আরকি! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সেইটাই... নিজেরা কাইজ্জা না কইরা, কারে ধরা যায় কন তো বস! চিন্তিত
আপনার না (ই)স্ত্রী ঝামেলার লাগে! ঠিকাছে, আমি "কু-নজর" দেব না, "সু-নজর" দিলে চলবে তো? চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি তো আর আপনার মত "ইউনিধূসরগড" না চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, ঠিক্কইরা কনতো, মুমু আপনেরে ধুগো সাইজকরন মন্ত্র শিখায়া দিছে কিনা! আৎকা এইরম দুর্জয়, দুর্বার হইয়া উঠলেন ক্যামনে? চিন্তিত দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাইলে অফ গেলাম! দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হ! আমি "ধুগো সাইজকরন মন্ত্র" শিখায়া দিসি! মন্ত্রটা জানি কি? চিন্তিত
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি কিছুই বলব না, তবে কমেন্টের সেঞ্চুরী পিটায়া গেলাম দেঁতো হাসি


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

অভ্রনীল এর ছবি

আমি কিন্তু সব শুনছি! দেঁতো হাসি তয় কি শুনছি সেটা কমুনা...
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অভ্রনীল এর ছবি

গুরু... বিবি (রাসেল) আফার সামনে আবার গামছার বদনাম কইরেননা কইলাম...
"ব্যাকফিশ ফিলে" জিনিসটা কিন্তু আমার কাছে খুবই ভাল লাগে... সঙ্গে রসুন আর মেয়োনিজের সস... চরম খাইদ্য!!

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তেলে ভাজা কিংবা গ্রীল করা মাছের ফিলে আমি মজা কইরা খাই। এর উপরে কোনো জিনিষ নাই! হাসি

বিবি রাসেলের সামনে গামছার বদনাম করুম ক্যান? গামছা পিন্তে তো আমার কোনো সমস্যা নাই। খালি পাবলিক আমারে ধইরা নিয়া যাদুঘরে রাইখা দিবো, এই পেরেশানিতেই না বাদ দিছি। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

খুবই সুন্দর লেখা
ইয়ে... ক্রেডিট লিমিট টা একটু জানতে মন চায়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ।

কিন্তু লিমিটের কথা কইলে তো হয় হাসতে থাকবেন নাইলে কাশতে থাকবেন, আর নাইলে ঝুপ কইরা চেয়ার থাইকা পইড়া যাইবেন! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

১) গুরু, খুশি থাকার উপায় হইলো যা মঞ্চায় তাই করা ... আজ বাদে কাল মইরা যামু, এত ভাইবা লাভ আছে ... আর লেখার বেলায় কই, সিরিয়াস লেখার চে আবজাব পড়তে অনেক বেশি ভাল্লাগে ...

২) আমি আর এইসব কলিং কার্ডের ঝামেলায় যাই না, ফোন অপারেটরের লং ডিস্ট্যান্স সার্ভিস বাদ্দিয়া একটা এড অন সার্ভিস লাগায়ে নিছি, এখন ফোন কর্লেই ঐ এড অনের কাছে যায়গা, হ্যারাই বিল নেয় ... পার মিনিট দেশে চার সেন্টের মত ... আমি অবশ্য ফোন করি না বেশি ...

৩) জামা কাপড়ের কথা কয়া আর লজ্জা দিয়েন না ... এক্টার পর একটা পড়ি আর জমাই, কয়েক সপ্তা পরে দেখি লজ্জা নিবারণের আর কিছু অবশিষ্ট নাই তখন সব বস্তায় ভইরা বেজমেন্টে গিয়া একাই তিনখান মেশিন দখল করি দেঁতো হাসি

৪) যেই ব্যাংকে একাউণ্ট সেই ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড রিকোয়েস্ট দুইবার ডিনাই করছে হালারা ... আর প্রতি সপ্তায় আবজাব ব্যাংক থেকে তিনখান কইরা কল পাই, আমার বিশাল সুখবর, আমারে তারা ক্রেডিট কার্ডের জন্য মনোনীত করছে ... এই কথা সেই কথার পরে আসল কথা বাইর, বছরে একখান বড়সড় চার্জ আছে, মাগনা না ... কয়া দেই, নট ইন্টারেস্টেড, আবার ফোন্দেয় দুই দিন পরে, মহা পেইন ...

