কুয়োর ব্যাং ও সচলায়তন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৮/২০০৮ - ৬:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওবামা এর এক্সেপ্টেন্স স্পিচ নিয়ে চমতকার এক টা পোস্ট দিলেন সচলে। কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই "দেশ" নিক নিয়ে কমেন্ট দিলাম।

কিন্তু কমেন্ট করে আমি একটা ব্যাপার উপলব্ধি করলাম। সচলায়তন কোন ভাবেই সমালোচনা করার সঠিক জায়গা না।

এমন একটা অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে সচল পরিবার যে, ভিন্নমত তারা সহ্যই করতে পারে না, একেবারেই না। যেন প্রত্যেক টা পোস্টেই আপনাকে বলতে হবে, গুল্লি পোস্ট অথবা পাঁচ তারা পোস্ট, উত্তম জাঝা জাতীয় কমেন্ট।

অভিজিত দা কে আমি খুব সম্মান করি, আমি শুধু বলেছিলাম ,

"নিজের দেশের খবর নাই, আমেরিকা নিয়ে ব্লগ কাপাইয়া কি হবে?" ।

আসলে এটি নেগেটিভ সেন্সে আমি বলি নাই। দুঃখে বলেছিলাম। আমার কমেন্ট কোন ভাবেই অভিজিত দা'র পোস্ট কে ঋনাত্বকতার দিকে নিয়ে যায় নাই।

কিন্তু কয়েক জন সচল বুঝলো পুরা উলটা, এমন কি অভিজিত দা নিজেই,

"সে জন্য তো আপনার মত 'দেশ'দরদীরা আছেন। ব্লগ আর গলা কাপাইতে থাকেন।"

এই কমেন্ট দেখে আমি বাধ্য হয়েই বলেছিলামঃ

দাদা, এতো সহজে ক্ষেপে যান জানতাম না কিন্তু! একটু ভেবে দেখুন আমেরিকাতে কে প্রেসিডেন্ট হলো না হলো এতে কি আমাদের বাংলাদেশের কিছু যায় আসে ?
ওবামা হলেই কি আর মেকনেইন হলেই কি? এর চেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে ভাবুন, আমাদের ও ভাবতে শিখান।

এরপর আমি দুই টা কমেন্ট দিলাম, একটা ও ছাড়া হয় নাই। কিন্তু এর পরের কমেন্ট গুলা দেখেন। একজন এসে বললেন কুয়োর ব্যাং।

অভিজিত'দা একটা নোটিশ টাঙ্গায় দিলে পারতেন - কুয়ার ব্যাং-এর মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন। তাইলে এই স্বঘোষিত দেশ-দরদীদের থেকে অন্তত রক্ষা পাইতাম।

অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে কমেন্টে ওয়েলিং না থাকলেই আপনি মহা বিপদে পড়ে যাবেন।

এইগুলান ট্রলিং পাত্তা দিয়েন না, অভিজি‍ৎ দা।

তবে হিমু ও সুমন সত্যিকার ব্লগার সুলভ কমেন্ট করেছে, তাদের কে এপ্রিসিয়েট করতেই হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হইলো টেকাওয়ালা দুনিয়ার পাহারাদার কাম লাঠিয়াল। এই লাঠিয়াল বাহিনির কে কখন সর্দার হয় সেইটা আমাগো জানার দরকার আছে। ঐ দিয়া আমরা বুঝা পারি পরবর্তী বাড়িটা আমার হোগায় ঠিক কতটা জোরে আইসা লাগবো। এর চাইয়া সোজা কইরা কওয়া পারুম না। এতেও যদি না বুইঝা থাকেন তাইলে ঠান্ডা পানিতে একটা গোসল দেন।-সুমন

দেশ-এর মন্তব্য দু'টি পড়েছি। সচলায়তনে কিন্তু দেশ নিয়ে নিয়মিতই লেখা হচ্ছে। ওবামার বক্তৃতা নিয়ে যদি কারো আগ্রহ না থাকে, বা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়, তাহলে এই পোস্ট না পড়ে বাকিগুলো পড়লেই তো আর সমস্যা হয় না। অভিজিৎকেই কেন এই মূহুর্তে ওবামা নিয়ে লেখা পরিত্যাগ করে দেশ নিয়ে লিখতে হবে?-হিমু

অভিজিত দা ও একবার কুয়োর ব্যাং জাতীয় কমেন্টে জ়াঝা দিলে ও পরে উনি সুন্দরভাবে ফিরে এসেছেন।

হাঃ হাঃ আপনেরা পারেনও। আপনার আর সুবিনয়ের মন্তব্যে বিপ্লব দেওন ছাড়া এই অধমের আর কিছু করণীয় নাই।

সঙ্গত কারনেই আমার বলতে হচ্ছে, কুয়োর ব্যাং তাহলে কে?

