স্বাধীনতার বিনিময়ে

মৃত্তিকা এর ছবি
লিখেছেন মৃত্তিকা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/০৭/২০০৯ - ৩:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(লেখাটি ১৯৯৬ সালে লেখা, অর্থাৎ আজ থেকে ১৩ বছর আগের, যখন আমার লেখার একমাত্র পাঠক ছিলেন আমার বাবা। কারন, অন্য কাউকে দেখাতে লজ্জা পেতাম আমি। তখন মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী আমাকে বেশ নাড়া দিতো যা আমি আমার বাবার কাছে শুনতাম। যা হোক, সেই লেখালেখির অভ্যাসটি অনেক বছর হলো হারিয়েছি বা নষ্ট করেছি। আজ ইচ্ছে হলো আবার তাই একটু পেছনে ঘুরলাম, নিয়ে এলাম লেখার ডায়রীটি, তুলে দিলাম একটি ছোট্ট গল্প। লেখাগুলো হয়তো সচলায়তনের মানসম্মত নয় কিন্তু এগুলো সেই আমার আমির মনের কিছু ভাবনা/ কিছু কল্প কাহিনী...)

বিশাল সমুদ্রের তীরে একদৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবীর। সমুদ্রের সাদা ফেনাগুলো বার বার আছ্‌ড়ে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে আর ভিজিয়ে দিচ্ছে। তার পরনের প্যান্ট ভিজে গেছে, সাদা ফুল সার্টটির অবস্থাও প্রায় এক। কিন্তু আবীরের কোন দিকে খেয়াল নেই। সে তাকিয়ে অবাক হয়ে আকাশ দেখছে। কমলা রঙের বিরাট সূর্যটা ধীরে ধীরে সমুদ্রের পানির ভিতর ডুবে যাচ্ছে আর সারা আকাশটা লাল টুক্‌টুকে হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আকাশ কন্যা লাল শাড়ি জড়িয়েছে গায়ে! লাল রঙের যেখানে শেষ, সেখান থেকে আবার শুরু হলুদ রঙ, তার পেছনে আর আশে পাশে বেগুনি, নীল, ধূসর উঁকি দিচ্ছে! কি অদ্ভুত সুন্দর দশ্য! আবীরের চোখ ভিজে ওঠে। এমন দৃশ্য আর একবার দেখেছিলো সে। আবীরের চোখের সামনে তার অতীত ভেসে ওঠে......

সেই দিনটি ছিলো ১৯৭১ সালের কোন এক সন্ধ্যা, যখন এই ছোট্ট সুন্দরী দেশটির গায়ে ভারী বুট আর অস্ত্র নিয়ে হেঁটে বেড়াতো কিছু মানুষ রূপী নোংরা পশু! তখনও আকাশ তার রূপ নিয়ে ঠিকই দেখা দিতো…….একবার ভোরে, একবার সন্ধ্যায়। আবীর তখন বিশ্যবিদ্যালয়ের ছাএ। তারা থাকতো ঝিকাতলার ছোট্ট একটি বাড়িতে। ওর বাবা ছিলেন একাধারে শিক্ষক, লেখক ও রাজনীতিবিদ। একদিন বাড়ী ফিরে সে দেখলো তার মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। জ্ঞান ফেরার পর সে যখন শুনলো তার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে ‘ওরা’ আর তার কিশোরী বোনকে কিকরে নিয়ে গেছে ঐ হায়েনাগুলো, তখন সে ক্রোধের আগুনে উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলো। কিছুদিনের মদ্ধ্যে সে ঢুকে পড়লো তার প্রতিবেশী ও বড়ভাই মুক্তিযোদ্ধা হাসান, রফিক, সাঈদ এদের দলে। বাড়ির সাথে যোগাযোগ রাখার উপায় ছিলোনা। অন্যের মারফত একদিন খবর পেলো মা মারা গেছেন, মারা যাবার আগে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন বলে শুনেছিলো সে। খবরটি তাকে পাথর বানিয়ে ফেল্লো, পেছন ফেরার ইচ্ছেটুকু ইতি টানলো, হাল্কা লাগলো নিজেকে।