৫) লিন্ডা আফার কথা আরো বেশিবেশি শুনতে মঞ্চায় দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

১) আমি তো যা মঞ্চায় তাই করি। কইরা খুশিও থাকি। আইজকা মরলে কাইল বাদে পরশু তিনদিন। মাঝে মইধ্যে মনেহয় এই খুশিটা বুমেরাং হইয়া যায়। তখন একটু কষ্ট লাগে। ধুগোরে ধুগো'র মতো করে গ্রহন করার ডিসিশনটা খুব শক্ত! খুব শক্ত পারসোনালিটি না হইলে এইটা সম্ভব না! হাসি
ধুগোর লেখার ব্যাপারে আপনার মনোভাবের ব্যাপারেও তাই। আপনারে জাঝা।

২) জার্মানীতে এই এড অন সার্ভিস নাই (অস্ট্রেলিয়াতে ছিলো)। এখানে আছে কিছু কোড নাম্বারিং সিস্টেম (মোর অর লেস একই সিসটেম)। এইটার একটা বড় সমস্যা হইলো ল্যাণ্ডফোন কানেকশন থাকা লাগবে। এইটা একটা ভেজাল লাগে আমার কাছে। কিছু মোবাইল প্রোভাইডার আছে যারা মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে একটা করে ল্যাণ্ডফোন নাম্বার ও দেয় যেটা আবার বাসার ঠিকানার এক কিলোমিটারের মধ্যে কাজ করে। এইটা বেশ ভালো একটা অপশন, বিশেষ করে আমার মতো যারা ঘরের চাইতে মোবাইল থাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করে।

কার্ড নিয়ে কিন্তু আমার কোনো কমপ্লেইন নাই। কমপ্লেইন ঐ ফোন প্রোভাইডার নিয়েই। এই শালারাই কার্ডের এক্সেস নাম্বার গুলোতে ঝামেলা পাকায়া রাখছে! এই মাস পরেই এই প্রোভাইডার টাটা।

৩) কী আর কমু বস! মন খারাপ

৪) কানাডার ব্যাপারটা জানি না। তবে শুনেছি আম্রিকাতে জিনিষটা অনেক সহজলভ্য। ওরা নাকি খাড়ায়াই থাকে পুলাপাইনের হাতে ঐ জিনিষ ধরা দেয়ার জন্য।

ছোট একটা উপদেশ দেই বস কিছু মনে না করলে। কিছু কার্ডে একটা নির্দিষ্ট মেইনটেন্যান্স ফি আছে। এইটা একটা ইয়েমারা জিনিষ। যখনই করবেন ঐ জিনিষটা খেয়াল রাইখেন। ভালো হয় কোনো নির্দিষ্ট বার্ষিক চার্জ নেয় না এরকম কোনো কার্ড করা। আরেকটা অপশন দেয়, একটা নির্দিষ্ট মাস পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করার সুযোগ। ব্যাংক এই অপশন গুলা সাধারণতঃ দেয় না, আপনি ইন্টারনেটে অফার দেয়া বিভিন্ন প্রোভাইডার গুলো চেক করে দেখতে পারেন। সরাসরি ব্যাংক থেকে না করাই ভালো।

৫) লিন্ডা আফার ব্যাপারে তো আপাতত ঐটুকুই। আবার পরে কোনো কিছু আসলে অবশ্যই জানবেন বস। কোনো রাখঢাক নাই এই গরীবের কাছে। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

৪) এইখানেও দেয়ার জন্য ঘুরে, ওইযে বল্লাম বাসায় প্রতি সপ্তায় ফোন্দেয়।... কিন্তু সেইগুলিতে এনুয়াল চার্জ আছে ... যেটায় নাই সেটায় এপ্লাই করছিলাম, কিন্তু ইমিগ্র্যন্ট না হইলে ধানাই পানাই করে ...

কাজেই এখন একটা ট্রেড অফ করতে হবে ... ক্রেডিট কার্ড ছাড়া থাকা বেশ ঝামেলার, নেটে কিছু কিনতে গেলেই কার্ড লাগে, এয়ার টিকেট পর্যন্ত ... কত আর মাইনষেরটা ধার করা যায় ...

বাই দ্য ওয়ে, ব্যাংক ছাড়া আর কোথা থেকে করা যায়? সবাই তো দেখি ব্যনংক থেকেই করে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার জন্য একটা অপশনের কথা বলতে পারি, জানিনা কানাডায় ওটা করা যায় কীনা (আম্রিকাতে পান্তাভাত)!

আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্টকে সরাসরি ডেবিট ভিসা কার্ডে (নরমালি হয় ক্রেডিট ভিসা বা ক্রেডিট মাষ্টার) রূপান্তর করতে পারেন কিনা দেখেন। অন্য যেকোনো ভিসা'র মতোই এর সুবিধা। পার্থক্য হলো, এটা প্রিপেইড। যা-ই খরচা করেন, যাবে আপনার এ্যাকাউন্ট থেকে। বার্ষিক চার্জ মনে হয় নাই, থাকলেও সেটা খুব যৎসামান্যই হওয়ার কথা।

আমি যেটা করেছি সেটা অবশ্যই একটা ব্যাংকের। মজার ব্যাপার হলো, তারা একটা ওয়েবসাইটের সঙ্গে কোলাবোরেটেড। ঐ ওয়েবসাইটেই এ্যাপ্লাই করেছি আমি।

আপনাকে বলছিলাম, ঐরকম কোনো ওয়েব সাইট যদি থাকে, তাহলে ভালো হয়। বার্ষিক চার্জের ব্যাপারটা একটা বিরাট পেইন। ভুক্তভূগী না হলে বুঝা যায় না আসলে।

এখানেও মোটামুটি সবাই ব্যাংক থেকেই করে। ওয়েব সাইটের ঠিকানাটা আমিও জানতাম না। হঠাৎই একজন কথা প্রসঙ্গে জানালো সেদিন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

যেটা বল্লেন সেটা নাই, ডেবিট কার্ড দোকানে চলে কিন্তু ওভার দ্য নেট চলে না ...

একটা সলিউশন হচ্ছে প্রিপেইড ক্রেডিট কার্ড ... হাজারখানেক ডলার জামানত রাখতে হবে, বদলে ছয়-সাতশো টাকা ক্রেডিট লিমিট দিবে, কোন এনুয়াল চার্জ নাই ... একবারে এত টাকা জামানত রাখতে গায়ে লাগে একটু ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ডেবিট কার্ড বলতে কি আপনি এফ্টপস বা এটিএম কার্ড বলছেন? ঐটা নেটে চলবে না।

আমি বলছি ডেবিট ভিসা, যেটাকে আপনি প্রিপেইড ক্রেডিট কার্ড বলছেন। কিন্তু একটা জিনিষ বুঝলাম না, যদি প্রিপেইডই হয় তাহলে শালারা জামানত দিয়ে কী করবে? আপনাকে ওরা এমনিতেও একটা এফ্টপস কার্ড দিবে, সেটার বদলে আপনি নিবেন ভিসা'র মার্কা সহ একটা কার্ড । পয়সা তো যা দেবার আপনিই দিচ্ছেন। ঐ শালাগো কী?

মনে হচ্ছে, এদিক দিয়ে আম্রিকা আর কানাডায় একটু পার্থক্য আছে। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, আম্রিকার কোনো প্রোভাইডার কানাডায় ঐ সেবা দেয় কীনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

কিংকং
এ্যানুয়াল চার্জ একটু কম এমন একটা কার্ড নিয়ে নিন।
একটা পেলে আরো ভালো অফার পাবেন।
তখন এমনকি প্যারেন্ট ব্যাঙ্কও অফার করবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

হুম, সেটাই করতে হবে মনে হচ্ছে ... দেখি জানুয়ারিতে এড্রেসটা বদলাই, তারপরে এপ্লাই শুরু করবো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ভাবতেসি, এখন থিকা আপনেরে ইউনিধুগো ডাকুম। ইউনিকোড বা ইউনিসেক্স ইশটাইলে। কী কন? হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যা খুশি ডাকেন সন্ন্যাসী জী! কোনই আপত্তি নাই। দেঁতো হাসি
কিন্তু এই ইউনিলিভার ইশটাইলে নামের আগে 'ইউনি' লাগানোর মাহাত্বটা কী? চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

"তোমার বান্দরামী গুলো খুব ইউনিক...!"

