গুরুচন্ডালী - ০২৬

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: রবি, ২০/১২/২০০৯ - ১২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবার এলো যে সন্ধ্যা...

বেশ দেরী করেই এলো এবার। অন্তত গতবারের তুলনায়তো বটেই! এবারও গতবারের মতোই শহরের রাস্তায় জমজমাট ক্রিসমাস মার্কেট বসেছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে যেনো মনে হচ্ছিলো, এবারের মার্কেট ঠিক জমছে না! অবশ্য সেদিন একটা বাকফিশ ভাজি খাওয়া ছাড়া ক্রিসমাস মার্কেটে ঢোকা হয়নি ঘটা করে। শুধু একদিন একটা ছোট্ট দোকানে, যেটা গতবারও ছিলো, গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম গতবারের মতো এবারও তারা ছোট্ট টাইনিবার্ড সাইজের ঘন্টি রেখেছে কীনা! গতবার তাদের কাছ থেকেই নেয়া টুনটুন করা ঘন্টিটা আমার হারিয়ে গেছে, খুঁজে পাচ্ছি না। মন খারাপ

এবার ঠিক করে রেখেছি ডিসেম্বর ব্লুজে ভুগবো না। ডিসেম্বর তার ব্লুজ থেকে আমাকে ক্ষমা করলেও হঠাৎ দমকে ওঠা আবহাওয়া করলো না। বাক ফিশ খাওয়ার সন্ধ্যাটাই জানি কেমন করা ছিলো। ঠান্ডায় বমি বমি লাগছিলো। ঘরে এসে ঢুকে কয়েকটা হেঁচো মেরেই কাৎ! মেজাজ খারাপের চোটে ভালো মন্দ রান্না করে ফেল্লাম। সেগুলো তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেলাম। নাহ্, ডিসেম্বর ব্লুজে পড়া যাবে না! প্রতিদিন একটা করে গল্পের বই পড়ি, একটা করে সিনেমা দেখি আর রান্না করা ভালোমন্দ খাই, খোমাখাতায় ক্ষেতখামারে 'হ্যাপি হলিডেইজ' সাজাই, অ্যাকুরিয়ামে মৎস্য কন্যাদের সাথে খেলি, হাত মুখ ধুতে গিয়ে আয়নায় তাকিয়ে নিজেই নিজেকে ভেঙাই। সময়টা নেহায়েৎ মন্দ না! লাইফ ইজ বিউটিফুল। হাসি

এরকম লেখালেখির খেলা প্রায়ই খেলা হয়...এরকম লেখালেখির খেলা প্রায়ই খেলা হয়...

ব্যাঘাত করলো কাল সন্ধ্যাটা। রান্না ঘরের জানালায় চোখ রাখতেই চোখে একটা কোমল চাপ অনুভূত হলো। সব সাদা হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। ঝুরঝুর করে পেঁজা তুলোর মতো করে পড়ছে তুষার। বাতাসে উড়ছে, ঠিক যেমন তুলোর সময়ে তুলো উড়ে। বছরের প্রথম তুষারপাত! শীতকালটা যতোই বিরক্তিকর হোক, অন্তত এই একটা দিন খারাপ লাগে না। প্রতি বছরই প্রথম তুষারপাতের দিনে আতিশয্যে একে তাকে জানাই। এবার এতোকিছু না করে দিলাম খোমাখাতায়ই চিকা মেরে, পুরা দুনিয়াই দেখুক! হাসি

এবং বরাহশিকার!...