বছরের শেষের দিকে একবার একটা অপারেশানে ওরা গিয়েছিলো ঠাকুরঁগা। এক স্কুল মাস্টারের বাড়ীতে চার পাচ রাত আশ্রয় নিয়েছিলো তারা। যেদিন তারা ফিরবে, সেদিনই সন্ধ্যায় আকাশটা ছিলো অদ্ভুত সুন্দর! আজকের চেয়েও সুন্দর। কেনো যেনো খুব মায়া মাখানো ছিলো সেদিনের সূর্য়টা। যেনো সুর্য়টা কাঁদছে আর তার অশ্রু লাল হয়ে আকাশের গায়ে মিশে যাচ্ছে! সে যখন তন্ময় হয়ে তাকিয়ে ছিলো, হাসান ভাই আর রফিক ভাই এই দুঃসময়েও ঠাট্টা করে তাকে বলছিলো-“কিরে আবীর, অতসীর জন্য খারাপ লাগছে নাকি?” আবীর উত্তরে শুধুই হেসেছিলো।………অতসী, মাস্টার সাহেবের মেয়ের নাম, বড়ই মায়াকাড়া মুখ তার। মাঝে মাঝেই আড়াল থেকে তাকে দেখতো আর চোখ পড়লেই পালাতো। শুধু যাবার দিনটিতে সে চোখের আড়াল হলোনা, ছলছল চোখে তাকিয়ে ছিলো অনেক না বলা কথা বোঝাতে……..

অবশেষে একদিন যুদ্ধ শেষ হলো। ওদের ভিতর যারা বেঁচেছিলো সবাই মিলে গেলো মাস্টার সাহেবের বাড়ী, মানুষটি বিপদে অনেক উপকার করেছিলেন। যাবার সময়ও হাসান ভাই ঠাট্টা করছিলেন, “সুযোগ বুঝে মনের কথাটা এবার বলে দিস, বুঝলি রে পাগল?” কিন্তু বাড়ী গিয়ে তাদের কাউকেই পাওয়া গেলোনা। হিন্দু এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মাস্টার সাহেবকে নাকি মিলিটারিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো, তারপর তিনি আর ফিরে আসেননি। তার পরিবার কোথায় তাও কেউ বলতে পারলোনা। আবীরের কষ্ট হলো মনের কোথাও কিন্তু সে কষ্ট স্থায়ী হবার মতো জায়গা পেলো না। শুন্য হাতে শুন্য বাড়িতে ফিরলো সে।

আজ বিজয়ের এতো বছর পর এখানে দাঁড়িয়ে আবীর। পরিবর্তন যা হয়েছে তা হলো, তার ডান পায়ে বুলেট এর আঘাত লাগার পর থেকে তাকে কিছুটা খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়। এবং প্রতিবার হাঁটতে গেলেই তাই তার মনে পড়ে যায় সেই যুদ্ধের দিনগুলোর কথা, মনে পড়ে বাবার স্নেহবর্শিত উপদেশ কথা, বিদায় বেলায় মা এর অঝোর ধারায় কান্নার কথা…………আর মনে পড়ে অতসীকেও। হঠাৎ বিশাল এক ঢেউ এসে তাকে খুব জোরে ধাক্কা দিলো, টাল সামলাতে না পেরে সে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলো। কোন রকোমে দাঁড়িয়ে থাকলো সে। খেয়াল হলো সূযর্টা অনেক্ষ্ণ হলো ডুবে গেছে, আকাশটা কালচে হয়ে গেছে, ফিরতে হবে এখন।

হাঁটতে থাকে সে। রাত নেমে এসেছে। দূরে দূরে সোডিয়াম বাতির আলোয় চারদিক রহস্যময় লাগছে। আবীর রাস্তায় নেমে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলো। প্রথম প্রথম মানুষের সামনে এভাবে হাঁটতে তার লজ্জা লাগতো। এখন আর লাগে না। মনে হয়, তার সবচেয়ে ভালোবাসার ‘স্বাধীনতা’ কে পেতে গিয়েই তো পা টা গিয়েছে। আর ভালোবাসার জিনিসকে পেতে হলে কষ্ট তো পেতেই হয়! এতে তো লজ্জার কিছু নেই!