এইবার বুচ্চেন?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ইউনিসেক্স আর ইউনিক এক কথা হইলে বুঝছি সন্ন্যাসী জী।
নাইলে বুঝি নাই! দেঁতো হাসি

আমি যখন ফ্লিকারে এ্যাকউন্ট করি তখন আমার পুরা নাম নেয় নাই। কাইটা ছিঁড়া নাম যা দাঁড়াইছিলো তা হইলো, "ধুসরগড"। আপনে এর আগে পিছেই না হয় ইউনি শব্দটা যোগ কইরা দেন। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নকালে যে সেক্স করা হয়, তাহাকে "ইউনিসেক্স" বলা হয় চোখ টিপি

আপনার সচল অ্যাকাউন্টে ফ্লীকারের লিংকটা অ্যাড করেন নাই কেন? করে ফেলেন... আমরা "ধূসর ঈশ্বরের" ফোটুক দেখি হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমি অসামাজিক প্রাণী এক, এই যে চারপাশে এতো বন্ধুতা, এতো ভালোবাসা- এর প্রতিদান দেই কী করে!

যত ভালোবাসা পান সব জমায়ে রাখেন হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

জিগলিন্ডে আপার সাথে আপনার ভালই খাতির দেখা যাইতেছে। তবে একটা প্রশ্ন মাথায় আইসা গেল ভাইয়া, জিগলিন্ডে যদি শাড়ি কিনে নিয়ে এসে আপনাকে ধইরা বলে, রুমন এইবার পড়ায়ে দাও তাহলে পারবেন তো পড়ায়ে দিতে নাকি ??
কাইট রানার বইটার নাম ম্যালা শুনসি কিন্তু এখনো পড়া হয়নাই। দেখি পড়া লাগবো।
জ্বর এতদিনেও ভাল হয়না ক্যান ? এখন কেমন আছেন ?

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জিগলিন্ডে আপার মাথায় এইরম ঊর্বর জিনিষ মনে হয় নাই যে শাড়ি পরতে আমারেই ধরবো! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দ্যা কাইট রানার পড়তে পারছেন? কেমন লাগল? আমি মুভিটা দেখছি, এক কথায় অনবদ্য! ঐ মুভি দেইখা শেষ করার পর আমি ঘণ্টাখানেক গুলশানের এক ঠাণ্ডা কুয়াশা ভরা সন্ধ্যায় নির্জন অন্ধকার রাস্তায় একা একা হাইটা বেড়াইছি, একটা কোনো শব্দ না কইরা, একই অবস্থা হইছিল বহু আগে লাইফ ইজ বিউটিফুল দেইখা...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ম্যুভিটা আমিও দেখছি। আপনার মতোই হয়েছিলো অনুভূতি!
সিগলিন্ডের দেয়া বইটা পড়ি নাই এখনো। পড়ে বলবো নে কেমন লাগলো। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

একলা থাকা, চুলা না জ্বলা, জ্বরের ঘোর- এইগুলান-এ নিজের কথাই প্রতিধ্বনিত পাই ঘোর-চণ্ডালী-তে। ভালো লাগে। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না, এখন জ্বর নাই আমার। ম্যালাদিন একটু জ্বরে ভুগে অফিস কামাই ঘুম ঝালাই হয় না।
আপনার জ্বরের সুজলা সুফলা উর্বরতা নিয়েই ভাবতেসি। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নজমুল আলবাব এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বলা যায় না, মাথা আউলা হইয়া আছে। যেকোনো দিন সিলেটে গিয়া ফুন্দিয়া উঠতে পারি, "বাউল ভাই, আইসা পড়ছি...!" দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

শরীরের অবস্থা কি সেটাই তো বলতে ভুলে গেছেন।
জ্বর আছে নাকি গেছে ?

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জ্বর গেছেগা সেই কোন্ প্রগৈতিহাসিক কালেই! হাসি
এভাবে খোঁজ নিচ্ছেন বলে গরীব আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"লাগবো না। তুমি যেমন আছো তেমনি থাইকো, তাইলেই হয়! এটাই তুমি!"
মেয়েটা কি অদ্ভুত সুন্দর করে বলেছে, না?
শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মেয়েটার সেই সুন্দর করে বলাটাকে ইদানিং খুবই মিস করি। ওর সাথে এখন দেখাই হয় না ঠিক মতো, আড্ডা হবে তো দূরের কথা! আজকে হঠাৎ করেই দেখা হয়ে গেলো ঘরের সামনের হলমতো জায়গাটাতে। ও আমাকে দেখে থমকে গেলো, আমিও। খানিকক্ষণের জন্য সেই সময়টা ফিরেও এলো। কিন্তু এরপরেই আবার এই সময়। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু প্রশ্নবোধক চিহ্ণ দেখতে পেলাম আজকে। বুঝলাম না কী বলতে চায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।