কালাইডোস্কোপের 'বরাহশিকার' নিয়ে বেশ উত্তেজিত বোধ করছি। লাফিয়ে লাফিয়ে গিয়ে ফ্যান পাতায় নাম দস্তখতও করে এসেছি পত্রপাঠ। কিন্তু সেখানে দেখি কেবলই ফটুক। কোনো নড়ন-চড়ন নাই। কালাইডোস্কোপের এক কালা'রে ধরলাম নড়নচড়ন নাই দেখে। কালা বললো, "বড় কালা'রে এখন এই নিয়া কিছু কইলে পিডাইয়া হাড্ডি মাংস আলাদা কইরা ফালাইবো।" আমি হাড্ডি মাংসের আলাদাবস্থানের কথা শুনে চুপসে যাই! আফটার অল, ভীতু মানুষ।

কালাইডোস্কোপের বরাহশিকারের পোস্টটা আসার পর থেকেই ভাবছিলাম খোমাখাতা বা য়্যুটুবে খণ্ড চলচ্চিত্রটা কোনোভাবে লটকানো যায় কীনা! কিন্তু এসডব্লিউএফ (.swf) ফাইল কোনো জায়গাতেই সাপোর্ট করে না। দ্বারস্থ হলাম রূপান্তরের। সুবিধা হলো না। আকারে বিকারে আকাশ ছুঁয়ে গেলো ফাইলটা। কিন্তু তার চেয়েও বড় যে সমস্যা সেটা হলো, ফ্রেমগুলো একেবারেই স্বাধীন এবং অলস হয়ে গেলো। নড়াচড়া করে না। ২১৫১টা ফ্রেম সব মিলিয়ে। সেটাকে রূপান্তরের পর ৫১টায় করা গেলো, কিন্তু টাইম লাইনটা দিতে হয়েছে হাতে টেনে টেনে। ধৈর্য্যের অভাবে কয়েকটা ফ্রেম ফেলেও দিতে হয়েছে। সবকিছু শেষ করার পর বরাহশিকারের আনঅফিসিয়াল যে ট্রেইলারটা দাঁড়িয়েছে সেটা এমন—

(খুবই ছোট ফাইল, বাফারে সমস্যা হওয়ার কথা না) ট্রেইলারটাকে আরও অনেক আকর্ষণীয় করা যেতো শুধু আর সামান্য একটু ধৈর্য্য হলেই। আর ফ্রেইমগুলো আলাদা করে পেলেতো কথাই ছিলো না। টেক্সটের পাশে ফ্রেম সাজিয়ে একটা চমৎকার ট্রেইলার বানিয়ে ফেলা যেতো কালিদাস হিমুর গাওয়া 'তাঁর সেরা' গানটা দিয়েই।

উপরের কথাগুলো এতো বিশদ বলার কারণ হলো, ফ্ল্যাশ ভিডিও থেকে সাধারণ ভিডিওতে রূপান্তরের কোনো সহজ উপায় কারো কাছ থেকে জানা। কেউ জানালে বাধিত থাকবো কৃতজ্ঞতাপাশে।

বরাহশিকারকে ছড়িয়ে দিন যে যার মতো। সচলায়তনের লেখার লিংক, শুধু অডিও কিংবা খণ্ড-চলচ্চিত্র, যেটা যখন সুবিধা হয়। আমাদের চারপাশে বরাহগুলো এদের শ্বদন্ত বের করে নোংরা হাসি হাসছে, খামচে ধরতে চাইছে আরও একবার আমাদের অস্তিত্ব। এরা এদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্য সফল করতে পারলে একাত্তরের ২৫ মার্চ, ১৪ই ডিসেম্বরের পুনরাবৃত্তি প্রত্যক্ষ করবো আমরা, আরো একবার। এবং শেষবারের মতো। কারণ এরপর আর উঠে দাঁড়াবার মতো ক্ষমতা, বল, সাহস কিছুই থাকবে না আমাদের। এবারই সুযোগ, ঝাঁপিয়ে পড়ার। হিংস্র বরাহদের শিকার করার।

ব্লগ রাজনীতিতে পলিটিক্সের আগমন...