মৃত্তিকা


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাহ্, এত কম কথার মধ্যে পুরা ঘটনাটা এনেছেন! খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার গল্পটি কিশোর বয়সীদের জন্য খুবই উপযোগী। লিখতে থাকুন, এরকম সরল করে লেখা কিন্তু আসলেই কঠিন।

মৃত্তিকা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রক্বতিপ্রেমিক, আমার প্রথম লেখার প্রথম মন্তব্যের জন্য। লেখাটি আমারও কিশোরী বয়সের সময়কার, তাই ভয়ে আছি কেমন লাগে সবার ভেবে। আপনার ভালো লাগলো জেনে খুব খুশি হলাম।

মৃত্তিকা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেখলেন কেমন পড়েই বলে দিলাম কোন বয়সশ্রেণীর লেখা হাসি
আপনি যে সার্থক লেখিকা তা নিশ্চই বুঝতে পারছেন? আপনাকে বোধহয় মন্তব্য করতে দেখেছি এর আগে। চলুক আপনার লেখালেখি।

মৃত্তিকা এর ছবি

আর লজ্জা দিবেন না পিপিদা! চেষ্টা করবো আরো লিখার।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য এবং তারা দেবার জন্য।

মৃত্তিকা

এনকিদু এর ছবি

সচলে আপনাকে আগে দেখেছি কিনা মনে করতে পারছিনা । এই কি প্রথম লেখা ?
আরো লিখুন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মৃত্তিকা এর ছবি

আজ্ঞে হ্যা, এটি আমার প্রথম লেখা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাটি কষ্ট করে পড়বার জন্য। ইচ্ছে আছে, আরো লিখবো ।
আপনাদের মন্তব্যে আমি নিজেই মুগ্ধ, জবাব আর কি লিখবো।

মৃত্তিকা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
নতুন লেখাও আসুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ইসলাম আপনাকে, আরও লিখবার সাহস দেবার জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো।

মৃত্তিকা

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে এত ভাল সেই সাথে খারাপ লাগল যে আমি কিছু্ক্ষন স্তব্ধ হয়ে বসে থাকলাম। খুবই চমৎকার আপনার লেখার ধারা। এত আগে লিখেছেন
কিন্তু নিজের ডায়েরীর পাতায় লুকিয়ে রেখে খুবই অন্যায় করেছেন। আরো অনেক সুন্দর লেখার আশা করে থাকলাম আমরা। সচলায়তনে সুস্বাগতম আপনাকে।

মৃত্তিকা এর ছবি

সহস্র ধন্যবাদ আপনাকে প্রজাপতি। আপনার মনকে ছুতে পেরে আমি সার্থক হলাম। আপনার লেখাও খুব চমৎকার, সাবলীল, আমার ভালো লাগে। লিখতে থাকুন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

মৃত্তিকা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওহে মৃত্তিকা, তোমার লেখা পড়ে কি যে ভালো লাগলো ভাষায় বোঝানো যাবে না, তোমাকে আমার লেখা দিতে অনুরোধ করায় নিজেকে গর্বিত লাগছে, এরকম লেখা দেবার ক্ষমতা নিয়া ঘরে চুপ মেরে বসে থাকা রীতিমত অপরাধ। আশা করব এখন থেকে নিয়মিত লেখা দিবে।

তুমি মনে হয় অভ্র নিয়ে জটিলতায় ভুগতেছ, সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যাবে, ২-১ টা রেফ এদিন সেদিক হয়ে গেছে, ছোটখাট ২-১ টা বানান ও গন্ডগোল হয়েছে, এর জন্যে মন খারাপ কোরো না, আমার প্রথম লেখায় এত বাবান ভুল ছিল যে, কেউ সাহস পায় নি হাত দিতে।