সুশান্ত দাস গুপ্ত


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্রিয় সুশান্ত,

সত্যি বলতে কি, আপনার অভিজিৎকে লেখা প্রথম মন্তব্য পড়ে কিন্তু বোঝার উপায় নেই যে সেটা নেগেটিভলি বলা হয় নি। খুব সাংঘাতিক কোন সমালোচনা ছিলো না ঠিকই, কিন্তু পোস্টটির গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো। যদি আপনি আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ থেকে ওই মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে বলবো আরেকটু স্পষ্ট করে সেটা বোঝালে ভালো হতো।

আর অভিজিতের প্রথম প্রতিমন্তব্যও কিন্তু একটুও বাড়াবাড়ি ছিলো না। ওটাকে ঠিক 'ক্ষেপে যাওয়া' র চাইতে 'বিরক্ত হওয়া' মনে হয়েছে, তবু ধরে নিচ্ছি আপনার মনে হওয়াটাই ঠিক। আপনি এর পরের মন্তব্যে যখন আবার বললেন আমেরিকায় কি হলো, তা দিয়ে আমাদের কি - বরং অভিজিত নিজের দেশ নিয়ে ভাবুক এবং অন্যদেরও ভাবতে শেখাক - তখনও কিন্তু আপনি আপনার মূল বক্তব্যটি পরিষ্কার করে দিলেই পারতেন। কিন্তু ...... ?

সচলায়তন কোন ভাবেই সমালোচনা করার সঠিক জায়গা না।

এমন একটা অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে সচল পরিবার যে, ভিন্নমত তারা সহ্যই করতে পারে না, একেবারেই না। যেন প্রত্যেক টা পোস্টেই আপনাকে বলতে হবে, গুল্লি পোস্ট অথবা পাঁচ তারা পোস্ট, উত্তম উত্তম জাঝা! জাতীয় কমেন্ট।

সুবিনয় নিজেই কিছুদিন আগে অভিজিতের একটা মন্তব্যে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। অভিজিৎ প্রতিমন্তব্যে তার বক্তব্য পরিষ্কার করে বলেছেন - দু'পক্ষ একমত হয়েছে কিনা আমি জানিনা, কিন্তু কোন অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। কেন ঘটবে? না ঘটাটাই সচলায়তনে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া হয়। আপনার যাদের মন্তব্য অসহিষ্ণু মনে হয়েছে তাদের প্রতিমন্তব্যে জানাতেন আপনার অবস্থান? তাদের নাহয় যুক্তি দিয়ে দেখাতেন যে আপনি ঋনাত্বক ভাবে কিছু বলতে চাননি, অতএব আপনাকে কুয়োর ব্যাং বলা উচিত হয় নি?

সেসব কিছু না করে আপনি সচল পরিবারকে অভিযুক্ত করে যে পোস্টটি দিলেন - আপনিই বলুন সেটি একটা ধনাত্মক না ঋণাত্বক ব্যবহার?

আরো একটা কথা - পোস্টটি পড়ে আপনি কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলেন না বলে 'দেশ' নিক নিয়ে মন্তব্য করলেন, কেন?? এ ব্যাপারটা একদমই বুঝলাম না। পোস্টটি যে নামে দিলেন প্রথমেই সে নামে মন্তব্য করলেন না কেন? দেখা যাচ্ছে দু'নামেই আপনার লেখা প্রকাশিত হয়েছে বা হতে দেয়া হয়েছে, তাহলে?

আমি সচলায়তনের শুরুর দিকের সদস্য নই, মডারেটরদের কারো সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাদের কারো সাথে আমার চুলোচুলিও যদি হয় কখনও ( ওঁয়া ওঁয়া ), তারপরও সচলায়তনের জন্য সবসময় তাদের ধন্যবাদ দেব।

তার একটাই কারণ - সচলায়তন পরিবারই হোক বা যুদ্ধক্কেত্র - একটা ভদ্র, প্রগতিশীল, মুক্ত আলোচনা/সমালোচনার জায়গা বলে আমি মনে করি।

ভালো থাকবেন হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সমালোচনা করুন - গঠনমূলক
সচলায়তন নবিন লেখকদের লেখা প্রকাশের একটি ওয়েবসাইট, আমিও কিছুদিন হলো এখাকার লেখা পড়ছি এর মধ্যে কিছু লেখা বেশ ভাল লেগেছে। এখানে লেখা নিয়ে যে কেউ সমালোচনা করতে পারে। সমালোচনা মানে কোন লেখার গঠন মূলক সমালোচনা যাতে লেখক বুঝতে পারে তার লেখার ভুল এবং কি করলে লখাটাকে আরো সুন্দর করা যেতো , কিন্তু আমার একটা ব্যাপার দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে তা হল দেখলাম এখানে লেখা নিয়ে বাস্তবমুখি আর গঠন মূলক সমালোচনা খুবই কম তার চেয়ে কমেণ্ট এর জায়গাটিকে চেটিং এর জায়গা হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে সেখানে লেখা নিয়ে কোন আলোচনা সমালোচনা হচ্ছেনা - এতে করে লেখক তার ভুল গুলো বুঝতে পারছেনা, বুঝতে পারছেনা কি ভাবে লেখাটাকে আরো ভাল করা যায় বা যেত। আমার আশংকা হয় - এই ভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর সচলায়তন লেখার ওয়েবসাইট থেকে সচলায়তন চেটিং ওয়েবসাইটে পরিনত না হয়। তাহলে একটি ভাল জিনিসের অপমৃত্যু ঘটবে। আশাকরি আপনারা তা করবেন না।

- ইফেতখার --

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনার মন্তব্যটি যেহেতু আমার মন্তব্যের জবাব হিসেবে এসেছে, তাই আমিই উত্তর দিচ্ছি।