ব্লগ দিবস নিয়ে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলা ব্লগগুলো। আজকে, ১৯ তারিখে একটা ব্লগের ঘোষিত 'বাংলা ব্লগ দিবস' গেলো। অচিরেই আরেকটা ব্লগের আয়োজনে আরও একটি 'বাংলা ব্লগ দিবস' উদযাপিত হবে। খবরগুলো বেশ ভালো। কিন্তু এই খবরগুলো চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দীনতাকেই দেখিয়ে দেয়। প্রবাসেই দেখেছি, ছোট্ট একটা বাংলাদেশী কম্যুনিটির মধ্যে তিনটা দল। একটা উৎসব তারা তিনবারে, তিন দিনে, তিন জায়গায়, তিন ব্যানারে উদযাপন করে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতো। একই ইস্যুতে একদল মিছিল দেয় তো আরেক দল পাল্টা মিছিল বের করে।

আমি জানি সচলায়তন ব্লগ দিবস নামক সংস্কৃতিতে জড়াবে না, জড়ানোর দরকারও নেই। যদিবা সচলায়তন কখনো তার আজকের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়, কারো বুকে বুক মিলিয়ে কিংবা নিজেই আলাদা করে ব্লগ দিবস ঘোষণা করে বসে তবে উইথ ডিউ রিসপেক্ট জানিয়ে দিচ্ছি, সেই দিবস থেকে ধুসর গোধূলি আস্তে করে সাইড লাইনের বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে। কারণ, সচলায়তনকে কোনো রকম তৃতীয় শ্রেণীর রাজনীতিতে দেখতে চাই না কখনোই।


মন্তব্য

ওসিরিস এর ছবি

বর্গাক্ষেতের ছবি ভালৈছে। এতোকাল শুনেছি লোকে বলে 'সফল কৃষক'। আপনি একজন 'সচল কৃষক'।

সচলায়তনকে কোনো রকম তৃতীয় শ্রেণীর রাজনীতিতে দেখতে চাই না কখনোই।

আমিও না।

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি মোটেও সফল কৃষক না। ক্ষেত খামারিতে ঢুকছিই ফাইজলামি করার জন্য। ছবি বানানোর কয়েকটা ট্রাই দিছি, কিন্তু এই জায়গায় আমি ক্যান জানি কোনো ভাবেই সুবিধা করতে পারি না। খাতায় তো তাও ব্যাঙ আঁকলে গরু হয়, কিন্তু এইখানে যে কী হয় সেইটা নিজেই বুঝতে পারি না!

এখন একটা জিনিষের অভাব খুব বোধ করি। ফার্মভিলে'র ডেভেলপাররা যদি আরেকজনের ফার্ম আক্রমনের সুযোগ দিতো। তাইলে আর ওর ফার্মে গিয়া ফাঁপড়দলালি করতে পারতাম। আর পিডাইয়া মিডাইয়া ক্ষেত খামার তুইলা নিজের ফার্মের দিকে রওনা দিতে পারতাম। কিন্তু আপসুস, গেমসের ডেভেলপাররা কখনোই আমার দিক থেকে চিন্তা করতে পারে নাই! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

আপনের চিন্তা বহু উন্নত। এ সুযোগ থাকলে লোকজন প্রকৃতিতেই প্রাকৃতিক কাজ সারত চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হা হা হা

প্রথম যখন 'রোডর‌্যাশ' খেলি, পাতালি দূরত্ব কাভার করতে গিয়া দেখি আমার বাইক কাইত হয়া থাকে, সিধা আর হয় না। এটা দেখে আমার বন্ধু বলেছিলো, "ডেভেলপাররা জীবনেও ভাবে নাই যে কোনো খেলোয়াড় এতো সুন্দর কার্পেটিং করা রাস্তা থুইয়া মরুভূমি দিয়া মোটরবাইক দৌঁড়াইবো!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

খ্যাক খ্যাক... এইডা কি এইজ অফ ধুগো পাইসেন নাকি ?? মিয়া, এইসব নিম্নক্ষেত্রীয়পনা ছারান দ্যান... তার চেয়ে শ্রীদেবীরে নিয়া একটা দুষ্ট গপ্পো লেখেন।