তোমার কিছু কথা আমার এত ভালো লেগেছে যে, কোট না করে পারছি না।

আজ ইচ্ছে হলো আবার তাই একটু পেছনে ঘুরলাম, নিয়ে এলাম লেখার ডায়রীটি, তুলে দিলাম একটি ছোট্ট গল্প

কমলা রঙের বিরাট সূর্যটা ধীরে ধীরে সমুদ্রের পানির ভিতর ডুবে যাচ্ছে আর সারা আকাশটা লাল টুক্‌টুকে হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আকাশ কন্যা লাল শাড়ি জড়িয়েছে গায়ে! লাল রঙের যেখানে শেষ, সেখান থেকে আবার শুরু হলুদ রঙ, তার পেছনে আর আশে পাশে বেগুনি, নীল, ধূসর উঁকি দিচ্ছে! কি অদ্ভুত সুন্দর দশ্য! আবীরের চোখ ভিজে ওঠে

অপুর্ব বর্ননা, কেমন যেন উদাস লাগল।

যেন সুর্যটা কাঁদছে আর তার অশ্রু লাল হয়ে আকাশের গায়ে মিশে যাচ্ছে! সে যখন তন্ময় হয়ে তাকিয়ে ছিলো

অসাধারণ।

আশা করি খুব শীঘ্রই আবার মৃত্তিকার জাদুকরি লেখার দেখা পাব।

সচলে স্বাগতম আর প্রথম লেখা দেবার জন্যে অভিনন্দন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার প্রথম লেখায় এত বাবান ভুল ছিল যে, কেউ সাহস পায় নি হাত দিতে।
তা আর বলতে খাইছে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দেখেন না, গড়াগড়ি দিয়া হাসি এখনও কাহিল অবস্থা, গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মৃত্তিকা এর ছবি

সহস্র ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া! আমার লেখা দেবার পেছনে আপনার যে ভুমিকা তা অনস্বীকার্য। খুব ভালো লাগছে জেনে যে লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে। আপনাদের ক্রমাগত উৎসাহে আজকে একটি লেখা পাঠালাম। তাও উত্তেজনায় শিরোনাম এ বানান ভুল হলো, কি যে অবস্থা! লেখাটি যখন ছাপা হলো তখন আমার চোখে পানি চলে এলো। শুধু ছাপার আনন্দে নয়, এই অশ্রু অন্য কিছু....

পরবর্তিতে বানান এর ব্যাপারে আরো সজাগ থাকবো।

আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাই নাকি? তাহলে তো কেস খারাপ। সচল রোগে ধরেছে মনে হয় চিন্তিত

স্বপ্নাহত এর ছবি

হ !

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আশা করি, এ সচল রোগ যেন না কাটে মৃত্তিকা খাতুনের হো হো হো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

মৃত্তিকা,

প্রথম লেখাতেই আপনার জাত চিনিয়ে দিয়েছেন।
খুব চমৎকার লাগল লেখাটা।
কোনরকম আড়ষ্টতা ছাড়া,মসৃন সহজিয়া টানে লেখা।

ভবিষ্যতে আরো অনেক লেখা পাবার আশা রাখছি----
আর, আজকের লেখায় দিলাম বিশ লক্ষ তারা----

নিরন্তর শুভেচ্ছা

মৃত্তিকা এর ছবি

শত সহস্র ধন্যবাদ অনিকেত'দা আপনাকে। আমাকে আর লজ্জা দিবেন না। যদি সত্য সত্যিই ভালো লাগাতে পেরেছি, তবে নিজেকে কিছুটা হলেও সার্থক মনে করবো।
আপনি খুব ভালো লিখেন। সব গুলো না পড়লেও যেটুকু পড়েছি তাতে বুঝেছি আপনার লেখার ধার।
দোয়া করবেন যেনো আবারও লেখার অভ্যাসটা ফিরিয়ে আনতে পারি।
আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ার জন্য এবং তারা দেবার জন্য।