এখানে লেখা নিয়ে যে কেউ সমালোচনা করতে পারে।

অর্থাৎ আপনিও পারেন। অথবা যে কেউই, যারা গঠনমূলক সমালোচনা করতে এবং পড়তে উৎসাহী। আর সমালোচনা হয় না তা তো নয়? ব্লগ মানেই পারস্পরিক বা ততোধিক মতবিনিময় - সেখানে কখনও সমালোচনা থাকবে, কখনও অন্যান্য কথাবার্তা থাকবে। সচলায়তন তো কোন গুরুগম্ভীর সাহিত্যের পাঠশালা নয় হাসি একটা অনলাইন রাইটার্স ফোরামের জন্য কিন্তু ইনফর্মাল
কথাবার্তাও খুব জরুরী। তাতে যে ইমোশোনাল ভেন্টিং টা হয় সেটা গঠননমূলক সমালোচনার মতই লিখিয়ের সৃষ্টিশীলতাকে সাহায্য করে।

তবে আপনার সমালোচনাটাও গঠনমূলকই লেগেছে। যদিও আপনার আশংকাটি অমূলক।

আর, নিচের লিঙ্কে দেখুন -

http://www.muktopran.org/sheikhjalil/17283

আমার চাইতে অনেক তুখোড় সমালোচক এখানে আছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের লেখার লিঙ্কগুলো মনে করতে পারছি না।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেেশ কাউয়ার েচয়ে েয কবি বেশি সচলায়তনে ঢুকলেই তার প্রমান পাওয়া যায় ।যেনতন লিখলেই কবি হওয়া যায় না,কবি 'র অথর্ই আপারা যানেন না।

- কামাল -

স্নিগ্ধা এর ছবি

কি যন্ত্রণা!!! এর মধ্যে আবার কবিতা আসলো কোত্থেকে!! কথা তো হচ্ছিলো সম্পূর্ণ অন্য বিষয় নিয়ে?

না না, আমারই ভুল! এধরনের কথা যারা বলে, তাদের কাছ থেকে যুক্তি বা যৌক্তিক ব্যবহার আশা করাটা আমারই মূর্খামি মন খারাপ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি যে খোলা মন নিয়ে উত্তর দিলেন সেটা অতিথি বুঝতেই পারলেননা। হয়তো বুঝতে চেস্টাই করেননি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কামাল বাই, কবির অর্থ কি?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

স্নিগ্ধা আমি শুধু আপনাকে বলিনি সচলায়তনের সকল লেখককে বলেছি।

ইফেতখার --

সুশান্ত [অতিথি] এর ছবি

আপনার যাদের মন্তব্য অসহিষ্ণু মনে হয়েছে তাদের প্রতিমন্তব্যে জানাতেন আপনার অবস্থান? তাদের নাহয় যুক্তি দিয়ে দেখাতেন যে আপনি ঋনাত্বক ভাবে কিছু বলতে চাননি, অতএব আপনাকে কুয়োর ব্যাং বলা উচিত হয় নি?

করা হয়েছিলো, সেগুলা পাব্লিস করা হয় নাই। কারন সেগুলাতে গুল্লি ছিলো না, ছিলো না উত্তম জাঝা।


পোস্টটি পড়ে আপনি কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলেন না বলে 'দেশ' নিক নিয়ে মন্তব্য করলেন, কেন??

হয়তো সুশান্ত নিক নিয়ে কমেন্ট করলে ব্লগাররা সুশান্ত নিক কেই গুরত্ব দিতো, আমার কমেন্ট কে নয়। তাই দেশ নিকে করেছিলাম।তবে মডারেটর দের সুবিধার্থে নিজের একটা ই-মেইল আইডি ব্যাবহার করেছিলাম।

অভিজিৎ এর ছবি

তাও ভাল এবার নিজ নামে লেখার মহত্বটুকু দেখানোর ইচ্ছাটা প্রকাশ করলেন।
"দেশ" (যাচাই করা হয়নি), "একজন" (যাচাই করা হয়নি) দেখতে দেখতে সত্যই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। এরকম বেনামে কমেন্ট করা শুরু করলে কিন্তু সত্যই মুশকিল। আমিও কিন্তু বেনামে আপনাকে ধোলাই দিতে পারতাম, অন্তত আমি খুশি যে সেধরনের কিছু করার কথা আমার মাথায় আসেনি।

আপনার লেখা নিয়ে বেশি কিছু বল্বার নেই। যা বলার স্নিগ্ধাই বলে দিয়েছে মেন হয়। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ যদিও।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রথমে আপনাকে অভিনন্দিত করছি প্রথববারের ভুল সিদ্ধান্তটা রিভিউ করে দ্বিতীয় সঠিক সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন বলে। আসলে যে পাত্রের ডাল সেখানেই ঘুটানো উচিৎ।

দ্বিতীয়ত আপনি কেন ব্যক্তির দোষ সচলায়তনকে দিচ্ছেন ? আমার একটা পোস্টে আপনার কোন মন্তব্যে আমি অসহিষ্ণুতা দেখালে সেটা দায় আমারই তো বর্তায়, সচলায়তন বা আমারব্লগ বা অন্য কোন ব্লগকে দায়ী করাটা কি ঠিক হবে ?