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-অরে পাপিষ্ঠ চৌহাইন্যা, কেষ্টার বলা সেই জামালী না কামালী- তার ফটুক কৈ? যা আছে কপালে, এইবার ঐ জামালী / কামালীরে নিয়াই দুষ্টুমুষ্টু গল্প লেখুম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি বরাহশিকারের পুরা গানের অপেক্ষায় আছি। হিমু গল্প লেখার মাঝখানে চা খায়। এখন গানেও শুরু করছে। এইসবে আমি নাই।

আগে পুরা গান শুনবো, তারপরে যা করার করবো। তার আগে আমি তীক্ষ্ম চোখে পর্যবেক্ষণে নিমজ্জিত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, বরাহশিকার তো কোনো গান না, চলচ্চিত্রও না— যতোদূর জানি এইটা একটা 'কনসেপ্ট'। আর সেই কনসেপ্টটা তো আপনের কাছে পরিষ্কার, নাকি! তাইলে আর দেরী ক্যান। চলেন, রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে-বালিকাদের ক্রোড়ে, সব জায়গায় আমরা বরাহবধসঙ্গীত চালাইয়া দেই। পুরো গান যখন আসার তখন আসবো, তার আগে আমরা গাইয়া যাই যতদূর পারি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

ধু গো,
Quick media converter নামের বস্তুটা টেরাই করে দেখো।

আমি সুফল পেয়েছি। বলতে গেলে প্রায় সকল ফরম্যাটের মাঝে আন্তঃপরিবতর্ন যোগ্য এই কোমলপন্য(software) একটি মুক্ত-উৎস কোমল্পণ্য।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জিনিষটা দেইখাই মনে হৈতেছে খুব কাজে দিবে। এইরকম জিনিষ হাতের কাছে থাকলে কিছু আবঝাব জিনিষ করা যায় সময়-অসময়ে। দেখি জিনিষটা নিয়ে নাড়াচাড়া করে। ধন্যবাদ আপনাকে অনিকেত'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

আমি বায়রায় গিয়া ছিটকা আবার ভিত্রে সান্ধাইছি । মাইনাস ১৭ আছিলো ।
যাউগ্গা, মার্কেটে কি একলাই গেছিলা নাকি ?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দুকা পাবু কুতায় লুল্বাহাদুর হাসিব্বাই? চিন্তিত

আমাদের এদিকে এখন হিমাঙ্গের নিচে পনেরো। অর মায়রে বাপ, আইজকা সারাদিনে ঘরের জানালাটাও খুলি নাই। কাঁচের ফোকর দিয়া বাইরে তাকাইলেই ঠাণ্ডা লাগে, কী করুম! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

খেকশিয়াল এর ছবি

বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

(বিশ্বাস করেন) গানটা একবার শুনেই মাথায় সেঁটে গিয়েছে। আজ আপনি আবারো শাোনালেন। আপনার এই ভিডিওর কন্টেন্ট কি আগের চেয়ে আলাদা? নাকি টেকনিক্যালি আলাদা? আমিতো কোন পার্থক্য পেলামনা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কন্টেন্ট আলাদা না পিপিদা, সবগুলো (ফ্রেম)কে আলগা করা এবং পরে একসঙ্গে জোড়া দেয়ার তড়িকাটা আলাদা।

ধরতে পারেন নাই? এতো স্মুথ কাজ করে ফেল্লাম নাকি! হাসি

গানটা আসলেই দারুণ। নাঁকি গাতক এইটা বেশ 'সাধারণ মানুষের' মতোই গাইছে। আমার সমালোচনা জলে পড়ে নাই। আরে ওস্তাদজীরা ইট্টু আট্টু বকাটকা তো দিবেই, তাই না পিপিদা! তাই বলে উল্টো মুরুব্বি, ওস্তাদজীরে বকা দেয়া কী ঠিক, আপনেই বলেন! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

সুরটা শুনলে আসলেই রক্ত গরম হয়ে যায়।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