মৃত্তিকা

স্বপ্নহারা এর ছবি

মারাত্মক! অসাধারণ! হৃদয় ছুঁয়ে গেল...পরেরটার প্রত্যাশায় থাকলাম।
--------------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মৃত্তিকা এর ছবি

আপনার মন্তব্যের প্রথমের বিশেষণ গুলোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ স্বপ্নহারা...। আমারও হ্রদয় ছুঁয়ে গেলো।
শুভেচ্ছা রইলো,
মৃত্তিকা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। লিখতে থাকুন নতুন আনকোড়া সব গল্প। পাঠক হিসেবে অপেক্ষায় রইলাম।

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ পান্থ রেজা আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।
ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ার জন্য।

মৃত্তিকা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পের শেষে এসে একটা বিখ্যাত গল্পের কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেটার নাম খুব সম্ভবত 'কেবল আমার একটি পা'- লিখেছিলেন মনে হয় আইজ্যাক সিঙ্গার...
যাই হোক, গল্প চমৎকার লাগলো ...

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মৃত্তিকা এর ছবি

শব্দশিল্পী, আপনাকে ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। উল্লেখ্য বইটি পড়া হয়নি, পড়তে ইচ্ছে করছে। মন্তব্যের জন্য আরও একবার ধন্যবাদ.......

মৃত্তিকা

মামুন হক এর ছবি

মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা, মৃত্তিকার মতোই মায়াময়ী।
সচলে স্বাগতম! পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

মৃত্তিকা এর ছবি

পাঠকের মন ছুঁতে পেরে এই ক্ষুদ্র লেখিকা ধন্য হলাম।
ধন্যবাদ মামুন হক....

মৃত্তিকা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো। আপনি যত্ন করে লেখেন, তা শুরুর দিকেই বুঝতে পেরেছি। ভাষার, ঘটনা, আর উপমা নিয়ে কিছু বলবার নেই আলাদা করে। আমাদের তুলিরেখা আপুর লেখাগুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলো কিছু জায়গা।

লিখতে থাকুন অবিরাম। অভ্রর কারণে টুকটাক কিছু ভুল রয়ে গেছে বোঝা যাচ্ছে। এটা আগামী লেখায়ই ঠিক হয়ে যাবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। সচলে স্বাগতম।

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ ইশতিয়াক আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমার সেই আমির খন্ড স্মৃতির ছোট্ট অংশটি যে আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছি এটি আমার পরম পাওয়া।
আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ.....

মৃত্তিকা

মূলত পাঠক এর ছবি

পড়তে পড়তে স্ক্রোল করে শেষের কাছাকাছি পৌছে মনে হচ্ছিলো আর তো এইটুকু বাকি, কী আর এমন ঘটবে এর মধ্যে। আমার আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে একটা অনবদ্য সমাপ্তি দিলেন গল্পটিতে। আপনার পরের লেখার জন্য সাগ্রহ প্রতীক্ষায় রইলাম।

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ পাঠক ভাই, আমার লেখাটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য! আজকে আপনার লেখা পড়লাম। ভালো লাগলো। আমার অনাকাঙ্খিত ভূল গুলোও আমি শুধরে নিতে চাই পাঠকদের মাধ্যমে। আর আপনার প্রথম প্যারার সাথে আমি একমত, লিখতে গেলে প্রচুর পড়তে হয়, কারণ প্রচুর পড়লেই তৈরী হবে শব্দভান্ডার!
শুভেচ্ছা রইলো,

মৃত্তিকা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসম্ভব ভাল লাগল লেখাটা। আকারে ছোট হলেও এতো শক্তিশালী! দুর্দান্তরকম হৃদয়ছোঁয়া গল্প। আরো লিখুন।

সচলায়তনে স্বাগতম। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেক গল্প, অনেক লেখা পাব আমরা আপনার কাছ থেকে।

আপনার নিকটাও চমৎকার। নাকি এটাই আপনার প্রকৃত নাম?