তৃতীয়ত লেখার দায় রয়েছে তা কি বুঝাতে চাচ্ছে পাঠককে স্পষ্ট করা। যখন লেখক আমাদের কাছে তাঁর ব্যক্তিচরিত্র দিয়ে পূর্ব পরিচিত থাকে, লেখাটি যদি পরস্পরবিরোধী উভয় অর্থেই ব্যাখ্যাযোগ্য হয় তখন আমরা লেখকের পূর্ব ইতিহাসের সূত্র দিয়ে তার ঝোঁক বিশ্লেষণ করি। এই লেখক নিশ্চয়ই এটাই বলতে চেয়েছেন, ওরকম তো তিনি বলার কথা না। কিন্তু অপরিচিত কারো লেখা থেকে আমরা এই সুবিধাটা পাই না, যদি না লেখাটি নিজেকে স্পষ্ট করে তুলতে পারে।

আপনার মন্তব্যটি কিন্তু আমার মধ্যেও প্রথমেই নেতিবাচক একটা অর্থ তৈরি করেছিলো। যদি তখনই জানতাম এর প্রকৃত লেখক কে, তাহলে কিন্তু চিন্তাসূত্রটা উপরোল্লিখিতভাবে অর্থ খুঁজে নিতো।
এবার বলেন তো দাদাবাবু, আমরা কে কাকে দোষ দেবো ? আমি যতটুকু জানি আপনার এবং অভিজিৎদা'র ভিশন-এ খুব একটা মৌলিক ফারাক নেই। কেবলমাত্র অপরিচিতি এবং অস্পষ্টতাই এক্ষেত্রে প্রধান ভিকটিম বলে আমি মনে করছি।

আমি কি বুঝাতে পারলাম ? না কি এখানেও আবার কোন জটিলাস্পষ্টতা বাঁধিয়ে ফেলেছি ?

তবে যাই বলেন, আমি কিন্তু বেশ উপভোগ করেছি। যা আমার মন্তব্যেও জানিয়ে দিয়েছি। হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শিক্ষানবিস এর ছবি

হইছে, আর ক্ষ্যাপাক্ষেপির কাম নাই। সবাই বাদ দেন।

কানন আহসান এর ছবি

e-bangladesh এর এডিটর সুশান্ত দার এরকম ছেলেমানুষি খুব হাস্যকর ।
দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রমান করতে গেলে বিদেশ নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা-এইরকম কুপমন্ডুক ভাবনা নিয়ে সুশান্ত দা e-bangladesh এর এডিটর- এটা কেউ বললে ও আমি মানবোনা ।

মনে হচ্ছে অভিজিৎ কিংবা অভিজিৎ এর লেখার বিষয় নয়, সচলায়তনের প্রতি দাদার অন্য কোন ক্ষোভ ছিলো ।

ক্ষোভ থাকলে সেটা নানা ভাবে প্রকাশ পেয়ে যায়-ছদ্মনাম ধরে ছেলেমানুষি মন্তব্য করে নিজের নামের প্রতি অবিচার করে ও তা হতে পারে ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শান্তি ... শান্তি ... শান্তি ... হাসি
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

সবজান্তা এর ছবি

রণদীপম বসুর সাথে একমত। কোন ব্লগারের মন্তব্যের জন্য কোন ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কি দায়ী ?

উত্তরটা মনে হয় কষ্ট করে খোঁজার দরকার নেই, পেজের ফুটারে স্পষ্ট বাংলাতেই লেখা আছে,

প্রকাশিত লেখা ও মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট লেখক বা মন্তব্যকারীর, সচলায়তন কর্তৃপক্ষ এজন্য কোনভাবেই দায়ী নন

ভালো থাকবেন


অলমিতি বিস্তারেণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সুশান্ত সাহেবের তো সচল-এ্যাকাউন্ট আছে। আপনি অতিথি হিসেবে পোস্ট দিলেন কেন? ইদানিং সচলায়তনকে 'বাজিয়ে দেখার' একটা প্রচেস্টা দেখিছি ভেতরে বাইরে সবখানেই শুরু হয়েছে!

সুশান্ত  [অতিথি] এর ছবি

ভুল বুঝেছেন সাহেব মন খারাপ
এখানে বাজিয়ে দেখার কিছু নাই। এই পোস্ট এক্সট্রিমিজম কিভাবে নিজের মধ্যে গড়ে উঠে তা দেখানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।

হিমু এর ছবি

এই পোস্ট এক্সট্রিমিজম কিভাবে নিজের মধ্যে গড়ে উঠে তা দেখানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।

প্রিয় সুশান্তদা, সচলায়তন যখন ব্লকড ছিলো বাংলাদেশে, অন্যত্র আপনার এবং আপনার বন্ধুদের কল্যাণে "এক্সট্রিমিজম কিভাবে নিজের মধ্যে গড়ে উঠে তা দেখানোর বৃহৎ প্রচেষ্টা"ও আমরা দেখেছি। স্মরণেও আছে। আপনারা বিদ্রুপ করেছেন, নাটকের অভিযোগ এনেছেন, গালি দিয়েছেন, প্যারোডি করেছেন, কিছুই করতে বাকি রাখেননি। প্রত্যুত্তরে আক্রান্ত আমরা ব্যথিত হয়েছি নিজেদের মধ্যে। আজ আপনার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা দেখে তাই পেট ফেটে হাসি আসছে। ধন্যবাদ জানবেন এজন্যে।