এনকিদু এর ছবি

আমি তো তিনচার দিন ধরে রাস্তায় হাঁটার সময় শিষ দিয়া বরাহ মারি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

রান্না করা ভালোমন্দ খাই, খোমাখাতায় ক্ষেতখামারে 'হ্যাপি হলিডেইজ' সাজাই, অ্যাকুরিয়ামে মৎস্য কন্যাদের সাথে খেলি

খেয়ে দেয়ে কাজ নাই বুঝাই যাচ্ছে!! চোখ টিপি

বরাহশিকার নিয়ে আমিও উত্তেজিত ।

"ব্লগ রাজনীতিতে পলিটিক্সের আগমন" অংশটি খুব ভাল লাগল । শিরোনাম ও লেখা দুটোই জোশ ।

( নতুন অতিথি )
বোহেমিয়ান

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই কয়দিন আসলেই খাইদাইকাজনাই অবস্থা ছিলো। শারীরিক ঘড়ি বদলে পুরা গোত্তা খাচ্ছে। বিকেলে ঘুমে চোখ ভেঙে আসে আর সকাল সাতটা পর্যন্ত দেহমন থাকে চাঙ্গা। মাঝ থেকে লাভের লাভ হলো, এখন আয়নায় তাকালে আর নিজেকে দেখি না। দেখি এক বান্দর ভেটকি দিয়া রৈছে, দাঁত কেলায়া! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

চারধার সাদা মনে হচ্ছে, মর্গে আছি লাশ।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অনেক বছর পর এদিকে এতো ঠাণ্ডা পড়লো, এমন পুরুত্বের বরফও। আজকেও তুষার বৃষ্টি হৈছে সন্ধ্যার দিকে। আমার জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে যতোদূর দৃষ্টি যায়, খালি সাদা আর সাদা। কয়েকটা ঘর থেকে হিটারের ধোঁয়া উঠছে, পুরাই ক্যালেণ্ডার ক্যালেণ্ডার সিন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

ধুসর গোধুলির ভালোমন্দ খাবার খেতে মন চায় মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কল্পনা আক্তার এর ছবি

ডিসেম্বর ব্রুজে ছাড়লেও উইন্টার ব্লুজ থেকে রক্ষা নেই হে বাছা.......

বরাহশিকার নিয়া মহা উত্তেজনায় আছি চান্স পাইলেই পিচ্চি পাচ্চা গুলারো শোনাই আর আলোচনা করি। আমার আলোচনায় উৎসাহি হয়ে আমার ১০+বছরের ভাইন্গা তার বাপেরে গিয়া চাইপা ধরছে বাবা আমারে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ক বই কিন্না দেও!!!

একটা মজার বিষয়, প্রথম কয়দিন আমি "কালাইডোস্কোপরে" পড়ছি "ডালাইস্কোপ" (দেখছি ঠিক খালি পড়ছি অন্যকিছু) গড়াগড়ি দিয়া হাসি , এখন অবশ্য ঠিকই পড়ি

বাংলা ব্লগ দিবস ঘোষনা একটা হুদাই তামশা লাগে আমার কাছে।

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পিচ্চিগুলারে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শোনানোর পাশাপাশি ধুগোর কাহিনীও শুনাইয়েন। ডর পাইবো। খাওয়াইতে সুবিধা হইবো। বড় হয়া সবাই ধুগো হৈতে চাইবো। একটু বয়সী ললনারা তাদের বান্ধবীদের সাথে ধুগোর বীরত্ব নিয়ে গল্প করবে। ছোটরা তাদের ছোটখালাদের ধুগোর গল্প শোনাবে। খালারা তাদের শয়নকক্ষ থেকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার নামক বলদটার ফটুক সরায়ে দিয়ে ফুলস্কেপ 'ধুগোর ফটুক' (অবশ্যই সচলের প্রোফাইল পিক) লটকাবে, আর সেটার সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সেরা প্রেমের কোবতে পড়বে।
"হাঁড়ি তব হস্তে তার,
বিদিশার দিশায়।
আর বাড়ি হাঁটি যায়,
মিঠাই মণ্ডার নিশায়।"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কল্পনা আক্তার এর ছবি