মৃত্তিকা এর ছবি

প্রহরী, আপনার মন্তব্যও আমার হ্রদয় ছুঁয়ে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই ক্ষুদে লেখিকার লেখা দুর্দান্ত লাগায়! আর কি বলবো....
আর হ্যা, মৃত্তিকা আমার নিক, প্রকৃত নাম নয়। ধন্যবাদ আর একবার।

মৃত্তিকা

রেনেট এর ছবি

সুন্দর গল্প। আপনার ডায়েরীর পাতা থেকে উঠে আসুক আরো গল্প। আমরা পড়ে মুগ্ধ হই।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ রেনেট, মন্তব্য দিবার জন্য এবং আমাকে উৎসাহ দিবার জন্য......

মৃত্তিকা

স্পর্শ এর ছবি

ভালোলাগাটা জানিয়ে যাই। ভালো লেগেছে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মৃত্তিকা এর ছবি

এবং আমিও খুব খুশি হলাম তা জেনে স্পর্শ.....
অনেক ধন্যবাদ।

মৃত্তিকা

স্বপ্নাহত এর ছবি

তবে স্বাধীনতা দিয়েই সচলে শুরু? বেশ বেশ!

লেখক হিসেবে স্বাগতম। লিখতে থাকুন মনের আনন্দে।

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মৃত্তিকা এর ছবি

হাঃ হাঃ ভালো বলেছেন স্বপ্নাহত, স্বাধীনতা দিয়ে শুরু........

আপনারা পড়লে লিখবো অবশ্যই। অন্তত লেখার সু অথবা কু অভ্যাসটি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো।
শুভেচ্ছা রইলো অনেক,

মৃত্তিকা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মৃত্তিকা, দেখেছ প্রথম লেখাতে কেমন সাড়া পেয়েছ আর কত সচলের হৃদয়ে স্থান পেয়ে গিয়েছ, কাজেই সচল এ তোমার লেখা গরম থাকতে থাকতে আরেকটা নামিয়ে দাও। আর আমি সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছি আমাদের রব হ্যালফোর্ডের মন্তব্যের জন্যে, আজকে নাগাদ না আসলে বেটাকে ধরে ধোলাই করব আমি আর অনিকেতদা।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তানবীরা এর ছবি

মৃত্তিকা একটা আনন্দ যুদ্ধের গল্প লেখেনতো আপা। একটা বিজয় উল্লাসের গল্প চাই এরপর।

লেখা চমৎকার
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মৃত্তিকা এর ছবি

তানবীরা আপু, আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ!

নতুন হিসেবে এতো সচল এর মন্তব্য পাবো আশা করিনি। আমি সত্যি খুব খুশি এবং লেখার আগ্রহ পাচ্ছি।

সকল পাঠকদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা......

মৃত্তিকা

শাহান এর ছবি

অনেক ভাল লাগল লেখাটা। এই নিয়া ২ বার পড়লাম। অদ্ভুত ! সহজ ভাষায় এইভাবে কঠিন কথা বলে ফেলা কিন্তু খুবই কঠিন।

নিয়মিত পাঠক হিসাবে বলি, নিয়মিত লিখুন ।

মৃত্তিকা এর ছবি

শাহান তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য। ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম।
মৃত্তিকা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লেখা যেন না থামে। এমন সারল্য আর মমতা মাখানো লেখা!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মৃত্তিকা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে.......
-মৃত্তিকা

রব হ্যালফোর্ড এর ছবি

শুধু একটা কথাই বলবো, লেখাটা পড়ে আবারো লেখিকার প্রেমে পরে গেলাম ।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

রবতো প্রেমে পরেনি, প্রেম রবের উপরে পরেছে চাল্লু

আকতার আহমেদ এর ছবি

সচলে স্বাগতম! নিয়মিত লিখুন...

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ আকতার আমার গল্প পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য।
-মৃত্তিকা

বইখাতা এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।