আপনি ভালো থাকুন। সচল নিয়ে আপনি অনেক ভাবেন, বোঝা যায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অভিজিৎ এর ছবি

বাদ দিন হিমু। এত ক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে অযথা তুলকালাম হচ্ছে, লেবু কচলাতে কচলাতে একেবারে তিতা হয়ে উচ্ছে ভাজি হয়ে গিয়েছে। আসলে 'দেশ' বাবাজির কমেন্ট দেখেই বুঝেছিলাম পরিচিত কেউই হবেন, নিজের পরিচয় ঢেকে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। তিনি শুরুই করলেন ছক্কা হাকিয়ে -

"নিজের দেশের খবর নাই, আমেরিকা নিয়ে ব্লগ কাপাইয়া কি হবে?"

আমি নিঃসন্দেহ, সুশান্ত নামে কমেন্ট করলে তিনি এভাবে উস্কানিমুলক কথা বলতেন না। আমি বা সুবিনয়ও উনাকে 'দেশদরদী' কিংবা 'কুয়ার ব্যাং' হিসেবে আখ্যায়িত করতাম না। তার মন্তব্যটার প্রথম অংশটা খেয়াল করুন -"নিজের দেশের খবর নাই...", অথচ সুশান্ত জানেন এই আমি - অভিজিতের কাছে "নিজের দেশের খবর" খুব ভালকরেই আছে। বহু লেখাই আমি দেশের রাজনীতি,অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে এর আগে লিখেছি। উনি সব কিছু জেনেও আমাকে "নিজের দেশের খবর নাই" বলতে পারলেন কারণ "দেশ" নামে কমেন্ট করলে এগুলো হাবি-জাবি বলা সুবিধা, বলা সুবিধা আমেরিকা নিয়ে "ব্লগ কাঁপাইয়া" কি হবে! সুশান্ত নামে কমেন্ট করলে হয়ত বলতেন, "অভিজিতদা, বাংলাদেশেই যখন হাজারো সমস্যা তখন ওবামার স্পিচে কি এসে যায়!" আমিও হয়ত তার জবাবে বলতাম, "ভাই সুশান্ত,দেশ নিয়ে তো আমি লিখছিই, অনেকেই লিখছে - আমি না হয় আজ আমেরিকার রাজনীতি নিয়েই না হয় কিছু লিখলাম, দেশ নিয়ে ভাবলে যে অন্য আর কিছু নিয়ে লেখা যাবে না, তা তো নয়!' ব্যাস ঝামেলা মিটে যেত। কিন্তু অনেকেই বেনামে লিখে কাউকে 'চিপায় ফেলে বাড়ি দেওয়ার' লোভটুকু সংবরণ করতে পারেন না। সচলায়তনে লিখার বহু আগে থেকে ইন্টারনেটে লিখছি, এ ধরনের বহু লেখকের ধরণ-ধারনের সাথে আমি পরিচিত - মানুষের এই ক্ষুদ্রতা দেখে দেখে এখন আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ব্যাপারটা পীড়িত করলেও এখন আমাকে অবাক করে না মোটেই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে উনি থেমে যেতে পারতেন, তা না করে আবার আরেকটা নতুন পোস্ট নিয়ে এসেছেন - কেন উনাকে 'কুয়ার ব্যাং' বলা হল! এমনভাবে ঘুরিয়ে ঘারিয়ে বলতে শুরু করলেন যেন মনে হয় উনি কারো মন্তব্যে বিপ্লব বা জাঝা দিয়ে তাল মিলাননি বলে 'কুয়ার ব্যাং' বলা হচ্ছে। আসল কথা কিন্তু তা ছিল না মোটেই। উনি 'দেশ' নাম ধারণ করে উপযাজক হয়ে নাবশ্যক জ্ঞান দিতে এসেছিলেন খুবই আপ্ততিকর স্বরে- "নিজের দেশের খবর নাই, আমেরিকা নিয়ে ব্লগ কাপাইয়া কি হবে"।

শুধু তাই নয় পরে আবার উপদেশও দিয়েছেন - "বাংলাদেশ নিয়ে ভাবুন, আমাদেরও ভাবতে শিখান!" ব্যাপারটা তো এটা হতে পারে না যে, কেউ ওবামার স্পিচ নিয়ে লিখলে সে বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করতে পারবে না। ব্যাপারটা কবে থেকে 'মিচুয়ালি এক্সক্লুসিভ' হয়ে গেল? সুশান্তের এই 'উপযাজকীয় ঢংটি অনেকেরই পছন্দ হ্য়নি, তাই তাতক্ষনিক ভাবে কেউ উনাকে বলেছেন 'দেশদরদী' কেউ বা বলেছেন 'কুয়ার ব্যাং'। ব্যাপারটা ঠিক হয়নি আমি স্বীকার করেও বলছি - ব্যাপারটার হোতা কিন্তু সুশান্ত নিজেই। তিনি নানা বেনামে 'ইষ্টক' নিক্ষেপ করে যাবেন, কিন্তু পাটকেলের প্রত্যাশা করবেন না, তা তো হতে পারে না।