একবার জিগাইতে চাইতাছিলাম " জগতের তাবত শালীগোরে থুইয়া ধুগো যুবতী ললনা/ বাচ্চার খালাগো দিকে আগ্রহ দেখাইতেছে কেনু!" কিন্তু পরক্ষনেই মনে উদয় হইলো "এরাও তো কোন না কোন ভাবে কারো না কারো শালী'ই হয়" খাইছে

কোবতে'টা আসলেই বিশ্বের সেরা প্রেমের (!) কোবতে হইছে দেঁতো হাসি
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উইকএন্ডে হারকিউলিস এ গিয়েছিলাম। এমনিতে শহরে তাপমাত্রা দেখেছিলাম -১৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। হারকিউলিসে সেটা মনে হয় -২০র নিচে ছিলো। বরফ ঢাকা শহরের কয়েকটা ছবি তুলে তড়িঘড়ি ফেরার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে দেখি বাস আসতে ১৬ মিনিট দেরি। পাশের একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসি। ১৪/১৫ মিনিট পরে বেরিয়ে আবার বাসস্ট্যান্ডে, বাস আর আসে না। শেষতক ৮ মিনিট লেট করে বাস বাবাজি যখন এলেন তার মধ্যেই পায়ের আঙুল জমে এমন হয়ে গেছে যে মনে হয় টোকা দিলেই ঝুরঝুর করে ভেঙ্গে পড়বে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দুর্দান্ত এর ছবি

হারকিউয়নে গিয়ে গিয়ে নর্ডিক ঠান্ডার পিড়াকটিশ করা হচ্ছে? তা পরের বার এক থার্মোস ভরে কফি নিয়ে যেতে ভুলবেন না। তা কেমন দেখতে হয়েছে বরফে মোড়া কাসেল? কিছু ছবি দেখান আমাদের।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বরফে মোড়া হারকিউলিস দেখতে আমারো মঞ্চায়, কিন্তু পাপিষ্ঠ হিমুর লগে আপাতত পান্তামুক বন্ধ করছি দেইখা আর যামুনা। এই পাপিষ্ঠ যেইখানে যায়, সেইখানেই আর যামু না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কখনও হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রা অনুভব করিনি, কখনও তুষারপাত দেখিনি। খুব ইচ্ছা অন্তত একবার হলেও এমন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভব করে দেখি কেমন লাগে।

ফার্মভিল বা ফেইসবুকের কোনও গেইমই খেলি না। মাঝখানে কিছুদিন ক্রেজি ট্যাক্সি খেলেছিলাম, আর এ-টু-জেড টাইপিং স্পিড টেস্ট। এখন আগ্রহ পাই না কিছুতেই।

গানটার সুর ও গায়কী আসলেই খুব catchy. খুব ভালো লেগেছে। পুরোটার অপেক্ষায় আছি। আপনার কাজটাও দারুণ হয়েছে।

'বাংলা ব্লগ দিবস' নিয়ে একেবারেই কোনও মাথাব্যথা নেই। 'বাংলা ব্লগ দিবস' ঘোষণা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ-মেইল পেয়েছিলাম সামহোয়্যারইন থেকে। যাইনি। সেদিন সচলায়তনে একটা পোস্ট দেখলাম। পড়েছিলাম। কিছু মন্তব্যও দেখেছিলাম। কিন্তু ওই পর্যন্তই।

ফেব্রুয়ারি মাসে কোনওভাবে ঢাকায় আসা যায় নাকি, খুব ভালো করে একটু চেষ্টা করে দেখবেন কি?

দ্রোহী এর ছবি

তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে!!!!!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

প্রাণনাথ আইসা প্রাণ্টা না নিয়া যায় আবার! নাথ থেকে পুরা অনাথ হয়ে যাবে তাইলে এককালের মিলা ভাবীসাব

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।