সুশান্ত অবশ্য এখন বলছেন যে, তিনি নাকি নেগেটিভলি বলেন নাই, তিনি নাকি বলেছিলেন দুঃখে। দুঃখে বললে কেন বেনামে লিখতে হবে ব্যাপারটা আমার কাছে এখনো বোধগম্য নয়। তার কথা কেমন হাস্যকর শোনাচ্ছে তিনি নিজেও বোধ হয় তা জানেন।

একদিন হয়ত আমরা এসমস্ত ক্ষুদ্রতার উর্ধ্বে উঠে লেখালিখি করতে পারব। সে দিনের প্রত্যাশায় রইলাম।

(আরেকটা কথা সচলায়তনের মডারেটররা বেনামে পোস্ট করার অপ্সহন রাখাটার ব্যাপারে আরেকবার চিন্তা করতে পারেন। এই অপশনটা খোলা থাকলে কেউ না কেউ এইটার অপব্যাবহার করবেই)।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সৌরভ এর ছবি

একটা কমেন্ট করেছিলাম।
ভালো লাগছে না এইসব নিয়ে কথা বলতে, তাই মুছে দিলাম। ভালো থাকুন।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুশান্ত  [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সৌরভ , আপনার আগের কমেন্ট টা আমার পোস্টের যুক্তিকতাকেই তুলে ধরেছিলো।

হিমু এর ছবি

তবে হিমু ও সুমন সত্যিকার ব্লগার সুলভ কমেন্ট করেছে, তাদের কে এপ্রিসিয়েট করতেই হয়।

সুশান্তদা, "ওয়েলিং" এর জন্যে ধন্যবাদ হো হো হো ...


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুশান্ত  [অতিথি] এর ছবি

সুশান্তদা, "ওয়েলিং" এর জন্যে ধন্যবাদ হো হো হো ...

হাসাইয়া ছাড়লেন।

মাঝে মধ্যে একটু ক্যাচালীয় পোস্ট প্লাস কমেন্ট এর দরকার আছে। সব সময় উত্তম জাঝা টাইপ কমেন্ট প্লাস পোস্ট একগেঁয়ে লাগে ।

হিমু এর ছবি

আপনার কমেন্টে জাঝা!


হাঁটুপানির জলদস্যু

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেক বড় মন্তব্য লিখেছিলাম একটা। জমে থাকা অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে। আরো একবার মুছে দিলাম। সারমর্মটুকু বলি শুধু --

I expect better from each of you.

আমার সাথে মৌলিক ব্যাপারগুলোয় সমমনা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য কথাটা।

অমিত আহমেদ এর ছবি
বুঝিনা এর ছবি

বেশ কয়েকদিন ধরেই সচলায়তনের ব্লগ পড়ছি, নিঃসন্দেহে এখানে যারা লিখেন, তাদের লিখার হাত অনেক অলংকারাপূর্ন। কিন্তু আরেকটা ব্যাপার আমার দৃষ্টিগোচর হল, সচলায়তনের ভেতরের কারও কমেন্ট, আর বাইরের কারও কমেন্ট কে মেনে একইভাবে গ্রহন করেননা এখানকার সদস্যরা। এর কারন কি ? যেমন, উপরের অভিজিত দার বক্তব্য থেকে, সুশান্ত নিক নিয়ে লিখলে উনি একভাবে কমেন্ট করতেন, দেশ নিক নিয়ে মন্তব্য করাতে উনি অন্যভাবে উত্তর দিলেন।এর কারন কি ?

কনফুসিয়াস এর ছবি

অভিজিৎদা বলেছেন, সুশান্ত নিকে কমেন্ট করলে ওনার প্রত্যুত্তর ভিন্ন হতো হয়তো। তার কারণও উনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। ওনার ধারণা, নিজ নামে কমেন্ট করলে সুশান্ত হয়ত আরও সংযত মন্তব্য করতেন, যার প্রতিক্রিয়াও অবশ্যই সেরকম আসতো।
বুঝিনা-কে অনেক ধন্যবাদ। না বুঝলেও আপনি বুঝতে চেয়েছেন, অনেকেই চায় না।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পলাশ দত্ত এর ছবি

বুঝিনা-এর মন্তব্যটা কিন্তু ভাবার মতো বলেই মনে হচ্ছে।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অভিজিৎ এর ছবি

বুঝিনার উত্তর তো বুঝায় দিছি আগেই। আমি যে দেশ লইয়া আগে অনেক লিখছি সেইটা সুশান্ত জানে। আর সুশান্ত যে জানে, সেইটা অভিজিতও ওয়াকিবহাল। 'দেশ' নাম লইয়া কমেন্ট করলে 'দেশের খবর নাই' বা এই ঢং এ কতথা কইতে আর বাধা থাকে না। আমি ছাড়াও কনফুসিয়াস ব্যাপারটা পরিস্কার করছে উপরে।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

সুশান্ত'দা,

কিছু মনে নিয়েন না। আমার কথায় আপনে আহত হইয়া থাকলে I apologize। কিন্তু নিজেরে যদি আগ বাড়ায় বেইজ্জতি করতে যান বা হাসির পাত্র করতে চান, তাইলে আপনেরে কেমনে থামামু?

আপনে এখন "চমৎকার পোস্ট" কইতাছেন ঠিকই। কিন্তু আপনে প্রথম যেই কমেন্ট-টা করছিলেন সেইটা করছিলেন চরম বিদ্রুপের সুরে। আপনে এখন স্বীকার যান বা না যান, সেইটা ব্যাপার না। পাঠক তো আর ভোদাই না, হেরা যা বুঝার ঠিকই বুইঝা লইছে।

এই ব্লগে বাংলাদেশ নিয়া কম লেখালেখি হয় নাই। সেইটা আপনে নিজে খুব ভালোই জানেন। তাও মেমোরি ঝালাই করতে চাইলে অভিজিৎ বা ফারুক ওয়াসিফের মত গুণী লেখকগো ব্যাক-ক্যাটালোগ'টা একবার দেইখা নিয়েন। অনেক অনেক অনেক কিছু পাইবেন।

এইটা জাইনাও আপনে ইচ্ছা কইরা বেনামে একটা উস্কানীমূলক কমেন্ট দিলেন। আপনের নিয়তই আছিলো হয়তো উস্কানী দেওয়া, একটা পিন মারা - লেখকের আমেরিকা পিরীতির একটা বেহুদা কটাক্ষ করা। সেইটা সাকসেসফুলি করছেন।

ব্লগে আমেরিকার ইলেকশান নিয়া লেখলে সেইটা কেনো কবীরা গুনাহ হয়, তা আমি এখনো জানিনা। আপনে যদি জানেন, আমাদের সাথে শেয়ার কইরেন। কিন্তু আপনের ফিলোসোফি কিন্তু সবাইর না। এইখানে অনেকে আছে যারা দেশ বিদেশের নানা ডেভেলপমেন্ট নিয়া জানতে চায়, জানাইতে চায়। সেইগুলা ভাল না লাগলে আপনে বাংলাদেশ নিয়া যেই আরো ৮০% পোস্ট আছে, ঐগুলা পড়তে পারেন। তাই বইলা কালেভদ্রে একটা ওবামা নিয়া পোস্ট লেখা হইছে, সেইটার উপর থুথু মারার কোন দরকার ছিল না।

কিন্তু আপনে তাই করলেন। আপনের কমেন্টটা কুয়ার ব্যাং সুলভ কমেন্ট ছিল বইলাই আমি কুয়ার ব্যাং কথাটা বলছি। বিদেশী রাজনীতি বা আমেরিকার ইলেকশন নিয়া "ব্লগ কাঁপানো " যাইবো না, সেইটা তো আপনে ডিসাইড করতে পারেন না। অনেকের কাছে সেই পোস্ট-টা অনেক পছন্দ হইছে। তাগোরে এঞ্জয় করার স্বাধীনতা দেন।

আর ইলেকশনে ডেমোক্রেট জিতে না রিপাবলিকান জিতে, তাতে বাংলাদেশের কিছু যায় কি আসে না - খেয়াল রাখবেন সেইটাও কিন্তু এইখানে বিষয় না। তাইলে তো সচলের ৮০% পোস্টই বাদ দেওন লাগবো। ডজন ডজন আউল-ফাউল কবিতা পোস্টে বাংলাদেশের কিছু যায় আসে না। আমার সলঝেনিৎসিন বা বোল্ট বা ব্র্যাডম্যান পোস্টেও কিছু যায় আসে না। হিমুর জার্মানী সিরিজেও বাংলাদেশের কিসসু যায় আসে না। কিন্তু তারপরেও আমরা সবাই লিখি। যার যেইটা ভালো লাগে। বাংলাদেশের কিছু আসুক বা না আসুক।

আপনের হিসাবে সচলের ৮০% লেখক তাইলে বেকার বইসা থাকবো। এখন আপনেই খুইলা কন আপনে কি টাইপের পোস্ট দেখতে চান। বহুত কিছু তো কইছেন, এইবার এইটা আমগো বাতলান।

আপনের লগে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে, সৌহার্দ্যপূর্ণই। আপনে নিজের নামে কমেন্ট করলে আমি হয়তো কুয়ার ব্যাং ডাকতাম না। সেই পরিচয় আর রেসপেক্ট-এর কারনে। কিন্তু আপনে লেখছেন বেনামে - এবং আপনের কমেন্টে প্রচন্ড কুপমুন্ডকতার পরিচয়ই দিছেন। তাই যা মনে হইছিলো, তাই কইছি।

মাইন্ড করলে আবারো নিজগুণে ক্ষমা কইরা দিয়েন। মাইনষেরে ব্লগে কষ্ট দেওয়া আমি খুব অপছন্দ করি। এইজন্যে দেখবেন মডুদেরও এই নিয়া সজাগ থাকতে বলি। কিন্তু এরপরেরবার এরকম অহেতুক খোঁচা-মারা কমেন্ট করার আগে কি আরেকটু ভাববেন?

আর এই কথাটাও ভুইলেন না - যে আপনে নিজেই সচল ছাইড়া গেছেনগা, রাগ বা অভিমান কইরা। সচলের "খবরদারি", "চোখ রাঙানি" এই সব হ্যান-ত্যান কারনে আপনেরা আমারব্লগ চালু করছেন। তার জন্যে সাধুবাদ জানাই - কারন যত বেশী ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম তত বেশী ভাল। কিন্তু আপনে সচলের উপর মেজাজ খারাপ কইরা যাইবেন গিয়া, তারপর বেনামে গুতা মারবেন, আবার তার পাল্টা কমেন্ট দেইখা মাইন্ড করবেন, সেইটা নিয়া আবার নিজের নামে নতুন পোস্ট লেখবেন - এত কিছু কেমনে হয় কন? জীবনে সব কিছু তো আর পাওয়া যায় না!

সুশান্ত'দা -- আপনেরে আমি প্রচুর শ্রদ্ধা করি, কারন আপনে নিজ হাতে ই-বাংলাদেশ, আমারব্লগ এইসব খাড়া করাইছেন। আর মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ বানানোতে আপনের প্রচুর অবদান আছে তাও জানি। কিন্তু এইরকম পোলাপানের মত বিটলামি করার কি কোন দরকার ছিল? ব্লগে পুরা দুনিয়াটা নিয়াই লেখার আর ভাবার স্কোপ আছে। ইন্টারনেটের এই প্রচুর ভাঁড়ারের সম্পূর্ণ সুবিধা না নিয়া আমরা খালি আমগো চিরাচরিত বিষয় নিয়া কচলামু আর চটকামু, সেইটা কারো কারো মত হইতে পারে। কিন্তু অনেকেই সেইটা চায় না। অনেকের কাছে (আমি সহ) ব্লগ হইলো window to the world। আমাগো মনের সব বন্ধ দরজা জানালা লাত্থি মাইরা ভাইঙ্গা ফালাইতে চাই। এই জন্যেই তো ব্লগ এতো জ়োস মিডিয়াম!

সেইটা আপনের ভালো না লাগলে ইগনোর কইরেন, বেহুদা খোঁচা দিয়েন না। কয়টা এক-তারা রেটিং পাইছেন নিজেই দেইখেন। এইটা আপনের নিজের মন্তব্য আর পোস্টের কারনেই। জা-ঝা'র সাথে আদৌ কোন সম্পর্ক নাই - আপনে নিজেরে যতই বুঝ দেন না কেন। পুরানা সম্মানিত ব্লগার নিজেরে এইভাবে হাসির পাত্র করলে আমাদেরই কষ্ট হয়।

অনেক কইলাম। এইবার লাস্ট আবদারটা করি। মন কষাকষি ফালাইয়া আপনে আমাগো লেগা দেশ নিয়া দুইটা জমানো পোস্ট দেন। অপেক্ষায় থাকলাম।

অনেক শুভেচ্ছা,
সুবিনয়
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

নন্দিনী এর ছবি

সারাক্ষণ সবাইকে বাংলাদেশ নিয়াই লিখতে হবে - এর কোন মানে তো দেখিনা ! আমেরিকাকে যতই অপছন্দ করিনা কেন,সে দেশের 'মসনদে' কে আসীন হয় না হয়, তার একটা গুরুত্ব তো অবশ্যই আছে। বাকী পৃথিবীর উপর দিয়ে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে (বাংলাদেশও যার অন্তরভুক্ত) পরবর্তী বছরগুলোতে কতটা 'নরমে -গরমে' 'ডাণ্ডা' চালানো হবে তা আন্দাজ করা তো যায় ! তাছাড়া এক-বিশ্বে বসবাস করে আজ আর শুধু নিজের কথা ভাবলেই চলেনা, আশে-পাশের দুনিয়াটা দেখাও জরুরী।
পরিশেষে বলবো, টপিক হিসেবে কে কি লিখবে এটা লেখকের নিজস্ব ব্যাপার - টপিক দেখে কারো আগ্রহ হলে পড়বে, নাহলে পড়বেনা, কিন্তু অমুক বিষয় লিখা যাবে, তমুক বিষয় লিখা যাবে না,এই ধরণের কোন নিয়ম নীতি না থাকাই ভালো । যার যা ভালো লাগবে সে তাই লিখবে, যার যা ভালো লাগবে সে তাই পড়বে - সহজ হিসেব !
আর হ্যা এক সময় বাংলাদেশ নিয়ে আমিও কম লিখিনি, এখন চরম বিরক্তি ধরে গেছে !কাঁহাতক আর পারা যায় ! সেই একই খালেদা-হাসিনা, হাসিনা খালেদা ! উফ ! মুখটা তেতো লাগছে ভাবতেই !ঃ-)

নন্দিনী

দ্রোহী এর ছবি

কয়েকদিন অনুপস্থিত ছিলাম। কী ঘটেছে ঠিক জানি না। আমি যতদূর জানি "সুশান্ত দাশ গুপ্ত"দা "সুশান্ত" নামেই একটি সচল অ্যাকাউন্ট আছে।

সুতারাং "দেশ" নাম নিয়ে মন্তব্য করা, কিংবা অতিথি লেখক হিসাবে পোস্ট করার উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারলাম না। নিজের নামে লগইন না করে অন্য কোন নাম নিয়ে মন্তব্য করার মানে কী এই নয় যে - নিজ নামে যে কথা বলার সাহস নেই তা বেনামে বলে দায় নিজের ঘাড় থেকে নামিয়ে দেয়া।

এখানে কী নিয়ে কথা হচ্ছে তা ইম্পর্টেন্ট না। ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে একটা কথা বলার পর তার দায় না নেয়ার উদ্দেশ্যটুকু।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।